সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল অটোমোশন পদ্ধতিঃ Automotion system to be started in sylhet agricultural university

তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ লাভের ফলে সাবলীল হয়ে উঠছে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল অটোমোশন পদ্ধতির কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণ, ফলাফল তৈরি সহ শিক্ষকদের পাঠদান কার্যক্রম সহজ করার উদ্দেশেই মূলত এটি চালুর দাবি ছিল। এছাড়াও এতে সহজ হবে অর্থসংক্রান্ত বিষয়াদি, আবাসন বরাদ্দ সহ নানা কাজও। total automotion and IT facilities enhancement in university প্রকল্পের অধীনে সাইনটেক সফটওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায় এটি বাস্তবে রূপ নেবে।

মঙ্গলবার ১লা ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃ মোঃ গোলাম শাহি আলম এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এই প্রকল্পের এসপিএম ডঃ মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মোঃ বদরুল ইসলাম, প্রোক্টর প্রফেসর ডঃ মোঃ আব্দুল বাসেত, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ মোঃ মোহন মিয়া, মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর মোঃ শাহাব উদ্দিন, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ মোঃ এএফএম সাইফুল ইসলাম, কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের ডিন পীযূষ কান্তি সরকার, কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ মিঠু চৌধুরী, ছাত্র পরামর্শ নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ডঃ মোঃ মতিয়ার রহমান, গ্রন্থগারিক সুবীর কুমার পাল, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস শাখার পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সরফুদ্দিন, প্রকৌশল শাখার প্রধান প্রকৌশলী মোঃ ফয়জুর রহমান, চিফ মেডিকেল অফিসার ডাঃ অসীম রঞ্জন রায়, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের পরিচালক মোঃ আনিসুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ সাজিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দও। স্লাইড শোর মাধ্যমে অটোমোশনের কার্যপদ্ধতি ও উপযোগিতা ব্যাখ্যা করেন সাইটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার তীর্থভূমি। আর উচ্চশিক্ষার এই সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি ও আধুনিক বিজ্ঞানের সব প্রায়োগিক সুবিধা থাকবে, শিক্ষা হবে আরও জীবনমুখী ও স্বতঃস্ফূর্ত, এটিই সবার প্রত্যাশা। আর তাই এধরনের প্রযুক্তির ছোঁয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরও যুগোপযোগী করবে, এটিই সংশ্লিষ্ট সবার আকাঙ্ক্ষা।

Add On Domain and DNS Server Change, GoDaddy Justetc WebHostingJustetc in Bangla

Add On Domain and DNS Server Change, GoDaddy Justetc WebHostingJustetc

1and1.com domain settings, email setup, email client setup, 302 domain forwarding

1and1.com domain settings, email setup, email client setup, 302 domain forwarding

Practical Google webmaster tool demo with real examples

Practical Google webmaster tool demo with real examples

জলবায়ু সম্মেলন বিষয়ক পদযাত্রা:rally on climate change

বৈশ্বিক উন্নয়ন ও সভ্যতার অগ্রযাত্রা ক্রমশ বাড়ছে, বাড়ছে মানুষের জীবনযাত্রার মানও। কিন্তু সেই সাথে বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং। উন্নয়নশীল দেশগুলো ছাড়াও উন্নত বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই গ্লোবাল ওয়ার্মিং। সমুদ্রের পানির স্তর বেড়ে যাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও হাজারো সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে মানুষ, সারা বিশ্বেই। সেই ধারাবাহিকতায় ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জলবায়ু সম্মেলন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সম্মেলন। আর সেই উপলক্ষকে সামনে রেখে ঢাকায় হয়ে গেল পদযাত্রা।

আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধ ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন যখন বিশ্ব নেতারা, তখন সেই উদ্যোগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে ২৮ নভেম্বর শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে বের হয় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন পদযাত্রা বাংলাদেশ ২০১৫। এই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদ্রেষ্টা ডঃ সুলতানা কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃআ আ মস আরেফিন সিদ্দিক, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবৃন্দ। এছাড়া অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও। বিভিন্ন বেসরকারি ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। পদযাত্রা শুরু হওয়ার প্রাক্কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃআ আ মস আরেফিন সিদ্দিক তাঁর বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের যে চলমান প্রক্রিয়া তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ, দেশের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে প্রতি বছর বার বার বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলোচ্ছ্বাস, খরা ও নদীভাঙন হচ্ছে। উষ্ণতা বাড়ায় সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে। দেশের অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর সে তুলনায় তেমন কোন ক্ষতিপূরণ আমরা পাচ্ছি না বলে মন্তব্য করেন তিনি। এজন্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশসহ দক্ষিন এশিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান তিনি।

জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সব মানুষের জীবন ধারনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আর বৈশ্বিক উষ্ণতা সেই পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যকে, সেই সাথে মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন ও আমাদের দেশে হয়ে যাওয়া এই পদযাত্রা জলবায়ু ও আবহাওয়ার ভারসাম্য রক্ষায় রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা-এটিই আমাদের প্রত্যাশা।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল ‘পেশাজীবী দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনার:skill development seminar in SUST

গত ২৭ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল তিনটায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পেশাজীবী দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট ডেভলাপমেন্ট নেটওয়ার্কের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিসি প্রফেসর ডঃ মোঃ আমিনুল হক ভূঁইয়া। ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং(আইপিই) বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করা হলেও সেমিনারটি সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। আলোচনা করেন এই বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হওয়া সফল প্রাক্তন ছাত্রগণ। বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করতে চান এমন ছাত্রদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী এই সেমিনার পেশাগত দক্ষতা অর্জন ও ব্যাক্তিগত নৈপুণ্য সৃষ্টিতে শিক্ষার্থীদের উপযোগী মানসিকতা তৈরি করবে- এটিই বিশ্বাস আয়োজকদের। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোন ধরণের রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই এই সেমিনারে অংশ নিতে পেরেছেন।

শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও উপযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এধরনের সেমিনার, তাই ভবিষ্যতেও যেন এরকম উদ্যোগ গ্রহণের ধারা অব্যাহত থাকে এটিই প্রত্যাশা সবার।

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার।International archaeology seminar held in Jahangirnagar university

প্রত্নতত্ত্ব কোন জাতির অতীত ঐতিহ্য ও গৌরবের ধারক ও বাহকরূপে কাজ করে। একটি দেশের সমৃদ্ধির অন্যতম নিদর্শন এর বিবর্তনের সাক্ষী এই প্রত্নতত্ত্ব। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রত্নতত্ত্ব গবেষণায় শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, আর এখানেই গত ২৮ নভেম্বর শনিবার হয়ে গেল প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্মশালা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এর আলোচ্য বিষয় ছিল ‘pottery from Bangladesh and eastern India: constructing a holistic methodology for analysis and interpretetion’

শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়া এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃ ফারজানা ইসলাম। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ডঃ মোকাম্মেল হোসেন ভূঁইয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রফেসর ডঃ সীমা হক। উদ্বোধনী অনুস্থানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রোভিসি প্রফেসর ডঃ আবুল হোসেন, বিশ্বব্যাংকের উচ্চশিক্ষা মানউন্নয়ন বিষয়ক প্রকল্প পরিচালক গৌরাঙ্গ চন্দ্র, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহসান। বিশেষ অতিথি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন গবেষণা প্রকল্পের সাব ম্যানেজার প্রফেসর ডঃ স্বাধীন সেন। এই কর্মশালায় বিভাগের উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত গবেষণার বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ কর্মশালায় দেশবিদেশের প্রত্নতত্ত্ববিদ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

প্রত্নতত্ত্ব আমাদের সভ্যতার বিকাশ ও সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক উচ্চশিক্ষার পরিক্রমায় এধরণের কর্মশালা অনেক বেশি উৎসাহব্যঞ্জক ও কার্যকরী হতে পারে, রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা- এটিই সংশ্লিষ্ট সকলের বিশ্বাস।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গণিত উৎসব:Math olympiad in Jahangirnagar university

গত ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ গণিত সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৭ম জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড ২০১৫। সহ আয়োজক ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল নয়টায় গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃ ফারজানা ইসলাম।বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি প্রফেসর ডঃ আবুল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন গণিত বিভাগের সভাপতি ও ঢাকা উত্তর আঞ্চলিক অলিম্পিয়াড ২০১৫ আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ডঃ মোঃ আব্দুর রব, গাণিতিক ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ক অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ মোঃ নুরুল আলম, গণিত বিভাগের প্রফেসর ডঃ লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, এসোসিয়েট প্রফেসর মোঃ উসমান গনি প্রমুখ।

সকাল ১০টা থেকে দেড় ঘণ্টার মূলপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১২টি সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণীর ১১৬জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন। অলিম্পিয়াডে মৌলিক গণিতের উপর ১০০ নাম্বারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় ১০ জন পুরস্কৃত হন। দুপুর ২.৩০ মিনিট থেকে গণিত বিষয়ের উপর প্রশ্ন উত্তর পর্ব ছিল। এতে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত গণিত বিশেষজ্ঞ ও প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। এই পর্বটি পরিচালনা করেন গণিত বিভাগের প্রফেসর ডঃ লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ। বিকেল চারটার দিকে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

গণিত ও যুক্তিনির্ভরতা আমাদের সভ্যতার অগ্রযাত্রায় রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গণিতের অনুশীলন ও প্রয়োগ জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে যুক্তিশীল প্রবণতার সৃষ্টি করে। তাই গণিতের চর্চা আর সেই সাথে গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্যোগ বৃদ্ধি পাবে ভবিষ্যতে, এটিই সকলের কামনা।

রুয়েটে হয়ে গেল আন্তর্জাতিক কনফারেন্সঃInternational conference held in RUET

তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার প্রযুক্তির প্রকৌশল শিক্ষার ক্ষেত্রে দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২৬ ও ২৭ নভেম্বর সেখানে হয়ে গেল কম্পিউটার ও ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং(আইসিসিই) বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। ২৬ তারিখ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি ভিসি প্রফেসর ডঃমোঃ রফিকুল আলম বেগ এই কনফারেন্স উদ্বোধন করেন। তিনি তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি পুরো বিশ্বকে একটি বৈশ্বিক গ্রামে পরিণত করেছে। এই বৈশ্বিক গ্রামে টিকে থাকতে হলে এবং সামনের সারিতে যেতে হলে নতুন প্রজন্মকে অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তিগত শিক্ষায় ও গবেষণায় মনোনিবেশ করে কাঙ্খিত মানের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডঃনজরুল ইসলাম মণ্ডল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ডঃ মোঃ রবিউল ইসলাম। আন্তর্জাতিক এই কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডঃ অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক(প্রশিক্ষণ) প্রকৌশলী মোঃ ইনামুল কবির এবং রুয়েটের কেন্দ্রীয় কম্পিউটার সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রফেসর ডঃ মোঃ শহিদুজ্জামান।
রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে বিভিন্ন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষাবিদ, গবেষক ও প্রযুক্তিবিদগন অংশগ্রহন করেছেন। সমাপনি দিন ছিল শুক্রবার। দিনব্যাপী বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশন সম্পন্ন হয়, সন্ধ্যায় সমাপনি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কনফারেন্স সমাপ্ত হয়।
বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিক্ষা আন্তর্জাতিক সমসাময়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে, এই অগ্রযাত্রার পথে এধরনের আন্তর্জাতিক সেমিনার আর বেশি উন্নয়নমুখী প্রভাব রাখবে, এটিই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
http://www.campuslive24.com/campus.148674.live24/ ও জাতীয় দৈনিক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করতে চাইলে…If you want to study Hons in the Dhaka University

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করতে চাইলে…

 

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে, আর এখনও এটি বাংলাদেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।  সেই সাথে বহু বিদেশী শিক্ষার্থীরও পদচারনায় মুখর থাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা  দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের স্বপ্ন থাকে দেশের প্রায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর, যদিও ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া কয়েক লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর সুযোগ হয় এই মহান প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের। বাকিরা অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে, সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যান, স্নাতক সম্পন্ন করেন। স্নাতক সম্পন্ন করেও কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যায়, আর সেটা নিয়েই আমরা আজ কথা বলছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে এমএ, এমএসসি, এমএসএস ও এমবিএতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তি হওয়া যায়। এক্ষেত্রে দুই ও এক বছরের কোর্সে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তি হতে পারেন তারাই যারা কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।

 

কারা ভর্তি হতে পারবেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইন্সটিটিউট ও বিভাগে সাধারণত দুই ধরনের স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়, সাধারণ ও সান্ধ্যকালীন। সাধারণত সরকার অনুমোদিত যেকোনো স্বীকৃত দেশি বা বিদেশী, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্নকারী যাদের স্নাতক পর্যায়ে ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ বা সিজিপিএ ২.৫ আছে তারাই আবেদন করতে পারবেন। কিছু কিছু বিভাগের ক্ষেত্রে এই সিজিপিএ কমবেশি হতে পারে, এছাড়াও কারিগরি ও ভোকেশনাল বিভাগে যারা পড়েছেন তাদের জন্য স্নাতক ও সমমান উত্তীর্ণ হতে হবে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে চাইলে।

 

ভর্তির জন্য যা করতে হবে

স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির জন্য বছরের বিভিন্ন সময়ে (বিশেষ করে ডিসেম্বর ও জুন মাসে) একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় জাতীয় দৈনিকগুলোতে। নির্দিষ্ট ব্যাংক থেকে বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ইন্সটিটিউট থেকে আবেদন ফর্ম নিয়ে পূরণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূরণ করে জমা দিতে হয়। বিভাগ ভেদে ৫০ থে ১০০ জন করে শিক্ষার্থী সাধারণত নির্বাচন করা হয়। নির্ধারিত ও সংশ্লিষ্ট বিষয়সহ বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন থেকে থাকে। লিখিত ও মৌখিক, দুই ধাপে এই পরীক্ষা হয়ে থাকে, তাই সেই অনুযায়ী প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। লিখিত ও মৌখিক এই দুই ধাপের ফলাফলের সমন্বয়ে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয়ে থাকে।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব স্বতন্ত্র ইন্সটিটিউট আছে

  • শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট(আইইআর)
  • সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
  • ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ)
  • ইনস্টিটিউট অব এনার্জি
  • ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি(আইআইটি)

এগুলো হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র ইন্সটিটিউট, এরা আলাদাভাবে স্নাতকোত্তর ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ এরকম বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যা দিচ্ছে বিশ্বমানের ডিগ্রীর নিশ্চয়তা। জানিয়ে রাখা ভাল, বিভাগ অনুযায়ী বিভিন্ন স্নাতকোত্তর কোর্স শেষ করতে মোটামুটি ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাগতে পারে।