নবকুমার ইন্সটিটিউটের শতবর্ষ উদযাপন Celebrating 100 years of Nobokumar institute Dhaka

বিশ্বের প্রাচীন শহরগুলোর অন্যতম হল ঢাকা, আর ঢাকার ঐতিহ্যবাহী অনেক প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও ঐতিহাসিক স্থান সমৃদ্ধ করেছে এর ইতিহাসকে। ঢাকার সেই ঐতিহ্যকে ধারণ করে ১০০ বছর ধরে জ্ঞানের আলোয় নাগরিক জীবনকে উদ্ভাসিত করেছে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেটি হল নবকুমার ইন্সটিটিউট। আর এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠের ১০০ বছর পূর্তি উদযাপন হয়ে গেল গত ১৯ ডিসেম্বর শনিবার।

শনিবার সকাল ৯টায় বর্ণীল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়। সকাল ১১ টায় ছিল উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। এসময় স্কুলের পতাকা উত্তোলন করেন খাদ্যমন্ত্রী ও স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ কামরুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা ৭ আসনের সংসদ সদস্য ও স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী হাজি সেলিম এমপি, বুয়েট উপাচার্য খালেদা একরাম, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, সাবেক মন্ত্রী ও স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নবকুমার ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম প্রমুখ।

জমিদার নবকুমার বাবু যে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে গিয়েছিলেন ১৯১৬ সালে, সেই প্রতিষ্ঠানে ১৯৭৩ সালে যুক্ত হয় ডঃ মোঃ শহিদুল্লাহ কলেজ। সেই নবকুমার ইন্সটিটিউট থেকে পাশ করা দেশবরেণ্য বিখ্যাত ব্যাক্তি অনেক। তাঁদের আলোচনা ও স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে বর্ণীল ও উচ্ছল এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।

 

কালের কণ্ঠ ২০ ডিসেম্বর ২০১৫
‘শতবর্ষের গৌরব’ নিবন্ধ ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

চুয়েটের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ঃ CUET, USA university signed deal.

বিশ্বায়নের সাথে সাথে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা অর্জন করছে বৈশ্বিক মান, আর এদেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের নানা দেশে তাঁদের দক্ষতা ও সৃষ্টিশীলতার স্বাক্ষর রাখছেন। সেই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(চুয়েট) ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই ইউনিভার্সিটির মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়ে গেল সমঝোতা স্মারক চুক্তির।

১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। এই সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের ভিসি প্রফেসর ডঃ জাহাঙ্গীর আলম, পুরকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ মোঃ হযরত আলী, এবং অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ।অনুষ্ঠানে চুয়েটের ভিসি প্রফেসর ডঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সমঝোতা স্মারকের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা হাওয়াই ইউনিভার্সিটির সাথে চুয়েটের শিক্ষা ও গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচিত হল। এটি চুয়েটের শিক্ষা গবেষণার চলমান অগ্রযাত্রার নতুন মাইলফলক হিসেবে থাকবে। সমঝোতা স্মারক অনুসরণে শিক্ষা গবেষণার বিনিময়ের অংশ হিসেবে আজ থেকেই হাওয়াই ইউনিভার্সিটির দুইজন খ্যাতনামা প্রফেসর চুয়েটের শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করেছেন। আগামী দিনে চুয়েট থেকেও শিক্ষক-গবেষক-শিক্ষার্থী হাওয়াই ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে গবেষণা ও শিক্ষা বিনিময়ে অংশ নিতে পারবেন।

বিশ্বায়নের এই যুগে সারা পৃথিবীর উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা পারস্পরিক সহযোগিতার উপর নির্ভরশীল, আর তথ্য ও পদ্ধতির আদানপ্রদান এই উন্নয়নমুখী স্রোতকে করেছে আরও বেগবান। আর সেই সহযোগিতা ও বিনিময়ের মহান উদ্দেশেই এই চুক্তি অনুষ্ঠিত হল, যা দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করবে বলেই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।

Campuslive24 ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির ব্যবস্থা চালু করল ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকঃ First security bank issued scholarship for DU students

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ও অসচ্ছল আবাসিক ছাত্রীদের জন্য বৃত্তি প্রদান করেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সম্মেলন কক্ষে এই বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে তিনি এই বৃত্তি প্রদানের জন্য বৃত্তিদাতা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে ১২ লক্ষ টাকার অনুদান চেক হস্তান্তর করা হয় মেধাবী ও অসচ্ছল আবাসিক ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে।

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল উইকিপিডিয়ানদের আড্ডা Get together of Wikipedians from RU

তথ্যউপাত্ত ও মৌলিক বিশ্লেষণের জন্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া, আর বিশ্বের সব দেশের মত বাংলাদেশেও উইকিপিডিয়ার তথ্য সংযোজন ও বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করছে এমন উইকিপিডিয়ান আছেন অনেকেই। সেরকমই সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

১১ ডিসেম্বর বিকেল ৫ টা থেকে ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এই আড্ডার আয়োজন করে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ, আর এ আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল রাজশাহী উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়। এই আড্ডার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল এর ১৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপনের বিভিন্ন দিক, আর এর পাশাপাশি স্কুল ও কলেজগুলোতে নিয়মিত অনুষ্ঠান আয়োজন আর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা নিয়েও আলোচনা করা হয় এই আড্ডায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এই আড্ডায় বিভিন্ন নিবন্ধ বিশ্লেষণ করে ভাল নিবন্ধ নির্বাচন করা হয়। এছাড়াও আলোচকরা বিষয়ভিত্তিক নিবন্ধের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, জেলাভিত্তিক উৎসাহমূলক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি নিয়মিত আয়োজনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

উইকিপিডিয়া নির্ভরযোগ্য তথ্য ও বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে বিশ্বসেরা মুক্ত বিশ্বকোষ, এই বিশ্বকোষের তথ্য সমৃদ্ধিতে যদি আমাদের তরুণ প্রজন্ম এমন স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবদান রাখতে পারে, আর নিজেদের যোগাযোগ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এমনভাবে নিজেদের ভাষাকে সমৃদ্ধ ও বিশ্বজুড়ে প্রচলিত রাখতে পারে, তা হবে আমাদের সবার প্রাপ্তি। তাই এধরণের অনুষ্ঠান নিয়মিত আয়োজিত হোক, এটিই সংশ্লিষ্ট সবার প্রত্যাশা।

 

Campuslive24 ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হল বিজয় দিবস Victory day celebrated at Sylhet agricultural university

মহান বিজয় দিবস আমাদের অস্তিত্বের নিদর্শন, আর জাতীয় জীবনেও এই দিবস রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। আর তাই ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে বিজয় দিবস বাঙালি জাতির সত্ত্বাকে আলোড়িত করে বিজয় আনন্দের আবর্তে। সেই অনুভূতি নিয়েই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হয়ে গেল মহান বিজয় দিবস ২০১৫।

১৬ ডিসেম্বর সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদযাপনের সূচনা হয়। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডঃ মোঃ গোলাম শাহি আলম , বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে সকাল সাড়ে ৮ টায় শুরু হয় বিজয় শোভাযাত্রা। এই বিজয় শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে নির্মাণাধীন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষ হওয়ার পর শহীদদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডঃ মোঃ গোলাম শাহি আলম, রেজিস্টার মোঃ বদরুল ইসলাম, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, ডিন কাউন্সিল, প্রভোস্ট কাউন্সিল, প্রোক্টর কার্যালয়,বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ, শিক্ষক সমিতি,গনতান্ত্রিক শিক্ষক সমিতি,ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও হল শাখা, সকল অনুষদীয় ছাত্র সমিতি, কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সঙ্ঘ, বিনোদন সঙ্ঘ, সাংবাদিক সমিতি, সাদা দল, প্রাধিকার, একুশ, আঞ্চলিক সমিতি, অফিসার্স পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ, বিভিন্ন আবাসিক হল ও অন্যান্য সংস্থার পক্ষ থেকে এই শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিজয় শোভাযাত্রা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডঃমৃত্যুঞ্জয় কুণ্ডু। মহান বিজয় দিবস ও এর তাৎপর্য, স্মৃতিচারণ ও অন্যান্য দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন বক্তারা।

আয়োজনের পরবর্তী অংশে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিনোদন সঙ্ঘ ও কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সঙ্ঘের পরিবেশনা,প্রীতি ভলিবল, শিশুকিশোরদের দৌড় প্রতিযোগিতা, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে পিলো পাসিং প্রতিযোগিতা ইত্যাদিও অনুষ্ঠিত হয়।

বিজয় দিবস আমাদের অহংকার। আমাদের অস্তিত্ব ও সত্ত্বার সাথে মিশে আছে এই বিজয় গাঁথা। আর সেই বিজয় দিবসে নতুন প্রজন্মের উদ্যম ও আনন্দমুখর উৎযাপন আরও প্রাঞ্জল হয়ে রবে, এই প্রত্যাশা সকলের।

Campuslive24 ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

ঢাকায় তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিপিও কনফারেন্স। BPO conference held in Dhaka

তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের সাথেসাথে মুক্ত পেশাজীবী বা ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যাও বাড়ছে। দেশের শিক্ষিত বেকার যুবক শ্রেণী এমনকি পড়াশোনার পাশাপাশিও অনেক শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে যুক্ত থেকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনের পথ সুগম করে কাজ করছেন। সেই প্রবণতাকে আরও এগিয়ে নিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিজনেস প্রসেসিং আউটসোর্সিং বা বিপিও সম্মেলন ২০১৫। গত ৯ ও ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এই সম্মেলনের আয়োজনে ছিল সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ(আইসিটি) ও ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং’ এর উদ্যোগে আয়োজিত হয়ে যাওয়া এই সম্মেলনের শেষ দিনে মোট সাতটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১০ তারিখে) অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ টু ড্রাইভ বিপিও ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক সেমিনার। সেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং’এর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ বর্তমানে দেশের বিপিও খাতে ২৫ হাজার লোক কাজ করছে। তরুণরা এগিয়ে এলে ২০২১ সালের মধ্যে এই খাতে দুই লক্ষ লোক কাজ করতে পারবে’।

এছাড়াও বৃহস্পতিবার ছিল ‘গ্লোবাল বিপিও ইন্ডাস্ট্রি বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক সেমিনার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি সহ সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে’। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির, অগমেডিক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্রী দয়া সিং, এক্সচেঞ্জার জাপানের সাবেক চেয়ারম্যান ক্লাইডি উনোসহ আরও অনেকে। মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সারা বিশ্বে বিপিও একটি বড় খাত। এখানে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে’।

উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে তার জনগনের কর্মদক্ষতা ও সচেতনতার উপর। ফ্রিল্যান্সিং তরুণ প্রজন্মের সামনে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ, সেইসাথে অর্থনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। আর তাই এই ধরনের সম্মেলন তরুণ প্রজন্মের আগ্রহের শীর্ষে থাকে, হয়ে উঠে অনুপ্রেরণার উৎস। ভবিষ্যতেও এই ধরণের সম্মেলন দেশের তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের অনুপ্রাণিত করবে, এটিই প্রত্যাশা সবার।

 

তথ্যসূত্র : (প্রথম আলো, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাতা পৃষ্ঠা ১৪, বিপিও খাত) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।

দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী। Anti corruption cartoon and photography contest held in Dhaka.

উন্নয়নশীল দেশের অনেক সমস্যার অন্যতম হল দুর্নীতি, আর এই দুর্নীতিকে রুখতে বিশ্বজুড়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০১৫। ৯ ডিসেম্বর উদযাপিত হয়ে যাওয়া এই দিবস উপলক্ষে ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতা ২০১৫’ ও ‘দুর্নীতি বিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী ২০১৫’। এছাড়াও ‘জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন’ নিয়ে বিশেষ কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শিল্পের সাথে সত্যের সম্পর্ক নিবিড়’, শিল্পকে একই সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠও হতে হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হ্যান ফুগল এসকেয়ার ও সুইডিশ ডেভলাপমেন্ট কো অপারেশন এজেন্সির কারিন ম্যাকডোনাল্ট, শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য, কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব, আলোকচিত্রী আবীর আব্দুল্লাহ সহ আরও অনেকে।

কার্টুন বিভাগ থেকে ১৯ জনকে বিশেষ মনোনয়ন দেয়া হয়। এর মধ্যে ‘জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন’ বিষয়ক কার্টুন প্রতিযোগিতাটি প্রথমবারের মত আয়োজিত হল। এতে ৬ জনকে বিশেষ মনোনয়ন দেয়া হয়। এ প্রতিযোগিতায় জমা পড়েছিল ৭৯টি কার্টুন।

আলোকচিত্র বিভাগ থেকে ১৬ জন আলোকচিত্রীকে বিশেষ মনোনয়ন দেয়া হয়। এ প্রতিযোগিতায় মোট ১০৯টি আলোকচিত্র জমা পড়েছিল।

 

তথ্যসূত্র : (প্রথম আলোর ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্টুন আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

ফ্রিল্যান্সারস মিট ২০১৫। freelancer’s meet 2015

গত ৮ ডিসেম্বর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ফ্রিল্যান্সার’স মিট ২০১৫।

কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য স্বল্পমূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা দিতে বিশেষ কার্ড দেয়া হবে। এতে অল্প খরচে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা পাবে ফ্রিল্যান্সাররা। এবিষয়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারদের সাথে চুক্তি করা হচ্ছে। এছাড়াও নারী ফ্রিল্যান্সারদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণের উপর জোর দেন তিনি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকারের ‘আর্ন এন্ড পে’ নামের নতুন কর্মসূচীর মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেস এলায়েন্স(উইটসা) প্রেসিডেন্ট সান্তিয়াগো গোতিয়ারেজ, ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান সবুর খান প্রমুখ। ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্যে ফ্রিল্যান্সারদের বিপুল সংখ্যক ভেঞ্জার ক্যাপিটাল গড়ে তুলার ক্ষেত্রে আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানটিতে প্রচুর সংখ্যক তরুণ ও উদীয়মান ফ্রিল্যান্সার অংশগ্রহণ করেন। এই অনুষ্ঠানে ৭৭ জন ফ্রিল্যান্সারকে বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার দেয়া হয়।

ফ্রিল্যান্সিং নতুন প্রজন্মের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আর সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সেই অগ্রযাত্রায় যোগ হবে নতুন মাত্রা। বেকারত্ব দূরীকরণ আর পরনির্ভরতাকে দূরে ঠেলে আমাদের নতুন প্রজন্ম ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে এগিয়ে যাবে, এই প্রত্যাশা সকলের।

 

তথ্যসূত্র : (স্বল্পমূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট পাবেন ফ্রিল্যান্সাররাঃ পলক, প্রযুক্তি প্রতিদিন, সমকাল, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কুইজ ফেস্ট ২০১৫ । Quiz fest 2015 held in dhaka university.

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইজ সোসাইটির উদ্যোগে ২৬ থেকে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কুইজ ফেস্ট ২০১৫।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ডঃ শহীদ আখতার হোসেন এবং জিয়া হলের প্রভোস্ট ও ক্রিমিনলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ জিয়া রহমান অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন। ৩৮টি দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার শেষ দিনে টিএসসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয় পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ। রানারআপ হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃ আআ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডঃ তপন দে রোজারিও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইজ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা সুমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স সহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইজ সোসাইটির সভাপতি মোঃরেজাউল। অনুষ্ঠানটির টাইটেল স্পন্সর ছিল প্রাণ মিঃম্যাঙ্গো, প্লাটিনাম স্পন্সর ছিল তমা গ্রুপ, আর আদর্শ প্রকাশনী ছিল এর বুক পার্টনার।

সৃজনশীলতা ও মেধা বিকাশের জন্য কুইজ ফেস্ট রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আর সৃজনশীল ও বিশ্লেষণী দক্ষতা বৃদ্ধির এমন অসাধারণ আয়োজন নিয়মিতভাবেই আয়োজিত হবে,এই প্রত্যাশা সকলের।

 

তথ্যসূত্র : (daily star ‘shout’,DUQS organises Quiz fest, 3december 2015) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।

আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহন করল বাংলাদেশ । Bangladesh participated at International Junior Science Olympiad

বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে করেছে সমৃদ্ধ, আর জীবনযাপনের পথে বিজ্ঞান উদ্ভাবনী মনন ও সৃজনশীল সত্ত্বার বিকাশ লাভে রেখেছে অপরিসীম ভূমিকা। বিজ্ঞানের প্রতি মমত্ববোধ ও নির্ভরতা গভীর জীবনবোধের সৃষ্টি করে, আর অজানা জগতের অন্ধকারে আলোর দিগন্তের পথ দেখায়।

বিজ্ঞানের আলোময় সেই দিগন্তেরই সন্ধান লাভের সুযোগ পেলেন বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড বিজয়ী ছয় শিক্ষার্থী। আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডে প্রথমবারের মত অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ দল। দক্ষিন কোরিয়ার ডেগু শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই অলিম্পিয়াড। বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয়া দলে ছিলেন ছয় শিক্ষার্থী, তাহমিদ মোসাদ্দেক, ফারদীম মুনির, ফারহান রওনক, রুবাইয়াত ইকোলো, সালসাবিল আশরাফ ও শামসাদ এরাম। তাঁদের দলনেতা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারসিম মান্নান মোহাম্মদী, ব্র্যাকের শিক্ষা গবেষক ফারহানা মান্নান ও এসপিএসবির সহকারী একাডেমিক কোঅরডিনেটর শিবলি বিন সারোয়ার।

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের উদ্ভাবনী শক্তি ও সৃষ্টিশীলতার সাথে সমন্বিত জীবনধারার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এই আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হল। ২০০৪ থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এই প্রতিযোগিতায় এবারই প্রথম অংশ নিল বাংলাদেশ। আর এধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে অংশ নিতে পারলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের দক্ষতা অর্জন করতে পারবে আরও সহজে, এটিই বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট সকলের।

 

তথ্য সূত্র : কালের কণ্ঠ (আন্তর্জাতিক সায়েন্স অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ,৪ ডিসেম্বর ২০১৫) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।