ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ১ (প্রারম্ভিকা) । BCS Written Exam Guide – 1 (Introduction)

প্রারম্ভিকাঃ

বিসিএস এ প্রস্তুতির জন্য আপনাকে নিজেকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে হবে কয়েকট প্রশ্ন এবং বিবেচনায় আনতে হবে কিছু সাধারণ বিবেচ্য বিষয়

১) আপনার সাধারণ জ্ঞানের পরিধি কতখানি ?

২) আপনি যেকোন বিষয়ের উপর মুক্ত ভাবে কতখানি বিশ্লেষণ করে লিখতে জানেন? ( বর্তমান সিস্টেমে এই ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং কোয়ালিটি টা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ আগেই বলে রাখি)

৩) আপনার ছোট বেলার ম্যাথ গুলো কি মাথায় আছে নাকি ভুলে গেছেন ?

৪) ইংলিশ গ্রামারে প্রিপজিশন, টেন্স, পার্টস অফ স্পিচ, ভয়েস, ন্যারেশন এই জিনিস গুলোতে কী মরীচা ধরে গেছে? সারাদিন চ্যাট করতে করতে অনেক বানান কী ভুলে গেছেন ?

৫) আপনি বই পত্র কেমন পড়েন ? মানে শুধু কী জাফর ইকবাল- হুমায়ূন আহমেদ-সুনীল নাকি আরও বই পত্র পড়বার অভ্যাস আছে আপনার ? বিশেষত ১৯ কিংবা ২০ শতকের রাজনৈতিক নানা ঘটনা প্রবাহ, রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, বাংলাদেশ ও ভারত উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস এই বিষয়গুলোতে আপনার দখল কেমন ? আমি বলছি না হাফেজ হতে হবে , তবে ন্যূনতম জ্ঞান অন্তত থাকতে হবে যেন লর্ড কর্নওয়ালিশ কিংবা হেনরি কিসিঞ্জার নাম গুলো আপনার কাছে এলিয়েনের নাম না লাগে … (উদাহরণ দিলাম মাত্র)

৬)ইংরেজিতে গ্রামারের সাথে সাথে আপনাকে ভোকাবুলারিও বাড়াতে হবে ।

আপনি জিয়ারি তে ৩৫০০-৫০০০ ওয়ার্ড মুখস্ত করে আসছেন তাই বলে ভাববেন না আপনি সব শব্দের অর্থও জানেন অনেকে বহুল প্রচলিত ও ব্যবহৃত ৩০০-৫০০ শব্দের অর্থ অ ব্যবহার জেনেও অনেক ভাল করছে (জানার শেষ নাই ভাই, তাই বি স্মার্ট)

৭) সাম্প্রতিক টেকনোলজি গুলোর ব্যাপারে আপনাকে বকলম হলে চলবে না মোটেই ।আমি এমন অনেক কেই দেখেছি যাদের অনার্সে রেজাল্ট অনেক ভাল কিন্তু একেবারে বই কিংবা কারিকুলামের বাইরে কিছুই জানেন না… এটা কিঞ্চিত আপনাকে পেছনে ঠেলে দেবে, কারণ আপনি সব কিছু কিন্তু বই এ পড়ে শিখবেন না … এটাই স্বাভাবিক । কিছু জিনিসে আপনার জ্ঞান আসবে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে …

 

এখন আসি উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তরে,

প্রথমত, অনেকে আছে ছোটবেলা থেকেই সংবাদ পত্রের অনেক সাধারণ জিনিসও পড়েন যেমন মধ্যপ্রাচ্যে অচলাবস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা জাতিসংঘের কোন কার্যক্রম, আমেরিকা/চীন/রাশিয়া/জাপান/যুক্ত্রাজ্য/ভারত/পাকিস্তান এসব দেশের কোন উল্লেখযোগ্য পট পরিবর্তন, তাদের নির্বাচন, অর্থনীতি, পররাষ্ট্র নীতি – এসব নিয়ে সম্যক জ্ঞান রাখেন । আবার কোন দেশের বিজ্ঞানিকে কী কাজের জন্য নোবেল দেয়া হচ্ছে? কোথায় কোন বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে, কোথাও কোন নতুন প্রযুক্তি আসল, খেলাধূলার সাধারণ আপডেট গুলো রাখেন- এমন সব মানুষের জন্য সাধারণ জ্ঞান এ ভাল করা বেশ সোজা কাজ, তাদের এফোর্ট টা কম দিলেও তারা খারাপ করেন না।

আপনি তাই বিনোদন/ক্রীড়া জগত আর সাজ সজ্জা নিয়ে পত্রিকার পাতায় মগ্ন থাকলে সেটা খুব বেশি কাজে আসবে না ।

 

(চলবে …)

BCS মৌখিক পরীক্ষা প্রস্ততি (২) : Part -2: BCS (Govt. Job) Exam Interview Preparation

হাতে আর খুব বেশি দিন সময় নেই, ইতোমধ্যে একদল এর ভাইভা এই শুরু হল বলে,

সংক্ষেপে তাই কিছু জিনিস বলে রাখি, কাজে আসবে আশা করিঃ

 

ভাইভার পোষাক ও পরিচ্ছদঃ

অবশ্যই ফরমাল ড্রেস আপ এ যাবেন, বলাই বাহুল্য, ছেলেদের জন্য শার্ট সাদা কিংবা হালকা রঙের হওয়া ভাল, সাথে কন্ট্রাস্টিং প্যান্ট । কাপড় চোপড়ে যতদূর সম্ভব ঝিক ঝাক চিক চাক স্টাইল পরিহার করে প্লেইন ধরণের কিছু বাছাই করুন । খেয়াল রাখবেন আপনার জুতার কালার আর বেল্টের কালার যেন একই হয় । মানে আপনি যদি কালো বেল্ট পড়েন তাহলে জুতো যেন কালো রঙের ই হয় (এটা বিসিএস/ পিএসসি রুল না, সাদামাটা ইন্টারভিউ নির্দেশিকা)। যদি আপনি দাঁড়ি রাখেন তাহলে তা যেন কোন বিশেষ স্টাইল করা দাঁড়ি না হয় , আর যদি ক্লিন শেভড হিসেবে সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তাহলে সেভাবেই যাবেন । খোঁচা খোঁচা কিংবা স্টাইল করা চিপ দাঁড়ি গোফ নিয়ে যাবেন না, এই নিয়ে কথা শোনার কিংবা আপনার অবমূল্যায়ন হবার ভাল সম্ভাবনা আছে । চুলের পারিপাট্যও আবশ্যক, তবে আপনার মাথায় টাক পড়ে গেছে কিংবা চুল সাদা হয়ে গেছে এ নিয়ে ঘাবড়াবেন না 😉

হ্যা, যদি আপনার ভাইভা শীতের মধ্যে হয় ট্রাই করবেন ব্লেজার/ ফরমাল কোর্ট পরিধান করে যাবেন, বিশেষত যাদের প্রথম চয়েস ফরেন এফেয়ার্স ।এই পরামর্শ টা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেয়া, আমার ভাইভা বোর্ড ছিল ওয়াজেদ আলী স্যারের বোর্ড । আমাকে ছিলে কেটে লবণ লাগাতে লাগাতে প্রায় যখন শেষ অবস্থা, আমাকে বললেন, “ তোমার attire তো ঠিক নাই, আসছ ফরেন এফেয়ার্স ফার্স্ট চয়েস দিয়ে, অথচ স্যুট টাই পড় নি কেন?”

উল্লেখ্য, আমার ভাইভা ছিল ৭ এপ্রিল, চৈত্রের দাবদাহের মধ্যে, আমার স্কিনে সমস্যার কারণে গরম সহ্য করতে পারি না, আমি যে পোশাকে বাসা থেকে ভাইভা বোর্ডে গিয়েছিলাম, বাইরে দাঁড়িয়ে গরমে সেদ্ধ হয়ে সেই শার্ট চেঞ্জ করে ব্যাক আপ শার্ট পড়ে ভাইভা র রুমে ঢুকি । স্যুট কোর্ট টাই আমার ঐ সময়ে সহ্য হবার না তা তো আসলে স্যার বুঝবেন না L ।

মেয়েদের জন্য, আমার অভিজ্ঞতা বলে আপুদের অধিকাংশকেই শাড়ি পড়তে দেখেছি । কাউকে জমকালো সাজ, অলংকার এমন টি দেখি নি, শাড়ির রঙ কিংবা ধরণ ও কিন্তু বিয়ে বাড়ি র শাড়ি না J । তবে যেসব আপুরা পরীক্ষা দিতে যাবেন যদি শাড়ি তে কম্ফোর্ট ফিল না করে থাকেন তাহলে স্যালোয়ার কামিজ পড়ে যেতে পারেন, অনেকেই যায় এবং এটা খুব বড় ডিল না অবশ্যই ।

 

ভাইভার প্রাক প্রস্ততি  ঃ

আদর্শ লিপির কথা মনে হলেও সত্যি বলতে আপনার ভাল চেয়েই বলব, আপনার ভাইভার আগের রাতে খুব বেশি জাগবেন না, ৬-৮ ঘন্টা একটানা ঘুম খুব জরুরি, সকালে উঠে যাবেন, গোসল করে বের হওয়াটা ভাল, ফ্রেশ লাগবে।

অনেকে অনেক দূর থেকে আসবেন, সো আসার পথে যথাসম্ভব হ্যাসেল ফ্রি ভাবে যেভাবে আসা যায় ট্রাই করবেন, যেন কাপড় কুচকে না যায় কিংবা আপনাকে বিধ্বস্ত মনে না হয় ।

আপনি যত্ত আগেই আসেন না কেন আপনাকে পিএসসির সাম্নের রাস্তাতেই ৯ঃ৩০-৯ঃ৪৫ পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকতে হবে,আশপাশে কোথাও টয়লেট কিংবা চেঞ্জ রুম ও পাবেন না । সাথে করে কোন ছোট/ বড় ভাই/ বোন বা এসিস্ট্ করতে পারে এমন কাউকে আনলে ভাল হয় । আসতে আসতে ঐ দিনের ১-২ টা সংবাদ পত্র আনতে পারেন, শুধুমাত্র হেডলাইন গুলোতে চোখ বুলাবেন, দেখবেন কোন উল্লেখযোগ্য খবর আছে কিনা , কারণ বোর্ডে চট করে ধরে বসতেই পারে, অনেকে ধরেও ।

আর হ্যা, ঐ দিনের ইংরেজি তারিখ, বাংলা তারিখ, আরবী তারিখ জেনে যাবেন । এর থেকে সাথে সাথে জেনে নেবেন ঐ দিন টি কোন কারণে জাতীয়/ আন্তর্জাতিক কারণে বিখ্যাত কিনা । মানে হল, ঐ দিন কী কোন দিবস আছে কিনা। মোবাইলে ডাটা কানেকশন রাখবেন দয়া করে, পিএসসি র সামনে আপনাকে কেউ ওয়াই ফাই দিবে না, আপনি এসে দাঁড়িয়ে হুট করে একটা কিছু মনে হল যে আপনি ভুলে গেছেন কিংবা মনে পড়ছে না, চট করে গুগল করতে এই জিনিস টা লাগবে ।

 

পিএসসি তে ঢোকার পরঃ

সাড়ে নটার পরে আপনাদের সবাইকে পিএসসি তে ঢোকাবে, প্রথমে রিসিপসনে আপনি আপনার সাথে নেয়া ব্যাগ, মোবাইল, মানিব্যাগ এগুলো রেখে যেতে পারেন, কেবল মাত্র আপনার দরকারি কাগজ পত্র একটা ট্রান্সপারেন্ট ব্যাগ/ ফাইলে করে নিয়ে ঢুকবেন (এভাবেই ঢোকাবে ইনফ্যাক্ট)। কী কী কাগজ পত্র লাগবে আশা করি পিএসসি র ওয়েবসাইট মারফত জেনে গিয়েছেন (এই জিনিস টা কে অবহেলা করবেন না দয়া করে, কারণ এতোগুলো কাগজ ফিল আপ করতে হয়, আপনি ভাইভার ২ দিন আগে ঠান্ডা মাথায় অভিজ্ঞ কারও সাথে কথা বলে ফিল আপ করে নেবেন, এখানে এক আধটু ভুলের মাশুল আপনি হাড়ে হাড়ে পরে হলেও টের পাবেন, অনেকের রেজাল্ট আটকেও যায় কিংবা বাতিল ও হতে পারে, সো প্রতিটা ফর্ম খুব ভাল ভাবে ফিল আপ করবেন)।

যাহোক, রিসিপশনে আপনার সব কিছু রাখার পর একটা নিচ তলা রুমে সবাই বসে অপেক্ষা করবেন । কিছুক্ষণ পরে আপনাদের ১৫-২০ জন করে করে একটা গ্রুপ ধরে এক এক ফ্লোরের এক এক রুমে নিয়ে যাবে, আই মিন এক এক বোর্ডে । সেখানে আপনাকে আবারও চেয়ারে বসে অপেক্ষা করা লাগবে, রোলের সিরিয়াল ওয়াইজ আপনার ডাক পড়বে । সেখানে মেইন রুমে ঢুকার আগেই একজন ভদ্রলোক আপনার কাগজ পত্র গুলো নিবেন এবং চেক করে দেখবেন সব ঠিক আছে কিনা, সেগুলো আপনার ক্রম অনুযায়ী বোর্ড রুমে পাঠানো হবে ।

 

 

 

বোর্ড রুমে ঢোকার পরেঃ

নার্ভাস না হতে বলা বৃথা আসলে, প্রতি ১০ জনে ৮ জন ই নার্ভাস হবেন । তবু, গলার স্বর স্বাভাবিক রেখে ঢোকার অনুমতি নিয়ে রুমে ঢুকবেন, ঢুকে সালাম দিতে পারেন । বোর্ড প্রধান বা মেম্বার রাই আপনাকে বসতে বলবে, আপনি বসবেন কিন্তু খেয়াল রাখবেন যেন বসতে গিয়ে চেয়ারে কোন অনাকাংখিত শব্দ যাতে না হয় । অনেকের বাজে অভ্যাস টেবিলে হাত তুলে বসা ইন্টারভিউ এ , যেটা অনেকেই খুব বাজে চোখে দেখে, এটা পরিহার করবেন ।

 

এবারে বলি খুব সাধারণ ভাবে যে প্রশ্ন গুলো আপনাকে করবেই, কিংবা আপনি সম্মুখীন হবেন ই …

# প্রায় সব ভাইভা বোর্ডে এবং সব ক্যান্ডিডেট কেই ইংরেজিতে জিজ্ঞাসা করবে, প্লিজ ইন্ট্রোডিউস ইউরসেলফ…

আপনাকে এখানে , “স্যার বাংলায় বলি ?” এই সুযোগ টাও নেই, আপনি টিকতে চাইলে ইংরেজিতে উত্তর দেবেন। অনেকে আপনাকে বলবে আমার অমুক তমুকে বাংলায় উত্তর দিছে, তার ক্যাডার হইছে , এমন গপ্পো ভুলে যান, যদি বা হাতে গোণা ১-২ জন এর হয়ও আপনি মনে রাখেন এই ইন্টারভিউ এ আপনার ইংরেজি তে উত্তর করা কিংবা নিজেকে সুন্দরভাবে রিপ্রেজেন্ট করার উপর আপনার ইম্প্রেশন তৈরি ৮০% নির্ভরশীল ।

তো কী বলবেন নিজের ব্যাপারে?

১৪ গোষ্ঠীর পরিচিতি না, এখানে আপনার পুরো নাম, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরিবারের (বাবা ও মা কেবল)এবং দেশের বাড়ির সংক্ষিপ্ত পরিচিতির সাথে নিজের বর্তমান পেশা (বেকার হলে বলবেন, সিভিল সার্ভিসে যোগদান করতে চেষ্টারত) মিলিয়ে ২-৩ লাইনে বলার ট্রাই করবেন । কথাগুলো যেন মুখস্ত গরু রচনা টাইপ না হয়, খেয়াল রাখবেন আর রোবোকপের মতন এক দিকে তাকিয়ে কথা বলবেন না, হাল্কা ডানে বায়ে মাথা নাড়াবেন, মনে রাখবেন এখানে আপনার অডিয়েন্স রুমে আপনি ছাড়া বাকি ৩ জন ই ।

#এরপর আপনাকে প্রশ্ন করা হবে আপনার চয়েস নিয়ে , কেন এডমিন/ফরেন/ইকোনমিক/পুলিশ প্রথম চয়েসে দিয়েছেন…

# আপনি যে সাব্জেক্টে অনার্স/মাস্টার্স করেছেন সেটার সাথে আপনার চয়েসের সামঞ্জস্য কী …

মানে আপনি পড়াশোনা করেছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ, তো আপনি এডমিন হয়ে কী করবেন, বা আপনি ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে কেন এডমিন হতে চাইছেন ?

  • এই প্রশ্নগুলো খুব ই ভাইটাল, এটা দিয়ে সিম্পলি আপনি স্মার্ট না খ্যাত তা যাচাই হয়ে যাবে, ক্ষ্যাত লোকজন বলবে, ক্যাডারের রাজা এডমিন, অনেক সুযোগ সুবিধা আছে , সবাই সম্মান করবে –এই টাইপ কথা

আর যিনি স্মার্ট তিনি তার পড়াশোনা কিংবা কোন বিশেষ যোগ্যতার সাথে কিংবা কোন বিশেষ ইচ্ছার সাথে তার চয়েস কে কো রিলেট করে সুন্দর উত্তর করবেন ।

  • মনে রাখবেন, এই প্রশ্নটার উত্তর আপনি যত ইউনিক দিতে পারবেন আপনি ঐ চয়েসের বিষয়ভিত্তিক উত্তর কমে পেরেও ভাইভাতে ভাল মার্ক্স পাবার আশা করতে পারবেন ততটা ।

# অনেক বোর্ডে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে কাবু করতে ট্রাই করবে, “তুমি পড়ছ এপ্লাইড কেমিস্ট্রি, তো তুমি ফরেন এফেয়ার্সে এসে কী করবা ? কেন তোমাকে গভমেন্ একজন কূটনৈতিক বানাবে ?”

এমন ভাবেই প্রশ্ন করবে যেন আপনি মস্ত অপরাধ করে ফেলেছেন- কুল থাকার ট্রাই করবেন এবং কোন প্রকার অভদ্রতা কিংবা অযাচিত কথা বলবেন না, ঠান্ডা মাথায় উত্তর করবেন,আবারও বলছি গত বাঁধা কথা না বলে স্মার্টলি উত্তর করবেন, যাতে আপনার উত্তর টা শুনে উনারা এটুকু বুঝে যে এই ছেলে/মেয়ে বুকিশ না ।

# আপনার জন্ম তারিখ টা খেয়াল করেন, এই তারিখে কোন বিখ্যাত /কুখ্যাত ঘটনা ঘটেছে কী ?

ধরেন এই তারিখে মুজিব নগর সরকার গঠিত হয়েছিল,তো আপনার মাথায় যেন তা থাকে, আবার কোন বিখ্যাত ব্যক্তির জন্মদিন হলেও আপনার জানা থাকা উচিত কিংবা কোন বিশেষ দিবস ।

# আপনার দেশের বাড়ি কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ব্যাপারে, এগুলোর নামকরণের ব্যাপারে জ্ঞান রাখুন ।

ধরুন আপনার দেশের বাড়ি কুষ্টিয়ায়ে, কুষ্টিয়া কী জন্যে বিখ্যাত ? খালি তিলের খাজার জন্য ? লালন শা থেকে শুরু করে আর যা কিছু জানা দরকার জেনে নিন, আপনার চয়েস যদি এডমিন/পুলিশ হয়ে থাকে তো নিজ জেলা/থানার পুলিশ ও প্রশাসব প্রধানের নাম জানা টা ভাল … জেলার নদ নদী, বিশেষ কী উতপন্ন হয় এগুলোও …

আবার ধরেন আপনি গুরু দয়াল কলেজ থেকে পাস করেছেন, হু ওয়াজ দিস গুরু দয়াল ? মানে কার নামে কেন নামকরণ হলো এসব জেনে রাখবেন । ( আমাকে নটরডেম এর অর্থ, উতপত্তি, মিশন কী এসব নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল)

# আগেই বলেছি এখানে আপনাকে আপনার জ্ঞান যাচাই করবে না, আপনাকে তারা অব্জারভ করবে আপনার স্মার্টনেস, আপনার পোলাইটনেস আপনার কথা বলার, কারও সামনে নিজেকে উপস্থাপন করার যোগ্যতা, কোন টাফ সিচুয়েশন কীভাবে না অস্থির হয়ে হ্যান্ডেল করেন সেটা দেখবে ।

একটা উদাহরণ বলি, বুয়েটের কোন ব্যাচের এক ভাইয়া র প্রথম চয়েস ছিল ট্যাক্স, তো তাকে তার নাম ধাম জিজ্ঞাসার পরে দেশের বাড়ি কোন নদীর তীরে জিজ্ঞাসা করল, উনি উত্তর দিলেন পদ্মা, এরপরে তাকে জিজ্ঞাসা করে বসলেন, পদ্মার দৈর্ঘ্য কত ? তিনি তো তা মুখস্ত করেন নাই… এরপরে সেটা না পারায় তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তো তাহলে পদ্মার কয়েকটা শাখা নদীর নাম বল, উনি শাখা নদী র নাম যা যা জানেন কার কোন তা শাখা না জেনেই বলতে লাগ্লেন, তো তাকে থামিয়ে দিয়ে প্রশ্ন কর্তা বললেন, তাহলে বল পুনর্ভবার দৈর্ঘ্য কত ? যে পদ্মার দৈর্ঘ্যই জানে না, যে পুনর্ভবা নদীর দৈর্ঘ্য কী করে জানে ? :v  তো এটাও পারলেন না, এরপর আরও কিছু নদী নিয়েই প্রশ্ন করলেন, ঐ ভাইয়া কিছুর উত্তর ই দিতে পারলেন না … এদিকে প্রশ্ন কর্তা তো  বললনে, “ তুমি তো দেখি কোন প্রশ্নের উত্তর ই পারলে না” …

এখন বলেন ঐ ভাইয়া কী বলবে, স্যার আমার প্রথম চয়েস ট্যাক্স, আপনি ট্যাক্স নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করেন … উনি চুপ করে রইলেন, বোর্ড প্রধান তার দিকে হতাশ দৃষ্টি দিয়ে চলে যেতে বললেন, ঐ ভাইয়া তো হতাশ, এ কেমন ভাইভা ??!! অথচ উনার সেই ক্যাডার প্রাপ্তি ঠিক ই ঘটেছিল …

সো, আপনি আশা করবেন না আপনি ইয়ামেনের কোন শহরের চৌরাস্তার কী নাম তা জানবেন কিংবা মার্সিডিজ বেঞ্চের লাস্ট সিরিজের নামরকরণ ও আপনার জানা থাকাই লাগবে …কিন্তু না জানা সিচুয়েশন টা কেও ঠান্ডা মাথায় হ্যানডল করুন … কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রেগে যাবেন না আবার এমন ভাব ও ধরবেন না যে আমারে এইটা কী ধরে , কিছু হইল !!!

# আমি আগের পর্বে বলেছিলাম আপনাকে যে চয়েস দিয়েছেন কিংবা যে বিষয়ে পড়েছেন অনার্স, মাস্টার্সে সেটার পাশাপাশি আরও অনেক উদ্ভট কিছু জিজ্ঞাসা করতেই পারে , আপনি রেডি থাকবেন, আপনাকে হুট করে বলতে পারে গঞ্জ আছে বাংলাদেশের এমন কয়েকটা জেলার নাম বল … কিংবা ধরেন একটা ট্রান্সলেশন কিংবা বানান ধরে দেখতে পারে, আপনি নাই পারেন কিন্তু রিএক্ট কীভাবে করেন …

# আবার মনে করেন, আপনার এলাকা মুক্তিযুদ্ধে কোন সেক্টরের আন্ডারে ছিল, সেই সেক্টরের কমান্ডারের নাম, কবে স্বাধীন হয়েছে এগুলো তো খুব ই কমন প্রশ্ন … আপনার জেলার কোন সাহিত্যিকের নাম, তাদের বিখ্যাত সাহিত্য কর্ম বা গান, কবিতা এগুলো জেনে যাবেন …

 

# আপনাকে আরও জিজ্ঞাসা করতে পারে আপনার এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিস কেমন ছিল, যদি গান কিংবা কবিতা আবৃত্তি করতে পারেন বা জানেন তাহলে তো ভালই । যদি ছবি তোলা শখ হয় তো সেটাও বলবেন, আবার আপনার কাজ সুন্দরি মেয়েদের ফটো তোলা এই টাইপ কথা বলে এসেন না 😛 খেলাধূলা নিয়ে আপনার আগ্রহ থাকলে তাও বলবেন, তারা কিছু প্রশ্ন ও করতে পারে …

# আরেকটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ন জিনিস হল মানচিত্রের সাথে আপনার পরিচয় কেমন ? রুমের ভেতরে দেয়ালে বড় করে একটা বাংলাদেশের আরেকটা বিশ্বের মানচিত্র লাগানো থাকে, আপনাকে হুট করে বলতেই পারে, “যাও গিয়ে পাবনার সাথিয়া উপজেলা টা দেখাও তো”

কিংবা এভাবেও বলতে পারে, মানচিত্রে দেখাও তো বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত কোথায় হয় ?

দেশের মানচিত্রের সাথে তো বটেই বিশ্ব মানচিত্র নিয়েও জানবেন, আপনাকে বলতে পারে, নৌ পথে ভারত থেকে স্পেনে যাবার রাস্তা টা দেখাও… কিংবা ক্রেমলিন কোথায় ? রামাল্লা কোথায় ?

মানচিত্রে কুর্দিস্তান দেখাতে পারবা ? কিংবা আই এস এর বৃহত্তম ঘাটি টা কোন শহরে ?

এগুলো কিন্তু এক সাথে আপনার অনেক কিছু যাচাই করার প্রশ্ন, তাই যারা ফরেন এফেয়ার্স/এডমিন/পুলিশ প্রথমে চয়েস দিয়েছেন বাংলাদেশ অ আন্তর্জতিক মানচিত্র খুব ভাল করে শিখবেন …

 

এতোক্ষণ যা আলোচনা করলাম মোটামুটি তা হল সব ক্যাডারের জন্য সাধারণ আলোচনা, এসব ছাড়াও যে এই ক্যাডার প্রথম বা দ্বিতীয় চয়েসে দিয়েছেন সেগুলোর ব্যাসিক যে প্রশ্ন গুলো সেগুলো শিখে যাবেন, বিশেষ করে আপনার পছন্দের ক্যাডারের পদ ক্রম, দেশে ঐ ক্যাডার সংশ্লিষ্ট সচিব/ মন্ত্রী/ উপ মন্ত্রীর নাম… ঐ বিষয়ের সংজ্ঞা, শ্রেণীবিভাগ …এসবের জন্য প্রথম পর্বে বেশ কিছু বই সাজেস্ট করা ছিল, আশা করি পড়তে শুরু করেছেন J

 

সবাইকে আবারও শুভ কামনা । ধন্যবাদ  J

 

 

 

অ্যানড্রয়েড ম্যালওয়ারের এক-কালীন পাস কোড চুরি (Android malware steals one-time passcodes)

অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশনে এক কালীন পাস কোড (One-time passcode) নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু এসব এক কালীন পাস কোডও ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে জানা গেছে। Symantec পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। অ্যানড্রয়েড এর এই অ্যাপ্লিকেশনটি ম্যালওয়্যার প্রোগ্রামের (malware program) শিকার হচ্ছে।

Android.Bankosy নামের এই ম্যালওয়ারটি  পাস কোড intercept করার জন্য আপডেট করা করা হয়েছে। এটা করা হয়েছে তথাকথিত (so-called) দ্বৈত নিরাপত্তার নামে।

অনেক ব্যাংকেরই অপারেশন এক্সেস করার ক্ষেত্রে তাদের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে নিরাপত্তার জন্য লগিন, পাসওয়ার্ড এবং টাইম সেন্সেটিভ কোড ব্যবহার করা হয়। এই এক কালীন পাস কোডটি এস এম এস-এর মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু তা স্বয়ংক্রিয় ফোন কলের মাধ্যমেও পাঠানো যায়।

কিছু ব্যাংক এই স্বয়ংক্রিয় ফোন কল ভিত্তিক সিস্টেমে ইতোমধ্যেই কাজ করছে। অভিমত দেয়া হয় যে, এই সিস্টেম অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, যেহেতু এস এম এস কোনো ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে ঝুঁকিতে পড়তে পারে। Symantec এর Dinesh Venkatesan তাঁর ব্লগ পোস্টে এই মত দেন।

কিন্তু Android.Bankosy আপডেট করা হয়েছে এই সকল কল এটাকারদের (Atackers) কাছে ফরওয়ার্ড করার জন্য। Venkatesan এ তথ্য জানান। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে অনেক অপারেটরগণ কল ফরওয়ার্ডের জন্য সার্ভিস কোড ফর্মেট *21*[destination number]# ব্যবহার করে থাকেন এবং Bankosy এই সুযোগটি নিয়েছে।

Venkatesan একথাও জানান যে, ম্যালওয়্যারটি সাইলেন্ট মোড (silent mode) একটিভ ও ডিএকটিভ করার ক্ষমতা রাখে। তাই ভিক্টিম ইনকামিং কলের মাধ্যমে সতর্ক হবার সুযোগ পায় না।

এক কালীন পাস কোড যা লগিন ক্রেডেনশ্যাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়- অনুমান করা হচ্ছে যে, তা ইতোমধ্যে এটাকারদের হাতে চলে গেছে।

Symantec এই Bankosy উদঘাটন করেছে ২০১৪ সালে। সেই সময়ের এক টেকনিক্যাল রিপোর্টে দেখা যায় ম্যালওয়্যারটি ভিক্টিমের পেমেন্ট কার্ড তথ্য নিতে তৎপর ছিলো।

http://www.cio.com/article/3021926/android-malware-steals-one-time-passcodes.html

ম্যালওয়্যার Rovnix এখন জাপানকে টার্গেট করে এগোচ্ছে (Rovnix malware shifts focus to Japan, says IBM)

IBM X-Force এর মতে নেদারল্যান্ডসে তেমন সুবিধা করতে না পেরে একটি গ্রুপ Rovnix Trojan কে আপডেট ও রি-প্যাক করেছে জাপানের ব্যাংকগুলোকে লক্ষ্য করে।

ম্যালওয়্যারটি বিভিন্ন ফর্মেটে গত পাঁচ বছর ধরে কাজ করছে এবং ব্যাংক নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলার সময় নিজেদের ডিটেকশন এড়ানোর জন্য নানা ধরনের কাজ করছে। এ কথা জানান, আই বি এম-এর সিনিয়র সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক Etay Maor.

IBM X-Force এর নমূনা পরীক্ষণ (samples exam) থেকে এটা খুব পরিষ্কার যে, Rovnix group জাপানী ব্যাংক এবং ব্যাংকগুলোর ইউজার ইন্টারফেস (user interface) বেশ নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করে নকল (mimics) ওয়েব সাইট করে চেক করেছে।

ম্যালওয়্যারটি জানে কোন কোন ব্যাংক টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে এক কালীন লগিন পাসওয়ার্ড (one-time login passwords) ব্যবহার করে এবং সাম্প্রতিক অ্যানড্রয়েড ফোনে মাধ্যমে পাস কোড ব্যবহারের বিষয় সমগ্রও।

যদি ম্যালওয়্যারটি এমন কোনো কম্পিউটারকে infect করে যেটি অনলাইন লেনদেনের সাথে সম্পৃক্ত নয়, তাহলে সেক্ষেত্রে এটি ransomware ব্যবহার করে থাকে যা কম্পিউটার কে লক করে দেয় এবং পেমেন্ট দাবী করে তা আনলক করে দেয়ার শর্তে।

Rovnix এর পেছনের কারিগররা দেখে কোনো দেশের সাধারণত ব্যবহৃত নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো কী কী এবং তা টার্গেট করে এটাকের মাধ্যমে একাউন্টকে কমপ্রোমাইজ করতে বাধ্য করে।

এই ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজটি উচ্চ মানের ওয়েব ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে নকল (mimics) ওয়েব সাইট তৈরি করে ব্যাংক লেনদেনের ফর্মেটে স্ক্রিন সেট আপ করে নেয়। এদের একটি অংশ একাউন্টের ক্যাশ কালেক্ট করার কাজে ব্যাপ্ত থাকে।

জাপানের এটাকে খুব জটিল ফিচার সমন্বয়ে তা করা হয়, যাতে ভিক্টিমের মেশিনকে তারা স্ক্যান করে নিতে পারে। মেশিনের নিরাপত্তা সরিয়ে নিতে পারে এবং এটাককে পরিবর্তনও করতে পারে। এনক্রাইপশন ও ডিজিটাল সিগন্যাচার ব্যবহার করে ক্লায়েন্ট এবং কমান্ড ও কন্ট্রোল সার্ভারের সাথে তারা যোগাযোগ করে।

http://www.cio.com/article/3021783/security/rovnix-malware-shifts-focus-to-japan-says-ibm.html

Hyatt Hotels এর পেমেন্ট কার্ড সিস্টেম ২৫০ লোকেশনে হ্যাকিং-এর শিকার (Hyatt hackers hit payment processing systems, scooped cards used at 250 locations)

Hyatt Hotels এর পেমেন্ট কার্ড এবার হ্যাকিং-এর শিকার হলো। হ্যাকাররা পঞ্চাশ দেশের Hyatt Hotels এর ২৫০ হোটেল লোকেশনে এ আক্রমণ চালায় মূলত তাদের পেমেন্ট কার্ড ডিটেইলের ওপর। এতে কোম্পানির পেমেন্ট প্রসিডিউর ম্যালওয়্যারের খপ্পরে পরে ইনফেক্টেড হয়।

Hyatt Hotels কতৃপক্ষ এই ডাটা breach এর কথা ঘোষণা করে ডিসেম্বরে এবং তারা ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। সম্প্রতি, তারা হ্যাকিং-এর শিকার সব হোটেল শাখার তালিকা প্রকাশ করছে। এতে দেখা যায় গত ১৩ আগস্ট থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব লোকেশনে আক্রমণের ঘটনা ঘটে।

হ্যাকিং-এর শিকার বেশির ভাগ কার্ডই কমপ্রোমাইজড হয়েছে রেস্ট্যুরেন্টে। কিছু অংশ আক্রান্ত হয়েছে স্পা, গলফ শপ, কার পার্ক, ফ্রন্ট ডেস্ক এবং সেলস অফিসে।

ম্যালওয়্যারটি ইনস্টল করা হয়েছিলো- কোম্পনির সেসব কম্পিউটারে যেখানে পেমেন্ট ক্যাপচার করা হতো। পেমেন্ট কার্ড এর বিস্তারিত; যেমন- কার্ড হোল্ডারের নাম, কার্ড নম্বর, মেয়াদ শেষের তারিখ এবং ভেরিফিকেশন কোড – এসবই শিকার হয়েছে হ্যাকিং-এর।

কোম্পানিটি এখন কাস্টমারদের কে ইমেইল ও মেইলিং ঠিকানায় নোটিফিকেশন পাঠানোর প্রক্রিয়ায় আছে। আক্রান্ত কাস্টমারগণকে এক বছরের জন্য সাবস্ক্রিপশন অফার করা হচ্ছে আইডেন্টিটি ও ফ্রড প্রটেকশনের বিষয়ে। এই সার্ভিস ব্যবস্থাপনায় থাকবে – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক CSID. আর কাস্টমারগণ পাবেন এটা বিনা মূল্যে।

Hyatt Hotels কতৃপক্ষ থার্ড পার্টি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের সাথে কাজ করছে এই নিরাপত্তা ভঙ্গের বিষয়ে জানার জন্য এবং ভবিষ্যতে আর যেনো তা ঘটতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।

Hyatt Hotels হলো সর্বশেষ হ্যাকিং-এর শিকার এ ধরনের কোম্পানি যারা ম্যালওয়্যার এর মাধ্যমে পেমেন্ট সিস্টেমে এটাকের ফাঁদে পড়ে। এ সেক্টরের অন্যান্য কোম্পানি যারা আগে এ ধরনের ঘটনার শিকার হয় তাদের মধ্যে রয়েছে- Hilton Worldwide, Mandarin Oriental and Starwood Hotels & Resorts Worldwide.

http://www.cio.com/article/3023201/hyatt-hackers-hit-payment-processing-systems-scooped-cards-used-at-250-locations.html

হ্যাকারদের টার্গেটে মার্কিন গোয়েন্দা পরিচালকের একাউন্ট (US intelligence director’s accounts next on the hacking block)

সিআইএ পরিচালকের ইমেইল একাউন্ট হ্যাক হবার কয়েক মাস পরেই, হ্যকাররা এবার তাদের দৃষ্টি দিয়েছে মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এর পরিচালক James Clapper এর ব্যক্তিগত অনলাইন একাউন্টের দিকে।

যে হ্যকাররা গতবছর সিআইএ পরিচালক John Brennan এর একাউন্ট breach করেছিলো, তারাই এখন দাবি করেছে যে, তারা এবার James Clapper এর একাউন্টের বেশ কিছু অংশে ঢুকে পড়তে পেরেছে। এর মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত ইমেইল, ইন্টারনেট ও ফোনের বিষয়ও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, হ্যাকাররা সেটিংস পরিবর্তন করে James Clapper এর বাড়িতে করা ফোনকলগুলো Free Palestine Movement এ ফরওয়ার্ড করে রেখেছে।

ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এর পরিচালক James Clapper এর দফতরের মুখপাত্র Brian Hale সম্প্রতি জানান যে, বিষয়টি সম্পর্কে তারা সতর্ক আছেন এবং তা যথাযথ কতৃপক্ষকে জানানোও হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।

হ্যাকিং-এর এই অভিযোগ আর যাই হোক এটা প্রমাণ করছে যে, হ্যাকারদের টার্গেট এখন মার্কিন উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তাগণ। গত অক্টোবরে John Brennan এর ব্যক্তিগত AOL account হ্যাকিং-এর বিষয়টি জানাজানি হবার আগে Department of Defense রাশিয়ান হ্যাকারদেরকে দায়ী করে বলেছিলো যে, এটা malicious code কোড সম্বলিত ইমেইল ক্লিকের মাধ্যমে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কমপ্রোমাইজের মাধ্যমে এটা হয়েছে।

John Brennan সেই হ্যাককে উল্লেখ করেন “outrage” হিসেবে, যা গোয়েন্দা বিভাগ এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার চ্যালেঞ্জগুলোকেই হাইলাইট করেছে। তিনি এক গোয়েন্দা সম্মেলনে বলেন, এই ঘটনা আমাদের জানান দিয়ে যায় যে, যারা ক্ষতি করতে চায় তাদের কাছে মানুষ কতো অরক্ষিত ও অসহায়। আমাদের সত্যিকার অর্থেই এ সকল ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে হবে।

নিরাপত্তা বিষেষজ্ঞগণ এ ধরনের এটাককে এক ধরনের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে উল্লেখ করেন যেখানে অনধিকার প্রবেশকারীগণ নানান ছুতোয় ঢুকে যাবার প্রয়াস চালায়। কিন্তু নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টগণ এ সকল হ্যাকারদের পথে বাধার সৃষ্টি করতে পারেন।

 

http://www.cnet.com/news/us-intelligence-directors-accounts-next-on-the-hacking-block/

WHM অধীনে একটি হোস্টিং অ্যাকাউন্টের টার্মিনেটিং । Terminating a Hosting Account Under WHM

Terminating a Hosting Account Under WHM

[youtube http://www.youtube.com/watch?v=n5AX2YeZRGY]

 

সাইবার আক্রমণের আশঙ্কাঃ হ্যাকারদের টার্গেট আগামি বছরের মার্কিন নির্বাচন (Cyberattack prediction: Hackers will target a U.S. election next year )

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ Bruce Schneier আগামি বছর মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরে বড় ধরনের সাইবার আক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এই আক্রমণ ভোটিং সিস্টেমকে আঘাত করবে না, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও হয়তো নাক গলাবে না। এর লক্ষ্য হবে আরো গভীর। ষ্টেট বা স্থানীয় জাতিভেদকে ঘিরে।

Schneier বলেন, “এটি এমন হ্যাকিং হবে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে। আক্রমণকারীরা প্রার্থীদের ওয়েবসাইট এটাক করতে পারে, তাঁদের ইমেইল আর সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট হ্যাক করতে পারে।“

তাঁর মতে, তথ্য উপাত্ত নিরাপত্তা ও প্রাইভেসির বিষয়গুলো এখন বেশি করে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ঢুকে পড়ছে এবং ক্রমশ হ্যাকারদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এসব আক্রমণের মধ্যে আভ্যন্তরীণ সনি ইমেইল ফাঁস (যা মার্কিন সরকার দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে লিঙ্ক করেছে) এবং সৌদি আরব ও ইরান বিষয়ক পররাষ্ট্র দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে।

ইতোমধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ তথ্য উপাত্ত নিরাপত্তা ইস্যুতে বিপরীতমুখী নীতি অবলম্বন করেছে। গত অক্টোবরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অফশোর ডাটা নিরাপত্তা বিষয়ে সেফ হারবার এগ্রীমেন্ট (Safe Harbor agreement) নাকচ করে দিয়েছে। বলেছে যে, এটা যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব শীঘ্রই Cybersecurity Information Sharing Act পাশ করতে যাচ্ছে।

আইনী ও পাবলিক –রিলেশনের বিষয়ে ঝুঁকি কিছু এন্টারপ্রাইজকে তাঁদের ডাটা নিয়ে (তথ্য উপাত্ত) আবার ভাবতে বাধ্য করছে। কমপ্লায়েন্সের মতো এটিও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এখন। কিছু কোম্পানি প্রথম দিকে কিছু ডাটা না রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। তাঁর মতে, ছোট খাটো বা অল্প তথ্য কাস্টমারের জন্য উপকারী। অনেক ডাটা বা তথ্য-আধিক্য প্রয়োজন নেই।

এখন পর্যন্ত, অন্তত একটি বিষয়ে উন্নতি হচ্ছে- অধিক হারে ডাটা এনক্রাইপ্ট হচ্ছে এখন যা ব্যবহারকারীর কাছে দৃষ্টিগোচর হয় না। উদাহরণ স্বরূপ, জিমেইল ট্রাফিককে ইউজার ডিভাইস থেকে এনক্রাইপ্ট করে গুগুল সার্ভারে পাঠায় – আলাদা করে গুগল আর অন্যান্য কোম্পানির ডাটা সেন্টারে।

এটা অনেক শক্তিশালী। যদিও এনক্রাইপশন ভাঙ্গার পথ আছে। তবু সব আক্রমণকারী এটা পারে না বা করতে প্রয়াসী হয় না। তাই এ থেকে ভালো নিরাপত্তা পাওয়া যাচ্ছে।

http://www.cio.com/article/3016835/security/cyberattack-prediction-hackers-will-target-a-us-election-next-year.html

বিসিএস মৌখিক পরীক্ষা প্রস্ততিঃ ০১ । Part-1: Preparation Guide for BCS (Govt. Job) Interview in Bangladesh

স ম আজহারুল ইসলাম (সনেট)

৩৪ তম বিসিএস, এডমিন ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত

 

৩৫ তম বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবাইকে অভিনন্দন ।

খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ৩৫ তম বিসিএস এর ইন্টারভিউ শুরু হতে যাচ্ছে । হাতে সময় কম , তাই এখন থেকেই প্রিপারেশন শুরু করা জরুরি ।

নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে এবং পূর্ববর্তী ক্যাডার দের সাথে কথা বলে, বই পত্র ঘেটে যেটুকু জ্ঞান লাভ করেছি তার আলোকে কিছু দিক নির্দেশনা দেবার চেষ্টা করি ।

 

১) প্রথমত আপনি কি সাধারণ ক্যাডার এর জন্য টিকেছেন নাকি টেকনিক্যাল এর জন্য নাকি উভয়ের জন্যই ? আপনার রোলের সিরিয়াল কত ?

– সাধারণত বিসিএস এ প্রথমে ইন্টারভিউ শুরু হয় সাধারণ ক্যাডার যাদের তাদের, এরপর উভয় ক্যাডারদের এবং সবশেষে টেকনিক্যাল ক্যাডার হিসেবে চান্স পেয়েছেন যারা তাদের টা সবার শেষে …

মানে ধরেন ৬ হাজার জন যদি লিখিত তে উত্তীর্ন হয়ে থাকেন তাদের মাঝে যদি জেনারেল ৩ হাজার , বোথ ২ হাজার, টেকনিক্যাল ১ হাজার জন হয়ে থাকে তাহলে আগে হবে প্রথম ৩ হাজার জনের (রোলের সিরিয়াল অনুযায়ী), এরপর ২ হাজার জনের , এরপর ১ হাজার জনের ।

এবং এখানে আপনি লিখিত তে কত ভাল করেছেন সে অনুযায়ী ডাকবে না, পিএসসি সাধারণত ১৫-২০ দিন পর পর ২ সপ্তাহের একটা লিস্ট দেয়, প্রতিদিন গড়ে ১৫০-১৮০ জনের ভাইভা হয় ।

এখন আপনি হিসাব করে নিন আপনার রোল লিখিত উত্তীর্নের তালিকায় কত নম্বরে এবং তা থেকে আইডিয়া করে নিন আনুমানিক কবে নাগাদ আপনার ইন্টারভিউ পড়তে পারে ।

ঘাবড়াবেন না, পিএসসি তালিকা দেবার পর অন্তত ৭-১০ দিন পরে আপনার ডাক পড়বে, যত আগে/পিছেই আপনার ক্রম হোক না কেন …

২) আপনাকে প্রস্তুতি নেবার সময় দুইটা জিনিস মাথায় রাখতে হবেঃ

  • আপনি কোন ক্যাডার ফার্স্ট-সেকেন্ড-থার্ড চয়েসে রেখেছেন
  • আপনি কী জেনারেল/টেকনিক্যাল নাকি বোথ ক্যাডারে টিকেছেন ?

সাধারণত আপনি যদি প্রথমে যে চয়েস গুলো দিয়েছেন আপনার ভাইভা বোর্ডে প্রশ্ন হবে ,আপ্নাকে প্রশ্নকর্তা গণ তার আলোকেই জাজ করতে ট্রাই করবে । তাই যে বিষয়ে প্রথম চয়েস দিয়েছেন সেটার আলোকে খুব ভাল করে প্রস্তুতি নেন …

৩) রিডিং ম্যাটেরিয়ালস কী কী লাগবে ?

– ধরে নিলাম আপনার প্রথম চয়েস বিসিএস এডমিন । আপনার সেজন্য মিনিমাম ৩টা জিনিস কালেকশনে রাখা উচিতঃ

  • বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের আদ্যোপান্তের উপরে একটা বইঃ

(নীলক্ষেতে অনেক রাইটারের বই পাওয়া যায়, অনেক প্রকাশনেরও, বিসিএস এর বই পত্র রাখে এমন যেকোন দোকানেই আপনি পাবেন)

এই বইগুলোতে মোটামুটি ৪৭ থেকে ৭১ এর ঘটনাপ্রবাহ, উল্লেখযোগ্য দিন তারিখ আন্দোলন, নেতাগণের অবদান, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বাইরের বিশ্বের অবস্থান ও তখন কার কী ভূমিকা ছিল এসব নিয়ে বিস্তারিত পাবেন, বংগবন্ধুর জীবনী, জাতীয় চার নেতার জীবনী ও ইনাদের ভূমিকা , মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর সমূহ, সেক্টর কমান্ডার এই তথ্যগুলো এসব বইতে সুন্দরভাবে সাজানো পাবেন ।

  • ভাইভার জন্য ডাইজেস্টঃ

প্রফেসর্স/ওরাকল/কনফিডেন্স/এসিউরেন্স সহ অনেক গুলো প্রকাশনীই বের করে । আমার টা ছিল প্রফেসর্স (তাই বলে আমি এটাই কিনতে বলব না , আপনার যেটা ভাল লাগে কিনবেন) । এখানে আপনি সব গুলো ক্যাডারের জন্যই যা যা পড়তে হবে তার আইডিয়া পাবেন, অনেক সত্যিকারের ভাইবা র উদাহরণ দেয়া আছে ক্যাডার ভিত্তিক । যে যে সাধারণ প্রশ্নগুলো সব ক্যাডার চয়েসের ক্যান্ডিডেট কেই করতে পারে এখানে তা পাবেন ।

এখানে বলে রাখি, আপনি যেই ক্যাডারেই যান না কেন, আপনাকে বাংলাদেশ বিষয়ে খুব ভাল আইডিয়া থাকতে হবে সেটা প্রশাসনিক হোক, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক  হোক, প্রাকৃতিক কিংবা খনিজ সম্পদ বিষয়ক ই হোক।আরও আপনাকে জানা থাকা লাগবে আপনার নিজ জেলা, বিভাগের ব্যাপারে ।

আপনার জেলা ধরেন সিরাজগঞ্জ, আপনার প্রথম চয়েস এডমিন, আপনাকে ধরে বসতে পারে আপনার জেলার এখন ডিসি কে ?কিংবা আপনি পুলিশ ক্যাডার দিয়েছেন প্রথমে, আপনার জেলার পুলিশ সুপারের নাম জানতে চাইতে পারে … সেই জেলায় কয়টি থানা, কয়টি উপজেলা, আয়তন , উল্লেখযোগ্য নদ নদী এসব নিয়েও প্রশ্ন আসতে পারে …

 

[একটা ছোট অভিজ্ঞতা শেয়ার করি, আমার দেশের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, ৩৪ এর ভাইবা দেবার আগে শুনি কয়েকজন কে সেই জেলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছে । একজনের বাড়ি বরিশালে হওয়ায় তাকে বলেছে, “ আপনি জীবনানন্দ দাসের একটা কবিতা শোনান তো” …উনার প্রথম চয়েস কিন্তু ছিল ফরেন ই  ( বোজেন তাহলে, আপনাকে Out of nowhere type যেকোন কিছু জিজ্ঞাসা করে বিপদে ফেলে দিতে চাইবে কিন্তু)

আমি আফসোস করেছি, জীবনানন্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কবি কেন হলেন না ?

যাহোক, ভাইবার আগের রাতে আমি তাই আমার এলাকার চেনাজানা কবি, আল মাহমুদের ‘তিতাস’ এর কিছু লাইন মুখস্ত করে যাই:P  । যাকগে আমাকে কোন কবিতা আবৃত্তি করতে হয় নি পরে ।]

  • আপনার প্রথম যে চয়েস তার উপরে বইঃ

আপনি ফরেন/ইকোনমি/সমবায়/পুলিশ/এডমিন যে বিষয়কেই প্রথম চয়েস হিসেবে দেন না কেন, ওরাকল পাবলিকেশন্সে ক্যাডার ভিত্তিক বই পাওয়া যায় (আরও প্রকাশনীর থাকার কথা)।

আপনি অবশ্যই এটি সংগ্রহ করবেন । এখান থেকে ভাল ধারণা নিতে পারবেন আপনি যেটাকে ফার্স্ট চয়েস দিয়েছেন তার জন্য কী কী পড়তে হবে, আপনাকে কী কী ভাবে ধরতে পারে প্রশ্ন । আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন আসলে আপনাকে কী কী অতিরিক্ত জানা লাগবে, কীসের উপরে জোর দিতে হবে ।

 

এছাড়াঃ

এই ম্যাটেরিয়াল গুলো ছাড়াও আরও যারা এডভান্স তাদের জন্য যার যার ক্যাডার ভিত্তিক আরও কিছু ইলিমেন্ট সংগ্রহ করতে পারেন, যেমন ফরেন এফেয়ার্স ফার্স্ট চয়েস যারা দিয়েছেন, তারা MP3 র আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির বই টা কিনতে পারেন, মার্কেট থেকে একটা গ্লোব বা অন্তত দেয়ালে টানানোর বিশ্ব মানচিত্র এবং বাংলাদেশের প্রশাসনিক মানচিত্র কিনবেন ।

যারা পুলিশ ফার্স্ট চয়েস দিয়েছেন তারা পেনাল কোডের উপর কিছু পাঠ্য বই আছে, নীলক্ষেতে খুজলে পেতে পারেন, সেটা কিনতে পারেন । ইকোনমিক চয়েস ওয়ালারা অবশ্যই বিগত বছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষা টি সংগ্রহ করবেন।

নীলক্ষেতে গত বছরের সালতামামি পাওয়া যাবে কারেন্ট এফেয়ার্সের, সেটা কিনে রাখবেন ।

প্রশাসন ক্যাডারের লোকজন লোকপ্রশাসনের উপরে অনার্সের খুব এলিমেন্তারি লেভেলের কিছু বই কিনতে পারেন যাতে করে কিছু সংজ্ঞা ও প্রশাসনিক কাঠামোর বিভিন্ন স্তরের সম্পর্ক ও ধারণা পেতে পারেন ।

ছোট্ট একটা সংবিধানের বই কিনতে পারেন, কিছু গুরুত্বপুর্ণ ধারা ও অনুচ্ছেদ যাতে শিখে নিতে পারেন ।

আর সবার জন্য কমন হল প্রতি মাসের কারেন্ট এফেয়ার্স টা পড়া, সাথে পত্রিকা পড়বেন । সম্ভব হলে রোজ বাংলা ইংরেজি দুটোই, যদি বা রোজ দুটাই সম্ভব না হয় (অনলাইনে পড়তে পারেন)অন্তত সপ্তাহে একদিন ডেইলি স্টার/ ইন্ডেপেন্ডেন্ট পড়তে পারেন …

যারা প্রথম চয়েস ফরেন এফেয়ার্স দিয়েছেন তারা ডায়েরি মেইন্টেইন করুন, সাম্প্রতিক সময়ের যেকোন বড় দুর্যোগ, যুদ্ধ, সন্ধি চুক্তি, বড় উপলক্ষ্য, কোন সামিট এসবের ব্যাপারে নোট করে রাখুন ।

আর হ্যা, সব সময় ই বলে এসেছি, বিসিএস এর পড়াশোনা র কোন বাধাধরা সীমা পরিসীমা নেই, এখানে আপনাকে কত খানি পড়তে হবে তার চেয়েও গুরুত্বপুর্ণ কতখানি ছাড়তে হবে, কারণ আপনি যা জানছেন তা তো মাথায় রাখা চাই তাই না ?

আর যা জানছেন তাকে ভাইভা বোর্ড পর্যন্ত নিয়ে যাবার চর্চার উপায় হল আলোচনা করা, ২-৩ জন মিলে অনলাইনে হোক, ফোনে হোক আর কোন মুখমুখি আড্ডায় হোক আলোচনা করুন, নিজেদের ডায়েরি শেয়ার করুন, নোট করে রেখেছেন যা তাকে একত্রিত করুন ।

ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন (এটার উপর ভাইবা তে আপনার সফলতার হার ৬০% নির্ভর করে, মনে রাখবেন, এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব)। আপনার চেহারা সালমান খান/ হৃত্বিকের মতন না হোক, আপনার বাচন ভংগিতে সৌন্দর্য থাকুক, কথা বা উচ্চারণে কোন জড়তা কোন আঞ্চলিক টান কিংবা কোন বিশেষ শব্দ/ বর্ণ উচ্চারণে দুর্বলতা থাকলে এই সময় টা তে কাটিয়ে উঠুন । আর এসবের জন্য আপনাকে পড়লেই হবে না দরজা জানালা আটকে, আলোচনা করুন । দরকারে ইউটিউবে খুব ভাল কোন বক্তার চোখ মুখের অভিব্যক্তি দেখুন, ইন্তারবিউ এর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো অনুসরণ করতে ট্রাই করুন । আপনার মুখে অযাচিত গাম্ভীর্য কিংবা ভয়ার্ত ভাব দূর করুন । আত্মবিশ্বাসী হোন ।

মনে রাখবেন , এখানের এই ২০০ মার্ক্স আপনার জ্ঞান যাচাই এর জন্য না, আপনার স্মার্টনেস, আপনার কনফিডেন্স, আপনি কতটা সুন্দর সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করতে পারেন, কতটা সুন্দর করে নিজের জানা কিঙ্গাব অজানাটাকেই উপস্থাপন করতে পারেন সেটার পরীক্ষা, ট্রাস্ট মি ।

এসব নিয়েই আরো আলোচনা হবে, আপাতত রিডিং ম্যাটেরিয়াল গুলো কালেক্ট করে আসুন পড়তে বসা যাক ।

বিদেশে মেডিকেলে পড়তে গেলেন আড়াই শয়ের বেশি শিক্ষার্থী

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রচুর শিক্ষার্থী বিদেশে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করতে যান। বিশেষ করে মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমান ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে। এবারো বেশ কিছু শিক্ষার্থী সেই ধারাবাহিকতায় মেডিকেলে পড়ার উদ্দেশ্যে বিদেশ যাওয়ার জন্য সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২৫৬ জন শিক্ষার্থী বিদেশে যাওয়ার জন্য সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছেন।

বর্তমানে বিশ্বের যে কোন দেশে মেডিকেল বিষয়ে পড়াশোনা করতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) থেকে প্রি-অ্যালিজিবিলিটি (যোগ্যতা) সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে।আগে শিক্ষার্থীরা একসময় যে কোন প্রকারের পাসের শিক্ষাগত যোগ্যতাটুকু থাকলেই বিদেশের মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারতো। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে তারা দেশে ফিরে প্র্যাকটিসের জন্য আবেদন করে নিবন্ধন নিতেন। এ পদ্ধতিতে মান নিয়ন্ত্রণ কষ্টসাধ্য ছিল। তাই বিএমডিসি থেকে প্রি-অ্যালিজিবিলিটি নেয়ার এই পদ্ধতি চালু হয় বলে জানান বিএমডিসির রেজিষ্ট্রার ডা. জাহেদুল হক বসুনিয়া। কোন শিক্ষার্থী প্রাক সার্টিফিকেট ছাড়া বিদেশের মেডিকেলে পড়াশোনা করে পাস করলেও বিএমডিসি তাকে নিবন্ধন প্রদান করবে না বলে তিনি জানান।২০১১ সালে বিএমডিসি নতুন নিয়ম চালু করেছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী দেশীয় মেডিকেলে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের যে ধরনের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা (জিপিএ ৮) কিংবা সমমানের যোগ্যতা থাকতে হয়, বিদেশের মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদেরকেও ন্যূনতম জিপিএ সে রকম থাকতে হবে।

campuslive24.com ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে