‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কি আসলে ফলপ্রসূঃ Is Remote Project Management any Effective

‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কি আসলে ফলপ্রসূ

‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা গতানুগতিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপক,সংস্থা ও টিমের সদস্যদের জন্য একটি সুন্দর বিকল্প ব্যবস্থা হতে পারে, কিন্তু এটি কী বাস্তব সম্মত হবে? এই রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনার কিছু প্রায়োগিক সুবিধা আছে, কিন্তু এটি দুর্বল চিত্তের ব্যবস্থাপকের জন্য নয়।

‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কি বাস্তবে কাজ করে? সাধারণভাবে উত্তর হল, হ্যাঁ। কিন্তু কোনও শীর্ষায়িত ভার্চুয়াল প্রজেক্ট টিমের জন্য ‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কাজ করে? এর উত্তর হল, সবক্ষেত্রে এর কাজ করার দরকার নেই।

ভার্চুয়াল প্রজেক্ট টিমের জন্য ‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা স্থাপনের কিছু সুবিধা আছে। এর কয়েকটি হল,

  • প্রযুক্তির প্রসারের ফলে প্রকল্পের দূরত্বগত ব্যায় হ্রাস
  • প্রকল্পের সদস্যদের জীবন ও কর্মের ভারসাম্য লাভ
  • সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ভ্রমণজনিত সময় হ্রাস
  • শীর্ষ মেধাকে আকৃষ্ট করার সম্ভবনা বৃদ্ধি।

এগুলো নিশ্চিতভাবেই সুবিধা, আপনার কোম্পানির জন্য ‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা উপযোগী হলে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। নিচে এরকম কিছু সম্ভাব্য বিষয় ও তার সমাধান দেয়া হল, যা ভার্চুয়াল প্রজেক্ট টিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে।
‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে এমন কিছু বিষয়ঃ

উৎপাদনশীলতার নিম্নমুখিতা

একদম নিবেদিতপ্রাণ প্রকল্প ব্যাবস্থাপক বা দলের জন্যও মূল উদ্দেশ্য থেকে সাময়িকভাবে বিচ্যুত হওয়া অস্বাভাবিক বা অসম্ভব না, এরকম হয়েই থাকে।যদিও এক্ষেত্রে তাদের আনুগত্যের কোনও অভাব নেই ।

সম্ভাব্য সমাধান

  • ভার্চুয়াল প্রজেক্ট টিমের জন্য এমন সদস্য বাছাই করা যারা কেবল টেকনিক্যালভাবে দক্ষই নন বরং কাজটাকে উদ্যোক্তার দৃষ্টিভঙ্গি ও দায়িত্ব নিয়ে দেখবেন। উদ্যোক্তার দৃষ্টিভঙ্গি আছে এমন লোক স্বাভাবিকভাবেই তারা যে কাজ করছেন তার প্রতি টান অনুভব করবেন,ভাল ফলাফলের জন্যই কাজ করবেন,তারা উদ্যমী,স্বনির্ভর,স্বপ্রনোদিত,আর অতিমাত্রায় অভিযোজ্য।
  • টিমের সব সদস্যদের কাছ থেকে উঁচু মানের পেশাগত দক্ষতা আর আত্মনিবেদন আশা করা। এটি পুরো প্রকল্প জুড়ে সদস্যদের মধ্যে প্রণোদনার সঞ্চার করবে।
  • টিমের সব সদস্যদের মধ্যে প্রচুর সাংগঠনিক দক্ষতা থাকতে হবে। কারো মধ্যে এটি আগে থেকে না থাকলে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এবিষয়টি উন্নত করা যেতে পারে।
  • সব সদস্যের কাছে নিয়মাবলী, কাজের পর্যায় খুঁটিনাটি ইত্যাদি তুলে ধরতে হবে আর শিডিউল তৈরি করে দিতে হবে,কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণও করতে হবে যাতে কোনও কিছু বাদ পরে না যায়। এটি বিশেষ করে ভার্চুয়াল প্রজেক্ট টিমের জন্য বেশি প্রযোজ্য কারণ দূরত্ব ও সময় সংক্রান্ত বাঁধা, ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত তারতম্য ইত্যাদি অসুবিধে এই ক্ষেত্রেই বেশি চোখে পরে।

 

স্থান, দূরত্ব ও সময় অঞ্চল সংক্রান্ত বিষয়াদি

প্রকল্প পরিকল্পনা টালমাটাল হয়ে উঠতে পারে দূরত্ব ও সময় সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য, সমস্যাসঙ্কুল কর্মঘণ্টা ও রিমোট অবস্থানের জন্যও, যেখানে টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসিং প্রভৃতির অব্যবস্থাপনার জন্যও যোগাযোগ বিঘ্নিত হতে পারে।

সম্ভাব্য সমাধান

  • নির্দিষ্ট পলিসি ও প্রটোকল তৈরি করতে হবে যাতে প্রকল্পের পুরো সময়টা জুড়ে টিম সদস্যদের সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়।যখনই সম্ভব হয় টিমের মীটিং ডেকে সব কার্যকরী সদস্যদের সাথে কথা বলে প্রকল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। টাইম জোন পরিবর্তনশীল, এটি সপ্তাহের বিচারে একটি ক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধান হলেও মনিটরিং প্রসেসে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
  • বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করা সদস্যরা যেন তাদের জন্য নির্ধারিত কাজ শেষ করতে পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত সাহায্য পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে,আর সেই সাথে প্রয়োজনে প্রকল্প ব্যবস্থাপক যেমন যোগাযোগের ক্ষেত্রে সুবিধা পান সেই সুবিধা ক্ষেত্রবিশেষে তাদেরও দিতে হবে।

 

সংস্কৃতিগত ও আইনগত ব্যবধান

বর্তমান সময়ের বৈশ্বিক বাণিজ্যের জগতে অনেক সংস্থাই এমন প্রকল্প নিয়ে কাজ করে যেগুলোতে বিভিন্ন ভৌগলিক অবস্থান সাপেক্ষে কাজ করতে হয়। এতে অনেক সময় সংস্কৃতিগত ও আইনগত বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও কাজ করতে হয় প্রকল্পের সাফল্যের জন্য।

সম্ভাব্য সমাধান

  • প্রাথমিক পর্যায়ে অনুধাবন করতে হবে কোনও আইনগত বা নিয়মতান্ত্রিক সমস্যা সাম্প্রতিক সময়ে বা নিকট ভবিষ্যতে উদ্ভূত হতে পারে কিনা। এধরণের সমস্যাগুলো সহজেই অপ্রয়োজনীয় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক দক্ষতাসম্পন্ন আইনগত পরামর্শকের সংশ্লিষ্টতায় এধরণের সমস্যা এড়াতে প্রস্তুত থাকতে হবে যেন অনাকাঙ্খিত আর্থিক জটিলতা এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়।
  • প্রকল্প শুরু করার প্রাক্কালে সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত বাঁধা দূর করতে গবেষণা করতে হবে যেন প্রকল্পের সময়সীমার মধ্যে কোনও সমস্যা না হয়। এটি এমন একটি বিষয় যেটিকে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয় কিন্তু শুধুমাত্র একারণেই প্রকল্প অনেকসময় ভুল বোঝাবোঝির কারণে এমনকি ভেস্তে যেতেও পারে।

 

যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা

‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ এই পদ্ধতিতে কাজ করার সময় সদস্যরা মুখোমুখি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারে না। মুখের প্রকাশ ভঙ্গি, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও অন্যান্য প্রকাশভঙ্গি অনুপস্থিত থাকায় যোগাযোগের স্বতঃস্ফূর্ততা কমে যায় স্বাভাবিকভাবেই। ‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় তাই সময়মত ও সার্থকভাবে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটে।

সম্ভাব্য সমাধান

  • প্রকল্প ব্যাবস্থপককে সদস্যদের আস্থা অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে যেন সদস্যরা নিজেদের একাত্মতার সাথে দেখতে পায়, নিজেদের মধ্যেকার সমন্বয়কে অনুভব করে। এক্ষেত্রে এমন আরও কিছু ‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা টিমের পরামর্শ নেয়া অর্থাৎ অন্তত কথা বলে দেখা যেতে পারে যারা পূর্বে এভাবে কাজ করে সফল হয়েছে। নিখুঁতভাবে সমন্বিত টিম গঠনের স্বার্থে সদস্যদের আরও ভাল করে চেনার চেষ্টাও করা উচিৎ।
  • যখনই সম্ভব প্রারম্ভিক সূচনার আয়োজন ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাপ্তাহিক ও দ্বি-সাপ্তাহিক মীটিঙের আয়োজন করা যেখানে সদস্যরা নিজেদের দেখতে পারে যেন এর মাধ্যমে তারা আরও নিজেদের আরও সমন্বিত অনুভব করতে পারে।
  • সময়ের সাপেক্ষে বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার করতে হতে পারে, তথ্যের প্রকার, সময় ভিত্তিক প্রকরণ, তথ্যের স্পর্শকাতরতা এমনকি শ্রোতার প্রকারের উপর ভিত্তি করে।
  • দলগত পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা যা দলগত নৈপুণ্যের জন্য উৎসাহিত করবে, শুধু ব্যাক্তিগত সাফল্যের মানদণ্ড হবে না।

 

প্রযুক্তি, তথ্য সরবরাহ ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত

শিডিউল ও বাজেট অনুযায়ী প্রকল্প সম্পন্ন হওয়াটা সদস্যদের সঠিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি প্রাপ্তির উপরও নির্ভর করে। এটি বিশেষ করে ‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনার জন্য প্রযোজ্য। সময়মত কোনও সদস্য কোনও তথ্য না পেলে তা প্রকল্পের অগ্রযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যহত করতে পারে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও ক্রুটি থাকলে তা প্রকল্পের তথ্যাবলি ও গ্রাহকের স্বার্থকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। এগুলো এমন কিছু বিষয় যাকে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়।

সম্ভাব্য সমাধান

  • প্রকল্প সম্পাদনার পূর্বে উপযুক্ত প্রকল্প ব্যাবস্থাপক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি সমন্বয় করে সকল সদস্যদের জন্য প্রবেশাধিকার সমন্বয়, নিরাপত্তা বলয় গুলো পরীক্ষা করে গ্রহণ করা ইত্যাদি,
  • কোম্পানির সকল তথ্য, রিসোর্স, প্রযুক্তি ও মোবাইল যন্ত্রাংশাদি নিরাপত্তা প্রটোকলের আওতায় আনা।

‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাজ করার ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় ভার্চুয়াল প্রকল্প টিমের সাফল্যের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে, যার মধ্যে আছে কারখানা, প্রকল্পের ধরণ, জটিলতার মাত্রা, অবকাঠামো, যোগাযোগ, প্রযুক্তি, টিমের গতিশীলতা ইত্যাদি।

সংস্থার উদ্দেশ্য ও রিসোর্সের দিকে গভীরভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। সাফল্য নির্ভর করবে প্রারম্ভিক পর্যায়ে কতটা নিখুঁতভাবে আর উপযুক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে তথ্য, রিসোর্স আর অন্যান্য সবকিছু ব্যবহার করা হয়েছে সব ক্রুটি বিচ্যুতি এড়িয়ে। এক্ষেত্রে কিছু বিশেষায়িত টিম ট্রেনিং জাতীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা যেতে পারে শিডিউল ব্যবস্থাপনা, সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ও পদ্ধতি ব্যবহার, যোগাযোগ প্রক্রিয়া ও প্রটোকল ব্যবহারের ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য।

বিনিয়োগের ভিত্তি . Investment Basics

বেশিরভাগ মানুষ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভুল করে থাকে। আর ব্যাংকও সেটা জানে। মিউচুয়াল ফান্ডের বিক্রয় কর্মীরা এর উপরেই নির্ভর করে আছে। ইনস্যুরেন্সের ফেরিওয়ালারাও। আর সেইসাথে ঝুঁকির কারবার যাদের,জানে তারাও। দুটি কমন ভুলের যেকোনো একটি আমরা করেই থাকি, লোভী হয়ে অতিরিক্ত ঝুঁকি নিই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, অথবা ভয় পেয়ে স্থবির জিআইসি গুলোতে টাকা আটকে রাখি। দুইভাবেই, আমাদের ক্ষতিই হয়।

বেশিরভাগ মানুষ এ নিয়ে বেশি চিন্তাভাবনা করে না, তাঁরা রিয়েল এস্টেট কিনে রাখে। একই রাস্তার একধারে তাদের অর্জিত সম্পত্তির প্রায় সবটুকু রাখা থাকে যার উপর থাকেনা তেমন কোনও নিয়ন্ত্রণ। যেমনটি টরেন্টোর বিচ এরিয়ার একটি সেমির ৭০ বছর বয়সী দম্পতির বেলায় দেখুন, মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি পড়ে আছে কিন্তু ততক্ষন তাঁদের কোনও লাভ হচ্ছে না যতক্ষণ অর্ধেক অংশের সম্পত্তি গ্যারেজ আর পোকামাকড় ভরা লনসহ আর কারো কাছে বেঁচে না দেয়া হচ্ছে।

আমরা মনে হয় রিয়েল এস্টেট নিয়ে বেশি ভাবছি। যাই হোক, টাকা বাড়ানো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা যাক। এটা নিয়ে আমি বিস্তারিত কাজ করব পরবর্তী সময়ে, এখনকার মত দশটা নিয়মের কথা উল্লেখ করে শুরু করছি আলোচনা।

বিনিয়োগ করুন, কিন্তু তা যেন জুয়ায় পরিণত না হয়ঃ মোটামুটিভাবে এরমানে দাঁড়ায় এমন, মোটা টাকা না থাকলে(ধরুন, ৭ অঙ্কের!?)ব্যাক্তিগত স্টক কিনবেন না। স্টক মার্কেট অস্থির একটা জায়গা,অস্থিতিশীল। কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের মিথ্যে বলে, যদিও কাগজে কলমে দাবি করা হয় যে তারা তা বলে না। একদিনে দাম এমন উঠানামা করতে পারে যা এক বছরের ডিভিডেন্ডের হিসাবকে প্রভাবিত করতে পারে। অপ্রচলিত,আকস্মিক ক্ষেত্রগুলো যেমন, এনার্জি সেক্টর,বিনিয়োগকারীদের জন্য মরণ ফাঁদ হতে পারে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা প্রফেশনাল ব্যবসাদার ও উঁচু ফ্রিকোয়েন্সির কম্পিউটারে করা লেনদেনের সাথে পেড়ে উঠবেন না। জুয়ো খেলতে চাইলে লটারির টিকিট কিনুন না হয় ৪০১ এর দ্বারস্থ হওন।

বৈচিত্র্য আনুনঃ স্টক মার্কেটে আত্মপ্রকাশ করাই যেতে পারে, কিন্তু তা হতে হবে প্রচুর ইকুইটির মাধ্যমে। ইটিএফ অর্থাৎ এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডস এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী। এগুলো মিউচুয়াল ফান্ডের মতই কিন্তু এগুলোর ক্ষেত্রে বিশাল ম্যানেজমেন্ট ফি নেই।এরাও মার্কেটে ট্রেড চালু রাখে, অর্থাৎ তারল্য আছে, কিন্তু তারপরও ডিভিডেন্ডের উপরই নির্ভর করে। আপনি একটি মাত্র ইটিএফ দিয়ে ইউএসএ বা কানাডার সব স্বনামধন্য কোম্পানির স্টক কিনতে পারবেন।

স্বদেশপ্রেমী হওয়ার দরকার নাইঃ ঝুঁকি এড়াতে আর নির্দিষ্ট আয় নিশ্চিত করতে বৈচিত্র্য আনার আরেকটা অর্থ হল খুব বেশি ম্যাপল এসেটের মালিক না হওয়া। কানাডা বিশ্বের ফিনান্সিয়াল মার্কেটের চার শতাংশের ধারক, যেখানে ৭০ শতাংশ বিনিয়োগকারীর সম্পদ কেবলই কানাডীয় সম্পত্তি। মোটেই উচিৎ নয় এমনটি হওয়া। টরেন্টো মার্কেট ৫ শতাংশ বেশি যাচ্ছে যেখানে S&P 500 ২০ শতাংশ, ইউরোপ ১৪ শতাংশ আর জাপানের স্টক মার্কেটে ৪৪ শতাংশ বেশি হয়েছে স্টকের মূল্য। যে কারণে কানাডীয় স্টকের অবস্থা এখন খুব একটা সুবিধাজনক চেহারায় নেই।

ভারসাম্য ঠিক রাখুনঃ সফলতার জন্য বিনিয়োগের মূলমন্ত্র হল বিভিন্ন খাতে সম্পদ বিন্যাস্ত রাখা,আর সেটি সামঞ্জস্য ও ভারসাম্য রেখেই। সবার জন্য সব সূত্র খাটে না তবে মোটামুটি ভাবে ৪০ শতাংশ ফিক্সড ইনকাম আর ৬০ শতাংশ গ্রোথ- এই অনুপাতটি মার্কেট আর দুর্যোগে পরীক্ষিত উপাত্ত। এই পোর্টফলিও অনুসরণ করে গড়ে ৭ শতাংশ রিটার্ন এসেছে এমনকি ২০০৮ ০৯ সালের দুঃসময়েও। এক্ষেত্রে কর্পোরেট, সরকারী, রিয়েল রিটার্ন বন্ড এগুলো সেফ স্টাফের সাথে সম্পর্কিত যেখানে গ্রোথ সাইড কানাডার ও ইউএসএর ও আন্তর্জাতিক সম্পত্তির আরএটিএস, ইটিএফ ইত্যাদি ও কম্পিটিশন ইটিএফ, ট্যাকটিকাল ফান্ড ইত্যাদি অন্যান্য সম্পত্তির সাথে সম্পর্কিত।

শুধু ভারসাম্য নয়, ভারসাম্যের পুনর্বিন্যাস জরুরীঃ নতুন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই জিনিসটা কম দেখা যায়।যেহেতু সকল সম্পত্তির মূল্যমান প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই ব্যাল্যান্সড পোর্টফলিওতে দ্রুত বড় ধরনের গড়মিল হচ্ছে। এই বছর আমেরিকান স্টকের বাজার ভাল যাচ্ছে তাই ১৭ শতাংশের ধার্যকৃত পোর্টফলিওকে ২১ শতাংশে পুনরায় ধার্য করা হল।অর্থাৎ ভারসাম্যের পুনর্বিন্যাসহল। লভ্যাংশ সঞ্চয় করে অনগ্রসর সম্পত্তির খাতে পুনঃব্যবহার করা উচিৎ। হয়ত এটাকে প্রাথমিক দৃষ্টিতে সংশয়ের সাথে দেখা হতে পারে, কিন্তু এটি বেশিরভাগ সময়ই ফলপ্রসূ হয়ে থাকে।

দামের পেছনে ছুটবেন নাঃ. আমরা হুজুগে মেতে ঝোঁকের মাথায় সিদ্ধান্ত নিই, লোকের দেখাদেখি। কোনও শেয়ারের আকাশছোঁয়া দাম দেখে সেটির উপরই বিনিয়োগ করে ফেলি, আর আমাদের পোর্টফলিওর যে অংশটা সবল অর্থাৎ লাভবান, সেটির উপরেই বিনিয়োগ করি দুর্বল অংশটাকে উপেক্ষা করে। এটি খুব বড় ধরনের ভুল। সামনের পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে, আর আমরা পুরোপুরি বেকায়দায় পড়ে যেতে পারি এই প্রবণতার জন্য।

খুব কম দামে বেচবেন নাঃ এটা এমন সহজ একটি বিষয়, অনেকে ভাববেন এটি নিয়ে কেন আমি কথা বলছি, এতো জানাই আছে যে কম দামে জিনিস বেচা উচিৎ নয়! কিন্তু অহেতুক শঙ্কার প্রভাবে বহু লোকের জন্য এই জিনিসটা মেনে চলা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। যেমন ধরা যাক কেউ ৫.২ শতাংশ ডিভিডেন্ডে কোনও স্বনামধন্য ব্যাঙ্কের শেয়ার কিনল। কিন্তু সহসা দাম কমতে শুরু করার প্রবণতায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। অর্থাৎ বাস্তব আশঙ্কার প্রেক্ষিতে তারা অহেতুক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ল। যদিও পরে মূল্য আবারো বাড়া শুরু হয়েছে।তারা শেয়ারগুলো রাখলে ৫.২ হারে ডিভিডেন্ড এবং ডিভিডেন্ড ট্যাক্স ক্রেডিট পেত। বিক্রিই শেষ কথা নয়। ২০০৯ সালে এমনটি হয়েছিল। তখন বেচে দেয়ার ঢল নেমেছিল মানুষের মধ্যে।

তারল্য থাকতে হবেঃ সব সম্পত্তি রিয়েল এস্টেটে আটকে রাখবেন না। পাঁচবছর মেয়াদি ননরিডিমেবল জিআইসি কিনবেন না। ব্যাঙ্কের তৈরি বা কাঠামো তৈরি করা কোনও পণ্যের ফাঁদে পরবেন না যা আপনাকে বছরের পর বছর আটকে রাখবে। বিভিন্ন রেট হয় এমন সেলস চার্জ সম্পন্ন মিউচুয়ালের খপ্পরে আটকে থাকবেন না, যা আপনার টাকাকে স্থবির করে ফেলে রাখবে।

টিএফএসএ এর মাধ্যমে শুরু করুনঃ টিএফএসের টাকা সেভিং একাউন্ট, জিআইসি বা বন্ড হিসেবে আটকে রাখবেন না। আপনার পোর্টফলিওর অধিক অস্থিতিশীল ও দ্রুত বর্ধনশীল অংশ এটিই। বন্ড আরআরএসপিতে রূপান্তরের সুযোগ থাকে,যেখানে ডিভিডেন্ডে রূপান্তরযোগ্য অংশ অনিবন্ধিত একাউন্টের অধীনে থাকতে পারে।

ফিএর দিকে লক্ষ্য রাখুনঃ এটি আপনাকে শেষ করে দিতে পারে। সবচেয়ে খারাপ হল মিউচুয়াল ফান্ডের উপর ধার্যকৃত এমইআর বিশেষ করে ইকুইটি ফান্ডের ক্ষেত্রে। তাই ইটিএফ ব্যবহার করে এসব ক্রয় থেকে সাবধান থাকুন। যদি আপনার উপদ্রেস্টা থেকে থাকে(১ লক্ষ ডলারের বেশি বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে থাকা উচিৎ)তাহলে এমন ব্যাক্তির খপ্পরে পরবেন না যে কমিশন নিচ্ছে আপনার কাছ থেকে কিন্তু মুখে বলছে তার সার্ভিস ফ্রিতে দিচ্ছে। এমনটা হয় না। আফটার ট্যাক্স রিটার্নের পর সেটা টের পাবেন। বরং একজনকে ১ শতাংশ বা আরও কম খরচে নিয়োগ করুন যা ট্যাক্স থেকেই কাটা হবে।

আর শেষ কথা, ঈশ্বরের দোহাই, কোনও ব্লগ থেকে উপদেশ নেবেন না।

প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি বনাম অনিশ্চয়তা | Risk and Uncertainty in Project Management

প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় একটি কমন বিষয় প্রায়ই হয়ে থাকে, এখানে ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তাকে মিলিয়ে ফেলা হয়। এদের সংজ্ঞাগত কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে যা অনেক সময় পেশাদারদেরও দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। আজ আমরা ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তার মধ্যে মৌলিক কিছু ব্যবধান নিয়ে আলোচনা করব।

ঝুঁকি

পিএমআই প্রদত্ত সূত্র অনুসারে ঝুঁকি হল একটি অনিশ্চিত ঘটনা বা অবস্থা যা ঘটলে প্রকল্পের উদ্দেশ্যের উপর অন্তত কোনও একটি ভাবে হলেও প্রভাব রাখতে পারে।ঝুঁকির প্রভাব ভাল বা মন্দ যেকোনো রকমেরই হতে পারে, আর এটি অনুমিত একটি বিষয়।

অনিশ্চয়তা

অনিশ্চয়তা হল নিশ্চয়তার অনুপস্থিতি। অনিশ্চয়তার ক্ষেত্রে কোনও ঘটনার ফলাফল একেবারেই অজানা, অননুমেয়।

এখনো বিষয়টি পরিষ্কার না হলে আমি বিষয়টি বুঝিয়ে দিচ্ছি

ঝুঁকি: ধরা যাক, কোনও দুটি স্বনামধন্য ফুটবল দল যাদের কিনা নির্ভরযোগ্য ও খ্যাতিসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে, তারা আগামী কোনও একটি দিন মুখোমুখি হবে। কে জিতবে, তা নিশ্চিত করে কি আপনি বলতে পারবেন? না। আপনি যা পারবেন তা হল দলগত ও ব্যাক্তিগত পারফর্মেন্স বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য একটি ফলাফল আশা করতে, যেখানে আপনি শতাংশের বিচারে সেই সম্ভবনাকে প্রকাশ করবেন। ( ঝুঁকি )

এখন, সেই একই ফুটবল ম্যাচকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে বিশ্লেষণ করা যাক,

অনিশ্চয়তা: ধরা যাক, দুটি টিমই খেলবে, কিন্তু কোনও টিমের জন্যই কোনও খেলোয়াড় নির্ধারণ করা হল না বা নাম নিশ্চিত করা হল না, কেউ কোনও ধারনাও পেল না কোন টিম কেমন শক্তিশালী হবে বা দুর্বল হবে। এমন অবস্থায় আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় কে জিতবে, তাহলে কোনও উত্তর দেয়া কি সম্ভব হবে আপনার জন্য? একেই বলে অনিশ্চয়তা।

এখন আমি নিশ্চয়ই ধরে নিতে পারি ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তার মধ্যে ব্যবধান আপনার কাছে স্পষ্ট হয়েছে!

ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ১৫ (কীভাবে পড়া উচিত?) । BCS Written Exam Guide – 15 (How to Study)

কীভাবে পড়া উচিত?

আমি শুরুতেই বলেছি লিখাটা হচ্ছে যাদের হাতে সময় কম, প্রিপারেশন এতোদিন খুব ভাল নিতে পারেন নি তাদের জন্য ।

#আমি শুরুতেই পরামর্শ দিব, আগে বিগত বছরের প্রশ্ন গুলো দেখুন, সেগুলো না পারলে/ না জানা থাকলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই । আমি সাজেস্ট করব, প্রথমে যে বই টির কথা বলেছি, সেটার বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ, গণিত, দুই ভাষার সাহিত্য এগুলো অবশ্যই পড়ে শিখে ফেলুন । যেগুলো কঠিন মনে হচ্ছে সেগুলো আপাতত অন্য কোন কালির কলম বা মার্কার দিয়ে মার্ক করে রাখুন । আন্তর্জাতিক কিংবা বাংলাদেশের জেলা/ থানা র সংখ্যা টাইপ খুব পুরাতন প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে পারেন, মানে যেগুলো আপনি জানেন ২৮ তম বিসিএস এর সময় যেই সংখ্যা ছিল, এখন পরিবর্তন হয়েছে সেগুলো আর কি ।

#আপনি যদি মিনিমাম ১০-১২ টি বিগত বিসিএস প্রিলির প্রশ্নও সল্ভ পড়ে ফেলেন, আপনার মধ্যে প্রিলির বিষয়ে খুব ভাল ধারণা চলে এসছে যে কী ধরণের প্রশ্ন হতে পারে । এখন আপনার একটু ডিটেইল পড়ার সময় । যদি না আপনি বাংলা সাহিত্য/ ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছাত্রী হয়ে থাকেন, তবে আপনার জন্য বাংলা-ইংরেজি সাহিত্য জিনিস টা একটু কঠিন হবেই । অনেকের কাছে এগুলোর চেয়ে আন্তর্জাতিক বা বাংলাদেশ বিষয়াবলি কঠিন লাগে । আপনি যেহেতু বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখেছেন ই, আপনি নিজেকে  বিচার করুন, কোন টি তে আপনার দুর্বলতা বেশি, সেটির উপরে জোর দিন ।

#আমার একটা কমন অবজারভেশনঃ যারা ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা তারা সাধারণত সাহিত্যিক/কাল/বইপত্র এসবের নামে দুর্বল হয় । মেডিকেলে ৫ বছর পরে মানুষজন গণিত এর সাধারণ নিয়ম গুলো ভুলে যান, সাথে বাংলা ব্যকরণ তো আছেই ।আর্টস কিংবা কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে যারা প্রথম বারের জন্য এটেম্পট নিচ্ছেন অনেকের গণিত আর ইংরেজি ভীতি থাকে । তবে সবার কমন এক জায়গাতে প্রব্লেম হয় কম বেশি তা হল বাংলাদেশ বিষয়াবলি আর আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি/ সাম্প্রতিক ঘটনাবলি । এর জন্য খুব ভাল ভাবে কারেন্ট এফেয়ার্সের সবগুলো সংখ্যা (যা উল্লেখ করলাম) আর কারেন্ট এফেয়ার্সের বিশেষ সংখ্যাটা পড়ুন ।

# কারেন্ট এফেয়ার্সের বিগত মাসের সংখ্যাগুলো কেন সংগ্রহ করতে বলেছি তার কারণ হল সেখানে পিএসসি/ ব্যাংক সমূহ কিংবা অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের যে পরীক্ষাগুলো হয় সেগুলোর প্রশ্নও দেয়া থাকে । অনেক বছর এমন দেখা যায় যে সেসব প্রশ্ন থেকেও কিছু প্রশ্ন চলে আসে ।

# পরীক্ষার মাস খানেক সময় কাল থেকে খবরের কাগজ টা পড়ুন, এখন তো এণ্ড্রয়েড এপসের মাধ্যমে বাসায় পত্রিকা না রেখেও পড়া যায়, বিশেষ দরকারি তথ্যগুলো মোবাইলেই পারলে নোট করে রাখুন । সেটাও কষ্ট লাগলে স্ক্রিন শট দিয়ে রাখুন ( যারা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করছেন)।

স্মার্ট ফোন ব্যবহার না করলেও সমস্যা নেই, দেখা যায় যারা পত্রিকার পাতা ঘেটে পড়েন কিংবা কোন জরুরি তথ্য দাগিয়ে রাখেন, কেটে সংগ্রহ করেন কিংবা ডায়েরি/খাতায় লিখে রাখেন তাদের সে জিনিস আরও বেশি মনে থাকে ।

# একটানা কোন বিষয় পড়তে যাবেন না, বোরিং ফিল করবেন।যেমন আপনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস কম পারেন, এইটা নিয়ে এখন দিনের পর দিন পরে থাকলে দেখবেন পড়া আগাচ্ছে না। তো কি করা যাবে ? এটার ফাঁকে ফাঁকে সহজ লাগে কিংবা মজা লাগে এমন কিছু একটা পড়বেন । মনে থাকে না কিংবা বার বার পড়েও ভুলে যাচ্ছেন এমন হলে সেটা একটা কাগজে লিখে রাখুন । বাসায় পত্রিকা পড়লে যেখান থেকে কোন একটা গুরুত্বপূর্ণ ইনফো পেলেন সেটা আরেকটা জায়গায় লিখুন, দরকারে দেখে দেখেই লিখুন, সমস্যা নাই ।

#গণিত ভীতি যাদের তাদের জন্য রেগুলার এক আধটু প্র্যাক্টিস করাটা জরুরি, অংক হাতে না করে শুধু দেখে গেলে অনেকেই ভুল করেন কিংবা পরীক্ষার হলে কনফিউজড থাকেন । ইঞ্জিনিয়ারিং/ম্যাথ/ফিজিক্স/স্ট্যাটিস্টিক্স ব্যাকগ্রাউন্ড এর যারা কিংবা যারা MBA করছেন এদের জন্য এই সাব্জেক্ট খুব চ্যালেঞ্জিং না। ২ নম্বরে যে বইটার কথা বললাম ওখানের ম্যাথ সেকশনে এবং প্রফেসর্সের স্পেশাল বইতার ম্যাথ সেকশনেও দেখবেন পাটি গণিত আর জ্যামিতি/ত্রিকোণমিতি নিয়ে শর্টকাটে সূত্র কিংবা টেকনিক দেয়া আছে । সেগুলো এপ্লাই করে কিছু অংক করুন। কেবল সূত্র মুখস্ত রেখে হলে গেলে তালগোল পাকিয়ে ফেলার সম্ভাবনাই বেশি থাকবে ।

# মানসিক দক্ষতা নিয়ে বাজারে বেশ কিছু বই এখন পাওয়া যায় তবে আমার কাছে এজন্য আহামরি কিছুই দরকার বলে মনে হয় নি, আগের বছরের প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আর এ বইগুলোর কথা বললাম ওগুলোর সংশ্লিষ্ট সেকশনে প্র্যাক্টিস করলে আপনি পারবেন ।

# সাধারণ বিজ্ঞানে অনেকে মনে করেন অনেক সোজা, পরে পচা শামুকের পা কাটে অনেকের… এজন্য শর্ট ডাইজেস্ট টা আর প্রফেসর্সের বই টা পড়ুন ভাল মত । আর কারেন্ট এফেয়ার্স ও … বিভিন্ন প্রযুক্তির শর্ত কাট নাম জানেন কিন্তু ফুল মিনিং জানেন না, সেগুলোও জেনে নিন, বানান সহ কিন্তু ।

সবশেষে আবারও বলব, ৩০-৪০ দিন প্রস্তুতির জন্য অনেক সময় । শুধুমাত্র আপনি মুখস্ত করে প্রিলি পাস করে আসবেন এটা সবার জন্য হয় না । বুদ্ধি খাটান, মনে রাখবেন বিসিএস প্রিলি তে আপনি ভুল দাগালে কিন্তু মার্ক্স কাঁটা , সুতরাং ক্যালকুলেটেড রিস্ক নিতে হবে । আর আরেকটা কথা সবাইই জানেন, এই মার্ক্স আপনার মূল মার্ক্সের সাথে যোগ হবে না , সুতরাং এখানে উতরে যাবার জন্য আপনাকে দুনিয়ার সব কিছুই পারতে/ জানতে হবে না । অনেক এমসিকিউ প্রশ্ন আপনি না জেনেও পরসেস অফ ইলিমিনেশন (কোন টি উত্তর হবে না সেটা বাছাই করে করেও কিছু মার্ক্স পেতে পারেন )।

 

ইলেক্ট্রনিক্স কিনুন

ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ১৪ (সংক্ষেপে প্রস্ততির জন্যঃ) | BCS Written Exam Guide – 14 (In Short, How to Prepare)

সংক্ষেপে প্রস্ততির জন্যঃ

হাতে যদি ৩০-৪৫ দিন সময় থাকে তবে আত্মবিশ্বাসী হোন, প্রিলিতে উতরে যাবার জন্য এটা পর্যাপ্ত সময় । আমি ৩৩, ৩৪ , ৩৫ তম প্রিলি তিনটা তেই অংশ নিয়েছিলাম এবং উত্তীর্ণ হই সবগুলোতেই আল্লাহর রহমতে । আমার অভিজ্ঞতা থেকে লিখছিঃ

 

এই সময় টাতে আপনি যে রিডিং ম্যাটেরিয়ালস গুলো কালেক্ট করবেনঃ

  1. বিগত বছরের প্রশ্ন সম্ভার ( নীলক্ষেতে গেলেই পাবেন, সেগুলো সল্ভ সহ পাবেন, ৩০-৫০ টাকা নিবে দাম)
  2. এসিউরেন্স/ ওরাকল/MP3 এদের  যেকোন টার শর্ট একটা ডাইজেস্ট ৮০-১২০ টাকা নেবে, ১৫০-২০০ পৃষ্ঠার ছোট একটা বই, এখানে মূলত সাম্প্রতিক বছর গুলোতে পিএসসি র পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়নের উপর ভিত্তি করে সবগুলো বিষয় নিয়েই প্রশ্নোত্তর থাকে … বড় ডাইজেস্ট গুলো র মতন কিংবা সাবজেক্ট ওয়াইজ আলাদা বই গুলোর মতন অত ডিটেইল না। যারা অলরেডি সাবজেক্ট ওয়াইজ আলাদা বই কিনে পড়েছেন তাদের এটা না কিনলেও চলবে …
  3. প্রফেসর্স প্রকাশনী প্রিলির আগ দিয়ে একটা বই বের করে, স্পেশালি বিসিএস ক্যান্ডিডেট দের জন্য, এইটা খুব খুব খুব উপকারি …আমি ৩৫ তম প্রিলিতে কেবল মাত্র এটা পড়ে প্রিলি র প্রিপারেশন নিয়েছিলাম। কারণ একই সময়ে ৩৪ তম র ভাইভা চলছিল, ভাইভার প্রিপারেশন নিতে গিয়ে আলাদা করে ৩৫ এর প্রিলির জন্য পড়তে পারি নি । তবে কেউ এটা পড়েই প্রিলিতে টিকে যাবেন সেই আশা করবেন না । আমার ক্ষেত্রে ভাগ্য এবং আগের দুই প্রিলির হালকা পাতলা প্রিপারেশন এর কারণে আমি কেবল এটার ভরসা করে গিয়েও উতরে যেতে পেরেছিলাম ।

    দাম নিবে ৫০ টাকা, তবে এটার চাহিদা প্রচুর থাকে বিধায়, ক্রাইসিস ক্রিয়েট হলে অনেক বেশি দামেও কেনা লাগতে পারে…

  4. যে মাসে পরীক্ষা হবে সে মাস সহ তার আগের ৩-৪ মাসের কারেন্ট এফেয়ার্স/ কারেন্ট ওয়ার্ল্ড …
  5. আমি ৩৫ তম দিতে গিয়ে সবচেয়ে খারাপ করেছি ইংরেজি লিটারেচার এ । এর থেকে আমার মনে হয়েছে এর জন্য আলাদা করে একটু প্রিপারেশন নেয়া টা উচিত । নীলক্ষেতে বিসিএস/ ব্যাংক কিংবা আরও এই জাতীয় পরীক্ষাগুলোর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়/ জাহাংগীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যারদের ইংরেজি সাহিত্যের উপর সামারি টাইপ ছোট ছোট বুকলেট টাইপ বই পাওয়া যায় , ৩০-৫০ টাকা নিবে । এগুলোতে ইংরেজি সাহিত্যের বিভিন্ন কাল, কে কোন কালের সাহিত্যিক, কার লিখা কী ধর্মী, বিখ্যাত বই কে কি লিখে গেছেন এসব পাওয়া যাবে … আর ইংরেজি শব্দার্থ, বিপরীতার্থ এসব নিয়ে যাদের দুর্বলতা তারা সাইফুর্স/মেন্টর্স কিংবা বিসিএস+ব্যাংক প্রিপারেশনের জন্যেই কমন কিছু শব্দের বই পাওয়া যায়, সংগ্রহে রাখতে পারেন। ঘাবড়াবেন না বিসিএস এ আপনাকে GRE স্ট্যান্ডার্ড  Vocabulary দিতে যাবে না ।

 

ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ১৩ (বইপত্র ) । BCS Written Exam Guide – 13 (General Knowledge: Books)

বইপত্রঃ

এই টপিকের জন্য সবথেকে বড় উৎস হলঃ সংবাদ পত্র । তবে আপনি তো সেখানেই সব পাবেন না বা তার সব মনে রাখতে পারবেন না, বাজারে পাওয়া যেকোন প্রকাশনীর একটা বই কিনে পড়তে শুরু করুন । অনেক কিছুই আছে, বাজারে ডাইজেস্ট আকারে পাবেন আবার সিঙ্গেল কপি ও পাবেন … যারা ক্যাডেট কলেজে পরীক্ষা দিয়েছেন বা মেডিকেল/ভার্সিটি ভর্তির জন্য পড়তেন তাদের কাছে অলরেডি সাধারণ জ্ঞান ও সাম্প্রতিক বিশ্ব নামে বই থাকার কথা (একাধিক রাইটার ও একাধিক প্রকাশনীর)। এছাড়া MP3/ ওরাকল এগুলো দেখতে পারেন …

এই বিষয়ের জন্য আপনার সবথেকে বড় সহায়ক হবে কারেন্ট এফেয়ার্স, এইটা খুব ভাল করে পড়ুন …

আর হ্যা, ডেইলি প্রধান যে সংবাদ পত্র, যেগুলোতে আন্তর্জাতিক নিয়েই এক টা পাতা থাকে সেগুলো পড়বেন অবশ্যই …

আর আমার আরেকটা সাজেশন যখন পড়বেন সাথে ডায়েরি বা প্যাড বা খাতা , নিদেন পক্ষে আপনার স্মার্ট ফোন টা রাখবেন, যে জিনিস টি আপনি মনে করবেন যে আসার ভাল চান্স আছে কিন্ত আপনি ভুলে যাবেন সেগুলো ডায়েরিতে বা মোবাইলে নোট করে রাখবেন, যদি ভাই লিখতে খুব ই কষ্ট লাগে (আমার মতন অলস) তারা মোবাইল ছবি তুলে রাখবেন, বাসে জ্যামে বসে বসে প্রেমিক/প্রেমিকার/ক্রাশের ছবির সাথে সাথে সেই ছবিগুলোও দেইখেন, মনে পড়বে:P

 

আমি বিসিএস এর জন্য সবাইকে সাজেস্ট করি  গতবাধা রুম আটকে দিনভর চেয়ার টেবিলে আটকে না পড়ে বুদ্ধি খাটিয়ে পড়ুন, এফেক্টিভ পড়াশোনা করুন । যাদের সুযোগ আছে তারা দু-চারজন মিলে গ্রুপ স্টাডি করে পড়ুন, পড়াটাকে নিজের মধ্যে না রেখে আলোচনা করে পড়ুন । অনেক কঠিন জিনিস আছে যেগুলো ছন্দ করে মিলিয়ে কিংবা এক বাক্যে মনে রাখার অনেক টেকনিক অনেকে এপ্লাই করে পড়ে, যদি আপনার স্টাডি সার্কেল করা সম্ভব বয় তবে এই কাজ গুলো আরও সুন্দর হবে । শুধু তাইই না, একজনে দায়িত্ব নিন সংবাদ পত্রের উল্লেখযোগ্য তথ্যগুলো সে ডেইলি নোট ডাউন করবে আবার আরেকজনে বই এর খুটি নাটি জরুরি বিষয়গুলো তাকে জানিয়ে দিন । আপনি যদি মএন করেন একা একা পড়ে সেই পানিপথের প্রথম যুদ্ধ থেকে শুরু করে আজকের এই মিনা ট্র্যাজেডি পর্যন্ত তাবত জিনিস পড়ে তামাতামা করে ফেলবেন, আপনার জন্য সেটা যেমন প্রায় অসাধ্য তেমনি সেটা গাধার খাটনি হবে … এর চেয়ে আগের বছরের প্রশ্ন গুলো দেখুন , কমন পড়বে তা বলছি না অন্তত প্যাটার্ন টের পাবেন । আর এই পরীক্ষা (প্রিলি বিশেষ করে) সিজিপিএ বাড়াবার পরীক্ষা না, তবে আপনার যদি এই প্রিলি পড়তে গিয়ে সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) নিয়ে ভাল ধারণা মনে বদ্ধমূল হয় তবে আপনি তার ভাল ফল তুলবেন রিটেন ও ভাইভা তে …

একটা কথা বলি, আজ ই শুরুতেই আপনার খাটে শুয়ে যে দেয়ালে চোখ পড়ে সেখানে একটা বাংলাদেশ আর বিশ্বের মানচিত্র সেটে নিন , নাহলে আপনার পড়ার টেবিলে। সত্যি বলছি আপনার ভৌগলিক জ্ঞান বাড়লে আপনার জন্য বিসিএস দেয়াটা অনেক সহজ হবে ।

একটা উদাহরণ দিয়ে শেষ করি, যারা ভাইভা দেবেন, তাদের কাছে প্রশ্ন করে অনেক সময় ই, সমূদ্র পথে বাংলাদেশ হতে ইংল্যান্ড/ স্পেইন যাবার পথ টা দেখাও কিংবা বলতে পারে বাংলাদেশের দুইটা জায়গা দেখাও যাদের নাম ফরিদপুর (একটা তো সবাইই জানেন? আরেকটা কোথায় ? খুঁজুন বাংলাদেশের ম্যাপেই ।

ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ১2 (সাধারণ জ্ঞানঃ আন্তর্জাতিক ) । BCS Written Exam Guide – 12 (General Knowledge: International)

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিঃ

এই জিনিস টাতেই আমাদের ভয় থাকে সর্বোচ্চ, প্রথমেই মনে হয় এতো এতো দেশের রাজধানী , মুদ্রা, জাতীয় ফল ফুল পাখি এসবের নাম মনে রাখব কী করে ?

আসলে এটা ভুল কনসেপ্ট …

কারণ আপনি যদি বিসিএস এর প্রশ্ন গুলো যাচাই করে দেখেন দেখবেন বিভিন্ন দেশের এই সব ফুল ফল রাজধানী মুদ্রা এসব থেকে প্রশ্ন আসার পরিমাণ অনেক কম । স্ট্র্যাটেজিক্যালি সেসব ই আসতে পারে যেগুলো ব্যতিক্রম , যেমন কোন কোন দেশ আছে যাদের দেশের নাম আর রাজধানীর নাম একই । আবার কিছু বিশেষ বিশেষ রাষ্ট্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যুদ্ধে লিপ্ত কিংবা অর্থনৈতিক/ রাজনৈতিক/ খেলাধূলা এসবের কারণে আলোচিত, সেসব থেকে প্রশ্ন থাকার সম্ভাবনা বেশি ।

 

আবার কিছু দেশের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভাল/ মন্দ । সম্প্রতি যদি কোন দেশের সাথে বিশেষ কোন চুক্তি প্রধান মন্ত্রীর ঐতিহাসিক সফর এসব হয়ে থাকে সেখান থেকেও প্রশ্ন আসতে পারে …

আমি আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি কে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে ফেলিঃ

ভৌগলিক জ্ঞানঃ

কোন দেশ কোন মহাদেশে অবস্থিত, এইটা আপনার এস এস সি লেভেলেই মোটামুটি রপ্ত হয়ে যাবার কথা, শুধু তাই না, মহাসাগর কোন গুলো কোন মহাদেশ গুলো কে কানেক্ট করেছে, কোন বিশেষ পর্বত শ্রেণী কোন দেশে অবস্থিত, কোন বিশেষ নদী কোন দেশ বা জনপদের বিশেষ কিছু অবদান রেখে থাকলে (যেমন মিসরের নীল নদ) সেগুলোর নাম… অবস্থান (এদের দৈর্ঘ্য/গভীরতা মনে রাখার দরকার ই নাই) ইত্যাদি জানা থাকা দরকার । বিশেষ বিশেষ জলপ্রপাত গুলো, মরুভূমি বা মালভূমি , বন, বিশেষ সাগর যেমন লোহিত সাগর, মৃত সাগর এগুলোর অবস্থান,এগুলো কোন কারণে বিখ্যাত …এসব জেনে রাখুন।

এদের সাথে আপনাকে জানা থাকতে হবে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিসঃ তা হল কোন মহাদেশের মধ্যেও কিছু কিছু দেশ মিলে এক এক টা বিশেষ অঞ্চল হতে পারে (যেমন স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্র গুলো কী কী ), আবার ধরেন জাপান আপনাকে প্যাসিফিক রিজনের দেশ গুলো বললে কোন দেশ গুলো কে বুঝবেন এসব জানা থাকা দরকার (প্রিলি, ভাইভা দুই এর জন্যই)।

যারা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন ছোটবেলায়, তারা পড়ে আসছেনঃ বাতাসের শহর শিকাগো, নিশিথ সূর্যের দেশঃ নরওয়ে… এরকম আলোচিত ও প্রসিদ্ধ ২০-২৫ টা জায়গার নাম আপনাকে কেন তা বিখ্যাত বা আলোচিত জানা থাকতে হবে ।

 

 

আন্তর্জাতিক সংস্থাঃ

এইটা প্রশ্নের আঁধার, এবং আপনাকে এখানের থেকে প্রিলি, রিটেন, ভাইভা তিন জায়গাতেই প্রশ্ন আসবেই আসবে । সো, এইটা পড়বেন সবথেকে গুরুত্ব দিয়ে …

প্রথমেই কোন সংস্থার সদরদফতর কোথায়ঃ এগুলো কে টেকনিক্যালি মনে রাখতে ট্রাই করবেন, যেমন মার্ক করে ফেলুন W দিয়ে শুরু হওয়া গুলো, বা U দিয়ে শুরু হওয়া … আবার এভাবেও আলাদা করতে পারেনঃ নিউ ইয়র্কে কোন গুলো প্যারিসে কোন গুলো , রোমে কী কী …

আপনাকে জানা থাকতে হবে এদের পূর্ণাং নাম, তাতেই অনেক কিছু জেনে যাবেন, যেমন OPEC এর পূর্ণ নাম আপনি জানলেই বুঝতে পারবেন এটিতে সেই সব দেশ ই জড়িত যেখানে তেল আছে এবং যারা তেল বিশ্ববাজারে এক্সপোর্টের সাথে জড়িত …।

কোন সংস্থা কত সালে স্থাপিত তা আপনি সব মনে রাখতে পারবেন না, তবে জাতিসঙ্ঘ , সার্ক এগুলোর ব্যাপারে আদ্যোপান্ত জানুন । জাতিসংঘের মহাসচিব এর নাম, সার্কের মহাসচিব এর নাম, সদর দফত্র, মূল নীতি এগুলো আপনাকে জানা থাকতে হবে । রিস্ক নিতে না চাইলে আপনি বাংলাদেশ এক্টিভলি জড়িত এমন সব সংস্থাগুলোর নাম, তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিয় টয় জেনে নিন …

প্রশ্ন গুলো অনেক সময় এভাবে আসে, যে নিচের কোন টি অমুক এর অন্তর্গত নয়, এখানে আপনাকে বুদ্ধি খাটিইয়ে প্রসেস অফ ইলিমিনেশনে যাওয়া লাগবে, অর্থাৎ আপনাকে OIC র দেশ ভূক্ত নয় কোন দেশ বললে আপনি খুজবেন কোন টি মুসলিম দেশ নয় (একটা ব্যতিক্রম আছে, কোন টি সেটা ? সার্চ দিন তো :P)

আবার যদি বলে কোন টি কমনওয়েলথ ভূক্ত নয়, এখানে আপনাকে জানতে হবে যে কোন গুলো আগে বৃটিশ কলোনী ভূক্ত ছিল … তবে এটুকুই যথেষ্ট নয়, জেনে নিন বৃটিশ কলোনীভূক্ত থাকা সত্ত্বেও কোন কোন দেশে কমনওয়েলথ এ নেই …

 

আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও সংশ্লিষ্ট জ্ঞানঃ

এইজন্যে আপনি যেটা করবেন তা হল উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর সরকার প্রধান ও পারলে তাদের রাজনৈতিক দলপ্রধান দের নাম জেনে রাখুন, তাদের পার্টির নাম ও (ভাইভাওয়ালাদের জন্য)। কোন কোন দেশে সামরিক শাসক আছে, সেগুলোর আইডিয়া রাখুন । এটা নিয়ে ভয় পাবেন না, আপনাকে ধুম ধাম নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট নিয়ে জিজ্ঞাসা করবে না । আলোচিত, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আছে এবং আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ন কিংবা সংবাদ মাধ্যমের বহুল আলোচিত দেশ গুলো নিয়ে জ্ঞান রাখলেই চলবে ।

এর মধ্যেঃ ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, পাকিস্তান, ইসরাইল, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান, তুরস্ক, গ্রীস, ইউক্রেন, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড , সার্ক ভূক্ত বাকি দেশ গুলো এসব খুব ই গুরুত্বপূর্ণ …

এদের নির্বাচন ব্যবস্থা সরকারের আইন সভা কেমন , সংবিধান কেমন এগুলো জানা থাকা আপনাকে বাড়িত আত্মবিশ্বাস দেবে, ভাইভা যারা দেবেন তারা এসব প্রশ্ন ফেইস করতে পারেন যদি আপনার প্রথম পছন্দ ফরেন এফেয়ার্স হয়ে থাকে …

যুদ্ধ সংঘাতঃ

আগের টপিক টির সাথে জড়িত যদিও , তার পরেও বলি, ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ গুলোর পক্ষ বিপক্ষ, যুদ্ধের ফলাফল, গত শতকের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ সমূহ, সেসবের কারণ, পক্ষ-বিপক্ষ, রাষ্ট্রসমূহের কার কী অবস্থান, সেগুলোর প্রভাবে কী কী ক্ষতি হয়, কোন বিশেষ অস্ত্র ব্যবহার হয় এইসব আপনার জানা থাকা লাগবে । আবার মনে করেন আরব ইসরাইল সংঘাত, ফিলিস্তিনিদের উপরে ইসরাইলিদের আগ্রাসন, আফগান যুদ্ধ, ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ ,আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এগুলোর ব্যাপারেও প্রশ্ন আসে ও আসতেই পারে ।

আবার ধরেন শেষ কয়েক দশকের যেসব যুদ্ধ কিংবা সংঘাত সমূহ ছিল বা এখনও চলছে সেসব সম্পর্কেও আপনি জেনে রাখুন, প্রশ্ন চলে আসতেই পারে … (আমাকে ভাইভা তে সুদান নিয়ে প্রশ্ন করেছে ) ।

(ভাইভাতে অনেক সময় আপনাকে বলবে আপনি কোন পক্ষের সমর্থনে আছেন, এসব প্রশ্ন খুব ই স্ট্র্যাটেজিক ওয়েতে উত্তর দিতে হবে, এ নিয়ে ভাইভা র আলোচনাতে বলব আশা রাখি …)

আন্তর্জাতিক ইভেন্টসঃ

এবারে বলব বিশেষ বিশেষ আয়োজন কিংবা উপলক্ষ্য নিয়েঃ যেমন ধরেন বিশ্বকাপ, অলিম্পিক গেমস, অস্কার/কান চলচ্চিত্র পুরষ্কার এগুলো থেকেও প্রশ্ন আসে । সব না জানলেও চলবে, শুধু হাইলাইটেড ইভেন্টস গুলোর ব্যাপারে জ্ঞান থাকলেই চলবে ।

নোবেল পুরষ্কার যদিও তেমন ঘটা করে প্রদান করা হয়না, তবু যে বছর পরীক্ষা দেবেন সেবছরের ও আগের বছরের নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্তদের নাম ও কেন – কোন ক্যাটাগরিতে নোবেল পেয়েছেন সেগুলো মনে রাখুন ।

আন্তর্জাতিক দিবস সমূহঃ

এটা খুব ই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ দিবস গুলো যেমন আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস, কন্যাশিশু দিবস, পানি দিবস, শিক্ষক দিবস এসব দিবস গুলো মনে রাখুন । যারা সব পারবেন না তারা যখন পরীক্ষা দিচ্ছেন সেই মাস, তার আগের ও পরের মাসের দিবস গুলো মনে রাখবেন অবশ্যই । আবার ভাইভা পরীক্ষার্থীরা তাদের জন্মদিনে কোন দিবস থাকলে তা নিয়ে ভাল করে পড়াশোনা করে যাবেন অবশ্যই ।

বিখ্যাত ব্যক্তিত্ত্বঃ

রাজনৈতিক কিংবা সাংস্কৃতিক অংগনের বিশ্ব আলোচিত ব্যক্তিত্ত্ব যারা তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, তারা কেন বিখ্যাত এ বিষয়ে জ্ঞান রাখার চেষ্টা করুন , যেমন আপনাকে প্রশ্ন করতেই পারে যে নেলসন ম্যান্ডেলা কে কোন দ্বীপে কারারুদ্ধ রাখা হয়েছিল কিংবা শচীন টেন্ডুলকারের শেষ টেস্ট ম্যাচ কার বিরুদ্ধে ?এগুলো যারা নিয়মিত খুব এভারেজ লেভেলে সাধারণ জ্ঞান চর্চা করেন বা পত্র পত্রিকা পড়েন টরেন তাদের জন্য কিচ্ছু না , সো, ঘাবড়াবেন না ।

এগুলো ছাড়াও আসলে আন্তর্জাতিকে অনেক ‘বিবিধ’ শ্রেণীভূক্ত প্রশ্ন থাকে । সেগুলো নিয়ে ঘাবড়াবেন না । এতো বিশাল পরিমন্ডলের সব যে আপনি জানবেন তা কিন্তু না । আর প্রিলিতে আপনি প্রতিটা প্রশ্নই যে পারবেন সে আশা তে গিয়ে মানসিক চাপের তৈরি করবেন না নিজে নিজে … বিবিধ শ্রেণীর প্রশ্ন গুলো অনেক টা আনপ্রেডিক্টেবল, যেমন জিজ্ঞাসা করা হল বিশ্বের সর্বোচ্চ টাওয়ার কোন টি আবার ধরেন বলা হল পরবর্তী শীতকালীন অলিম্পিকের আসর কোথায় বসবে … এসবের জন্য আমার সাজেশন কারেন্ট এফেয়ার্স প্রতি মাসের টা পড়ুন … জমিয়ে রেখে একবারে পড়ে হাফেজ হবেন এ আশা করবেন না। এগুলোর কোন শেষ নাই, আপনাকে পড়তে হবে এবং জেনে রাখুন আপনি সব মনে রাখতে পারবেন না, কিছু ভুলে যাবেন ই … যে যত বড় গলাতেই কথা বলুক, বিসিএস এ যারা অংশ নেয় তাদের ৭০ ভাগ ই চাকরি কিংবা অন্য পড়াশোনার সাথে সাথে পড়ে… সুতরাং গতবাধা কারও ফরমুলা অনুসরণ করে রাস্তার টোকাই থেকে ক্যাডার বনে যাওয়ার ফরমুলা বাদ দিয়ে , নিজে কীভাবে মনে রাখতে পারেবন কিংবা কী করলে আপনার পারপাস ফুলফিল হবে সেদিকে মনোনিবেশ করুন …

ধূমপায়ীদের মেডিকেলে ভর্তি নয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী No smoker allowed for MBBS admission

২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে চিকিৎসা শিক্ষায় ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদেরকে অধূমপায়ীর প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। চিকিৎসক হতে চাইবেন, এমন কেউ ধূমপান করেন, এটা কখনোই ভাবা যায় না- এমনটিই বললেন মন্ত্রী।

রবিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ধূমপানবিরোধী আন্দোলনকারী সংগঠনের নেতারা। তখন মন্ত্রী এসব কথা বলেন।এ ঘোষণার ফলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে সাধুবাদ জানিয়েছে ধূমপানবিরোধী আন্দোলনকারী বেশ কয়েকটি সংগঠন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক, বিএমএ’র মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, নাটাবের সাধারণ সম্পাদক খায়ের উদ্দিন আহম্মেদ,বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের সদস্যবৃন্দ,অ্যাকশন এইড ইন ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ধূমপানকে নিরুৎসাহিত করতে এধরণের উদ্যোগ অনেক তরুণ জীবনকে তামাক ও মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করবে, সেই সাথে সুন্দর জীবনের প্রতি আমাদের তারুণ্যকে উজ্জীবিত করবে, এটিই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।

ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ১১ (সাধারণ জ্ঞানঃ বাংলাদেশ ) । BCS Written Exam Guide – 11 (General Knowledge)

সাধারণ জ্ঞানঃ

বিসিএস এর কথা মাথায় আসলেই অনেকের মাথায় আসে এটা একটা সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা, দেশ-রাজধানী-মূদ্রা র নাম, প্রেসিডেন্টের শ্যালক-শ্যালিকার নাম ইত্যাদি ইত্যাদি …

আমরা ক্যাটরিনার কোমরে মাপ, জোলির হাইট কিংবা ওয়ারেন বাফেটের টাকা পয়সার হিসাব জানলেও অনেক ব্যাসিক জিনিস জানি না । খুব সাদামাটা ভাবে বলতে গেলে আপনি চট করে চিন্তা করে আমাদের ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম বলতে পারবেন ? কিংবা বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘে সদস্য পদ লাভ করে ?

হ্যা, এই পরীক্ষায় (প্রিলি এবং ভাইভা উভয়েই) প্রচুর উদ্ভট সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন আসে, যেসব দেখে সাধারণ শব্দ টা কেই মনে হবে অপমান করা হচ্ছে …

 

যাহোক, আমি সাধারণ জ্ঞান বলতে আসলে কী বোঝাচ্ছি?

আমার সাধারণ জ্ঞানের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত থাকবে দুইটি ধাপঃ

১) বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি …

প্রথমেই দেশ নিয়ে শুরু করিঃ

বাংলাদেশ বিষিয়ে আপনি যদি কম জানেন তো আপনার বিসিএস এ একটা না একটা পর্যায়ে বাদ পড়ার সম্ভাবনা প্রবল, তাই নিজ দেশ সম্মন্ধে বিসিএস প্রিলি র জন্য কী কী জানবেন আসুন লিস্ট করিঃ

১) ভৌগলিক অবস্থানঃ অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ, আশপাশে কোন রাষ্ট্রের কোন রাজ্য, কতটি জেলা/ বিভাগের সাথে সীমান্ত আছে, এর পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণে কী কী আছে, সামূদ্রিক জলসীমার আয়তন ইত্যাদি

২) দেশের অভ্যন্তরীন ভৌগলিক অবস্থান, ভূপ্রকৃতি , নদ নদীঃ যেমন ধরেন দেশের পাহাড় কোথায় কোথায়, সুন্দরবন কোন কোন জেলা নিয়ে অবস্থিত, প্রধান নদী, উৎপত্তি / প্রবেশ স্থল, মিলনস্থল, কোন শহর (প্রধান গুলো) কোন নদ/নদীর তীরে অবস্থান করছে, দেশের উচ্চতা মাফিক কোন জেলার ভূপ্রকৃতি কেমন , নদীগুলোর মোট দৈর্ঘ্য, সমূদ্র বিজয়, আয়তন প্রাপ্তি, সেখানের মামলার দিন তারিখ ইত্যাদি ইত্যাদি ।।

৩) দেশের ইতিহাসঃ এটা আপনার জানা উচিত বৃটিশ আমল এর ইমিডিয়েট আগ থেকে, অনেক বইতে রাজা শশাংক , গৌড় গোবিন্দ কিংবা পাল রাজাদের কাহিনী বলা আছে, আমার সাজেশন হল এতো পড়তে গেলে খেই হারিয়ে ফেলবেন, খুব বিখ্যাত কোন রাজা (যেমন শশাংক)র আমলের উল্লেখযোগ্য এক দুইটা বিখ্যাত ঘটনা ছাড়া না জানলেও চলবে …

আপনাকে জোর দিয়ে পড়তে হবে ৪৭ এর পর থেকে প্রায় প্রতিটা ঘটনা প্রবাহ, বিশেষত মুক্তিযুদ্ধ ও তার পূর্বেকার রাজনৈতিক ঘটনাবলি, এখানে কার কী অবদান, বিশেষ দিন তারিখ, বাংলাদেশ কে স্বীকৃতি , ১১ টি সেক্টর তাদের কমান্ডার দের নাম ( ভাইভা প্রার্থীরা কোন সেক্টর কোন এলাকা নিয়ে গঠিত তাও পড়ুন, চট করে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে বসবে আপনার এলাকা কোন সেক্টরের অধীনে ছিল)…

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমাদের সরকার গঠন, সেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যবৃন্দ তাদের মন্ত্রণালয় বন্টন ইত্যাদি তথ্যগুলো আপনাকে শিখতে হবে নির্ভুল ভাবে।

৪) এরপর আসেন আমরা কিছু বিশেষ সংগঠণে কবে আমরা অন্তর্ভূক্ত হই, জাতিসংঘে কবে বঙ্গবন্ধু বাংলায় ভাষণ দেন, আমাদের প্রথম প্রতিনিধি কে? এরপর OIC, SAARC, UNESCO, UNISEF, BIMSTEC এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানে কবে বাংলাদেশ অন্তর্ভূক্ত হয়, এদের কোন টার সাধারণ অধিবেশন বাংলাদেশে সম্প্রতি হয়েছে কিনা, হলে সেটার প্রতিপাদ্য কী ছিল …

৫) বাংলাদেশ সম্মন্ধে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আপাতত বঙ্গবন্ধুর জীবনী, রাজনৈতিক জীবন, শেখ হাসিনার সংক্ষিপ্ত জীবনী, তাদের দুজনের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলি …

৬) আপনার জন্য বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো টা জানা খুব ই জরুরি , এর সাথে দেশের বিভাগ, জেলা, উপজিলা, ইউনিয়ন সংখ্যা এসব মনে রাখুন, এগুলো যেহেতু বাড়ে তাই কারেন্ট এফেয়ার্স থেকে রিসেন্ট তথ্য টা নিবেন… আরও বলি, সরকারি ওয়েবসাইট বাতায়ন আপনাকে এই ব্যাপারে আপডেটেড তথ্য দিতে পারে

৭) এরপর আপনাকে দেশের বরেণ্য ব্যাক্তিদের নিয়ে হালকা পাতলা জানা থাকা দরকার, তবে খুব বেশি না হলেও চলবে, একবার শামসুর রাহমানের জন্মস্থান নিয়ে একটা প্রশ্ন এসছিল, অপশন গুলো ছিল সব ভুল।

এই বিষয়ে তাই হাফেজ হয়াব্র দরকার নাই, তবে সম্প্রতি কে কোন বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেলেন, ক্রিকেট-ফুটবল কিংবা কোন খেলাধূলায় যশ কুড়ানো লোকজনের সাম্প্রতিক তথ্যগুলোর ব্যাপারে ওয়াকিবহাল থাকবেন, তাই বলে ভাববেন না প্রশ্ন আসবে তামিম ইকবালের বউ এর সাথে তার কত বছরের প্রেম ছিল কিংবা সাকিব আল হাসানের রেস্টুরেন্টের নাম কী 😛

৮) এবারের পালা দেশের সম্পদ সমূহ… প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল, কয়লা কোথায় কোথায় পাওয়া যায়, আইডিয়া রাখুন … সাথে কোন প্ল্যান্ট বা গ্যাস কারখানা কীসে চলে সেটার খোঁজ ও রাখা চাই …বিদ্যুৎ কারখানা গুলো কোথায় অবস্থিত, দেশের বর্তমানে বিদ্যুৎ উতপাদনের হালনাগাদ তথ্য, বিশেষ কোন পাওয়ার প্ল্যান্ট কোথায় অবস্থিত, এই তথ্যগুলো জানা উচিত (যেমন রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র)

৯) দেশের বন সম্পদ, পাহাড়ি এলাকা, সেখানের উল্লেখযোগ্য বনরাজি, পশু পাখি কী পাওয়া যায় তা ছোটবেলা ত্থেকে পড়ে মাথায় থাকার কথা …এখন যেটা একটু বেশি জানবেন তা হল উল্লেখযোগ্য কৃষিজ সম্পদ, কোন বিশেষ জাত উদ্ভাবন হলে তা, কোন বিশেষ গবেষণা হলে কিছু নিয়ে সেগুলোর হাল নাগাদ তথ্য সম্ভার …

১০) আর কী জানা যায় বলেন তো ? হ্যা, উল্লেখযোগ্য কীর্তিসমূহ কোন জেলায় কী অবস্থিত, শুধু তাইই না মসজিদ, মন্দির, উল্লেখযোগ্য  বিশেষ ভাস্কর্য গুলো তাদের ভাস্করিকের নাম, অবস্থান …

১১) স্বাধীনতা কিংবা একুশে পদক শেষ বছরে কে পেয়েছেন, কোন বিশেষ চলচ্চিত্র বা কোন বই পত্র পুরষ্কার পেল কীনা …এগুলো নিয়েও আপডেটেড থাকবেন…আমি জানি এতোকিছু আপনি মুখস্ত রাখবেন না, একটা ডায়েরি রাখবেন, প্রতিদিন ৩-৪ টা তথ্য (যা আপনার মনে থাকবে না কিছুদিন পরে আপনি শিউর) লিখে রাখুন, পরীক্ষার আগে দেখবেন এগুলো কেমন কাজে আসে …তখন অনেক অল্প পরায় কিংবা চোখের দেখায় আপনার মাথায় ঢুকবে …

বাংলাদেশ নিয়ে জানার শেষ পাচ্ছেন না তো? হ্যা, আপনি এভাবে করে এতোক্ষন যা জানলেন তা হল ব্যাসিক… আরও জানতে হলে আমি সাজেস্ট করব প্রতিদিন বাংলাদেশের কোন একটা ভাল সংবাদ পত্র পড়ুন, জানুন কোন বিশেষ চুক্তি হচ্ছে কিনা… জিএসপি সুবিধার এদিক ওদিক, ট্রাঞ্জিট, রাশিয়া/আমেরিকা/চীনের সাথে চুক্তি, ভারতের সাথে কোন বিশেষ চুক্তি বা শর্ত আরোপ এগুলোও আপনাকে জানা থাকা লাগবে নিয়মিত …

 

 

এখন ম্যাটেরিয়ালস বলিঃ

সাধারণ জ্ঞান তা বাংলাদেশ ই হোক আর আন্তর্জাতিক ই হোক, আপনি কারেন্ট এফেয়ার্স/ওয়ার্ল্ড এগুলো অবশ্যই অবশ্যইই পড়বেন, ভাব্বেন না যে মাসে পরীক্ষা সে মাসের টা কিনলেই হয়ে যাবে …

আমি নিজে ওরাকলের একটা বই কিনেছিলাম, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, ওখান থেকে বাংলাদেশ বিষয়ে ব্যাসিক গুলো পড়ে নিয়েছিলাম ৩৩ তম র প্রিলির আগে …আমার ঐটা বেশ কাজে দিয়েছে, এতোদিন বইএর নাম বলি নি কিছুর কারণ আমি খুব কম ই বই পড়েছি…আমি ওরাকলের নাম বললাম তাই বলে এটাই ফলো করতে বলছি না, আপনি সময় করে দোকানে গিয়ে Assurance, professors, Mp3, Confidenceযেটা ভাল লাগে সে বইই কিনে আনতে পারেন …

যারা সময় নিয়ে পড়তে চান তারা পার্ট বাই পার্ট কিনতে পারেন,আবার যারা চান ১-২ মাস সময় নিয়ে পড়তে তারা একটা ডাইজেস্ট কিনে ফেলুন … আর হ্যা, ডেইলি সংবাদ পত্র টা পড়ুন, অনলাইনে পড়লে সাথে একটা ওয়ার্ড ফাইল খোলা রাখুন, গুরুত্বপূর্ণ তথগুলো সেখানে কপি পেস্ট করে দিবেন ।

আর সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের তথ্যগুলো কিন্ত মনে থাকতে চাইবে না, ফেসবুকের গ্রুপগুলোতে ঢু মারুন, কয়েকজন মিলে গ্রুপ করে রেগুলার তথ্য শেয়ার করুন, একে অন্যকে প্রশ্ন করুন … কার্পণ্য করবেন না, এখানে বন্ধু সিজিপিএ ৪ পেয়ে যাবার ভয় নাই, আর এতো তথ্য যে আপনি কিপটামি করেও লাভ নাই, যত বেশি আলোচনা করবেন, তত আপনার মাথায় থাকবে, সব কিছু মুখস্ত করে আপনার স্মরণে থাকবেনা, বলে দিলাম …