May 21
ওয়েবঃ কুইক গাইড (দ্বিতীয় পর্ব)
ওয়েবঃ কুইক গাইড (দ্বিতীয় পর্ব)
ওয়েব সার্ভারের রকমফের
প্রতিটা ওয়েবসাইট যে কম্পিউটারে প্রতিষ্ঠিত আছে তাকে ওয়েব সার্ভার বলে। এই সার্ভার সবসময় ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকে। ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত সকল ওয়েব সার্ভারের একটি স্বতন্ত্র এড্রেস থাকে, যা ০ থেকে শুরু করে ২৫৬ পর্যন্ত কোনও চার সংখ্যার সিরিজের মাধ্যমে প্রকাশিত আর যা পিরিয়ড দ্বারা পরস্পর থেকে পৃথক করা। যেমন, 68.178.157.132 অথবা 68.122.35.127।
যখন আমরা ওয়েব এড্রেস রেজিস্টার করি, যাকে ডোমেইন নামও বলা যায়, যেমন tutorialspoint.com, তখন আমাদের ওয়েব সার্ভারের আইপি এড্রেস নির্ধারণ করতে হয়, যা সাইটকে হোস্ট করবে। আমরা এমন ডেডিকেটেড সার্ভার লোড করতে পারি যা আমাদের ওয়েবভিত্তিক সব অপারেশনকে সমর্থন করবে।
মূলত চার ধরনের ওয়েব সার্ভার রয়েছে, এপাচি, আইআইএস, লাইটটিপিডি, আর জিগ’স’।এদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানব আমরা। এরা ছাড়াও বাজারে আরও কিছু সার্ভার বাজারে আছে, যেগুলো অনেক ব্যয়বহুল। এদের মধ্যে নেটস্কেপের আই প্ল্যানেট, বিয়া’র ওয়েব লজিক আর আইবিএমের ওয়েবস্ফিয়ার উল্লেখযোগ্য।
এপাচি এইচটিটিপি সার্ভারঃ
এটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জনপ্রিয় ওয়েব সার্ভার যাকে ডেভলাপ করেছে এপাচি সফটওয়ার ফাউন্ডেশন। এপাচি ওয়েব সার্ভার ওপেন সোর্স সফটওয়ার আর লিনাক্স, উইন্ডোজ, ইউনিক্স, ফ্রিবিএসডি, ম্যাক ওএস এক্স সহ প্রায় সকল অপারেটিং সিস্টেমে ইন্সটলযোগ্য। প্রায় ৬০ শতাংশ ওয়েব সার্ভার মেশিন এপাচি ওয়েব সার্ভার ব্যবহার করে থাকে।
জেএসপি ও জেটুইই সংশ্লিষ্ট সুবিধা পেতে আমরা টমক্যাট মডিউলের সাথে এপাচি ব্যবহার করতে পারি।
এই সার্ভার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন, Apache HTTP Server এখানে।
ইন্টারনেট ইনফরমেশন সার্ভিসেস বা আইআইএসঃ
ইন্টারনেট ইনফরমেশন সার্ভিসেস বা আইআইএস মাইক্রোসফটের একটি হাই পারফর্মেন্স ওয়েব সার্ভার। এটি উইন্ডোজের এনটি /২০০০, ২০০৩ প্লাটফর্মে চলে(সম্ভবত নবতর সংস্করণ গুলোতেও চলবে)। এটি উইন্ডোজের এনটি /২০০০, ২০০৩ এর সাথে বান্ডেল আকারে দেয়া হয়, যেহেতু আইআইএসকে অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সমন্বিত করে তৈরি করা হয়েছে, এতে এটি পরিচালনা করা সহজ হয়।
এই সার্ভার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন, Miscrosoft IISএখানে।
লাইটটিপিডি, যাকে ‘লাইটলি’ উচ্চারন করা হয়, এটিও একটি ফ্রি ওয়েব সার্ভার, যাকে ফ্রিবিএসডির অপারেটিং সিস্টেমের সাথে প্রদান করা হয়। এই ওপেন সোর্স সার্ভার দ্রুত, নিরাপদ, আর অল্প পরিমানে সিপিইউএর শক্তি শোষণ করে। লাইটটিপিডি লিনাক্স, উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস, সোলারিস ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেমেও কাজ করতে পারে।
এই সার্ভার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন, lighttpd এখানে।
সান জাভা সিস্টেম ওয়েব সার্ভারঃ সান মাইক্রোসিস্টেম প্রবর্তিত এই সার্ভার মধ্যম আর বড় ওয়েবসাইটের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এটি ফ্রি, কিন্তু ওপেন সোর্স নয়।এটি লিনাক্স, উইন্ডোজ আর ইউনিক্স প্লাটফর্মে চলে। সান জাভা সিস্টেম ওয়েব সার্ভার ওয়েব ২.০ এর জন্য উপযোগী বিভিন্ন ল্যাঙ্গুয়েজ, স্ক্রিপ্ট, টেকনোলজি যেমন জেএসপি, জাভা সারভলেট, পিএইচপি, পার্ল, পাইথন, রুবি অন রেইলস, এএসপি আর কোল্ডফিউসন ইত্যাদি সমর্থন করে।
এই সার্ভার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন এখান থেকে, Sun Java System Web Server।
Jigsaw Server
জিগ’স সার্ভারঃ জিগ’স যা ডবলু থ্রি সি’র সার্ভার, এসেছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে। এটি ওপেন সোর্স, আর ফ্রি। লিনাক্স, উইন্ডোজ, ইউনিক্স, ফ্রিবিএসডি, ম্যাক ওএস এক্স ইত্যাদি বিভিন্ন প্লাটফর্মে কাজ করে। জিগ’স জাভায় লেখা, সিজিআই স্ক্রিপ্ট আর পিএইচপি প্রোগ্রামে চলে।
বিস্তারিত জানতে দেখুন, Jigsaw Server
ওয়েবসাইটের সুবিধাগুলোঃ
যদি এমন হয় যে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করছেন, তাহলে আশা করা যায় যে আপনি এর সুবিধাগুলি সম্পর্কে জানেন। ওয়েব সাইট থাকার প্রধান যেসব সুবিধা সেগুলোর একটি তালিকা নিচে দেয়া হল,
ব্যবসা সারাক্ষণই খোলাঃ নিজের ব্যবসার অনলাইন অপশন খুলতে পারলে তা বছরের ৩৬৫ দিন, সপ্তাহের ৭ দিন দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই চালু একটি ব্যবসা হিসেবে থাকবে। এমনকি আপনি যদি পৃথিবীর অন্য প্রান্তেও থাকেন, সপ্তাহের ৭ দিনই আপনার গ্রাহকদের সেবা দিয়ে যেতে পারবেন।
বেশি ক্রেতা প্রাপ্তিঃ যেহেতু সাড়া পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে আপনার সাইটটি মানুষ দেখতে পাচ্ছে, তাই আপনি অন্য প্রদেশ এমনকি অন্য দেশ থেকেও গ্রাহক পেতে পারেন একই রকম শ্রম আর অর্থ ব্যয় করে।
ব্যপক পরিমান অর্থের সাশ্রয়
অনলাইনে ব্যবসা থাকার সবচেয়ে বড় সুবিধাগুলোর একটি হল এটি। অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য বিশাল লোকবল বা প্রচুর রিসোর্স থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। অনলাইনে ব্যবসা চালানোর এমন আরও অনেক আর্থিক সুবিধা আছে। ভেবে দেখুন কতগুলো মানুষকে চিঠি পাঠাতে হত আপনার বিক্রির অবস্থা তাদের জানাতে, যদি না আপনি আপনার সাইটে সেই তথ্য তুলে ধরে অপেক্ষা করতেন কেবল ক্রেতাদের সেটি ভিজিট করার জন্য।
বিজ্ঞাপনের সুযোগঃ নিজেদের বিজ্ঞাপনের খরচ বাঁচানো ছাড়াও অন্য কোম্পানির বিজ্ঞাপন সাইটে দেখিয়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগও থাকছে। আপনি যদি কখনো লোকাল পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন তাহলে জানবেন এর খরচ কেমন। প্রতিটা লাইন, প্রতিটা ইঞ্চি এমনকি প্রতিটা রংএর জন্য আলাদাভাবে টাকা খরচ করতে হবে আপনাকে। আর ওয়েবে কতটা বিজ্ঞাপন আপনি দিচ্ছেন তার কোনও সীমা পরিসীমা নেই। তাই যখনই আপনি নতুন কোনও পণ্য বাজারে আনবেন, বিজ্ঞাপনের জন্য আপনার ভাল অপশন হাতে থাকছে।
একটা ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করে
ইন্টারনেট একটি চমৎকার মাধ্যম যেখানে আপনি আপনার নিজের একটি পছন্দের ইমেজ তৈরি করতে পারেন। এটি আপনারই হাতে। যেমন ধরুন, আপনি আপনার একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট ডিজাইন করলেন, দরকারি কন্টেন্ট সংযুক্ত করলেন, আর আপনার কোম্পানি একটি নির্ভরযোগ্য অবস্থান পেয়ে গেল। আপনার ব্যবসা কতটা বড় তা ব্যাপার না, উপযুক্ত টুল আর প্রকৃত ইচ্ছা থাকলে ওয়েবে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানকে এমনকি একটা কর্পোরেশনের মত বৃহৎ আকারে সাজাতে পারেন।
গ্রাহকের সন্তুষ্টিঃ যদি আপনার অনলাইনে একটি ভাল সাইট থাকে, কাস্টমার কেয়ারের আদলে আপনি আপনার গ্রাহকদের পরিপূর্ণ সেবা দিতে পারবেন। যেমন, অনলাইন হেল্প, ফ্রিকোয়েন্টলি আস্ক কোশ্চেন, আর অন্যান্য দরকারি তথ্য অনলাইনে রাখতে পারেন। মুক্ত আলোচনার জন্য ফোরাম, গ্রাহকের সন্তুষ্টি যাচাইয়ের জন্য জরীপ ইত্যাদিরও ব্যবস্থা রাখতে পারেন আপনি আপনার সাইটে।
আপনার কাজের প্রদর্শনীঃ আপনি যদি রিয়েল এস্টেট এজেন্ট, কনস্ট্রাকশন বিজনেসের মালিক বা বিউটি সেলনের বিশেষজ্ঞ হন,বা এরকম কোনও কাজের সাথে জড়িত থাকেন তাহলে আপনার কাজকে আপনার সাইটে তুলে ধরতে পারেন আপনি। যদি কোনও সম্ভাব্য গ্রাহক আপনার পূর্ববর্তী কাজের কোনও উদাহরণ বা স্যাম্পল দেখতে চান, তাকে আপনার সাইট দেখিয়ে দিতে পারেন সেই উদাহরণ হিসেবে। ছবি পাঠানো বা ক্লায়েন্টকে পূর্ববর্তী কাজ করা বিল্ডিঙের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেয়ে এটি অনেক ভাল, তাই না?
.
ওয়েব- যেসব দক্ষতা দরকার
আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে চান, তাহলে আপনার কিছু দক্ষতার প্রয়োজন পড়বে। আর এই দক্ষতা বা স্কিলসেট আসলে বর্তমান সময়ে সীমাহীন, কারণ প্রচুর প্রযুক্তি আছে যা আমাদের সাইটের জন্য দরকার হতে পারে, আর এমন অনেক প্রযুক্তি নিয়তই আসছে। তাই আমাদের পরিকল্পনা করে একটি প্রযুক্তি নির্বাচনে নিশ্চিত হয়ে প্রকল্প নিয়ে আগাতে হবে।
লিপিবদ্ধ সকল দক্ষতাই যে একজনের থাকতে হবে এমন না, আপনি যদি সরল ধরনের কোনও সাইট তৈরি করতে চান তাহলে প্রথমে উল্লেখ করা ৪টি দক্ষতা থাকলেই মোটামুটি শুরু করতে পারবেন। আরও বড় ও ইন্টারেক্টিভ সাইট তৈরির ক্ষেত্রে অবশিষ্ট দক্ষতাগুলো প্রয়োজন পড়তে পারে।
• কম্পিউটার অপারেশনঃ যা আপনাকে জানতে হবে তা হল কোনও কম্পিউটার চালানোর নিয়মকানুন। উইন্ডোজ, লিনাক্স বা ম্যাকিনটোশ। এটি নির্ভর করবে কোন ধরনের ওয়েব সার্ভারে আপনি আপনার ওয়েবসাইট হোস্ট করাতে চান। তাই আপনাকে কেবল ওই সিস্টেম সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ধারণা থাকতে হবে। বেসিক অপারেশন যথা ফাইল তৈরি, ডিলিট, আপডেট করা, ডিরেক্টরি তৈরি, ফাইলের পারমিশন ইত্যাদি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
• রিমোট এক্সেসঃ বেশিরভাগ সময় কেবল রিমোট সাইট থেকে আপনার সাইটে প্রবেশ করা যাবে। তাই আপনাকে ভালমত জানতে হবে কীভাবে রিমোট সাইট থেকে কম্পিউটারে সংযুক্ত থাকা যাবে। অন্ততপক্ষে রিমোট মেশিনে সংযুক্ত থাকার জন্য টেলনেট ইউটিলিটি সম্পর্কে বেসিক নলেজ থাকতেই হবে। আপনার ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক সার্ভিস প্রভাইডারই কন্ট্রোল প্যানেল সুবিধা দিয়ে থাকে।
• ফাইল আপলোড ও ডাউনলোডঃ আগেই বলেছি, আপনার ওয়েবসার্ভারটি থাকবে রিমোট সাইটে। তাই আপনার ওয়েবসাইট সংশ্লিষ্ট সব ফাইল আপলোড বা ডাউনলোড করার দক্ষতা থাকতে হবে। রিমোট মেশিনে সংযুক্ত থেকে ফাইল আপলোড বা ডাউনলোড করার জন্য অন্তত এফটিপি ইউটিলিটি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। অনেক সার্ভিস প্রভাইডারই সার্ভারে ফাইল আপলোডের সুযোগ দিয়ে থাকেন।
• এইচটিএমএল বা এক্স এইচটিএমএলের দক্ষতাঃ এগুলো মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ যা আপনার সাইট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এগুলোতে দক্ষতা থাকতে হবে। আরও জানতে পারেন এখানে, HTML / XHTML।
• .সিএসএসের নলেজঃ এইচটিএমএল বা এক্স এইচটিএমএলের মাধ্যমে করা যায়না এমন কিছু কাজ করতে হয় সিএসএসের মাধ্যমে। সেজন্য এবিষয়েও কিছু তথ্য জানা থাকা দরকার।
• পিএইচপি স্ক্রিপ্টঃ বর্তমানে অনেক সাইট তৈরি হচ্ছে এই ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে। ইন্টারাকটিভ ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে এটি সাহায্য করবে। এখান থেকে এবিষয়ে আরও জানতে পারবেন, PHP Script।
• পার্ল স্ক্রিপ্টঃ ইন্টারাকটিভ ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরির জন্য এটি ব্যবহার করা যায়। এই ল্যাঙ্গুয়েজে সাইট তৈরি করতে চাইলে দেখতে পারেন এখানে, PERL Script।
• জাভা অথবা ভিবি স্ক্রিপ্টঃ ইউজার লেভেল ভ্যালিডেশন আর আরও বেশি ইন্টারাকটিভিটির জন্য এই স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা যায়। তাই কোনও একটি ক্লায়েন্ট সাইড স্ক্রিপ্টিং জানা থাকা দরকার।
• এজাক্স প্রযুক্তিঃ এটি ওয়েবের সর্বশেষ ঘরানার প্রযুক্তি। গুগল আর ইয়াহু তাদের ব্যবহারকারীদের ভাল সুবিধা দেয়ার জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। এবিষয়ে জানার জন্য দেখতে পারেন এখানে, AJAX Technology।
• এএসপি বা জেএসপিঃ এটিও ইন্টারাকটিভ ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে।
• ফ্ল্যাশের জ্ঞানঃ ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ম্যাক্রোমিডিয়া ফ্ল্যাশও ব্যবহার করতে পারেন। এটি শিখতে শুরুতে একটু সময় লাগতে পারে কিন্তু একবার শিখে গেলে এটি দিয়ে অনেক সুন্দর দৃষ্টিনন্দন সাইট তৈরি করা সম্ভব।
• এইচটিটিপি প্রটোকলঃ যত সামনে এগুচ্ছেন আপনি তত জানতে পারছেন ওয়েব সম্পর্কে। তাই আমার মনে হয় আপনার এর মূল ভিত্তিগুলো যেমন এইচটিটিপি প্রটোকল সম্পর্কে জেনে নেয়া ভাল। এখান থেকে আপনি অনেক তথ্য পেতে পারেন, HTTP Protocol।
ওয়েবঃ যেসব টুল লাগবে
একটি মৌলিক বিষয় হিসেবে, আপনার একটি ভাল ইন্টারনেট কানেকশন লাগবে যা আপনি পাবেন নির্ভরযোগ্য সার্ভিস প্রভাইডারের থেকে, ভাল গতি আর নিরবচ্ছিন্নতা থাকতে হবে সেই লাইনে। এক্ষেত্রে একটু যাচাই বাছাই করে নেবেন। যে টুল আর অবকাঠামো আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরিতে সাহায্য করবে সেগুলো হল,
কম্পিউটারঃ যদি আপনার কম্পিউটার থেকে না থাকে অর্থাৎ আপনি যদি এই টিউটোরিয়ালটি প্রিন্টেড আকারে পড়ছেন এমন হয়, তবে আমার পরামর্শ হল আপনার একটি কম্পিউটার লাগবেই, যেটিতে উইন্ডোজ, লিনাক্স, ইউনিক্স বা ম্যাকিনটোশ অপারেটিং সিস্টেম চালু আছে।
ইন্টারনেট কানেকশনঃ যদি আপনার ইন্টারনেট কানেকশন না থেকে থাকে তাহলে পরবর্তী কাজ হল ইন্টারনেট নেয়া। আপনার রিকয়ারমেন্ট ও বাজেটের উপর নির্ভর করে এটি হতে পারে ডায়াল আপ অথবা দ্রুতগতির ব্রড ব্যান্ড কানেকশন।
একটি ওয়েব সার্ভারঃ আপনার ওয়েবসাইট সংক্রান্ত সব ফাইল রাখার জন্য এরপর আপনার দরকার হবে ওয়েব সার্ভার। আপনাকে সার্ভারে জায়গা কিনতে হতে পারে। লক্ষ লক্ষ আইএসপি আছে যারা ওয়েব স্পেস বিক্রি করে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে। আরও জানতে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন, Web Hosting Concepts।
টেক্সট এডিটরঃ ওয়েবসাইট ডেভলাপ করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল টেক্সট এডিটর, যদি উইন্ডোজ ব্যবহার করেন তাহলে নোটপ্যাড আর লিনাক্স বা ইউনিক্স ব্যবহার করলে vi editor ব্যবহার করতে পারেন।এইচটিএমএল, পিএইচপি বা এএসপি পেজ লিখতে বা অন্য কোনও কিছু এডিট করতে এই টেক্সট এডিটর কাজে লাগবে। প্র্যাকটিসের জন্য Online HTML Editor ব্যবহার করতে পারেন।
একটি ওয়েব ব্রাউজারঃ আপনার এইচটিএমএল ফাইলের ফলাফল দেখার জন্য এটি লাগবে। তাই আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার অথবা ফায়ারফক্স এরকম কোনও একটি ব্রাউজার ইন্সটল করা থাকতে হবে।
ওয়েব অথরাইজিং টুলঃ এইচটিএমএল ফাইলের জন্য সরল টেক্সট এডিটর ব্যবহার করতে না চাইলে অনেক ওয়েব অথরাইজিং টুল অর্থাৎ এইচটিএমএল এডিটর কিনতেও পাওয়া যায়, যেমন মাইক্রোসফটের ফ্রন্টপেজ আর ম্যাক্রোমিডিয়া ড্রিমওয়েভার ইত্যাদি, এগুলো ভিজুয়াল এইচটিএমএল ও এইচটিএমএল সোর্স কোড এডিটর হিসেবে কাজ করতে পারে। এই এডিটরগুলো এইচটিএমএল পেজ তৈরি করতে অনেক সাহায্য করে।
নিরাপদ টেলনেট ক্লায়েন্টঃ আপনি যদি ওয়েব সার্ভারে সরাসরি সংযুক্ত হতে চান তাহলে PuTTY নামের এই টুলটি ব্যবহার করতে পারেন।
নিরাপদ এফটিপি ক্লায়েন্টঃ আপনি যদি ওয়েব সার্ভারে সরাসরি সংযুক্ত অবস্থায় এফটিপি ক্লায়েন্ট ব্যবহার করে ফাইল আপলোড বা ডাউনলোড করতে চান তাহলে PSFTP টুলটি ব্যবহার করতে পারেন। এফটিপি মানে হল ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল, আপনার সাইট ডিজাইনের পর এটিকে ওয়েবে পাঠাতে হবে, আপনার জন্য এই কাজটি করে দেবে এফটিপি।
ওয়েবঃ ডোমেইন নামঃ ডোমেইন নেম আপনার ইন্টারনেট এড্রেসের অংশ। আর থ্রিডবলু এর পরে আসে। যেমন, Tutorialspoint.com এ ডোমেইন নেম হল tutorialspoint.com । ডোমেইন নেম আপনার বাণিজ্যিক পরিচয় হতে পারে তাই এটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। মনে রাখা বা টাইপ করার ক্ষেত্রে সহজ হয় এমন নাম নির্বাচন করা উচিৎ।
ডোমেইন নেম কীভাবে পাবঃ সাইট অনলাইনে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল ডোমেইন নেম কেনা। আপনার পছন্দের নাম না পেলে ভাল অন্য কোনও নামও চলবে। যখন আপনি ডোমেইন নেম কিনলেন তখন তা রেজিস্টার্ড হয়ে গেল, আর বিশাল ডোমেইন নেম রেজিস্টারে উঠে গেলো। আর আপনার আইপি এড্রেস, যা একটি ডিএনএস সার্ভারে স্টোর করা, এবং আপনার যোগাযোগ তথ্য, ওয়েবসাইটের তথ্য ইত্যাদিও সেখানে সংরক্ষণ করা হবে।
আপনি GoDaddy বা এরকম কোথাও থেকে ডোমেইন নেম কিনতে পারেন।
ডোমেইন এক্সটেনশনের টাইপঃ আপনার ডোমেইন নামের জন্য আপনি ডোমেইন এক্সটেনশনের যেকোনো টাইপ বেঁছে নিতে পারেন। এটি মূলত আপনার ব্যবসার ধরনের উপর নির্ভর করে।
যেমন পড়ালেখা সংশ্লিষ্ট সাইটের জন্য .edu এক্সটেনশন নির্বাচন করতে পারেন।
নিচে কিছু এক্সটেনশনের উদাহরণ দেয়া হল তাদের উপযোগিতা সহ, যদিও কোনও কঠোর নিয়ম নেই এক্ষেত্রে, সর্বাধিক ব্যবহৃত এক্সটেনশন হল ডট কম।
• .com − কোম্পানি বা কমার্শিয়াল সাইট বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, তবে যেকোনো সাইটেই ব্যবহৃত হতে পারে।
• .net − নেটওয়ার্ক বোঝায়, সাধারণত নেটওয়ার্ক সাইট নির্দেশ করে।
• .org − অর্গানাইজেশন নির্দেশ করে, আর সাধারণত নন প্রফিট সংস্থা হিসেবে নির্দেশ করে
• .us, .in − দেশের নামের উপর ভিত্তি করে এদের নির্দেশ করা হয়, দেশভিত্তিক অবস্থান নির্দেশ করে।
• .biz − নতুন ধরনের এক্সটেনশন, পুরোপুরি ব্যবসায়িক বিষয় নির্দেশ করে।
• .info − তথ্য সংক্রান্ত বিষয় বোঝায়, নতুন হিসেবে ভাল সফলতা পাচ্ছে।
• .tv − টেলিভিশনের সাথে সংশ্লিষ্ট এক্সটেনশন, টিভি চ্যানেলের ক্ষেত্রে বেশি উপযোগী।
নতুন ডোমেইন এক্সটেনশন যেমন .biz .info আর .us ইত্যাদির ক্ষেত্রে কিছু বেশি চয়েস করা সম্ভব কারণ অনেক জনপ্রিয় নাম নির্বাচিত হতে বাকি রয়ে গেছে। দামের ক্ষেত্রেও এখনও কিছু সুবিধা গ্রাহকরা পেতে পারেন।
ডোমেইন নেম নির্বাচন করাঃ
ডোমেইন নেম আপনার বাণিজ্যের ঠিকানা। তাই এটি নির্বাচন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেকে ডোমেইনে কীওয়ার্ড নিয়ে চিন্তা করেন। কিন্তু এটি ডোমেইন নেম ছোট, মনে রাখার মত আর হাইফেনমুক্ত রাখার পাশাপাশিও করা যায়।
ডোমেইনে কীওয়ার্ড ব্যবহার প্রতিযোগিতার বাজারে ভাল সুবিধা দিতে পারে। এটি সার্চ ইঞ্জিনে ভাল অবস্থান তৈরি করে ভিজিটর বৃদ্ধিসহ গ্রাহকের জন্য লিঙ্ক পাওয়ার সুবিধা তৈরি করে ব্যবসার সফলতার ক্ষেত্রও তৈরি করতে পারে।
লম্বা আর কনফিউজিং ডোমেইন নেম কেনা থেকে বিরত থাকুন। অনেকে ড্যাশ আর হাইফেন ব্যবহার করে তাদের ডোমেইন নেম লিখতে পারে, আগে ডোমেইন নেম নিজে গুরুত্বপূর্ণ রেঙ্কিং ফ্যাক্টর ছিল, কিন্তু বর্তমানে সেটি আর এমন নেই।
আপনার ডোমেইন নেমে দুই বা তিনটি ওয়ার্ড রাখুন, এটি লোকের মনে রাখার জন্য ভাল হবে।যেমন ধরুন eBay, Yahoo!, Expedia, Slashdot, Fark, Wikipedia, Google ইত্যাদি।
মানুষ যেন নাম শুনে আপনার সাইটের নাম বানান করতে পারে, আর আপনি কী বিক্রি করবেন তাও যেন বুঝতে পারে। এক্ষেত্রে কীওয়ার্ড কাজে লাগলে ভাল, না লাগলে কীওয়ার্ডের আইডিয়া বাদ দিতে পারেন।
সাবডোমেইন কীঃ
আপনার প্রয়োজন অনুসারে আপনার ডোমেইনকে আপনি অনেক সাবডোমেইনে বিভক্ত করতে পারেন।আপনার একাধিক ব্যবসা থেকে থাকলে আপনি একই ডোমেইনে বিভিন্ন সাবডোমেইন দ্বারা সেই ব্যবসাগুলো চালাতে পারেন। নিচে উদাহরণের মাধ্যমে জিনিসটি পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হল,
গুগলের ডোমেইন আমরা সবাই দেখেছি, গুগল তাদের ব্যবসার উপর ভিত্তি করে অনেকগুলো সাব ডোমেইন চালু রেখেছে, তাদের কয়েকটি নিচে দেখালাম,
• adwords.google.com − এই সাব ডোমেইন গুগলের এড ওয়ার্ডের জন্য
• groups.google.com − এই সাব ডোমেইন গুগলের গ্রুপের জন্য,
• images.google.com − এই সাব ডোমেইন গুগলের ইমেজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এভাবে আপনি আপনার ব্যবসার জন্য সাবডোমেইন ব্যবহার করে সুন্দরভাবে সাইট চালাতে পারবেন। আপনার যদি অলরেডি সাইটের ডোমেইন নেম থেকে থাকে তাহলে আপনার সার্ভিস প্রভাইডার আপনার সাবডোমেইনের ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন।
ওয়েব- সাইটের গঠনঃ
এখন আপনি একটি সাইটের গঠনের জন্য প্রস্তুত। আর কিছু করার আগে আপনাকে কিছু বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করতে হবে। প্রতিটা ডিটেইল সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বলা সম্ভব নয় তবে মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে কিছু আলোকপাত করছি আমরা এখানে।
ওয়েবসাইটে কি কি রাখবেনঃ এর মূল বিষয়টি নির্ভর করবে আপনার ব্যবসার ধরণ আর সাইটের ধরনের উপরে। যে পেজগুলো মোটামুটি থাকতেই হয় সেগুলো হল
• আকর্ষণীয় হোমপেজঃ সব সাইটে এটি থাকতেই হবে।
• পরিপূর্ণ বর্ণনাসহ পণ্য বা সেবার তালিকা
• মূল্য সংক্রান্ত বিস্তারিত বর্ণনা
• আপনার অর্জনসহ কোম্পানি ও ব্যবসার প্রকার সম্পর্কে তথ্য
• স্টাফ সম্পর্কে তথ্য, সম্ভব হলে তাদের অভিজ্ঞতা
• আপনার সাথে যোগাযোগের বিস্তারিত তথ্য
• ফ্রিকোয়েন্টলি আস্ক কোশ্চেন
• সাকসেস স্টোরি আর গ্রাহকের ফিডব্যাক
আপনার গ্রাহকদের জন্য আপনার সাইটকে আকর্ষণীয় ও উপকারি করে গড়ে তুলুন। সাইটের ভিজিটররাই আপনার গ্রাহক হবে, তাই গ্রাহক সেবাই আপনার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ।
ওয়েবসাইট কিভাবে ডিজাইন করবেনঃ
এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে, নাহলে অনর্থক কষ্টই করা হবে, কাজের কাজ কিছু হবে না। কাগজে বা ইলেকট্রনিক ডকুমেন্টে আপনার প্ল্যান আর ডিজাইন সম্পর্কে খসড়া করুন। এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে তা হল,
• কোন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবেন তা ঠিক করুন। নমনীয়তা আর দ্রুত ডেভলাপমেন্টের সুযোগ কিসে তা বোঝার চেষ্টা করুন। সেই অনুযায়ী কাজ এগিয়ে নিন।
• ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী কাজ করুন যাতে পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে অল্প চেষ্টায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা যায়।
• প্রয়োজনীয় পারফরমেন্স মাথায় রেখে ডিজাইন করুন। ডাটাবেস ভিত্তিক সাইট তৈরি করতে চাইলে ডাটাবেসের উপর ভাল দখল নিয়ে তারপর সাইটটি তৈরি করতে হবে।
• যথাসম্ভব সরল রাখুন আপনার সাইটকে, যেন নতুন কোনও ডেভলপার আপনার ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে পারে প্রয়োজন হলে।
• সাইটের পুনরাবৃত্তিমূলক উপাদান সনাক্ত করে তাদের আলাদা করে রাখুন, যাতে প্রয়োজনে সহজে ব্যবহার করা যায়।
• আপনার ভিজিটরদের প্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করুন, আর সেই অনুযায়ী তাদের রুচি অনুসারে সাইট সাজাতে পারলে ভাল হবে।
• সাইট ভিজিটরের দৃষ্টিতে আপনার সাইটটিকে দেখার চেষ্টা করুন। আপনি ভিজিটর হলে কীভাবে কি খুজতেন এখানে? এমন সাইটের মত কোন সাইট আপনি হলে কি ভিজিট করতেন?
• আপনাকে এমন সাইট বানাতে হবে যা সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব।
আবারো বলছি, আপনার সাইটের উপস্থাপনা সুন্দর হতে হবে। নাহলে, অসংখ্য সাইট আছে প্রায় একই বিষয়ের উপরে, তাই ভিজিটরকে ১ মিনিটের বেশি সময় আটকে রাখা অনেক কঠিন হবে আপনার জন্য।
ওয়েবসাইট ইন্টারেক্টিভ করবেন কী করে?
ইন্টারেক্টিভ সাইট যা দীর্ঘ সময় ধরে ভিজিটরদের চাহিদা মেটায়, সেগুলোর ভিজিটররা গ্রাহক হিসেবে আপনার জন্য অধিক মুনাফার কারণ হবে। তাই ইন্টারেক্টিভ সাইট গুরুত্বপূর্ণ।
কোনও প্রোগ্রামিং স্কিল বা অর্থ ব্যয় না করে সাইট ইন্টারেক্টিভ করা যায় নিচের টুলগুলো ব্যবহার করে,
• পোল
• ফোরাম
• গেস্ট বুক
• চ্যাট রুম
• গ্রিটিং কার্ড
• টেল এ ফ্রেন্ড অপশন
• ফিডব্যাক ফর্ম
• লাইভ কাস্টমার সার্ভিস
• ডেইলি জোক বা ডেইলি কার্টুন
• দৈনিক সংবাদের শিরোনাম,
• সাইট সার্চ ইঞ্জিন
• মেইলিং লিস্ট
• স্বয়ংক্রিয় ফ্রিকোয়েন্টলি আস্ক কোশ্চেন
এই তালিকা লম্বা হতেই থাকবে, আপনার টার্গেট ভিজিটরদের উপর ভিত্তি করে।
আপনার সাইটে কীভাবে কোডিং করবেনঃ
যখন আপনি আপনার সাইট কোডিং করবেন, তখন ভাল সাইটের জন্য আপনার নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা থাকতে হবে,
• আপনার সাইটের ডবলুথ্রিসি এর সকল মানদণ্ড সম্পন্ন করা থাকতে হবে। বর্তমানে সাইট ডেভলাপে এক্সএইচটিএমএল ব্যবহার করা হয়। এটি এইচটিএমএলএর পরিশোধিত রূপ।
• ডবলুথ্রিসি ভ্যালিডেটর দ্বারা আপনার সোর্স কোডভ্যালিডেট করিয়ে নিতে হবে।
• এইচটিএমএল ফাইলের ভেতরে প্রাসঙ্গিক কমেন্ট লিখুন কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত কমেন্ট এড়িয়ে চলুন।
• আপনার স্টাইলশিট, জাভা আর ভিবি স্ক্রিপ্ট আলাদা ফাইলে রাখুন আর প্রয়োজনে ব্যবহার করুন।
• ওয়েব পেজে খুব বেশি গ্রাফিক্স ব্যবহার করবেন না।
• আপনার ওয়েবপেজগুলোকে ডাইন্যামিক্যালি জেনারেট না করিয়ে স্ট্যাটিক রাখার চেষ্টা করুন। .
• পেজে যাতে কোনও ব্রোকেন লিঙ্ক না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
• আপনার ওয়েব পেজগুলো বড় বড় ব্রাউজারে টেস্ট করান ভালভাবে কাজ করছে কিনা।
• সম্ভাব্য সব অবস্থার জন্য স্ক্রিপ্টগুলো টেস্ট করান। টেস্ট না করিয়ে পেজ হোস্ট করাবেন না।
সার্চইঞ্জিন বান্ধব সাইট কীভাবে বানাবেন?
সার্চইঞ্জিন বান্ধব সাইট বানানোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, নাহলে আপনার যেসব কাস্টোমার গুগল বা ইয়াহু ব্যবহার করে আপনাকে খুজছে, তারা আপনাকে খুঁজেও পাবে না।
এটি এতো গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা Search Engine Optimization টিউটোরিয়ালের ব্যবস্থা রেখেছি আর দৃঢ়ভাবে আপনাকে বলছি, সাইট ডেভলাপের আগে এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের অবশ্যই জেনে নেয়া উচিৎ।
সোর্স কোড নিরাপদে রাখাঃ
সাইট ডেভলাপের সময় সম্পূর্ণ সোর্স কোড আলাদা ফাইলে সংরক্ষণ করা উচিৎ যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনও ফাইল ডিলিট হলে সেগুলো আবার ফিরে পাওয়া যায়। দৈনিক বা ঘণ্টা ভিত্তিতে ব্যাকআপ রাখার চর্চা করা তাই খুব উপকারি অভ্যাস হতে পারে।অন্য কোনও মেশিন বা মিডিয়ায় এটি সংরক্ষণ করতে হবে।
ওয়েবঃ হোস্টিংএর কনসেপ্ট
ওয়েব হোস্টিং মূলত আপনার সাইটের কন্টেন্টকে ওয়েব সার্ভারে রাখা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। আপনার সাইট আপনার নিজের সার্ভারে রাখা একটি অপশন হতে পারে। কিন্তু এটা সাধারণত অনেক ব্যয়বহুল হতে পারে। তাই সেটা নিয়ে আমরা এখানে আপাতত আলোচনা করছি না।
সার্ভার স্পেস কেনা বা কোনও আইএসপির থেকে কমপ্লিট সার্ভার ভাড়া করা সবচেয়ে কমন বিষয়। এখন আমরা এখানে হোস্টিং টাইপ নির্বাচন ও আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
হোস্টিং প্লাটফর্মঃ
সচরাচর ব্যবহৃত এই দুটি অপশনের যে কোনটি আপনি আপনার সাইটের জন্য বেঁছে নিতে পারেন,
• উইন্ডোজ হোস্টিং সার্ভিস উইন্ডোজের বিভিন্ন ফ্লেভারে চালিত হোস্টিং সার্ভিস, Windows hosting লাইসেন্স ও অন্যান্য কারণে কিছুটা ব্যয়বহুল।
• লিনাক্স হোস্টিং সার্ভিস লিনাক্স হোস্টিং সার্ভিসের খরচ উইন্ডোজ থেকে কিছুটা কম পড়বে, আর অন্যান্য সুবিধাও কিছুটা বেশি। অনেক আইএসপি আছে যারা ইউনিক্সের বিভিন্ন হোস্টিং সার্ভারের সুবিধা দিয়ে থাকে।
হোস্টিং টাইপঃ এক্ষেত্রে অনেকগুলো অপশন আছে, আপনি আপনার রিকয়ারমেন্ট ও বাজেটের উপর ভিত্তি করে যেকোনো ধরনের হোস্টিং টাইপ নির্বাচন করতে পারেন। প্রধান প্রধান অপশনগুলো নিয়ে আলোচনা করা হল।
ফ্রি হোস্টিংঃ
নিজেদের বিজ্ঞাপন চালুর শর্তে অনেক সার্ভিস প্রভাইডার ফ্রিতে ওয়েব স্পেস দিবে আপনাকে হোস্টিংএর জন্য। geocities.com, lycos.com, myspace.com এরা এরকম সাইট।
শেয়ারড হোস্টিংঃ শেয়ারড হোস্টিংএ আপনার সাইট অন্য অনেক সাইটের সাথে কোনও শক্তিশালী সার্ভারে হোস্টেড হবে। আপনার নিজস্ব ইউজার আইডি থাকবে, পাসওয়ার্ড থাকবে শেয়ারড হোস্টিংএ লগইন করার জন্য, আর নিজের ওয়ার্ক এরিয়াতে আপনি কাজ করতে পারবেন। অন্যান্য হোস্ট পার্টনারদের কোনও কিছু আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। ছোটখাট সাইটের জন্য এধরণের হোস্টিং খুবই উপযোগী যেখানে আপনার সাইটের স্থান বা গতি খুব গুরুত্বপূর্ণ না। একটি সাইটের ট্র্যাফিক অন্য সব হোস্টেড সাইটের গতির উপর প্রভাব ফেলে এখানে।
ভার্চুয়াল ডেডিকেটেড হোস্টিংঃ
মধ্যম ধরনের ব্যবসার জন্য এই ধরনের হোস্টিং খুব উপযোগী। এই সিস্টেমে আমরা আমাদের সাইটের জন্য ডেডিকেটেড ব্যান্ডউইথ আর ডেডিকেটেড RAM পাব। ওয়েব সার্ভার মেইনটেনের জন্য রুট আইডি আর পাসওয়ার্ড থাকবে। আপনার ভার্চুয়াল ডেডিকেটেড সার্ভারের একক মালিক হবেন আপনি, যে কোনও সফটওয়ার ইন্সটল বা বাদ দেয়ার ক্ষমতাও আপনার থাকবে। এধরণের হোস্টিং সিঙ্গেল সার্ভারের উপর স্থাপিত হয়, এটি এমন ভাবে চালিত হয় যেন প্রত্যেক ইউজারের নিজস্ব ডেডিকেটেড ব্যান্ডউইথ আর স্পীড থাকে। একটু ব্যয়বহুল হলেও মাঝারি ব্যবসার জন্য এধরণের হোস্টিং খুবই উপযোগী।
ডেডিকেটেড হোস্টিংঃ
এই সিস্টেম ভার্চুয়াল ডেডিকেটেড হোস্টিংএর মতই কিন্তু সম্পূর্ণ মেশিন আপনার জন্য বরাদ্ধ থাকবে, বিধায় খরচও অনেক বেশি ভার্চুয়াল ডেডিকেটেড হোস্টিং থেকে । তাই খুব বেশি ট্র্যাফিকের সম্ভবনার সাথে এটি সংশ্লিষ্ট হতে পারে।
কোলোকেটেড হোস্টিংঃ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডেডিকেটেড রিসোর্স সেট করা অনেক কঠিন হতে পারে, আগুন বা নাশকতার বিরুদ্ধে নিরাপত্তার প্রশ্নে, ব্যাকআপ পাওয়ার, ডেডিকেটেড ইন্টারনেট সংযোগ ইত্যাদির ক্ষেত্রে। কোলোকেশন এখানে একটি অপশন যেখানে আপনি আপনার মেশিন সার্ভিস প্রভাইডারের আওতায় রাখতে পারেন এসব সুবিধা পাওয়ার জন্য। এটিও অনেক ব্যয়বহুল তাই খুব বেশি ট্র্যাফিকের সম্ভবনার সাথে এটি সংশ্লিষ্ট ।
হোস্টিং কম্পোনেন্টঃ
ওয়েব সার্ভার স্পেস কেনার সময় নিচের বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, কারণ এগুলোর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সার্ভিস প্রভাইডারের ক্ষেত্রে খরচের তারতম্য হতে পারে।
ডিস্ক স্পেসঃ
ছোট বা মাঝারি সাইটের জন্য ১০থেকে ১০০ মেগাবাইট মত ডিস্ক স্পেস দরকার হতে পারে। আপনি যদি প্রচুর অডিও বা ভিডিও ফাইল সাইটে রাখতে চান তাহলে আরও বেশি জায়গা লাগবে। আর ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আরও ডিস্ক স্পেস নেয়া যাবে কিনা তা মাথায় রাখুন।
মাসিক ট্র্যাফিক
ছোট বা মাঝারি সাইটের জন্য ১ থেকে ১০ গিগাবাইট ডাটা ট্রান্সফারের সুবিধা থাকতে হবে। অডিও বা ভিডিও ফাইল সাইটে রাখতে এই পরিমানের বেশি ক্যাপাসিটি দরকার হবে। নির্দিষ্ট সীমার বেশি ট্র্যাফিকের ক্ষেত্রে কি হবে তাও জেনে রাখুন আগে থেকেই।
প্রসেসিংএর গতিঃ
শেয়ারড মেশিনে স্পেস কিনলে আপনার প্রসেসিংএর গতি সম্পর্কে কিছু করার নেই, একই সার্ভিস প্রভাইডারের অধীনে অন্যদের অবস্থা দেখে হয়ত কিছুটা অনুমান করতে পারবেন। ভার্চুয়াল ডেডিকেটেড হোস্টিং বা ডেডিকেটেড হোস্টিং হলে আপনাকে কতটা RAM দেয়া হয়েছে তা থেকে কিছুটা জানা যেতে পারে। আপনি কেমন খরচ করছেন তার উপর নির্ভর করবে আপনি কেমন প্রসেসিং ক্ষমতা পাচ্ছেন, সেটি।
কানেকশনের স্পীডঃ
আজকাল সব সার্ভিস প্রভাইডারের স্পীডই অনেক ভাল, দেখেশুনে বিটস পার সেকেন্ড একক হিসেবে ভাল সার্ভিস প্রভাইডারের কাছ থেকে কানেকশন নিয়ে নিন। ৬৪ কিলোবাইট পার সেকেন্ড থেকে ২.৪৮৮ গিগা স্পীডের পর্যন্ত গতির কানেকশন আছে।
ইমেইল একাউন্টঃ
পর্যাপ্ত ইমেইল একাউন্ট ঠিক করে রাখুন। অনেক কাজে লাগতে পারে।যেমন IMAP, POP আর ইমেইল ফরোয়ার্ডিং অপশন ইত্যাদিও পেতে পারেন ইমেইল ফ্যাসিলিটির সঙ্গে।
ইমেইলিং সাপোর্টঃ
ইমেইল একাউন্ট থাকার পাশাপাশি আপনার সার্ভারের ব্যাকএন্ড থেকে ইমেইল পাঠানোর সক্ষমতা থাকতে হবে, যদি গ্রাহক আপনার সাথে ফর্মের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য চেষ্টা করে তাহলে আপনার ইমেইল সার্ভিসের সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে যেন সেটি মেইলটিকে আপনার অভীষ্ট ইমেইলে প্রেরণ করে দেয়। সহজ করে বলতে গেলে, এসএমটিপি সার্ভার যেন আপনার সার্ভারে সেটআপ করা আর চালু অবস্থায় থাকে।
আধুনিক প্রযুক্তিঃ
আপনার সার্ভারে আধুনিক সব প্রযুক্তি চালু আছে এটি নিশ্চিত করবেন, পিএইচপি, পার্ল, এএসপি, জাভার সর্বশেষ সংস্করণ যাতে সমর্থিত থাকে সেদিকে দৃষ্টি দেবেন।
ডাটাবেসঃ
অনেকগুলো ডাটাবেস আছে, মাইএসকিউএল, ওরাকল, এসকিউএল সার্ভার ইত্যাদি।আপনার ডাটাবেস রিকয়ারমেন্টের উপর ভিত্তি করে আপনাকে এদের থেকে বাছাই করতে হবে। শেয়ারড সার্ভারে আপনার সাইট থাকলে জানতে হবে কতটা জায়গা আপনি পাচ্ছেন ডাটাবেসের জন্য। অনেক সার্ভিস প্রভাইডারই খুব বেশি জায়গা দেয় না ডাটাবেসের জন্য। ডাটাবেসের জন্য বেশি জায়গা যদি আপনার প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে ভার্চুয়াল ডেডিকেটেড হোস্টিং আপনার জন্য উপযোগী হতে পারে।
সার্ভার আপটাইমঃ
স্বনামধন্য ও নির্ভরযোগ্য সার্ভিস প্রভাইডারের কাছ থেকে সার্ভার নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। যারা ৯৯.৯৯ শতাংশ আপটাইম আপনাকে দিতে পারবেন, তাদের কাছেই যাওয়া উচিৎ। অনেক সার্ভিস প্রভাইডার আছেন যারা আপনাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরও আপনার সার্ভার ডাউন থাকার পর।
ব্যাকআপ ও এফটিপিঃ
এটি নিশ্চিত হওন যেন আপনার সার্ভিস প্রভাইডার আপনাকে ব্যাকআপ রাখার যথেষ্ট সুযোগ দিচ্ছে। বিশেষ করে যখন আপনার সাইট ঘনঘন পরিবর্তিত হয়। অনেক সার্ভিস প্রভাইডার অল্প খরচের বিনিময়ে এক্ষেত্রে বাড়তি সেবা দিয়ে থাকে।
কন্ট্রোল প্যানেলঃ
আপনার হোস্টিং একাউন্ট মেইনটেইনের জন্য কি ধরনের সুবিধা পাচ্ছেন তা নিশ্চিত হওন। আপনার সার্ভিস প্রভাইডার আপনাকে সহজে ব্যবহারযোগ্য কন্ট্রোল প্যানেল সুবিধা দিচ্ছে কিনা তা জানুন। কন্ট্রোল প্যানেলের মাধ্যমে কিছু বেসিক অপারেশন আপনি সহজে পরিচালনা করতে পারবেন, যেমন সার্ভিস রিকোয়েস্টের লগইন, রিবুট রিকোয়েস্ট, আর এমন আরও কিছু বিষয়।
কাস্টমার সাপোর্টঃ
আপনার সার্ভিস প্রভাইডারের সাথে ডিল করার আগে জেনে নিন তারা আপনাকে সব সুবিধা দেবে কিনা। আপনার পরিচিত জনদের কাছ থেকে ভাল সার্ভিস প্রভাইডারের খোঁজ পেতে পারেন। অনেক সার্ভিস প্রভাইডার আপনাকে চব্বিশ ঘণ্টা টেকনিক্যাল ও নন টেকনিক্যাল বিভিন্ন বিষয়ে সমাধান দিতে প্রস্তুত আছেন।
ওয়েবঃ ই-কমার্স হোস্টিং
যদি আপনার সাইটে কোনও ধরনের ট্রানজেকশন অর্থাৎ বেচাকেনা হয় কোনও পণ্য বা সেবার, তাহলে আপনার সাইটটি ই-কমার্স সাইট বলে ধরা যাবে। আমরা এখন এবিষয়ে আলোচনা করব, ই-কমার্স সাইট সম্পর্কে সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়ত এখানেও সম্ভব হবে না, তবে মৌলিক কিছু বিষয়ে আলোকপাত করা হবে যার থেকে আপনি আপনার কিছু দিকনির্দেশনা পেয়ে যাবেন।
ই-কমার্স সাইট হোস্টিং একটু ব্যয়বহুল। তবে এতো বেশি নয় যে আপনি শুরুই করতে পারবেন না। আজকাল ই-কমার্স সাইট সেটআপ করা খুবই সহজ। মূল বিষয় হল ভাল সার্ভিস প্রভাইডার খুঁজে পাওয়া আর সঠিক তথ্য একসাথে করা।
অনেক সার্ভিস প্রভাইডার আছে যারা আপনার ভার্চুয়াল স্টোর রেডি করে দেবে, খুব কম খরচে। এছাড়াও গুগল তাদের একাউন্ট সার্ভিস চালু করেছে যেখানে আপনি আপনার পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন। তবে, ই-কমার্স সাইট সেটআপ করার সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে সেগুলো হল,
• কাস্টমার রেজিস্ট্রেশন
• কাস্টমার ট্রানজেকশন
• প্রোডাক্ট ক্যাটালগ
• কাস্টমার অর্ডার
• অর্ডার সিকিউরিটি
• সার্ভার সিকিউরিটি
• সার্ভার ব্যবস্থাপনা
• সার্ভার ডাউনটাইম
• ইনভেন্টরি কন্ট্রোল
• শিপমেন্ট মেথড
• পেমেন্ট মেথড
• ফরেন কারেন্সি
• ক্রেডিট কার্ড
• ট্যাক্স ইস্যু
আপনার সার্ভিস প্রভাইডারের সাথে এবিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা উচিৎ, কীভাবে তিনি এবিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে সাহায্য করবেন।
ওয়েব- সাইট ব্যাকআপ
ধরুন, আপনার সার্ভারের হার্ডডিস্ক ক্রাশ করল। অথবা আপনার সাইট হ্যাক করা হল, হ্যাকার সব ফাইল ডিলিট করে দিল। আপনার ওয়েব হোস্ট আপনার সব টাকা আর ডাটা নিয়ে উধাও হয়ে গেল। অথবা, ভুমিকম্পে আপনার সার্ভিস প্রভাইডারের ভবন ধ্বসে গেলো, সব কিছু ধ্বংস হল।
সত্যি বলছি, এমন কখনো হয় না। তারপরও যদি আপনি এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত না থাকতে পারেন, তাহলে হয়ত কখনো আপনার সব কষ্ট বৃথা যেতে পারে। আপনার ডাটার ব্যাকআপের কথা আমরা এজন্যই বলছি।
এখন, কিছু প্রশ্ন উঠতে পারে, Now there are many questions −
• কত সময় পরপর ব্যাকআপ নেব
• ব্যাকআপ কোথায় সংরক্ষিত হবে
• কি ধরনের ব্যাকআপ নেয়া হবে
• ব্যাকআপ নেবে কে
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর একএক করে দেয়া হল নিচে,
কত সময় পরপর ব্যাকআপ নেবঃ যদি আপনার সাইট অনেকদিন পরপর চেঞ্জ হয় তবে একবার ব্যাকআপ নিলেই যথেষ্ট। প্রয়োজনে আবার রিস্টোর করে কাজ করছে কিনা দেখে নিলেই হবে। আর যদি নিয়মিত সাইট আপডেট করা হয় তবে রেগুলার ব্যাকআপ নিতে হবে। আমাজন টাইপের সাইটে ব্যাকআপের জন্য খুব কঠিন শিডিউল আর স্ট্রাকচার ফলো করা হয়। এগুলো খরচসাপেক্ষও বটে।
এটা আসলে আপনার ব্যবসার ধরনের উপর নির্ভর করে, যদি আপনি একদিনের ডাটাও হারালে কঠিন সমস্যায় পরেন তাহলে আপনাকে দৈনিকই আপডেট করতে হবে ব্যাকআপ, আর যদি সপ্তাহে বা মাসে ব্যাকআপ নিলেও চলে, তাহলে তাও করতে পারেন।
ব্যাকআপ কোথায় সংরক্ষণ করবেন?
সাধারণত এক মেশিন থেকে অন্য মেশিনে ডাটা সরিয়ে রাখা হয় ব্যাকআপ এর জন্য। সম্ভব হলে ব্যাকআপ সার্ভার ব্যবহার করে এফটিপি ব্যবহার করে সেখানে ডাটা সরিয়ে রাখতে পারেন। অল্প ডাটা হলে সিডি বা ডিভিডিতে ব্যাকআপ সংরক্ষণ করতে পারেন। একাধিক ব্যাকআপ ব্যবস্থা রাখতে পারেন। অনেক সার্ভিস প্রভাইডার আছে যারা অল্প খরচে ব্যাকআপ সার্ভার ব্যবহার করার সুযোগ করে দেয়।
কি ধরনের ব্যাকআপ নেবঃ
দুই ধরনের ব্যাকআপ আছে, ইনক্রিমেন্টাল আর ফুল ব্যাকআপ। সঞ্চিত তথ্যের মধ্যে তুলনা করে আপডেট করা ব্যাকআপ করা হয় ইনক্রিমেন্টাল ব্যাকআপে আর ফুল ব্যাকআপ সম্পূর্ণ তথ্য সংরক্ষণের কাজ করে।
কে নেবে ব্যাকআপ?
সীমিত ডাটার ক্ষেত্রে সাইটের সব ফাইল কপি করে নিয়ে নিলেই চলে, কিন্তু বিশাল ডাটাবেস বা অসংখ্য ফাইলের ক্ষেত্রে দৈনিক বা সাপ্তাহিক আপডেট করা অসম্ভব মনে হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে অটোমেটেড স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করতে হবে। সেল স্ক্রিপ্ট বা পার্ল স্ক্রিপ্ট দ্বারা বিভিন্ন ডিরেক্টরি থেকে ফাইল নিয়ে জিপ করে স্বতন্ত্র ব্যাকআপ নাম্বার দিয়ে এফটিপি করে নির্ধারিত অভীষ্ট লক্ষ্যে প্রেরণ করতে হবে।
শেষ কথাঃ
আপনি আপনার ব্যাকআপ কীভাবে রাখবেন তা আপনার উপরই নির্ভর করে। সঠিকভাবে নিয়মিত ব্যাকআপ আপনাকে নিতেই হবে, নাহলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হতেই পারে।
It is up to you to decide how you want to take your backup. If you are a website owner, then you must take regular backup without failure. Else, it might lead to serious consequences.
ওয়েবঃ সাইট পরিসংখ্যান
আপনার সাইট একবার চালু হয়ে গেলে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার ভিজিটররা কেমন আসছে, তারা কি করছে বা চাইছে ইত্যাদি। নিচের বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জানা থাকতে হবে,
• আপনার ভিজিটর কে −ভিজিটরের অবস্থান আর পরিচয় সম্পর্কে জানা থাকতে হবে, আইপি এড্রেস নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে।
• ভিজিটরের টাইম স্টেম্প− সার্ভার ডাউনের প্রস্তুতি হিসেবে বেশি ভিজিটর আসার সময় জানা থাকা, আর কোনও ভিজিটরের সম্পর্কে তদন্ত হলে তার ভিজিটের সময় আর আইপি সম্পর্কে জানা থাকা।
• ভিজিটররা কী প্রেফার করছে −এটি থেকে আপনি ধারণা করতে পারেন কিসে আপনার বেশি গুরুত্ব দেয়া দরকার আপনার সাইটে।
• ভিজিটররা কীভাবে আসছে−জানা থাকতে হবে ভিজিটরের আগমনের হেতু, সরাসরি নাকি অন্য সাইট বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে।
• কতক্ষন তারা সাইটে থাকছে −এটি ঠিক করে আপনার সাইটের উপযোগিতা। যদি কম সময় পরে তারা সাইট ছেড়ে চলে যায়, তবে আপনাকে উদ্ভাবনী উপায় খুঁজতে হবে তাদের সাইটে রাখার জন্য।
• ভিজিটরের ব্রাউজারঃ − আপনার সাইট ইমপ্রুভ করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ , এদিকেও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।
সাইট পরিসংখ্যান প্রোগ্রাম
অনেক সাইট আছে যার উপরের আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।
• আপনি Googles Analytics ব্যবহার করে আপনার সাইট পরিসংখ্যান জানতে পারেন,
• এটি Webalizer. ব্যবহার করেও বেসিক সাইট পরিসংখ্যান জানতে পারেন
• আপনার সাইটের সাইট পরিসংখ্যান জানতে পারেন AWStats.এখান থেকেও।
সাইট পরিসংখ্যান টারমিনোলজিঃ
সাইট পরিসংখ্যানের সাথে সম্পৃক্ত কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন,
• ইউনিক ভিজিটর- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইউনিক ভিজিটরের সংখ্যা
• মোট ভিজিট − নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মোট ভিজিটের সংখ্যা
• পেজ ভিউ বা ইমপ্রেসন − প্রতিবার একটি সাইটের পেজ লোড হলে তা পেজ ভিউ বলে গণ্য হবে।
• হিটস- এটি পেজ ভিউয়ের মতই, আপনার সাইটের কোনও লিঙ্কে ক্লিক করার সাথে সম্পর্কিত।
• ডিরেক্ট এক্সেসঃ ব্রাউজারে লিখে বা সরাসরি আপনার সাইটে প্রবেশ করেছে এমন ভিজিটরের হিসাবে এটি পরিমাপ করা হয়।
• রেফারার আর রেফারেল ইউআরএল − অন্য কোনও সাইট এড্রেস যেখান থেকে আপনার সাইটে আসার নির্দেশনা লিঙ্ক আছে, এমন বিষয় এতে সংশ্লিষ্ট। .
ওয়েব- সাইটের জনপ্রিয়তাঃ
আপনি একটি সাইট ডিজাইন করেছেন, ডেভলাপ করেছেন, হোস্টেডও করেছেন। এখন চিন্তা করার সময় এসেছে কতজন ভিজিটর আপনার এড্রেস আর সেবা সম্পর্কে জানে।
মূলত সাইট হোস্টিংএর পরেই আসল কাজ শুরু হয়। সাইটের জনপ্রিয়তা পেতে কিছু কাজ করতে হয়, স্বল্প পরিসরে সবকিছু হয়ত বর্ণনা করা কঠিন, কিন্তু এবিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল নিচে।
সার্চ ইঞ্জিন সম্পৃক্ত করাঃ গুগল, ইয়াহু আর এমএসএন জাতীয় সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইট পরিচিত করান, অটোমেটেড সফটওয়ার ব্যবহার করবেন না।
ওপেন ডিরেক্টরি যোগ করুনঃ dmoz.com আর yahoo.com জাতীয় ওপেন ডিরেক্টরি যোগ করুন, আপনার সাইটের জনপ্রিয়তা পাওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যাবে।
গুগল এড ওয়ার্ড – গুগলের পরিষেবা, এরসাথেও সংযুক্ত হতে পারেন সাইটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে।
এছাড়াও এডভারটাইজিং প্রোগ্রাম, হোয়াইট পেপার ও আর্টিকেল, সাইট লিঙ্ক এক্সচেঞ্জ ইত্যাদিও সাইটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে।
ওয়েবঃ ফ্রি গ্রাফিক্সঃ
যেকোনো সাইটের জনপ্রিয়তার জন্য সুন্দর গ্রাফিক্স ভাল অবদান রাখতে পারে। আপনি ওয়েব থেকে ফ্রি গ্রাফিক্স নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন আপনার সাইটের জন্য। অনেকে নিজে গ্রাফিক্স তৈরি করে নেয়, তবে আপনি নিজেও ওয়েব থেকে ফ্রি গ্রাফিক্স পেতে পারেন ইচ্ছেমত। ফ্রি গ্রাফিক্স সম্পর্কে জানতে দেখতে পারেন এখানে, Free Web Graphics. ।
May 08
ওয়েবের বেসিক কনসেপ্টঃ
ইন্টারনেট কীঃ ইন্টারনেট কম্পিউটিং রিসোর্সের একটি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক। আমরা ইন্টারনেটকে শেয়ারড রিসোর্স হিসেবে রাউটার ও সার্কিটের ফিজিকাল কালেকশন হিসেবে দেখতে পারি। আগে এর কিছু কমন সংজ্ঞা দেয়া হত যার মধ্যে আছে,
• যেসব নেটওয়ার্ক টিসিপি/ আইপি কমুনিকেশন প্রটোকল মেনে চলে তাদের নেটওয়ার্ক,
• সেই নেটওয়ার্ক ডেভলাপ ও ব্যবহার করে এমন লোকেদের কমিউনিটি
ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবাঃ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা কিছু মৌলিক সুবিধা ভোগ করে থাকে, সেগুলো হল,
ইমেইলঃ সাড়া বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা অন্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সাথে দ্রুত, সহজে ও কম খরচে যোগাযোগের উপায় হল ইমেইল।
টেলনেটঃ কোনও ইউজারকে লোকাল সিস্টেমের মত কোনও রিমোট কম্পিউটারে লগ ইনের সুযোগ দেয়।
এফটিপিঃ কোনও ইউজারকে ইন্টারনেট সংযুক্ত এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে যেকোনো ফাইল স্থানান্তরের সুবিধা দেয়।
ইউজনেট নিউজঃ এটি একটি ডিস্ট্রিবিউশন বুলেটিন বোর্ড যা সহস্র বিষয়ে আলোচনা ও তথ্যের সার্ভিস দেয়।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবঃ ইন্টারনেট ইনফরমেশন রিসোর্সের একটি হাইপারটেক্সট রিসোর্স।
থ্রি ডবলু কী?
থ্রি ডবলু বলতে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবকে বোঝায়। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটি টেকনিক্যাল সংজ্ঞা হল, ইন্টারনেটের সকল ব্যবহারকারী আর রিসোর্স যা হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল বা এইচটিটিপি ব্যবহার করে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কনসোর্টিয়াম বা ডবলুথ্রি সি যে সংজ্ঞা সমর্থন করে তা হল, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হল নেটওয়ার্ক এক্সেসিবল তথ্যের জগত, যা মানব সভ্যতার তথ্যভাণ্ডার বলে বিবেচিত হতে পারে।
সহজ কথায় বলতে গেলে, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হল ইন্টারনেটে সংযুক্ত কম্পিউটারের তথ্য আদানপ্রদানের উপায়, আর সমন্বিত মাল্টিমিডিয়া রিসোর্সের বিশাল ভাণ্ডার।
এইচটিটিপি কী?
এইচটিটিপি হল হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল। এটি সেই প্রটোকল যা হাইপারটেক্সট ডকুমেন্ট ট্রান্সফারের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটির জন্য ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সম্ভব হয়েছে। আদর্শ ওয়েব এড্রেস যেমন Yahoo.com হল ইউআরএল , আর এর প্রেফিক্স এইচটিটিপি এর প্রটোকল নির্দেশ করে।
ইউআরএল কীঃ ইউআরএল মানে ইউনিফরম রিসোর্স লোকেটর। এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে ঠিকানা খুঁজে পেতে ব্যবহৃত হয়। ওয়েবে সংযুক্ত যেকোনো রিসোর্স সনাক্ত করার জন্য এটি মৌলিক নেটওয়ার্ক। ইউআরএল নিচের ফরম্যাটে থাকে।
protocol://hostname/other_information
কোনও লিঙ্ক থেকে কীভাবে তথ্য ট্রান্সফার হয় তা নির্ধারণ করে প্রটোকল। ওয়েব রিসোর্সের জন্য যে প্রটোকল ব্যবহৃত হয় তা হল হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল। অন্য প্রটোকলগুলো এফটিপি , টেলনেট, নিউজগ্রুপ আর গোফারসহ সাথে বেশিরভাগ ব্রাউজারের সাথে কাজ করতে সক্ষম। প্রটোকলের পরে একটি কোলন, দুটি স্ল্যাস, আর তারপর ডোমেইন নেম থাকে।
নির্দিষ্ট কোনও ফাইল বা সাবডিরেক্টরির লিঙ্ক থাকলে তা ডোমেইন নেমের পরে নির্ধারিত থাকে।ডিরেক্টরির নাম সিঙ্গেল ফরোয়ার্ড স্ল্যাসের মাধ্যমে পৃথক করা থাকে।
ওয়েবসাইট কীঃ এই মুহূর্তে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট Tutorialspoint.comতে আছেন যা এইচটিএমএল মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজে লেখা অনেকগুলি পেজের সমষ্টি। এটি এমন একটি লোকেশন যেখানে লোকজন সর্বশেষ প্রযুক্তির উপর টিউটোরিয়াল পেতে পারেন। এরকম লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে আছে। ওয়েবসাইটে পাওয়া প্রতিটা পেইজকে ওয়েব পেইজ বলা হয়। আর কোনও সাইটের প্রথম পেজকে তার হোমপেজ বলে।
ওয়েব সার্ভার কাকে বলে?
প্রতিটা ওয়েবসাইট যে কম্পিউটারে প্রতিষ্ঠিত আছে তাকে ওয়েব সার্ভার বলে। এই সার্ভার সবসময় ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকে। ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত সকল ওয়েব সার্ভারের একটি স্বতন্ত্র এড্রেস থাকে, যা ০ থেকে শুরু করে ২৫৬ পর্যন্ত কোনও চার সংখ্যার সিরিজের মাধ্যমে প্রকাশিত আর যা পিরিয়ড দ্বারা পরস্পর থেকে পৃথক করা। যেমন, 68.178.157.132 অথবা 68.122.35.127।
যখন আমরা ওয়েব এড্রেস রেজিস্টার করি, যাকে ডোমেইন নামও বলা যায়, যেমন tutorialspoint.com, তখন আমাদের ওয়েব সার্ভারের আইপি এড্রেস নির্ধারণ করতে হয়, যা সাইটকে হোস্ট করবে।
ওয়েব ব্রাউজার কী?
ওয়েব ব্রাউজার আমাদের পিসিতে ইন্সটল করা সফটওয়ার। ওয়েবে ঢুকতে আমাদের একটি ওয়েব ব্রাউজার দরকার, যেমন নেটস্কেপ ন্যাভিগেটর, মাইক্রোসফট ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার অথবা মজিলা ফায়ারফক্স। আমাদের সাইট tutorialspoint.com নেভিগেট করার সময় আপনি অবশ্যই কোনও ব্রাউজার ব্যবহার করছেন। ওয়েবে কোনও পেজ ইনফরমেশনের জন্য নেভিগেট করাকে সাধারণত ব্রাউজিং বা সার্ফিং বলা হয়।
এসএমটিপি সার্ভার কী?
এসএমটিপি মানে হল সিম্পল মেইল ট্রান্সফার প্রটোকল। এই সার্ভার এক সার্ভার থেকে অন্য সার্ভারে মেইল প্রেরণের বিষয়টি দেখে থাকে। যখন আমরা কোনও ইমেইল এড্রেসে ইমেইল পাঠাই তখন সেটি এসএমটিপি সার্ভার হয়ে এর প্রাপকের কাছে পৌঁছে।
আইএসপি কী?
আইএসপি হল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার। এরা সেই কোম্পানি যারা ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকার জন্য সংযোগ সংক্রান্ত সার্ভিস দিয়ে থাকে।
এইচটিএমএল কী?
এইচটিএমএল হল হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ । এটি সেই ভাষা যে ভাষায় আমরা ওয়েবসাইটের পেজ লিখে থাকি। এমনকি এই মুহূর্তে আপনি যে পেইজ পড়ছেন তা এইচটিএমএলে লেখা। এটি স্ট্যান্ডার্ড জেনারেলাইজড মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ বা এসজিএমএলের সাবসেট , যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জন্য বিশেষভাবে রূপান্তরিত।
হাইপারলিঙ্ক কী?
হাইপারলিঙ্ক বা শুধু লিঙ্ক হল কোনও ইলেকট্রনিক ডকুমেন্টের মধ্যে থাকা সিলেক্ট করার যোগ্য উপাদান যা অন্য ইলেকট্রনিক ডকুমেন্টে যাওয়ার প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত অন্য কোনও লিঙ্কড রিসোর্সে যাওয়ার জন্য আমরা এই লিঙ্কে ক্লিক করি। বিভিন্ন বাটন, আইকন, ইমেজ ম্যাপ আর ক্লিকেবল টেক্সট লিঙ্ক ইত্যাদিকে হাইপারলিঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
ডিএনএস কী?
ডিএনএস এর পূর্ণ নাম হল ডোমেইন নেম সিস্টেম। কেউ আপনার ডোমেইন নেম টাইপ করলে যেমন www.example.com টাইপ করলে আপনার ব্রাউজার ডোমেইন নেম সিস্টেমকে জিজ্ঞেস করবে সেই আইপি এড্রেস খুঁজে বের করতে যা আপনার সাইটকে হোস্ট করছে। যখন আপনি আপনার ডোমেইন নেম রেজিস্টার করবেন, তখন ডোমেইন নেমের সাথে আইপি এড্রেসও ডিএনএসে রাখা হবে। এটি করা ছাড়া ডোমেইন নেম ঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না।
ডবলুথ্রিসি কী?
ডবলুথ্রিসির পুরো মানে হল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কনসোর্টিয়াম । এটি একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম যার আওতায় আছে ইন্টারনেট ও ওয়েবের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানি।
১৯৯৪ সালে টিম বারনারস লি ডবলুথ্রিসি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিযোগিতামূলক কারণে বহুমুখী বিভাজন নয় বরং ওপেন স্ট্যান্ডার্ডের মত একমুখী উন্নয়নের প্রত্যাশায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এইচটিটিপি ও এইচটিএমএলের মূল স্ট্যান্ডার্ড বডি হল এই ডবলুথ্রিসি।
ওয়েবঃ এটি কীভাবে কাজ করে?
একদম সরল ভাবে দেখতে গেলে, ওয়েব নিচের উপাদানগুলোর সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে,
• আপনার পারসোনাল কম্পিউটারঃ যেখানে বসে আপনি ওয়েবকে দেখেন বা যুক্ত থাকেন।
• ওয়েব ব্রাউজার ঃ আপনার পিসিতে ইন্সটল করা সফটওয়ার যা ওয়েব ব্রাউজিং করতে আপনাকে সাহায্য করে,
• ইন্টারনেট সংযোগঃ আইএসপি এই সুবিধা দেয় আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো সাইটে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় আপনাকে।
• ওয়েব সার্ভারঃ একটি কম্পিউটার যাতে ওয়েবসাইট হোস্টেড থাকে।
• রাউটার আর সুইচঃ এটি সফটওয়ারের ও হার্ডওয়ারের সমন্বয় যা আমাদের রিকোয়েস্ট নিয়ে সার্ভারে পৌঁছে দেয়।
ওয়েবকে ক্লায়েন্ট সার্ভার সিস্টেম বলে, আপনার কম্পিউটার ক্লায়েন্ট, আর রিমোট কম্পিউটার যেখানে ইলেকট্রনিক ফাইল সংরক্ষিত থাকে সেটি সার্ভার।
ওয়েব যেভাবে কাজ করেঃ Google.com বা এরকম কিছুতে আমরা যখন প্রবেশ করি তখন রিকোয়েস্ট ইন্টারনেটের অনেক স্পেশাল কম্পিউটার যথা ডোমেইন নেম সিস্টেমে চলে যায়। বিভিন্ন রাউটার আর সুইচের মাধ্যমে সেগুলো রাউটেড হয়। ডোমেইন নেম সার্ভার মেশিন নেম ও আইপি এড্রেস সংরক্ষণ করে, তাই আমরা যখন Google.com টাইপ করি তখন সেটি একটি নাম্বারে রূপান্তরিত হয়, এটি সেই কম্পিউটার চিনে নেয় যা আপনার কাছে গুগলের সাইটকে তুলে ধরবে।
যখন আমরা ওয়েবে কোনও সাইট দেখি তখন ব্রাউজার ব্যবহার করে আমরা কোনও পেজকে রিকোয়েস্ট করি। ডোমেইন নেমকে আইপি এড্রেসে রূপান্তরের জন্য ব্রাউজার ডোমেইন নেম সার্ভারকে রিকোয়েস্ট করে। এরপর ব্রাউজার এইচটিটিপি ব্যবহার করে আমরা যে পেজ খুজছি তার জন্য রিকোয়েস্ট জানায়।
সার্ভার সবসময় ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকে, যাতে রিকোয়েস্ট পাওয়ার সাথেসাথে ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী ব্রাউজারে ডকুমেন্ট পাঠানো যায়। কোনও রিকোয়েস্ট পাওয়ার পর সার্ভার ক্লায়েন্টের আইপি এড্রেস, আবেদিত ডকুমেন্ট আর রিকোয়েস্টের তারিখ ও সময় ইত্যাদি লগ করে রাখে। এসব তথ্য সার্ভার থেকে সার্ভারে পরিবর্তনশীল।
সাধারণত ওয়েবপেজ গুলোয় ওয়েব সার্ভার থেকে একাধিক ফাইল চাওয়া হয়, এইচটিএমএল বা এক্সএইচটিএমএল ছাড়াও ইমেজ, স্টাইল শিট ও অন্যান্য রিসোর্সও রিকোয়েস্টে থেকে থাকে। মেইন পেজসহ এইসব ফাইলের প্রত্যেকের জন্য ইউআরএল লাগবে। এসব আইটেমকে ওয়েব সার্ভার থেকে ওয়েব ব্রাউজারে পাঠানো হয়, ব্রাউজার এইসব তথ্য একত্র করে ওয়েবপেজ আকারে প্রদর্শন করে।
ওয়েব ব্রাউজারের প্রকারভেদঃ
ওয়েব ব্রাউজার আমাদের পিসিতে ইন্সটল করা সফটওয়ার। ওয়েবে ঢুকতে আমাদের একটি ওয়েব ব্রাউজার দরকার। আমাদের সাইট tutorialspoint.com নেভিগেট করার সময় আপনি অবশ্যই কোনও ব্রাউজার ব্যবহার করছেন।
চারটি প্রধান ওয়েব ব্রাউজার আছে যা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এক্সপ্লোরার, ফায়ারফক্স, সাফারি, নেটস্কেপ। আরও কিছু ব্রাউজার আছে, এখান থেকে Complete Browser Statisticsআপনারা সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
যখন কোনও সাইট বানানো হয়, তখন চেষ্টা করা হয় যত বেশি ব্রাউজারের সাথে যেন তা কার্যকর হয়। বিশেষ করে এক্সপ্লোরার, ফায়ারফক্স, সাফারি, নেটস্কেপ, ক্রোম, অপেরা ইত্যাদি ব্রাউজারের সাথে যেন অবশ্যই কমপেটিবল হয়, সেদিকে দৃষ্টি দেয়া দরকার।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারঃ
মাইক্রোসফটের একটি প্রোডাক্ট। ১৯৯৫ সালে উইন্ডোজ ৯৫ এর সাথে বাজারে আসে, ১৯৯৮ সালে নেটস্কেপ পপুলারিটি অর্জন করে। এটি বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্রাউজার।
এখান থেকে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের সর্বশেষ সংস্করণ পেতে পারেন, Download Internet Explorer।
নেটস্কেপঃ
১৯৯৪ সালে এর যাত্রা শুরু। এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্যই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারকে বাজারে আনা হয়েছিল। নেটস্কেপের সর্বশেষ সংস্করণ পেতে পারেন এখান থেকে, Download Netscape।
মজিলাঃ
মজিলা একটি ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার, আদর্শ কমপ্লায়েন্স, পারফর্মেন্স আর পোর্টেবিলিটির জন্য একে ডিজাইন করা হয়েছিল। এর ডেভলপ ও টেস্টিং করার সময় ফোরাম, সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং টুল, রিলিজ ও বাগ ট্র্যাকার ইত্যাদির সমন্বয় করা হয়েছিল। মজিলা কোড ভিত্তিক ব্রাউজার পরিবার এখন দ্বিতীয় বৃহত্তম অবস্থানে আছে ব্রাউজারদের মধ্যে, যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৩০ শতাংশের অবলম্বন।
মজিলার সর্বশেষ সংস্করণ পেতে পারেন এখান থেকে, Download Mozilla
কনকুয়ারারঃ
কনকুয়ারার ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার, এইচটিএমএল ৪.০১ এর সাথে সমন্বিত, জাভা এপ্লেট, জাভাস্ক্রিপ্ট, সিএসএসএর ১ ও ২.১ সংস্করণ আর নেটস্কেপ প্লাগিন সমর্থন করে। এটি ফাইল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে আবার একই সাথে লোকাল ইউনিক্স ফাইল সিস্টেমে বেসিক ফাইল ব্যবস্থাপনাকে সাপোর্ট করে। সরল কাট কপি পেস্ট থেকে এডভান্সড রিমোট ও লোকাল নেটওয়ার্ক ফাইল ব্রাউজিং সমর্থন করে। এখান থেকে Download Konqueror পেতে পারেন
ফায়ারফক্সঃ
মজিলা থেকে উদ্ভূত, ২০০৪ সালে বাজারে আসে, ইন্টারনেটের দ্বিতীয় জনপ্রিয় ব্রাউজার। সর্বশেষ সংস্করণ পেতে Download Firefox ভিজিট করুন।
সাফারিঃ
এপলের ডেভলাপকৃত ওয়েব ব্রাউজার। ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম সমর্থন করে, ২০০৩ সালে বাজারে এসেছিল। এক্সএইচটিএমএল, সিএসএস২ ইত্যাদি প্রযুক্তির সাথে ভাল কাজ করে এই ব্রাউজার। সর্বশেষ সংস্করণ পেতে দেখুন, Download Safari।
অপেরাঃ
অপেরা অন্যান্য ব্রাউজার থেকে ছোট আর দ্রুত, যদিও এর সব ফিচারই আছে। দ্রুত, ইউজার ফ্রেন্ডলি, কীবোর্ড ইন্টারফেস, মাল্টিপল উইন্ডো, জুম ফাংশন আর জাভা ও নন জাভা উভয় ভার্সনও পাওয়া যায় এটির। নতুন ও কম বয়স্কদের জন্য বেশ উপযোগী।
সর্বশেষ সংস্করণ পেতে দেখুন, Download Opera।
লিনাক্সঃ
এটি ইউনিক্স, ভিএমএস আর যেসব প্লাটফর্ম কার্সর এড্রেসেবল ক্যারেক্টার সেল টার্মিনালে চলে তাদের জন্য ফুল ফিচারড ব্রাউজার , এখান থেকে এটি পেতে পারেন, Download Lynx।
ওয়েব সার্ভারের টাইপঃ
প্রতিটা ওয়েবসাইট যে কম্পিউটারে প্রতিষ্ঠিত আছে তাকে ওয়েব সার্ভার বলে। এই সার্ভার সবসময় ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকে। ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত সকল ওয়েব সার্ভারের একটি স্বতন্ত্র এড্রেস থাকে, যা ০ থেকে শুরু করে ২৫৬ পর্যন্ত কোনও চার সংখ্যার সিরিজের মাধ্যমে প্রকাশিত আর যা পিরিয়ড দ্বারা পরস্পর থেকে পৃথক করা। যেমন, 68.178.157.132 অথবা 68.122.35.127।
চারটে শীর্ষস্থানীয় ওয়েব সার্ভার আছে, Apache, IIS, lighttpd আর Jagsaw।
May 06
ওয়েব সার্ভিস কুইক গাইড
ওয়েব সার্ভিস কী?
বিভিন্ন সংস্থা ও বই পত্র থেকে আমরা ওয়েব সার্ভিসের সংজ্ঞা পেয়ে থাকি। এদের মধ্যে কয়েকটি হল,
• ওয়েব সার্ভিস হল সফটওয়ারগত ব্যবস্থা যা ইন্টারনেটে সক্রিয়, আর এক্সএমএল মেসেজিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকে। ওয়েবের সকল যোগাযোগ এনকোডিঙের জন্য এক্সএমএল ব্যবহৃত হয়। যেমন, ধরা যাক একজন গ্রাহক এক্সএমএল ম্যাসেজ ব্যবহার করে বার্তা পাঠায়, এরপর এক্সএমএল রেসপন্সের জন্য অপেক্ষা করে। যেহেতু সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাটি এক্সএমএলের অধীনে, তাই ওয়েব সার্ভিসগুলো কোনও অপারেটিং সিস্টেম বা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের উপর নির্ভর করে থাকে না। জাভা পার্লের সাথে কাজ করতে পারে, উইন্ডোজ এপ্লিকেশন লিনাক্সের সাথে কাজ করতে পারে।
• ওয়েব সার্ভিস স্বনির্ভর এপ্লিকেশন যা পণ্য, প্রক্রিয়া ও সাপ্লাই চেইন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নেটওয়ার্কের সাহায্যে বিস্তৃত, প্রকাশ, নির্ণীত ও বার্তা প্রেরণ করা যায়। এই এপ্লিকেশন লোকাল হতে পারে, বিতরণকৃত বা ওয়েব ভিত্তিকও হতে পারে। ওয়েব সার্ভিসগুলো মূলত শীর্ষস্থানীয় ওপেন স্ট্যান্ডার্ড যেমন টিসিপি/আইপি, এইচটিটিপি, জাভা, এইচটিএমএল, আর এক্সএমএল ইত্যাদির মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে।
• ওয়েব সার্ভিসগুলো এক্সএমএল ভিত্তিক তথ্য আদান প্রদান ব্যবস্থা যা সরাসরি এপ্লিকেশন টু এপ্লিকেশন মিথস্ক্রিয়ার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এই ব্যবস্থায় প্রোগ্রামিং, অবজেক্ট, ম্যাসেজ ও ডকুমেন্ট সংযোজিত থাকতে পারে।
• ওয়েব সার্ভিস ওপেন প্রটোকল, স্ট্যান্ডার্ড ইত্যাদির সংগ্রহ যা এপ্লিকেশন ও সিস্টেমে ডাটা শেয়ারিঙের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে লিখিত সফটওয়ার এপ্লিকেশন, যা বিভিন্ন প্লাটফর্মে ব্যবহৃত হচ্ছে, তারা ইন্টারনেট জাতীয় নেটওয়ার্কে ডাটা এক্সচেঞ্জের জন্য এমনভাবে ওয়েব সার্ভিস ব্যবহার করতে পারে যা একক কম্পিউটারে আন্তঃপ্রক্রিয়া যোগাযোগের সমতুল্য( যেমন জাভা ও পাইথন, উইন্ডোজ ও লিনাক্স)।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, পূর্ণাঙ্গ ওয়েব সার্ভিস হল এমন সার্ভিস যা কিনা ঃ
– ইন্টারনেট ও ব্যাক্তিগত নেটওয়ার্ক(ইন্ট্রানেট) এ পাওয়া যায়।
– বিশেষায়িত এক্সএমএল ম্যাসেজিং সিস্টেম ব্যবহার করে
– অন্য কোনও অপারেটিং সিস্টেম ও প্রোগ্রামিং ভাষার উপর নির্ভরশীল নয়।
– কমন এক্স এমএল গ্রামারের মাধ্যমে স্বতন্ত্রভাবে প্রকাশিত।
– সরল অনুসন্ধান কৌশলের মাধ্যমে একে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
ওয়েব সার্ভিসের উপাদানসমূহঃ
ওয়েব সার্ভিসের বেসিক প্লাটফর্ম হল এক্সএমএল আর এইচটিটিপি। সমস্ত আদর্শ ওয়েব সার্ভিস নিচের উপাদানগুলোর উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
• এসওএপি (সিম্পল অবজেক্ট এক্সেস প্রটোকল)
• ইউডিডিআই বা ইউনিভার্সাল ডেসক্রিপশন, ডিসকভারি এন্ড ইন্টিগ্রেশন
• ডবলুএসডিএল বা ওয়েব সার্ভিসেস ডেসক্রিপশন ল্যাঙ্গুয়েজ
এই সমস্ত বিষয়গুলো ওয়েব সার্ভিসের আর্কিটেকচার বিষয়ের আওতায় আলোচনা করা হয়।
ওয়েব সার্ভিস কীভাবে কাজ করে?
ওয়েব সার্ভিস কিছু ওপেন স্ট্যান্ডার্ড যেমন এইচটিএমএল, এক্সএমএল, ডবলুএসডিএল বা এসওএপি ব্যবহার করে বিভিন্ন এপ্লিকেশনের মধ্যে যোগাযোগ সৃষ্টি করে। ওয়েব সার্ভিস মূলতঃ
• ডাটা ট্যাগ করতে এক্সএমএল,
• ম্যাসেজ ট্রান্সফার করতে এসওএপি,
• আর সার্ভিসের প্রাপ্যতা নির্দেশ করতে ডবলুএসডিএলের
সাহায্য নিয়ে থাকে ।
আমরা সোলারিসে জাভা ভিত্তিক ওয়েব সার্ভিস তৈরি করতে পারি যাতে উইন্ডোজে চালিত ভিজুয়াল বেসিক প্রোগ্রাম থেকে আমরা প্রবেশ করতে পারি।
আমরা উইন্ডোজে সি শার্প ব্যবহার করে নতুন এমন ওয়েব সার্ভিস তৈরি করতে পারি যা জাভাস্ক্রিপ্ট ভিত্তিক আর লিনাক্সে চলে।
উদাহরনঃ
একটি সাধারণ একাউন্ট-ম্যানেজমেন্ট এবং অর্ডার প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থার কথা ধরা যাক। একাউন্টের কর্মীরা নতুন একাউন্ট তৈরির জন্য ও নতুন গ্রাহকদের বিষয়াদি তালিকাভুক্ত করার জন্য ভিজুয়াল বেসিক বা জেএসপি দিয়ে তৈরি ক্লায়েন্ট এপ্লিকেশন ব্যবহার করেন।
এই সিস্টেমের প্রক্রিয়াগত লজিক জাভায় লিখিত এবং সোলারিস মেশিনের সমন্বয়ে হয়ে থাকে, যা তথ্য সংগ্রহের জন্য ডাটাবেসের সাথেও সমন্বিত থাকতে পারে।
এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ধাপগুলো নিচে বিবৃত হল।
• ক্লায়েন্ট প্রোগ্রাম একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন ইনফরমেশনগুলোকে একটি এসওএপি ম্যাসেজে একত্রিত করে।
• এসওএপি ম্যাসেজকে এইচটিটিপি পোস্ট রিকোয়েস্টের অংশ হিসেবে ওয়েব সার্ভিসে পাঠানো হয়।
• ওয়েব সার্ভিস এসওএপি রিকোয়েস্টকে আনপ্যাক করে এবং এটিকে এমন কম্যান্ডে কনভার্ট করে যা এপ্লিকেশনটি বুঝতে পারে।
• এপ্লিকেশনটি প্রয়োজনীয় উপায়ে তথ্যটিকে সাজায় ও গ্রাহকের জন্য একটি অনন্য একাউন্ট নাম্বারসহ সাড়া দেয়।
• এরপর ওয়েব সার্ভিস সেই সাড়াকে এসওএপি ম্যাসেজরূপে প্যাকেজ আকারে সজ্জিত করে, তারপর একে ক্লায়েন্ট প্রোগ্রামে এর এইচটিটিপি রিকোয়েস্টের জবাব হিসেবে প্রেরণ করে।
• ক্লায়েন্ট প্রোগ্রাম একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার ফলাফল সংরক্ষণের জন্য এসওএপি ম্যাসেজকে আনপ্যাক করে ।
কেন ওয়েব সার্ভিস?
ওয়েব সার্ভিস ব্যবহারের সুবিধাগুলো নিচে দেয়া হল,
• নেটওয়ার্কে থাকা ফাংশনগুলো বিবৃত করেঃ ওয়েব সার্ভিস বাবস্থাপনাকৃত কোডের সমন্বয় যা কিনা এইচটিটিপি ব্যবহার করে করা হয়, অর্থাৎ এইচটিটিপি রিকোয়েস্টের মাধ্যমে এরা সমন্বিত হয়। ওয়েব সার্ভিস নেটওয়ার্কে থাকা আমাদের কোডের ফাংশনালিটি প্রকাশের সুযোগ দেয়। একবার নেটওয়ার্কে প্রকাশিত হয়ে গেলে অন্য এপ্লিকেশনও আমাদের প্রোগ্রামের ফাংশনালিটি ব্যবহার করতে পারে।
• আন্তঃক্রিয়াঃ ওয়েব সার্ভিস বিভিন্ন এপ্লিকেশনের পরস্পরের মধ্যে ডাটা আদানপ্রদান ও সার্ভিসের সমন্বয়ের সুযোগ দেয়। অন্যান্য এপ্লিকেশনও ওয়েব সার্ভিস ব্যবহার করতে পারে। যেমন, ভিবি অথবা ডট নেট এপ্লিকেশন জাভার সাথে সমন্বয় করতে পারে(বিপরীতক্রমও সম্ভব) । এপ্লিকেশনের প্লাটফর্ম আর প্রযুক্তিকে স্বাধীন রাখার ক্ষেত্রে ওয়েব সার্ভিস ভূমিকা রাখে।
• প্রমিত(আদর্শায়িত) প্রটোকলঃ ওয়েব সার্ভিস যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকল ব্যবহার করে। প্রটোকল স্টাকের চারটি লেয়ারই(সার্ভিস ট্রান্সপোর্ট, এক্সএমএল ম্যাসেজিং, সার্ভিস ডেসক্রিপশন ও সার্ভিস ডিসকভারি লেয়ার) উঁচু মানের প্রটোকল ব্যবহার করে। প্রটোকল স্টাকের এই প্রমিতকরণ ব্যবসায়ের অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা সৃষ্টি করে যেমন, বহু বিকল্প, প্রতিযোগিতাজনিত যে খরচ তা কমানো, মান বৃদ্ধি ইত্যাদি।
• যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম খরচঃ ওয়েব সার্ভিস এইচটিটিপি প্রটোকলে এসওএপি ব্যবহার করে, তাই ওয়েব সার্ভিস ব্যবহারের জন্য আমরা আমাদের বিদ্যমান(অনেক ক্ষেত্রে নিম্নমানের) ইন্টারনেট ব্যবহার করেই এটি ব্যবহার করতে পারি। এই সমাধান ইডিআই বা বিটুবি ইত্যাদির তুলনায় অনেক কম খরচের, আর ওয়েব সার্ভিসকে অন্য নির্ভরযোগ্য ট্রান্সপোর্ট মেকানিজম যেমন এফটিপি ইত্যাদিতেও ব্যবহার করা যায়।
ওয়েব সার্ভিসের বৈশিষ্ট্যঃ
এক্সএমএল ভিত্তিকঃ ওয়েব সার্ভিস ডাটা রিপ্রেজেন্টেশন ও ডাটা ট্রান্সপোর্টেশন লেয়ারে এক্সএমএল ব্যবহার করে। এক্সএমএল ব্যবহার করার ফলে নেটওয়ার্কিং, অপারেটিং সিস্টেম বা প্লাটফর্মের বাধা থাকে না। ওয়েব সার্ভিস ভিত্তিক এপ্লিকেশনগুলো তাদের কোর লেভেলে অত্যন্ত ইন্টার-অপারেটেবল।
শৃঙ্খলিত নয়ঃ ওয়েব সার্ভিসের ব্যবহারকারী এর সাথে সরাসরি শৃঙ্খলিত নয়। ওয়েব সার্ভিসের ইন্টারফেস নিয়তই বদলে যাচ্ছে, গ্রাহকের সেবা পাওয়ার ধরণ অপরিবর্তিত রেখেই। শৃঙ্খলিত সিস্টেমে ক্লায়েন্ট আর সার্ভার লজিক আবদ্ধ থাকে এমনভাবে যেন একটি আপডেট হলে অন্যটিও আপডেট করতে হবে ব্যবহার উপযোগী রাখতে হলে। শৃঙ্খলিত নয় এমন সিস্টেম বেশি স্থিতিস্থাপক আর বিভিন্ন সিস্টেমে সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও বেশি উপযোগী।
কোর্স গ্রেইনডঃ অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রযুক্তি (যেমন জাভা) স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে তাদের সার্ভিসকে প্রকাশ করে। কর্পোরেট লেভেলের প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জনের জন্য স্বতন্ত্র পদ্ধতি খুবই কার্যকর। স্ক্রেচ থেকে জাভা প্রোগ্রাম তৈরি করতে কিছু ‘ ফাইন গ্রেইনড’ পদ্ধতি প্রয়োজন যা একটি কোর্স গ্রেইনড সার্ভিসের মধ্যে আত্তীকরণ করা হয় যা হয় ক্লায়েন্ট অথবা অন্য কোনও সার্ভিস দ্বারা গৃহীত হবে।
সমপাতন বা বিসমপাতনের সক্ষমতাঃ এখানে সমপাতন বলতে ক্লায়েন্টের কাজের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা নির্দেশ করে। অনিচ্ছাকৃত সমপাতনেরক্ষেত্রে ক্লায়েন্টকে অপেক্ষা করতে হয় পুনরায় সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে সিস্টেম চালু করার আগ পর্যন্ত। বিসমপাতনের ক্ষেত্রে অপারেশন ক্লায়েন্টকে একটি সার্ভিসের জন্য অপেক্ষা করার সময় অন্য ফাংশন নিয়েও কাজ করতে পারে।
বিসমপাতনের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট পরবর্তী কোনও সময়ে তার ফলাফল ফেরত আনতে পারে, কিন্তু সমপাতনের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট কোনও সার্ভিস শেষ হওয়ার পর তার ফলাফল পায়। বিসমপাতনের সক্ষমতা আলগাভাবে যুক্ত সিস্টেমের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।
রিমোট প্রসেডিউর কল সাপোর্ট করেঃ ওয়েব সার্ভিস ক্লায়েন্টকে প্রক্রিয়া, ফাংশন, এক্সএমএলভিত্তিক প্রটোকল ব্যবহার করে রিমোট অবজেক্টের প্রক্রিয়াবিষয়ক সাড়াদানের উদ্দেশ্যে আবেদনের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়। রিমোট প্রক্রিয়াগুলো ইনপুট ও আউটপুটের প্যারামিটারগুলোকে বিবৃত করে, যেগুলোকে ওয়েব সার্ভিস অবশ্যই সমর্থন করবে। গত কয়েক বছরে এন্টারপ্রাইজ জাভা বিন ও ডট নেট কম্পোনেন্টের মাধ্যমে বিকশিত কম্পোনেন্ট ডেভলাপমেন্ট স্থাপত্য ও এন্টারপ্রাইজ ডিপ্লয়মেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুটি প্রযুক্তিই বিভিন্ন রিমোট প্রসেডিউর কলের মাধ্যমে বন্টিত ও ব্যবহারযোগ্য।একটি ওয়েব সার্ভিস রিমোট প্রসেডিউর কলকে সাপোর্ট করে এর নিজের সার্ভিস প্রদান করে, যা এর ট্র্যাডিশনাল উপাদানের প্রতিসম, অথবা আগত ইনভোকেশনকে ইজেবি বা ডট নেট কম্পোনেন্টের ইনভোকেশনে রূপান্তরিত করানো।
ডকুমেন্ট এক্সচেঞ্জ সমর্থন করেঃ এক্সএমএলএর একটি বড় সুবিধা হল এটির ডাটা (এমনকি জটিল প্রকৃতির ডকুমেন্ট) প্রদর্শনের স্বভাবজাত দক্ষতা। এই ডকুমেন্ট এমন সরল হতে পারে যেমন এটি একটি সরল ‘বর্তমান ঠিকানা’ দেখাচ্ছে, আবার এটি এমন জটিলও হতে পারে, যা পুরো একটি বই, বা একটি কোটেশনের রিকোয়েস্টও হতে পারে। ডকুমেন্টের স্বচ্ছ আদানপ্রদান নিশ্চিত করে বাণিজ্যিক নিষ্ঠা রক্ষার ক্ষেত্রে ওয়েব সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ওয়েব সার্ভিসের স্থাপত্যঃ ওয়েব সার্ভিসের স্থাপত্য বোঝার জন্য দুটি উপায় আছে,
• প্রথমটি হল প্রতিটা ওয়েব সার্ভিস রোলের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিরীক্ষা করে দেখা
• দ্বিতীয়টি হল সংশ্লিষ্ট ওয়েব সার্ভিস প্রটোকল স্টাকের বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করা।
ওয়েব সার্ভিসের রোলঃ ওয়েব সার্ভিস স্থাপত্যে তিনটি বড় ধরনের রোল থাকে,
সার্ভিস প্রভাইডারঃ এটি ওয়েব সার্ভিসের প্রভাইডার। সার্ভিস প্রভাইডার সার্ভিস প্রয়োগের ক্ষেত্র বাস্তবায়ন করে আর ইন্টারনেটে এর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে।
সার্ভিস রিকোয়েস্টরঃ এটি ওয়েব সার্ভিসের যে কোনও ধরনের গ্রাহক। রিকোয়েস্টর নেটওয়ার্ক কানেকশন খুলে এক্সএমএল রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে কোন ওয়েব সার্ভিসের সুবিধা লাভ করে।
সার্ভিস রেজিস্ট্রিঃ এটি সার্ভিসের লজিকালি সেন্ট্রালাইজড ডিরেক্টরি। রেজিস্ট্রি একটি কেন্দ্রীয় স্থান তৈরি করে যেখানে ডেভলপাররা নতুন সার্ভিস প্রদর্শন করে অথবা পূর্বেই থেকে থাকা সার্ভিস খুঁজে নিতে পারে। এভাবে এটি বিভিন্ন কোম্পানির ও তাদের সেবার কেন্দ্রীয় ক্লিয়ারিং হাউজ হিসেবে বিবেচিত হয়।
ওয়েব সার্ভিস প্রটোকল স্টাকঃ ওয়েব সার্ভিস স্থাপত্য অনুধাবনের আরেকটি উপায় হল সংশ্লিষ্ট ওয়েব সার্ভিস প্রটোকল স্টাক নিরীক্ষণ করা। এটি এখনও গবেষণাধীন, কিন্তু এখন পর্যন্ত চারটি লেয়ার আছে এর।
সার্ভিস ট্রান্সপোর্টঃ এপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে ম্যাসেজ আদানপ্রদানের জন্য এই লেয়ার কার্যকর। বর্তমানে এই লেয়ারে থাকে এইচটিটিপি, এসএমটিপি, এফটিপি, এবং কিছু নতুন প্রটোকল যেমন ব্লক এক্সটেনসিবল এক্সচেঞ্জ প্রটোকল বা বিআইআইপি ।
এক্সএমএল ম্যাসেজিংঃ কমন এক্সএমএল ফরম্যাটে ম্যাসেজ এনকোডিঙের জন্য এই লেয়ার কার্যকর। বর্তমানে এই লেয়ারে আছে এক্সএমএল-আরপিসি আর এসওএপি।
সার্ভিস ডেসক্রিপশনঃ নির্দিষ্ট ওয়েব সার্ভিসে পাবলিকের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নির্দেশ করে এই লেয়ার। বর্তমানে সার্ভিস ডেসক্রিপশন বিষয়টি ওয়েব সার্ভিস ডেসক্রিপশন ল্যাঙ্গুয়েজ বা ডবলুএসডিএল এর আওতায় আলোচনা করা হয়।
সার্ভিস ডিসকভারিঃ এই লেয়ার সার্ভিসকে একটি কমন রেজিস্ট্রিতে কেন্দ্রীভূত করে ও পাবলিশ/ খুঁজে পাওয়ার ফাংশনালিটির প্রবর্তন করে। বর্তমানে ইউনিভার্সাল ডেসক্রিপশন, ডিসকভারি ও ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে সার্ভিস ডিসকভারিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ওয়েব সার্ভিসের বিবর্তনের সাথে সাথে নতুন নতুন লেয়ার এরসাথে সংযুক্ত হতে পারে, আর সেই সাথে নতুন নতুন প্রযুক্তিও এতে সংযোজিত হতে পারে।
সার্ভিস ট্রান্সপোর্ট সম্পর্কে কিছু কথাঃ ওয়েব সার্ভিস প্রটোকল স্টাকের একদম নিচের ধাপ হল সার্ভিস ট্রান্সপোর্ট। দুটি কম্পিউটারের মধ্যে এক্সএমএল ম্যাসেজ বিনিময়ের ক্ষেত্রে এই লেয়ারের অবদান সর্বাধিক।
হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকলঃ বর্তমানে সার্ভিস ট্রান্সপোর্টের জন্য হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল খুবই জনপ্রিয়। হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল বা এইচটিটিপি খুব সরল, সুস্থিত, আর ব্যপকভাবে বিস্তৃত। এছাড়াও অধিকতর ফায়ারওয়াল এইচটিটিপি ট্র্যাফিক সমর্থন করে। এটি এক্সএমএল-আরপিসি আর এসওএপিকে এইচটিটিপি ম্যাসেজ রূপে ছদ্মবেশ ধারণ করতে সুযোগ করে দেয়। রিমোট এপ্লিকেশনের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য এটা ঠিক আছে, কিন্তু এটি বেশ কিছু নিরাপত্তা ঝুঁকিরও সৃষ্টি করে।
ব্লকস এক্সটেনসিবল এক্সচেঞ্জ প্রটোকল বা বিইইপিঃ এটি এইচটিটিপির আদর্শ বিকল্প। বিআইআইপি হল নতুন প্রটোকল তৈরির ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্কফোর্স ফ্রেমওয়ার্ক। বিআইআইপি টিসিপির উপর সরাসরি লেয়াররূপে থাকে, আর এতে ইনিশিয়াল হ্যান্ডসেক প্রটোকল, অথেনটিকেশন, সিকিউরিটি, এরর হ্যান্ডেলিং সহ অনেক বিল্ট ইন ফিচার থাকে। বিআইআইপি ব্যবহার করে যে কেউ বিভিন্ন এপ্লিকেশনের জন্য যেমন ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং, ফাইল ট্রান্সফার, কন্টেন্ট সিন্ডিকেশন, আর নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির জন্য প্রটোকল তৈরি করতে পারে।
এসওএপি কোনও ট্রান্সপোর্ট প্রটোকলের অধীনে শৃঙ্খলিত নয়। আমরা এইচটিটিপি, এসএমটিপি, এফটিপির সাথেও এসওএপি ব্যবহার করতে পারি। তবে বিআইআইপির সাথে এসওএপি ব্যবহার একটি ভাল আইডিয়া।
ওয়েব সার্ভিসের উপাদান ঃ বিগত কয়েক বছরে তিনটি প্রাথমিক প্রযুক্তির উদ্ভব হয়েছে যারা ওয়েব সার্ভিস প্রযুক্তির মূল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে। এদের সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল,
এক্সএমএল-আরপিসিঃ বিভিন্ন কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানের জন্য এটি সবচেয়ে সরল ধরনের এক্সএমএল ভিত্তিক প্রটোকল।
• এক্সএমএল-আরপিসি সরল প্রটোকল যা আরপিসি সম্পাদনের জন্য এক্সএমএল ম্যাসেজ ব্যবহার করে।
• রিকোয়েস্ট এক্সএমএলএর মাধ্যমে এনকোডেড আর এইচটিটিপি পোস্টের মাধ্যমে প্রেরিত হয়।
• এক্সএমএল রেসপন্স এইচটিটিপি রেসপন্সের মধ্যে প্রোথিত থাকে।
• এক্সএমএল-আরপিসি প্লাটফর্ম নিরপেক্ষ
• এক্সএমএল-আরপিসি অনেক এপ্লিকেশনকে আন্তঃ যোগাযোগের সুযোগ দেয়।
• জাভা ক্লায়েন্ট এক্সএমএল-আরপিসি থেকে পার্ল সার্ভারে যোগাযোগ করতে পারে।
• ওয়েব সার্ভিস শুরুর জন্য এক্সএমএল-আরপিসি সবচেয়ে সহজ উপায়।
এই বিষয়ে আরও জানতে আমাদের XML-RPC Tutorial . ভিজিট করুন।
এসওএপিঃ এসওএপি হল বিভিন্ন কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানের জন্য এক্সএমএল ভিত্তিক প্রটোকল।
• এসওএপি একটি যোগাযোগ প্রটোকল
• একাধিক এপ্লিকেশনে যোগাযোগের জন্য এসওএপি ব্যবহৃত হয়
• এসওএপি ম্যাসেজ প্রেরণের একটি ফরম্যাট।
• ইন্টারনেটে যোগাযোগের উপযোগী করে এসওএপিকে গড়ে তোলা হয়েছে।
• এসওএপি প্লাটফর্ম নিরপেক্ষ
• এটি ল্যাঙ্গুয়েজ নিরপেক্ষ
• এটি সহজ ও সম্প্রসারনযোগ্য
• এটি ফায়ারওয়ালের সাথে সমন্বয় সাধনে সহায়তা করে।
• এসওএপিকে ডবলুথ্রীসি এর উপযোগী মানের করে গড়ে তোলা হবে।
এসওএপি সম্পর্কে আরও জানতে আমাদের টিউটোরিয়াল SOAP Tutorial.দেখতে পারেন।
ডবলুএসডিএলঃ ডবলুএসডিএল একটি এক্সএমএল ভিত্তিক ল্যাঙ্গুয়েজ যা ওয়েব সার্ভিস বিবৃত ও কীভাবে তাতে প্রবেশ করা যায় তা নিয়ে কাজ করে।
• ডবলুএসডিএল বলতে ওয়েব সার্ভিস ডেসক্রিপশন ল্যাঙ্গুয়েজ বোঝায়
• মাইক্রোসফট ও আইবিএমএর যৌথ প্রয়াসে ডবলুএসডিএল ডেভলাপড হয়েছিল
• বিকেন্দ্রীভূত ও বন্টিত পরিবেশে তথ্য আদানপ্রদানের এক্সএমএলভিত্তিক প্রটোকল হল ডবলুএসডিএল
• ডবলুএসডিএল কোনও ওয়েব সার্ভিস বিবৃত করার আদর্শ উপায়
• ডবলুএসডিএল জানায় কীভাবে কোনও ওয়েব সার্ভিসে প্রবেশ করতে হয় আর তা কি কাজ করতে পারে
• এক্সএমএলভিত্তিক সার্ভিসের সাথে কীভাবে সমন্বয় করতে হয় তা ডবলুএসডিএল বিবৃত করে
• ডবলুএসডিএল ইউডিডিআই এর অখণ্ড অংশ, যা এক্সএমএলভিত্তিক বিশ্বব্যপী বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রি।
• ইউডিডিআই যে ভাষা ব্যবহার করে তা হল ডবলুএসডিএল
• ডবলুএসডিএলের উচ্চারন হবে উইজ-ডাল ভিত্তিক, আর বানান করতে হবে ডবলু-এস-ডি-এল
এই বিষয়ে আরও জানতে আমাদের WSDL Tutorial.ভিজিট করুন।
ইউডিডিআইঃ ইউডিডিআই হল ওয়েব সার্ভিস বর্ণনা, পাবলিশ ও সন্ধান করার জন্য এক্সএমএল ভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড।
• ইউডিডিআই মানে হল ইউনিভার্সাল ডেসক্রিপশন, ডিসকভারি এন্ড ইন্টিগ্রেশন
• ওয়েব সার্ভিসের ডিস্ট্রিবিউটেড রেজিস্ট্রির একটি স্পেসিফিকেশন হল ইউডিডিআই
• ইউডিডিআই প্লাটফর্ম নিরপেক্ষ, ওপেন ফ্রেমওয়ার্ক সম্পন্ন বিষয়
• ইউডিডিআই এসওএপি, সিওআরবিএ, আর জাভা আরএমআই প্রটোকলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে।
• ইউডিডিআই ওয়েব সার্ভিসের ইন্টারফেস বোঝাতে ডবলুএসডিএল ব্যবহার করে
• ইউডিডিআই এসওএপি ও ডবলুএসডিএলের পাশাপাশি ওয়েব সার্ভিসের অন্যতম মৌলিক ভিত্তি হিসেবে পরিগনিত হয়।
• ইউডিডিআই ওপেন ইন্ডাস্ট্রি ইনিশিয়েটিভ যা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এই বিষয়ে আরও জানতে ভিজিট করতে পারেন UDDI Tutorial.।
ওয়েব সার্ভিসের উদাহরণঃ ওয়েব সার্ভিসের স্থাপত্যের উপর ভিত্তি করে ওয়েব সার্ভিসের প্রায়োগিক ক্ষেত্রকে আমরা দুটি উপাদানে ভাগ করতে পারি,
সার্ভিস প্রভাইডার অথবা পাবলিশারঃ এরা ওয়েব সার্ভিসের প্রভাইডার। সার্ভিস প্রভাইডার সার্ভিস বাস্তবায়ন ও ইন্টারনেট ও ইন্ট্রানেটে এদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে।
আমরা ডটনেট এসডিকে ব্যবহার করে একটি সহজ ওয়েব সার্ভিস লিখে পাবলিশ করব ।
সার্ভিস রিকোয়েস্টর বা কাস্টোমারঃ এটি ওয়েব সার্ভিসের যেকোনো গ্রাহক। রিকোয়েস্টর নেটওয়ার্ক কানেকশন খুলে এক্সএমএল রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে ওয়েব সার্ভিস কাজে লাগায়।
আমরা দুটি ওয়েব সার্ভিস রিকোয়েস্টরও লিখব, একটা ওয়েব বেজড কনজুমার(এএসপি ডট নেট), আর অন্যটি উইন্ডোজ এপ্লিকেশন ভিত্তিক কনজুমার।
নিচে আমাদের প্রথম ওয়েব সার্ভিস উদাহরণ দেয়া হল যেখানে এটি ওয়েব সার্ভিস প্রভাইডার হিসেবে কাজ করে, আর দুটি পন্থা(এড আর ‘সে হ্যালো’) দেখিয়ে দেয় যেভাবে এপ্লিকেশনগুলো ওয়েব সার্ভিসকে ব্যবহার করে। এটি একটি ওয়েব সার্ভিসের জন্য আদর্শ টেমপ্লেট। ডটনেট ওয়েব সার্ভিস ডট এএসএমএক্স এক্সটেনশন ব্যবহার করে। মনে রাখা দরকার, ওয়েব সার্ভিস হিসেবে ব্যবহৃত একটি মেথড ওয়েবমেথড এট্রিবিউট ব্যবহার করে। আইআইএস ভার্চুয়াল ডিরেক্টরিতে FirstService.asmx হিসেবে ফাইল সংরক্ষণ করতে হবে(আইআইএস কনফিগারের সময় বিবৃত করা হয়েছে, যেমন, c:\MyWebSerces)।
FirstService.asmx
using System;
using System.Web.Services;
using System.Xml.Serialization;
[WebService(Namespace=”http://localhost/MyWebServices/”)]
public class FirstService : WebService
{
[WebMethod]
public int Add(int a, int b)
{
return a + b;
}
[WebMethod]
public String SayHello()
{
return “Hello World”;
}
কোনও ওয়েব সার্ভিসকে টেস্ট করার জন্য ভাল উপায় হচ্ছে একে পাবলিশ করা। ওয়েব সার্ভিসকে পাবলিশ করা যায় হয় ইন্টারনেটে, অথবা ইন্ট্রানেটে। একটি লোকাল মেশিনে রান হওয়া আইআইএসে আমরা এই ওয়েব সার্ভিসকে পাবলিশ করাব। আইআইএস কনফিগার করার মাধ্যমে শুরু করা যাক,
• স্টার্ট → সেটিংস → কন্ট্রোল প্যানেল → এডমিনিস্ট্রেটিভ টুল → ইন্টারনেট সার্ভিস ম্যানেজার
• ডিফল্ট ওয়েবসাইটকে এক্সপান্ড করে রাইট ক্লিক করে নিউ থেকে ভার্চুয়াল ডিরেক্টরি ক্রিয়েশন উইজার্ড ওপেন করতে হয়। এরপর নেক্সট ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
• ভার্চুয়াল ডিরেক্টরি অ্যালি স্ক্রিন দেখাবে। ভার্চুয়াল ডিরেক্টরির নাম টাইপ করতে হবে। ধরা যাক, MyWebServices নাম দিলাম । এরপর নেক্সট চাপ দিলাম।
• ওয়েবসাইট কন্টেন্ট ডিরেক্টরি ওপেন হবে।
• ভার্চুয়াল ডিরেক্টরির জন্য ডিরেক্টরি পাথ নেম দিতে হবে। যেমন, c:\MyWebServices । এরপর নেক্সট চাপতে হবে।
• এক্সেস পারমিশন স্ক্রিন দেখাবে। আমাদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সেটিংস পরিবর্তন করে নিতে হবে। বর্তমান উদাহরণের জন্য ডিফল্ট সেটিংই রেখে দেয়া হল।
• এরপর নেক্সট চাপলে আইআইএস কনফিগারেশন সম্পন্ন হবে।
• ‘ফিনিশ’ চেপে কনফিগারেশন সম্পন্ন করা হবে।
আইআইএস কনফিগারেশন ঠিকমত সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা জানার জন্য ভার্চুয়াল ডিরেক্টরিতে(C:\MyWebServices) এইচটিএমএল ফাইল (যেমন x.html)কপি করে রাখতে হবে। এখন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ওপেন করে http://localhost/MyWebServices/x.html টাইপ করি। তাহলে x.html ফাইল দেখাবে।
মনে রাখতে হবে, এভাবে কাজ না হলে লোকাল হোস্টকে মেশিনের আইপি এড্রেস দ্বারা প্রতিস্থাপিত করতে হবে। এখনও কাজ না হলে দেখতে হবে আইআইএস চালু আছে কিনা, বা কাজ করছে কিনা। নাহলে পুনরায় আইআইএস আর ভার্চুয়াল ডিরেক্টরিকে পুনরায় কনফিগার করার দরকার পড়তে পারে।
ওয়েব সার্ভিস টেস্ট করার জন্য আইআইএস ভার্চুয়াল ডিরেক্টরি(C:\MyWebServices)তে FirstService.asmx কপি করতে হবে। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে ওয়েব সার্ভিসটি ওপেন করতে হবে (http://localhost/MyWebServices/FirstService.asmx) এটি আমাদের ওয়েব সার্ভিস পেজ ওপেন করতে পারে। আমাদের এপ্লিকেশন ওয়েব সার্ভিসের যে দুটি মেথড বিবৃত করে তার লিঙ্ক এই পেজে থাকতে পারে।
ওয়েব সার্ভিস টেস্টিংঃ আমরা যা দেখলাম, ডট নেট ফ্রেমওয়ার্কে ওয়েব সার্ভিস লেখা সহজ। ওয়েব সার্ভিস কনজুমার লেখাও ডট নেট ফ্রেমওয়ার্কে সহজ। আগে যা বলেছিলাম, আমরা দুটি ওয়েব সার্ভিস কনজুমার লিখব, একটা ওয়েব বেজড কনজুমার(এএসপি ডট নেট), আর অন্যটি উইন্ডোজ এপ্লিকেশন ভিত্তিক কনজুমার। চলুন প্রথমে ওয়েব বেজড কনজুমারটি লিখা যাক,
ওয়েব বেজড সার্ভিস কনজুমারঃ একটি ওয়েব বেজড কনজুমার নিচের মত করে লিখি। এটিকে WebApp.aspx নামে ডাকা যাক। মনে রাখতে হবে, এটি একটি এএসপি ডটনেট জাতীয় এপ্লিকেশন। এটিকে ওয়েব সার্ভিসের ভার্চুয়াল ডিরেক্টরিতে(c:\MyWebServices\WebApp.axpx) সংরক্ষণ করা যাক।
এই এপ্লিকেশনের দুটি টেক্সটফিল্ড আছে যা সংযুক্ত হবে এমন ইউজারের নাম্বার পেতে সহায়তা করে। এটির একটি বাটন আছে ‘একজেকিউট’ যাকে টিপলে এড আর ‘সে হ্যালো’ ওয়েব সার্ভিস পেতে পারি।
WebApp.axpx
void runSrvice_Click(Object sender, EventArgs e){
FirstService mySvc = new FirstService();
Label1.Text = mySvc.SayHello();
Label2.Text = mySvc.Add(Int32.Parse(txtNum1.Text), Int32.Parse(txtNum2.Text)).ToString();
}
কনজুমার তৈরির পর আমাদের ওয়েব সার্ভিস কনজিউম করার জন্য প্রক্সি তৈরি করতে হবে। সংযুক্ত হওয়া কোনও ওয়েব সার্ভিসের রেফারেন্সিং এর সময় ভিজুয়াল স্টুডিয়ো ডট নেটের মাধ্যমে এই কাজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ আছে যা নিচে ক্রমানুসারে দেয়া হল,
• যে ওয়েব সার্ভিস কনজিউমড হবে তার জন্য প্রক্সি তৈরি করা। ডটনেট এসডিকের সাথে সরবরাহকৃত ডবলুএসডিএল ইউটিলিটির মাধ্যমে প্রক্সি তৈরি হয়। এই ইউটিলিটি ওয়েব সার্ভিস থেকে তথ্য এক্সট্রাক্ট করে প্রক্সি তৈরি করে। কেবল মাত্র একটি নির্দিষ্ট ওয়েব সার্ভিসের জন্য সেই প্রক্সি কার্যকর। অন্য কোনও ওয়েব সার্ভিসের জন্য প্রক্সি দরকার হলে সেই সার্ভিসের জন্য তা তৈরি করে নিতে হবে। ভিজুয়াল স্টুডিয়ো ডটনেট ওয়েব সার্ভিসের রেফারেন্সিং এর সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রক্সি তৈরি করে নেয়। ডটনেট এসডিকের সাথে সরবরাহকৃত ডবলুএসডিএল ইউটিলিটির প্রয়োগে তৈরি ওয়েব সার্ভিসের জন্য প্রক্সি তৈরি করি, এইটা কারেন্ট ডিরেক্টরিতে FirstSevice.cs ফাইল তৈরি করবে। ওয়েব সার্ভিসের জন্য প্রক্সি(FirstService.dll) তৈরির জন্য আমাদের এটি কম্পাইল করে নিতে হবে।
• c:> WSDL http://localhost/MyWebServices/FirstService.asmx?WSDL
• c:> csc /t:library FirstService.cs
• ওয়েব সার্ভিসের ভার্চুয়াল ডিরেক্টরির বিন ডিরেক্টরিতে কম্পাইলড প্রক্সি রাখতে হবে(c:\MyWebServices\bin)।
• একইভাবে সার্ভিস কনজুমার তৈরি করতে হবে
• কনজুমারের ইউআরএল আইইতে টাইপ করতে হয় টেস্ট করার জন্য। যেমন, http://localhost/MyWebServices/WebApp.aspx ।
উইন্ডোজ এপ্লিকেশন ভিত্তিক ওয়েব সার্ভিস কনজুমারঃ উইন্ডোজ এপ্লিকেশন ভিত্তিক ওয়েব সার্ভিস কনজুমার লেখার পদ্ধতিটি উইন্ডোজের অন্যান্য এপ্লিকেশন লেখার মতই। আমাদের কেবল একটি প্রক্সি তৈরি করতে হবে(যা অলরেডি তৈরিই আছে) আর এপ্লিকেশন কম্পাইলের সময় সেই প্রক্সি রেফারেন্সিং করাতে হবে। এই এপ্লিকেশন একটি ওয়েব সার্ভিস অবজেক্ট তৈরি করবে, ‘সে হ্যালো ‘ কলের ব্যবস্থা করবে আর এতে মেথড যোগ করবে।
WinApp.cs
using System;
using System.IO;
namespace SvcConsumer{
class SvcEater
{
public static void Main(String[] args)
{
FirstService mySvc = new FirstService();
Console.WriteLine(“Calling Hello World Service: ” + mySvc.SayHello());
Console.WriteLine(“Calling Add(2, 3) Service: ” + mySvc.Add(2, 3).ToString());
}
}
}
c:>csc /r:FirstService.dll WinApp.cs ব্যবহার করে একে কম্পাইল করতে হবে। এটি WinApp.exe তৈরি করবে। ওয়েব সার্ভিস ও এপ্লিকেশন টেস্ট করতে এটিকে রান করাতে হবে।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, আমরা কীভাবে বুঝব যে এই এপ্লিকেশন ওয়েব সার্ভিসকেই কল করছে?
এটি টেস্ট করা সহজ। আপনার ওয়েব সার্ভার বন্ধ করুন যাতে ওয়েব সার্ভিস যোগাযোগ না পেতে পারে। এখন WinApp এপ্লিকেশন চালান। এটি রানটাইম এক্সেপশন দেখাবে। এখন আবার ওয়েব সার্ভার চালু করুন, দেখবেন এটি কাজ করবে।
ওয়েব সার্ভিসের নিরাপত্তাঃ ওয়েব সার্ভিসের জন্য নিরাপত্তা স্পর্শকাতর বিষয়। এক্সএমএল আরপিসি, বা এসওএপি কোনটিই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বা অথেনটিকেশন নিশ্চিত করতে পারে না।
ওয়েব সার্ভিসের সাথে জড়িত তিনটি নির্দিষ্ট নিরাপত্তা ইস্যু আছে,
• গোপনীয়তা
• অথেনটিকেশন
• নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি
গোপনীয়তাঃ যদি ক্লায়েন্ট সার্ভারে এক্সএমএল রিকোয়েস্ট পাঠায়, আমরা কি নিশ্চিত যে গোপনীয়তা বজায় থাকবে? এর উত্তর পাব নিচের বিষয়গুলোর সাপেক্ষে,
• এক্সএমএল আরপিসি, বা এসওএপি প্রাথমিকভাবে এইচটিটিপির উপর দিয়ে রান করে
• এইচটিটিপির সিকিউরড সকেট লেয়ারের জন্য সাপোর্ট আছে
• সিকিউরড সকেট লেয়ারের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ এনক্রিপটেড হয়
• সিকিউরড সকেট লেয়ার একটি পরীক্ষিত প্রযুক্তি, আর ব্যপকভাবে ব্যবহৃতও।
একটি একক ওয়েব সার্ভিস অনেকগুলো এপ্লিকেশনের সমন্বয়ে হয়ে থাকতে পারে। যেমন, একটি বড় সার্ভিস তিনটি এপ্লিকেশনের সার্ভিসের সমন্বয়ে হয়ে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সিকিউরড সকেট লেয়ার যথেষ্ট না, সার্ভিস পাথের প্রতিটা নডে ম্যাসেজগুলোর এনক্রিপটেড হওয়ার প্রয়োজন আছে। আর নডগুলো চেইনের পটেনশিয়াল দুর্বল লিঙ্ক নির্দেশ করে। এর কোনও সর্বজন গ্রাহ্য সমাধান না থাকলেও ডবলু থ্রি সি এক্সএমএল এনক্রিপশন স্ট্যান্ডার্ড নামের একটি উপায় আছে, আপনারা এখান থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন, http://www.w3.org/Encryption
অথেনটিকেশনঃ ক্লায়েন্ট যখন ওয়েব সার্ভিসে যোগাযোগ করে, তখন কীভাবে আমরা ইউজার চিনব? ইউজারের সার্ভার ব্যবহারের অনুমতি আছে কি? নিচের বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা যায় কিন্তু কোনও শক্তিশালী অথেনটিকেশন স্কিমের পরিষ্কার পরিসীমা নেই।
• বেসিক ও ডাইজেস্ট অথেনটিকেশনের এইচটিটিপি বিল্ট ইন সাপোর্ট দেয়, আর সার্ভিসগুলো এইচটিএমএল বর্তমানে যেভাবে সুরক্ষিত থাকে তেমনি ভাবে সুরক্ষিত থাকে।
• এসওএপি ডিজিটাল সিগনেচার পাবলিক কী ক্রিপ্টোগ্রাফিকে ডিজিটালি সাইন এসওএপি ম্যাসেজে রূপান্তরের কৌশল খোঁজে।
• অর্গানাইজেশন ফর দ্যা এডভান্সমেন্ট অফ স্ট্রাকচারড ইনফরমেশন স্ট্যান্ডার্ডস বা ওএএসআইএস, সিকিউরিটি এসারশন মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কাজ করছে।
নেটওয়ার্ক সিকিউরিটিঃ বর্তমানে এর কোনও সহজ সমাধান নেই, আর অনেক বিতর্কও আছে। এক্সএমএল আরপিসি, বা এসওএপি ম্যাসেজ ফিল্টারিঙের চেষ্টা করার ইচ্ছা থাকলে একটি উপায় হল সমস্ত এইচটিটিপি পোস্ট যাদের কন্টেন্ট টাইপ টেক্সট বা এক্সএমএলএ সেট করা, তাদের ফিল্টার করা। আরেকটি বিকল্প হল এসওএপিএকশন এইচটিটিপি হিডার এট্রিবিউট ফিল্টার করা।
ওয়েব সার্ভিসের স্ট্যান্ডার্ডঃ ওয়েব সার্ভিস সংক্রান্ত সাম্প্রতিক স্ট্যান্ডার্ডগুলো হল,
ট্র্যান্সপোর্টঃ ব্লক এক্সটেনসিবল এক্সচেঞ্জ প্রটোকল বা বিআইআইপি এপ্লিকেশন প্রটোকল তৈরির একপ্রকারের ফ্রেমওয়ার্ক।
ম্যাসেজিংঃ ম্যাসেজিঙের গড়ন ও প্রকরণ ফ্রেমওয়ার্ককে বিকেন্দ্রিক ও বিতরণকৃত পরিবেশে তথ্য আদান প্রদানের সুযোগ করে দেয়।
বর্ণনা ও আবিস্কারঃ ওয়েব সার্ভিস তখনি কাজে লাগে যখন এটি ব্যবহারকারীর তথ্য ও সম্পাদনের ক্ষেত্রে কার্যকর হয়। বাণিজ্য, সংস্থা ও অন্যান্য ওয়েব সার্ভিস সেবা দানকারীর সাপেক্ষে বর্ণনা ও আবিস্কার এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, যে কারিগরি ক্ষেত্র সেই সেবা লাভের ক্ষেত্রে সুবিধা দেয়, তার সাথে সাথে।
নিরাপত্তাঃ এই নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যবহার করে এপ্লিকেশনগুলো নিরাপদ যোগাযোগ বজায় রাখতে পারে যা সাধারণ ওয়েব সার্ভিসের ফ্রেমওয়ার্কের জন্য উপযোগী।
ব্যবস্থাপনাঃ ওয়েব সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা ওয়েব সার্ভিস স্থাপত্যের অধীনে অস্তিত্ব, প্রাপ্যতা, স্বাস্থ্য, পারফর্মেন্স, ব্যবহার, কন্ট্রোল ও কনফিফগারেশন, ইত্যাদি গুন সম্পর্কিত বিষয়ের সমন্বয়। যেহেতু ওয়েব সার্ভিস পরিব্যপিত হচ্ছে সর্বত্র, আর ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এর ব্যবহার জটিলতর হচ্ছে, তাই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
May 01
ওয়েব জিএলঃ ভূমিকা
কয়েকবছর আগেও ওয়েবে থ্রিডি গ্রাফিক্স প্রক্রিয়া করার জন্য এপলেট ও জিএল এর সমন্বয়ে জিপিইউ বা গ্রাফিক্যাল প্রসেসিং ইউনিটের মাধ্যমে জাভা ব্যবহার করা হত। যেহেতু এপলেট রান করাতে জেভিএম ব্যবহার করতে হয় তাই জাভা এপলেট ব্যবহার করা সহজ ছিল না। কয়েক বছর পরে লোকে জাভা এপলেট ব্যবহার করা বন্ধ করে দেয়। এডোবি(ফ্ল্যাশ, এয়ার) দ্বারা উপস্থাপিত স্টেজ থ্রিডি এপিআই জিপিইউ হার্ডওয়ার চালিত কাঠামোর প্রস্তাবনা করে। এধরণের প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে প্রোগ্রামাররা আইওএস ও এনড্রয়েড সহ ওয়েবের জন্য টু ডি ও থ্রি ডি দক্ষতা সম্পন্ন এপ্লিকেশন তৈরি করতে শুরু করেন। যেহেতু ফ্ল্যাশ মালিকানা সম্পন্ন সফটওয়ার, একে তাই ওয়েব স্ট্যান্ডার্ডে ব্যবহার করা যেত না।
ওপেনজিএলঃ ওপেনজিএল বা ওপেন গ্রাফিক্স লাইব্রেরী একটি ক্রসল্যাঙ্গুয়েজ, ক্রস প্লাটফর্ম এপিআই যা টু-ডি ও থ্রি ডি গ্রাফিক্সের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি আসলে কম্যান্ডের কালেকশন। ওপেন জিএলের সাথে সম্পর্কিত প্রযুক্তিগুলির একটি তালিকা নিচে দেয়া হল,
মনে রাখা দরকার, ওয়েব জিএলে শেডার লিখতে আমরা জিএলএসএল ব্যবহার করে থাকি।
ওয়েব জিএল কীঃ ওয়েব জিএল বা ওয়েব গ্রাফিক্স লাইব্রেরী 3D গ্রাফিক্সের জন্য একটি নতুন স্ট্যান্ডার্ড। এটি টু ডি গ্রাফিক্স ও ইন্টারেক্টিভ থ্রিডি গ্রাফিক্স রেন্ডারিং এর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ওপেন জিএলের ইএস ২.০ লাইব্রেরী থেকে উদ্ভূত যা কিনা ফোন ও মোবাইলে ব্যবহৃত নিম্ন শ্রেণীর থ্রিডি এপিআই। ওয়েবজিএল ইএস ২.০ একই ধরনের ফাংশনালিটির এবং আধুনিক থ্রিডি গ্রাফিক্স হার্ডওয়ারে ভাল পারফর্ম করতে পারে।
এটি একটি জাভাস্ক্রিপ্ট এপিআই যা এইচটিএমএল ফাইভের সাথে ব্যবহৃত হতে পারে। এইচটিএমএল ফাইভের কিছু নির্ধারিত ফিচার আছে থ্রিডি গ্রাফিক্স যেমন টু ডি ক্যানভাস, ওয়েব জিএল, এসভিজি, থ্রিডি সিএসএস ট্রান্সফর্ম ও এসএলআইএল ইত্যাদিকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য। ওয়েবজিএল কোড এইচটিএমএলের ট্যাগের মধ্যে লেখা হয়। এটি সেই ধরনের বৈশিষ্ট্য যা ইন্টারনেটের ব্রাউজারকে তারা যে কম্পিউটারে ব্যবহৃত হচ্ছে তাতে অবস্থিত গ্রাফিক্যাল প্রসেসিং ইউনিট বা জিপিইউতে প্রবেশের অনুমোদন দেয়।
ওয়েবজিএলকে কে ডেভলাপ করেছেঃ ভ্লাদিমির ভুকিসেভিচ নামক একজন আমেরিকান-সার্বিয়ান সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ওয়েবজিএল সৃষ্টি ও ডেভলাপের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করেন।
• ২০০৭ সালে ভ্লাদিমির এইচটিএমএল ডকুমেন্টে ক্যানভাস এলিমেন্টের প্রোটোটাইপের জন্য ওপেনজিএল এর উপর কাজ করা শুরু করেন।
• ২০১১ সালের মার্চে ক্রনস গ্রুপ ওয়েবজিএল সৃষ্টি করে।
যেসব ব্রাউজার সাপোর্ট করেঃ ওয়েব জিএল সাপোর্ট করে এমন সব ব্রাউজারের তালিকা নিচের ছকে দেয়া হল,

ওয়েবজিএল এর সুবিধা সমূহঃ
জাভাস্ক্রিপ্ট প্রোগ্রামিংঃ ওয়েবজিএল এপ্লিকেশন জাভাস্ক্রিপ্টে লেখা হয়। এই এপ্লিকেশন ব্যবহার করে আমরা এইচটিএমএল ডকুমেন্টের উপাদানের সাথে সরাসরি কাজ করতে পারি। ওয়েবজিএলের এপ্লিকেশনকে সমৃদ্ধ করার জন্য অন্যান্য জাভাস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরী ও এইচটিএমএল প্রযুক্তিও ব্যবহার করা যায়।
মোবাইল ব্রাউজারের জন্য ক্রমবর্ধমান সাপোর্টঃ ওয়েবজিএল আইওএস সাফারি, এন্ড্রয়েড ব্রাউজার ও এন্ড্রয়েডের জন্য ক্রোম ইত্যাদিও সাপোর্ট করে।
ওপেন সোর্সঃ ওয়েবজিএল ওপেনসোর্স। আমরা লাইব্রেরীর সোর্স কোডে প্রবেশ করতে পারি, বুঝতে পারি এটি কীভাবে কাজ করে, কীভাবে ডেভলাপড হল এসবও বুঝা যায়।
কম্পাইলেশনের দরকার নাইঃ জাভাস্ক্রিপ্ট মূলত হাফ-প্রোগ্রামিং আর হাফ এইচটিএমএল কম্পোনেন্ট। এই স্ক্রিপ্ট সম্পাদনের জন্য ফাইলকে কম্পাইল করার কোনও দরকার নেই। বরং আমরা ব্রাউজার ব্যবহার করে সরাসরি ফাইল ওপেন করে ফলাফল দেখতে পারি। মূলত জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে ডেভলপ করায় এদের কম্পাইল করার কোনও দরকার হয় না।
স্বয়ংক্রিয় মেমোরি ব্যবস্থাপনাঃ জাভাস্ক্রিপ্ট স্বয়ংক্রিয় মেমোরি ব্যবস্থাপনা সমর্থন করে। ম্যানুয়ালি মেমোরি বরাদ্ধের কোনও দরকার হয় না। ওয়েবজিএল জাভাস্ক্রিপ্টের এই সুবিধাটি আত্মস্থ করে নেয়।
সেট আপ করা সহজঃ যেহেতু ওয়েবজিএল এইচটিএমএল ফাইভের সাথে সমন্বিত, তাই বাড়তি কোনও সেট আপ সংযোজনের দরকার নাই। ওয়েবজিএল এপ্লিকেশন লেখার জন্য কেবল মাত্র একটি ব্রাউজার ও টেক্সট এডিটর দরকার । আর তেমন কিছুর দরকার পরে না।
এনভায়রনমেন্ট সেট আপঃ ওয়েবজিএলের জন্য পৃথক কোনও এনভায়রনমেন্ট সেট আপের প্রয়োজন হয় না। যেসব ব্রাউজার ওয়েবজিএল সাপোর্ট করে সেগুলোর ওয়েবজিএলের জন্য নিজস্ব বিল্ট ইন সেট আপ করাই থাকে।
Apr 19
কানাডাতে ইসলামিক মর্টগেজ
Good, Bad, Ugly – I do not know…
For Canada
An-Nur Coop – offers home purchase as well as commerical real estate.
http://nurcoop.com
Lariba Canada – provide its members with interest free finance, Islamic forms of Investments and extremely modest financial services which are free from any sort of usury.
http://www.lariba.ca
ISNA Housing
http://www.isnahousing.ca
Ansar Co-operative Housing Corporation LTD
http://www.ansarhousing.com
Salam Financial – based in Ottawa, Ontario.
http://www.salamfinancial.com
Mar 26
ওয়ার্ডপ্রেসঃ ইন্টারভিউয়ের প্রশ্নাবলী . WordPress : Interview Questions and Answers
ওয়ার্ডপ্রেসঃ ইন্টারভিউয়ের প্রশ্নাবলী
সুপ্রিয় পাঠক, ওয়ার্ডপ্রেসের ইন্টারভিউয়ের এই প্রশ্নগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে ওয়ার্ডপ্রেসের সাথে সম্পর্কযুক্ত কোনও সাক্ষাৎকারের সময় যেসব প্রশ্ন আপনাদের মোকাবেলা করতে হবে তা সম্পর্কে যেন সুস্পষ্ট ধারণা আপনারা পেতে পারেন।অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সাধারণত ভাল সাক্ষাৎকার যারা নেন, তাঁরা কোনও নির্দিষ্ট প্রশ্ন নয় বরং বিষয়ভিত্তিক বেসিক কনসেপ্ট থেকে প্রশ্ন করেন, আর তারপর সেখান থেকেই প্রশ্ন এগিয়ে চলে আপনার উত্তরের উপর ভিত্তি করে।
ওয়ার্ডপ্রেস কী?
-ওয়ার্ডপ্রেস এক ধরনের ওপেন সোর্স কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, যা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা ডাইনামিক ওয়েবসাইট ও ব্লগ তৈরি করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেসের কিছু ফিচার সম্পর্কে বলুন?
-ওয়ার্ডপ্রেসের কিছু ফিচার হলঃ
ইউজার ম্যানেজমেন্ট
মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
থিম সিস্টেম
প্লাগিনের ব্যবহার
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
মাল্টিলিঙ্গুয়াল
ইমপোর্টার
ওয়ার্ডপ্রেসের কী কী অসুবিধা আছে?
-ওয়ার্ডপ্রেসের কিছু অসুবিধা হল,
• প্রচুর প্লাগিন ব্যবহার সাইটকে ‘ভারি’ করে লোড বা রান করানোর ক্ষেত্রে কঠিন পরিস্থিতির সামনে ফেলে।
• ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের জন্য পিএইচপি সম্পর্কে জ্ঞানের প্রয়োজন হয়।
• সর্বশেষ ব্রাউজার বা মোবাইল ডিভাইসের সাথে ওয়ার্ডপ্রেসের সামঞ্জস্য রাখতে অনেক সময় সফটওয়ার আপডেট রাখতে হয়।এই আপডেটের সময় ডাটা হারানোর সম্ভবনা থাকে, যার জন্য ওয়েবসাইটের কপি ব্যাকআপ হিসেবে সংরক্ষণ করতে হয়।
• গ্রাফিক ইমেজ ও টেবিলের পরিবর্তন বা পরিবর্ধন খানিকটা কঠিন।
ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ডে আমরা যে বিভিন্ন ধরনের যে গেজেটগুলো দেখতে পাই, সেগুলো কী কী?
-ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ডে আমরা যে গেজেটগুলো সচরাচর দেখে থাকি সেগুলো হল,
• ড্যাশবোর্ড মেন্যু
• স্ক্রীন অপশন
• ওয়েলকাম
• কুইক ড্রাফ্ট
• ওয়ার্ডপ্রেস নিউজ
• একটিভিটি
• এট এ গ্লেন্স ইত্যাদি
ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ডে থাকা কুইক ড্রাফ্ট সেকশনের কাজ কী?
-কুইক ড্রাফ্ট সেকশন একটি মিনি পোস্ট এডিটর যার মাধ্যমে এডমিন ড্যাশবোর্ড থেকে কোনও কিছু লেখা,সেভ করা ও পোস্ট আকারে পাবলিশ করা যায়।এতে ড্রাফটের টাইটেল, বিষয় সম্পর্কে কিছু নোট ইত্যাদি লেখা যায় এবং ড্রাফ্ট হিসেবে সংরক্ষণ করা যায়।
ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ডে থাকা ওয়ার্ডপ্রেস নিউজের কাজ কী?
-ওয়ার্ডপ্রেস নিউজ উইজেট অফিশিয়াল ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ থেকে পাওয়া লেটেস্ট সফটওয়ার ভার্সন, আপডেট, সতর্কবার্তা,সংবাদ ইত্যাদি প্রদর্শন করে থাকে।
ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ডে থাকা ‘এট এ গ্লেন্স’ ব্যপারটা কী?
-এই সেকশনটি আমাদের ব্লগ পোস্টের সারসংক্ষেপ, পাবলিশকৃত পোস্টের সংখ্যা ও পেজ সংখ্যা,মন্তব্যের সংখ্যা ইত্যাদি নির্দেশ করে। যখন আমরা কোনও প্রদত্ত লিঙ্কে ক্লিক করি, তা আমাদের সংশ্লিষ্ট পেজে নিয়ে যায়। এটি চলমান ওয়ার্ডপ্রেসের সংস্করণ ও থিম সংস্করণ ইত্যাদিও প্রদর্শন করে থাকে।
ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ডে থাকা একটিভিটি উইজেট কী?
-একটিভিটি উইজেটে ব্লগ সম্পর্কে সাম্প্রতিক মন্তব্য, বর্তমান পোস্ট, সাম্প্রতিক পোস্ট ইত্যাদি থাকে। এটি আমাদেরকে কোনও মন্তব্য এলাউ করা, বা না করার-সুযোগ দিয়ে থাকে, মন্তব্যের উত্তর দেয়ার সুযোগ দেয়, মন্তব্যকে সম্পাদন, ডিলিট বা স্পাম হিসেবে বাদ দেয়ার সুযোগও দিয়ে থাকে এই উইজেট।
ওয়ার্ডপ্রেসের জেনারেল সেটিংএর কাজ কী?
-আমাদের সাইটের বেসিক কনফিগারেশন সেটিং সেট করতে ওয়ার্ডপ্রেসের জেনারেল সেটিং কাজে লাগে।
ওয়ার্ডপ্রেসের রাইটিং সেটিং কী?
-ওয়ার্ডপ্রেসের রাইটিং সেটিং লেখালেখির কাজ নিয়ন্ত্রণ করে আর ওয়ার্ডপ্রেস সাইট কাস্টমাইজেশনের অপশন দিয়ে থাকে। এই সেটিং পোস্ট এডিটিং, পোস্ট টাইপ ও পোস্ট সংযুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট ফিচারগুলো নিয়ন্ত্রণ করে আর আরও কিছু অপশনাল ফাংশন যেমন রিমোট পাবলিশিং, ইমেইলের মাধ্যমে পোস্ট আর আপডেট সার্ভিস ইত্যাদিও নিয়ন্ত্রণ করে।
ওয়ার্ডপ্রেসের রাইটিং সেটিংএ পোস্ট ভায়া ইমেইল অপশনের ইউজ কী?
-এই অপশন আমাদের জন্য পোস্ট তৈরি করতে ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে ও আমাদের ব্লগে ইমেইল এড্রেস অনুসারে পাবলিশ করে। এটি ব্যবহারের জন্য আমাদের একটি গোপন ইমেইল একাউন্ট লাগবে পিওপি 3 এক্সেস সহ, এই এড্রেসে পাওয়া যে কোনও মেইল পোস্টেড হবে।
ওয়ার্ডপ্রেসের রিডিং সেটিং কী?
-ফ্রন্ট পেজের সাথে সম্পর্কিত কন্টেন্ট সেটিংএর জন্য রিডিং সেটিং ব্যবহৃত হয়। ফ্রন্ট পেজে কী কী পোস্ট দেখানো হবে তা এর মাধ্যমে আমরা নির্ধারণ করে দিতে পারি।
ওয়ার্ডপ্রেস রিডিং সেটিংএর মোস্ট রিসেন্ট ফিল্ডের সিন্ডিকেশন ফিডের কাজ কী?
-ইউজাররা যখন সাইটের ফিড ডাউনলোড করে তখন পোস্টের নাম্বার দেখতে পায়। বাই ডিফল্ট এটি ১০ এ সেট করা থাকে।
ওয়ার্ডপ্রেস রিডিং সেটিংএর সার্চ ইঞ্জিন ভিজিবিলিটি ফিল্ডের ব্যবহার সম্পর্কে বলুন?
-এটি সার্চ ইঞ্জিনকে এই সাইট লিপিবদ্ধ করতে বাধা দেয়, আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিনে উপেক্ষিত হয় এই প্রক্রিয়ায়।
ওয়ার্ডপ্রেস ডিসকাশন সেটিং কী?
-ব্লগার ও সাইটের ভিজিটরদের মধ্যকার সমন্বয়ের মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস ডিসকাশন সেটিংকে আমরা বিবৃত করতে পারি, এই সেটিং এডমিনের হাতে থাকে, ইউজারদের পোস্ট বা পেজের উপর নিয়ন্ত্রণ এটির উপর নির্ভর করে।
মিডিয়া সেটিংএর ব্যবহার কী?
-এটি সেইসব ইমেজের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ঠিক করে দেয় যা আমরা আমাদের সাইটে ব্যবহার করতে যাচ্ছি।
পার্মালিঙ্ক সেটিং কী?
-পার্মালিঙ্ক হল নির্দিষ্ট কোনও ব্লগ পোস্ট বা ক্যাটাগরির জন্য স্থায়ী লিঙ্ক। এটি ডিফল্ট পার্মালিঙ্ক স্ট্রাকচার সেটিং করার সুযোগ দেয়। এটি আমাদের ওয়ার্ডপ্রেস পোস্টে পার্মালিঙ্ক সংযুক্ত করার সুবিধা দিয়ে থাকে।
প্লাগিন সেটিং কী?
-প্লাগিন সহজে ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ বা পোস্টের পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংস্কারের সুবিধা দেয়। ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন হল সফটওয়ার যা সাইটের ফাংশনালিটি বৃদ্ধির জন্য আপলোড করা হয়।এগুলো ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে সার্ভিস ও ফিচার সংযুক্ত করে।
ওয়ার্ডপ্রেস ক্যাটাগরি কী?
-আমাদের সাইট ও গ্রুপ সম্পর্কিত পোস্টের সেকশন নির্দেশ করতে ক্যাটাগরি অপশন ব্যবহৃত হয়। এটি গ্রুপ কন্টেন্টকে বিভিন্ন সেকশনে বিভক্ত করে। এটি পোস্টগুলোকে অরগানাইজ করার খুব ফলপ্রসূ একটি উপায়।
ওয়ার্ডপ্রেস পোস্ট কী?
-পোস্ট মূলত আর্টিকেল, অনেক সময় এদের ব্লগ বা ব্লগ পোস্ট নামেও উল্লেখ করা হয়। এটি আমাদের ব্লগিং সাইটকে জনপ্রিয় করতে ব্যবহার করা হয়।
ওয়ার্ডপ্রেসে প্রিভিউ পোস্ট কী জিনিস?
-ইউজারদের কাছে পাবলিশড হওয়ার আগে কোনও পোস্ট দেখে নেয়ার জন্য প্রিভিউ পোস্ট ব্যবহৃত হয়। পোস্টের প্রিভিউ দেখে নেয়া ও সাইটে এটি কেমন দেখাবে তা জেনে নেয়া অনেক ভাল একটি উপায়।
ওয়ার্ডপ্রেসে পাবলিশ পোস্ট কী?
-সব ইউজার যেন কোনও পোস্ট দেখতে পারে এমনভাবে পোস্টটি পাবলিশ করার জন্য পাবলিশ অপশনটি ব্যবহৃত হয়।
মিডিয়া লাইব্রেরী কী?
-কোনও পোস্ট বা পেজে লিখার সময় আমরা যে ইমেজ, অডিও, ভিডিও বা ফাইল সংযুক্ত বা আপলোড করি তাদের সমন্বয়ে মিডিয়া লাইব্রেরী গঠিত হয়।
মিডিয়া লাইব্রেরীর গ্রিড ভিউ কী?
-এটি সব ইমেজকে গ্রিড ফরম্যাটে প্রদর্শন করে।
ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে মিডিয়া ফাইলগুলো কীভাবে সংযুক্ত করা হয়?
-আমাদের পোস্ট বা পেজে লাইব্রেরী, লোকাল স্টোরেজ বা ইউআরএল থেকে মিডিয়া ফাইল ইনসার্ট করা হয়।
ওয়ার্ডপ্রেসে পেজ বলতে কী বুঝেন?
-পেজগুলো স্ট্যাটিক কন্টেন্ট, আর সাধারণত এর প্রদর্শিত তথ্যগুলো অপরিবর্তিত থাকে।
‘WYSIWYG এডিটর’ কী?
-‘WYSIWYG এডিটর’ অনেকটা ওয়ার্ড প্রসেসর ইন্টারফেসের মত, যেখানে আমরা আর্টিকেলের কন্টেন্ট এডিট করতে পারি।
পেজ এট্রিবিউট মডিউল কী?
-পেজ এট্রিবিউট মডিউল আমাদের পেজের মূল অংশ সিলেক্ট করার সুবিধা দিয়ে থাকে। পেজের অর্ডারও এই পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা যায়।
ওয়ার্ডপ্রেসে ট্যাগ বলতে কী বোঝেন?
-মূল কন্টেন্ট বা পোস্টের সাথে লাগানো ছোট্ট তথ্যকনার মত বিষয় হল ট্যাগ, যা আইডেন্টিফিকেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়। পোস্টটি কোন বিষয়ে, ভিজিটরদের তা জানানোই হল মূলত ট্যাগের কাজ। সুন্দরভাবে সজ্জিত ট্যাগ কন্টেন্টকে ঠিকমত খুঁজে বের করতে সাহায্য করে।
ট্যাগের ভিতরের স্লাগ ফিল্ডের কাজ কী?
-এটি ট্যাগ ইউআরএল নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়।
ওয়ার্ডপ্রেসে লিঙ্ক বলতে কী বোঝেন?
-এক রিসোর্সের সাথে অন্য রিসোর্সের কানেকশনই হল লিঙ্ক। ব্লগ বা পোস্টের মাঝে লিঙ্ক ব্যবহার করে অন্য পেজের সাথে যোগাযোগ সাধন করা যায়।
অ্যাডিং কমেন্ট অপশনের ব্যবহার সম্পর্কে বলুন?
-ভিজিটরদের যদি আমাদের অর্থাৎ সাইটের এডমিনের কাছে কোনও প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অ্যাডিং কমেন্ট অপশন ব্যবহার করে সেটি সংযুক্ত করা হয়। এডমিনের মাধ্যমে এপ্রুভড হলে তা পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা হিসেবে প্রচারিত হতে পারে।
মোডারেট কমেন্ট কী?
-কোনও পোস্ট সম্পর্কে ভিজিটরের মন্তব্য সরাসরি পোস্ট করা হয় না, যতক্ষণ না সেটি এডমিনের মাধ্যমে এপ্রুভড হয়, এর মাধ্যমে স্পামিং থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, একেই কমেন্ট মডারেশন প্রক্রিয়া বলে থাকে।
ওয়ার্ডপ্রেসে কন্ট্রিবিউটরের ভূমিকা কী?
-কন্ট্রিবিউটর পাবলিশের আগে পর্যন্ত পোস্ট লিখতে ও এডিট করতে পারবে। তারা নিজেদের মতামত ও মন্তব্য লিখতে পারবে কিন্তু পাবলিশ করতে পারবে না। তারা সাইটের স্ট্যাটাস দেখতে পারবে কিন্তু কোনও ইমেজ বা ফাইল আপলোড করতে পারবে না, কোনও পোস্ট পাবলিশ করার আগে তাদের রিভিউয়ের জন্য এডমিনিস্ট্রেটরের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এপ্রুভড হওয়ার পর কোনও কন্ট্রিবিউটর কোনও পরিবর্তন সাধন করতে পারবেন না তার পোস্টে।
ওয়ার্ডপ্রেসে থিম ম্যানেজমেন্ট বলতে কী বোঝেন?
-থিম বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে প্রদর্শন করে থাকে, এতে ইমেজ ফাইল, টেম্পলেট, সিএসএস স্টাইল শিট ইত্যাদি ব্যবহার করা যায় যা ওয়েবসাইটকে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে সাহায্য করে।
থিম কাস্টমাইজ কী?
– থিম কাস্টমাইজেশন আমাদের সাইটকে নতুন লুক দিতে সাহায্য করে, এর মাধ্যমে আমরা ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ বা কালার, টাইটেল এবং এমন আরও অনেক কিছু পরিবর্তন করতে পারি।
উইজেট ম্যানেজমেন্ট কী?
-উইজেট হল ছোট ছোট ব্লক যা নির্দিষ্ট ফাংশন পারফর্ম করে। এরা ওয়ার্ডপ্রেস থিমে ডিজাইন ও স্ট্রাকচারের কন্ট্রোল আনে।
• এরা কন্টেন্ট ও ফিচার সংযুক্তিতে সহায়তা করে।
• এদের সহজে উইজেট এরিয়াতে ড্র্যাগ এন’ ড্রপ করা যায়।
• উইজেটগুলো বিভিন্ন থিমে বিভিন্ন হয়। সব থিমের জন্য এগুলো এক হয় না।
ওয়ার্ডপ্রেস অপটিমাইজেশনের ধাপগুলো বলুন?
-ওয়ার্ডপ্রেস অপটিমাইজেশনের ধাপগুলো হল,
উঁচু মানের ও অর্থপূর্ণ কন্টেন্ট,
ইমেজের সঠিক নাম,
কীওয়ার্ড সংবলিত সর্ট পারমালিঙ্ক ব্যবহার,
অপ্টিমাইজ করা থিম,
এক্সএমএল ফরম্যাটের সাইটম্যাপ
সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পোস্ট সংযুক্ত করা,
ব্ল্যাক হ্যাট টেকনিক সম্পর্কে সতর্ক থাকা,
ট্রাস বক্স ডিলিট করা,
সাইটের স্ট্যাটিস্টিকস নিয়মিত চেক করা,
প্লাগিংস নিয়মিত চেক করা,
সঠিকভাবে সিএসএস ও জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা।
ওয়ার্ডপ্রেসে এডিটরের ভূমিকা কী?
-এডিটর সমস্ত পোস্ট, পেজ, কমেন্ট, ক্যাটাগরি, ট্যাগ, লিঙ্ক এসব সমস্ত কিছুতে বিচরণ করতে পারেন। তারা যে কোনও পোস্ট বা পেজ তৈরি, পাবলিশ, সম্পাদন বা ডিলিট করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেসে ফলোয়ারের ভূমিকা কী?
-ফলোয়ার কেবল পোস্ট পড়তে ও মন্তব্য করতে পারেন। ফলোয়াররা আপডেট পেতে আপনার সাইটে সাইন ইন করেছেন।
ওয়ার্ডপ্রেসে ভিউয়ারের ভূমিকা কী?
-ভিউয়ার কেবল পোস্ট দেখতে পারেন, আর মন্তব্য করতে পারেন, এডিট করতে পারেন না।
মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট কী?
-এটি মিডিয়া ফাইল ও ফোল্ডার ব্যবস্থাপনার একটি টুল যার মাধ্যমে আমরা ওয়েবসাইটে মিডিয়া ফাইল আপলোড, অরগানাইজ ও ম্যানেজ করতে পারি।
মাল্টিলিঙ্গুয়াল কী?
-এটি সব কন্টেন্টকে ব্যবহারকারী নির্ধারিত ভাষায় অনুবাদ করতে ব্যবহৃত হয়।
ইউজার ম্যানেজমেন্ট কী?
-এটা ইউজারের তথ্য ও ধরণ নিয়ন্ত্রণ(ইউজার কি সাবস্ক্রাইবার, কন্ট্রিবিউটর, অথর নাকি এডমিনিস্ট্রেটর), চেঞ্জ বা ডিলিট করা, পাসওয়ার্ড ও ইউজার ইনফো চেঞ্জ করা ইত্যাদি করে থাকে। ইউজার ম্যানেজারের প্রধান কাজের মধ্যে পরে অথেনটিকেশন।
.
ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য যে পিএইচপি কম্পেটিবিলিটি ব্যবহৃত হয় তা কী?
-পিএইচপি ৫.২ +
ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ড কী?
-ওয়ার্ডপ্রেসে আমরা এডমিনিস্ট্রেটিভ এরিয়ায় লগ ইন করলে যে অংশটায় প্রথম ঢুকি সেটিই ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ড, এখানে পুরো সাইটের ওভারভিউ দেয়া থাকে। ব্লগে কি হচ্ছে না হচ্ছে,এর সমস্ত গেজেট,তথ্য ইত্যাদিও এখান থেকে পাওয়া যাবে।কুইক ড্রাফ্ট, কমেন্ট রিপ্লাই এরকম কিছু কুইক লিঙ্ক ব্যবহার করে আমরা ব্লগের বিভিন্ন বিষয়ে জড়িত থাকতে পারি এই ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে।
ওয়ার্ডপ্রেসের ডিসকাশন সেটিংএর এভাটার ফিল্ডের কাজ কী?
-এভাটার একটি ছোট ইমেজ যা ড্যাশবোর্ড স্ক্রিনের উপরে ডান পাশে থাকে, এটি মুলত প্রোফাইল পিকচারের মত বিষয়।
ওয়ার্ডপ্রেসের জেনারেল সেটিংএর এড্রেস ফিল্ডের কাজ কী?
-এটি ওয়ার্ডপ্রেস ডিরেক্টরির ইউআরএল যাতে সব কোর এপ্লিকেশনগুলো থাকে।
ওয়ার্ডপ্রেস রাইটিং সেটিংএর মেইল সার্ভারের কাজ কী?
-ওয়ার্ডপ্রেসে আমরা যে মেইল পাঠাই তা পড়া ও রিট্রিভালের জন্য সংরক্ষণ করার সুযোগ দেয় এই সেটিং। এর জন্য পিওপি 3 এক্সেস সহ ইমেইল সার্ভার লাগবে যার mail.example.com টাইপের এড্রেস থাকবে, যা আমাদের এখানে প্রবেশ করাতে হবে।
ইম্পোরটার কী?
-এটি পোস্ট আকারে ডাটা ইম্পোরট করতে দেয়, কাস্টম ফাইল, কমেন্ট, পোস্ট পেজ ও ট্যাগ ইম্পোরট করে।
________________________________________
Feb 26
প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি বনাম অনিশ্চয়তা
প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় একটি কমন বিষয় প্রায়ই হয়ে থাকে, এখানে ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তাকে মিলিয়ে ফেলা হয়। এদের সংজ্ঞাগত কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে যা অনেক সময় পেশাদারদেরও দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। আজ আমরা ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তার মধ্যে মৌলিক কিছু ব্যবধান নিয়ে আলোচনা করব।
ঝুঁকি
পিএমআই প্রদত্ত সূত্র অনুসারে ঝুঁকি হল একটি অনিশ্চিত ঘটনা বা অবস্থা যা ঘটলে প্রকল্পের উদ্দেশ্যের উপর অন্তত কোনও একটি ভাবে হলেও প্রভাব রাখতে পারে।ঝুঁকির প্রভাব ভাল বা মন্দ যেকোনো রকমেরই হতে পারে, আর এটি অনুমিত একটি বিষয়।
অনিশ্চয়তা
অনিশ্চয়তা হল নিশ্চয়তার অনুপস্থিতি। অনিশ্চয়তার ক্ষেত্রে কোনও ঘটনার ফলাফল একেবারেই অজানা, অননুমেয়। এখনো বিষয়টি পরিষ্কার না হলে আমি বিষয়টি বুঝিয়ে দিচ্ছি, ধরা যাক, কোনও দুটি স্বনামধন্য ফুটবল দল যাদের কিনা নির্ভরযোগ্য ও খ্যাতিসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে, তারা আগামী কোনও একটি দিন মুখোমুখি হবে। কে জিতবে, তা নিশ্চিত করে কি আপনি বলতে পারবেন? না। আপনি যা পারবেন তা হল দলগত ও ব্যাক্তিগত পারফর্মেন্স বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য একটি ফলাফল আশা করতে, যেখানে আপনি শতাংশের বিচারে সেই সম্ভবনাকে প্রকাশ করবেন।
এখন, সেই একই ফুটবল ম্যাচকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে বিশ্লেষণ করা যাক,
ধরা যাক, দুটি টিমই খেলবে, কিন্তু কোনও টিমের জন্যই কোনও খেলোয়াড় নির্ধারণ করা হল না বা নাম নিশ্চিত করা হল না, কেউ কোনও ধারনাও পেল না কোন টিম কেমন শক্তিশালী হবে বা দুর্বল হবে। এমন অবস্থায় আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় কে জিতবে, তাহলে কোনও উত্তর দেয়া কি সম্ভব হবে আপনার জন্য? একেই বলে অনিশ্চয়তা।
এখন আমি নিশ্চয়ই ধরে নিতে পারি ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তার মধ্যে ব্যবধান আপনার কাছে স্পষ্ট হয়েছে!
Feb 24
আইটি কনসালটেন্ট ও কন্ট্রাক্টরদের জন্য নৈতিকতার ১০টি নিয়ম . 10 ethical rules for IT consultants and contractors
কাজের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করবে-এমন নৈতিক ক্রুটি এড়াতে আমরা সাহায্য নিতে পারি কিছু কোড অফ কন্ট্রাক্টের।
নৈতিকতার কিছু সুসংহত নিয়ম ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে এবং আপনার গ্রাহককে, উভয় পক্ষকেই নিরাপদ রাখবে। বিপদে আর অস্থিতিশীল সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেও সাহায্য করবে। সবচেয়ে বড় নিয়ম হল সেটাই, আপনি নিজে যেভাবে মূল্যায়িত হতে চান সেভাবেই গ্রাহককে মূল্যায়ন করুন। কিন্তু ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার অনেকসময় কিছু নির্দিষ্ট গাইডেন্স দরকার হয়। আমি নিচের নিয়মাবলী থেকে যে দিকনির্দেশনা পেয়েছি আশা করব আপনারাও সেরকম দিকনির্দেশনাই পাবেন এথেকে।
১ঃ সৎ থাকুন
আপনি আপনার ক্ষমতা, ব্যাকগ্রাউন্ড,দক্ষতা এমনকি প্রকল্পে যে সময় ব্যায় করেছেন, তা নিয়ে মিথ্যাচার করতে পারেন। এমনতরো প্রলোভনের ফাঁদে আমরা প্রায়ই পড়ি। আপনাকে নিয়োগ দেয়ার সময় ক্লায়েন্ট আপনাকে বিশ্বাস করেই নিয়োগ করবেন। সেই বিশ্বাসটাকে কোনও কারনেই নষ্ট হতে দেবেন না, বিশেষ করে কাজ পাবার জন্য মিথ্যা কখনোই বলবেন না।
২ঃ প্রয়োজনে ‘না’ বলতে শিখুন
গ্রাহক আপনাকে হায়ার করে আপনার মতামত,অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের জন্য। এগুলোর কোনওটাতে ঘাটতি হলে তা বিশ্বাস ভঙ্গের সামিল হবে,আর তা আপনার জন্য বয়ে আনবে সমস্যা।ক্লায়েন্ট হয়ত আপনার কথামত চলবে না, হয়ত ভিন্নমত পোষণ ভিন্ন পথেরও সৃষ্টি করতে পারে। সবসময় সঠিক কথা বলা সহজ হবে না। কিন্তু আপনাকে বলতেই হবে।
৩ঃ প্রয়োজনে অপেক্ষা করুন
আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে উদ্ভাবনের ঊর্ধ্বে রাখাটা অনুচিত হবে। আপনার অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সেটার সেরা প্রয়োগের চেষ্টা করা উচিৎ, অর্জিত জ্ঞানকে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা ঠিক না।
৪ঃ যে ক্লায়েন্টের কাজ করছেন, তার কাজে মনোযোগ দিন
যখন যে ক্লায়েন্টের কাজ করছেন, তার দিকে মনোযোগ দিন, অন্য ক্লায়েন্টের কাজের দিকে দৃষ্টি দেবেন না। এমনকি ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলার সময় প্রয়োজনে তাঁর কাছ থেকে সময় নিয়ে আপনার সেল ফোনটি বন্ধ করুন, যেন আপনাদের কথোপকথনে বিঘ্ন না হয়। এটি আপনাদের কাজের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে পারে।
৫ঃ ফেরার পথ বন্ধ রাখুন
ডেভলপাররা এধরণের ব্যাকডোর কোডিং পছন্দ করেন যা আর কেউ জানে না। যখন সকল প্রথাগত পদ্ধতি ব্যর্থ হয় তখন এটি প্রয়োগ করা হয়। যখন আপনি একটি প্রকল্প ত্যাগ করবেন, তখন ব্যাকডোর লক এমনকি ধ্বংস করার ডকুমেন্টেশন তৈরি রাখুন।
৬ঃ গোপনীয়তা বজায় রাখুন
দক্ষতা থাকা সাপেক্ষে কারো কারো একই ফিল্ডে একাধিক ক্লায়েন্ট থাকতে পারে।এটা অন্যায় কিছু নয়। অনেক আইটি প্রজেক্ট আছে যার মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক কিছু নেই, যে কারনে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লায়েন্টদেরও ক্ষেত্রবিশেষে সেবা দেয়া যেতেই পারে।মোবাইল ফোনের নির্দিষ্ট কোনও অ্যাপের বাজার দখল করতে চাইছে এমন দুটি প্রতিষ্ঠান একসাথে আপনাকে ডেভলপার হিসেবে হায়ার করবে না। কিন্তু তাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আপডেট করতে উভয়েই আপনাকে হায়ার করতে পারে।
নিজেকে এবং ক্লায়েন্টকে রক্ষা করতে এরকম পরিস্থিতিগুলো উভয় পক্ষের ক্লায়েন্টকে জানিয়ে রাখুন।মালিকানা সত্ত্বের কন্ট্রাক্টগুলোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করুন। ক্লায়েন্টের আগ্রহ আর আপনার সীমাবদ্ধতার একটি সূক্ষ্ম সীমানা আছে, সেটি বোঝার চেষ্টা করুন।
৭ঃ ম্যানেজারের আত্মবিশ্বাসের মূল্য দিন
দুই ক্লায়েন্টের মধ্যে যেমন গোপনীয়তার সীমা আপনি অতিক্রম করবেন না তেমনি একই কোম্পানির বিভিন্ন স্তরের মধ্যেও তথ্য আদানপ্রদান করবেন না। উদ্ভাবনসংক্রান্ত বিষয়ে ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে গোপনীয় কোন তথ্য দেয় তাহলে আপনি কোম্পানির কারো সাথে সেটা শেয়ার করবেন না। যেমন, যদি আপনি আপনার কোম্পানির সিইওর কাছ থেকে শোনেন যে কোম্পানি কাস্টমার সার্ভিস বিভাগের জন্য আউটসোর্সের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, আপনি সেই একই বিভাগে কর্মরত আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে সতর্ক করতে পারবেন না।
৮ঃ ঝামেলায় জড়াবেন না
প্রত্যেক কোম্পানির নিজস্ব কিছু গোলমাল থাকে। সেগুলোতে জড়াবেন না। আপনার কাজের জন্য কোম্পানি আপনাকে টাকা দিচ্ছে। গোলমাল দেখার দায়িত্ব মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের।
৯ঃ অনৈতিক আচরণ সম্পর্কে রিপোর্ট করুন
ম্যানেজার অনৈতিক কিছু করলে(কোম্পানি সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে) মধ্যস্থতা করতে পারে এমন অথরিটিকে বিষয়টি জানান। সন্দেহের বশে কিছু বলবেন না, প্রমান সহ ম্যানেজারের উপস্থিতিতে কথা বলুন।আরেকটি বিষয় হল, এরপর এই অবস্থায় আপনার এখানে হয়ত আর কাজ করা হবে না।
১০ঃ বশ্যতার বাতাবরণে আটকে পরবেন না
টাকার বিনিময়ে বশ্যতার আবরনে আটকে যাবেন না।দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা ও প্রয়োজনের মাধ্যমেই প্রকল্প এগিয়ে যাবে।
অন্য কোনও নিয়ম?
কনসাল্টেন্ট বা কন্ট্রাক্টর হিসেবে আপনি কি নৈতিকতা সংশ্লিষ্ট আর কোনও সমস্যা মোকাবেলা করছেন? সোজাসরল ও স্পষ্ট অবস্থানে থাকতে আপনি আর কি কি মেনে চলেন?
Feb 22
এস এ পি (SAP) ওয়ার্কারদের বেতন, প্রণোদনা, লিঙ্গ ও ভিসা সংক্রান্ত তথ্যঃ Here’s the data on pay, perks, gender and visas of SAP workers
চারভাগের তিনভাগ ফুল টাইম এস এ পি (SAP) ওয়ার্কার জব খোঁজে
আমেরিকার প্রায় ১২০০ এস এ পি (SAP) ওয়ার্কারের উপর জরীপ করে তাদের বেতন, কাজের স্থান, কাজের মাধ্যমে প্রত্যাশা আর কত জনের ভিসা আছে এসব ব্যাপারে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
মাইক্রোসফট স্কিলের কাজের ক্ষেত্রে এসকিউএল সার্ভার, এজিউর, শেয়ারপয়েন্ট, আর ডট নেটের ডিমান্ড বেশি।
লিঙ্গের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এই খাতের ৮২ শতাংশ কর্মীই পুরুষ, যদিও বেতনের ক্ষেত্রে কোনও লিঙ্গ বৈষম্যের কারণ নেই বা এরকম কোনও কিছু পরিলক্ষিত হয় না।
সাধারণত আইটি সেক্টরে মেয়েরা সঙ্খালঘু, ২৬ শতাংশ মাত্র। এস এ পি (SAP) সেক্টরে এই সংখ্যা আরও কম, মাত্র ১৭ শতাংশ(রেড কমার্স সার্ভে অনুসারে)।.
এস এ পি (SAP) ওয়ার্কারদের এক তৃতীয়াংশ ভিসাধারী, যার ৫৪ শতাংশ মার্কিন নাগরিক,৩১ শতাংশ অস্থায়ী কাজের অনুমতি প্রাপ্ত যার মধ্যে এইচ বি ১ ভিসাও আছে,১৫ শতাংশ গ্রিনকার্ড ধারী। রেড কমার্স সিইও রিচারড ভারসেসি বলেন, এস এ পি (SAP)ওয়ার্কারের চাহিদা মেটাতে ভিসা হোল্ডারদের কাজে লাগানোতে স্স্টাফিং এজেন্সিগুলোকে ব্যবহার করা স্ট্যান্ডার্ড ইউএস স্টাফিং মডেলের একটি দৃষ্টান্ত।
ইউরোপের ক্ষেত্রে প্রায় ৯০ শতাংশই ইউরোপিয়ান হবে বলে তিনি মনে করেন।
এস এ পি (SAP) সংশ্লিষ্ট কাজের বেতন ভাল।আপনি যদি ফ্রিলেন্সার হন আর ভ্রমনে আগ্রহি থাকেন, তাহলে আরও ভাল। ২৫ শতাংশ ফ্রিলেন্সার কনসাল্টেন্ট ১০১ থেকে ১২০ ইউএস ডলার পান প্রতি ঘণ্টায়। ২৭ শতাংশ ফুলটাইম ওয়ার্কার বছরে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১৯ হাজার ইউএস ডলার বেতন পান বলে জানান।
৪৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এস এ পি (SAP) সহযোগী প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যার মধ্যে কনসালটেন্সি ফার্মও আছে। বাকি ৪২ শতাংশ ইউজার কোম্পানির জন্য কাজ করে, আর ৯ শতাংশ এসএপিতে কাজ করে।
এস এ পি (SAP) প্রফেসনালের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি টেক্সাসে, যেখানে ১৪ শতাংশ এস এ পি (SAP) প্রফেশনাল কাজ করে, এরপর ক্যালিফোর্নিয়া ১২.৫ শতাংশ, নিউ জার্সি ৮.৫ আর ইলিনয়ে ৮ শতাংশ।
ভারসেসি টেক্সাসের তেল ও গ্যাসের ইন্ডাস্ট্রির অবদান বলেন একে, যারা এস এ পি (SAP) সফটওয়ারের বড় ব্যবহারকারী।
ভাল বেতনেও কর্মীরা খুব একটা খুশি নন, অর্ধেক কর্মীই ওভারটাইম পাওনা নিয়ে অভিযোগ করেছেন, আর মাসে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করার অনুযোগও আছে। এই ধারাটি অপেক্ষাকৃত নতুন।
এমপ্লয়ারদের জন্য সতর্কবার্তা, ৭৫ শতাংশ কর্মী ১ বছরের মধ্যে নতুন কাজ নিতে চাচ্ছে, যাদের ৩৩ শতাংশ আর মাত্র ৩ মাসের মধ্যে এটি করবে। ভারসেসি বলেন, নতুন কাজ খোঁজার এই হার অনেক বেশি, যদিও জরিপের সময় এতে প্রভাব রাখতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা অনেককিছুর উপর নির্ভর করে, এস এ পি (SAP) ব্যবহারেও এর প্রভাব থাকতেই পারে। সেজন্যও এসএপিকর্মীরা নতুন কাজ খুঁজে থাকতে পারেন। আর সে কারনেই আইটি প্রফেশনালরা যাদের এস এ পি (SAP) দক্ষতা আছে তারা এসএপির ইন মেমোরি কম্পিউটিং সিস্টেম জাতীয় নতুন প্রযুক্তি(হানা-এইচএএনএ) ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে চাইবেন বলে মনে করেন ভারসেসি।

