Hyatt Hotels এর পেমেন্ট কার্ড সিস্টেম ২৫০ লোকেশনে হ্যাকিং-এর শিকার (Hyatt hackers hit payment processing systems, scooped cards used at 250 locations)

Hyatt Hotels এর পেমেন্ট কার্ড এবার হ্যাকিং-এর শিকার হলো। হ্যাকাররা পঞ্চাশ দেশের Hyatt Hotels এর ২৫০ হোটেল লোকেশনে এ আক্রমণ চালায় মূলত তাদের পেমেন্ট কার্ড ডিটেইলের ওপর। এতে কোম্পানির পেমেন্ট প্রসিডিউর ম্যালওয়্যারের খপ্পরে পরে ইনফেক্টেড হয়।

Hyatt Hotels কতৃপক্ষ এই ডাটা breach এর কথা ঘোষণা করে ডিসেম্বরে এবং তারা ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। সম্প্রতি, তারা হ্যাকিং-এর শিকার সব হোটেল শাখার তালিকা প্রকাশ করছে। এতে দেখা যায় গত ১৩ আগস্ট থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব লোকেশনে আক্রমণের ঘটনা ঘটে।

হ্যাকিং-এর শিকার বেশির ভাগ কার্ডই কমপ্রোমাইজড হয়েছে রেস্ট্যুরেন্টে। কিছু অংশ আক্রান্ত হয়েছে স্পা, গলফ শপ, কার পার্ক, ফ্রন্ট ডেস্ক এবং সেলস অফিসে।

ম্যালওয়্যারটি ইনস্টল করা হয়েছিলো- কোম্পনির সেসব কম্পিউটারে যেখানে পেমেন্ট ক্যাপচার করা হতো। পেমেন্ট কার্ড এর বিস্তারিত; যেমন- কার্ড হোল্ডারের নাম, কার্ড নম্বর, মেয়াদ শেষের তারিখ এবং ভেরিফিকেশন কোড – এসবই শিকার হয়েছে হ্যাকিং-এর।

কোম্পানিটি এখন কাস্টমারদের কে ইমেইল ও মেইলিং ঠিকানায় নোটিফিকেশন পাঠানোর প্রক্রিয়ায় আছে। আক্রান্ত কাস্টমারগণকে এক বছরের জন্য সাবস্ক্রিপশন অফার করা হচ্ছে আইডেন্টিটি ও ফ্রড প্রটেকশনের বিষয়ে। এই সার্ভিস ব্যবস্থাপনায় থাকবে – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক CSID. আর কাস্টমারগণ পাবেন এটা বিনা মূল্যে।

Hyatt Hotels কতৃপক্ষ থার্ড পার্টি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের সাথে কাজ করছে এই নিরাপত্তা ভঙ্গের বিষয়ে জানার জন্য এবং ভবিষ্যতে আর যেনো তা ঘটতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।

Hyatt Hotels হলো সর্বশেষ হ্যাকিং-এর শিকার এ ধরনের কোম্পানি যারা ম্যালওয়্যার এর মাধ্যমে পেমেন্ট সিস্টেমে এটাকের ফাঁদে পড়ে। এ সেক্টরের অন্যান্য কোম্পানি যারা আগে এ ধরনের ঘটনার শিকার হয় তাদের মধ্যে রয়েছে- Hilton Worldwide, Mandarin Oriental and Starwood Hotels & Resorts Worldwide.

http://www.cio.com/article/3023201/hyatt-hackers-hit-payment-processing-systems-scooped-cards-used-at-250-locations.html

হ্যাকারদের টার্গেটে মার্কিন গোয়েন্দা পরিচালকের একাউন্ট (US intelligence director’s accounts next on the hacking block)

সিআইএ পরিচালকের ইমেইল একাউন্ট হ্যাক হবার কয়েক মাস পরেই, হ্যকাররা এবার তাদের দৃষ্টি দিয়েছে মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এর পরিচালক James Clapper এর ব্যক্তিগত অনলাইন একাউন্টের দিকে।

যে হ্যকাররা গতবছর সিআইএ পরিচালক John Brennan এর একাউন্ট breach করেছিলো, তারাই এখন দাবি করেছে যে, তারা এবার James Clapper এর একাউন্টের বেশ কিছু অংশে ঢুকে পড়তে পেরেছে। এর মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত ইমেইল, ইন্টারনেট ও ফোনের বিষয়ও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, হ্যাকাররা সেটিংস পরিবর্তন করে James Clapper এর বাড়িতে করা ফোনকলগুলো Free Palestine Movement এ ফরওয়ার্ড করে রেখেছে।

ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এর পরিচালক James Clapper এর দফতরের মুখপাত্র Brian Hale সম্প্রতি জানান যে, বিষয়টি সম্পর্কে তারা সতর্ক আছেন এবং তা যথাযথ কতৃপক্ষকে জানানোও হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।

হ্যাকিং-এর এই অভিযোগ আর যাই হোক এটা প্রমাণ করছে যে, হ্যাকারদের টার্গেট এখন মার্কিন উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তাগণ। গত অক্টোবরে John Brennan এর ব্যক্তিগত AOL account হ্যাকিং-এর বিষয়টি জানাজানি হবার আগে Department of Defense রাশিয়ান হ্যাকারদেরকে দায়ী করে বলেছিলো যে, এটা malicious code কোড সম্বলিত ইমেইল ক্লিকের মাধ্যমে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কমপ্রোমাইজের মাধ্যমে এটা হয়েছে।

John Brennan সেই হ্যাককে উল্লেখ করেন “outrage” হিসেবে, যা গোয়েন্দা বিভাগ এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার চ্যালেঞ্জগুলোকেই হাইলাইট করেছে। তিনি এক গোয়েন্দা সম্মেলনে বলেন, এই ঘটনা আমাদের জানান দিয়ে যায় যে, যারা ক্ষতি করতে চায় তাদের কাছে মানুষ কতো অরক্ষিত ও অসহায়। আমাদের সত্যিকার অর্থেই এ সকল ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে হবে।

নিরাপত্তা বিষেষজ্ঞগণ এ ধরনের এটাককে এক ধরনের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে উল্লেখ করেন যেখানে অনধিকার প্রবেশকারীগণ নানান ছুতোয় ঢুকে যাবার প্রয়াস চালায়। কিন্তু নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টগণ এ সকল হ্যাকারদের পথে বাধার সৃষ্টি করতে পারেন।

 

http://www.cnet.com/news/us-intelligence-directors-accounts-next-on-the-hacking-block/

WHM অধীনে একটি হোস্টিং অ্যাকাউন্টের টার্মিনেটিং । Terminating a Hosting Account Under WHM

Terminating a Hosting Account Under WHM

[youtube http://www.youtube.com/watch?v=n5AX2YeZRGY]

 

সাইবার আক্রমণের আশঙ্কাঃ হ্যাকারদের টার্গেট আগামি বছরের মার্কিন নির্বাচন (Cyberattack prediction: Hackers will target a U.S. election next year )

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ Bruce Schneier আগামি বছর মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরে বড় ধরনের সাইবার আক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এই আক্রমণ ভোটিং সিস্টেমকে আঘাত করবে না, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও হয়তো নাক গলাবে না। এর লক্ষ্য হবে আরো গভীর। ষ্টেট বা স্থানীয় জাতিভেদকে ঘিরে।

Schneier বলেন, “এটি এমন হ্যাকিং হবে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে। আক্রমণকারীরা প্রার্থীদের ওয়েবসাইট এটাক করতে পারে, তাঁদের ইমেইল আর সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট হ্যাক করতে পারে।“

তাঁর মতে, তথ্য উপাত্ত নিরাপত্তা ও প্রাইভেসির বিষয়গুলো এখন বেশি করে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ঢুকে পড়ছে এবং ক্রমশ হ্যাকারদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এসব আক্রমণের মধ্যে আভ্যন্তরীণ সনি ইমেইল ফাঁস (যা মার্কিন সরকার দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে লিঙ্ক করেছে) এবং সৌদি আরব ও ইরান বিষয়ক পররাষ্ট্র দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে।

ইতোমধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ তথ্য উপাত্ত নিরাপত্তা ইস্যুতে বিপরীতমুখী নীতি অবলম্বন করেছে। গত অক্টোবরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অফশোর ডাটা নিরাপত্তা বিষয়ে সেফ হারবার এগ্রীমেন্ট (Safe Harbor agreement) নাকচ করে দিয়েছে। বলেছে যে, এটা যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব শীঘ্রই Cybersecurity Information Sharing Act পাশ করতে যাচ্ছে।

আইনী ও পাবলিক –রিলেশনের বিষয়ে ঝুঁকি কিছু এন্টারপ্রাইজকে তাঁদের ডাটা নিয়ে (তথ্য উপাত্ত) আবার ভাবতে বাধ্য করছে। কমপ্লায়েন্সের মতো এটিও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এখন। কিছু কোম্পানি প্রথম দিকে কিছু ডাটা না রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। তাঁর মতে, ছোট খাটো বা অল্প তথ্য কাস্টমারের জন্য উপকারী। অনেক ডাটা বা তথ্য-আধিক্য প্রয়োজন নেই।

এখন পর্যন্ত, অন্তত একটি বিষয়ে উন্নতি হচ্ছে- অধিক হারে ডাটা এনক্রাইপ্ট হচ্ছে এখন যা ব্যবহারকারীর কাছে দৃষ্টিগোচর হয় না। উদাহরণ স্বরূপ, জিমেইল ট্রাফিককে ইউজার ডিভাইস থেকে এনক্রাইপ্ট করে গুগুল সার্ভারে পাঠায় – আলাদা করে গুগল আর অন্যান্য কোম্পানির ডাটা সেন্টারে।

এটা অনেক শক্তিশালী। যদিও এনক্রাইপশন ভাঙ্গার পথ আছে। তবু সব আক্রমণকারী এটা পারে না বা করতে প্রয়াসী হয় না। তাই এ থেকে ভালো নিরাপত্তা পাওয়া যাচ্ছে।

http://www.cio.com/article/3016835/security/cyberattack-prediction-hackers-will-target-a-us-election-next-year.html

বিসিএস মৌখিক পরীক্ষা প্রস্ততিঃ ০১ । Part-1: Preparation Guide for BCS (Govt. Job) Interview in Bangladesh

স ম আজহারুল ইসলাম (সনেট)

৩৪ তম বিসিএস, এডমিন ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত

 

৩৫ তম বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবাইকে অভিনন্দন ।

খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ৩৫ তম বিসিএস এর ইন্টারভিউ শুরু হতে যাচ্ছে । হাতে সময় কম , তাই এখন থেকেই প্রিপারেশন শুরু করা জরুরি ।

নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে এবং পূর্ববর্তী ক্যাডার দের সাথে কথা বলে, বই পত্র ঘেটে যেটুকু জ্ঞান লাভ করেছি তার আলোকে কিছু দিক নির্দেশনা দেবার চেষ্টা করি ।

 

১) প্রথমত আপনি কি সাধারণ ক্যাডার এর জন্য টিকেছেন নাকি টেকনিক্যাল এর জন্য নাকি উভয়ের জন্যই ? আপনার রোলের সিরিয়াল কত ?

– সাধারণত বিসিএস এ প্রথমে ইন্টারভিউ শুরু হয় সাধারণ ক্যাডার যাদের তাদের, এরপর উভয় ক্যাডারদের এবং সবশেষে টেকনিক্যাল ক্যাডার হিসেবে চান্স পেয়েছেন যারা তাদের টা সবার শেষে …

মানে ধরেন ৬ হাজার জন যদি লিখিত তে উত্তীর্ন হয়ে থাকেন তাদের মাঝে যদি জেনারেল ৩ হাজার , বোথ ২ হাজার, টেকনিক্যাল ১ হাজার জন হয়ে থাকে তাহলে আগে হবে প্রথম ৩ হাজার জনের (রোলের সিরিয়াল অনুযায়ী), এরপর ২ হাজার জনের , এরপর ১ হাজার জনের ।

এবং এখানে আপনি লিখিত তে কত ভাল করেছেন সে অনুযায়ী ডাকবে না, পিএসসি সাধারণত ১৫-২০ দিন পর পর ২ সপ্তাহের একটা লিস্ট দেয়, প্রতিদিন গড়ে ১৫০-১৮০ জনের ভাইভা হয় ।

এখন আপনি হিসাব করে নিন আপনার রোল লিখিত উত্তীর্নের তালিকায় কত নম্বরে এবং তা থেকে আইডিয়া করে নিন আনুমানিক কবে নাগাদ আপনার ইন্টারভিউ পড়তে পারে ।

ঘাবড়াবেন না, পিএসসি তালিকা দেবার পর অন্তত ৭-১০ দিন পরে আপনার ডাক পড়বে, যত আগে/পিছেই আপনার ক্রম হোক না কেন …

২) আপনাকে প্রস্তুতি নেবার সময় দুইটা জিনিস মাথায় রাখতে হবেঃ

  • আপনি কোন ক্যাডার ফার্স্ট-সেকেন্ড-থার্ড চয়েসে রেখেছেন
  • আপনি কী জেনারেল/টেকনিক্যাল নাকি বোথ ক্যাডারে টিকেছেন ?

সাধারণত আপনি যদি প্রথমে যে চয়েস গুলো দিয়েছেন আপনার ভাইভা বোর্ডে প্রশ্ন হবে ,আপ্নাকে প্রশ্নকর্তা গণ তার আলোকেই জাজ করতে ট্রাই করবে । তাই যে বিষয়ে প্রথম চয়েস দিয়েছেন সেটার আলোকে খুব ভাল করে প্রস্তুতি নেন …

৩) রিডিং ম্যাটেরিয়ালস কী কী লাগবে ?

– ধরে নিলাম আপনার প্রথম চয়েস বিসিএস এডমিন । আপনার সেজন্য মিনিমাম ৩টা জিনিস কালেকশনে রাখা উচিতঃ

  • বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের আদ্যোপান্তের উপরে একটা বইঃ

(নীলক্ষেতে অনেক রাইটারের বই পাওয়া যায়, অনেক প্রকাশনেরও, বিসিএস এর বই পত্র রাখে এমন যেকোন দোকানেই আপনি পাবেন)

এই বইগুলোতে মোটামুটি ৪৭ থেকে ৭১ এর ঘটনাপ্রবাহ, উল্লেখযোগ্য দিন তারিখ আন্দোলন, নেতাগণের অবদান, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বাইরের বিশ্বের অবস্থান ও তখন কার কী ভূমিকা ছিল এসব নিয়ে বিস্তারিত পাবেন, বংগবন্ধুর জীবনী, জাতীয় চার নেতার জীবনী ও ইনাদের ভূমিকা , মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর সমূহ, সেক্টর কমান্ডার এই তথ্যগুলো এসব বইতে সুন্দরভাবে সাজানো পাবেন ।

  • ভাইভার জন্য ডাইজেস্টঃ

প্রফেসর্স/ওরাকল/কনফিডেন্স/এসিউরেন্স সহ অনেক গুলো প্রকাশনীই বের করে । আমার টা ছিল প্রফেসর্স (তাই বলে আমি এটাই কিনতে বলব না , আপনার যেটা ভাল লাগে কিনবেন) । এখানে আপনি সব গুলো ক্যাডারের জন্যই যা যা পড়তে হবে তার আইডিয়া পাবেন, অনেক সত্যিকারের ভাইবা র উদাহরণ দেয়া আছে ক্যাডার ভিত্তিক । যে যে সাধারণ প্রশ্নগুলো সব ক্যাডার চয়েসের ক্যান্ডিডেট কেই করতে পারে এখানে তা পাবেন ।

এখানে বলে রাখি, আপনি যেই ক্যাডারেই যান না কেন, আপনাকে বাংলাদেশ বিষয়ে খুব ভাল আইডিয়া থাকতে হবে সেটা প্রশাসনিক হোক, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক  হোক, প্রাকৃতিক কিংবা খনিজ সম্পদ বিষয়ক ই হোক।আরও আপনাকে জানা থাকা লাগবে আপনার নিজ জেলা, বিভাগের ব্যাপারে ।

আপনার জেলা ধরেন সিরাজগঞ্জ, আপনার প্রথম চয়েস এডমিন, আপনাকে ধরে বসতে পারে আপনার জেলার এখন ডিসি কে ?কিংবা আপনি পুলিশ ক্যাডার দিয়েছেন প্রথমে, আপনার জেলার পুলিশ সুপারের নাম জানতে চাইতে পারে … সেই জেলায় কয়টি থানা, কয়টি উপজেলা, আয়তন , উল্লেখযোগ্য নদ নদী এসব নিয়েও প্রশ্ন আসতে পারে …

 

[একটা ছোট অভিজ্ঞতা শেয়ার করি, আমার দেশের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, ৩৪ এর ভাইবা দেবার আগে শুনি কয়েকজন কে সেই জেলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছে । একজনের বাড়ি বরিশালে হওয়ায় তাকে বলেছে, “ আপনি জীবনানন্দ দাসের একটা কবিতা শোনান তো” …উনার প্রথম চয়েস কিন্তু ছিল ফরেন ই  ( বোজেন তাহলে, আপনাকে Out of nowhere type যেকোন কিছু জিজ্ঞাসা করে বিপদে ফেলে দিতে চাইবে কিন্তু)

আমি আফসোস করেছি, জীবনানন্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কবি কেন হলেন না ?

যাহোক, ভাইবার আগের রাতে আমি তাই আমার এলাকার চেনাজানা কবি, আল মাহমুদের ‘তিতাস’ এর কিছু লাইন মুখস্ত করে যাই:P  । যাকগে আমাকে কোন কবিতা আবৃত্তি করতে হয় নি পরে ।]

  • আপনার প্রথম যে চয়েস তার উপরে বইঃ

আপনি ফরেন/ইকোনমি/সমবায়/পুলিশ/এডমিন যে বিষয়কেই প্রথম চয়েস হিসেবে দেন না কেন, ওরাকল পাবলিকেশন্সে ক্যাডার ভিত্তিক বই পাওয়া যায় (আরও প্রকাশনীর থাকার কথা)।

আপনি অবশ্যই এটি সংগ্রহ করবেন । এখান থেকে ভাল ধারণা নিতে পারবেন আপনি যেটাকে ফার্স্ট চয়েস দিয়েছেন তার জন্য কী কী পড়তে হবে, আপনাকে কী কী ভাবে ধরতে পারে প্রশ্ন । আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন আসলে আপনাকে কী কী অতিরিক্ত জানা লাগবে, কীসের উপরে জোর দিতে হবে ।

 

এছাড়াঃ

এই ম্যাটেরিয়াল গুলো ছাড়াও আরও যারা এডভান্স তাদের জন্য যার যার ক্যাডার ভিত্তিক আরও কিছু ইলিমেন্ট সংগ্রহ করতে পারেন, যেমন ফরেন এফেয়ার্স ফার্স্ট চয়েস যারা দিয়েছেন, তারা MP3 র আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির বই টা কিনতে পারেন, মার্কেট থেকে একটা গ্লোব বা অন্তত দেয়ালে টানানোর বিশ্ব মানচিত্র এবং বাংলাদেশের প্রশাসনিক মানচিত্র কিনবেন ।

যারা পুলিশ ফার্স্ট চয়েস দিয়েছেন তারা পেনাল কোডের উপর কিছু পাঠ্য বই আছে, নীলক্ষেতে খুজলে পেতে পারেন, সেটা কিনতে পারেন । ইকোনমিক চয়েস ওয়ালারা অবশ্যই বিগত বছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষা টি সংগ্রহ করবেন।

নীলক্ষেতে গত বছরের সালতামামি পাওয়া যাবে কারেন্ট এফেয়ার্সের, সেটা কিনে রাখবেন ।

প্রশাসন ক্যাডারের লোকজন লোকপ্রশাসনের উপরে অনার্সের খুব এলিমেন্তারি লেভেলের কিছু বই কিনতে পারেন যাতে করে কিছু সংজ্ঞা ও প্রশাসনিক কাঠামোর বিভিন্ন স্তরের সম্পর্ক ও ধারণা পেতে পারেন ।

ছোট্ট একটা সংবিধানের বই কিনতে পারেন, কিছু গুরুত্বপুর্ণ ধারা ও অনুচ্ছেদ যাতে শিখে নিতে পারেন ।

আর সবার জন্য কমন হল প্রতি মাসের কারেন্ট এফেয়ার্স টা পড়া, সাথে পত্রিকা পড়বেন । সম্ভব হলে রোজ বাংলা ইংরেজি দুটোই, যদি বা রোজ দুটাই সম্ভব না হয় (অনলাইনে পড়তে পারেন)অন্তত সপ্তাহে একদিন ডেইলি স্টার/ ইন্ডেপেন্ডেন্ট পড়তে পারেন …

যারা প্রথম চয়েস ফরেন এফেয়ার্স দিয়েছেন তারা ডায়েরি মেইন্টেইন করুন, সাম্প্রতিক সময়ের যেকোন বড় দুর্যোগ, যুদ্ধ, সন্ধি চুক্তি, বড় উপলক্ষ্য, কোন সামিট এসবের ব্যাপারে নোট করে রাখুন ।

আর হ্যা, সব সময় ই বলে এসেছি, বিসিএস এর পড়াশোনা র কোন বাধাধরা সীমা পরিসীমা নেই, এখানে আপনাকে কত খানি পড়তে হবে তার চেয়েও গুরুত্বপুর্ণ কতখানি ছাড়তে হবে, কারণ আপনি যা জানছেন তা তো মাথায় রাখা চাই তাই না ?

আর যা জানছেন তাকে ভাইভা বোর্ড পর্যন্ত নিয়ে যাবার চর্চার উপায় হল আলোচনা করা, ২-৩ জন মিলে অনলাইনে হোক, ফোনে হোক আর কোন মুখমুখি আড্ডায় হোক আলোচনা করুন, নিজেদের ডায়েরি শেয়ার করুন, নোট করে রেখেছেন যা তাকে একত্রিত করুন ।

ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন (এটার উপর ভাইবা তে আপনার সফলতার হার ৬০% নির্ভর করে, মনে রাখবেন, এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব)। আপনার চেহারা সালমান খান/ হৃত্বিকের মতন না হোক, আপনার বাচন ভংগিতে সৌন্দর্য থাকুক, কথা বা উচ্চারণে কোন জড়তা কোন আঞ্চলিক টান কিংবা কোন বিশেষ শব্দ/ বর্ণ উচ্চারণে দুর্বলতা থাকলে এই সময় টা তে কাটিয়ে উঠুন । আর এসবের জন্য আপনাকে পড়লেই হবে না দরজা জানালা আটকে, আলোচনা করুন । দরকারে ইউটিউবে খুব ভাল কোন বক্তার চোখ মুখের অভিব্যক্তি দেখুন, ইন্তারবিউ এর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো অনুসরণ করতে ট্রাই করুন । আপনার মুখে অযাচিত গাম্ভীর্য কিংবা ভয়ার্ত ভাব দূর করুন । আত্মবিশ্বাসী হোন ।

মনে রাখবেন , এখানের এই ২০০ মার্ক্স আপনার জ্ঞান যাচাই এর জন্য না, আপনার স্মার্টনেস, আপনার কনফিডেন্স, আপনি কতটা সুন্দর সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করতে পারেন, কতটা সুন্দর করে নিজের জানা কিঙ্গাব অজানাটাকেই উপস্থাপন করতে পারেন সেটার পরীক্ষা, ট্রাস্ট মি ।

এসব নিয়েই আরো আলোচনা হবে, আপাতত রিডিং ম্যাটেরিয়াল গুলো কালেক্ট করে আসুন পড়তে বসা যাক ।

বিদেশে মেডিকেলে পড়তে গেলেন আড়াই শয়ের বেশি শিক্ষার্থী

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রচুর শিক্ষার্থী বিদেশে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করতে যান। বিশেষ করে মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমান ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে। এবারো বেশ কিছু শিক্ষার্থী সেই ধারাবাহিকতায় মেডিকেলে পড়ার উদ্দেশ্যে বিদেশ যাওয়ার জন্য সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২৫৬ জন শিক্ষার্থী বিদেশে যাওয়ার জন্য সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছেন।

বর্তমানে বিশ্বের যে কোন দেশে মেডিকেল বিষয়ে পড়াশোনা করতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) থেকে প্রি-অ্যালিজিবিলিটি (যোগ্যতা) সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে।আগে শিক্ষার্থীরা একসময় যে কোন প্রকারের পাসের শিক্ষাগত যোগ্যতাটুকু থাকলেই বিদেশের মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারতো। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে তারা দেশে ফিরে প্র্যাকটিসের জন্য আবেদন করে নিবন্ধন নিতেন। এ পদ্ধতিতে মান নিয়ন্ত্রণ কষ্টসাধ্য ছিল। তাই বিএমডিসি থেকে প্রি-অ্যালিজিবিলিটি নেয়ার এই পদ্ধতি চালু হয় বলে জানান বিএমডিসির রেজিষ্ট্রার ডা. জাহেদুল হক বসুনিয়া। কোন শিক্ষার্থী প্রাক সার্টিফিকেট ছাড়া বিদেশের মেডিকেলে পড়াশোনা করে পাস করলেও বিএমডিসি তাকে নিবন্ধন প্রদান করবে না বলে তিনি জানান।২০১১ সালে বিএমডিসি নতুন নিয়ম চালু করেছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী দেশীয় মেডিকেলে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের যে ধরনের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা (জিপিএ ৮) কিংবা সমমানের যোগ্যতা থাকতে হয়, বিদেশের মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদেরকেও ন্যূনতম জিপিএ সে রকম থাকতে হবে।

campuslive24.com ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

Creating a multi language blog using WordPress

Creating a multi language blog using WordPress

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল বায়োমেডিকেল রিসার্চ সম্মেলন Biomedical research conference in JU

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় গবেষণা ও প্রশিক্ষণের সুযোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেকারনেই ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বায়োমেডিকেল রিসার্চ সম্মেলন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের Higher Education Quailty Enhencement Project (HEQEP) এর আয়োজনে ‘বাংলাদেশের সমসাময়িক বায়োমেডিকেল রিসার্চ (contemporary biomedical research in bangladesh) শীর্ষক এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে ।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে সভাপতি ছিলেন প্রফেসর ড. সাবির হোসেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম।উদ্বোধনী ভাষণে তিনি স্বাস্থ্য-ব্যবস্থাপনায় biomedical research এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. এম আনোয়ার হোসেন সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. আবুল হোসেন, প্রকল্প পরিচালক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহান্ত এনডিসি, জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. আবদুল জব্বার হাওলাদার ও প্রকল্পের ম্যানেজার প্রফেসর ড. সোহেল আহমেদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানের সায়েন্টিফিক সেশনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রফেসর ড. শরীফ আক্তারুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এস. এম বদিয়ার রহমান, প্রফেসর ড. মো. শাহাদাত হোসেন, প্রফেসর ড. মো. নজিবুর রহমান, ড. নুরুল করিম, ড. ফারহা মতিন জুলিয়ানা, ও ড. মো. মেসবাহ উদ্দিন আনসারী প্রমুখ।

উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা সংশ্লিষ্ট এমন সম্মেলন দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে- এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম ও জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে সেমিনার Seminar held in JU archeology department

প্রত্নতত্ত্ব কোনো জাতির ইতিহাস ও সমৃদ্ধির প্রতীক। কোনও জাতির ইতিহাসের বিবর্তন ও ক্রমবিকাশের স্বাক্ষর এর প্রত্নতত্ত্ব। প্রত্নতত্ত্ব সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। সেখানেই গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও বিশেষ সংস্কৃতির অধিকারী মানবগোষ্ঠীর ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার।

‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে। বুধবার বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ও প্রকল্প পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে সেমিনার উদ্বোধন করেন ভিসি প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আবুল হোসেন, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আবুল খায়ের প্রমুখ।এছাড়া অনুষ্ঠানটিতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রফেসর ড. অসিত বরণ পাল। ভিসি তাঁর বক্তব্যে পর্যটন শিল্প বিকাশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও প্রত্নসংস্কৃতি নিয়ে গবেষণার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও সেমিনারে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

কোনও দেশের সমৃদ্ধ বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা ও এর সংরক্ষণের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সেদেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সেই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এই সেমিনার। দেশের প্রত্ন গবেষণা ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এধরণের সেমিনার আরও সহায়ক হবে, এটিই প্রত্যাশা সবার।

campuslive24.com ও কিছু জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।

সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সাইবার গেমিং কন্টেস্ট Cyber gaming contest held in sylhet leading university

গেমিং তরুণ প্রজন্মের অনেকেরই দৈনন্দিন জীবনের সাথে নিবিড়ভাবে মিশে আছে, আর আমাদের দেশের তরুণদের উদ্ভাবনী দক্ষতায় গেমিংএর ক্ষেত্রটি বিকশিতও হচ্ছে দিন দিন। সেই ধারাবাহিকতায়ই গত ৩০ এবং ৩১ ডিসেম্বর দু’দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ‘সাইবার গেমিং কনটেস্ট ২০১৫ । আয়োজনে ছিল সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ইলেক্ট্রনিক্স ক্লাব অব লিডিং ইউনিভার্সিটি।

দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এই উৎসবের সমাপনী দিনে পুরস্কার বিতরনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন গেমিং কনটেস্ট এর আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এস. এম সাইফুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসাবে এখানে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড.মোঃ কবির হোসেইন। প্রফেসর ড.মোঃ কবির তাঁর বক্তব্যে বলেন, এ ধরনের বৃহৎ আয়োজন শিক্ষার্থীদের মেধার উৎকর্ষ সাধনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, ইউনিভার্সিটির রেজিষ্ট্রার লেঃ কর্নেল (অবঃ) মুনির আহমেদ কাদেরী ও ইইই বিভাগের প্রভাষক মিনহাজ জামান লস্কর প্রমুখ।

উৎসবমুখর এই গেমিং কনটেস্টে লিডিং ইউনিভার্সিটি ছাড়াও অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট) , শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটি, এমসি কলেজ, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি, বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ কলেজ,মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার ছিল সমাপনী দিন, এদিনে সিলেটের মিরাবাজারস্থ হোটেল সুপ্রিমে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী উৎসবে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।

কালের কণ্ঠ ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।