ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ৭ (বিষয়ভিত্তিকঃ গণিত ও ইংরেজি – ১) । BCS Written Exam Guide – ৭ (Subject Based: Math and English -1)

গণিত ও ইংরেজি

বিসিএস প্রিলি তে একটা সময়ে খুব সহজে পার পাওয়া যেত দুইটা জিনিসে ম্যাথ এবং ইংরেজি তে ।

বিশেষত সায়েন্সের স্টুডেন্টস আছেন যারা এবং যারা টিউশনি কিংবা কোচিং এ ক্লাস নেয়ার সাথে জড়িত তাদের জন্য গণিতে ভাল করা সহজ ছিল ; আর ইংরেজিতেও মার্ক্স ছিল কম (১০০ র মধ্যের পরীক্ষা গুলোতে)। আর যারা মোটামুটি গ্রামার জানেন তারা পার পেয়ে যেতেন ।

সম্প্রতি ইংরেজিতে গ্রামার আর লিটারেচার মিলে প্রায় ৩৫ নম্বর থাকে ।

শুধু প্রিলিতেই নয়, আপনাকে রিটেনেও ইংরেজি গ্রামার ফেস করতে হবে , কারেকশন আছে, ট্রান্সলেশন আছে, সেখানে ফরমাল/ ইনফরমাল লেটার, Essay writing টাও আছে । তাই হেলাফেলা করে ইংরেজি প্রিপারেশন নিয়ে লাভ নেই আসলে । এখানে আপনার অনেক মার্ক্স কমে যেতে পারে ।ইংরেজিতে আপনাকে ভাল আল্টিমেটলি করতে তো হবেই, মোটামুটি ভালভাবে ইংরেজি বলার অভ্যাসও থাকা চাই, যারা পরের ভাইভার জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছেন , জেনে রাখুন অধিকাংশ বোর্ডেই আপনাকে ইংরেজিতে আদ্যোপান্ত জিজ্ঞাসা করা হবে, আপনি তোতলাতে থাকলে পেটে যত বিদ্যাই থাকুক, ধরা খাবেন । অনেক কে অপমান করে বের ও করে দেয়া হয়েছে অথচ তাদের রিটেনের মার্ক্স হয়ত ভাল কিংবা গোটা লাইফের রেজাল্ট, ভাইভা র প্রিপারেশন ও ভাল থাকা সত্ত্বেও ।

ম্যাথের ব্যাপারেও বলি, যারা পড়াশোনার সুযোগ কম পান তাদের জন্য ম্যাথের ব্যাসিক ভাল জানা থাকলে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে এগিয়ে যাওয়া সহজ । বিসিএস এর যা ম্যাথ আসে তা একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাক গ্রাউণ্ডের স্টুডেন্টের জন্য বেশ সহজ , তার উপর যাদের পড়ানোর অভ্যাস থাকে ।

সমস্যা টা হয় আমাদের মাঝে যারা ডাক্তার আছেন, অন্য ডিসিপ্লিনের আছেন কিংবা নন সায়েন্সের স্টুডেন্ট আছেন । কেন বলছি অনেকেই খেয়াল করে দেখবেন ইন্টারে করানো বিন্যাস সমাবেশের অংক ভুলে বসে আছেন। আবার ঘনমিতি, ত্রিকোণমিতির টুকি টাকি ও অনেকের মনে নাই ।তাই বিসিএস এর ম্যাথ মানে যারা সরল সুদকষা যোগ বিয়োগ গুণ ভাগের অংক বলে হেলা করেন তারা একটু গা ঝাড়া দিন ।

ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ৬ (বিষয়ভিত্তিকঃ বাংলা এবং বাংলাদেশ) । BCS Written Exam Guide – 6 (Subject Based: Bengali and Bangladesh)

ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ৬ (বিষয়ভিত্তিকঃ বাংলা এবং বাংলাদেশ) । BCS Written Exam Guide – 6 (Subject Based: Bengali and Bangladesh)

বিষয়ভিত্তিকঃ

আমি একটা জিনিস নিজে খেয়াল করেছি যারা প্রিলিতে যত পড়ে এগিয়ে থেকেছেন তাদের জন্য রিটেন বা ভাইভাতে পড়াশোনা অনেক সহজ ছিল, মানে পড়তে অতটা বেগ পেতে হয় নি, তাই আপনি প্রিলি থেকেই গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন, কাজে আসবেই।

আপনাকে সবথেকে বেশি সময় দিতে হবেঃ

বাংলা, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি এই তিন টা বিষয়ে (বিশেষত সায়েন্সের যারা আছেন তাদের জন্য)

আমি সুযোগ পেলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে আলোচনা করব একদিন, আপাতত আজ বাংলা নিয়ে বলিঃ

বাংলাতে আপনাকে আদি বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে একটা ধারণা রাখতে হবেঃ মানে চর্যাপদ, মংগলকাব্য এদের কবি, তাদের সাহিত্যকর্ম, সময়কাল, বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন, মধ্যকাল , সে সময়ের উল্লেখযোগ্য কবি সাহিত্যিক, তারা কীসের উপর ভিত্তি করে সাহিত্য রচনা করতেন ইত্যাদি ইত্যাদি ।

আধুনিক কালে বাংলা সাহিত্য কীভাবে নানা ভাবে বিভক্ত হল, সেসবের মধ্যে কিছু বিশেষ ব্যক্তির উপন্যাস, নাটক্, প্রবন্ধ গ্রন্থ…(সব নাম আপনার মুখস্থ হবে না তা স্বাভাবিক, তবে পুরষ্কার জয়ী কিংবা সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রেখেছে এমন সব নাম তাদের সাহিত্যিকের নাম অবশ্যই মনে রাখবেন, যেমন দীনবন্ধু মিত্রের নীল দর্পন)।

এরপর আপনাকে পড়তে হবে ১৮ শতক কিংবা উনিশ শতকের উল্লেখযোগ্য কিছু পত্রিকা, তাদের সম্পাদক, বাংলা প্রথম সংবাদ পত্র কিংবা বাংলা পত্রিকাগুলোর উত্তরণ কাল এসব নিয়ে । কোন বিশেষ কবিতা/ বই কোন সমাজ সংস্কার কিংবা আলোড়ন তুললে সেটা অবশ্যই মনে রাখবেন এ কথা জোর দিয়ে বলছি এ কারণে যে আপনার পক্ষে সব মুখস্ত রাখা অসম্ভব । আর হ্যা, আপনাকে কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এর যুগে পড়ে থাকলেই হবে না জনাব। আপনাকে জানতে হবে ৭১ এর আগে ও পরের বাংলা সাহিত্য নিয়ে, ৫২ র ভাষা আন্দোলন কিংবা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপর যেসব বইপত্র, লেখনী আছে সেসবও … বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর বাইরের দেশের কোন সাংবাদিক বা লেখক কোন বই লিখেছে কিনা , কোন গান আছে কিনা এসব ও জানতে হবে আপনাকে । অতি আধুনিক কালের হুমায়ূন আহমেদ, সৈয়দ শামসুল হক, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ইনাদের বহুল আলোচিত কিছু বইপত্রের নাম ও জানা থাকা দরকার। এখন কথা হল এগুলো কীভাবে জানবেন ?

যাদের বাসায় ক্লাস ৯-১০ এর বই গুলো আছে, তারা সহপাঠ বই এর ভূমিকা টা চোখ বুলিয়ে নেবেন, এনাফফ ।

আর যাদের নেই, তারা আসলে বাজারের যেকোন বই ই ফলো করতে পারেন, যার যেভাবে পড়ে সুবিধা । বাজারে প্রফেসর্স, ওরাকল, কনফিডেন্স, MP3  সিরিজের বই পাওয়া যায় । এদের বইগুলো হয় দুধরণের ।

আমি আবার বলি, আপনি আগে জানুন বিসিএস ই আপনার ফার্স্ট টারগেট কিনা, যদি হয় তবে প্রতি সাবজেক্টের বিষয় ভিত্তিক বই পাওয়া যায়, কিনে ফেলুন । বাংলার জন্য আলাদা যে বই পাওয়া যায় তাতে আমি যা যা বললাম সব ই পাবেন। আমি ওপেনলি কোন আলাদা প্রকাশনী উল্লেখ করতে নারাজ ।

এতো গেল সাহিত্য ইতিহাস । এরপরে অনেক সময় কোন কোন চরিত্র বা উক্তি উল্লেখ করে দিয়ে বলে কার লিখা বই এর কিংবা কোন উপন্যাস/ নাটকের ?

এখন আপনি তো বাংলা সাহিত্যের সব বই এর সব চরিত্রের নাম জানবেন না, স্বাভাবিক ই । তাই এ নিয়ে আলাদা দুঃচিন্তা করবেন না। এস এস সি আর এইচ এস সি তে যেসব গল্প, উপন্যাস , নাটক পড়েছিলেন সেসব চরিত্রের নাম গুলো অন্তত মনে রাখুন । বাংলাতে ভাল প্রস্তুতি নিতে চাইলে তাই আমি বলব যারা ২০১১ পর্যন্ত এস এস সি দিয়েছেন তাদের ক্লাস ৯-১০ এর বইগুলো পড়ে নেয়াটা খুব ই উপকারি (পরের বইগুলো কে কী কী পরিবর্তন আনা হয়েছে আমি আসলে তা ভাল জানি না )।

 

এরপর আসব বাংলা ব্যকরণ, এ বিষয় টি আমার খুব ই প্রিয় ।আপনার জন্য দাওয়াই হল এবারও সম্ভব হলে নীল ক্ষেত থেকে ক্লাস ৯-১০ এর বাংলা ব্যকরণ বই টা কালেক্ট করেন । কথা দিচ্ছি বেস্ট প্রিপারেশন হবে । আর আরেকটা ইস্যু হল বাজারের গাইড গুলোর মধ্যে সমাস, প্রবাদ প্রবচন, এক কথায় প্রকাশ, বাগ ধারা , বাক্য পরিবর্তন এসব নিয়ে অনেক কন্ট্রাডিকশন থাকে, বেস্ট হল বোর্ডের বই ফলো করা অথবা বাংলা একাডেমির কোন বই ফলো করা। তাতে ভুল শেখার সম্ভাবনা কমে যাবে । আর অদি নাইই পারেন অনেক বাংলা ব্যকরণের বই আছে বাজারে । সেগুলো একটু ঝালিয়ে নিন, বিশেষ করে সমাস, কারক নির্ণয়, সন্ধি বিচ্ছেদ, পদক্রম, বিপরীত শব্দ, প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ, বাগ ধারা, এক কথায় প্রকাশ, প্রকৃতি প্রত্যয়, সমার্থক শব্দ সব কিছুই আপনাকে জানতে হবে । ঘাবড়াবেন না, পড়ে যান … আপনি যা পড়ে মএন রাখতে পারবেন না, মন কে সান্ত্বনা দিতে পারেন যে তা আসবে না ।

আসলে  আপনি একটু স্মার্ট হলে লাস্ট ৮-১০ টা বিসিএস এর প্রশ্ন দেখলেই একতা আইডিয়া পাবেন কোন টা কোন টা বেশি আসে কিংবা কোন টা থেকে কঠিন কিছু আসে । ও হ্যা, কখনও কখনও কিন্তু ইংরেজির বঙ্গানুবাদ কিংবা বাংলার ইংরেজিতে অনুবাদ আসে । তাই এজন্য আপনি গাইড গুলো দেখে আর আগের বছরের প্রশ গুলো থেকে ধারণা নিয়ে রাখতে পারেন ।

এগুলো আপনি প্রিলির জন্যই যদি ভাল করে পড়েন আপনার যেটা লাভ হবে তা হল রিটেনের জন্য আপনার অর্ধেক পড়া হয়ে থাকবে, ট্রাস্ট মি ।

এতো গেলো প্রিলির গল্প রিটেনের গল্পে এখানে যোগ হবে রচনামূলক লিখনী , চিঠিপত্র লিখন , সারাংশ, সারমর্ম, ভাবসম্প্রসারণ টাইম লিখন ।

ধারাবাহিক: BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – 5 (প্রস্ততির শুরুতেঃ) । BCS Written Exam Guide – 5 (At Beginning)

প্রস্তুতির শুরুতেঃ

বিসিএস এর প্রস্ততি কীভাবে নেবেন? এই প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে কতগুলো সাধারণ জিনিস জানা দরকার?

১) প্রস্ততি বলতে কিসের প্রস্তুতি ? প্রিলি/লিখিত/ভাইভা ?

২) আপনি আসলে কেমন সময় দিতে পারবেন ?মানে আমার মত গাড়িতে করে এ জেলায় ও জেলায় ঘুরতে ঘুরতে পড়বেন নাকি প্রতিদিন নিয়ম করে ডায়েরি মেইনটেইন করে পড়তে পারবেন ?

৩) বিসিএস নিয়ে আপনার প্যাশন কোন লেভেলের ?

ক) এটাই আপনার একমাত্র লক্ষ্য

খ) বিসিএস হলে ভাল না হলেও আফসোস নেই

গ) আসলে আমি ব্যাংক বা অন্যান্য জায়গাতেও পরীক্ষা দিচ্ছি তাই এই প্রস্তুতি দিয়ে যদি অন্য কোথাও ও কাজ হয় …

ঘ) আমি ভাই আসলে হ্যাডম দেখানোর জন্য দিতে চাই, যে এইটা কোন কিছু হইল (প্লিজ ভাই, আপনার দরকার নাই সময়, টাকা কিংবা অন্য কারও সিট নষ্ট করার, আমি অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি যারা বিসিএস এর জন্য জীবনের অনেক কঠিক সময় দাঁত কামড়ে পড়ে আছে বা ছিল, আজকের বাজারে যার চাকরি আছে আর যার নেই দুজনের সব দিক দিয়ে যে পার্থক্য তা নিয়ে কোন মশকরার দরকার নেই প্লিজ)

৪) আপনি কোন জব করছেন ? নাকি এখনও স্টুডেন্ট? নাকি জব পাচ্ছেন না বিসিএস কে টারগেট করে আগাচ্ছেন ?

৫)আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড কি ? সায়েন্স,কমার্স নাকি আর্টস ? সায়েন্স হলে আপনি কি ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার নাকি অন্য কোন প্রিন্সিপলের?

 

আমাকে যারা প্রশ্ন করেছেন কীভাবে পড়ব কি করব , কি দিয়ে শুরু করব তারা এই চারটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসুন । তাহলে আপনার মাথায় একটা ছাঁচ তৈরি হবে, নিজের জন্য সময়-সুযোগ আর পড়াশোনার পরিধিটা ভাল মতন পরিমাপ করতে পারবেন।

ধারাবাহিক: BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – 4 (প্রারম্ভিকা – 4) । BCS Written Exam Guide – 4 (Introduction – 4)

এরপর বলব, বই পাঠ অভ্যাস নিয়ে । আমি সারাজীবন আমার ছাত্র ছাত্রীদেরকে বলেছি নানারকম বই পত্র পাঠ করতে, যারা কেবল তিন গোয়েন্দা নিয়ে থাকতে এদের বলেছি হুমায়ূন, সমরেশ, সুনীল পড়ে উপন্যাসের স্বাদ নিতে । যারা হুমায়ূনের পোকা তাদের বলেছি একটু বাইরের লেখক নিদেন পক্ষে কলকাতার বাংলা লেখক দের লেখনীতে চোখ দিতে । মুক্তিযুদ্ধ কিংবা বিগত শতকের রাজনৈতিক পরিবর্তন বা বড় বড় ঘটনার উপরে লিখা বই না হোক, কোন সঠিক তথ্য ও প্রমান সমৃদ্ধ লিখা পঠন অনেক জরুরি । সবথেকে বড় যে জিনিস আপনি যাকে গল্পের বই বলে তাচ্ছিল্য করছেন তা আপনাকে অনেক কিছু ওয়াইডলি চিন্তা করার সুযোগ তৈরি করে দেবে, আপনাকে কিছু সাধারণ জ্ঞান এনে দেবে এবং আপনি নিজে অনুভব করবেন আপনি মুক্ত হস্তে কিছু লিখার ক্ষমতাও অন্যদের থেকে বেশি রাখেন – সুতরাং বিশ্বিবিদ্যালয়ের জীবনের অলস সময় টা কেবল সিরিয়াল/ মুভি দেখে, পোকার খেলে, ফেসবুকে ছবি আপলোডিয়ে কাটাবেন না, কিছু সময় রেগুলার বইপত্র পাঠ করুন । আর বিসিএস এ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বইপত্রের সম্মন্ধে লিখাও প্রশ্ন হিসেবে আসছে বা আসবে, সুতরাং হেলা ফেলা করবেন না যেন এদিক টা …

 

আজ আরেকটা শেষ জিনিস বলে এই পর্ব শেষ করি, আপনার ভূগোল জ্ঞান অনেক গুরুত্বপূর্ণ । আপনাকে আমি ক্রিসচিয়ানো রোনালদোর নাম বললে যদি কেবল রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর ইরিনা শায়েকের কথা মাথায় আসে তাহলে হবে না ভাই … আপনাকে পর্তুগাল নাম টা, এটা কোথায় অবস্থিত, ইউরোপে এটি কি ইউরো জোনের মাঝে আছে কিনা এগুলো জানাটাও আপনাকে এগিয়ে রাখবে । দেশ-রাজধানী-মূদ্রা এগুলোর নাম মুখস্ত রাখা ওল্ড সিস্টেমে খুব দরকারি ছিল, কষ্ট করে এসবের পেছনে খুব বেশি সময় দিয়ে মাথার চুল ছিড়বেন না প্লিজ । আপনাকে তাঞ্জানিয়ার নাম বললে আপনাকে বুঝতে হবে এটি কোন মহাদেশে, সুদানের কথা বললে সেখানের রাজনৈতিক কোন পরিস্থিতি কী সাম্প্রতিক সময়ে আলোচ্য কিনা জানা উচিত (আমাকে ভাইভা তে এখান থেকে প্রশ্ন করেছিল)। শুধু বিশ্ব ভূগোল না, আপনাকে যদি বলা হয় কানসাট কোন জেলায় ? আপনি মাথা হাতড়ালে হবে না। চাপাই নবাবগঞ্জের আম না হলে তো কেনেন না … তাই দেশের কোন জেলার কোন স্থান কী কারণে বিখ্যাত এগুলোও  জানা উচিত ? ছোট্ট একটা বুদ্ধি দেই, আজ ই আপনার রুমের দেয়ালে একটা বাংলাদেশের আর একটা বিশ্ব মানচিত্র এনে সেটে দিন । প্রিয়াংকা চোপড়া/ টম হ্যাংক্স কিংবা হ্যারি পর্টার আর এমা ওয়াটসন কে তো দেখলেন অনেক দিন ই … মাঝে মধ্যে মানচিত্র দেখে ধারণা নিতে ট্রাই করেন প্লিজ । ফলাফল বৃথা যাবে না, এই আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি ।

বাংলাদেশ থেকে নৌপথে স্পেনে যাবার রুট টা কী ? এই প্রশ্ন কিন্তু ভাইভা বোর্ডে এসছে … এখন আপনি কী সদরঘাট থেকে রওনা করবেন নাকি মংলা থেকে আপনি জেনে নিবেন । আর হ্যা, স্পেন কোন দিকে ? কোন মহাদেশে ? ওদের কোন বন্দরে আপনি নোঙ্গর করবেন … ঘাটতে ঘাটতে শিখে নেবেন, কেমন ?

ধারাবাহিক: BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – 3 (প্রারম্ভিকা – 3) । BCS Written Exam Guide – 3 (Introduction – 3)

এরপর আসি ইংরেজির জ্ঞান নিয়ে, আমাদের অনার্স লাইফে ইংলিশে শিক্ষাক্রম চলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই, তবু আমাদের ব্যাসিক দুর্বল যাদের তাদের টেন্স, পার্টস অফ স্পিচ, ভয়েস ন্যারেশন এগুলো নিয়ে কাজ করা উচিত। বিশেষত প্রিপজিশনের ব্যবহার, ভয়েস-ন্যারেশন এগুলো ঝালিয়ে নেয়া দরকার । সেন্টেন্সে ভুল শুদ্ধ বের করা, এপ্রোপ্রিয়েট ওয়ার্ড বের করা, আর্টিকেলের ভুল বের করা, সেন্টেন্স ট্রান্সফর্ম করা, ইডিওমস এন্ড ফ্রেজ এগুলো নিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে …

লিস্ট বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে ? মোটেই না, আপনি যদি সপ্তাহে একদিন একটু ইংলিশ দৈনিক/ ম্যাগাজিন নাড়েন চাড়েন কিংবা নিদেন পক্ষে যে নিউজ গুলো আপনি জানেন অনলাইন পত্রিকায় তাদের ইংলিশ ভার্সন টাই মাঝে মধ্যে পড়েন দেখবেন আপনি ইংলিশে একেবারে কাচা হবেন না। যতটুকু দরকার অবচেতন ভাবে হলেও সেটা আপনার মাথায় গেথে থাকবে, সবথেকে উপকার হবে আপনার ভোকাবুলারি বাড়বে  এটা অনেক অনেক ইম্পর্ট্যান্ট ।

ধারাবাহিক: BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – 2 (প্রারম্ভিকা – 2) । BCS Written Exam Guide – 2 (Introduction – 2)

দ্বিতীয়ত, আপনি চাপা পিটাইতে কেমন পারেন ? ধরেন আপনাকে বলা হল ‘একুশ শতকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে নারীর ভূমিকা’ … এই বিষয়ে ২৫ মার্কের একটা রচনা লিখতে হবে । আপনি একবার ভাবুন এখনই কতখানি লিখতে পারবেন? আমি কয় পেজ তা বলছি না , মানে আপনি আসলে কী কী দিক তুলে ধরতে পারবেন ?

কোন তথ্য উপাত্ত কিংবা খুব প্রামাণ্য উদাহরণ দিতে পারবেন ? এ নিয়ে দেশে বা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কোন প্রজেক্টের কথা বলতে পারবেন ? বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এর সম্মন্ধে কতটুকু জানেন ?

এই উদাহরণ টি দিয়ে আমি আপনার মধ্যে চিন্তা জাগাতে চাচ্ছি আসলে আপনি কতটুকু কী জানেন এবং তা থেকে আউটপুট কতটুকু দিতে পারবেন ? মএন রাখবেন আপনি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার যদি হয়ে থাকেন, শেষ ৪-৫ বছরে যা উত্তর করেছেন সব টু দ্যা পয়েন্ট এবং অনেক ক্ষেত্রে আপনার নিজের বলার কিছু ছিল না, রোগের সিম্পটম কিংবা ম্যাথমেটিক্যাল ক্যালকুলেশনে ইনিয়ে বিনিয়ে কিছু করার নেই তেমন । কিন্তু এখানে (রিটেনে) আপনাকে অনেক ইনাতে বিনাতে হবে, আমি চাপা পিটানোর কথা বলছি, খারাপ ভাবে নেবেন না, একটা জিনিস কে আপনি তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক বিশ্লেষণ কতখানি করতে পারবেন – এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

তৃতীয়ত, আপনি যদি আপনার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে স্কুল-কলেজের পোলাপান মানুষ করার মহান সেবার ব্রতী হয়ে থাকেন ( দুর্জনেরা ইহাকে বলে টিউশানি 😛 )

তবে আপনার জন্য কিছুটা প্লাস পয়েন্ট থাকছে, আপনি হয়ত জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি কিংবা বীজগণিত একেবারে ভুলে যান কি কিংবা দেখা মাত্র আপনার মাথায় আসবে, বেগ পেতে হবে না । তবে হ্যা, সরল সুদকষা কিংবা চৌবাচ্চার পাটিগাণিতিক সমস্যাগুলো আপনাকে সমস্যাগ্রস্ত করতে পারে, তবে আপনি খুব সামান্য চেষ্টা করলেই সেগুলো সমাধান করতে পারবেন (আক্ষরিক অর্থেই সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্রছাত্রীরা কিছু প্র্যাক্টিস করলেই পারবেন, এ নিয়ে ঘাবাড়ানোর কিছু নেই)।

যারা অনেক দিন টাকা পয়সা ছাড়া আর কিছু গোনেন নাই , মানে ম্যাথ একেবারে অচর্চিত, তারা কিছুদিন সময় দিবেন ম্যাথ গুলোতে (বিগত বছরের প্রশ্ন দেখুন, অনেক বই পত্র আছে যা নিয়ে আমি পরের লিখায় লিখব)।কেননা, আপনার ভাল কোন ক্যাডার পেতে ম্যাথ আপনাকে অনেক অনেক এগিয়ে রাখবে, ট্রাস্ট মি ।

ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ১ (প্রারম্ভিকা) । BCS Written Exam Guide – 1 (Introduction)

প্রারম্ভিকাঃ

বিসিএস এ প্রস্তুতির জন্য আপনাকে নিজেকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে হবে কয়েকট প্রশ্ন এবং বিবেচনায় আনতে হবে কিছু সাধারণ বিবেচ্য বিষয়

১) আপনার সাধারণ জ্ঞানের পরিধি কতখানি ?

২) আপনি যেকোন বিষয়ের উপর মুক্ত ভাবে কতখানি বিশ্লেষণ করে লিখতে জানেন? ( বর্তমান সিস্টেমে এই ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং কোয়ালিটি টা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ আগেই বলে রাখি)

৩) আপনার ছোট বেলার ম্যাথ গুলো কি মাথায় আছে নাকি ভুলে গেছেন ?

৪) ইংলিশ গ্রামারে প্রিপজিশন, টেন্স, পার্টস অফ স্পিচ, ভয়েস, ন্যারেশন এই জিনিস গুলোতে কী মরীচা ধরে গেছে? সারাদিন চ্যাট করতে করতে অনেক বানান কী ভুলে গেছেন ?

৫) আপনি বই পত্র কেমন পড়েন ? মানে শুধু কী জাফর ইকবাল- হুমায়ূন আহমেদ-সুনীল নাকি আরও বই পত্র পড়বার অভ্যাস আছে আপনার ? বিশেষত ১৯ কিংবা ২০ শতকের রাজনৈতিক নানা ঘটনা প্রবাহ, রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, বাংলাদেশ ও ভারত উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস এই বিষয়গুলোতে আপনার দখল কেমন ? আমি বলছি না হাফেজ হতে হবে , তবে ন্যূনতম জ্ঞান অন্তত থাকতে হবে যেন লর্ড কর্নওয়ালিশ কিংবা হেনরি কিসিঞ্জার নাম গুলো আপনার কাছে এলিয়েনের নাম না লাগে … (উদাহরণ দিলাম মাত্র)

৬)ইংরেজিতে গ্রামারের সাথে সাথে আপনাকে ভোকাবুলারিও বাড়াতে হবে ।

আপনি জিয়ারি তে ৩৫০০-৫০০০ ওয়ার্ড মুখস্ত করে আসছেন তাই বলে ভাববেন না আপনি সব শব্দের অর্থও জানেন অনেকে বহুল প্রচলিত ও ব্যবহৃত ৩০০-৫০০ শব্দের অর্থ অ ব্যবহার জেনেও অনেক ভাল করছে (জানার শেষ নাই ভাই, তাই বি স্মার্ট)

৭) সাম্প্রতিক টেকনোলজি গুলোর ব্যাপারে আপনাকে বকলম হলে চলবে না মোটেই ।আমি এমন অনেক কেই দেখেছি যাদের অনার্সে রেজাল্ট অনেক ভাল কিন্তু একেবারে বই কিংবা কারিকুলামের বাইরে কিছুই জানেন না… এটা কিঞ্চিত আপনাকে পেছনে ঠেলে দেবে, কারণ আপনি সব কিছু কিন্তু বই এ পড়ে শিখবেন না … এটাই স্বাভাবিক । কিছু জিনিসে আপনার জ্ঞান আসবে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে …

 

এখন আসি উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তরে,

প্রথমত, অনেকে আছে ছোটবেলা থেকেই সংবাদ পত্রের অনেক সাধারণ জিনিসও পড়েন যেমন মধ্যপ্রাচ্যে অচলাবস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা জাতিসংঘের কোন কার্যক্রম, আমেরিকা/চীন/রাশিয়া/জাপান/যুক্ত্রাজ্য/ভারত/পাকিস্তান এসব দেশের কোন উল্লেখযোগ্য পট পরিবর্তন, তাদের নির্বাচন, অর্থনীতি, পররাষ্ট্র নীতি – এসব নিয়ে সম্যক জ্ঞান রাখেন । আবার কোন দেশের বিজ্ঞানিকে কী কাজের জন্য নোবেল দেয়া হচ্ছে? কোথায় কোন বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে, কোথাও কোন নতুন প্রযুক্তি আসল, খেলাধূলার সাধারণ আপডেট গুলো রাখেন- এমন সব মানুষের জন্য সাধারণ জ্ঞান এ ভাল করা বেশ সোজা কাজ, তাদের এফোর্ট টা কম দিলেও তারা খারাপ করেন না।

আপনি তাই বিনোদন/ক্রীড়া জগত আর সাজ সজ্জা নিয়ে পত্রিকার পাতায় মগ্ন থাকলে সেটা খুব বেশি কাজে আসবে না ।

 

(চলবে …)

BCS মৌখিক পরীক্ষা প্রস্ততি (২) : Part -2: BCS (Govt. Job) Exam Interview Preparation

হাতে আর খুব বেশি দিন সময় নেই, ইতোমধ্যে একদল এর ভাইভা এই শুরু হল বলে,

সংক্ষেপে তাই কিছু জিনিস বলে রাখি, কাজে আসবে আশা করিঃ

 

ভাইভার পোষাক ও পরিচ্ছদঃ

অবশ্যই ফরমাল ড্রেস আপ এ যাবেন, বলাই বাহুল্য, ছেলেদের জন্য শার্ট সাদা কিংবা হালকা রঙের হওয়া ভাল, সাথে কন্ট্রাস্টিং প্যান্ট । কাপড় চোপড়ে যতদূর সম্ভব ঝিক ঝাক চিক চাক স্টাইল পরিহার করে প্লেইন ধরণের কিছু বাছাই করুন । খেয়াল রাখবেন আপনার জুতার কালার আর বেল্টের কালার যেন একই হয় । মানে আপনি যদি কালো বেল্ট পড়েন তাহলে জুতো যেন কালো রঙের ই হয় (এটা বিসিএস/ পিএসসি রুল না, সাদামাটা ইন্টারভিউ নির্দেশিকা)। যদি আপনি দাঁড়ি রাখেন তাহলে তা যেন কোন বিশেষ স্টাইল করা দাঁড়ি না হয় , আর যদি ক্লিন শেভড হিসেবে সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তাহলে সেভাবেই যাবেন । খোঁচা খোঁচা কিংবা স্টাইল করা চিপ দাঁড়ি গোফ নিয়ে যাবেন না, এই নিয়ে কথা শোনার কিংবা আপনার অবমূল্যায়ন হবার ভাল সম্ভাবনা আছে । চুলের পারিপাট্যও আবশ্যক, তবে আপনার মাথায় টাক পড়ে গেছে কিংবা চুল সাদা হয়ে গেছে এ নিয়ে ঘাবড়াবেন না 😉

হ্যা, যদি আপনার ভাইভা শীতের মধ্যে হয় ট্রাই করবেন ব্লেজার/ ফরমাল কোর্ট পরিধান করে যাবেন, বিশেষত যাদের প্রথম চয়েস ফরেন এফেয়ার্স ।এই পরামর্শ টা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেয়া, আমার ভাইভা বোর্ড ছিল ওয়াজেদ আলী স্যারের বোর্ড । আমাকে ছিলে কেটে লবণ লাগাতে লাগাতে প্রায় যখন শেষ অবস্থা, আমাকে বললেন, “ তোমার attire তো ঠিক নাই, আসছ ফরেন এফেয়ার্স ফার্স্ট চয়েস দিয়ে, অথচ স্যুট টাই পড় নি কেন?”

উল্লেখ্য, আমার ভাইভা ছিল ৭ এপ্রিল, চৈত্রের দাবদাহের মধ্যে, আমার স্কিনে সমস্যার কারণে গরম সহ্য করতে পারি না, আমি যে পোশাকে বাসা থেকে ভাইভা বোর্ডে গিয়েছিলাম, বাইরে দাঁড়িয়ে গরমে সেদ্ধ হয়ে সেই শার্ট চেঞ্জ করে ব্যাক আপ শার্ট পড়ে ভাইভা র রুমে ঢুকি । স্যুট কোর্ট টাই আমার ঐ সময়ে সহ্য হবার না তা তো আসলে স্যার বুঝবেন না L ।

মেয়েদের জন্য, আমার অভিজ্ঞতা বলে আপুদের অধিকাংশকেই শাড়ি পড়তে দেখেছি । কাউকে জমকালো সাজ, অলংকার এমন টি দেখি নি, শাড়ির রঙ কিংবা ধরণ ও কিন্তু বিয়ে বাড়ি র শাড়ি না J । তবে যেসব আপুরা পরীক্ষা দিতে যাবেন যদি শাড়ি তে কম্ফোর্ট ফিল না করে থাকেন তাহলে স্যালোয়ার কামিজ পড়ে যেতে পারেন, অনেকেই যায় এবং এটা খুব বড় ডিল না অবশ্যই ।

 

ভাইভার প্রাক প্রস্ততি  ঃ

আদর্শ লিপির কথা মনে হলেও সত্যি বলতে আপনার ভাল চেয়েই বলব, আপনার ভাইভার আগের রাতে খুব বেশি জাগবেন না, ৬-৮ ঘন্টা একটানা ঘুম খুব জরুরি, সকালে উঠে যাবেন, গোসল করে বের হওয়াটা ভাল, ফ্রেশ লাগবে।

অনেকে অনেক দূর থেকে আসবেন, সো আসার পথে যথাসম্ভব হ্যাসেল ফ্রি ভাবে যেভাবে আসা যায় ট্রাই করবেন, যেন কাপড় কুচকে না যায় কিংবা আপনাকে বিধ্বস্ত মনে না হয় ।

আপনি যত্ত আগেই আসেন না কেন আপনাকে পিএসসির সাম্নের রাস্তাতেই ৯ঃ৩০-৯ঃ৪৫ পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকতে হবে,আশপাশে কোথাও টয়লেট কিংবা চেঞ্জ রুম ও পাবেন না । সাথে করে কোন ছোট/ বড় ভাই/ বোন বা এসিস্ট্ করতে পারে এমন কাউকে আনলে ভাল হয় । আসতে আসতে ঐ দিনের ১-২ টা সংবাদ পত্র আনতে পারেন, শুধুমাত্র হেডলাইন গুলোতে চোখ বুলাবেন, দেখবেন কোন উল্লেখযোগ্য খবর আছে কিনা , কারণ বোর্ডে চট করে ধরে বসতেই পারে, অনেকে ধরেও ।

আর হ্যা, ঐ দিনের ইংরেজি তারিখ, বাংলা তারিখ, আরবী তারিখ জেনে যাবেন । এর থেকে সাথে সাথে জেনে নেবেন ঐ দিন টি কোন কারণে জাতীয়/ আন্তর্জাতিক কারণে বিখ্যাত কিনা । মানে হল, ঐ দিন কী কোন দিবস আছে কিনা। মোবাইলে ডাটা কানেকশন রাখবেন দয়া করে, পিএসসি র সামনে আপনাকে কেউ ওয়াই ফাই দিবে না, আপনি এসে দাঁড়িয়ে হুট করে একটা কিছু মনে হল যে আপনি ভুলে গেছেন কিংবা মনে পড়ছে না, চট করে গুগল করতে এই জিনিস টা লাগবে ।

 

পিএসসি তে ঢোকার পরঃ

সাড়ে নটার পরে আপনাদের সবাইকে পিএসসি তে ঢোকাবে, প্রথমে রিসিপসনে আপনি আপনার সাথে নেয়া ব্যাগ, মোবাইল, মানিব্যাগ এগুলো রেখে যেতে পারেন, কেবল মাত্র আপনার দরকারি কাগজ পত্র একটা ট্রান্সপারেন্ট ব্যাগ/ ফাইলে করে নিয়ে ঢুকবেন (এভাবেই ঢোকাবে ইনফ্যাক্ট)। কী কী কাগজ পত্র লাগবে আশা করি পিএসসি র ওয়েবসাইট মারফত জেনে গিয়েছেন (এই জিনিস টা কে অবহেলা করবেন না দয়া করে, কারণ এতোগুলো কাগজ ফিল আপ করতে হয়, আপনি ভাইভার ২ দিন আগে ঠান্ডা মাথায় অভিজ্ঞ কারও সাথে কথা বলে ফিল আপ করে নেবেন, এখানে এক আধটু ভুলের মাশুল আপনি হাড়ে হাড়ে পরে হলেও টের পাবেন, অনেকের রেজাল্ট আটকেও যায় কিংবা বাতিল ও হতে পারে, সো প্রতিটা ফর্ম খুব ভাল ভাবে ফিল আপ করবেন)।

যাহোক, রিসিপশনে আপনার সব কিছু রাখার পর একটা নিচ তলা রুমে সবাই বসে অপেক্ষা করবেন । কিছুক্ষণ পরে আপনাদের ১৫-২০ জন করে করে একটা গ্রুপ ধরে এক এক ফ্লোরের এক এক রুমে নিয়ে যাবে, আই মিন এক এক বোর্ডে । সেখানে আপনাকে আবারও চেয়ারে বসে অপেক্ষা করা লাগবে, রোলের সিরিয়াল ওয়াইজ আপনার ডাক পড়বে । সেখানে মেইন রুমে ঢুকার আগেই একজন ভদ্রলোক আপনার কাগজ পত্র গুলো নিবেন এবং চেক করে দেখবেন সব ঠিক আছে কিনা, সেগুলো আপনার ক্রম অনুযায়ী বোর্ড রুমে পাঠানো হবে ।

 

 

 

বোর্ড রুমে ঢোকার পরেঃ

নার্ভাস না হতে বলা বৃথা আসলে, প্রতি ১০ জনে ৮ জন ই নার্ভাস হবেন । তবু, গলার স্বর স্বাভাবিক রেখে ঢোকার অনুমতি নিয়ে রুমে ঢুকবেন, ঢুকে সালাম দিতে পারেন । বোর্ড প্রধান বা মেম্বার রাই আপনাকে বসতে বলবে, আপনি বসবেন কিন্তু খেয়াল রাখবেন যেন বসতে গিয়ে চেয়ারে কোন অনাকাংখিত শব্দ যাতে না হয় । অনেকের বাজে অভ্যাস টেবিলে হাত তুলে বসা ইন্টারভিউ এ , যেটা অনেকেই খুব বাজে চোখে দেখে, এটা পরিহার করবেন ।

 

এবারে বলি খুব সাধারণ ভাবে যে প্রশ্ন গুলো আপনাকে করবেই, কিংবা আপনি সম্মুখীন হবেন ই …

# প্রায় সব ভাইভা বোর্ডে এবং সব ক্যান্ডিডেট কেই ইংরেজিতে জিজ্ঞাসা করবে, প্লিজ ইন্ট্রোডিউস ইউরসেলফ…

আপনাকে এখানে , “স্যার বাংলায় বলি ?” এই সুযোগ টাও নেই, আপনি টিকতে চাইলে ইংরেজিতে উত্তর দেবেন। অনেকে আপনাকে বলবে আমার অমুক তমুকে বাংলায় উত্তর দিছে, তার ক্যাডার হইছে , এমন গপ্পো ভুলে যান, যদি বা হাতে গোণা ১-২ জন এর হয়ও আপনি মনে রাখেন এই ইন্টারভিউ এ আপনার ইংরেজি তে উত্তর করা কিংবা নিজেকে সুন্দরভাবে রিপ্রেজেন্ট করার উপর আপনার ইম্প্রেশন তৈরি ৮০% নির্ভরশীল ।

তো কী বলবেন নিজের ব্যাপারে?

১৪ গোষ্ঠীর পরিচিতি না, এখানে আপনার পুরো নাম, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরিবারের (বাবা ও মা কেবল)এবং দেশের বাড়ির সংক্ষিপ্ত পরিচিতির সাথে নিজের বর্তমান পেশা (বেকার হলে বলবেন, সিভিল সার্ভিসে যোগদান করতে চেষ্টারত) মিলিয়ে ২-৩ লাইনে বলার ট্রাই করবেন । কথাগুলো যেন মুখস্ত গরু রচনা টাইপ না হয়, খেয়াল রাখবেন আর রোবোকপের মতন এক দিকে তাকিয়ে কথা বলবেন না, হাল্কা ডানে বায়ে মাথা নাড়াবেন, মনে রাখবেন এখানে আপনার অডিয়েন্স রুমে আপনি ছাড়া বাকি ৩ জন ই ।

#এরপর আপনাকে প্রশ্ন করা হবে আপনার চয়েস নিয়ে , কেন এডমিন/ফরেন/ইকোনমিক/পুলিশ প্রথম চয়েসে দিয়েছেন…

# আপনি যে সাব্জেক্টে অনার্স/মাস্টার্স করেছেন সেটার সাথে আপনার চয়েসের সামঞ্জস্য কী …

মানে আপনি পড়াশোনা করেছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ, তো আপনি এডমিন হয়ে কী করবেন, বা আপনি ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে কেন এডমিন হতে চাইছেন ?

  • এই প্রশ্নগুলো খুব ই ভাইটাল, এটা দিয়ে সিম্পলি আপনি স্মার্ট না খ্যাত তা যাচাই হয়ে যাবে, ক্ষ্যাত লোকজন বলবে, ক্যাডারের রাজা এডমিন, অনেক সুযোগ সুবিধা আছে , সবাই সম্মান করবে –এই টাইপ কথা

আর যিনি স্মার্ট তিনি তার পড়াশোনা কিংবা কোন বিশেষ যোগ্যতার সাথে কিংবা কোন বিশেষ ইচ্ছার সাথে তার চয়েস কে কো রিলেট করে সুন্দর উত্তর করবেন ।

  • মনে রাখবেন, এই প্রশ্নটার উত্তর আপনি যত ইউনিক দিতে পারবেন আপনি ঐ চয়েসের বিষয়ভিত্তিক উত্তর কমে পেরেও ভাইভাতে ভাল মার্ক্স পাবার আশা করতে পারবেন ততটা ।

# অনেক বোর্ডে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে কাবু করতে ট্রাই করবে, “তুমি পড়ছ এপ্লাইড কেমিস্ট্রি, তো তুমি ফরেন এফেয়ার্সে এসে কী করবা ? কেন তোমাকে গভমেন্ একজন কূটনৈতিক বানাবে ?”

এমন ভাবেই প্রশ্ন করবে যেন আপনি মস্ত অপরাধ করে ফেলেছেন- কুল থাকার ট্রাই করবেন এবং কোন প্রকার অভদ্রতা কিংবা অযাচিত কথা বলবেন না, ঠান্ডা মাথায় উত্তর করবেন,আবারও বলছি গত বাঁধা কথা না বলে স্মার্টলি উত্তর করবেন, যাতে আপনার উত্তর টা শুনে উনারা এটুকু বুঝে যে এই ছেলে/মেয়ে বুকিশ না ।

# আপনার জন্ম তারিখ টা খেয়াল করেন, এই তারিখে কোন বিখ্যাত /কুখ্যাত ঘটনা ঘটেছে কী ?

ধরেন এই তারিখে মুজিব নগর সরকার গঠিত হয়েছিল,তো আপনার মাথায় যেন তা থাকে, আবার কোন বিখ্যাত ব্যক্তির জন্মদিন হলেও আপনার জানা থাকা উচিত কিংবা কোন বিশেষ দিবস ।

# আপনার দেশের বাড়ি কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ব্যাপারে, এগুলোর নামকরণের ব্যাপারে জ্ঞান রাখুন ।

ধরুন আপনার দেশের বাড়ি কুষ্টিয়ায়ে, কুষ্টিয়া কী জন্যে বিখ্যাত ? খালি তিলের খাজার জন্য ? লালন শা থেকে শুরু করে আর যা কিছু জানা দরকার জেনে নিন, আপনার চয়েস যদি এডমিন/পুলিশ হয়ে থাকে তো নিজ জেলা/থানার পুলিশ ও প্রশাসব প্রধানের নাম জানা টা ভাল … জেলার নদ নদী, বিশেষ কী উতপন্ন হয় এগুলোও …

আবার ধরেন আপনি গুরু দয়াল কলেজ থেকে পাস করেছেন, হু ওয়াজ দিস গুরু দয়াল ? মানে কার নামে কেন নামকরণ হলো এসব জেনে রাখবেন । ( আমাকে নটরডেম এর অর্থ, উতপত্তি, মিশন কী এসব নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল)

# আগেই বলেছি এখানে আপনাকে আপনার জ্ঞান যাচাই করবে না, আপনাকে তারা অব্জারভ করবে আপনার স্মার্টনেস, আপনার পোলাইটনেস আপনার কথা বলার, কারও সামনে নিজেকে উপস্থাপন করার যোগ্যতা, কোন টাফ সিচুয়েশন কীভাবে না অস্থির হয়ে হ্যান্ডেল করেন সেটা দেখবে ।

একটা উদাহরণ বলি, বুয়েটের কোন ব্যাচের এক ভাইয়া র প্রথম চয়েস ছিল ট্যাক্স, তো তাকে তার নাম ধাম জিজ্ঞাসার পরে দেশের বাড়ি কোন নদীর তীরে জিজ্ঞাসা করল, উনি উত্তর দিলেন পদ্মা, এরপরে তাকে জিজ্ঞাসা করে বসলেন, পদ্মার দৈর্ঘ্য কত ? তিনি তো তা মুখস্ত করেন নাই… এরপরে সেটা না পারায় তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তো তাহলে পদ্মার কয়েকটা শাখা নদীর নাম বল, উনি শাখা নদী র নাম যা যা জানেন কার কোন তা শাখা না জেনেই বলতে লাগ্লেন, তো তাকে থামিয়ে দিয়ে প্রশ্ন কর্তা বললেন, তাহলে বল পুনর্ভবার দৈর্ঘ্য কত ? যে পদ্মার দৈর্ঘ্যই জানে না, যে পুনর্ভবা নদীর দৈর্ঘ্য কী করে জানে ? :v  তো এটাও পারলেন না, এরপর আরও কিছু নদী নিয়েই প্রশ্ন করলেন, ঐ ভাইয়া কিছুর উত্তর ই দিতে পারলেন না … এদিকে প্রশ্ন কর্তা তো  বললনে, “ তুমি তো দেখি কোন প্রশ্নের উত্তর ই পারলে না” …

এখন বলেন ঐ ভাইয়া কী বলবে, স্যার আমার প্রথম চয়েস ট্যাক্স, আপনি ট্যাক্স নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করেন … উনি চুপ করে রইলেন, বোর্ড প্রধান তার দিকে হতাশ দৃষ্টি দিয়ে চলে যেতে বললেন, ঐ ভাইয়া তো হতাশ, এ কেমন ভাইভা ??!! অথচ উনার সেই ক্যাডার প্রাপ্তি ঠিক ই ঘটেছিল …

সো, আপনি আশা করবেন না আপনি ইয়ামেনের কোন শহরের চৌরাস্তার কী নাম তা জানবেন কিংবা মার্সিডিজ বেঞ্চের লাস্ট সিরিজের নামরকরণ ও আপনার জানা থাকাই লাগবে …কিন্তু না জানা সিচুয়েশন টা কেও ঠান্ডা মাথায় হ্যানডল করুন … কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রেগে যাবেন না আবার এমন ভাব ও ধরবেন না যে আমারে এইটা কী ধরে , কিছু হইল !!!

# আমি আগের পর্বে বলেছিলাম আপনাকে যে চয়েস দিয়েছেন কিংবা যে বিষয়ে পড়েছেন অনার্স, মাস্টার্সে সেটার পাশাপাশি আরও অনেক উদ্ভট কিছু জিজ্ঞাসা করতেই পারে , আপনি রেডি থাকবেন, আপনাকে হুট করে বলতে পারে গঞ্জ আছে বাংলাদেশের এমন কয়েকটা জেলার নাম বল … কিংবা ধরেন একটা ট্রান্সলেশন কিংবা বানান ধরে দেখতে পারে, আপনি নাই পারেন কিন্তু রিএক্ট কীভাবে করেন …

# আবার মনে করেন, আপনার এলাকা মুক্তিযুদ্ধে কোন সেক্টরের আন্ডারে ছিল, সেই সেক্টরের কমান্ডারের নাম, কবে স্বাধীন হয়েছে এগুলো তো খুব ই কমন প্রশ্ন … আপনার জেলার কোন সাহিত্যিকের নাম, তাদের বিখ্যাত সাহিত্য কর্ম বা গান, কবিতা এগুলো জেনে যাবেন …

 

# আপনাকে আরও জিজ্ঞাসা করতে পারে আপনার এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিস কেমন ছিল, যদি গান কিংবা কবিতা আবৃত্তি করতে পারেন বা জানেন তাহলে তো ভালই । যদি ছবি তোলা শখ হয় তো সেটাও বলবেন, আবার আপনার কাজ সুন্দরি মেয়েদের ফটো তোলা এই টাইপ কথা বলে এসেন না 😛 খেলাধূলা নিয়ে আপনার আগ্রহ থাকলে তাও বলবেন, তারা কিছু প্রশ্ন ও করতে পারে …

# আরেকটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ন জিনিস হল মানচিত্রের সাথে আপনার পরিচয় কেমন ? রুমের ভেতরে দেয়ালে বড় করে একটা বাংলাদেশের আরেকটা বিশ্বের মানচিত্র লাগানো থাকে, আপনাকে হুট করে বলতেই পারে, “যাও গিয়ে পাবনার সাথিয়া উপজেলা টা দেখাও তো”

কিংবা এভাবেও বলতে পারে, মানচিত্রে দেখাও তো বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত কোথায় হয় ?

দেশের মানচিত্রের সাথে তো বটেই বিশ্ব মানচিত্র নিয়েও জানবেন, আপনাকে বলতে পারে, নৌ পথে ভারত থেকে স্পেনে যাবার রাস্তা টা দেখাও… কিংবা ক্রেমলিন কোথায় ? রামাল্লা কোথায় ?

মানচিত্রে কুর্দিস্তান দেখাতে পারবা ? কিংবা আই এস এর বৃহত্তম ঘাটি টা কোন শহরে ?

এগুলো কিন্তু এক সাথে আপনার অনেক কিছু যাচাই করার প্রশ্ন, তাই যারা ফরেন এফেয়ার্স/এডমিন/পুলিশ প্রথমে চয়েস দিয়েছেন বাংলাদেশ অ আন্তর্জতিক মানচিত্র খুব ভাল করে শিখবেন …

 

এতোক্ষণ যা আলোচনা করলাম মোটামুটি তা হল সব ক্যাডারের জন্য সাধারণ আলোচনা, এসব ছাড়াও যে এই ক্যাডার প্রথম বা দ্বিতীয় চয়েসে দিয়েছেন সেগুলোর ব্যাসিক যে প্রশ্ন গুলো সেগুলো শিখে যাবেন, বিশেষ করে আপনার পছন্দের ক্যাডারের পদ ক্রম, দেশে ঐ ক্যাডার সংশ্লিষ্ট সচিব/ মন্ত্রী/ উপ মন্ত্রীর নাম… ঐ বিষয়ের সংজ্ঞা, শ্রেণীবিভাগ …এসবের জন্য প্রথম পর্বে বেশ কিছু বই সাজেস্ট করা ছিল, আশা করি পড়তে শুরু করেছেন J

 

সবাইকে আবারও শুভ কামনা । ধন্যবাদ  J

 

 

 

অ্যানড্রয়েড ম্যালওয়ারের এক-কালীন পাস কোড চুরি (Android malware steals one-time passcodes)

অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশনে এক কালীন পাস কোড (One-time passcode) নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু এসব এক কালীন পাস কোডও ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে জানা গেছে। Symantec পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। অ্যানড্রয়েড এর এই অ্যাপ্লিকেশনটি ম্যালওয়্যার প্রোগ্রামের (malware program) শিকার হচ্ছে।

Android.Bankosy নামের এই ম্যালওয়ারটি  পাস কোড intercept করার জন্য আপডেট করা করা হয়েছে। এটা করা হয়েছে তথাকথিত (so-called) দ্বৈত নিরাপত্তার নামে।

অনেক ব্যাংকেরই অপারেশন এক্সেস করার ক্ষেত্রে তাদের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে নিরাপত্তার জন্য লগিন, পাসওয়ার্ড এবং টাইম সেন্সেটিভ কোড ব্যবহার করা হয়। এই এক কালীন পাস কোডটি এস এম এস-এর মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু তা স্বয়ংক্রিয় ফোন কলের মাধ্যমেও পাঠানো যায়।

কিছু ব্যাংক এই স্বয়ংক্রিয় ফোন কল ভিত্তিক সিস্টেমে ইতোমধ্যেই কাজ করছে। অভিমত দেয়া হয় যে, এই সিস্টেম অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, যেহেতু এস এম এস কোনো ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে ঝুঁকিতে পড়তে পারে। Symantec এর Dinesh Venkatesan তাঁর ব্লগ পোস্টে এই মত দেন।

কিন্তু Android.Bankosy আপডেট করা হয়েছে এই সকল কল এটাকারদের (Atackers) কাছে ফরওয়ার্ড করার জন্য। Venkatesan এ তথ্য জানান। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে অনেক অপারেটরগণ কল ফরওয়ার্ডের জন্য সার্ভিস কোড ফর্মেট *21*[destination number]# ব্যবহার করে থাকেন এবং Bankosy এই সুযোগটি নিয়েছে।

Venkatesan একথাও জানান যে, ম্যালওয়্যারটি সাইলেন্ট মোড (silent mode) একটিভ ও ডিএকটিভ করার ক্ষমতা রাখে। তাই ভিক্টিম ইনকামিং কলের মাধ্যমে সতর্ক হবার সুযোগ পায় না।

এক কালীন পাস কোড যা লগিন ক্রেডেনশ্যাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়- অনুমান করা হচ্ছে যে, তা ইতোমধ্যে এটাকারদের হাতে চলে গেছে।

Symantec এই Bankosy উদঘাটন করেছে ২০১৪ সালে। সেই সময়ের এক টেকনিক্যাল রিপোর্টে দেখা যায় ম্যালওয়্যারটি ভিক্টিমের পেমেন্ট কার্ড তথ্য নিতে তৎপর ছিলো।

http://www.cio.com/article/3021926/android-malware-steals-one-time-passcodes.html

ম্যালওয়্যার Rovnix এখন জাপানকে টার্গেট করে এগোচ্ছে (Rovnix malware shifts focus to Japan, says IBM)

IBM X-Force এর মতে নেদারল্যান্ডসে তেমন সুবিধা করতে না পেরে একটি গ্রুপ Rovnix Trojan কে আপডেট ও রি-প্যাক করেছে জাপানের ব্যাংকগুলোকে লক্ষ্য করে।

ম্যালওয়্যারটি বিভিন্ন ফর্মেটে গত পাঁচ বছর ধরে কাজ করছে এবং ব্যাংক নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলার সময় নিজেদের ডিটেকশন এড়ানোর জন্য নানা ধরনের কাজ করছে। এ কথা জানান, আই বি এম-এর সিনিয়র সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক Etay Maor.

IBM X-Force এর নমূনা পরীক্ষণ (samples exam) থেকে এটা খুব পরিষ্কার যে, Rovnix group জাপানী ব্যাংক এবং ব্যাংকগুলোর ইউজার ইন্টারফেস (user interface) বেশ নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করে নকল (mimics) ওয়েব সাইট করে চেক করেছে।

ম্যালওয়্যারটি জানে কোন কোন ব্যাংক টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে এক কালীন লগিন পাসওয়ার্ড (one-time login passwords) ব্যবহার করে এবং সাম্প্রতিক অ্যানড্রয়েড ফোনে মাধ্যমে পাস কোড ব্যবহারের বিষয় সমগ্রও।

যদি ম্যালওয়্যারটি এমন কোনো কম্পিউটারকে infect করে যেটি অনলাইন লেনদেনের সাথে সম্পৃক্ত নয়, তাহলে সেক্ষেত্রে এটি ransomware ব্যবহার করে থাকে যা কম্পিউটার কে লক করে দেয় এবং পেমেন্ট দাবী করে তা আনলক করে দেয়ার শর্তে।

Rovnix এর পেছনের কারিগররা দেখে কোনো দেশের সাধারণত ব্যবহৃত নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো কী কী এবং তা টার্গেট করে এটাকের মাধ্যমে একাউন্টকে কমপ্রোমাইজ করতে বাধ্য করে।

এই ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজটি উচ্চ মানের ওয়েব ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে নকল (mimics) ওয়েব সাইট তৈরি করে ব্যাংক লেনদেনের ফর্মেটে স্ক্রিন সেট আপ করে নেয়। এদের একটি অংশ একাউন্টের ক্যাশ কালেক্ট করার কাজে ব্যাপ্ত থাকে।

জাপানের এটাকে খুব জটিল ফিচার সমন্বয়ে তা করা হয়, যাতে ভিক্টিমের মেশিনকে তারা স্ক্যান করে নিতে পারে। মেশিনের নিরাপত্তা সরিয়ে নিতে পারে এবং এটাককে পরিবর্তনও করতে পারে। এনক্রাইপশন ও ডিজিটাল সিগন্যাচার ব্যবহার করে ক্লায়েন্ট এবং কমান্ড ও কন্ট্রোল সার্ভারের সাথে তারা যোগাযোগ করে।

http://www.cio.com/article/3021783/security/rovnix-malware-shifts-focus-to-japan-says-ibm.html