ওয়েব জিএলঃ ভূমিকা

কয়েকবছর আগেও ওয়েবে থ্রিডি গ্রাফিক্স প্রক্রিয়া করার জন্য এপলেট ও জিএল এর সমন্বয়ে জিপিইউ বা গ্রাফিক্যাল প্রসেসিং ইউনিটের মাধ্যমে জাভা ব্যবহার করা হত। যেহেতু এপলেট রান করাতে জেভিএম ব্যবহার করতে হয় তাই জাভা এপলেট ব্যবহার করা সহজ ছিল না। কয়েক বছর পরে লোকে জাভা এপলেট ব্যবহার করা বন্ধ করে দেয়। এডোবি(ফ্ল্যাশ, এয়ার) দ্বারা উপস্থাপিত স্টেজ থ্রিডি এপিআই জিপিইউ হার্ডওয়ার চালিত কাঠামোর প্রস্তাবনা করে। এধরণের প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে প্রোগ্রামাররা আইওএস ও এনড্রয়েড সহ ওয়েবের জন্য টু ডি ও থ্রি ডি দক্ষতা সম্পন্ন এপ্লিকেশন তৈরি করতে শুরু করেন। যেহেতু ফ্ল্যাশ মালিকানা সম্পন্ন সফটওয়ার, একে তাই ওয়েব স্ট্যান্ডার্ডে ব্যবহার করা যেত না।

ওপেনজিএলঃ ওপেনজিএল বা ওপেন গ্রাফিক্স লাইব্রেরী একটি ক্রসল্যাঙ্গুয়েজ, ক্রস প্লাটফর্ম এপিআই যা টু-ডি ও থ্রি ডি গ্রাফিক্সের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি আসলে কম্যান্ডের কালেকশন। ওপেন জিএলের সাথে সম্পর্কিত প্রযুক্তিগুলির একটি তালিকা নিচে দেয়া হল,

bla1

মনে রাখা দরকার, ওয়েব জিএলে শেডার লিখতে আমরা জিএলএসএল ব্যবহার করে থাকি।

ওয়েব জিএল কীঃ ওয়েব জিএল বা ওয়েব গ্রাফিক্স লাইব্রেরী 3D গ্রাফিক্সের জন্য একটি নতুন স্ট্যান্ডার্ড। এটি টু ডি গ্রাফিক্স ও ইন্টারেক্টিভ থ্রিডি গ্রাফিক্স রেন্ডারিং এর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ওপেন জিএলের ইএস ২.০ লাইব্রেরী থেকে উদ্ভূত যা কিনা ফোন ও মোবাইলে ব্যবহৃত নিম্ন শ্রেণীর থ্রিডি এপিআই। ওয়েবজিএল ইএস ২.০ একই ধরনের ফাংশনালিটির এবং আধুনিক থ্রিডি গ্রাফিক্স হার্ডওয়ারে ভাল পারফর্ম করতে পারে।

এটি একটি জাভাস্ক্রিপ্ট এপিআই যা এইচটিএমএল ফাইভের সাথে ব্যবহৃত হতে পারে। এইচটিএমএল ফাইভের কিছু নির্ধারিত ফিচার আছে থ্রিডি গ্রাফিক্স যেমন টু ডি ক্যানভাস, ওয়েব জিএল, এসভিজি, থ্রিডি সিএসএস ট্রান্সফর্ম ও এসএলআইএল ইত্যাদিকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য। ওয়েবজিএল কোড এইচটিএমএলের ট্যাগের মধ্যে লেখা হয়। এটি সেই ধরনের বৈশিষ্ট্য যা ইন্টারনেটের ব্রাউজারকে তারা যে কম্পিউটারে ব্যবহৃত হচ্ছে তাতে অবস্থিত গ্রাফিক্যাল প্রসেসিং ইউনিট বা জিপিইউতে প্রবেশের অনুমোদন দেয়।

ওয়েবজিএলকে কে ডেভলাপ করেছেঃ ভ্লাদিমির ভুকিসেভিচ নামক একজন আমেরিকান-সার্বিয়ান সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ওয়েবজিএল সৃষ্টি ও ডেভলাপের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করেন।

• ২০০৭ সালে ভ্লাদিমির এইচটিএমএল ডকুমেন্টে ক্যানভাস এলিমেন্টের প্রোটোটাইপের জন্য ওপেনজিএল এর উপর কাজ করা শুরু করেন।
• ২০১১ সালের মার্চে ক্রনস গ্রুপ ওয়েবজিএল সৃষ্টি করে।

যেসব ব্রাউজার সাপোর্ট করেঃ ওয়েব জিএল সাপোর্ট করে এমন সব ব্রাউজারের তালিকা নিচের ছকে দেয়া হল,
bla

ওয়েবজিএল এর সুবিধা সমূহঃ

জাভাস্ক্রিপ্ট প্রোগ্রামিংঃ ওয়েবজিএল এপ্লিকেশন জাভাস্ক্রিপ্টে লেখা হয়। এই এপ্লিকেশন ব্যবহার করে আমরা এইচটিএমএল ডকুমেন্টের উপাদানের সাথে সরাসরি কাজ করতে পারি। ওয়েবজিএলের এপ্লিকেশনকে সমৃদ্ধ করার জন্য অন্যান্য জাভাস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরী ও এইচটিএমএল প্রযুক্তিও ব্যবহার করা যায়।

মোবাইল ব্রাউজারের জন্য ক্রমবর্ধমান সাপোর্টঃ ওয়েবজিএল আইওএস সাফারি, এন্ড্রয়েড ব্রাউজার ও এন্ড্রয়েডের জন্য ক্রোম ইত্যাদিও সাপোর্ট করে।

ওপেন সোর্সঃ ওয়েবজিএল ওপেনসোর্স। আমরা লাইব্রেরীর সোর্স কোডে প্রবেশ করতে পারি, বুঝতে পারি এটি কীভাবে কাজ করে, কীভাবে ডেভলাপড হল এসবও বুঝা যায়।

কম্পাইলেশনের দরকার নাইঃ জাভাস্ক্রিপ্ট মূলত হাফ-প্রোগ্রামিং আর হাফ এইচটিএমএল কম্পোনেন্ট। এই স্ক্রিপ্ট সম্পাদনের জন্য ফাইলকে কম্পাইল করার কোনও দরকার নেই। বরং আমরা ব্রাউজার ব্যবহার করে সরাসরি ফাইল ওপেন করে ফলাফল দেখতে পারি। মূলত জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে ডেভলপ করায় এদের কম্পাইল করার কোনও দরকার হয় না।

স্বয়ংক্রিয় মেমোরি ব্যবস্থাপনাঃ জাভাস্ক্রিপ্ট স্বয়ংক্রিয় মেমোরি ব্যবস্থাপনা সমর্থন করে। ম্যানুয়ালি মেমোরি বরাদ্ধের কোনও দরকার হয় না। ওয়েবজিএল জাভাস্ক্রিপ্টের এই সুবিধাটি আত্মস্থ করে নেয়।

সেট আপ করা সহজঃ যেহেতু ওয়েবজিএল এইচটিএমএল ফাইভের সাথে সমন্বিত, তাই বাড়তি কোনও সেট আপ সংযোজনের দরকার নাই। ওয়েবজিএল এপ্লিকেশন লেখার জন্য কেবল মাত্র একটি ব্রাউজার ও টেক্সট এডিটর দরকার । আর তেমন কিছুর দরকার পরে না।

এনভায়রনমেন্ট সেট আপঃ ওয়েবজিএলের জন্য পৃথক কোনও এনভায়রনমেন্ট সেট আপের প্রয়োজন হয় না। যেসব ব্রাউজার ওয়েবজিএল সাপোর্ট করে সেগুলোর ওয়েবজিএলের জন্য নিজস্ব বিল্ট ইন সেট আপ করাই থাকে।

কানাডাতে ইসলামিক মর্টগেজ

Good, Bad, Ugly – I do not know…

For Canada
An-Nur Coop – offers home purchase as well as commerical real estate.
http://nurcoop.com

Lariba Canada – provide its members with interest free finance, Islamic forms of Investments and extremely modest financial services which are free from any sort of usury.
http://www.lariba.ca

ISNA Housing
http://www.isnahousing.ca

Ansar Co-operative Housing Corporation LTD
http://www.ansarhousing.com

Salam Financial – based in Ottawa, Ontario.
http://www.salamfinancial.com

ওয়ার্ডপ্রেসঃ ইন্টারভিউয়ের প্রশ্নাবলী . WordPress : Interview Questions and Answers

ওয়ার্ডপ্রেসঃ ইন্টারভিউয়ের প্রশ্নাবলী
সুপ্রিয় পাঠক, ওয়ার্ডপ্রেসের ইন্টারভিউয়ের এই প্রশ্নগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে ওয়ার্ডপ্রেসের সাথে সম্পর্কযুক্ত কোনও সাক্ষাৎকারের সময় যেসব প্রশ্ন আপনাদের মোকাবেলা করতে হবে তা সম্পর্কে যেন সুস্পষ্ট ধারণা আপনারা পেতে পারেন।অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সাধারণত ভাল সাক্ষাৎকার যারা নেন, তাঁরা কোনও নির্দিষ্ট প্রশ্ন নয় বরং বিষয়ভিত্তিক বেসিক কনসেপ্ট থেকে প্রশ্ন করেন, আর তারপর সেখান থেকেই প্রশ্ন এগিয়ে চলে আপনার উত্তরের উপর ভিত্তি করে।

ওয়ার্ডপ্রেস কী?
-ওয়ার্ডপ্রেস এক ধরনের ওপেন সোর্স কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, যা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা ডাইনামিক ওয়েবসাইট ও ব্লগ তৈরি করতে পারেন।

ওয়ার্ডপ্রেসের কিছু ফিচার সম্পর্কে বলুন?
-ওয়ার্ডপ্রেসের কিছু ফিচার হলঃ
ইউজার ম্যানেজমেন্ট
মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
থিম সিস্টেম
প্লাগিনের ব্যবহার
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
মাল্টিলিঙ্গুয়াল
ইমপোর্টার

ওয়ার্ডপ্রেসের কী কী অসুবিধা আছে?
-ওয়ার্ডপ্রেসের কিছু অসুবিধা হল,
• প্রচুর প্লাগিন ব্যবহার সাইটকে ‘ভারি’ করে লোড বা রান করানোর ক্ষেত্রে কঠিন পরিস্থিতির সামনে ফেলে।
• ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের জন্য পিএইচপি সম্পর্কে জ্ঞানের প্রয়োজন হয়।
• সর্বশেষ ব্রাউজার বা মোবাইল ডিভাইসের সাথে ওয়ার্ডপ্রেসের সামঞ্জস্য রাখতে অনেক সময় সফটওয়ার আপডেট রাখতে হয়।এই আপডেটের সময় ডাটা হারানোর সম্ভবনা থাকে, যার জন্য ওয়েবসাইটের কপি ব্যাকআপ হিসেবে সংরক্ষণ করতে হয়।
• গ্রাফিক ইমেজ ও টেবিলের পরিবর্তন বা পরিবর্ধন খানিকটা কঠিন।

ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ডে আমরা যে বিভিন্ন ধরনের যে গেজেটগুলো দেখতে পাই, সেগুলো কী কী?
-ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ডে আমরা যে গেজেটগুলো সচরাচর দেখে থাকি সেগুলো হল,
• ড্যাশবোর্ড মেন্যু
• স্ক্রীন অপশন
• ওয়েলকাম
• কুইক ড্রাফ্‌ট
• ওয়ার্ডপ্রেস নিউজ
• একটিভিটি
• এট এ গ্লেন্স ইত্যাদি

ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ডে থাকা কুইক ড্রাফ্‌ট সেকশনের কাজ কী?

-কুইক ড্রাফ্‌ট সেকশন একটি মিনি পোস্ট এডিটর যার মাধ্যমে এডমিন ড্যাশবোর্ড থেকে কোনও কিছু লেখা,সেভ করা ও পোস্ট আকারে পাবলিশ করা যায়।এতে ড্রাফটের টাইটেল, বিষয় সম্পর্কে কিছু নোট ইত্যাদি লেখা যায় এবং ড্রাফ্‌ট হিসেবে সংরক্ষণ করা যায়।

ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ডে থাকা ওয়ার্ডপ্রেস নিউজের কাজ কী?
-ওয়ার্ডপ্রেস নিউজ উইজেট অফিশিয়াল ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ থেকে পাওয়া লেটেস্ট সফটওয়ার ভার্সন, আপডেট, সতর্কবার্তা,সংবাদ ইত্যাদি প্রদর্শন করে থাকে।

ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ডে থাকা ‘এট এ গ্লেন্স’ ব্যপারটা কী?
-এই সেকশনটি আমাদের ব্লগ পোস্টের সারসংক্ষেপ, পাবলিশকৃত পোস্টের সংখ্যা ও পেজ সংখ্যা,মন্তব্যের সংখ্যা ইত্যাদি নির্দেশ করে। যখন আমরা কোনও প্রদত্ত লিঙ্কে ক্লিক করি, তা আমাদের সংশ্লিষ্ট পেজে নিয়ে যায়। এটি চলমান ওয়ার্ডপ্রেসের সংস্করণ ও থিম সংস্করণ ইত্যাদিও প্রদর্শন করে থাকে।

ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ডে থাকা একটিভিটি উইজেট কী?
-একটিভিটি উইজেটে ব্লগ সম্পর্কে সাম্প্রতিক মন্তব্য, বর্তমান পোস্ট, সাম্প্রতিক পোস্ট ইত্যাদি থাকে। এটি আমাদেরকে কোনও মন্তব্য এলাউ করা, বা না করার-সুযোগ দিয়ে থাকে, মন্তব্যের উত্তর দেয়ার সুযোগ দেয়, মন্তব্যকে সম্পাদন, ডিলিট বা স্পাম হিসেবে বাদ দেয়ার সুযোগও দিয়ে থাকে এই উইজেট।

ওয়ার্ডপ্রেসের জেনারেল সেটিংএর কাজ কী?
-আমাদের সাইটের বেসিক কনফিগারেশন সেটিং সেট করতে ওয়ার্ডপ্রেসের জেনারেল সেটিং কাজে লাগে।

ওয়ার্ডপ্রেসের রাইটিং সেটিং কী?
-ওয়ার্ডপ্রেসের রাইটিং সেটিং লেখালেখির কাজ নিয়ন্ত্রণ করে আর ওয়ার্ডপ্রেস সাইট কাস্টমাইজেশনের অপশন দিয়ে থাকে। এই সেটিং পোস্ট এডিটিং, পোস্ট টাইপ ও পোস্ট সংযুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট ফিচারগুলো নিয়ন্ত্রণ করে আর আরও কিছু অপশনাল ফাংশন যেমন রিমোট পাবলিশিং, ইমেইলের মাধ্যমে পোস্ট আর আপডেট সার্ভিস ইত্যাদিও নিয়ন্ত্রণ করে।

ওয়ার্ডপ্রেসের রাইটিং সেটিংএ পোস্ট ভায়া ইমেইল অপশনের ইউজ কী?

-এই অপশন আমাদের জন্য পোস্ট তৈরি করতে ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে ও আমাদের ব্লগে ইমেইল এড্রেস অনুসারে পাবলিশ করে। এটি ব্যবহারের জন্য আমাদের একটি গোপন ইমেইল একাউন্ট লাগবে পিওপি 3 এক্সেস সহ, এই এড্রেসে পাওয়া যে কোনও মেইল পোস্টেড হবে।

ওয়ার্ডপ্রেসের রিডিং সেটিং কী?
-ফ্রন্ট পেজের সাথে সম্পর্কিত কন্টেন্ট সেটিংএর জন্য রিডিং সেটিং ব্যবহৃত হয়। ফ্রন্ট পেজে কী কী পোস্ট দেখানো হবে তা এর মাধ্যমে আমরা নির্ধারণ করে দিতে পারি।

ওয়ার্ডপ্রেস রিডিং সেটিংএর মোস্ট রিসেন্ট ফিল্ডের সিন্ডিকেশন ফিডের কাজ কী?
-ইউজাররা যখন সাইটের ফিড ডাউনলোড করে তখন পোস্টের নাম্বার দেখতে পায়। বাই ডিফল্ট এটি ১০ এ সেট করা থাকে।

ওয়ার্ডপ্রেস রিডিং সেটিংএর সার্চ ইঞ্জিন ভিজিবিলিটি ফিল্ডের ব্যবহার সম্পর্কে বলুন?
-এটি সার্চ ইঞ্জিনকে এই সাইট লিপিবদ্ধ করতে বাধা দেয়, আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিনে উপেক্ষিত হয় এই প্রক্রিয়ায়।

ওয়ার্ডপ্রেস ডিসকাশন সেটিং কী?
-ব্লগার ও সাইটের ভিজিটরদের মধ্যকার সমন্বয়ের মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস ডিসকাশন সেটিংকে আমরা বিবৃত করতে পারি, এই সেটিং এডমিনের হাতে থাকে, ইউজারদের পোস্ট বা পেজের উপর নিয়ন্ত্রণ এটির উপর নির্ভর করে।

মিডিয়া সেটিংএর ব্যবহার কী?

-এটি সেইসব ইমেজের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ঠিক করে দেয় যা আমরা আমাদের সাইটে ব্যবহার করতে যাচ্ছি।

পার্মালিঙ্ক সেটিং কী?
-পার্মালিঙ্ক হল নির্দিষ্ট কোনও ব্লগ পোস্ট বা ক্যাটাগরির জন্য স্থায়ী লিঙ্ক। এটি ডিফল্ট পার্মালিঙ্ক স্ট্রাকচার সেটিং করার সুযোগ দেয়। এটি আমাদের ওয়ার্ডপ্রেস পোস্টে পার্মালিঙ্ক সংযুক্ত করার সুবিধা দিয়ে থাকে।

প্লাগিন সেটিং কী?
-প্লাগিন সহজে ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ বা পোস্টের পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংস্কারের সুবিধা দেয়। ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন হল সফটওয়ার যা সাইটের ফাংশনালিটি বৃদ্ধির জন্য আপলোড করা হয়।এগুলো ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে সার্ভিস ও ফিচার সংযুক্ত করে।

ওয়ার্ডপ্রেস ক্যাটাগরি কী?
-আমাদের সাইট ও গ্রুপ সম্পর্কিত পোস্টের সেকশন নির্দেশ করতে ক্যাটাগরি অপশন ব্যবহৃত হয়। এটি গ্রুপ কন্টেন্টকে বিভিন্ন সেকশনে বিভক্ত করে। এটি পোস্টগুলোকে অরগানাইজ করার খুব ফলপ্রসূ একটি উপায়।

ওয়ার্ডপ্রেস পোস্ট কী?
-পোস্ট মূলত আর্টিকেল, অনেক সময় এদের ব্লগ বা ব্লগ পোস্ট নামেও উল্লেখ করা হয়। এটি আমাদের ব্লগিং সাইটকে জনপ্রিয় করতে ব্যবহার করা হয়।

ওয়ার্ডপ্রেসে প্রিভিউ পোস্ট কী জিনিস?
-ইউজারদের কাছে পাবলিশড হওয়ার আগে কোনও পোস্ট দেখে নেয়ার জন্য প্রিভিউ পোস্ট ব্যবহৃত হয়। পোস্টের প্রিভিউ দেখে নেয়া ও সাইটে এটি কেমন দেখাবে তা জেনে নেয়া অনেক ভাল একটি উপায়।

ওয়ার্ডপ্রেসে পাবলিশ পোস্ট কী?
-সব ইউজার যেন কোনও পোস্ট দেখতে পারে এমনভাবে পোস্টটি পাবলিশ করার জন্য পাবলিশ অপশনটি ব্যবহৃত হয়।

মিডিয়া লাইব্রেরী কী?
-কোনও পোস্ট বা পেজে লিখার সময় আমরা যে ইমেজ, অডিও, ভিডিও বা ফাইল সংযুক্ত বা আপলোড করি তাদের সমন্বয়ে মিডিয়া লাইব্রেরী গঠিত হয়।

মিডিয়া লাইব্রেরীর গ্রিড ভিউ কী?
-এটি সব ইমেজকে গ্রিড ফরম্যাটে প্রদর্শন করে।

ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে মিডিয়া ফাইলগুলো কীভাবে সংযুক্ত করা হয়?
-আমাদের পোস্ট বা পেজে লাইব্রেরী, লোকাল স্টোরেজ বা ইউআরএল থেকে মিডিয়া ফাইল ইনসার্ট করা হয়।

ওয়ার্ডপ্রেসে পেজ বলতে কী বুঝেন?
-পেজগুলো স্ট্যাটিক কন্টেন্ট, আর সাধারণত এর প্রদর্শিত তথ্যগুলো অপরিবর্তিত থাকে।

‘WYSIWYG এডিটর’ কী?

-‘WYSIWYG এডিটর’ অনেকটা ওয়ার্ড প্রসেসর ইন্টারফেসের মত, যেখানে আমরা আর্টিকেলের কন্টেন্ট এডিট করতে পারি।

পেজ এট্রিবিউট মডিউল কী?

-পেজ এট্রিবিউট মডিউল আমাদের পেজের মূল অংশ সিলেক্ট করার সুবিধা দিয়ে থাকে। পেজের অর্ডারও এই পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা যায়।

ওয়ার্ডপ্রেসে ট্যাগ বলতে কী বোঝেন?

-মূল কন্টেন্ট বা পোস্টের সাথে লাগানো ছোট্ট তথ্যকনার মত বিষয় হল ট্যাগ, যা আইডেন্টিফিকেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়। পোস্টটি কোন বিষয়ে, ভিজিটরদের তা জানানোই হল মূলত ট্যাগের কাজ। সুন্দরভাবে সজ্জিত ট্যাগ কন্টেন্টকে ঠিকমত খুঁজে বের করতে সাহায্য করে।

ট্যাগের ভিতরের স্লাগ ফিল্ডের কাজ কী?
-এটি ট্যাগ ইউআরএল নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়।

ওয়ার্ডপ্রেসে লিঙ্ক বলতে কী বোঝেন?
-এক রিসোর্সের সাথে অন্য রিসোর্সের কানেকশনই হল লিঙ্ক। ব্লগ বা পোস্টের মাঝে লিঙ্ক ব্যবহার করে অন্য পেজের সাথে যোগাযোগ সাধন করা যায়।

অ্যাডিং কমেন্ট অপশনের ব্যবহার সম্পর্কে বলুন?
-ভিজিটরদের যদি আমাদের অর্থাৎ সাইটের এডমিনের কাছে কোনও প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অ্যাডিং কমেন্ট অপশন ব্যবহার করে সেটি সংযুক্ত করা হয়। এডমিনের মাধ্যমে এপ্রুভড হলে তা পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা হিসেবে প্রচারিত হতে পারে।

মোডারেট কমেন্ট কী?

-কোনও পোস্ট সম্পর্কে ভিজিটরের মন্তব্য সরাসরি পোস্ট করা হয় না, যতক্ষণ না সেটি এডমিনের মাধ্যমে এপ্রুভড হয়, এর মাধ্যমে স্পামিং থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, একেই কমেন্ট মডারেশন প্রক্রিয়া বলে থাকে।

ওয়ার্ডপ্রেসে কন্ট্রিবিউটরের ভূমিকা কী?

-কন্ট্রিবিউটর পাবলিশের আগে পর্যন্ত পোস্ট লিখতে ও এডিট করতে পারবে। তারা নিজেদের মতামত ও মন্তব্য লিখতে পারবে কিন্তু পাবলিশ করতে পারবে না। তারা সাইটের স্ট্যাটাস দেখতে পারবে কিন্তু কোনও ইমেজ বা ফাইল আপলোড করতে পারবে না, কোনও পোস্ট পাবলিশ করার আগে তাদের রিভিউয়ের জন্য এডমিনিস্ট্রেটরের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এপ্রুভড হওয়ার পর কোনও কন্ট্রিবিউটর কোনও পরিবর্তন সাধন করতে পারবেন না তার পোস্টে।

ওয়ার্ডপ্রেসে থিম ম্যানেজমেন্ট বলতে কী বোঝেন?

-থিম বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে প্রদর্শন করে থাকে, এতে ইমেজ ফাইল, টেম্পলেট, সিএসএস স্টাইল শিট ইত্যাদি ব্যবহার করা যায় যা ওয়েবসাইটকে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে সাহায্য করে।

থিম কাস্টমাইজ কী?
– থিম কাস্টমাইজেশন আমাদের সাইটকে নতুন লুক দিতে সাহায্য করে, এর মাধ্যমে আমরা ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ বা কালার, টাইটেল এবং এমন আরও অনেক কিছু পরিবর্তন করতে পারি।

উইজেট ম্যানেজমেন্ট কী?
-উইজেট হল ছোট ছোট ব্লক যা নির্দিষ্ট ফাংশন পারফর্ম করে। এরা ওয়ার্ডপ্রেস থিমে ডিজাইন ও স্ট্রাকচারের কন্ট্রোল আনে।
• এরা কন্টেন্ট ও ফিচার সংযুক্তিতে সহায়তা করে।
• এদের সহজে উইজেট এরিয়াতে ড্র্যাগ এন’ ড্রপ করা যায়।
• উইজেটগুলো বিভিন্ন থিমে বিভিন্ন হয়। সব থিমের জন্য এগুলো এক হয় না।

ওয়ার্ডপ্রেস অপটিমাইজেশনের ধাপগুলো বলুন?
-ওয়ার্ডপ্রেস অপটিমাইজেশনের ধাপগুলো হল,
উঁচু মানের ও অর্থপূর্ণ কন্টেন্ট,
ইমেজের সঠিক নাম,
কীওয়ার্ড সংবলিত সর্ট পারমালিঙ্ক ব্যবহার,
অপ্টিমাইজ করা থিম,
এক্সএমএল ফরম্যাটের সাইটম্যাপ
সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পোস্ট সংযুক্ত করা,
ব্ল্যাক হ্যাট টেকনিক সম্পর্কে সতর্ক থাকা,
ট্রাস বক্স ডিলিট করা,
সাইটের স্ট্যাটিস্টিকস নিয়মিত চেক করা,
প্লাগিংস নিয়মিত চেক করা,
সঠিকভাবে সিএসএস ও জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা।

ওয়ার্ডপ্রেসে এডিটরের ভূমিকা কী?
-এডিটর সমস্ত পোস্ট, পেজ, কমেন্ট, ক্যাটাগরি, ট্যাগ, লিঙ্ক এসব সমস্ত কিছুতে বিচরণ করতে পারেন। তারা যে কোনও পোস্ট বা পেজ তৈরি, পাবলিশ, সম্পাদন বা ডিলিট করতে পারেন।

ওয়ার্ডপ্রেসে ফলোয়ারের ভূমিকা কী?

-ফলোয়ার কেবল পোস্ট পড়তে ও মন্তব্য করতে পারেন। ফলোয়াররা আপডেট পেতে আপনার সাইটে সাইন ইন করেছেন।

ওয়ার্ডপ্রেসে ভিউয়ারের ভূমিকা কী?

-ভিউয়ার কেবল পোস্ট দেখতে পারেন, আর মন্তব্য করতে পারেন, এডিট করতে পারেন না।

মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট কী?
-এটি মিডিয়া ফাইল ও ফোল্ডার ব্যবস্থাপনার একটি টুল যার মাধ্যমে আমরা ওয়েবসাইটে মিডিয়া ফাইল আপলোড, অরগানাইজ ও ম্যানেজ করতে পারি।

মাল্টিলিঙ্গুয়াল কী?
-এটি সব কন্টেন্টকে ব্যবহারকারী নির্ধারিত ভাষায় অনুবাদ করতে ব্যবহৃত হয়।

ইউজার ম্যানেজমেন্ট কী?
-এটা ইউজারের তথ্য ও ধরণ নিয়ন্ত্রণ(ইউজার কি সাবস্ক্রাইবার, কন্ট্রিবিউটর, অথর নাকি এডমিনিস্ট্রেটর), চেঞ্জ বা ডিলিট করা, পাসওয়ার্ড ও ইউজার ইনফো চেঞ্জ করা ইত্যাদি করে থাকে। ইউজার ম্যানেজারের প্রধান কাজের মধ্যে পরে অথেনটিকেশন।
.

ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য যে পিএইচপি কম্পেটিবিলিটি ব্যবহৃত হয় তা কী?
-পিএইচপি ৫.২ +

ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ড কী?
-ওয়ার্ডপ্রেসে আমরা এডমিনিস্ট্রেটিভ এরিয়ায় লগ ইন করলে যে অংশটায় প্রথম ঢুকি সেটিই ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ড, এখানে পুরো সাইটের ওভারভিউ দেয়া থাকে। ব্লগে কি হচ্ছে না হচ্ছে,এর সমস্ত গেজেট,তথ্য ইত্যাদিও এখান থেকে পাওয়া যাবে।কুইক ড্রাফ্‌ট, কমেন্ট রিপ্লাই এরকম কিছু কুইক লিঙ্ক ব্যবহার করে আমরা ব্লগের বিভিন্ন বিষয়ে জড়িত থাকতে পারি এই ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে।

ওয়ার্ডপ্রেসের ডিসকাশন সেটিংএর এভাটার ফিল্ডের কাজ কী?
-এভাটার একটি ছোট ইমেজ যা ড্যাশবোর্ড স্ক্রিনের উপরে ডান পাশে থাকে, এটি মুলত প্রোফাইল পিকচারের মত বিষয়।

ওয়ার্ডপ্রেসের জেনারেল সেটিংএর এড্রেস ফিল্ডের কাজ কী?
-এটি ওয়ার্ডপ্রেস ডিরেক্টরির ইউআরএল যাতে সব কোর এপ্লিকেশনগুলো থাকে।

ওয়ার্ডপ্রেস রাইটিং সেটিংএর মেইল সার্ভারের কাজ কী?
-ওয়ার্ডপ্রেসে আমরা যে মেইল পাঠাই তা পড়া ও রিট্রিভালের জন্য সংরক্ষণ করার সুযোগ দেয় এই সেটিং। এর জন্য পিওপি 3 এক্সেস সহ ইমেইল সার্ভার লাগবে যার mail.example.com টাইপের এড্রেস থাকবে, যা আমাদের এখানে প্রবেশ করাতে হবে।

ইম্পোরটার কী?
-এটি পোস্ট আকারে ডাটা ইম্পোরট করতে দেয়, কাস্টম ফাইল, কমেন্ট, পোস্ট পেজ ও ট্যাগ ইম্পোরট করে।
________________________________________

প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি বনাম অনিশ্চয়তা

প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় একটি কমন বিষয় প্রায়ই হয়ে থাকে, এখানে ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তাকে মিলিয়ে ফেলা হয়। এদের সংজ্ঞাগত কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে যা অনেক সময় পেশাদারদেরও দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। আজ আমরা ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তার মধ্যে মৌলিক কিছু ব্যবধান নিয়ে আলোচনা করব।

ঝুঁকি

পিএমআই প্রদত্ত সূত্র অনুসারে ঝুঁকি হল একটি অনিশ্চিত ঘটনা বা অবস্থা যা ঘটলে প্রকল্পের উদ্দেশ্যের উপর অন্তত কোনও একটি ভাবে হলেও প্রভাব রাখতে পারে।ঝুঁকির প্রভাব ভাল বা মন্দ যেকোনো রকমেরই হতে পারে, আর এটি অনুমিত একটি বিষয়।
অনিশ্চয়তা

অনিশ্চয়তা হল নিশ্চয়তার অনুপস্থিতি। অনিশ্চয়তার ক্ষেত্রে কোনও ঘটনার ফলাফল একেবারেই অজানা, অননুমেয়। এখনো বিষয়টি পরিষ্কার না হলে আমি বিষয়টি বুঝিয়ে দিচ্ছি, ধরা যাক, কোনও দুটি স্বনামধন্য ফুটবল দল যাদের কিনা নির্ভরযোগ্য ও খ্যাতিসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে, তারা আগামী কোনও একটি দিন মুখোমুখি হবে। কে জিতবে, তা নিশ্চিত করে কি আপনি বলতে পারবেন? না। আপনি যা পারবেন তা হল দলগত ও ব্যাক্তিগত পারফর্মেন্স বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য একটি ফলাফল আশা করতে, যেখানে আপনি শতাংশের বিচারে সেই সম্ভবনাকে প্রকাশ করবেন।

এখন, সেই একই ফুটবল ম্যাচকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে বিশ্লেষণ করা যাক,

ধরা যাক, দুটি টিমই খেলবে, কিন্তু কোনও টিমের জন্যই কোনও খেলোয়াড় নির্ধারণ করা হল না বা নাম নিশ্চিত করা হল না, কেউ কোনও ধারনাও পেল না কোন টিম কেমন শক্তিশালী হবে বা দুর্বল হবে। এমন অবস্থায় আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় কে জিতবে, তাহলে কোনও উত্তর দেয়া কি সম্ভব হবে আপনার জন্য? একেই বলে অনিশ্চয়তা।

এখন আমি নিশ্চয়ই ধরে নিতে পারি ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তার মধ্যে ব্যবধান আপনার কাছে স্পষ্ট হয়েছে!

আইটি কনসালটেন্ট ও কন্ট্রাক্টরদের জন্য নৈতিকতার ১০টি নিয়ম . 10 ethical rules for IT consultants and contractors

কাজের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করবে-এমন নৈতিক ক্রুটি এড়াতে আমরা সাহায্য নিতে পারি কিছু কোড অফ কন্ট্রাক্টের।

নৈতিকতার কিছু সুসংহত নিয়ম ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে এবং আপনার গ্রাহককে, উভয় পক্ষকেই নিরাপদ রাখবে। বিপদে আর অস্থিতিশীল সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেও সাহায্য করবে। সবচেয়ে বড় নিয়ম হল সেটাই, আপনি নিজে যেভাবে মূল্যায়িত হতে চান সেভাবেই গ্রাহককে মূল্যায়ন করুন। কিন্তু ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার অনেকসময় কিছু নির্দিষ্ট গাইডেন্স দরকার হয়। আমি নিচের নিয়মাবলী থেকে যে দিকনির্দেশনা পেয়েছি আশা করব আপনারাও সেরকম দিকনির্দেশনাই পাবেন এথেকে।

১ঃ সৎ থাকুন

আপনি আপনার ক্ষমতা, ব্যাকগ্রাউন্ড,দক্ষতা এমনকি প্রকল্পে যে সময় ব্যায় করেছেন, তা নিয়ে মিথ্যাচার করতে পারেন। এমনতরো প্রলোভনের ফাঁদে আমরা প্রায়ই পড়ি। আপনাকে নিয়োগ দেয়ার সময় ক্লায়েন্ট আপনাকে বিশ্বাস করেই নিয়োগ করবেন। সেই বিশ্বাসটাকে কোনও কারনেই নষ্ট হতে দেবেন না, বিশেষ করে কাজ পাবার জন্য মিথ্যা কখনোই বলবেন না।

২ঃ প্রয়োজনে ‘না’ বলতে শিখুন

গ্রাহক আপনাকে হায়ার করে আপনার মতামত,অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের জন্য। এগুলোর কোনওটাতে ঘাটতি হলে তা বিশ্বাস ভঙ্গের সামিল হবে,আর তা আপনার জন্য বয়ে আনবে সমস্যা।ক্লায়েন্ট হয়ত আপনার কথামত চলবে না, হয়ত ভিন্নমত পোষণ ভিন্ন পথেরও সৃষ্টি করতে পারে। সবসময় সঠিক কথা বলা সহজ হবে না। কিন্তু আপনাকে বলতেই হবে।

৩ঃ প্রয়োজনে অপেক্ষা করুন

আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে উদ্ভাবনের ঊর্ধ্বে রাখাটা অনুচিত হবে। আপনার অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সেটার সেরা প্রয়োগের চেষ্টা করা উচিৎ, অর্জিত জ্ঞানকে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা ঠিক না।

৪ঃ যে ক্লায়েন্টের কাজ করছেন, তার কাজে মনোযোগ দিন

যখন যে ক্লায়েন্টের কাজ করছেন, তার দিকে মনোযোগ দিন, অন্য ক্লায়েন্টের কাজের দিকে দৃষ্টি দেবেন না। এমনকি ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলার সময় প্রয়োজনে তাঁর কাছ থেকে সময় নিয়ে আপনার সেল ফোনটি বন্ধ করুন, যেন আপনাদের কথোপকথনে বিঘ্ন না হয়। এটি আপনাদের কাজের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে পারে।

৫ঃ ফেরার পথ বন্ধ রাখুন

ডেভলপাররা এধরণের ব্যাকডোর কোডিং পছন্দ করেন যা আর কেউ জানে না। যখন সকল প্রথাগত পদ্ধতি ব্যর্থ হয় তখন এটি প্রয়োগ করা হয়। যখন আপনি একটি প্রকল্প ত্যাগ করবেন, তখন ব্যাকডোর লক এমনকি ধ্বংস করার ডকুমেন্টেশন তৈরি রাখুন।

৬ঃ গোপনীয়তা বজায় রাখুন

দক্ষতা থাকা সাপেক্ষে কারো কারো একই ফিল্ডে একাধিক ক্লায়েন্ট থাকতে পারে।এটা অন্যায় কিছু নয়। অনেক আইটি প্রজেক্ট আছে যার মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক কিছু নেই, যে কারনে প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লায়েন্টদেরও ক্ষেত্রবিশেষে সেবা দেয়া যেতেই পারে।মোবাইল ফোনের নির্দিষ্ট কোনও অ্যাপের বাজার দখল করতে চাইছে এমন দুটি প্রতিষ্ঠান একসাথে আপনাকে ডেভলপার হিসেবে হায়ার করবে না। কিন্তু তাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আপডেট করতে উভয়েই আপনাকে হায়ার করতে পারে।

নিজেকে এবং ক্লায়েন্টকে রক্ষা করতে এরকম পরিস্থিতিগুলো উভয় পক্ষের ক্লায়েন্টকে জানিয়ে রাখুন।মালিকানা সত্ত্বের কন্ট্রাক্টগুলোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করুন। ক্লায়েন্টের আগ্রহ আর আপনার সীমাবদ্ধতার একটি সূক্ষ্ম সীমানা আছে, সেটি বোঝার চেষ্টা করুন।

৭ঃ ম্যানেজারের আত্মবিশ্বাসের মূল্য দিন

দুই ক্লায়েন্টের মধ্যে যেমন গোপনীয়তার সীমা আপনি অতিক্রম করবেন না তেমনি একই কোম্পানির বিভিন্ন স্তরের মধ্যেও তথ্য আদানপ্রদান করবেন না। উদ্ভাবনসংক্রান্ত বিষয়ে ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে গোপনীয় কোন তথ্য দেয় তাহলে আপনি কোম্পানির কারো সাথে সেটা শেয়ার করবেন না। যেমন, যদি আপনি আপনার কোম্পানির সিইওর কাছ থেকে শোনেন যে কোম্পানি কাস্টমার সার্ভিস বিভাগের জন্য আউটসোর্সের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, আপনি সেই একই বিভাগে কর্মরত আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে সতর্ক করতে পারবেন না।

৮ঃ ঝামেলায় জড়াবেন না

প্রত্যেক কোম্পানির নিজস্ব কিছু গোলমাল থাকে। সেগুলোতে জড়াবেন না। আপনার কাজের জন্য কোম্পানি আপনাকে টাকা দিচ্ছে। গোলমাল দেখার দায়িত্ব মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের।

৯ঃ অনৈতিক আচরণ সম্পর্কে রিপোর্ট করুন

ম্যানেজার অনৈতিক কিছু করলে(কোম্পানি সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে) মধ্যস্থতা করতে পারে এমন অথরিটিকে বিষয়টি জানান। সন্দেহের বশে কিছু বলবেন না, প্রমান সহ ম্যানেজারের উপস্থিতিতে কথা বলুন।আরেকটি বিষয় হল, এরপর এই অবস্থায় আপনার এখানে হয়ত আর কাজ করা হবে না।

১০ঃ বশ্যতার বাতাবরণে আটকে পরবেন না

টাকার বিনিময়ে বশ্যতার আবরনে আটকে যাবেন না।দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা ও প্রয়োজনের মাধ্যমেই প্রকল্প এগিয়ে যাবে।

অন্য কোনও নিয়ম?

কনসাল্টেন্ট বা কন্ট্রাক্টর হিসেবে আপনি কি নৈতিকতা সংশ্লিষ্ট আর কোনও সমস্যা মোকাবেলা করছেন? সোজাসরল ও স্পষ্ট অবস্থানে থাকতে আপনি আর কি কি মেনে চলেন?

 

এস এ পি (SAP) ওয়ার্কারদের বেতন, প্রণোদনা, লিঙ্গ ও ভিসা সংক্রান্ত তথ্যঃ Here’s the data on pay, perks, gender and visas of SAP workers

চারভাগের তিনভাগ ফুল টাইম এস এ পি (SAP) ওয়ার্কার জব খোঁজে

আমেরিকার প্রায় ১২০০ এস এ পি (SAP) ওয়ার্কারের উপর জরীপ করে তাদের বেতন, কাজের স্থান, কাজের মাধ্যমে প্রত্যাশা আর কত জনের ভিসা আছে এসব ব্যাপারে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।

মাইক্রোসফট স্কিলের কাজের ক্ষেত্রে এসকিউএল সার্ভার, এজিউর, শেয়ারপয়েন্ট, আর ডট নেটের ডিমান্ড বেশি।

লিঙ্গের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এই খাতের ৮২ শতাংশ কর্মীই পুরুষ, যদিও বেতনের ক্ষেত্রে কোনও লিঙ্গ বৈষম্যের কারণ নেই বা এরকম কোনও কিছু পরিলক্ষিত হয় না।

সাধারণত আইটি সেক্টরে মেয়েরা সঙ্খালঘু, ২৬ শতাংশ মাত্র। এস এ পি (SAP) সেক্টরে এই সংখ্যা আরও কম, মাত্র ১৭ শতাংশ(রেড কমার্স সার্ভে অনুসারে)।.

এস এ পি (SAP) ওয়ার্কারদের এক তৃতীয়াংশ ভিসাধারী, যার ৫৪ শতাংশ মার্কিন নাগরিক,৩১ শতাংশ অস্থায়ী কাজের অনুমতি প্রাপ্ত যার মধ্যে এইচ বি ১ ভিসাও আছে,১৫ শতাংশ গ্রিনকার্ড ধারী। রেড কমার্স সিইও রিচারড ভারসেসি বলেন, এস এ পি (SAP)ওয়ার্কারের চাহিদা মেটাতে ভিসা হোল্ডারদের কাজে লাগানোতে স্স্টাফিং এজেন্সিগুলোকে ব্যবহার করা স্ট্যান্ডার্ড ইউএস স্টাফিং মডেলের একটি দৃষ্টান্ত।

ইউরোপের ক্ষেত্রে প্রায় ৯০ শতাংশই ইউরোপিয়ান হবে বলে তিনি মনে করেন।

এস এ পি (SAP) সংশ্লিষ্ট কাজের বেতন ভাল।আপনি যদি ফ্রিলেন্সার হন আর ভ্রমনে আগ্রহি থাকেন, তাহলে আরও ভাল। ২৫ শতাংশ ফ্রিলেন্সার কনসাল্টেন্ট ১০১ থেকে ১২০ ইউএস ডলার পান প্রতি ঘণ্টায়। ২৭ শতাংশ ফুলটাইম ওয়ার্কার বছরে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১৯ হাজার ইউএস ডলার বেতন পান বলে জানান।

৪৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এস এ পি (SAP) সহযোগী প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যার মধ্যে কনসালটেন্সি ফার্মও আছে। বাকি ৪২ শতাংশ ইউজার কোম্পানির জন্য কাজ করে, আর ৯ শতাংশ এসএপিতে কাজ করে।

এস এ পি (SAP) প্রফেসনালের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি টেক্সাসে, যেখানে ১৪ শতাংশ এস এ পি (SAP) প্রফেশনাল কাজ করে, এরপর ক্যালিফোর্নিয়া ১২.৫ শতাংশ, নিউ জার্সি ৮.৫ আর ইলিনয়ে ৮ শতাংশ।

ভারসেসি টেক্সাসের তেল ও গ্যাসের ইন্ডাস্ট্রির অবদান বলেন একে, যারা এস এ পি (SAP) সফটওয়ারের বড় ব্যবহারকারী।

ভাল বেতনেও কর্মীরা খুব একটা খুশি নন, অর্ধেক কর্মীই ওভারটাইম পাওনা নিয়ে অভিযোগ করেছেন, আর মাসে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করার অনুযোগও আছে। এই ধারাটি অপেক্ষাকৃত নতুন।

এমপ্লয়ারদের জন্য সতর্কবার্তা, ৭৫ শতাংশ কর্মী ১ বছরের মধ্যে নতুন কাজ নিতে চাচ্ছে, যাদের ৩৩ শতাংশ আর মাত্র ৩ মাসের মধ্যে এটি করবে। ভারসেসি বলেন, নতুন কাজ খোঁজার এই হার অনেক বেশি, যদিও জরিপের সময় এতে প্রভাব রাখতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা অনেককিছুর উপর নির্ভর করে, এস এ পি (SAP) ব্যবহারেও এর প্রভাব থাকতেই পারে। সেজন্যও এসএপিকর্মীরা নতুন কাজ খুঁজে থাকতে পারেন। আর সে কারনেই আইটি প্রফেশনালরা যাদের এস এ পি (SAP) দক্ষতা আছে তারা এসএপির ইন মেমোরি কম্পিউটিং সিস্টেম জাতীয় নতুন প্রযুক্তি(হানা-এইচএএনএ) ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে চাইবেন বলে মনে করেন ভারসেসি।

‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কি আসলে ফলপ্রসূঃ Is Remote Project Management any Effective

‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কি আসলে ফলপ্রসূ

‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা গতানুগতিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপক,সংস্থা ও টিমের সদস্যদের জন্য একটি সুন্দর বিকল্প ব্যবস্থা হতে পারে, কিন্তু এটি কী বাস্তব সম্মত হবে? এই রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনার কিছু প্রায়োগিক সুবিধা আছে, কিন্তু এটি দুর্বল চিত্তের ব্যবস্থাপকের জন্য নয়।

‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কি বাস্তবে কাজ করে? সাধারণভাবে উত্তর হল, হ্যাঁ। কিন্তু কোনও শীর্ষায়িত ভার্চুয়াল প্রজেক্ট টিমের জন্য ‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কাজ করে? এর উত্তর হল, সবক্ষেত্রে এর কাজ করার দরকার নেই।

ভার্চুয়াল প্রজেক্ট টিমের জন্য ‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা স্থাপনের কিছু সুবিধা আছে। এর কয়েকটি হল,

  • প্রযুক্তির প্রসারের ফলে প্রকল্পের দূরত্বগত ব্যায় হ্রাস
  • প্রকল্পের সদস্যদের জীবন ও কর্মের ভারসাম্য লাভ
  • সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ভ্রমণজনিত সময় হ্রাস
  • শীর্ষ মেধাকে আকৃষ্ট করার সম্ভবনা বৃদ্ধি।

এগুলো নিশ্চিতভাবেই সুবিধা, আপনার কোম্পানির জন্য ‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা উপযোগী হলে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। নিচে এরকম কিছু সম্ভাব্য বিষয় ও তার সমাধান দেয়া হল, যা ভার্চুয়াল প্রজেক্ট টিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে।
‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে এমন কিছু বিষয়ঃ

উৎপাদনশীলতার নিম্নমুখিতা

একদম নিবেদিতপ্রাণ প্রকল্প ব্যাবস্থাপক বা দলের জন্যও মূল উদ্দেশ্য থেকে সাময়িকভাবে বিচ্যুত হওয়া অস্বাভাবিক বা অসম্ভব না, এরকম হয়েই থাকে।যদিও এক্ষেত্রে তাদের আনুগত্যের কোনও অভাব নেই ।

সম্ভাব্য সমাধান

  • ভার্চুয়াল প্রজেক্ট টিমের জন্য এমন সদস্য বাছাই করা যারা কেবল টেকনিক্যালভাবে দক্ষই নন বরং কাজটাকে উদ্যোক্তার দৃষ্টিভঙ্গি ও দায়িত্ব নিয়ে দেখবেন। উদ্যোক্তার দৃষ্টিভঙ্গি আছে এমন লোক স্বাভাবিকভাবেই তারা যে কাজ করছেন তার প্রতি টান অনুভব করবেন,ভাল ফলাফলের জন্যই কাজ করবেন,তারা উদ্যমী,স্বনির্ভর,স্বপ্রনোদিত,আর অতিমাত্রায় অভিযোজ্য।
  • টিমের সব সদস্যদের কাছ থেকে উঁচু মানের পেশাগত দক্ষতা আর আত্মনিবেদন আশা করা। এটি পুরো প্রকল্প জুড়ে সদস্যদের মধ্যে প্রণোদনার সঞ্চার করবে।
  • টিমের সব সদস্যদের মধ্যে প্রচুর সাংগঠনিক দক্ষতা থাকতে হবে। কারো মধ্যে এটি আগে থেকে না থাকলে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এবিষয়টি উন্নত করা যেতে পারে।
  • সব সদস্যের কাছে নিয়মাবলী, কাজের পর্যায় খুঁটিনাটি ইত্যাদি তুলে ধরতে হবে আর শিডিউল তৈরি করে দিতে হবে,কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণও করতে হবে যাতে কোনও কিছু বাদ পরে না যায়। এটি বিশেষ করে ভার্চুয়াল প্রজেক্ট টিমের জন্য বেশি প্রযোজ্য কারণ দূরত্ব ও সময় সংক্রান্ত বাঁধা, ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত তারতম্য ইত্যাদি অসুবিধে এই ক্ষেত্রেই বেশি চোখে পরে।

 

স্থান, দূরত্ব ও সময় অঞ্চল সংক্রান্ত বিষয়াদি

প্রকল্প পরিকল্পনা টালমাটাল হয়ে উঠতে পারে দূরত্ব ও সময় সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য, সমস্যাসঙ্কুল কর্মঘণ্টা ও রিমোট অবস্থানের জন্যও, যেখানে টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসিং প্রভৃতির অব্যবস্থাপনার জন্যও যোগাযোগ বিঘ্নিত হতে পারে।

সম্ভাব্য সমাধান

  • নির্দিষ্ট পলিসি ও প্রটোকল তৈরি করতে হবে যাতে প্রকল্পের পুরো সময়টা জুড়ে টিম সদস্যদের সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়।যখনই সম্ভব হয় টিমের মীটিং ডেকে সব কার্যকরী সদস্যদের সাথে কথা বলে প্রকল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। টাইম জোন পরিবর্তনশীল, এটি সপ্তাহের বিচারে একটি ক্ষুদ্র সময়ের ব্যবধান হলেও মনিটরিং প্রসেসে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
  • বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করা সদস্যরা যেন তাদের জন্য নির্ধারিত কাজ শেষ করতে পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত সাহায্য পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে,আর সেই সাথে প্রয়োজনে প্রকল্প ব্যবস্থাপক যেমন যোগাযোগের ক্ষেত্রে সুবিধা পান সেই সুবিধা ক্ষেত্রবিশেষে তাদেরও দিতে হবে।

 

সংস্কৃতিগত ও আইনগত ব্যবধান

বর্তমান সময়ের বৈশ্বিক বাণিজ্যের জগতে অনেক সংস্থাই এমন প্রকল্প নিয়ে কাজ করে যেগুলোতে বিভিন্ন ভৌগলিক অবস্থান সাপেক্ষে কাজ করতে হয়। এতে অনেক সময় সংস্কৃতিগত ও আইনগত বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও কাজ করতে হয় প্রকল্পের সাফল্যের জন্য।

সম্ভাব্য সমাধান

  • প্রাথমিক পর্যায়ে অনুধাবন করতে হবে কোনও আইনগত বা নিয়মতান্ত্রিক সমস্যা সাম্প্রতিক সময়ে বা নিকট ভবিষ্যতে উদ্ভূত হতে পারে কিনা। এধরণের সমস্যাগুলো সহজেই অপ্রয়োজনীয় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক দক্ষতাসম্পন্ন আইনগত পরামর্শকের সংশ্লিষ্টতায় এধরণের সমস্যা এড়াতে প্রস্তুত থাকতে হবে যেন অনাকাঙ্খিত আর্থিক জটিলতা এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়।
  • প্রকল্প শুরু করার প্রাক্কালে সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত বাঁধা দূর করতে গবেষণা করতে হবে যেন প্রকল্পের সময়সীমার মধ্যে কোনও সমস্যা না হয়। এটি এমন একটি বিষয় যেটিকে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয় কিন্তু শুধুমাত্র একারণেই প্রকল্প অনেকসময় ভুল বোঝাবোঝির কারণে এমনকি ভেস্তে যেতেও পারে।

 

যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা

‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ এই পদ্ধতিতে কাজ করার সময় সদস্যরা মুখোমুখি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারে না। মুখের প্রকাশ ভঙ্গি, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও অন্যান্য প্রকাশভঙ্গি অনুপস্থিত থাকায় যোগাযোগের স্বতঃস্ফূর্ততা কমে যায় স্বাভাবিকভাবেই। ‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় তাই সময়মত ও সার্থকভাবে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটে।

সম্ভাব্য সমাধান

  • প্রকল্প ব্যাবস্থপককে সদস্যদের আস্থা অর্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে যেন সদস্যরা নিজেদের একাত্মতার সাথে দেখতে পায়, নিজেদের মধ্যেকার সমন্বয়কে অনুভব করে। এক্ষেত্রে এমন আরও কিছু ‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা টিমের পরামর্শ নেয়া অর্থাৎ অন্তত কথা বলে দেখা যেতে পারে যারা পূর্বে এভাবে কাজ করে সফল হয়েছে। নিখুঁতভাবে সমন্বিত টিম গঠনের স্বার্থে সদস্যদের আরও ভাল করে চেনার চেষ্টাও করা উচিৎ।
  • যখনই সম্ভব প্রারম্ভিক সূচনার আয়োজন ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাপ্তাহিক ও দ্বি-সাপ্তাহিক মীটিঙের আয়োজন করা যেখানে সদস্যরা নিজেদের দেখতে পারে যেন এর মাধ্যমে তারা আরও নিজেদের আরও সমন্বিত অনুভব করতে পারে।
  • সময়ের সাপেক্ষে বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার করতে হতে পারে, তথ্যের প্রকার, সময় ভিত্তিক প্রকরণ, তথ্যের স্পর্শকাতরতা এমনকি শ্রোতার প্রকারের উপর ভিত্তি করে।
  • দলগত পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা যা দলগত নৈপুণ্যের জন্য উৎসাহিত করবে, শুধু ব্যাক্তিগত সাফল্যের মানদণ্ড হবে না।

 

প্রযুক্তি, তথ্য সরবরাহ ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত

শিডিউল ও বাজেট অনুযায়ী প্রকল্প সম্পন্ন হওয়াটা সদস্যদের সঠিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি প্রাপ্তির উপরও নির্ভর করে। এটি বিশেষ করে ‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনার জন্য প্রযোজ্য। সময়মত কোনও সদস্য কোনও তথ্য না পেলে তা প্রকল্পের অগ্রযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যহত করতে পারে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও ক্রুটি থাকলে তা প্রকল্পের তথ্যাবলি ও গ্রাহকের স্বার্থকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। এগুলো এমন কিছু বিষয় যাকে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়।

সম্ভাব্য সমাধান

  • প্রকল্প সম্পাদনার পূর্বে উপযুক্ত প্রকল্প ব্যাবস্থাপক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি সমন্বয় করে সকল সদস্যদের জন্য প্রবেশাধিকার সমন্বয়, নিরাপত্তা বলয় গুলো পরীক্ষা করে গ্রহণ করা ইত্যাদি,
  • কোম্পানির সকল তথ্য, রিসোর্স, প্রযুক্তি ও মোবাইল যন্ত্রাংশাদি নিরাপত্তা প্রটোকলের আওতায় আনা।

‘রিমোট’ প্রকল্প ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাজ করার ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় ভার্চুয়াল প্রকল্প টিমের সাফল্যের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে, যার মধ্যে আছে কারখানা, প্রকল্পের ধরণ, জটিলতার মাত্রা, অবকাঠামো, যোগাযোগ, প্রযুক্তি, টিমের গতিশীলতা ইত্যাদি।

সংস্থার উদ্দেশ্য ও রিসোর্সের দিকে গভীরভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। সাফল্য নির্ভর করবে প্রারম্ভিক পর্যায়ে কতটা নিখুঁতভাবে আর উপযুক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে তথ্য, রিসোর্স আর অন্যান্য সবকিছু ব্যবহার করা হয়েছে সব ক্রুটি বিচ্যুতি এড়িয়ে। এক্ষেত্রে কিছু বিশেষায়িত টিম ট্রেনিং জাতীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা যেতে পারে শিডিউল ব্যবস্থাপনা, সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ও পদ্ধতি ব্যবহার, যোগাযোগ প্রক্রিয়া ও প্রটোকল ব্যবহারের ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য।

বিনিয়োগের ভিত্তি . Investment Basics

বেশিরভাগ মানুষ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভুল করে থাকে। আর ব্যাংকও সেটা জানে। মিউচুয়াল ফান্ডের বিক্রয় কর্মীরা এর উপরেই নির্ভর করে আছে। ইনস্যুরেন্সের ফেরিওয়ালারাও। আর সেইসাথে ঝুঁকির কারবার যাদের,জানে তারাও। দুটি কমন ভুলের যেকোনো একটি আমরা করেই থাকি, লোভী হয়ে অতিরিক্ত ঝুঁকি নিই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, অথবা ভয় পেয়ে স্থবির জিআইসি গুলোতে টাকা আটকে রাখি। দুইভাবেই, আমাদের ক্ষতিই হয়।

বেশিরভাগ মানুষ এ নিয়ে বেশি চিন্তাভাবনা করে না, তাঁরা রিয়েল এস্টেট কিনে রাখে। একই রাস্তার একধারে তাদের অর্জিত সম্পত্তির প্রায় সবটুকু রাখা থাকে যার উপর থাকেনা তেমন কোনও নিয়ন্ত্রণ। যেমনটি টরেন্টোর বিচ এরিয়ার একটি সেমির ৭০ বছর বয়সী দম্পতির বেলায় দেখুন, মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি পড়ে আছে কিন্তু ততক্ষন তাঁদের কোনও লাভ হচ্ছে না যতক্ষণ অর্ধেক অংশের সম্পত্তি গ্যারেজ আর পোকামাকড় ভরা লনসহ আর কারো কাছে বেঁচে না দেয়া হচ্ছে।

আমরা মনে হয় রিয়েল এস্টেট নিয়ে বেশি ভাবছি। যাই হোক, টাকা বাড়ানো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা যাক। এটা নিয়ে আমি বিস্তারিত কাজ করব পরবর্তী সময়ে, এখনকার মত দশটা নিয়মের কথা উল্লেখ করে শুরু করছি আলোচনা।

বিনিয়োগ করুন, কিন্তু তা যেন জুয়ায় পরিণত না হয়ঃ মোটামুটিভাবে এরমানে দাঁড়ায় এমন, মোটা টাকা না থাকলে(ধরুন, ৭ অঙ্কের!?)ব্যাক্তিগত স্টক কিনবেন না। স্টক মার্কেট অস্থির একটা জায়গা,অস্থিতিশীল। কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের মিথ্যে বলে, যদিও কাগজে কলমে দাবি করা হয় যে তারা তা বলে না। একদিনে দাম এমন উঠানামা করতে পারে যা এক বছরের ডিভিডেন্ডের হিসাবকে প্রভাবিত করতে পারে। অপ্রচলিত,আকস্মিক ক্ষেত্রগুলো যেমন, এনার্জি সেক্টর,বিনিয়োগকারীদের জন্য মরণ ফাঁদ হতে পারে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা প্রফেশনাল ব্যবসাদার ও উঁচু ফ্রিকোয়েন্সির কম্পিউটারে করা লেনদেনের সাথে পেড়ে উঠবেন না। জুয়ো খেলতে চাইলে লটারির টিকিট কিনুন না হয় ৪০১ এর দ্বারস্থ হওন।

বৈচিত্র্য আনুনঃ স্টক মার্কেটে আত্মপ্রকাশ করাই যেতে পারে, কিন্তু তা হতে হবে প্রচুর ইকুইটির মাধ্যমে। ইটিএফ অর্থাৎ এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডস এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী। এগুলো মিউচুয়াল ফান্ডের মতই কিন্তু এগুলোর ক্ষেত্রে বিশাল ম্যানেজমেন্ট ফি নেই।এরাও মার্কেটে ট্রেড চালু রাখে, অর্থাৎ তারল্য আছে, কিন্তু তারপরও ডিভিডেন্ডের উপরই নির্ভর করে। আপনি একটি মাত্র ইটিএফ দিয়ে ইউএসএ বা কানাডার সব স্বনামধন্য কোম্পানির স্টক কিনতে পারবেন।

স্বদেশপ্রেমী হওয়ার দরকার নাইঃ ঝুঁকি এড়াতে আর নির্দিষ্ট আয় নিশ্চিত করতে বৈচিত্র্য আনার আরেকটা অর্থ হল খুব বেশি ম্যাপল এসেটের মালিক না হওয়া। কানাডা বিশ্বের ফিনান্সিয়াল মার্কেটের চার শতাংশের ধারক, যেখানে ৭০ শতাংশ বিনিয়োগকারীর সম্পদ কেবলই কানাডীয় সম্পত্তি। মোটেই উচিৎ নয় এমনটি হওয়া। টরেন্টো মার্কেট ৫ শতাংশ বেশি যাচ্ছে যেখানে S&P 500 ২০ শতাংশ, ইউরোপ ১৪ শতাংশ আর জাপানের স্টক মার্কেটে ৪৪ শতাংশ বেশি হয়েছে স্টকের মূল্য। যে কারণে কানাডীয় স্টকের অবস্থা এখন খুব একটা সুবিধাজনক চেহারায় নেই।

ভারসাম্য ঠিক রাখুনঃ সফলতার জন্য বিনিয়োগের মূলমন্ত্র হল বিভিন্ন খাতে সম্পদ বিন্যাস্ত রাখা,আর সেটি সামঞ্জস্য ও ভারসাম্য রেখেই। সবার জন্য সব সূত্র খাটে না তবে মোটামুটি ভাবে ৪০ শতাংশ ফিক্সড ইনকাম আর ৬০ শতাংশ গ্রোথ- এই অনুপাতটি মার্কেট আর দুর্যোগে পরীক্ষিত উপাত্ত। এই পোর্টফলিও অনুসরণ করে গড়ে ৭ শতাংশ রিটার্ন এসেছে এমনকি ২০০৮ ০৯ সালের দুঃসময়েও। এক্ষেত্রে কর্পোরেট, সরকারী, রিয়েল রিটার্ন বন্ড এগুলো সেফ স্টাফের সাথে সম্পর্কিত যেখানে গ্রোথ সাইড কানাডার ও ইউএসএর ও আন্তর্জাতিক সম্পত্তির আরএটিএস, ইটিএফ ইত্যাদি ও কম্পিটিশন ইটিএফ, ট্যাকটিকাল ফান্ড ইত্যাদি অন্যান্য সম্পত্তির সাথে সম্পর্কিত।

শুধু ভারসাম্য নয়, ভারসাম্যের পুনর্বিন্যাস জরুরীঃ নতুন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই জিনিসটা কম দেখা যায়।যেহেতু সকল সম্পত্তির মূল্যমান প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই ব্যাল্যান্সড পোর্টফলিওতে দ্রুত বড় ধরনের গড়মিল হচ্ছে। এই বছর আমেরিকান স্টকের বাজার ভাল যাচ্ছে তাই ১৭ শতাংশের ধার্যকৃত পোর্টফলিওকে ২১ শতাংশে পুনরায় ধার্য করা হল।অর্থাৎ ভারসাম্যের পুনর্বিন্যাসহল। লভ্যাংশ সঞ্চয় করে অনগ্রসর সম্পত্তির খাতে পুনঃব্যবহার করা উচিৎ। হয়ত এটাকে প্রাথমিক দৃষ্টিতে সংশয়ের সাথে দেখা হতে পারে, কিন্তু এটি বেশিরভাগ সময়ই ফলপ্রসূ হয়ে থাকে।

দামের পেছনে ছুটবেন নাঃ. আমরা হুজুগে মেতে ঝোঁকের মাথায় সিদ্ধান্ত নিই, লোকের দেখাদেখি। কোনও শেয়ারের আকাশছোঁয়া দাম দেখে সেটির উপরই বিনিয়োগ করে ফেলি, আর আমাদের পোর্টফলিওর যে অংশটা সবল অর্থাৎ লাভবান, সেটির উপরেই বিনিয়োগ করি দুর্বল অংশটাকে উপেক্ষা করে। এটি খুব বড় ধরনের ভুল। সামনের পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে, আর আমরা পুরোপুরি বেকায়দায় পড়ে যেতে পারি এই প্রবণতার জন্য।

খুব কম দামে বেচবেন নাঃ এটা এমন সহজ একটি বিষয়, অনেকে ভাববেন এটি নিয়ে কেন আমি কথা বলছি, এতো জানাই আছে যে কম দামে জিনিস বেচা উচিৎ নয়! কিন্তু অহেতুক শঙ্কার প্রভাবে বহু লোকের জন্য এই জিনিসটা মেনে চলা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। যেমন ধরা যাক কেউ ৫.২ শতাংশ ডিভিডেন্ডে কোনও স্বনামধন্য ব্যাঙ্কের শেয়ার কিনল। কিন্তু সহসা দাম কমতে শুরু করার প্রবণতায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। অর্থাৎ বাস্তব আশঙ্কার প্রেক্ষিতে তারা অহেতুক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ল। যদিও পরে মূল্য আবারো বাড়া শুরু হয়েছে।তারা শেয়ারগুলো রাখলে ৫.২ হারে ডিভিডেন্ড এবং ডিভিডেন্ড ট্যাক্স ক্রেডিট পেত। বিক্রিই শেষ কথা নয়। ২০০৯ সালে এমনটি হয়েছিল। তখন বেচে দেয়ার ঢল নেমেছিল মানুষের মধ্যে।

তারল্য থাকতে হবেঃ সব সম্পত্তি রিয়েল এস্টেটে আটকে রাখবেন না। পাঁচবছর মেয়াদি ননরিডিমেবল জিআইসি কিনবেন না। ব্যাঙ্কের তৈরি বা কাঠামো তৈরি করা কোনও পণ্যের ফাঁদে পরবেন না যা আপনাকে বছরের পর বছর আটকে রাখবে। বিভিন্ন রেট হয় এমন সেলস চার্জ সম্পন্ন মিউচুয়ালের খপ্পরে আটকে থাকবেন না, যা আপনার টাকাকে স্থবির করে ফেলে রাখবে।

টিএফএসএ এর মাধ্যমে শুরু করুনঃ টিএফএসের টাকা সেভিং একাউন্ট, জিআইসি বা বন্ড হিসেবে আটকে রাখবেন না। আপনার পোর্টফলিওর অধিক অস্থিতিশীল ও দ্রুত বর্ধনশীল অংশ এটিই। বন্ড আরআরএসপিতে রূপান্তরের সুযোগ থাকে,যেখানে ডিভিডেন্ডে রূপান্তরযোগ্য অংশ অনিবন্ধিত একাউন্টের অধীনে থাকতে পারে।

ফিএর দিকে লক্ষ্য রাখুনঃ এটি আপনাকে শেষ করে দিতে পারে। সবচেয়ে খারাপ হল মিউচুয়াল ফান্ডের উপর ধার্যকৃত এমইআর বিশেষ করে ইকুইটি ফান্ডের ক্ষেত্রে। তাই ইটিএফ ব্যবহার করে এসব ক্রয় থেকে সাবধান থাকুন। যদি আপনার উপদ্রেস্টা থেকে থাকে(১ লক্ষ ডলারের বেশি বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে থাকা উচিৎ)তাহলে এমন ব্যাক্তির খপ্পরে পরবেন না যে কমিশন নিচ্ছে আপনার কাছ থেকে কিন্তু মুখে বলছে তার সার্ভিস ফ্রিতে দিচ্ছে। এমনটা হয় না। আফটার ট্যাক্স রিটার্নের পর সেটা টের পাবেন। বরং একজনকে ১ শতাংশ বা আরও কম খরচে নিয়োগ করুন যা ট্যাক্স থেকেই কাটা হবে।

আর শেষ কথা, ঈশ্বরের দোহাই, কোনও ব্লগ থেকে উপদেশ নেবেন না।

প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি বনাম অনিশ্চয়তা | Risk and Uncertainty in Project Management

প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় একটি কমন বিষয় প্রায়ই হয়ে থাকে, এখানে ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তাকে মিলিয়ে ফেলা হয়। এদের সংজ্ঞাগত কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে যা অনেক সময় পেশাদারদেরও দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। আজ আমরা ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তার মধ্যে মৌলিক কিছু ব্যবধান নিয়ে আলোচনা করব।

ঝুঁকি

পিএমআই প্রদত্ত সূত্র অনুসারে ঝুঁকি হল একটি অনিশ্চিত ঘটনা বা অবস্থা যা ঘটলে প্রকল্পের উদ্দেশ্যের উপর অন্তত কোনও একটি ভাবে হলেও প্রভাব রাখতে পারে।ঝুঁকির প্রভাব ভাল বা মন্দ যেকোনো রকমেরই হতে পারে, আর এটি অনুমিত একটি বিষয়।

অনিশ্চয়তা

অনিশ্চয়তা হল নিশ্চয়তার অনুপস্থিতি। অনিশ্চয়তার ক্ষেত্রে কোনও ঘটনার ফলাফল একেবারেই অজানা, অননুমেয়।

এখনো বিষয়টি পরিষ্কার না হলে আমি বিষয়টি বুঝিয়ে দিচ্ছি

ঝুঁকি: ধরা যাক, কোনও দুটি স্বনামধন্য ফুটবল দল যাদের কিনা নির্ভরযোগ্য ও খ্যাতিসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে, তারা আগামী কোনও একটি দিন মুখোমুখি হবে। কে জিতবে, তা নিশ্চিত করে কি আপনি বলতে পারবেন? না। আপনি যা পারবেন তা হল দলগত ও ব্যাক্তিগত পারফর্মেন্স বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য একটি ফলাফল আশা করতে, যেখানে আপনি শতাংশের বিচারে সেই সম্ভবনাকে প্রকাশ করবেন। ( ঝুঁকি )

এখন, সেই একই ফুটবল ম্যাচকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে বিশ্লেষণ করা যাক,

অনিশ্চয়তা: ধরা যাক, দুটি টিমই খেলবে, কিন্তু কোনও টিমের জন্যই কোনও খেলোয়াড় নির্ধারণ করা হল না বা নাম নিশ্চিত করা হল না, কেউ কোনও ধারনাও পেল না কোন টিম কেমন শক্তিশালী হবে বা দুর্বল হবে। এমন অবস্থায় আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় কে জিতবে, তাহলে কোনও উত্তর দেয়া কি সম্ভব হবে আপনার জন্য? একেই বলে অনিশ্চয়তা।

এখন আমি নিশ্চয়ই ধরে নিতে পারি ঝুঁকি আর অনিশ্চয়তার মধ্যে ব্যবধান আপনার কাছে স্পষ্ট হয়েছে!

ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ১৫ (কীভাবে পড়া উচিত?) । BCS Written Exam Guide – 15 (How to Study)

কীভাবে পড়া উচিত?

আমি শুরুতেই বলেছি লিখাটা হচ্ছে যাদের হাতে সময় কম, প্রিপারেশন এতোদিন খুব ভাল নিতে পারেন নি তাদের জন্য ।

#আমি শুরুতেই পরামর্শ দিব, আগে বিগত বছরের প্রশ্ন গুলো দেখুন, সেগুলো না পারলে/ না জানা থাকলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই । আমি সাজেস্ট করব, প্রথমে যে বই টির কথা বলেছি, সেটার বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ, গণিত, দুই ভাষার সাহিত্য এগুলো অবশ্যই পড়ে শিখে ফেলুন । যেগুলো কঠিন মনে হচ্ছে সেগুলো আপাতত অন্য কোন কালির কলম বা মার্কার দিয়ে মার্ক করে রাখুন । আন্তর্জাতিক কিংবা বাংলাদেশের জেলা/ থানা র সংখ্যা টাইপ খুব পুরাতন প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে পারেন, মানে যেগুলো আপনি জানেন ২৮ তম বিসিএস এর সময় যেই সংখ্যা ছিল, এখন পরিবর্তন হয়েছে সেগুলো আর কি ।

#আপনি যদি মিনিমাম ১০-১২ টি বিগত বিসিএস প্রিলির প্রশ্নও সল্ভ পড়ে ফেলেন, আপনার মধ্যে প্রিলির বিষয়ে খুব ভাল ধারণা চলে এসছে যে কী ধরণের প্রশ্ন হতে পারে । এখন আপনার একটু ডিটেইল পড়ার সময় । যদি না আপনি বাংলা সাহিত্য/ ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছাত্রী হয়ে থাকেন, তবে আপনার জন্য বাংলা-ইংরেজি সাহিত্য জিনিস টা একটু কঠিন হবেই । অনেকের কাছে এগুলোর চেয়ে আন্তর্জাতিক বা বাংলাদেশ বিষয়াবলি কঠিন লাগে । আপনি যেহেতু বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখেছেন ই, আপনি নিজেকে  বিচার করুন, কোন টি তে আপনার দুর্বলতা বেশি, সেটির উপরে জোর দিন ।

#আমার একটা কমন অবজারভেশনঃ যারা ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা তারা সাধারণত সাহিত্যিক/কাল/বইপত্র এসবের নামে দুর্বল হয় । মেডিকেলে ৫ বছর পরে মানুষজন গণিত এর সাধারণ নিয়ম গুলো ভুলে যান, সাথে বাংলা ব্যকরণ তো আছেই ।আর্টস কিংবা কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে যারা প্রথম বারের জন্য এটেম্পট নিচ্ছেন অনেকের গণিত আর ইংরেজি ভীতি থাকে । তবে সবার কমন এক জায়গাতে প্রব্লেম হয় কম বেশি তা হল বাংলাদেশ বিষয়াবলি আর আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি/ সাম্প্রতিক ঘটনাবলি । এর জন্য খুব ভাল ভাবে কারেন্ট এফেয়ার্সের সবগুলো সংখ্যা (যা উল্লেখ করলাম) আর কারেন্ট এফেয়ার্সের বিশেষ সংখ্যাটা পড়ুন ।

# কারেন্ট এফেয়ার্সের বিগত মাসের সংখ্যাগুলো কেন সংগ্রহ করতে বলেছি তার কারণ হল সেখানে পিএসসি/ ব্যাংক সমূহ কিংবা অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের যে পরীক্ষাগুলো হয় সেগুলোর প্রশ্নও দেয়া থাকে । অনেক বছর এমন দেখা যায় যে সেসব প্রশ্ন থেকেও কিছু প্রশ্ন চলে আসে ।

# পরীক্ষার মাস খানেক সময় কাল থেকে খবরের কাগজ টা পড়ুন, এখন তো এণ্ড্রয়েড এপসের মাধ্যমে বাসায় পত্রিকা না রেখেও পড়া যায়, বিশেষ দরকারি তথ্যগুলো মোবাইলেই পারলে নোট করে রাখুন । সেটাও কষ্ট লাগলে স্ক্রিন শট দিয়ে রাখুন ( যারা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করছেন)।

স্মার্ট ফোন ব্যবহার না করলেও সমস্যা নেই, দেখা যায় যারা পত্রিকার পাতা ঘেটে পড়েন কিংবা কোন জরুরি তথ্য দাগিয়ে রাখেন, কেটে সংগ্রহ করেন কিংবা ডায়েরি/খাতায় লিখে রাখেন তাদের সে জিনিস আরও বেশি মনে থাকে ।

# একটানা কোন বিষয় পড়তে যাবেন না, বোরিং ফিল করবেন।যেমন আপনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস কম পারেন, এইটা নিয়ে এখন দিনের পর দিন পরে থাকলে দেখবেন পড়া আগাচ্ছে না। তো কি করা যাবে ? এটার ফাঁকে ফাঁকে সহজ লাগে কিংবা মজা লাগে এমন কিছু একটা পড়বেন । মনে থাকে না কিংবা বার বার পড়েও ভুলে যাচ্ছেন এমন হলে সেটা একটা কাগজে লিখে রাখুন । বাসায় পত্রিকা পড়লে যেখান থেকে কোন একটা গুরুত্বপূর্ণ ইনফো পেলেন সেটা আরেকটা জায়গায় লিখুন, দরকারে দেখে দেখেই লিখুন, সমস্যা নাই ।

#গণিত ভীতি যাদের তাদের জন্য রেগুলার এক আধটু প্র্যাক্টিস করাটা জরুরি, অংক হাতে না করে শুধু দেখে গেলে অনেকেই ভুল করেন কিংবা পরীক্ষার হলে কনফিউজড থাকেন । ইঞ্জিনিয়ারিং/ম্যাথ/ফিজিক্স/স্ট্যাটিস্টিক্স ব্যাকগ্রাউন্ড এর যারা কিংবা যারা MBA করছেন এদের জন্য এই সাব্জেক্ট খুব চ্যালেঞ্জিং না। ২ নম্বরে যে বইটার কথা বললাম ওখানের ম্যাথ সেকশনে এবং প্রফেসর্সের স্পেশাল বইতার ম্যাথ সেকশনেও দেখবেন পাটি গণিত আর জ্যামিতি/ত্রিকোণমিতি নিয়ে শর্টকাটে সূত্র কিংবা টেকনিক দেয়া আছে । সেগুলো এপ্লাই করে কিছু অংক করুন। কেবল সূত্র মুখস্ত রেখে হলে গেলে তালগোল পাকিয়ে ফেলার সম্ভাবনাই বেশি থাকবে ।

# মানসিক দক্ষতা নিয়ে বাজারে বেশ কিছু বই এখন পাওয়া যায় তবে আমার কাছে এজন্য আহামরি কিছুই দরকার বলে মনে হয় নি, আগের বছরের প্রশ্ন গুলো সমাধান করলে আর এ বইগুলোর কথা বললাম ওগুলোর সংশ্লিষ্ট সেকশনে প্র্যাক্টিস করলে আপনি পারবেন ।

# সাধারণ বিজ্ঞানে অনেকে মনে করেন অনেক সোজা, পরে পচা শামুকের পা কাটে অনেকের… এজন্য শর্ট ডাইজেস্ট টা আর প্রফেসর্সের বই টা পড়ুন ভাল মত । আর কারেন্ট এফেয়ার্স ও … বিভিন্ন প্রযুক্তির শর্ত কাট নাম জানেন কিন্তু ফুল মিনিং জানেন না, সেগুলোও জেনে নিন, বানান সহ কিন্তু ।

সবশেষে আবারও বলব, ৩০-৪০ দিন প্রস্তুতির জন্য অনেক সময় । শুধুমাত্র আপনি মুখস্ত করে প্রিলি পাস করে আসবেন এটা সবার জন্য হয় না । বুদ্ধি খাটান, মনে রাখবেন বিসিএস প্রিলি তে আপনি ভুল দাগালে কিন্তু মার্ক্স কাঁটা , সুতরাং ক্যালকুলেটেড রিস্ক নিতে হবে । আর আরেকটা কথা সবাইই জানেন, এই মার্ক্স আপনার মূল মার্ক্সের সাথে যোগ হবে না , সুতরাং এখানে উতরে যাবার জন্য আপনাকে দুনিয়ার সব কিছুই পারতে/ জানতে হবে না । অনেক এমসিকিউ প্রশ্ন আপনি না জেনেও পরসেস অফ ইলিমিনেশন (কোন টি উত্তর হবে না সেটা বাছাই করে করেও কিছু মার্ক্স পেতে পারেন )।