সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হল বিজয় দিবস Victory day celebrated at Sylhet agricultural university

মহান বিজয় দিবস আমাদের অস্তিত্বের নিদর্শন, আর জাতীয় জীবনেও এই দিবস রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। আর তাই ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে বিজয় দিবস বাঙালি জাতির সত্ত্বাকে আলোড়িত করে বিজয় আনন্দের আবর্তে। সেই অনুভূতি নিয়েই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হয়ে গেল মহান বিজয় দিবস ২০১৫।

১৬ ডিসেম্বর সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদযাপনের সূচনা হয়। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডঃ মোঃ গোলাম শাহি আলম , বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে সকাল সাড়ে ৮ টায় শুরু হয় বিজয় শোভাযাত্রা। এই বিজয় শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে নির্মাণাধীন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষ হওয়ার পর শহীদদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডঃ মোঃ গোলাম শাহি আলম, রেজিস্টার মোঃ বদরুল ইসলাম, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, ডিন কাউন্সিল, প্রভোস্ট কাউন্সিল, প্রোক্টর কার্যালয়,বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ, শিক্ষক সমিতি,গনতান্ত্রিক শিক্ষক সমিতি,ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও হল শাখা, সকল অনুষদীয় ছাত্র সমিতি, কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সঙ্ঘ, বিনোদন সঙ্ঘ, সাংবাদিক সমিতি, সাদা দল, প্রাধিকার, একুশ, আঞ্চলিক সমিতি, অফিসার্স পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ, বিভিন্ন আবাসিক হল ও অন্যান্য সংস্থার পক্ষ থেকে এই শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিজয় শোভাযাত্রা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডঃমৃত্যুঞ্জয় কুণ্ডু। মহান বিজয় দিবস ও এর তাৎপর্য, স্মৃতিচারণ ও অন্যান্য দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন বক্তারা।

আয়োজনের পরবর্তী অংশে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিনোদন সঙ্ঘ ও কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সঙ্ঘের পরিবেশনা,প্রীতি ভলিবল, শিশুকিশোরদের দৌড় প্রতিযোগিতা, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে পিলো পাসিং প্রতিযোগিতা ইত্যাদিও অনুষ্ঠিত হয়।

বিজয় দিবস আমাদের অহংকার। আমাদের অস্তিত্ব ও সত্ত্বার সাথে মিশে আছে এই বিজয় গাঁথা। আর সেই বিজয় দিবসে নতুন প্রজন্মের উদ্যম ও আনন্দমুখর উৎযাপন আরও প্রাঞ্জল হয়ে রবে, এই প্রত্যাশা সকলের।

Campuslive24 ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

ঢাকায় তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিপিও কনফারেন্স। BPO conference held in Dhaka

তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের সাথেসাথে মুক্ত পেশাজীবী বা ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যাও বাড়ছে। দেশের শিক্ষিত বেকার যুবক শ্রেণী এমনকি পড়াশোনার পাশাপাশিও অনেক শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে যুক্ত থেকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনের পথ সুগম করে কাজ করছেন। সেই প্রবণতাকে আরও এগিয়ে নিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিজনেস প্রসেসিং আউটসোর্সিং বা বিপিও সম্মেলন ২০১৫। গত ৯ ও ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এই সম্মেলনের আয়োজনে ছিল সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ(আইসিটি) ও ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং’ এর উদ্যোগে আয়োজিত হয়ে যাওয়া এই সম্মেলনের শেষ দিনে মোট সাতটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১০ তারিখে) অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ টু ড্রাইভ বিপিও ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক সেমিনার। সেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং’এর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ বর্তমানে দেশের বিপিও খাতে ২৫ হাজার লোক কাজ করছে। তরুণরা এগিয়ে এলে ২০২১ সালের মধ্যে এই খাতে দুই লক্ষ লোক কাজ করতে পারবে’।

এছাড়াও বৃহস্পতিবার ছিল ‘গ্লোবাল বিপিও ইন্ডাস্ট্রি বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক সেমিনার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি সহ সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে’। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির, অগমেডিক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্রী দয়া সিং, এক্সচেঞ্জার জাপানের সাবেক চেয়ারম্যান ক্লাইডি উনোসহ আরও অনেকে। মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সারা বিশ্বে বিপিও একটি বড় খাত। এখানে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে’।

উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে তার জনগনের কর্মদক্ষতা ও সচেতনতার উপর। ফ্রিল্যান্সিং তরুণ প্রজন্মের সামনে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ, সেইসাথে অর্থনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। আর তাই এই ধরনের সম্মেলন তরুণ প্রজন্মের আগ্রহের শীর্ষে থাকে, হয়ে উঠে অনুপ্রেরণার উৎস। ভবিষ্যতেও এই ধরণের সম্মেলন দেশের তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের অনুপ্রাণিত করবে, এটিই প্রত্যাশা সবার।

 

তথ্যসূত্র : (প্রথম আলো, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাতা পৃষ্ঠা ১৪, বিপিও খাত) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।

দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী। Anti corruption cartoon and photography contest held in Dhaka.

উন্নয়নশীল দেশের অনেক সমস্যার অন্যতম হল দুর্নীতি, আর এই দুর্নীতিকে রুখতে বিশ্বজুড়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০১৫। ৯ ডিসেম্বর উদযাপিত হয়ে যাওয়া এই দিবস উপলক্ষে ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতা ২০১৫’ ও ‘দুর্নীতি বিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী ২০১৫’। এছাড়াও ‘জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন’ নিয়ে বিশেষ কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শিল্পের সাথে সত্যের সম্পর্ক নিবিড়’, শিল্পকে একই সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠও হতে হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হ্যান ফুগল এসকেয়ার ও সুইডিশ ডেভলাপমেন্ট কো অপারেশন এজেন্সির কারিন ম্যাকডোনাল্ট, শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য, কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব, আলোকচিত্রী আবীর আব্দুল্লাহ সহ আরও অনেকে।

কার্টুন বিভাগ থেকে ১৯ জনকে বিশেষ মনোনয়ন দেয়া হয়। এর মধ্যে ‘জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন’ বিষয়ক কার্টুন প্রতিযোগিতাটি প্রথমবারের মত আয়োজিত হল। এতে ৬ জনকে বিশেষ মনোনয়ন দেয়া হয়। এ প্রতিযোগিতায় জমা পড়েছিল ৭৯টি কার্টুন।

আলোকচিত্র বিভাগ থেকে ১৬ জন আলোকচিত্রীকে বিশেষ মনোনয়ন দেয়া হয়। এ প্রতিযোগিতায় মোট ১০৯টি আলোকচিত্র জমা পড়েছিল।

 

তথ্যসূত্র : (প্রথম আলোর ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্টুন আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

ফ্রিল্যান্সারস মিট ২০১৫। freelancer’s meet 2015

গত ৮ ডিসেম্বর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ফ্রিল্যান্সার’স মিট ২০১৫।

কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য স্বল্পমূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা দিতে বিশেষ কার্ড দেয়া হবে। এতে অল্প খরচে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা পাবে ফ্রিল্যান্সাররা। এবিষয়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারদের সাথে চুক্তি করা হচ্ছে। এছাড়াও নারী ফ্রিল্যান্সারদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণের উপর জোর দেন তিনি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকারের ‘আর্ন এন্ড পে’ নামের নতুন কর্মসূচীর মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেস এলায়েন্স(উইটসা) প্রেসিডেন্ট সান্তিয়াগো গোতিয়ারেজ, ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান সবুর খান প্রমুখ। ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্যে ফ্রিল্যান্সারদের বিপুল সংখ্যক ভেঞ্জার ক্যাপিটাল গড়ে তুলার ক্ষেত্রে আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানটিতে প্রচুর সংখ্যক তরুণ ও উদীয়মান ফ্রিল্যান্সার অংশগ্রহণ করেন। এই অনুষ্ঠানে ৭৭ জন ফ্রিল্যান্সারকে বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার দেয়া হয়।

ফ্রিল্যান্সিং নতুন প্রজন্মের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আর সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সেই অগ্রযাত্রায় যোগ হবে নতুন মাত্রা। বেকারত্ব দূরীকরণ আর পরনির্ভরতাকে দূরে ঠেলে আমাদের নতুন প্রজন্ম ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে এগিয়ে যাবে, এই প্রত্যাশা সকলের।

 

তথ্যসূত্র : (স্বল্পমূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট পাবেন ফ্রিল্যান্সাররাঃ পলক, প্রযুক্তি প্রতিদিন, সমকাল, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কুইজ ফেস্ট ২০১৫ । Quiz fest 2015 held in dhaka university.

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইজ সোসাইটির উদ্যোগে ২৬ থেকে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কুইজ ফেস্ট ২০১৫।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ডঃ শহীদ আখতার হোসেন এবং জিয়া হলের প্রভোস্ট ও ক্রিমিনলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ জিয়া রহমান অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন। ৩৮টি দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার শেষ দিনে টিএসসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয় পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ। রানারআপ হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃ আআ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডঃ তপন দে রোজারিও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইজ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা সুমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স সহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইজ সোসাইটির সভাপতি মোঃরেজাউল। অনুষ্ঠানটির টাইটেল স্পন্সর ছিল প্রাণ মিঃম্যাঙ্গো, প্লাটিনাম স্পন্সর ছিল তমা গ্রুপ, আর আদর্শ প্রকাশনী ছিল এর বুক পার্টনার।

সৃজনশীলতা ও মেধা বিকাশের জন্য কুইজ ফেস্ট রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আর সৃজনশীল ও বিশ্লেষণী দক্ষতা বৃদ্ধির এমন অসাধারণ আয়োজন নিয়মিতভাবেই আয়োজিত হবে,এই প্রত্যাশা সকলের।

 

তথ্যসূত্র : (daily star ‘shout’,DUQS organises Quiz fest, 3december 2015) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।

আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহন করল বাংলাদেশ । Bangladesh participated at International Junior Science Olympiad

বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে করেছে সমৃদ্ধ, আর জীবনযাপনের পথে বিজ্ঞান উদ্ভাবনী মনন ও সৃজনশীল সত্ত্বার বিকাশ লাভে রেখেছে অপরিসীম ভূমিকা। বিজ্ঞানের প্রতি মমত্ববোধ ও নির্ভরতা গভীর জীবনবোধের সৃষ্টি করে, আর অজানা জগতের অন্ধকারে আলোর দিগন্তের পথ দেখায়।

বিজ্ঞানের আলোময় সেই দিগন্তেরই সন্ধান লাভের সুযোগ পেলেন বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড বিজয়ী ছয় শিক্ষার্থী। আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডে প্রথমবারের মত অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ দল। দক্ষিন কোরিয়ার ডেগু শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই অলিম্পিয়াড। বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয়া দলে ছিলেন ছয় শিক্ষার্থী, তাহমিদ মোসাদ্দেক, ফারদীম মুনির, ফারহান রওনক, রুবাইয়াত ইকোলো, সালসাবিল আশরাফ ও শামসাদ এরাম। তাঁদের দলনেতা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারসিম মান্নান মোহাম্মদী, ব্র্যাকের শিক্ষা গবেষক ফারহানা মান্নান ও এসপিএসবির সহকারী একাডেমিক কোঅরডিনেটর শিবলি বিন সারোয়ার।

মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের উদ্ভাবনী শক্তি ও সৃষ্টিশীলতার সাথে সমন্বিত জীবনধারার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এই আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হল। ২০০৪ থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এই প্রতিযোগিতায় এবারই প্রথম অংশ নিল বাংলাদেশ। আর এধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে অংশ নিতে পারলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের দক্ষতা অর্জন করতে পারবে আরও সহজে, এটিই বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট সকলের।

 

তথ্য সূত্র : কালের কণ্ঠ (আন্তর্জাতিক সায়েন্স অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ,৪ ডিসেম্বর ২০১৫) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল যৌন নিপীড়নবিরোধী উদযাপন (Rally at jahangirnagar university)

সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশে সবার আগে ভুমিকা রাখে ছাত্রসমাজ। আর অন্যায় ও নির্যাতন, অশোভন প্রতিক্রিয়া ও নিপীড়নের প্রতিবাদও সবার আগে করে তারাই। সেই ধারাবাহিকতায়ই গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল যৌন নিপীড়নবিরোধী সচেতনতামূলক মিছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের আয়োজনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হওয়া এই মিছিলের উদ্বোধন করেন ভিসি প্রফেসর ডঃ ফারজানা ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, নারীকে নারী নয় বরং মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। নিজের কারণে যেন অন্য কারো দুর্ভোগ বা ভোগান্তি সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। একে অপরের সম্মান ও আত্মমর্যাদার প্রতি আমাদের অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হয়ে যাওয়া এই মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি প্রফেসর ডঃ আবুল হোসেন, ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ডঃ রাশেদা আখতার ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগন।

বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে সবাইকে, আর সহমর্মিতার ভিত্তিতে সুন্দর সমাজ গড়তে এই সহনশীলতার বিকল্প নেই। তারই আলোকে যৌন নিপীড়নবিরোধী এই সচেতনতামূলক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রীতির এমন দৃষ্টান্ত ভবিষ্যতেও সমুজ্জ্বল থাকবে, এমনটিই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।

রুয়েটে হতে যাচ্ছে গ্রিন ব্রেইন প্রতিযোগিতা (Green brain contest to be held at RUET)

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েটে) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “গ্রিন ব্রেইন প্রতিযোগিতা”। আমেরিকান সেন্টার(ঢাকা) এর আয়োজন সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হবে দুইদিন ব্যাপী এই প্রতিযোগিতা। ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। আইইই রুয়েট স্টুডেন্ট শাখার আয়োজনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ৪টি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগীরা এতে অংশ নিতে পারবেন, প্রকল্প প্রদর্শনী, আইডিয়া কনটেস্ট, পোস্টার ডিজাইন, আর প্রবন্ধ রচনা। প্রতি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের জন্য থাকবে এক লাখ টাকা প্রাইজমানি, সনদপত্র ও ক্রেস্ট। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ও সমাপনি পর্বে রুয়েটের ভিসি প্রফেসর ডঃ মোঃ রফিকুল আলম বেগ, আমেরিকান সেন্টারের সংস্কৃতিবিষয়ক কর্মকর্তা জর্জ মেসথস সহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উইকিপিডিয়ার উপর কর্মশালা (Wikipedia workshop at begum rokeya university)

তথ্যউপাত্তের নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে সারা বিশ্বে সমাদৃত মুক্ত বিশ্বকোষ হল উইকিপিডিয়া। আর এই বিশ্বকোষে বাংলা ভাষার তথ্যভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার উদ্দেশে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল উইকিপিডিয়া কর্মশালা। গত ২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৪এ উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ এর পরিচালনায় এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। এর আয়োজনে ছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উইকিপিডিয়া কমিউনিটি। কর্মশালায় সভাপতি ছিলেন এনামুল হক বিপ্লব। তিনি তাঁর বক্তব্যে উইকিপিডিয়ার সঠিক বক্তব্য তুলে ধরার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গাজী মাজহারুল আনোয়ার।বিশেষ অতিথি ছিলেন আ ফ ম নাজমুল আহসান সজীব। তিনি তরুণ সমাজের অবদানের মাধ্যমে উইকিপিডিয়ায় বাংলা ভাষা আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বকুল কুমার চক্রবর্তী, ইসমিতা তাসনিম, এবং উইকিপিডিয়া কমিউনিটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যবৃন্দ।কর্মশালায় ঢাকা থেকে আগত প্রশিক্ষকগণ ৬০ জন শিক্ষার্থীকে উইকিপিডিয়ায় নতুন শব্দ(বাংলা শব্দ) সংযোজন ও ভুল সংশোধন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।

আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির মূলে আছে বাংলা ভাষা, আর বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মুক্ত বিশ্বকোষে আমাদের প্রিয় এই ভাষার অবস্থান সুসংহত করার জন্যই ছিল এই কর্মশালার আয়োজন। এতে অংশ নিতে পেরে তাই আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। ভবিষ্যতেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য এমন মহৎ উদ্যোগ নেয়া হবে, এটিই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল গনিত অলিম্পিয়াড (Math Olympiad at khulna university)

মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রা ও বিকাশে যে কয়েকটি বিষয়ের জ্ঞান অবদান রেখেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হল গনিত, আর এই গনিতের অনুশীলন ও প্রয়োগ সৃষ্টি করে যুক্তিশীল প্রবণতার।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৪ ডিসেম্বর হয়ে গেল ৭ম জাতীয় স্নাতক গনিত অলিম্পিয়াড ২০১৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের উদ্যোগে একাডেমিক ভবন ১ ইউআরপি ডিসিপ্লিনের লেকচার থিয়েটারে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার মধ্য দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গনিত বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডঃ মোঃ হায়দার আলী বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ডঃ মোঃ ইসমত কাদির, অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৭ম জাতীয় সম্মেলন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও বুয়েটের প্রফেসর ডঃ মনিরুল আলম সরকার এবং প্রফেসর ডঃ মোঃ আব্দুল হাকিম খান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন, মানব জীবনই একটা হিসাব, আর তাই গনিত এমন একটি বিষয় যে পরিবার থেকে শুরু করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে গণিতের প্রভাব আছে।

অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্বে ছিল গণিতের বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা, বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ, মতবিনিময় ইত্যাদি।

গণিত আমাদের জীবনে যুক্তিশীলতা ও যুক্তিবাদিতার শিক্ষা দেয়, শিক্ষা দেয় সহনশীলতার। যুক্তিশীল ও পরিমিত আচরণের আবর্তে বাঁধা নিয়মতান্ত্রিক জীবন পেতে গণিত আমাদের সহায়তা করে। আর তাই এধরণের গণিত অলিম্পিয়াড আমাদের শিক্ষাক্ষেত্র ও প্রায়োগিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এটিই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।