ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ১০ (বিষয়ভিত্তিকঃ গণিত ) । BCS Written Exam Guide – 10 (Subject Based: Math)

Mathematics:

আমি একটা ম্যাথ না করে গিয়েও প্রিলি/ রিটেনে সব শুদ্ধ ম্যাথ করেছি, আপনিও পারবেন ।

এইকথা বলে শেষ করে দেয়া যেত, কিন্তু বাস্তবতা হল আমার মতন সবাইই ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ডের না, সবাইই ছাত্রজীবনে টিউশনি করান নাই, কিংবা সবাইই সায়েন্স ব্যাকগ্রান্ডের না।

ভয় পাবার কারণ নাই । বাজারে অনেক বই আছে বিসিএস ম্যাথের জন্য, আমি যদিও কিনি নাই বা লাগে নাই, এরপর ও বলি, যারা আসলেও গণিত চর্চার থেকে অনেক দূরে আছেন, প্র্যাক্টিস করুন । আগে ক্লিয়ার হয়ে নিন আপনি কিসে দুর্বলঃ পাটিগণিত/ বীজগণিত না জ্যামিতিতে এরপর প্র্যাক্টিস করুন ।

প্র্যাক্টিস এর উপরে ভাইটামিন নাই, যদি আপনি আসলেও ম্যাথে দুর্বল হয়ে থাকেন ।

এসব ব্যাক গ্রাউন্ড কিংবা কোথা থেকে এসছেন এসব কথাবার্তা বলে নিরাশ করতে চাই না আদতে ।

আমি যখন ছোট বেলায় খেলা দেখতাম, শোয়েব/ লি দের বোলিং যখন কিমি তে দেখাতো ট্রাই করতাম সংখ্যাটাকে .62 দিয়ে ভাগ করে মাইলে আনতে আবার মাইলে থাকলে ১.৬১ দিয়ে গুণ করে কিমিতে । আমিই না অনেকেই তাই করে, কোথাও ফুটে আছে কিছু শুনলে সেটা কত সেমি কিংবা গজে শুনে মিটারে এভাবে অনেকেই চর্চা করে মনে মনে  । অনেকে বর্গ করে মনে মনে, দুই –তিন অংক বিশিষ্ট সংখ্যার গুণ ভাগ করে, যারা সারাদিন টাকা গোণার চাকরি করেন তারা তো হিসেবে ভালই হবার কথা 😛

এখন কথা হল কেন বলছি, পিএসসি হুট করে ক্যালকুলেটর নিষিদ্ধ করে দিয়েছে । সো, কিছু গণনাতে আপনাকে স্মার্ট হতে হবে । হাতে কলমে করার সময় নাও পেতে পারেন, তাই ছোট খাটো হিসেব গুলো মনে মনে বা মুখে মুখে করার ট্রাই করুন ।

এখন কথা হল আপনাকে কী কী জিনিসের প্রিপারেশন না নিলেই না ?

প্রথমত ত্রিকোণমিতির ব্যাসিক ধারণা টা কী ভুলে গেছেন ? একটু দেখে আসুন ।

পাটিগণিতে চৌবাচ্চার অংকগুলোর জন্য অনেক সোজা সোজা টেকনিক বাজারের বইগুলোতে আছে। বুদ্ধিমানেরা এই বয়সে একটা অংক করলেই ধরে ফেলার কথা J ।সরল সুদকষার অংকগুলো ছোটবেলাতে একবার ভুল করার পর একটা জিনিস মাথায় ঢুকাইছিলাম যে টাকা বাড়বে কখন, কমবে কখন … একই ভাবে কোন কাজ করতে ক খ এর এতো এতো দিন লাগবে সেখানে চিন্তা করেছিলাম কাজ করতে সময় বেশি বা কম লাগে কখন , এরপর থেকে ঐকিক নিয়মে আর ভুল হয় নি । আপনিও একটু মাথা খাটান।

স্মার্টলি পড়বার জন্য এখানেও সার্কেল করে নিন, যে জ্যামিতি ভাল বোঝে , তার থেকে জ্যামিতি, ঘনজ্যামিতি বা পরিমিতি টা পড়ে আসুন । যারা এখনও টিউশনি করায় এমন কাউকে ধরুন বিন্যাস সমাবেশ টা একটু বুঝিয়ে দেবে, কখন কোন টা হয় …

পৌণপুনিকের কথা মনে আছে ? সেই যে ক্লাস ৮ এ শেষ করেছিলেন, আরেকবার দেখুন, মনে পড়বে একবারেই । এরপর ২/৩ চলকের সমীকরণ সমাধান গুলো প্র্যাক্টিস করুন ।

পরিমিতি/ভেক্টর বা ঘনজ্যামিতির কিছু যদি আটকে যান, চট করে ছবি একে করার চেষ্টা করুন ।

সময় অ নদীর স্রোতের অংকগুলোর জন্য ২-৩ টা শর্ট কাট সূত্র আছে, ছাত্র ছাত্রী পড়ান যারা তারা তো পারবেন, বাকিরাও নাহয় ছবি একে পাশে লিখে মনে রাখুন ।

আর হ্যা, কাল থেকে আপনি ট্রাই করবেন যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ গুলো মুখে মুখে করতে , আমি অফিস করতে গিয়ে দেখেছি আমরা রোবট এর মতন হয়ে যাচ্ছি, অনেক কে দেখেছি তারা এক্সেলে যোগ না করলে আত্মবিশ্বাস পায় না, মনে করে ভুল করছে কোথাও …

মনে রাখবেন , বিসিএস এ গিয়ে আপনি কিন্তু ছোট বাচ্চা হয়ে যাচ্ছেন কোনরকম যন্ত্রের ব্যবহারহীন হয়ে পড়ছেন ।তাই আগে থেকে অভ্যস্ত হয়ে নিন ।

আপনার প্র্যাক্টিসের জন্য অনেক ওয়েবসাইট পাবেন, মোবাইলের জন্য এপ্স পাবেন , জাস্ট খুজুন।

যেমনঃ http://www.questionpapers.net.in

কিংবা http://www.readbd.com

(বলে রাখি, আমি কোন ওয়েবসাইট কিংবা অর্থকরী কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত নই কিংবা কারও বিজ্ঞাপণের কাজেও না, আমার চোখে পড়া কিছু জিনিস আমি সাজেস্ট করছি মাত্র, এর থেকে ভাল কিংবা এ জাতীয় আরো ওয়েবসাইট আপনি খুঁজে পেতে পারেন । আমার এগুলো উল্লেখের উদ্দেশ্য পড়া কিংবা চর্চা করার নতুন উৎসের সন্ধান দান মাত্র )

ম্যাথ সেকশনে যে কথা বলে শুরু করেছিলাম তার উল্টোটা দিয়ে শেষ করি, আপনি সায়েন্সের, আপনি ইঞ্জিনিয়ার, তাই বলে ম্যাথ কে হেলা ফেলা করে ওভার কনফিডেন্স হতে গিয়ে ধরা খাবেন না জনাব ।

আপনার ওভার কনফিডেন্সে আপনার পচা শামুকে পা কাটতে পারবে  । আপনি ইংলিশ লিটারেচার কম পারেন/জানেন, বাংলায় ও তাই … ধরেই নিয়েছিলেন ম্যাথে তো ফুল মার্ক্স … সেখানে কয়েকটা সিলি মিস্টেক কিংবা একটু না দেখা বা সূত্রটা ভুলে যাবার খেসারত কিন্তু আপনাকে পরে ভালই কষ্ট দিবে, যখন আপনি জানবেন আপনি .5  কিংবা ১ মার্ক্স এর জন্য প্রিলিতে টিকেন নাই, কিংবা রিটেনে সবাইই (আপনার সম ব্যাকগ্রাউন্ডের) ফুল মার্ক্স অথচ আপনি সরল অংকটায় ভুল করে এসছেন , চৌবাচ্চার ম্যাথ টায় হিসেবে একটু ভুলে আপনার রেজাল্ট অন্য আসছে …

ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ৯ (বিষয়ভিত্তিকঃ গণিত ও ইংরেজি – ৩ – সাহিত্য ) । BCS Written Exam Guide – 9 (Subject Based: Math and English – 3 – English Literature)

এবারে আসি Literature এ …

এইটা ভাই আমার নিজের জন্যেও টাফ ছিল । আমি নিজে খুব বেশি ইংরেজি সাহিত্যের পাঠক ছিলাম না ।

কিছু বহুল প্রচলিত বই পত্রের নাম ধাম জানতাম , আর বাকিটা পড়ে শিখতে ট্রাই করেছি ।

আপনার জন্য আমার সাজেশন হল নীল ক্ষেতে ৫০-৬০ টাকায় বেশ কিশু ছোট ছোট বই পাওয়া যায় যেখানে ইংরেজি লেখিয়েদের সংক্ষিপ্ত জীবনী, উল্লেখযোগ্য সাহিত্য কর্ম এবং তারা কোন যুগের সাহিত্যিক ছিলেন তা সামারি করে দেয়া আছে । আপনাকে আরেকটু জানতে হবে কোন বিখ্যাত বই কোন বিশেষ পুরষ্কার পাওয়া কিনা । প্রশ্ন যদি খুব কঠিন ই হয় আপনাকে কোন চরিত্র দিয়ে বলতে পারে এটা কার কোন বই এর বা নাটকের । আমার কথা হল ভাই আপনি ২০০ তে ২০০ পেতে পরীক্ষা হলে যাচ্ছেন না, সো, কিছু জিনিস নিয়ে অনেক বেশি পরিশ্রম করে লাভ নাই, বিশেষত যা ২-৩ টার বেশি থাকবে না ।

তবে হ্যা, খোদ এই ইংরেজি লিটারেচারে মার্ক্স থাকবে কিন্তু ১৫ । তাই প্রিপারেশন ছাড়া এখান থেকে মার্ক্স বেশি আশা না করাই ভাল ।

আমি একটা ওয়েব সাইটের এড্রেস দিই, এখান থেকে আপনারা খুব সংক্ষেপে বিভিন্ন সাহিত্যিকের কাজ গুলো নোট করে নিতে পারেনঃ http://www.thefamouspeople.com

তবে আবারও বলি বিসিএস এর বিগত বছরের প্রশ্ন দেখেন, একটু জাজ করার চেষ্টা করেন কেমন প্রশ্ন , কাকে নিয়ে বা কী ধরণের প্রশ্ন বেশি আসে , সে অনুযায়ী আপনার প্রস্তুতি সাজান , ভাল করবেন ।

 

আর হ্যা আপাতত সামনে রিটেন নাই, তবে প্রিলিমিনারি তে গ্রামার কিংবা ভোকাবুলারি মোটামুটি ভাল হয়ে থাকলে আপনার রিটেনে শুধু ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং টা লাগে । ইংরেজি নিয়ে দুঃচিন্তা অনেকাংশেই কমে যাবে ।

সামনের ভাইভা পরীক্ষার্থীদের জন্য বলি, নিজেরা নিজেরা ইংরেজি তে কথা বলার লোক খুঁজে বের করেন। কথা বলার বাচন ভংগি, নিজের ব্যাপারে , নিজের লক্ষ্যের ব্যাপারে ইংরেজি তে আয়নার সামনে দু চার মিনিট বলার অভ্যাস করেন । ট্রাস্ট মি আপনি ইংরেজি ভাল পারলে, ভাইভার ২০০ মার্ক্স এ আপনার মার্কিং শুরুই হবে ১০০ র পর থেকে 😉 মানে আপনি বিষয় ভিত্তিক জিনিস গুলো কম পারলেও ভাল মার্ক্স আশা করতে পারবেন । ওখানে তোতলালে কিংবা বেশি ভুলভাল বললে, মুখস্ত কথা বললে আপনি যতই বিদ্যার জাহাজ হোন, লাভ নাই ।

আর হ্যা, ইংরেজি তে প্রিপারেশন টা কিন্তু একটা এক্টিভ-প্যাসিভ দুই এর সামেশন ।

আপনার উচিত সপ্তাহে অন্তত একদিন ইংরেজি পত্রিকা পড়া, সেখান থেকে চলমান ও বহুল ব্যবহৃত Vocabulary, Idioms and Phrases মার্ক করে রাখা । যারা রেগুলার পড়তে  পারেন তারা অনেক এগিয়ে থাকবেন । আমি পরামর্শ দিব ৩-৪ জন মিলে একটা স্টাডি সার্কেল করুন বা অনলাইনে গ্রুপ গুলোতে একটু সময় দিন, একজন দায়িত্ব নিন যিনি রেগুলার সম্প্রতি ব্যবহৃত Vocabulary/phrases গুলো টুকে রাখবেন, আরেকজন কে দায়িত্ব দিন সে কারেকশন এর দিক গুলো তুলে ধরবে, আরেকজন Transformation/ Voice/ Narration এর উদাহরণ দিবে ৫-১০ টা করে । দেখবেন সবাইই উপকৃত হচ্ছেন ।

 

আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি আপনাকে পড়তে এবং প্রিপারেশন নিতে হবে স্মার্টলি, এটা মেট্রিক/ইন্তার কিবা ভার্সিটির টার্ম ফাইনাল না । আপনার মাথায় অনেক সোজা জিনিস ঘড়ি ধরে তেবিল চেয়ারে পড়ে চেষ্টা করে ঢুকতে চাইবে না, কিন্তু অনলাইনে কিংবা পত্রিকার পাতায় কিছু একটা দেখলে দেখবেন মনে গেথে আছে … যারা চলতে ফিরতে ভকাবুলারি ট্রাই করতে চান, পড়তে চান, হাতে স্মার্ট ফোন থাকলে প্লে স্টোরে সার্চ দিয়ে এপ্স নামিয়ে নিন, আমি কোন নাম বলব না, শত শত এপ্স আছে, ভোকাবুলারি লার্নিং এর জন্য ।

বাসে যেতে যেতে সময় কে কাজে লাগাতে পারেন । অফিসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু দেখতে পারেন , গ্রামারের ও এপ্স আছে, সেগুলোও দেখেন । আর যাদের এই সুযোগ নেই, ঘাবরাবেন না । এর মানে এই না যে আপনি পিছিয়ে গেলেন । আপনি আপনার কাছে যে রিডিং ম্যাটেরিয়ালস গুলো আছে সেগুলোর সর্বচ্চ ব্যবহার করুন । কোন বই থেকে প্রশ্ন আসবে সেই চিন্তা ভাবনা অবান্তর । আপনাকে গ্রামারের ব্যাসিক জানতে হবে, ভোকাবুলারি সমৃদ্ধ করতে হবে, এখন সেটা আপনি active/ passive যে পদ্ধতিতেই করে স্বস্তি পান না কেন …

ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ৮ (বিষয়ভিত্তিকঃ গণিত ও ইংরেজি – ২) । BCS Written Exam Guide – 8 (Subject Based: Math and English – 2)

আমি আজ ইংরেজি আর ম্যাথ নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।

ইংরেজিঃ

আবারও বলি প্রিলিমিনারি হোক আর রিটেন/ ভাইভা হোক আপনি ইংরেজি তে গুরুত্ব দিন ।

আপনি ইংরেজিতে অনার্স মাস্টার্সের পড়াশোনা করার পরও হয়ত দেখবেন Sentence Transformation , Voice Change, Narration change, Use the right form of verbs এগুলো ভুলে গেছেন । কোথায় পার্টিসিপল বসবে কোথায় জিরান্ড, কোথায় ing যোগ করবেন , কোথায় To ? এমন কি আমরা আর্টিকেলের ব্যবহার ও অনেক সময় ভুলে যাই, BCS এ নেগেটিভ মার্কিং থাকায় ওভার কনফিডেন্ট হয়ে এই ভুল গুলো করার মাশুল গুণতে হবে আপনাকে ।

তাই আমি বলি, যারা ইংরেজিতে ভাল তারাও এক ঝলক একটু দেখে নিন গ্রামারের নিয়ম কানুন ।

অনেকে অনেক রকম বই পুস্তক সাজেস্ট করবেন গ্রামারের জন্য, ভাই এতো কিছুর কথা আমি বলতে চাই না , যে ছোট বেলায় যে বই থেকে গ্রামার শিখেছেন সেটাই দেখুন , বাসায় না থাকলে কালেক্ট করে নিন কোনভাবে, নিউ মার্কেটে পুরাত্ন চৌধুরি হোসেন কিংবা খলিলুল্লাহ সাহেবের বই যেমন পাওয়া যায়, রেন এন্ড মার্টিনের বই ও তেমন পাওয়া যায় । যার যেটা পড়তে ভাল লাগে কিনতে পারেন ।এখন কথা হল টপিক কী কী পড়বেন ?

আবারও বলি বিসিএস প্রস্তুতি শুরু করবেন প্রাক্তন বিসিএস গুলোর প্রশ্ন দেখে, এটা আপনার মাথায় একটা ম্যাপ ক্রিয়েট করে দেবে কী কী আসে, আপনি কী কী পারেন আর কী ই বা ভুল করেন ।

মোটামুটি যে টপিক গুলো আপনার লাগবেঃ

  1. A) Parts of Speech: Noun, Pronoun, Verb ( তার মধ্যে আবার Finite: transitive, intransitive; Non-finite: participles, infinitives, gerund; The Linking Verb, Phrasal Verb, Modals),Adjective, Adverb, Preposition, Conjunction. Determiner, Gender, Number
  2. B) Words: Meanings, Synonyms, Antonyms, Spellings, Usage of words as various parts of speech, Formation of new words by adding prefixes and suffixes. এগুলোর জন্য বাজারে MBA ভর্তির যে বই গুলো আছে সেগুলো দেখলে ভাল করবেন। সেখানে বিসিএস উপযোগী শব্দ সম্ভার বেশি পাবেন
  3. C) Corrections: সব ধরণের কারেকশন, সেটা Tense, Subject Verb agreement, Number, Gender, Sentence এর মারপ্যাচ যাইই হোক
  4. D) Sentences & Transformations: Simple Sentence, Compound Sentence, Complex Sentence, Positive Degree, Comparative Degree, Superlative Degree.
  5. E) Voice change, Narration
  6. F) Clauses: এটায় হাফেজ হওয়া লাগবে না, জাস্ট জানা থাকলেই পারবেন
  7. G) Idioms & Phrases: এগুলোর বাক্যে প্রয়োগও দেখে রাখবেন ।

আমি ছোটবেলায় ইংলিশ গ্রামারে কঠিন কিছু দেখতাম সেটার সাথে বাংলা ব্যকরণের কোন মিল খুঁজে পেতে ট্রাই করতাম। এতে করে দেখতাম অনেক কঠিন জিনিস সোজা হয়ে গেছে ।যারা ইংরেজিতে দুর্বল তাদের প্রতি আমার অনুরোধ কঠিন লাগে যেটা সেটা বাংলাতে বুঝতে চেষ্টা করুন । একবারে সব ই যদি ভুলে গিয়ে থাকেন তো বাংলা দিয়ে লিখা একটি ইংলিশ গ্রামার বই থেকে শিখতে ট্রাই করুন । অনেক মনিষী আপনাকে ইণ্ডিয়ান গ্রামার বই ধরিয়ে দিতে চাইবে , আল্টিমেটলি আপনি শিখতে না পারলে বই এর রাইটারের ওজনে বিসিএস এ মার্ক্স বেশি পাবেন না ।

DNN – Dot Net Nuke CMS : Admin menu options for common settings : ডট নেট নিউক ঃ কনফিগার করা।

DNN – Dot Net Nuke CMS : এর উপর ভিত্তি করে বানানো ওয়েব সাইট/অ্যাপলিকেশন কিভাবে কনফিগার করবেন তা এখানে দেখানো হয়েছে।

ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ৭ (বিষয়ভিত্তিকঃ গণিত ও ইংরেজি – ১) । BCS Written Exam Guide – ৭ (Subject Based: Math and English -1)

গণিত ও ইংরেজি

বিসিএস প্রিলি তে একটা সময়ে খুব সহজে পার পাওয়া যেত দুইটা জিনিসে ম্যাথ এবং ইংরেজি তে ।

বিশেষত সায়েন্সের স্টুডেন্টস আছেন যারা এবং যারা টিউশনি কিংবা কোচিং এ ক্লাস নেয়ার সাথে জড়িত তাদের জন্য গণিতে ভাল করা সহজ ছিল ; আর ইংরেজিতেও মার্ক্স ছিল কম (১০০ র মধ্যের পরীক্ষা গুলোতে)। আর যারা মোটামুটি গ্রামার জানেন তারা পার পেয়ে যেতেন ।

সম্প্রতি ইংরেজিতে গ্রামার আর লিটারেচার মিলে প্রায় ৩৫ নম্বর থাকে ।

শুধু প্রিলিতেই নয়, আপনাকে রিটেনেও ইংরেজি গ্রামার ফেস করতে হবে , কারেকশন আছে, ট্রান্সলেশন আছে, সেখানে ফরমাল/ ইনফরমাল লেটার, Essay writing টাও আছে । তাই হেলাফেলা করে ইংরেজি প্রিপারেশন নিয়ে লাভ নেই আসলে । এখানে আপনার অনেক মার্ক্স কমে যেতে পারে ।ইংরেজিতে আপনাকে ভাল আল্টিমেটলি করতে তো হবেই, মোটামুটি ভালভাবে ইংরেজি বলার অভ্যাসও থাকা চাই, যারা পরের ভাইভার জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছেন , জেনে রাখুন অধিকাংশ বোর্ডেই আপনাকে ইংরেজিতে আদ্যোপান্ত জিজ্ঞাসা করা হবে, আপনি তোতলাতে থাকলে পেটে যত বিদ্যাই থাকুক, ধরা খাবেন । অনেক কে অপমান করে বের ও করে দেয়া হয়েছে অথচ তাদের রিটেনের মার্ক্স হয়ত ভাল কিংবা গোটা লাইফের রেজাল্ট, ভাইভা র প্রিপারেশন ও ভাল থাকা সত্ত্বেও ।

ম্যাথের ব্যাপারেও বলি, যারা পড়াশোনার সুযোগ কম পান তাদের জন্য ম্যাথের ব্যাসিক ভাল জানা থাকলে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে এগিয়ে যাওয়া সহজ । বিসিএস এর যা ম্যাথ আসে তা একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাক গ্রাউণ্ডের স্টুডেন্টের জন্য বেশ সহজ , তার উপর যাদের পড়ানোর অভ্যাস থাকে ।

সমস্যা টা হয় আমাদের মাঝে যারা ডাক্তার আছেন, অন্য ডিসিপ্লিনের আছেন কিংবা নন সায়েন্সের স্টুডেন্ট আছেন । কেন বলছি অনেকেই খেয়াল করে দেখবেন ইন্টারে করানো বিন্যাস সমাবেশের অংক ভুলে বসে আছেন। আবার ঘনমিতি, ত্রিকোণমিতির টুকি টাকি ও অনেকের মনে নাই ।তাই বিসিএস এর ম্যাথ মানে যারা সরল সুদকষা যোগ বিয়োগ গুণ ভাগের অংক বলে হেলা করেন তারা একটু গা ঝাড়া দিন ।

ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ৬ (বিষয়ভিত্তিকঃ বাংলা এবং বাংলাদেশ) । BCS Written Exam Guide – 6 (Subject Based: Bengali and Bangladesh)

ধারাবাহিক BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – ৬ (বিষয়ভিত্তিকঃ বাংলা এবং বাংলাদেশ) । BCS Written Exam Guide – 6 (Subject Based: Bengali and Bangladesh)

বিষয়ভিত্তিকঃ

আমি একটা জিনিস নিজে খেয়াল করেছি যারা প্রিলিতে যত পড়ে এগিয়ে থেকেছেন তাদের জন্য রিটেন বা ভাইভাতে পড়াশোনা অনেক সহজ ছিল, মানে পড়তে অতটা বেগ পেতে হয় নি, তাই আপনি প্রিলি থেকেই গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন, কাজে আসবেই।

আপনাকে সবথেকে বেশি সময় দিতে হবেঃ

বাংলা, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি এই তিন টা বিষয়ে (বিশেষত সায়েন্সের যারা আছেন তাদের জন্য)

আমি সুযোগ পেলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে আলোচনা করব একদিন, আপাতত আজ বাংলা নিয়ে বলিঃ

বাংলাতে আপনাকে আদি বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে একটা ধারণা রাখতে হবেঃ মানে চর্যাপদ, মংগলকাব্য এদের কবি, তাদের সাহিত্যকর্ম, সময়কাল, বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন, মধ্যকাল , সে সময়ের উল্লেখযোগ্য কবি সাহিত্যিক, তারা কীসের উপর ভিত্তি করে সাহিত্য রচনা করতেন ইত্যাদি ইত্যাদি ।

আধুনিক কালে বাংলা সাহিত্য কীভাবে নানা ভাবে বিভক্ত হল, সেসবের মধ্যে কিছু বিশেষ ব্যক্তির উপন্যাস, নাটক্, প্রবন্ধ গ্রন্থ…(সব নাম আপনার মুখস্থ হবে না তা স্বাভাবিক, তবে পুরষ্কার জয়ী কিংবা সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রেখেছে এমন সব নাম তাদের সাহিত্যিকের নাম অবশ্যই মনে রাখবেন, যেমন দীনবন্ধু মিত্রের নীল দর্পন)।

এরপর আপনাকে পড়তে হবে ১৮ শতক কিংবা উনিশ শতকের উল্লেখযোগ্য কিছু পত্রিকা, তাদের সম্পাদক, বাংলা প্রথম সংবাদ পত্র কিংবা বাংলা পত্রিকাগুলোর উত্তরণ কাল এসব নিয়ে । কোন বিশেষ কবিতা/ বই কোন সমাজ সংস্কার কিংবা আলোড়ন তুললে সেটা অবশ্যই মনে রাখবেন এ কথা জোর দিয়ে বলছি এ কারণে যে আপনার পক্ষে সব মুখস্ত রাখা অসম্ভব । আর হ্যা, আপনাকে কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এর যুগে পড়ে থাকলেই হবে না জনাব। আপনাকে জানতে হবে ৭১ এর আগে ও পরের বাংলা সাহিত্য নিয়ে, ৫২ র ভাষা আন্দোলন কিংবা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপর যেসব বইপত্র, লেখনী আছে সেসবও … বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর বাইরের দেশের কোন সাংবাদিক বা লেখক কোন বই লিখেছে কিনা , কোন গান আছে কিনা এসব ও জানতে হবে আপনাকে । অতি আধুনিক কালের হুমায়ূন আহমেদ, সৈয়দ শামসুল হক, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ইনাদের বহুল আলোচিত কিছু বইপত্রের নাম ও জানা থাকা দরকার। এখন কথা হল এগুলো কীভাবে জানবেন ?

যাদের বাসায় ক্লাস ৯-১০ এর বই গুলো আছে, তারা সহপাঠ বই এর ভূমিকা টা চোখ বুলিয়ে নেবেন, এনাফফ ।

আর যাদের নেই, তারা আসলে বাজারের যেকোন বই ই ফলো করতে পারেন, যার যেভাবে পড়ে সুবিধা । বাজারে প্রফেসর্স, ওরাকল, কনফিডেন্স, MP3  সিরিজের বই পাওয়া যায় । এদের বইগুলো হয় দুধরণের ।

আমি আবার বলি, আপনি আগে জানুন বিসিএস ই আপনার ফার্স্ট টারগেট কিনা, যদি হয় তবে প্রতি সাবজেক্টের বিষয় ভিত্তিক বই পাওয়া যায়, কিনে ফেলুন । বাংলার জন্য আলাদা যে বই পাওয়া যায় তাতে আমি যা যা বললাম সব ই পাবেন। আমি ওপেনলি কোন আলাদা প্রকাশনী উল্লেখ করতে নারাজ ।

এতো গেল সাহিত্য ইতিহাস । এরপরে অনেক সময় কোন কোন চরিত্র বা উক্তি উল্লেখ করে দিয়ে বলে কার লিখা বই এর কিংবা কোন উপন্যাস/ নাটকের ?

এখন আপনি তো বাংলা সাহিত্যের সব বই এর সব চরিত্রের নাম জানবেন না, স্বাভাবিক ই । তাই এ নিয়ে আলাদা দুঃচিন্তা করবেন না। এস এস সি আর এইচ এস সি তে যেসব গল্প, উপন্যাস , নাটক পড়েছিলেন সেসব চরিত্রের নাম গুলো অন্তত মনে রাখুন । বাংলাতে ভাল প্রস্তুতি নিতে চাইলে তাই আমি বলব যারা ২০১১ পর্যন্ত এস এস সি দিয়েছেন তাদের ক্লাস ৯-১০ এর বইগুলো পড়ে নেয়াটা খুব ই উপকারি (পরের বইগুলো কে কী কী পরিবর্তন আনা হয়েছে আমি আসলে তা ভাল জানি না )।

 

এরপর আসব বাংলা ব্যকরণ, এ বিষয় টি আমার খুব ই প্রিয় ।আপনার জন্য দাওয়াই হল এবারও সম্ভব হলে নীল ক্ষেত থেকে ক্লাস ৯-১০ এর বাংলা ব্যকরণ বই টা কালেক্ট করেন । কথা দিচ্ছি বেস্ট প্রিপারেশন হবে । আর আরেকটা ইস্যু হল বাজারের গাইড গুলোর মধ্যে সমাস, প্রবাদ প্রবচন, এক কথায় প্রকাশ, বাগ ধারা , বাক্য পরিবর্তন এসব নিয়ে অনেক কন্ট্রাডিকশন থাকে, বেস্ট হল বোর্ডের বই ফলো করা অথবা বাংলা একাডেমির কোন বই ফলো করা। তাতে ভুল শেখার সম্ভাবনা কমে যাবে । আর অদি নাইই পারেন অনেক বাংলা ব্যকরণের বই আছে বাজারে । সেগুলো একটু ঝালিয়ে নিন, বিশেষ করে সমাস, কারক নির্ণয়, সন্ধি বিচ্ছেদ, পদক্রম, বিপরীত শব্দ, প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ, বাগ ধারা, এক কথায় প্রকাশ, প্রকৃতি প্রত্যয়, সমার্থক শব্দ সব কিছুই আপনাকে জানতে হবে । ঘাবড়াবেন না, পড়ে যান … আপনি যা পড়ে মএন রাখতে পারবেন না, মন কে সান্ত্বনা দিতে পারেন যে তা আসবে না ।

আসলে  আপনি একটু স্মার্ট হলে লাস্ট ৮-১০ টা বিসিএস এর প্রশ্ন দেখলেই একতা আইডিয়া পাবেন কোন টা কোন টা বেশি আসে কিংবা কোন টা থেকে কঠিন কিছু আসে । ও হ্যা, কখনও কখনও কিন্তু ইংরেজির বঙ্গানুবাদ কিংবা বাংলার ইংরেজিতে অনুবাদ আসে । তাই এজন্য আপনি গাইড গুলো দেখে আর আগের বছরের প্রশ গুলো থেকে ধারণা নিয়ে রাখতে পারেন ।

এগুলো আপনি প্রিলির জন্যই যদি ভাল করে পড়েন আপনার যেটা লাভ হবে তা হল রিটেনের জন্য আপনার অর্ধেক পড়া হয়ে থাকবে, ট্রাস্ট মি ।

এতো গেলো প্রিলির গল্প রিটেনের গল্পে এখানে যোগ হবে রচনামূলক লিখনী , চিঠিপত্র লিখন , সারাংশ, সারমর্ম, ভাবসম্প্রসারণ টাইম লিখন ।

ধারাবাহিক: BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – 5 (প্রস্ততির শুরুতেঃ) । BCS Written Exam Guide – 5 (At Beginning)

প্রস্তুতির শুরুতেঃ

বিসিএস এর প্রস্ততি কীভাবে নেবেন? এই প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে কতগুলো সাধারণ জিনিস জানা দরকার?

১) প্রস্ততি বলতে কিসের প্রস্তুতি ? প্রিলি/লিখিত/ভাইভা ?

২) আপনি আসলে কেমন সময় দিতে পারবেন ?মানে আমার মত গাড়িতে করে এ জেলায় ও জেলায় ঘুরতে ঘুরতে পড়বেন নাকি প্রতিদিন নিয়ম করে ডায়েরি মেইনটেইন করে পড়তে পারবেন ?

৩) বিসিএস নিয়ে আপনার প্যাশন কোন লেভেলের ?

ক) এটাই আপনার একমাত্র লক্ষ্য

খ) বিসিএস হলে ভাল না হলেও আফসোস নেই

গ) আসলে আমি ব্যাংক বা অন্যান্য জায়গাতেও পরীক্ষা দিচ্ছি তাই এই প্রস্তুতি দিয়ে যদি অন্য কোথাও ও কাজ হয় …

ঘ) আমি ভাই আসলে হ্যাডম দেখানোর জন্য দিতে চাই, যে এইটা কোন কিছু হইল (প্লিজ ভাই, আপনার দরকার নাই সময়, টাকা কিংবা অন্য কারও সিট নষ্ট করার, আমি অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি যারা বিসিএস এর জন্য জীবনের অনেক কঠিক সময় দাঁত কামড়ে পড়ে আছে বা ছিল, আজকের বাজারে যার চাকরি আছে আর যার নেই দুজনের সব দিক দিয়ে যে পার্থক্য তা নিয়ে কোন মশকরার দরকার নেই প্লিজ)

৪) আপনি কোন জব করছেন ? নাকি এখনও স্টুডেন্ট? নাকি জব পাচ্ছেন না বিসিএস কে টারগেট করে আগাচ্ছেন ?

৫)আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড কি ? সায়েন্স,কমার্স নাকি আর্টস ? সায়েন্স হলে আপনি কি ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার নাকি অন্য কোন প্রিন্সিপলের?

 

আমাকে যারা প্রশ্ন করেছেন কীভাবে পড়ব কি করব , কি দিয়ে শুরু করব তারা এই চারটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসুন । তাহলে আপনার মাথায় একটা ছাঁচ তৈরি হবে, নিজের জন্য সময়-সুযোগ আর পড়াশোনার পরিধিটা ভাল মতন পরিমাপ করতে পারবেন।

ধারাবাহিক: BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – 4 (প্রারম্ভিকা – 4) । BCS Written Exam Guide – 4 (Introduction – 4)

এরপর বলব, বই পাঠ অভ্যাস নিয়ে । আমি সারাজীবন আমার ছাত্র ছাত্রীদেরকে বলেছি নানারকম বই পত্র পাঠ করতে, যারা কেবল তিন গোয়েন্দা নিয়ে থাকতে এদের বলেছি হুমায়ূন, সমরেশ, সুনীল পড়ে উপন্যাসের স্বাদ নিতে । যারা হুমায়ূনের পোকা তাদের বলেছি একটু বাইরের লেখক নিদেন পক্ষে কলকাতার বাংলা লেখক দের লেখনীতে চোখ দিতে । মুক্তিযুদ্ধ কিংবা বিগত শতকের রাজনৈতিক পরিবর্তন বা বড় বড় ঘটনার উপরে লিখা বই না হোক, কোন সঠিক তথ্য ও প্রমান সমৃদ্ধ লিখা পঠন অনেক জরুরি । সবথেকে বড় যে জিনিস আপনি যাকে গল্পের বই বলে তাচ্ছিল্য করছেন তা আপনাকে অনেক কিছু ওয়াইডলি চিন্তা করার সুযোগ তৈরি করে দেবে, আপনাকে কিছু সাধারণ জ্ঞান এনে দেবে এবং আপনি নিজে অনুভব করবেন আপনি মুক্ত হস্তে কিছু লিখার ক্ষমতাও অন্যদের থেকে বেশি রাখেন – সুতরাং বিশ্বিবিদ্যালয়ের জীবনের অলস সময় টা কেবল সিরিয়াল/ মুভি দেখে, পোকার খেলে, ফেসবুকে ছবি আপলোডিয়ে কাটাবেন না, কিছু সময় রেগুলার বইপত্র পাঠ করুন । আর বিসিএস এ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বইপত্রের সম্মন্ধে লিখাও প্রশ্ন হিসেবে আসছে বা আসবে, সুতরাং হেলা ফেলা করবেন না যেন এদিক টা …

 

আজ আরেকটা শেষ জিনিস বলে এই পর্ব শেষ করি, আপনার ভূগোল জ্ঞান অনেক গুরুত্বপূর্ণ । আপনাকে আমি ক্রিসচিয়ানো রোনালদোর নাম বললে যদি কেবল রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর ইরিনা শায়েকের কথা মাথায় আসে তাহলে হবে না ভাই … আপনাকে পর্তুগাল নাম টা, এটা কোথায় অবস্থিত, ইউরোপে এটি কি ইউরো জোনের মাঝে আছে কিনা এগুলো জানাটাও আপনাকে এগিয়ে রাখবে । দেশ-রাজধানী-মূদ্রা এগুলোর নাম মুখস্ত রাখা ওল্ড সিস্টেমে খুব দরকারি ছিল, কষ্ট করে এসবের পেছনে খুব বেশি সময় দিয়ে মাথার চুল ছিড়বেন না প্লিজ । আপনাকে তাঞ্জানিয়ার নাম বললে আপনাকে বুঝতে হবে এটি কোন মহাদেশে, সুদানের কথা বললে সেখানের রাজনৈতিক কোন পরিস্থিতি কী সাম্প্রতিক সময়ে আলোচ্য কিনা জানা উচিত (আমাকে ভাইভা তে এখান থেকে প্রশ্ন করেছিল)। শুধু বিশ্ব ভূগোল না, আপনাকে যদি বলা হয় কানসাট কোন জেলায় ? আপনি মাথা হাতড়ালে হবে না। চাপাই নবাবগঞ্জের আম না হলে তো কেনেন না … তাই দেশের কোন জেলার কোন স্থান কী কারণে বিখ্যাত এগুলোও  জানা উচিত ? ছোট্ট একটা বুদ্ধি দেই, আজ ই আপনার রুমের দেয়ালে একটা বাংলাদেশের আর একটা বিশ্ব মানচিত্র এনে সেটে দিন । প্রিয়াংকা চোপড়া/ টম হ্যাংক্স কিংবা হ্যারি পর্টার আর এমা ওয়াটসন কে তো দেখলেন অনেক দিন ই … মাঝে মধ্যে মানচিত্র দেখে ধারণা নিতে ট্রাই করেন প্লিজ । ফলাফল বৃথা যাবে না, এই আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি ।

বাংলাদেশ থেকে নৌপথে স্পেনে যাবার রুট টা কী ? এই প্রশ্ন কিন্তু ভাইভা বোর্ডে এসছে … এখন আপনি কী সদরঘাট থেকে রওনা করবেন নাকি মংলা থেকে আপনি জেনে নিবেন । আর হ্যা, স্পেন কোন দিকে ? কোন মহাদেশে ? ওদের কোন বন্দরে আপনি নোঙ্গর করবেন … ঘাটতে ঘাটতে শিখে নেবেন, কেমন ?

ধারাবাহিক: BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – 3 (প্রারম্ভিকা – 3) । BCS Written Exam Guide – 3 (Introduction – 3)

এরপর আসি ইংরেজির জ্ঞান নিয়ে, আমাদের অনার্স লাইফে ইংলিশে শিক্ষাক্রম চলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই, তবু আমাদের ব্যাসিক দুর্বল যাদের তাদের টেন্স, পার্টস অফ স্পিচ, ভয়েস ন্যারেশন এগুলো নিয়ে কাজ করা উচিত। বিশেষত প্রিপজিশনের ব্যবহার, ভয়েস-ন্যারেশন এগুলো ঝালিয়ে নেয়া দরকার । সেন্টেন্সে ভুল শুদ্ধ বের করা, এপ্রোপ্রিয়েট ওয়ার্ড বের করা, আর্টিকেলের ভুল বের করা, সেন্টেন্স ট্রান্সফর্ম করা, ইডিওমস এন্ড ফ্রেজ এগুলো নিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে …

লিস্ট বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে ? মোটেই না, আপনি যদি সপ্তাহে একদিন একটু ইংলিশ দৈনিক/ ম্যাগাজিন নাড়েন চাড়েন কিংবা নিদেন পক্ষে যে নিউজ গুলো আপনি জানেন অনলাইন পত্রিকায় তাদের ইংলিশ ভার্সন টাই মাঝে মধ্যে পড়েন দেখবেন আপনি ইংলিশে একেবারে কাচা হবেন না। যতটুকু দরকার অবচেতন ভাবে হলেও সেটা আপনার মাথায় গেথে থাকবে, সবথেকে উপকার হবে আপনার ভোকাবুলারি বাড়বে  এটা অনেক অনেক ইম্পর্ট্যান্ট ।

ধারাবাহিক: BCS প্রস্ততি ও সাধারণ আলোচনা – 2 (প্রারম্ভিকা – 2) । BCS Written Exam Guide – 2 (Introduction – 2)

দ্বিতীয়ত, আপনি চাপা পিটাইতে কেমন পারেন ? ধরেন আপনাকে বলা হল ‘একুশ শতকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে নারীর ভূমিকা’ … এই বিষয়ে ২৫ মার্কের একটা রচনা লিখতে হবে । আপনি একবার ভাবুন এখনই কতখানি লিখতে পারবেন? আমি কয় পেজ তা বলছি না , মানে আপনি আসলে কী কী দিক তুলে ধরতে পারবেন ?

কোন তথ্য উপাত্ত কিংবা খুব প্রামাণ্য উদাহরণ দিতে পারবেন ? এ নিয়ে দেশে বা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কোন প্রজেক্টের কথা বলতে পারবেন ? বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এর সম্মন্ধে কতটুকু জানেন ?

এই উদাহরণ টি দিয়ে আমি আপনার মধ্যে চিন্তা জাগাতে চাচ্ছি আসলে আপনি কতটুকু কী জানেন এবং তা থেকে আউটপুট কতটুকু দিতে পারবেন ? মএন রাখবেন আপনি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার যদি হয়ে থাকেন, শেষ ৪-৫ বছরে যা উত্তর করেছেন সব টু দ্যা পয়েন্ট এবং অনেক ক্ষেত্রে আপনার নিজের বলার কিছু ছিল না, রোগের সিম্পটম কিংবা ম্যাথমেটিক্যাল ক্যালকুলেশনে ইনিয়ে বিনিয়ে কিছু করার নেই তেমন । কিন্তু এখানে (রিটেনে) আপনাকে অনেক ইনাতে বিনাতে হবে, আমি চাপা পিটানোর কথা বলছি, খারাপ ভাবে নেবেন না, একটা জিনিস কে আপনি তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক বিশ্লেষণ কতখানি করতে পারবেন – এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

তৃতীয়ত, আপনি যদি আপনার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে স্কুল-কলেজের পোলাপান মানুষ করার মহান সেবার ব্রতী হয়ে থাকেন ( দুর্জনেরা ইহাকে বলে টিউশানি 😛 )

তবে আপনার জন্য কিছুটা প্লাস পয়েন্ট থাকছে, আপনি হয়ত জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি কিংবা বীজগণিত একেবারে ভুলে যান কি কিংবা দেখা মাত্র আপনার মাথায় আসবে, বেগ পেতে হবে না । তবে হ্যা, সরল সুদকষা কিংবা চৌবাচ্চার পাটিগাণিতিক সমস্যাগুলো আপনাকে সমস্যাগ্রস্ত করতে পারে, তবে আপনি খুব সামান্য চেষ্টা করলেই সেগুলো সমাধান করতে পারবেন (আক্ষরিক অর্থেই সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্রছাত্রীরা কিছু প্র্যাক্টিস করলেই পারবেন, এ নিয়ে ঘাবাড়ানোর কিছু নেই)।

যারা অনেক দিন টাকা পয়সা ছাড়া আর কিছু গোনেন নাই , মানে ম্যাথ একেবারে অচর্চিত, তারা কিছুদিন সময় দিবেন ম্যাথ গুলোতে (বিগত বছরের প্রশ্ন দেখুন, অনেক বই পত্র আছে যা নিয়ে আমি পরের লিখায় লিখব)।কেননা, আপনার ভাল কোন ক্যাডার পেতে ম্যাথ আপনাকে অনেক অনেক এগিয়ে রাখবে, ট্রাস্ট মি ।