সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি নীতিমালায় যুক্ত হচ্ছে এলাকা কোটাঃ

সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি নীতিমালায় যুক্ত হচ্ছে এলাকা কোটা

ভাল স্কুলে সন্তানকে ভর্তির জন্য বিনিদ্র রাত  কাটিয়েছেন এমন মা-বাবা আছেন অনেক, কারণ ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার এই যুগে ভাল স্কুলে ভর্তির যুদ্ধটা এখন আর কেবল শিক্ষার্থীর নয় বরং সেটি যেন তার বাবা-মায়েরও অগ্নিপরীক্ষা। তবে মেধা, অর্থ আর ক্ষমতার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রভাবের পর এবার চালু হচ্ছে নতুন ‘এলাকা কোটা’। আগামী শিক্ষাবর্ষের সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়ায় এই পদ্ধতি চালুর চিন্তাভাবনা চলছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে। প্রাথমিকভাবে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ এলাকা কোটা রাখার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে এলাকা কোটা চালুর সুপারিশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এসংক্রান্ত সভায় শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব রুহী  রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে ৪০ শতাংশ ‘এলাকা কোটা’ রাখার বিষয়ে সভার সবাই একমত হয়েছে। সভায় মন্ত্রি  ও সচিব না থাকায় সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত করা যায়নি। বিষয়টি আগামী শিক্ষাবর্ষের সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালায় যুক্ত হবে।

এছাড়াও আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে জেলা পর্যায়ে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যাপারেও কর্মকর্তারা একমত হন। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ঢাকাসহ কেবল মহানগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। শিক্ষার্থী ভর্তির সময় অভিভাবকের উপর চাপ, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর থেকে ‘ভর্তিযুদ্ধের’ মত প্রবল প্রতিযোগিতার নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সরকার যুগোপযোগী আরও অনেক সিদ্ধান্ত নেবে, আর তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে বৈষম্য ও দুর্নীতির কবল থেকে রক্ষা পাবে শিক্ষাঙ্গন- এটিই জনগনের প্রত্যাশা।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল : ট্রাফিক এর উৎস এবং ব্লগার ডিজাইন পার্ট-০২

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল : আর্থিক বিনিয়োগ ছাড়াই ট্রাফিক এর উৎস  এবং ব্লগার ডিজাইন পার্ট ০২

 

https://www.youtube.com/watch?v=3UnFoOOY8ZM

এসিএম আইসি পিসির বিশ্ব আসরে বাংলাদেশের প্রোগ্রামাররাঃ Bangladeshi Programmers in Worldwide ACM ICPC Programming Contest 2016

এসিএম আইসিপিসির বিশ্ব আসরে বাংলাদেশের প্রোগ্রামাররা

২০১৬ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে এসিএম আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। এই ইভেন্টে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী নিয়ে গড়া দল ‘অর্ডার অফ এন কিউব’। এই তিন শিক্ষার্থী হলেন নিলয় দত্ত, রাইহাত জামান আর সাদিক মোহাম্মদ নাফিস। ঢাকা পর্বের ১২২টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে তাঁরা এই সম্মানজনক প্রতিযোগিতার মূলপর্বে অংশ নেয়ার গৌরব অর্জন করেন। বাকি সব সাইটের মতই ঢাকা সাইটের আয়োজকও আইবিএম, যারা এসিএমের পৃষ্ঠপোষকতায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

এসিএম আইসিপিসি মূলত এসিএম আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা যা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সমস্ত কলেজগুলোর মধ্যে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার একটি ইভেন্ট। এটি একাধিক ধাপবিশিষ্ট বার্ষিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা যার বাছাই হয় আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এশিয়ার মধ্যে এই প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ১৩টি সাইটে যার মধ্যে ঢাকাও আছে,১৯৯৭ সাল থেকে এখানে আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আগেই বলেছি এর আয়োজনে আছে আইবিএম আর পৃষ্ঠপোষকতায় এসিএম।

গত বছর এসিএম আইসিপিসির বিশ্ব আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল মরক্কোয়, আর সেখানেও অংশ নিয়েছিল ‘অর্ডার অফ এন কিউব’, ১২০টি দলের মধ্যে হয়েছিল ৫৯তম। এবার তাঁরা আরও ভাল ফলাফল চান, দলের সদস্যদের প্রত্যাশা শিরোপা অর্জনের। জানিয়ে রাখি,সামনের মাসে ভারতে বসবে এসিএম আইসিপিসির প্রতিযোগিতা। আর সেখানেও অংশগ্রহণ থাকবে বাংলাদেশী প্রোগ্রামারদের।

ঢাকায় ফ্রিল্যান্সার সম্মেলনঃ Freelancing conference in Dhaka.

উন্নয়নশীল দেশের যুবসমাজের একটি বিশাল অংশ সাধারণত বেকার থাকে, যেমন আছে আমাদের এই বাংলাদেশেও। আর তথ্যপ্রযুক্তির সম্প্রসারনের সাথে সাথে সেই বিরাট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ যুক্ত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর সঙ্গে। এর ফলে যেমন বেকারত্ব দূর হচ্ছে তেমনি দেশ নিয়মিত পাচ্ছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও। ফ্রিল্যান্সিং এর এই প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে, প্রায় ব্যাক্তি উদ্যোগেই বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার উঠে আসছেন পাদপ্রদীপের আলোয়। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আয়োজন করা হচ্ছে নানা সেমিনার ও সম্মেলনেরও। তেমনি এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৮ ডিসেম্বর, ঢাকায়। ফ্রিল্যান্সারস মিট ২০১৫ নামের এই সম্মেলনে সারা দেশ থেকে প্রযুক্তিনির্ভর তরুণ প্রজন্ম ও ফ্রিল্যান্সাররা অংশগ্রহণ করবে- এরকম আশা করছেন আয়োজকরা।

দেশের ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন আইসিটি ডিভিশনের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক(এমপি), আর এই অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেস এলায়েন্সের প্রেসিডেন্ট সান্টিয়াগো গোতিয়ারেজ। এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান। গত ২৩ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানালেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

৮ ডিসেম্বরের এই সম্মেলনের দ্বিতীয় অংশে আছে টেকনিক্যাল সেশন। এখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা নবীন ফ্রিল্যান্সারদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন শীর্ষস্থানীয় ও সফল ফ্রিল্যান্সাররা। এখানে তাঁরা নবীনদের দক্ষতা বৃদ্ধি, কাজের সমন্বয়, যোগাযোগ দক্ষতা ও অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবেন ও পরামর্শ দেবেন।

দেশের তরুণ প্রজন্মকে বেকারত্ব ও মাদকের মত ভয়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে আর স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে এধরণের সম্মেলন গুরুত্ব বহন করে বলে সংশ্লিষ্টদের মতামত, সেই সাথে প্রতিযোগিতামূলক বাজারের সাথে খাপ খাইয়ে চলার সক্ষমতা অর্জন করতে এধরণের সম্মেলন অবদান রাখবে বলে বিশ্বাস তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের।

ডিসেম্বরে হচ্ছে সিএসই উৎসবঃ CSE festival to be held on December

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উদ্যোগে আগামী ৪ ও ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চতুর্থ সিএসই উৎসব।দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই উৎসবে সারা দেশের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেবে।

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের সিএসই বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই উৎসবে থাকছে রোবটিক্স প্রতিযোগিতা, আইটি অলিম্পিয়াড, গেমিং প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন ওয়ার্কশপ ও সেমিনার। এছাড়া কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও আইটি অলিম্পিয়াড। বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য বিপণনকারী ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও এই মেলায় অংশ নিচ্ছে। এই উৎসবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সেমিনার ও ওয়ার্কশপে অংশ নেবেন ও আলোচনা করবেন দেশের খ্যাতনামা প্রযুক্তিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা।উদীয়মান প্রজন্মকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তির নবীনতম সংযোজনগুলোর সাথে পরিচিত করতেই এই আয়োজনঃ জানালেন উদ্যোক্তারা।

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন হতে যাওয়া এই উৎসবের আয়োজনে সহযোগিতায় রয়েছে জাতীয় বিতর্ক ফেডারেশন(এনডিএফ), বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক(বিডিওএসএন), ও গুগল ডেভলপার গ্রুপ(জিডিজি) বাংলা।

প্রাথমিক পর্যায়ের বই ডিজিটাল হচ্ছেঃ Primary students will get digital book.

প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে প্রথম প্রয়াস হল শিক্ষাক্ষেত্রকে তথ্যপ্রযুক্তির আলোয় আনা, আর তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগে শিক্ষাকে সমাজের ও দেশের সকল স্তরে পৌঁছে দেয়া। সবার হাতে শিক্ষা উপকরণ পৌঁছে দিতে প্রয়োজন তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ সাধন । এই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক স্তরের বেশ কিছু পাঠ্যপুস্তকের ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে এবং ন্যাশনাল কারিকুলাম এন্ড টেক্সটবুক বোর্ড, বাংলাদেশের(এনসিটিবি) সিলেবাস অনুযায়ী এই কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রাথমিকের মোট ৩৭টি বইয়ের মধ্যে ১৭টির ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ এপর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছে।

২৩নভেম্বর সোমবার রাজধানী ঢাকায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি(আইসিটি) বিভাগের সভাকক্ষে ‘ডেভলপিং ইন্টারএকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল ভার্সন অফ প্রাইমারী কন্টেন্ট’ কর্মসূচীর আওতায় ‘ ডিজিটাল কন্টেন্ট উপস্থাপনা’ অনুস্থানে প্রাথমিকের বই ডিজিটাল হওয়ার কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ।

‘প্রযুক্তির সহায়তায় এ ধরনের কর্মসূচী আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে দেবে, শিক্ষার সাথে আনন্দ যোগে বর্তমান সরকার অগ্রণী ভূমিকা রাখবে-অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান একথা বলেন।

মোট ৪ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ কর্মসূচী বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০১৪ সালের মার্চ মাস থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত। কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তা করছে ব্র্যাক ও সেভ দ্যা চিলড্রেন। প্রাথমিকের মোট ৩৭টি বইয়ের মধ্যে ১৭টির ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করা হবে, যার মধ্যে ১২টির ডিজিটাল সংস্করণ তৈরি করবে ব্র্যাক আর ৫টির ডিজিটাল সংস্করণ করবে সেভ দ্যা চিলড্রেন।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডঃ

গত ১৩ থেকে ২২ নভেম্বর ১০ দিন হয়ে গেলো আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ জ্যোতির্বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছিল ৪টি দেশের প্রতিযোগীরা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, রাশিয়া ও কাজাকস্থান। ঢাকার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গনে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

 

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা সবগুলো দল একজন করে টিম লিডারের দায়িত্বে ছিল। বাংলাদেশ দলে পাঁচজন সদস্য আর ২ জন লিডার, রাশিয়ার দলে একজন সদস্য আর একজন লিডার, শ্রীলঙ্কার দলে ছয়জন সদস্য আর ২ জন লিডার, কাজাকস্থানের দলে ৮ জন সদস্য আর ২ জন লিডার ছিল। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে তিনজন, বাংলাদেশের রাজশাহী কলেজের মোঃ মাহমুদুন্নবী, কাজাকস্থানের এগিসেভ দামির আর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ফাইরুজ ইশরাক। চারজন দ্বিতীয় পুরস্কার ও তিনজন তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে।

 

১৩ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হওয়া এই উৎসবের অবজারভেশন রাউন্ড ছিল ১৭ নভেম্বর। ১৮ তারিখ ছিল আড্ডা আর গল্প। ১৯ নভেম্বর ছিল ব্যবহারিক পর্ব। ২০ তারিখের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর প্রতিযোগীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিজ্ঞান জাদুঘরে। চূড়ান্ত বিজয়ী নির্ধারণ করা হয় ২১ নভেম্বর।

 

প্রতিযোগীদের মতে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি সাধারণ মানুষের উৎসাহ বৃদ্ধির জন্য ও আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মকে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিভিন্ন অলিগলির সাথে পরিচয় ঘটাতে এরকম জ্যোতির্বিজ্ঞান উৎসব খুবই সহায়ক, আর ভবিষ্যতেও এরকম আরও উৎসব হবে- এমনটিই আশা সংশ্লিষ্টদের।

ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৫ Dhaka Lit Fest 2015

প্রযুক্তি ও যান্ত্রিকতায় ভরা নাগরিক জীবনে সাহিত্যের কোমল ছোঁয়া এনে দিতে গত ১৯ থেকে ২১ নভেম্বর তারিখে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে হয়ে গেল ‘ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৫’। বিশ্ব সাহিত্যে বাংলার অবস্থান সুপ্রতিষ্ঠিত করা ও সমুজ্জল রাখার উদ্দেশ্য নিয়ে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আর এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘ সাহিত্য সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ্ব আমাদের চিনুক’

 

বাংলা একাডেমীর আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হওয়া এই উৎসবে উদ্বোধনী পর্বের শুরুতে ঘাসফড়িঙ কয়ারের শিল্পীরা তাদের নান্দনিক পরিবেশনা দিয়ে বর্ণিল করেন উৎসব অঙ্গন। এরপর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন উৎসবের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ভারতের নারীবাদী প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক নয়নতারা সেহগাল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হ্যারল্ড ভারমাস। উৎসবে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে কবিতাপাঠ, বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, শিশুতোষ গল্প বলা, নাচগানসহ আরও অনেক আয়োজন ছিল। সাহিত্যিক, কবি, শিল্পানুরাগী বিদগ্ধজন, সমালোচকসহ ১৪টি দেশের ২৫০ জন অতিথি এ উৎসবে যোগ দেন। ২০১১ সালে ‘হে ফেস্টিভ্যাল ঢাকা’ নামে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন হয়েছিল যার পরিবর্তিত রূপ আজকের এই ‘ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৫’।

 

উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাদের সাহিত্যকে বৈশ্বিক সৃজনশীলতার প্রাঙ্গনে তুলে ধরা। এছাড়াও প্রথমবারের মত বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল ওয়াসাফিরিতে বাংলাদেশ সংখ্যার প্রকাশনা উৎসব হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের লেখকদের লেখা স্থান পেয়েছে। এধরনের সাহিত্য উৎসব দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে শুভবোধের জাগরণ ঘটাবে ও আমাদের সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছুতে সাহায্য করবে-এমনটাই আশা সংশ্লিষ্ট সকলের।

‘চার্লস ওয়ালেস বাংলাদেশ ট্রাস্টের’ বৃত্তির সুযোগঃ The Charles Wallace Bangladesh trust scholarship

১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত চার্লস ওয়ালেস বাংলাদেশ ট্রাস্ট ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাথে সমন্বয় করে শিক্ষা ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নের উদ্দেশে উচ্চতর গবেষণার জন্য বৃত্তি প্রদান করে থাকে। চার্লস ওয়ালেস বাংলাদেশ ট্রাস্ট প্রথমে ব্রিটিশ কাউন্সিলের অধিভুক্ত ছিল, পরে এটি স্বতন্ত্রভাবে কার্যক্রম চালায়। এটির কার্যক্রম মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত।ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাথে সমন্বয় সাধন, আর ইউকেতে অবস্থানরত ফাইনাল ইয়ারে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ডক্টরাল ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান করা।

ভিজিটিং ফেলোশিপ আর ভিজিটিং আর্টিস্টঃ  ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাথে সমন্বিতভাবে চার্লস ওয়ালেস বাংলাদেশ ট্রাস্ট দুটি বিষয়ের উপর কাজ করে, ভিজিটিং ফেলোশিপ আর ভিজিটিং আর্টিস্ট। এই প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য থাকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ সপ্তাহ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের জন্য ফান্ডিং ও ভিসার ব্যবস্থা করা। আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, আর এই প্রোগ্রামটি মূলত মিড ক্যারিয়ার প্রফেশনাল অর্থাৎ ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের জন্য পরিকল্পিত, আর যুক্তরাজ্যের কোনও ফার্ম থেকে অফার লেটার পেয়েছেন এমন হতে হবে আবেদনকারীকে। এ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা মাসে ১৩০০ পাউন্ড করে ভাতা আর ভিসার ব্যপারেও সহায়তা পাবেন।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনঃ Reunion in SERE BANGLA Agricultural University

গত ১৬ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেলো এর প্রথম সমাবর্তন। ২০০১ সাল থেকে অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের পর থেকে প্রত্যেক ব্যাচের প্রথম হওয়া মোট ২২ জন শিক্ষার্থীকে দেয়া হয় স্বর্ণপদক।

 

সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় দুপুর ২.৩০ মিনিটে, চলে বিকাল চারটার পরেও।বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় এই অনুষ্ঠানটি। দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন ও স্মৃতিচারণ আচ্ছন্ন করে রাখে অংশগ্রহণকারীদের। বিকেলে অনুষ্ঠানের সমাপনের আগে ছিল সঙ্গীতমূর্ছনার আবেশ, জেমসের কনসার্টের মাধ্যমে শেষ হয় উৎসবের।কনসার্টের প্রবেশ ছিল ফ্রি।

১৯৩৮ সালে বেঙ্গল কৃষি ইন্সটিটিউট নামে প্রতিষ্ঠিত সাধারণ কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।