জলবায়ু সম্মেলন বিষয়ক পদযাত্রা:rally on climate change

বৈশ্বিক উন্নয়ন ও সভ্যতার অগ্রযাত্রা ক্রমশ বাড়ছে, বাড়ছে মানুষের জীবনযাত্রার মানও। কিন্তু সেই সাথে বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং। উন্নয়নশীল দেশগুলো ছাড়াও উন্নত বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই গ্লোবাল ওয়ার্মিং। সমুদ্রের পানির স্তর বেড়ে যাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও হাজারো সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে মানুষ, সারা বিশ্বেই। সেই ধারাবাহিকতায় ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জলবায়ু সম্মেলন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সম্মেলন। আর সেই উপলক্ষকে সামনে রেখে ঢাকায় হয়ে গেল পদযাত্রা।

আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধ ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন যখন বিশ্ব নেতারা, তখন সেই উদ্যোগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে ২৮ নভেম্বর শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে বের হয় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন পদযাত্রা বাংলাদেশ ২০১৫। এই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদ্রেষ্টা ডঃ সুলতানা কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃআ আ মস আরেফিন সিদ্দিক, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবৃন্দ। এছাড়া অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও। বিভিন্ন বেসরকারি ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। পদযাত্রা শুরু হওয়ার প্রাক্কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃআ আ মস আরেফিন সিদ্দিক তাঁর বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের যে চলমান প্রক্রিয়া তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ, দেশের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে প্রতি বছর বার বার বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলোচ্ছ্বাস, খরা ও নদীভাঙন হচ্ছে। উষ্ণতা বাড়ায় সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে। দেশের অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর সে তুলনায় তেমন কোন ক্ষতিপূরণ আমরা পাচ্ছি না বলে মন্তব্য করেন তিনি। এজন্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশসহ দক্ষিন এশিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান তিনি।

জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সব মানুষের জীবন ধারনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আর বৈশ্বিক উষ্ণতা সেই পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যকে, সেই সাথে মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন ও আমাদের দেশে হয়ে যাওয়া এই পদযাত্রা জলবায়ু ও আবহাওয়ার ভারসাম্য রক্ষায় রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা-এটিই আমাদের প্রত্যাশা।