ই-মেইল

ই-মেইল

Name: Anisur Rahaman

ইলেক্ট্রোনিক মেইল সকলের নিকট ই-মেইল নামে পরিচিত।এটি হচ্ছে ইলেক্ট্রোনিক পদ্ধতির মাধ্যমে লিপিবদ্ধ তথ্য বিনিময়ের ব্যবস্হা।এই পদ্ধতির প্রয়োজনীয় বস্তু হচ্ছে একটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার,একটি মডেম এবং একটি টেলিফোন সংযোগ অথবা এক টি মাল্টিমিডিয়া মোবাইল।এর জন্য দরকার হয় একটি এ-মেইল হিসাব নম্বর।ব্যক্তিগত কম্পিউটার স্হাপিত ইলেক্ট্রোনিক ডাক বক্সে ই-মেইল পৌঁছে দেয়া হয়।এক দেশ থেকে অন্য দেশে তথ্যাদি প্রেরন করতে সময় লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। টেলিফোন যোগাযোগের ব্যয়ের চেয়ে এর ব্যয় অনেক কম।এতে গোপনীয়তা রক্ষা হয় কারন এটি ব্যক্তিগত ডাক বক্সে পৌঁছান হয়।এতে কেবল উদ্দিষ্ট প্রাপকিই এতে প্রবেশ করতে পারে এবং এটি খুলতে পারে।ই-মেইল এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিদা হচছে,অফিসের কগজপত্রের ব্যবহার হ্রাস করার ব্যাপারে এর ক্ষমতা।আজকাল ব্যবসা ব্যনিজ্য এই দ্রত যোগাযোগে ব্যবস্থাটির উপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছে।ই-মেইল আমাদের আন্তর্জাতিক জগতের সম্মুখীন হওয়ার সুযোগ প্রদান করে। এটি পৃথিবীর যেকোন অংশে প্রায় তাৎক্ষানিকভাবে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং দূরবর্তী অঞ্চলসহ বিসব্যপী নেট-ওয়ার্ক বজায় রখে।

মিডিয়া প্লেয়ার ও এর কাজের ধারা : Media Player and How does it work.

শিরোনাম: মিডিয়া প্লেয়ার ও এর কাজের ধারা।

—-বেথুন কুমার বর্মন
Email: bethun09@yahoo.com

আমরা সকলেই মুভি, গান, নাটক, হোম ভিডিও ইত্যাদি নানা ধরনের ভিডিও ওহোরহো দেখে আসছি।
কেউ শেখার জন্য দেখে, কেউ মজা পাওয়ার জন্য, কেউ স্মৃতি চারনের জন্য।
আবার কেউ কেউ পেষার খাতিরে ভিডিও দেখে থাকে। মুভি সেনসর বোর্ড এ গেলে তার কতৃপক্ষকে দেখে সারটিফায়েড করতে হয়।
ভিডিও ইডিটররা অনবরত বিভিন্ন ভিডিও দেখে আর সেটাকে ইডিট করে আমাদের তাক লাগানো আনন্দ দিতে থাকে।
তো আমরা যে বিভিন্ন ভাবে এইসব ভিডিও দেখি তার বেশির ভাগই কিন্তু আমরা মিডিয়া প্লেয়ারে চালিয়ে দেখি।
VCR,CD Player, DVD Player, mp3 বা mp3 Player বা iPod আসলে এগুলো সবিই মিডিয়া প্লেয়াল।
বিভিন্ন মিডিয়া File এরা প্লে করে।
তো এখনকার যুগে মিডিয়া File সবচেয়ে বেশি প্লে করা হয় Computer এ।
এখানে Computer বলতে Desktop Computer বা Laptop Computer কেই বুঝাচ্ছি। এদিকে হালের Tablet PC, Android, iPhone
কেও ছোটমোট Computerই বলা যায়।
তো আমরা এইসব ডিভাইসকে ব্যবহার করি বিভিন্ন মিডিয়া File চালনা করার জন্য। আর বিভিন্ন মিডিয়া File চালনা করার জন্য চাই বিভিন্ন মিডিয়া প্লেয়ার।
এখন সেই মিডিয়া File হোক ভিডিও বা অডিও বা স্টিল পিকচার বা অন্যকিছু।

এখন প্রতিটি মিডিয়ারই একটা নির্দিষ্ঠ Format থেকে থাকে। আর থাকে File Extension.
আমরা কোন মিডিয়া File এর File Extension দেখে এর Format চিনতে পারি।

Internet এর আমরা বিভিন্ন প্রকার Media Player পেতে পারি।
Paied Media Player রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার জন্য আপনাকে টাকা গুনতে হবে।
আাবার রয়েছে ফ্রি Media Player, ফ্রি Media Player গুলো আবার দু রকম হয়ে থাকে।

১. ফ্রি+ওপেনসোর্স
২. ফ্রি+ক্লোজসোর্স

ফ্রিগুলো ফ্রিই, কোন টাকা পয়সা দিতে হয় না। ওপেনসোর্স গুলোতে ডেভলপার আপনাকে সোর্সকোড দিয়ে দেয়, যাতে আপনি
ঐ মিডিয়া প্লেয়ারকে ইচ্ছেমত ডেভলপ করতে পারেন।
আর ক্লোজসোর্স গুলোতে ডেভলপার আপনাকে মিডিয়া প্লেয়ারকে মডিফাই করার কোন অনুমতি দেয় না।

এখন Format আর File Extension সমন্ধ্যে সামান্য জেনে নেই।

আজকাল ভিডিও দেখার জন্য সবচেয়ে বেশি যে Format গুলো ব্যবহার হচ্ছে সেগুলো হচ্ছে

1. Matroska (এর File Extension .mkv)
2. Moving Picture Experts Group এর MPEG4 (এর File Extension .mp4)
3. Audio Video Interleaved এর AVI (এর File Extension .avi)
4. Apple এর QuickTime File Format (এর File Extension .mov)
5. Adobe Flash Player এর Flash Video (এর File Extension .flv)
6. MPEG এর আরো একটি Format MPEG Transport stream (এর File Extension .ts)
7. MPEG এর আরো একটি Format MPEG-2 transport stream (এর File Extension .m2ts)
8. MPEG এর অডিও Audio Format (এর File Extension .mp3)

এছাড়াও VCD এর জন্য .dat আর DVD এর জন্য .vob তো রয়েছেই।

তো উপরে যেগুলো নিয়ে আলোচনা করলাম সেগুলো সবগুলোই মোটামুটি Media Container বা Digital Container Format.
বিভিন্ন মিডিয়া File Compress করে Container formats এ ঢুকানো হয়।

ধরা যাক কোন একটা ফাইল এর Extension হচ্ছে .mkv
তো আমাকে সাধারন ভাবে বুঝতে বুঝতে হবে যে এই ফাইলটাতে কমপক্ষে একটা ভিডিও ফাইল ও একটি অডিও ফাইল আছে।
এবং সেই ভিডিও ফাইল ও অডিও ফাইলের Extension যে কোন Format এর হতে পারে।
.mkv ঐ অডিও-ভিডিও ফাইলকে একখানে করেছে মাত্র।

এখন Media Player কী কী ধাপে কাজ করে সেটা জেনে নেই।
Media Player এ 3টি ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পরে একটি অডিও বা ভিডিও ফাইল প্লে হয়।
এই তিনটি ধাপ সম্পন্ন করার জন্য একটা Media Player এ তিনটি জিনিস থাকতে হয়।

১. Media Splitter
২. Media Decoder
৩. Media Renderer

এখন একটি ভিডিও ফাইল যখন আমরা কোন Media Player এ চালু করতে যাবো তখন প্রথমেই ভিডিও ফাইল থেকে
Media Splitter এর মাধ্যমে অডিও, ভিডিও Split করে আলাদা করা হয়।

এর পর ঐ অডিও, ভিডিও চলে যায় Media Decoder এর কাছে। যেহেতু বেশিরভাগ Media File বিভিন্ন Media Format এ Compress
করা থাকে তাই Decoder সেগুলোকে Decode করে পাঠিয়ে দেয় Media Renderer এ।

Media Renderer ঐ অডিও-ভিডিও ফাইল এর কোয়ালিটি কন্ট্রল করে।
কতো ফ্রেম এ চলবে ভিডিও। কত বিট রেটে অডিও-ভিডিও Output দিবে। ভিডিও আপস্কেলিং-ডাউনস্কেলিং।
ভিডিও কালার ইত্যাদি নানা বিষয়ে কোয়ালিফাইড হয়ে তবেই একটা ভিডিও ফাইল Media Player এর মাধ্যমে আমরা দেখতে ও
এর সাউন্ড উপভোগ করতে পারি।

অথচ এই পুরো কাজটা সম্পন্ন হয় 1সেকেন্ডেরও কম সময়ে। মজা না !!!

আজ আর না। নিচে কিছু জনপ্রিয় Media Player এর নাম দিয়ে আজ শেষ করছি।

1.Media Player Classic
2.VLC media player
3.Windows Media Player
4.Adobe Flash Player
5.Pot Player
6.The KMPlayer
7.CyberLink PowerDVD
8.iTunes
9.KM Player

আইফোন ৬ এর সম্পর্কে কিছু ধারনা।

আইফোন ৬ এর সম্পর্কে কিছু ধারনা।

Maher Bappy

‘আইফোন ৬’ দেখতে কেমন হবে, তা নিয়ে আইফোনপ্রেমীদের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে জল্পনা-কল্পনা। এরই মধ্যে নতুন আইফোনের ডিজাইনার স্যাম বেকেট কয়েক দিন আগে ইউটিউবে প্রকাশ করলেন একটি ‘কনসেপ্ট ভিডিও’। এতে দেখানো হয়েছে ‘আইফোন ৬’ আসলে দেখতে কেমন হবে? আগের ‘আইফোন ৫এস’-এর মতো দেখতে হলেও একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, এর হোমস্ক্রিনে আছে ‘আইওএস৮’ এবং ‘হেলথবুক অ্যাপ’। ভিডিওতে দেখা গেছে, এতে আছে ৪.৭ ডিসপ্লে, ১৯২০ বাই ১০৮০ পিক্সেল, ৪৬৮ পিপিআই, ১০ মেগাপিক্সেল সেন্সর এবং এটি আগের মডেল থেকে ৯ শতাংশ পাতলা।

কিভাবে আপনার কম্পিউটারকে শর্টকাট ভাইরাস মুক্ত করবেন

ইমরান আহমেদ

 

কম্পিউটার ব্যাবহারকারীদের নিকট একটি আতঙ্ক হল শর্টকাট ভাইরাস। বহু উন্নতমানের অ্যানটি ভাইরাস ব্যাবহার করেও অনেকে এই সমসসা থেকে মুক্তি পান না। আমিও বেশ কয়েকদিন যাবত এই সমস্যায় জর্জরিত থাকার পর আমার এক বন্ধুর নিকট ভালো একটা সমাধান পাই। নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করলে যে কেউ শর্টকাট ভাইরাস দূর করতে পারবেন বলে আশা করিঃ

প্রথমত, এই লিংক থেকে http://en.kioskea.net/download/download-11613-autorun-exterminator সফটওয়্যার ‘AutorunExterminator’ ডাউনলোড করুন।

সফটওয়্যারটি ইন্সটল করলে আপনার autorun.inf ফাইলগুলো ড্রাইভ থেকে মুছে যাবে।

দ্বিতীয়ত, “Start” –>Run –> এ গিয়ে cmd লিখুন এবং ok button চাপুন। ধরুন আপনার ড্রাইভটি যদি G হয়, তাহলে নিম্নোক্ত কমান্ডটি লিখুন- attrib -h -r -s /s /d g:\*.* তারপর, আপনার ফাইলগুলোকে ড্রাইভটিতে চেক করুন।

তৃতীয়ত, এই লিংক http://en.kioskea.net/download/download-105-malwarebytes-anti-malware হতে ‘Malwarebytes’ Anti-Malware সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন। ইহা আপডেট করুন এবং ফুল স্কেন করুন।

আশা করি এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনার সমস্যার সমাধান হবে। এছাড়া, উইন্ডোজ সেটআপ করার মাধ্যমেও আপনি এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

ব্যান্ডউইডথ্‌

ব্যান্ডউইডথ্‌

Iraj Elahi
এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে প্রতি একক সময়ে যে পরিমাণ ডেটা বা বাইনারি বিট স্থানান্তরিত হয় তাকে ডেটা ট্রান্সমিশন হার বা Bandwidth বলে। ব্যান্ডউইডথ্‌ সাধারণত bit per second (bps) এ হিসাব করা হয়। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা ট্র্যান্সমিট করা হয় তাকে ব্যান্ড স্পিড বা ব্যান্ডউইডথ্‌ বলে । ডেটা ব্যান্ডউইডথ্‌কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা –
১। ন্যারো ব্যান্ড (Narrowband)
২। ভয়েস ব্যান্ড (Voiceband)
৩। ব্রড ব্যান্ড (Broadband)
ন্যারো ব্যান্ড (Narrowband)
সাধারণত 45bps থেকে 300bps পর্যন্ত গতিতে ন্যারো ব্যান্ডে ডেটা স্থানান্তরিত হয়ে থাকে এবং এটি Sub Voiceband নামেও পরিচিত । যে সকল ক্ষেত্রে ধীরগতিতে ডেটা ট্রান্সফার দরকার সে সকল ক্ষেত্রে এই ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়। যেমন- টেলিগ্রাফ।

ভয়েস ব্যান্ড (Voiceband)
এই ব্যান্ডের গতি 1200bps থেকে 9600bps হয়। সাধারণত টেলিফোন লাইনে এই ব্যান্ডউইডথ্‌ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া কম্পিউটার ও পেরিফেরাল যন্ত্রপাতিতে ডেটা ট্রান্সফার করতে ভয়েস ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়।

ব্রডব্যান্ড (Broadband)
এই ব্যান্ডউইডথ্‌ 1Mbps থেকে অনেক উচ্চগতি পর্যন্ত হয়ে থাকে । মাইক্রোওয়েভ , অপটিক্যাল ফাইবার কেবলে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ব্রড ব্যান্ড ট্রান্সমিশন ব্যবহার করা হয় ।

অস্তিত্ব সংকটে স্ক্যানার

শুধুমাত্র কথা বলার যন্ত্র হিসেবে আবিষ্কৃত হলেও মোবাইল ফোনে আজ কি না হয়? ছবি তোলা, গান শোনা, মুভি দেখা এমনকি ইমেইল করার কাজটিও আজ পকেটে থাকা এই ছোট ডিভাইসের মাধ্যমে করা সম্ভব। সেই সাথে এই একটি ডিভাইসই দখল করে নিয়েছে অনেকগুলি ডিভাইসের জায়গা। দশ বছর আগের কথাই চিন্তা করুন। বিয়ে বা কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে একটি ক্যামেরা সংগ্রহ করতে কতজনের কাছেই না ধরনা দিয়েছেন। কিন্তু আজ শুধু বিয়ের অনুষ্ঠানই নয় বরং অতি তুচ্ছ কোন কারণে ক্যামেরার দরকার হলে নিজের পকেটেই হাত দিচ্ছেন। আলাদা ক্যামেরা কেনার চিন্তা এখন খুব কম সংখ্যক মানুষই করে থাকেন। কারন পকেটে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েই প্রায় কাছাকাছি মানের ছবি তোলা যাচ্ছে। যদিও প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের কাছে মোবাইল ফোন এখনো খেলনার মতই রয়ে গেছে। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই দৃশ্য পাল্টে যেতে পারে। কারন ৪১ মেগা পিক্সেল ক্যামেরাযুক্ত লুমিয়া ১০২০ তৈরির পর নির্মাতারা এবার ডিএসএলআর ক্যামেরার বাজার দখলে তৎপর। মোবাইল ফোনের এই অব্যাহত আগ্রাসনের ফলে এরই মধ্যে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে আরেকটি বহুল ব্যবহৃত ডিভাইস স্ক্যানার। অনেক আগে থেকেই ছোট খাটো ডকুমেন্ট স্ক্যান করতে হলে মোবাইলের ক্যামেরাতেই সেরে ফেলতাম। সম্প্রতি ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করতে গিয়ে প্রথম কোন সিরিয়াস কাজে এই শিশুসুলভ কাজটি করলাম।ওডেস্কই এরকম টিপস দিয়েছে। যাদের স্ক্যানার নেই শুধু তাদের জন্য।

ওডেস্ক অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই

ফোন কোম্পানিগুলোও ক্যামেরার এই ব্যতিক্রমী ব্যবহারকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। লেটেস্ট মডেলের প্রায় সব ফোনেই লেখা স্ক্যান করতে ক্যামেরায় আলাদা প্রিসেট জুড়ে দেয়া হচ্ছে যার মাধ্যমে আরও ভালোভাবে লেখা স্ক্যান করা যায়। শুধু তাই নয় বেশ কিছু থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশনে অপটিক্যাল কারেক্টার রিকগনিশন বা ওসিআর সুবিধাও পাওয়া যায়। সবাই যখন মোবাইল ফোনের স্ক্যানিং সুবিধাকে এতোটা গুরুত্ব দিচ্ছে তখন আমরাও প্রয়াস পাই এর নানাদিক নিয়ে কিছু প্যাঁচাল চালানোর। পোস্টের শেষভাগে থাকছে কিছু টিপস যার মাধ্যমে আপনার স্ক্যানিং এর হাতকে আরেকটু দক্ষ করে তুলতে পারেন। একটু ভুল হয়ে গেল মনে হয়! মোবাইলতো এখন আর মোবাইল নেই। এটি হয়ে গেছে স্মার্টফোন। তাই এখন থেকে স্মার্টফোন বলাই ভালো।

স্ক্যানার বনাম স্মার্টফোনঃ ভাবুন তো! আপনার বন্ধুর করা অ্যাসাইনমেন্টের দুটি পৃষ্ঠা আপনার খুব দরকার। প্রয়োজন থাকায় আপনাকে ধারও দেয়া যাচ্ছে না। ফটোকপির দোকানও বেশ দূরে। পকেটে থাকা কোন যন্ত্র যদি এসময় উদ্ধার করতে পারে তবে স্মার্টফোন। হ্যাঁ পোর্টাবাইলিটির কথাই বলছি। এক্ষেত্রে স্মার্টফোনকে ১০০ দিয়ে স্ক্যানারকে জিরোই দিতে হয়। কারণ পিসি সহ স্ক্যানার সাথে নিয়ে কি আর ঘোরা সম্ভব? আবার একই ডিভাইসে স্ক্যান করা ও পড়ার কাজ করা যায় বলে স্মার্টফোনকে আরেকটু এগিয়ে রাখতে পারেন। সেই সাথে অন্য বন্ধুর সাথে শেয়ার করার সুবিধাতো থাকছেই। ক্যামেরার মেগা পিক্সেল যদি অনেক বেশি হয় তাহলেতো কথাই নেই সাধারণ স্ক্যানারের চেয়েও বড় করে স্ক্যান করতে পারবেন। তবে স্ক্যান করা ডকুমেন্টটি যদি সিরিয়াস কাজে ব্যবহৃত হয় তবে মাথায় রাখুন সবাই ওডেস্কের মত উদার নয়। কারণ স্মার্টফোনে স্ক্যান করতে গেলে কিছু সমস্যাও পাবেন। সাধারণ স্ক্যানারের চেয়ে ফোনে নানা সেটিং পরিবর্তন করে লেখা স্ক্যান করা বেশ ঝামেলা এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই দু-তিন পৃষ্ঠার বেশি স্ক্যান করতে স্ক্যানারই ব্যবহার করা উচিৎ। এছাড়া ফোনটি যতই সোজা করে ধরুন না কেন কাগজ কিন্তু কখনোই পুরোপুরি সোজা হবে না। তাই কাগজের বাইরে কিছু বাড়তি অংশসহ স্ক্যান হবে।

আলোর তারতম্য এবং বাকা স্ক্যান

আলোর তারতম্য এবং বাকা স্ক্যান

সাধারণ স্ক্যানার বদ্ধ পরিবেশে নিয়ন্ত্রিত আলোয় স্ক্যান করে। কিন্তু ক্যামেরায় তা অসম্ভব। তাই কাগজের বিভিন্ন স্থানে আলোর তারতম্য খেয়াল করার মত পর্যায়ে থাকে। আবার স্ক্যানার শুধুমাত্র লেখাই স্ক্যান করে কিন্তু ক্যামেরা কাগজসহ ছবি তোলে। এতে স্ক্রিনে পড়তে ভালো লাগলেও প্রিন্ট করার সময় কালো কালো ছোপ তৈরি করে। ফলে লেখা কিছুটা অস্পষ্ট আসতে পারে। তাই ভবিষ্যতে যাই হোক স্ক্যানারকে এখনোই স্মার্টফোন দিয়ে রিপ্লেস করা যাচ্ছে না

ikt

প্রিন্ট করা ডকুমেন্টে কালো ছোপ

স্ক্যান কোয়ালিটি বাড়াবেন যেভাবেঃ

আপনি স্মার্টফোন দিয়ে যতটা ভালো স্ক্যান করেন তাতে হয়ত আপনার প্রয়োজন মিটে যায়। আরেকটু ভালো স্ক্যান করে যদি স্ক্যানারের আরেকটু কাছাকাছি যাওয়া যায় তাহলে কেমন হয়? এজন্য সাধারণ কিছু নিয়ম অনুসরণ করুন। ক্যামেরা চালু করে মুড বা প্রিসেট অপশনে গিয়ে টেক্সট/টাইপ সিলেক্ট করুন।

Text/Type preset

যদি টাইপ প্রিসেট না থাকে তবে Auto সিলেক্ট করুন। এবারে টেবিলের উপর কাগজটি সমতল ভাবে স্থাপন করুন। ক্যামেরাটি এমনভাবে ধরুন যাতে কাগজের প্রান্তগুলি স্ক্রিনের প্রান্ত স্পর্শ করে। আগেই বলেছি হাজার চেষ্টা করেও পুরোপুরি সোজাভাবে স্ক্যান করা যাবে না। কিন্তু যতটুক করা যায় আর কি। এবার শাটার রিলিজ বাটন হালকা ভাবে চেপে কিংবা স্ক্রিনের মাঝখানে টাচ করে ফোকাস করুন। উল্লেখ্য এভাবে ফোকাস করার সুবিধা সব ফোনে থাকে না। যাই হোক ফোকাস করার পর দেখুন কেমন দেখায়। Exposure পরিবর্তন করে আলো কমাতে বা বাড়াতে পারেন। তবে ডকুমেন্ট যদি প্রিন্ট করতে চান তাহলে এক্সপোজার বেশি দিয়ে তোলাই ভালো। এতে প্রিন্ট করার সময় কাগজের টেক্সচার কম আসবে। তবে এক্সপোজার ফুল দিয়ে ওভার এক্সপোজ করে ফেলবেন না। আলো খুব কম হলে ফ্লাশ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু প্রয়োজন না হলে ফ্লাশ ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ ফ্লাশ ব্যবহার করলে প্রান্তের তুলনায় মাঝখানে বেশি উজ্জ্বল আসে। এইসব অ্যাডজাস্টমেন্ট করার পর আবার ফোকাস করুন দেখুন। সব ঠিক থাকলে শাটার রিলিজ বাটন চেপে ছবি তুলুন। আর হ্যাঁ স্ক্যান করার কাজটি আরেকটু সহজ ও গতিময় করতে থার্ড পার্টি অ্যপ্লিকেশন CamScanner ব্যবহার করতে পারেন। এটি স্ক্যান করা ছবিকে সরাসরি পিডিএফ ফরম্যাটে কনভার্ট করে

gwf

আর এজ ডিটেকশন ফিচার থাকায় এটি নিজে থেকেই কাগজের বাইরে থাকা বাড়তি অংশ ক্রপ করে বাদ দিয়ে দেয় এবং অবশিষ্ট থাকা কাগজকে ফটোশপের মত ট্রান্সফর্ম করে সোজা করে দেয়। তাই স্ক্যান করার সময় কাগজ সামান্য বাঁকা উঠলেও সমস্যা নেই। এছাড়া আরও অন্যান্য ফিচার তো রয়েছেই তাই আপনার যদি আইওস কিংবা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটেড ফোন থাকে তবে অবশ্যই এই ফ্রি অ্যাপ্লিকেশনটি যথাক্রমে AppStore অথবা Google Play থেকে ডাউনোলোড করে নিবেন। আজ এ পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ।

এবার দূর থেকেই নিয়ন্ত্রণ করুন আপনার পিসি : Remote Control for Your PC

এবার দূর থেকেই নিয়ন্ত্রণ করুন আপনার পিসি

K.A.S.M. Saif Uddin

কম্পিউটার বাবহারকারিদের জন্য গুগল নিয়ে এল দারুন এক অ্যাপ্লিকেশন। এই অ্যাপ্লিকেশনের নাম এর “ক্রোম রিমোট ডেস্কটপ” । এর মাধ্যমে যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস দিয়ে দূর থেকেই নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন আপনার ডেক্সটপ কম্পিউটার।এর সম্পর্কে গুগল জানিয়েছে, প্রথমে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ স্টোর ‘প্লে স্টোর’ থেকে ক্রোম রিমোট ডেস্কটপ অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে এবং গুগল আইডি দিয়ে লগইন করলে দূর থেকে ডেস্কটপ চালানো যাবে।অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস থেকে ডেস্কটপের নিয়ন্ত্রণ নিতে একটি পিন নম্বর দিতে হবে। ডেস্কটপে রিমোট অ্যাকসেস সেট করতে হলে এই পিন নম্বর দিতে হবে। তবে দূর থেকে অ্যান্ড্রয়েডচালিত পণ্য দিয়ে ডেস্কটপ চালাতে হলে ডেস্কটপটি অবশ্যই চালু থাকতে হবে এবং ইন্টারনেট সংযোগও চালু থাকতে হবে।
গুগল আরও জানিয়েছে, এই অ্যাপটি ম্যাক, উইন্ডোজ, গুগল ওএস কিংবা লিনাক্স যেকোনো অপারেটিং সিস্টেম চালিত পিসিতে এই অ্যাপটি কাজ করবে।
চলতি বছরের শুরুতেই দূর থেকে ডেস্কটপ নিয়ন্ত্রণের জন্য আইওএস অ্যাপ উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল গুগল।

ফটোশপে বাংলা লিখুন অভ্র দিয়ে

ফেসবুক কিংবা ব্লগসহ পিসির যেকোন জায়গায় বাংলা লিখার কৃতিত্ব অভ্রকেই দিতে হয়। কিন্ত এতসব জায়গায় বাংলা লিখতে পারলেও ফটোশপ কিংবা ইলাস্ট্রেটরে অভ্র যেন একেবারেই অক্ষম। তাই এক্ষেত্রে সেই পুরোনো বিজয়ের দ্বারস্থ হন অনেকেই। কারন বিজয় সাধারণত ANSI ফরম্যাটে লেখে। আর অভ্র লেখে ইউনিকোড ফরম্যাটে। এই ইউনিকোডের কল্যাণে যেখানে সেখানে বাংলা লেখা সম্ভব হলেও ফটোশপ কিংবা ইলাস্ট্রেটর ইউনিকোড সাপোর্ট করে না। কিন্ত অভ্র দিয়েও ANSI ফরম্যাটে লেখা যায় এবং তা ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটরেও সাপোর্ট করে। এজন্য Tools and settings এ ক্লিক করে Output as ANSI বাটনে ক্লিক করুন।

ুাীৈ

wg মুড সুইচ

একটি উইন্ডো আসবে। এতে Use ANSI anyway বাটনে ক্লিক করুন।

এবারে একটি ANSI ফন্ট সিলেক্ট করে নির্বিঘ্নে বাংলা লিখতে থাকুন। এখন প্রশ্ন থাকতে পারে ANSI ফন্ট চিনবেন কিভাবে? এর উত্তর হলো আপনি যদি আলাদা কোন ANSI ফন্ট ইন্সটল করে না থাকেন তাহলে অভ্রের সাথে ইন্সটল হওয়া Siyam Rupali ANSI ফন্ট ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু ANSI ফন্টগুলির নাম বেশিরভাগ সময় ঝড়ঃহুহুগম বা এই ধরনের নামে শো করে। ফলে নির্দিষ্ট ফন্ট খুজে পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। কিন্তু Siyam Rupali ANSI সব সময় Siyam Rupali ফন্টের পরেই অবস্থান করে। আর তাই Siyam Rupali এর পরের ফন্টটি চোখ বন্ধ করে সিলেক্ট করতে পারেন। এছাড়া পিসিতে যদি বিজয় ইন্সটল করা থাকে তাহলে বিজয়ে ব্যবহৃত ফন্টসমুহ ব্যবহার করেও ফটোশপে লিখতে পারেন। আর ফন্টের ভ্যারিয়েশন চাইলে বাড়তি ফন্ট নিজে ইন্সটল করে নিন। বাজারে ফন্ট কালেকশনের বেশ কিছু ডিভিডি পাওয়া যায়। আপাতত কিছু ANSI ফন্ট এখান থেকে ফ্রি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ফটোশপে লেখা শেষ হলে আবার সেটিংসে ক্লিক করে Output as Unicode বাটনে ক্লিক করুন। নতুবা ফেসবুক সহ অন্যান্য জায়গায় বাংলা লিখতে পারবেন না।

While লুপ, Do-While লুপ, For লুপ, try-catch-finally ব্লক:

While লুপ, Do-While লুপ, For লুপ, try-catch-finally ব্লক:
এবং break, continue বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি:
while লুপ:
while(condition){
//do something
}
do-while লুপ:
do{
//do something
}while(condition);
for লুপ:
for(initial_value;condition;increment){
//do something
}
try-catch-finally ব্লক:
try{
//try something
}catch(Exception e){
//do something if exception occurs
}finally{
//do something even if exception occurs or not
}
break, continue:
break; //লুপ থেকে বেরিয়ে আসবে
continue; //বাকি অংশ বাদ দিয়ে লুপ এর শেষে চলে যাবে

আসা করি উপরের বিষয় গুলো ভাল ভাবে অনুশীলন করলে আপনি ভাল ফলাফল পাবেন।

অনলাইনে নিরাপদে থাকার কিছু উপায় বা কৌশল

অনলাইনে নিরাপদে থাকার কিছু উপায় বা কৌশল

আমরা জানি যে ইন্টারনেট হল দ্রুত যোগাযোগের, ব্যাবসায় বানিজ্যের, বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহের, এন্টারটেইনমেন্টের একটা ভাল মাধ্যম। কিন্তু পাশাপাশি এর ক্ষতিকর দিকটা সম্পর্কেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। নিরাপদ ব্রাউজিংয়ের জন্য কিছু পরামর্শ নীচে দেয়া হল।

কখনো আনলাইনে খুববেশী ব্যক্তিগত তথ্য দিবেন না – অনেক বাজে ধরনের লোক আছে যারা অন্যদের ক্ষতি করতে চায় বিশেষ করে শিশু ও টিনএজদের উপর। তাই আপনার প্রোফাইল পেজ, ব্লগ, চ্যাটরুম, ইন্সটেন্ট ম্যাসেন্জার বা ইমেইলে কখনো খুববেশী ব্যক্তিগত তথ্য দিবেন না।

* সবসময় নিকনেম ব্যাবহার করুন নিজের নামের পরিবর্তে।

* কখনো আপনার ঠিকানা, টেলিফোন নাম্বার দিবেন না এমনকি এইগুলি পাওয়া যেতে পারে এমন কোন লিন্কও দিবেন না।
আরো বিস্তারিত – http://www.tunerpage.com/archives/363949

* অপরিচিত কাউকে আপনার ছবি পাঠাবেন না।

* নিজেকে অনলাইনে সবসময় নিরাপদ ভাববেন না কারন বিভিন্ন ভাবে অনলাইন থেকে আপনি কে, কোথায় থাকেন এই তথ্য সংগ্রহ করতে পারে যে কেউ।