এইচটিএমএল এর সিএসএস (HTML Style – CSS)

শরিফুল ইসলাম
Php Coder

 

HTML Styles – CSS

 উদাহরণ


<!DOCTYPE html>
<html>
<head>
<style>
body {background-color:lightgray}
h1   {color:blue}
p    {color:green}
</style>
</head>
<body>

<h1>This is a heading</h1>
<p>This is a paragraph.</p>

</body>
</html>

 

সিএসএস দ্বারা এইচটিএমএল কে স্টাইল করা

সিএসএস(css) এর পূর্ণ নাম হল Cascading Style Sheets ।

তিনভাবে স্টাইল কে এইচটিএমএল এর সাথে যুক্ত করা যায়

• Inline-স্টাইল attribute ব্যবহার করে এইচটিএমএল এর সাথে যুক্ত করা যায়

• Internal- <style> এলিমেন্ট এইচটিএমএল এর head সেকশন এর মধ্যে যুক্ত করা যায়

• External- এক বা একাধিক বাইরের সিএসএস ফাইল যুক্ত করে কাজ করা যায়।

তবে সব থেকে কমন হল বাইরে থেকে একটি সিএসএস ফাইল যুক্ত করা। কিন্তু আমরা এইখানে internal স্টাইল ব্যবহার করব। কারন এতে আমাদের জন্য স্টাইল এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন ফাংশন গুলো বুজতে ঝুব সুবিধা হবে।

 

সিএসএস syntax

সিএসএস স্টাইলিং এর জন্য নিন্মোক্ত সিনটেক্স ব্যবহার করা হয়


element { property:value ; property:value }


 

এই element হল এইচটিএমএল এর একটি উপাদানের নাম। property হল সিএসএস একটি প্রপার্টি। value হল সিএসএস প্রপার্টি এর একটি মান।

অনেকগুলো স্টাইল থাকলে তাহলে সেগুলো সেমিকোলন দিয়ে আলাদা করতে হয়।

 

Inline স্টাইল (inline css)

এইচটিএমএল উপাদানের ক্ষেত্রে একটি ইউনিক স্টাইল এর জন্য inline styling খুবই উপযোগী। এই উদাহরনে ইনলাইন স্টাইল এর মাধ্যমে একটি ইউনিক heading এর টেক্সট এর কালার পরিবর্তন করা হচ্ছে

উদাহরণ


<h1 style=”color:blue”>This is a Blue Heading


 

 

Internal স্টাইল (internal css)

একটি পেজ এর সকল এইচটিএমএল উপাদানের জন্য একটি কমন স্টাইল ব্যবহার করা হয়েছে আর তা হল internal style sheet।

সাধারনত এটি <style> এলিমেন্ট এর সাহায্যে হেড সেকশন এর মধ্যে ইনক্লুড করতে হয়।

উদাহারন


<!DOCTYPE html>
<html>
<head>
<style>
body {background-color:lightgrey}
h1   {color:blue}
p    {color:green}
</style>
</head>
<body>

<h1>This is a heading</h1>
<p>This is a paragraph.</p>

</body>
</html>

 

External স্টাইল (External সিএসএস)

অনেকগুলো পেজ এর স্টাইল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই পধতি চালানো হয়। এই ক্ষেত্রে মাত্র সিএসএস ফাইল এর একটি উপাদান পরিবর্তন করার মাধ্যমে বাকি সবগুলো পেজ এর পরিবর্তন করা সম্ভব। হেড সেকশন এর মধ্যে external সিএসএস ফাইল এর লিঙ্ক করে দিতে হয়।

উদাহরণ


<!DOCTYPE html>
<html>
<head>
   <link rel="stylesheet" href="styles.css">
 </head>
<body>

<h1>This is a heading</h1>
<p>This is a paragraph.</p>

</body>
</html>


 

সিএসএস ফন্টস

সিএসএস এর color প্রপার্টি দ্বারা এইচটিএমএল পেজ এর টেক্সট এর কালার কি হবে তা ডিফাইন করা হয়। সিএসএস এর font-family দ্বারা টেক্সট এর ফন্ট কোন ফন্ট হবে তা ডিফাইন করে। সিএসএস এর font-size প্রপার্টি দ্বারা টেক্সট এর আকার কতটুকু হবে তা ডিফাইন করে।

উদাহরণ


<!DOCTYPE html>
<html>
<head>
<style>
h1 {
    color:blue;
    font-family:verdana;
    font-size:300%;
}
p  {
    color:red;
    font-family:courier;
    font-size:160%;
}
</style>
</head>
<body>

<h1>This is a heading</h1>
<p>This is a paragraph.</p>

</body>
</html>

তবে <font> ট্যাগ টি এইচটিএমএল এর পুরাতন ভার্সন এ কাজ করে এইচটিএমএল৫ এ কাজ করে না।

 

সিএসএস বক্স মডেল

প্রত্যেকটি এইচটিএমএল এর উপাদানের জন্য একটি বক্স নির্দিষ্ট করা থাকে কিন্তু আমরা তখনি এটা দেখতে পারব যখন আমরা সিএসএস এর মধ্যে border প্রপার্টি ঘোষণা করব

উদাহরণ


p {
    border:1px solid black;
}

border এর মধ্যে ফাকা তৈরি করার জন্য আমরা padding প্রপার্টি ব্যবহার করব

উদাহারন


p {
    border:1px solid black;
    padding:10px;
}

বর্ডার এর বাইরে মার্জিন এর জন্য আমরা margin প্রপার্টি ব্যবহার করব

উদাহরণ


p {
    border:1px solid black;
    padding:10px;
    margin:30px;
 }

সিএসএস উদাহরণ এ px ব্যবহার করা হয়েছে এতে পিক্সেল বুঝায়

 

ID Attribute

উপরের সবগুলো উদাহরণ এ সিএসএস এর সাধারন নিয়ম ব্যবহার করা হয়েছে।

যদি কোন একটি নির্দিষ্ট স্টাইল নির্দিষ্ট কোন এইচটিএমএল এর উপাদানের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হয় তাহলে id attribute প্রথমে এইচটিএমএল এর মধ্যে যোগ করতে হবে

উদাহরণ


<p id=”p01″>I am different</p>


 

এরপর id কে সিএসএস এর মধ্যে কল করে স্টাইল যোগ করতে হবে

উদাহরণ


p#p01 {
    color:blue;
}


 

Class attribute

কোন নির্দিষ্ট উপাদানের ধরন পরিবর্তন করার জন্য ক্লাস (class) attribute এইচটিএমএল এর উপাদানের মধ্যে যোগ করতে হয়

উদাহরণ


<p class=”error”>I am different</p>


একন আপনি নির্দিষ্ট ক্লাস এর সাথে সকল এলিমেন্ট এ ভিন্ন ভিন্ন স্টাইল দিতে পারবেন।

উদাহরণ


p.error {
    color:red;
}

নোটঃ id ব্যবহার করা হয় একটি ইউনিক উপাদানের জন্য এবং class ব্যবহার করা হয় একটি এলিমেন্ট এর গ্রুপ এর জন্য।

 

সীমাবদ্ধতা

পুরাতন এইচটিএমএল ভার্সন এর অনেক ট্যাগস এবং attributes ব্যবহার করা হয় স্টাইল documents এ। কিন্রু এইগুলো এইচটিএমএল ৫ এ সাপোর্ট করে না।

যে উপাদান বা elements গুলো বাদ দিতে হবে ব্যবহার করা বাদ দিতে হবে: <font>, <center> এবং <strike>.

যে attribute গুলো বাদ দিতে হবে: color এবং bgcolor

 

একনজরে প্রপার্টি গুলো

Inline styling এ এইচটিএমএল এর স্টাইল attribute এর ব্যবহার

Internal css এ এইচটিএমএল এর <style> এলিমেন্ট এর ব্যবহার

External css এ এইচটিএমএল এর <link> উপাদানের ব্যবহার

সেকশন এ <style> এবং <link> elements যুক্ত করার জন্য এইচটিএমএল এর <head> এলিমেন্ট এর ব্যবহার

Text কালার করার জন্য এ সিএসএস এর কালার প্রপার্টি এর ব্যবহার

Text এর ফন্ট নির্দারণের জন্য সিএসএস এর font-family প্রপার্টি এর ব্যবহার

Text এর ফন্ট সািইজ নির্দারণের জন্য সিএসএস এর font-size প্রপার্টি এর ব্যবহার

উপাদানের বর্ডার দেখানোর জন্য সিএসএস এর border প্রপার্টি এর ব্যবহার

বর্ডার এর ভিতরে স্পেস নির্দারনের জন্য সিএসএস এর padding প্রপার্টি এর ব্যবহার

বর্ডার এর বাহিরের দিকের স্পেস নির্দারনের জন্য সিএসএস এর margin প্রপার্টি এর ব্যবহার

এইচটিএমএল স্টাইল ট্যাগ

<style> – একটি document মধ্যে সমস্ত স্টাইল এর তথ্যকে সঙ্গায়িত করে

<link> –  document এবং external রিসোর্স ফাইল এর মধ্যে সম্পর্ক নির্দারণ করে

https://youtube.com/devicesupport

https://youtube.com/devicesupport
http://m.youtube.com

https://youtube.com/devicesupport

https://youtube.com/devicesupport
http://m.youtube.com

https://youtube.com/devicesupport

https://youtube.com/devicesupport
http://m.youtube.com

ইন্টারনেটে সংযোগ

ইন্টারনেটে সংযোগ

The Connect to the Internet উইজার্ডটি ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের ধাপগুলো দেখাবে।

  • প্রথমে Start বাটনে ক্লিক করুন এবং এর পর Control Panel ক্লিক করুন এবং সর্বশেষে The Connect to the Internet এ ক্লিক করুন। The Connect to the Internet উইজার্ডটি খুলবে। সার্চ বক্স এ network লিখুন, Network and Sharing Center এ ক্লিক করুন, Set up a new connection or network এ ক্লিক করুন এবং তারপর Connect to the Internet এ দুইবার ক্লিক করুন।

 

নোট: আপনি যদি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত থাকেন, আপনি হয়তো ইতোমধ্যেই ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত আছেন। সংযুক্ত আছেন কিনা তা দেখার জন্য আপনার ওয়েব ব্রাউজারটি খুলুন এবং একটি ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে চেষ্টা করুন।

ইলাস্ট্রেটরে তৈরি করুন টাইপোগ্রাফিক লোগো

পূর্ববর্তী পোস্টে টাইপোগ্রাফি সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পেয়েছেন এবং একটি হাউজিং কোম্পানির লোগো দেখেছেন। বলাই বাহুল্য সেটি ছিল একটি টাইপোগ্রাফিক লোগো। আজকের পোস্টে এই লোগোটি তৈরি করে দেখাবো। তার আগে লোগোটি এক নজর দেখে নিন আর যারা আগের পোস্ট মিস করেছেন তারা আগের পোস্ট পড়ে আসতে পারেন। না পোড়লেও অবশ্য চলবে। তো লোগো তৈরির জন্য তৈরি তো? তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

Housing logo

Housing logo

১. প্রথমেই টাইপ টুলের সাহায্যে EBL লেখাটি টাইপ করুন। এই লেখাটিকেই আমরা টেনেটুনে ঘরের আকৃতি প্রদান করব। এজন্য লেখাটিকে রিসাইজ করে যথেষ্ট বড় করুন এবং পছন্দের ফন্ট নির্বাচন করুন। টাইপোগ্রাফির ক্ষেত্রে ফন্ট নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি এখানে Myriad ফন্ট দিয়েই কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। কারণ এখানে সিম্পল একটা ফন্ট হলেই চলবে।

1
২. এখন লেখাটি সিলেক্ট করে মাউস এর রাইট বাটন ক্লিক করে Create outline ক্লিক করুন। লেখাটি একটি পাথে পরিণত হবে এবং একে এখন টেনেটুনে বিভিন্ন আকৃতি দেয়া যাবে।

2
৩. কিবোর্ডের A বাটন চেপে Direct selection tool চালু করুন। এবার লেখার উপর ক্লিক করলে অনেকগুলো অ্যংকর পয়েন্ট দেখতে পাবেন।

৪. প্রথমে E এর ডানদিকের উপরের অ্যাংকর পয়েন্টকে সরিয়ে উপরের দিকে নিন।

3

এভাবে লাল অ্যারো চিহ্নিত দিকে বাকি অ্যাংকর পয়েন্টগুলোকে সরিয়ে নিন।

4

৫. এবার B এর পালা। B এর উপরের পৃষ্ঠের আকৃতি গোলাকার হওয়ায় এখানকার অ্যাংকর পয়েন্টগুলোকে কনভার্ট করে নিতে হবে। এজন্য পেন টুলের উপর ক্লিক করে কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন। Convert anchor point ক্লিক করুন। এবার B উপরের পৃষ্ঠে থাকা বাম দিকের অ্যাংকর পয়েন্ট দুটিতে ক্লিক করুন।

5

তাহলে অ্যাংকর পয়েন্ট দুটি কনভার্ট হয়ে যাবে। আবার কিবোর্ডের A বাটন চেপে মাঝের অ্যাংকর পয়েন্টটিকে সরিয়ে ডান দিকের প্রান্তের কাছাকাছি আনুন।

7

৬. বাম পাশের অ্যাংকর পয়েন্টে ক্লিক করে শিফট চেপে এইমাত্র ডানে সরিয়ে নেয়া অ্যাংকর পয়েন্টের উপর ক্লিক করুন। এবার কিবোর্ডের আপ অ্যারো চেপে অ্যাংকর পয়েন্ট দুটিকে উপরের দিকে উঠাতে থাকুন। এভাবে E এর সর্বোচ্চ চুড়ায় উঠা পর্যন্ত উঠাতে থাকুন।

9

৭. এবার এই দুটি অ্যাংকর পয়েন্টের মাঝে আরেকটি অ্যাংকর পয়েন্ট যোগ করতে হবে। এজন্য পেন টুলে ক্লিক করে ধরে রাখুন। Add anchor point ক্লিক করে অ্যাংকর পয়েন্ট দুটির মাঝখানে ক্লিক করুন। নতুন একটি অ্যাংকর পয়েন্ট যুক্ত হবে।

৮. নতুন অ্যাংকর পয়েন্টটিকে ড্রাগ করে আরও উপরে নিন যাতে তা E এর ঢালের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

10

৯. খেয়াল করুন B এর ডান পাশের চূড়া কিছুটা আঁকাবাঁকা হয়ে গেছে। একটি Rectangle দিয়ে এই অংশকে এমনভাবে ঢেকে দিন যাতে বোঝা না যায়।

11
১০. এবার L এর অ্যাংকর পয়েন্টগুলিকেও অ্যারো এর নির্দেশানুযায়ী সরিয়ে নিন।

12

13

১১. এবার ঘরের বাড়তি ছাউনী তৈরি করতে হবে। এজন্য P চেপে স্ক্রিনশটের মত করে তিনটি বিন্দুতে ক্লিক করুন। একটি ত্রিভুজ তৈরি হবে। এটিকে E এর প্রান্তের সাথে লাগিয়ে দিন। প্রয়োজনে Direct selection tool (A) এর সাহায্যে কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্ট করে নিন।

15

একইভাবে L এর সাথেও এরকম বাড়তি ছাউনী তৈরি করুন।

16

১২. ঘরের পাদদেশে একটি আনুভূমিক রেকটাংগল এমনভাবে আঁকুন যাতে তা ঘরের চেয়ে একটু বড় হয়। এটিকে কিছুটা উপরে তুলে অক্ষর তিনটির নিচের সামান্য অংশকে ঢেকে দিন।

17

১৩. Ctrl+A চেপে পাথফাইন্ডার প্যালেটের Unite বাটনে ক্লিক করুন। পাথফাইন্ডার খুঁজে না পেলে Window>Pathfinder ক্লিক করুন।

18

১৪. লোগো তৈরির প্রক্রিয়া শেষ। এবার একে পছন্দমত রং ও ইফেক্টের মাধ্যমে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করুন।
প্রথমবার প্র্যাকটিস করার পর এটি দেখে সরাসরি পেন টুলের সাহায্যে আরেকবার ট্রাই করুন। তাহলে ২য়টি আরও ভালো হবে।

QR Code তৈরি করুন অফলাইনে

Free QR Creator

Free QR Creator

স্মার্টফোনের কল্যাণে আমরাও ক্রমেই স্মার্ট হয়ে যাচ্ছি। একগাদা তথ্যকে ছোট একটি QR এ ভরে বহন করে বেড়াচ্ছি। জন্ম সনদ সহ বেশ কিছু সরকারি কাগজপত্রে QR ব্যবহার বেশ আগেই শুরু হয়েছে। আর বিদেশে তো কথাই নেই। সামান্য বিজনেস কার্ডেও এর ব্যবহার হচ্ছে যাতে পুরো কার্ডের সকল তথ্য ক্যামেরা দিয়ে এক মুহূর্তেই সেভ করে ফেলা যায়। তো এই QR কোড তৈরির জন্য অনেকেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন। যাদের ইন্টারনেট সংযোগ বেশ ধীর গতির তাদের এই সামান্য কাজে বেশ সময় নষ্ট হয়। তারা Free QR Creator ব্যবহার করে সহজেই এ বিড়ম্বনা এড়াতে পারেন। এর মাধ্যমে অফলাইনে QR Code তৈরি করা যায়। এটি Micro QR ও QR Code (ISO 18004) সাপোর্ট করে। Micro QR আকারে ছোট হলেও খুব বেশি তথ্য ধারণ করতে পারে না। তাই QR Code (ISO 18004) ব্যবহার করাটাই ভালো। এর ব্যবহার পদ্ধতিও খুব সরল। প্রথমে এটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন। ওপেন করে যেসব তথ্য এনক্রিপ্ট করতে চান তা নিচের বক্সে টাইপ করুন। আপনার QR Code তৈরি। এবারে এটিকে JPG বা PNG ফরম্যাটে এক্সপোর্ট করে ফটোশপ বা যেকোনো জায়গার ব্যবহার করুন।

ফন্ট সিলেকশন আরও সহজে আরও দ্রুত : Select Fonts Easily

গ্রাফিক ডিজাইনারদের কাছে বেশ যন্ত্রণাময় কাজ ফন্ট সিলেকশন। কারণ ডিজাইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ফন্ট খুঁজে বের করা বেশ ঝামেলা। সেই সাথে যদি ফন্টের কালেকশন হাজার দুই ছাড়িয়ে যায় তাহলে সেই যন্ত্রণা হয় আরও দীর্ঘমেয়াদী। তাছাড়া এতগুলো ফন্ট ম্যানেজমেন্টের ঝামেলাও কম নয়। তাই ফন্ট নিয়ে নানা যন্ত্রণার মুক্তি দিতে পারে Xiles এর Nexus Font Manager সফটওয়্যারটি।

Nexus Font Manager

Nexus Font Manager

এটি খুব দ্রুত আপনার পিসিতে থাকা সকল ফন্টের প্রিভিউ তৈরি করে সেগুলিকে এক স্ক্রিনে নিয়ে আসে। আরে এই প্রিভিউ তৈরি হয় আপনার লিখে দেয়া Sample Text হতে। তাই শুধুমাত্র চোখ বুলিয়ে আর স্ক্রল করেই আপনি খুব সহজে আর দ্রুত ডিজাইনের সাথে মানানসই ফন্ট খুঁজে নিতে পারেন। কোন ফন্ট ইন্সটল করা থাক বা না থাক সেটি কোন ব্যাপারই না। কারণ এটি ফন্টের মুল ফাইলে থেকেও প্রিভিউ তৈরি করতে পারে। আর এসব প্রিভিউ তৈরির প্রক্রিয়াও বেশ দ্রুত ঘটে। যেমন আমার কাছে San’s Serif ফন্ট আছে ৭০০ এরও বেশি। এই ৭০০+ ফন্টের প্রিভিউ তৈরি করতে এটি সময় নেয় প্রায় ১০-১২ সেকেন্ড। ধরা যাক আপনি এই মুহূর্তে একটি ম্যাগাজিনের বডির জন্য ফন্ট খুঁজছেন। তাই আপনার প্রয়োজন Serif ফন্ট। এসময় নিশ্চয় চাইবেন না San’s Serif ফন্ট এসে আপনাকে বিরক্ত করুক। তাই বিভিন্ন ধরনের ফন্টকে বিভিন্ন ফোল্ডারে রাখার সুবিধাও এতে আছে। এছাড়া সার্চ অপশনের মাধ্যমেও দ্রুত যেকোনো ফন্ট খুঁজে নিতে পারেন। সব মিলিয়ে সকল গ্রাফিক ডিজাইনারদের কাছেই এটি অতি প্রয়োজনীয় একটি টুলে পরিণত হতে পারে। এটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে। সকলের শুভ কামনায় আজ এ পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ

ইলাস্ট্রেটরে ভেক্টর গিয়ার তৈরি : Create Vector Gear with Illustrator

হাতে হাতে স্মার্টফোন আর প্রতিটি স্মার্টফোনই যেন রং বেরং এর অ্যাপসের মেলা। এই অসংখ্য অ্যাপসের ইউজার ইন্টারফেস (UI) ডিজাইন করতে গিয়ে ডিজাইনাররা সম্ভবত গিয়ারের আইকনটিই সবচেয়ে বেশি আঁকেন। কারণ প্রতিটি অ্যাপসেই সেটিংস মেনু থাকে। আর সেটিং মেনুর আইকন হিসেবে গিয়ারের প্রতিকৃতিই অধিকাংশ সময় ব্যবহৃত হয়। তাই আজকের টিউটোরিয়ালে দুটি পদ্ধতিতে দুটি ভিন্ন ধরনের গিয়ার একে দেখাবো। আর একাজে যেহেতু ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করছি তাই আমাদের আকা গিয়ারগুলি হবে ভেক্টর ফরম্যাটের। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

প্রথম পদ্ধতিঃ এ পদ্ধতিতে আকা গিয়ারের দাঁতগুলি হবে সরু ও তীক্ষ্ণ। প্রথমে ইলাস্ট্রেটরে নতুন একটি ডকুমেন্ট ওপেন করুন।

১. Ellipse (M) টুল সিলেক্ট করে আর্টবোর্ডের মাঝখান হতে Shift চেপে ক্লিক করে ড্র‍্যাগ করে একটি সুষম বৃত্ত আঁকুন।

Draw ellipse

Draw ellipse

২. Star টুলের মাধ্যমে একইভাবে বৃত্তের সেন্টার পয়েন্ট থেকে ড্র‍্যাগ করে একটি স্টার এমনভাবে আঁকুন যাতে স্টারের বাহুগুলো বৃত্তের খানিকটা বাইরে চলে আসে। মাউসের ক্লিক ছেড়ে দেয়ার আগে কিবোর্ডের আপ অ্যারো কি চেপে স্টারের বাহুর সংখ্যা প্রয়োজনমত বাড়িয়ে নিন। উল্লেখ্য এই বাহুগুলো গিয়ারের দাঁত হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

Select ellipse tool or press L

Select Star tool

Draw Star

Draw Star

 

৩. এবারে জিনিষটা অনেকটা গিয়ারের মতই দেখাচ্ছে। Ctrl+A চেপে দুটি অবজেক্টকে একসাথে সিলেক্ট করুন। Pathfinder প্যালেট থেকে Unite বাটনে ক্লিক করুন। দুটি অবজেক্ট মিলে একটি অবজেক্টে পরিণত হবে। প্রাথমিকভাবে Pathfinder প্যালেট খুঁজে না পেলে Window>Pathfinder ক্লিক করুন।

৪. এবার গিয়ারটির উপর ক্লিক করে সিলেক্ট করুন। Effect>Stylize>Round corners ক্লিক করে Preview বক্সটি চেক করুন। এবার বক্সে প্রয়োজনমত মান বসিয়ে দিন। আমি এখানে ১৭ দিয়েছি। এতে গিয়ারের দাঁতগুলি ভোতা হয়ে যাবে।

Round corner

Round corner

Object মেনুতে গিয়ে Expand Appearance ক্লিক করুন।

Rounded

Rounded

৫. Ellipse (M) টুলের সাহায্যে গিয়ারের সেন্টার পয়েন্ট থেকে আরেকটি সুষম বৃত্ত আঁকুন যাতে এটি গিয়ারের চেয়ে খানিকটা ছোট হয়।

৬. Ctrl+A চেপে Pathfinder মেনু থেকে Minus front ক্লিক করুন। গিয়ারের মাঝখানে ছিদ্র তৈরি হবে।

6

৭. আরেকটি সুষম বৃত্ত আঁকুন যাতে এটি গিয়ারের চেয়ে সামান্য বড় হয়।

7

Make larger ellipse

৮. Ctrl+A চেপে Pathfinder প্যালেট থেকে Intersect বাটনে ক্লিক করুন। এতে দাঁতগুলির অতিরিক্ত অংশ কাটা পড়বে।

Final

Final

এবার গিয়ারটি দেখতে অনেকটা বুয়েটের লোগোর মত লাগার কথা।

3 দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ এ পদ্ধতি বেশ সরল এবং গুরুত্বপূর্ণ। এতে গিয়ারের একটি দাঁত একাধিক বার কপি করে ট্রান্সফর্ম করে গিয়ারের মুল অংশ তৈরি করা হবে।

১. প্রথমে Rectangle টুল সিলেক্ট করে আর্টবোর্ডের ফাকা স্থানে ক্লিক করুন। আগত পপ আপ উইন্ডোতে Widthও Height বক্সে যথাক্রমে ৫০ ও ৪০ বসিয়ে ওকে ক্লিক করুন। একটি ৫০ বাই ৪০ মাপের চতুর্ভুজ তৈরি হবে।

Set rectangle dimension

Set rectangle dimension

২. খেয়াল করুন এই চতুর্ভুজের চার কোণায় চারটি Anchor point রয়েছে। Direct selection tool (A) টুল নিয়ে চতুর্ভুজটির উপরের ডান পাশের Anchor point তে ক্লিক করুন। এবার Shift চেপে Left arrow key কি চাপুন। এতে Anchor point ১০ পিক্সেল বামে সরে যাবে।

 Move anchor point

Move anchor point

একইভাবে বাম পাশেরটিও ১০ পিক্সেল ডানে সরিয়ে নিন। তাহলে গিয়ারের একটি দাঁত তৈরি হল।

3

 

৩. এবার এই দাঁতটিকে ঘড়ির কাটার দিকে ৯০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিতে হবে। এজন্য এর উপর ক্লিক করে Shift চেপে মাউসের কার্সর কোণার কাছে নিয়ে দুবার নিচের দিকে টানুন।

৪. এবার আমরা এই একটি দাঁত থেকে বাকি দাঁতগুলি তৈরি করব। এজন্য এর উপর ক্লিক করে Effect>Distort & Transform>Transform ক্লিক করুন।

4

আগত উইন্ডোতে প্রথমেই প্রিভিউ চেক বক্সটি চেক করে দিন। Copies এর জায়গায় আমি ৯ দিয়েছি। এর মানে এই একটি দাঁত থেকে আরও ৯টি দাঁত তৈরি হবে। এঙ্গেল এর জায়গায় একটু হিসেব করে নিতে হবে। আপনি যতগুলি কপি করছেন সেই সংখ্যা দিয়ে ৩৬০ কে ভাগ দিলে যা আসে এখানে তাই টাইপ করুন। আমি এখানে ৪০ দিয়েছি কারণ ৩৬০/৯=৪০। এবারে Move এর Horizontal ও Vertical বক্সে -28 ও -78 বসিয়ে দিন। তবে প্রথমেই মান না বসিয়ে আগে স্লাইডার টেনে চেষ্টা করুন। এতে ট্রান্সফর্ম এর ক্রিয়াকৌশল সম্পর্কে আপনার ধারণা ক্লিয়ার হবে।

Transform pop up

Transform pop up

৫. এবার Object>Expand appearance ক্লিক করুন। গিয়ার তৈরির চ্যালেঞ্জিং অংশ শেষ হল।

৬. এখন Ellipse (L) টুলের সাহায্যে গিয়ারের কেন্দ্র থেকে Shift+Alt চেপে ড্র‍্যাগ করে দাঁতগুলির ভেতরের প্রান্ত পর্যন্ত এনে ছেড়ে দিন।

After Drawing ellipse

After Drawing ellipse

৭. Ctrl+A চেপে Pathfinder প্যালেট থেকে Unite ক্লিক করুন। দুটি অবজেক্ট মিলে একটিতে পরিণত হবে।

Unite two shape

Unite two shape

৮. একইভাবে সেন্টার পয়েন্ট থেকে আরেকটি বৃত্ত আঁকুন যাতে এটি আগেরটির চেয়ে কিছুটা ছোট হয়।

৯. Ctrl+A চেপে Pathfinder প্যালেট থেকে Minus front ক্লিক করুন। গিয়ার তৈরি।

Final

Final

জানেন কি ফুল আর গিয়ারের মাঝে একটি অদ্ভুত মিল রয়েছে? ঠিকই ধরেছেন দুটি জিনিষই ট্রান্সফর্ম টুল ব্যবহার করে আঁকতে হয়। এজন্যই দ্বিতীয় পদ্ধতিটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

গ্রীষ্মের ছবিতে কুয়াশার ইফেক্ট

কুয়াশা

কুয়াশা

চলছে গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহ। একটু বৃষ্টির জন্য চারিদিকে প্রচন্ড হাহাকার। তবে বৃষ্টি বাদ দিয়ে যদি কুয়াশার চাদরে গ্রীষ্মকে ঢেকে দেয়া যায় কেমন হয় তাহলে? বাস্তবে না পারলেও ফটোশপে তা নিশ্চয়ই সম্ভব। আজকের টিউটোরিয়ালে সেটি ই দেখানো হবে। তো চলুন শুরু করা যাক।

১.প্রথমে যে ছবিতে কুয়াশার ইফেক্ট দিতে চান সেটি ফটোশপে ওপেন করুন। আমি যে ছবিটি ব্যবহার করেছি চাইলে সেটি এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

Original

Original

২. Layer panel থেকে New adjustment layer বাটনে ক্লিক করে Solid color সিলেক্ট করুন।

Click new adjustment layer

Click new adjustment layer

 

৩. কালার পিকার উইন্ডো হতে সাদা রং সিলেক্ট করে ওকে বাটনে ক্লিক করুন। উল্লেখ্য এই সাদা রং কুয়াশার রং হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আপনি চাইলে অন্য রং এর কুয়াশাও তৈরি করতে পারেন। কালার পিকার উইন্ডো হতে সাদা রং সিলেক্ট করে ওকে বাটনে ক্লিক করুন। উল্লেখ্য এই সাদা রং কুয়াশার রং হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আপনি চাইলে অন্য রং এর কুয়াশাও তৈরি করতে পারেন।

৪. Color fill 1 নামে নতুন একটি লেয়ার তৈরি হবে। এর অপাসিটি 50% করে দিন।

Change Opacity

Change Opacity

 

৫. Color fill 1 লেয়ারের মাস্ক থাম্বনেইলে ক্লিক করে মাস্কটি সিলেক্ট করুন।

Select Layer Mask

Select Layer Mask

 

৬. এবার টুল বক্স থেকে Gradient টুলটি সিলেক্ট করুন। অপশন বার থেকে White to black সিলেক্ট করুন।

 

Select gradient

Select gradient type

 

স্ক্রিনশটে দেখানো জায়গায় ক্লিক করে উপরের দিকে ড্র‍্যাগ করুন। এতে নিচের দিক থেকে ক্রমশ উপরের দিকে কুয়াশার পরিমাণ বাড়বে। প্রথমবার ঠিকমত না হলে আবার ড্র‍্যাগ করে অ্যাডজাস্ট করা যাবে।

 

dff

৭. কিবোর্ড থেকে Ctrl+J চেপে লেয়ারটি ডুপ্লিকেট করুন

৮. নতুন লেয়ারের মাস্ক সিলেক্ট করে টুল বক্স থেকে Eraser টুল সিলেক্ট করুন অথবা কিবোর্ডের E বাটন চাপুন। এবার একেবারে কাছের গাছগুলির উপর ব্রাশ করতে থাকুন। এতে কাছে থাকা গাছগুলি স্পষ্ট দেখা যাবে।

৯. কিন্তু কাছের এই গাছগুলিতে হঠাৎ কুয়াশার পরিমাণের তারতম্য দেখা দেবে। তাই নতুন লেয়ারের অপাসিটি এমনভাবে কমিয়ে আনুন যাতে এই তারতম্য খুব বেশি বোঝা না যায়। প্রোয়োজনে আগের লেয়ারের অপাসিটি বাড়িয়েও তা করতে পারেন। তবে এই ছবির ক্ষেত্রে প্রথম লেয়ারের অপাসিটি আর বাড়ানো ঠিক হবে না।

১০. এবার আগের মতই Ctrl+J চেপে নতুন লেয়ারটি ডুপ্লিকেট করুন এবং Eraser টুল দিয়ে অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী অংশের কুয়াশা মুছে ফেলুন। এভাবে প্রতিবার লেয়ার ডুপ্লিকেট করে ক্রমান্বয়ে নিকটবর্তী অঞ্চল থেকে শুরু করে দূরবর্তী অঞ্চলের কুয়াশা মুছে ফেলুন এবং অপাসিটি অ্যাডজাস্ট করুন যাতে কুয়াশার হঠাৎ পরিবর্তন বোঝা না যায়।

আমি এখানে মোট ৩ টি লেয়ারে এরকম করেছি। নিছে প্রত্যেকটি লেয়ারের স্ক্রিনশট এবং অপাসিটির মান দেয়া হল। উল্লেখ্য স্ক্রিনশট তোলার সময়ে অপাসিটি বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে যাতে আপনারা স্পষ্ট দেখতে পারেন।

অপাসিটি-26%

অপাসিটি-26%

অপাসিটি-23%

অপাসিটি-23%

 

অপাসিটি-19%

অপাসিটি-19%

১১. আবার New adjustment layer আইকনে ক্লিক করে Levels সিলেক্ট করুন।

5

তিনটি স্লাইডারের মাঝেরটি ডানে বামে সরিয়ে দেখুন কুয়াশার ঘনত্বের পরিবর্তন হবে। এভাবে আপনার প্রয়োজনমত ঘনত্ব অ্যাডজাস্ট করুন।

নকল কুয়াশা দেখতে কেমন লাগছে?