ইলাস্ট্রেটরে ওয়াটার রিফ্লেকশন তৈরি

পানিতে নিজের ছায়া দেখে কে না বিস্মিত হয়? ঠিক এরকম প্রতিফলন করে একটি লোগোকে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা যায়। তাই আজ দেখাবো কিভাবে ইলাস্ট্রেটরে ওয়াটার রিফ্লেকশন বা পানির মত প্রতিচ্ছবি তৈরি করা যায়। তার আগে Final preview দেখে নিন।

 

9

প্রথমে ইলাস্ট্রেটর ওপেন করে নিন। নতুন একটি ডকুমেন্ট তৈরি করতে Ctrl+N চেপে OK ক্লিক করুন।

1

Type Tool (T) সিলেক্ট করে আর্টবোর্ডের মাঝখানে কিছু লিখুন। এবারে Move Tool (V) দিয়ে লেখাটিকে সিলেক্ট করে Shif+Alt চেপে ক্লিক করে সোজা নিচের দিকে টেনে আনুন। এতে করে লেখাটির আরেকটি কপি তৈরি হবে এবং শিফট চাপার কারণে এতে আগের অ্যলাইনমেন্ট ঠিক থাকবে।

Make a copy

Make a copy

 

অরিজিনাল লেখাটিকে লক করতে লেখাটির উপর ক্লিক করুন এবং Object>Lock>Selection ক্লিক করুন। এখন কপি করে তৈরি করা লেখাটিকে উল্টে দিতে হবে। এজন্য Reflect Tool (O) সিলেক্ট করুন। লেখার উপর ক্লিক করে শিফট চেপে সোজা নিচের দিকে টানুন। লেখাটি ১৮০ ডিগ্রি কোণে উল্টে যাবে।

Rotate 180 degree

Rotate 180 degree

Rectangle Tool (M) দিয়ে একটি Rectangle একে উল্টানো লেখাটিকে ঢেকে দিন।

Make re

Make rectangle

Rectangle এর কোন স্ট্রোক না রেখে গ্রাডিয়েন্ট দিয়ে ফিল করুন। গ্রাডিয়েন্টের রং অবশ্যই সাদা এবং কালো হতে হবে। গ্রাডিয়েন্টের সাদা অংশ অবজেক্টকে দৃশ্যমান রাখে এবং কালো অংশ ক্রমেই অবজেক্টকে অদৃশ্য করে দেয়। তাই গ্রাডিয়েন্টের স্লাইডার ঠিক মাঝামাঝি রাখুন এবং অ্যাঙ্গেল ৯০ ডিগ্রি অথবা -৯০ ডিগ্রি দিন যাতে কালো অংশ নিচে থাকে।

Gradient settings

Gradient settings

Gradient preview

Gradient preview

এবার Ctrl+A চেপে সকল অবজেক্ট সিলেক্ট করে উইন্ডোর উপরের দিকে থাকা Opacity অপশনে ক্লিক করুন।

Opacity option

Opacity option

এবার তীর চিহ্নিত স্থানে ক্লিক করে করে Make new opacity mask এ ক্লিক করুন। এবার উল্টানো লেখাটিকে অনেকটাই আসলটির ছায়ার মত মনে হবে।

Shadow

Shadow

কিন্তু পানিতে পড়া ছায়া আসলটার মত স্পষ্ট দেখায় না। তাই ছায়ার অপাসিটি ৪০-৬০% এর মধ্যে রাখুন। এতে করে ছায়া বা প্রতিচ্ছবিকে আরও রিয়েলিস্টিক মনে হবে।

Final preview

Final preview

এভাবে ইলাস্ট্রেটরে যে কোন ভেক্টর অবজেক্টের ওয়াটার রিফ্লেকশন তৈরি করতে পারেন। আর কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আল্লাহ হাফেজ।

PHOTOSHOP: ডিজাইন মক আপের A-Z : A to Z of Design Mock-up in Photoshop

ডিজাইন মক আপের A-Z

(Sirajum Galib Munir)

edjh

পদ্মা সেতুর কাজ শুরুই হয়নি। কিন্তু মক আপের কল্যাণে টিভিতে এর বার্ডস আই প্রিভিউ নিশ্চয়ই দেখেছেন। খুঁটিনাটি কোন ডিটেইলসই বাদ যায়নি সেই প্রিভিউতে। উদাহরণের জন্য পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ টানলেও সেতুর মক আপ কিন্তু আমাদের আলোচনার বিষয় নয়। ওটা ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ। আমরা বরং গ্রাফিক ডিজাইনের মক আপ নিয়ে কথা বলি। উপরের চিত্র ১ এ দেখুন মনে হচ্ছে যেন অনেকগুলো বিজনেস কার্ড টেবিলের উপর সাজিয়ে ক্যামেরায় ছবি তোলা হয়েছে। কিন্তু কার্ডগুলো এখনো প্রিন্ট করাই হয়নি। ব্যাপারটা পদ্মা সেতুর মতই হয়ে গেল তাই না? তৈরির আগেই প্রিভিউ। ফটোশপে এ কাজটি বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। একটি কার্ডের মক আপ করার পর নতুন একটি কার্ডের মক আপ যখন করতে যাবেন তখন একই কাজ আবারও দীর্ঘ সময় ধরে করতে হবে। আর এই ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতেই ফটোশপ সিএস ৪ সংস্করণে সর্বপ্রথম স্মার্ট অবজেক্ট ফিচার যুক্ত করা হয়। এই ফিচার কোন বিশেষ লেয়ারের ইমেজের ইফেক্ট, ট্রান্সফর্মেশন ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ঠিক রেখে অন্য ইমেজ দিয়ে প্রতিস্থাপন করার সুযোগ দেয়। এবারে চিত্র ২ দেখুন। কার্ডগুলো হুবহু ১ এর মত করেই সাজানো। এখানে এই কার্ডগুলোই হচ্ছে স্মার্ট অবজেক্ট যা অন্য যেকোনো ইমেজ দিয়ে রিপ্লেস করতে পারেন। এতে রিপ্লেস করা ইমেজকে একইভাবে টেবিলের উপর পড়ে থাকতে দেখবেন। এটাই হচ্ছে স্মার্ট অবজেক্টের মহাত্ন। আর স্মার্ট অবজেক্ট ফিচার ব্যবহার করেই একটি মক আপ একাধিক ডিজাইনের উপর প্রয়োগ করা যায়। নতুনদের ক্ষেত্রে যেটি হয় তারা অনেক কষ্ট করে একটি সুন্দর ডিজাইন দাঁড় করান। কিন্তু সুন্দর একটি প্রেজেন্টেশনের অভাবে তাদের ডিজাইনটি অনেক সাধারণ ডিজাইনের নিচে চাপা পড়ে যায়। আর তাই নতুনদের জন্যই এই পোস্ট। পোস্টের শুরুতে বিশাল এক ভূমিকা পড়েই ফেলেছেন। এছাড়াও থাকছে মক আপের গুরুত্ব নিয়ে সামান্য কিছু প্যাঁচাল, মক আপের রকমফের, ব্যবহার পদ্ধতি এবং কিছু কেস স্টাডি। আর সবশেষে উপসংহার টাইপের কিছু একটাতো থাকছেই। তাই ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত হয়ে যান। মক আপের প্রয়োজনীয়তাঃ একটি সাইনবোর্ডের ডিজাইন পিসিতে দেখেই বলে দেয়া যায়না যে সাইনবোর্ডটি যেখানে লাগানো হবে সেখানে ঠিক কেমন দেখাবে। তবে মক আপ প্রিভিউ দেখে মোটামুটি ধারনা পাওয়া যেতে পারে। এতে ডেমো সাইনবোর্ড তৈরির খরচটাও সাশ্রয় হয়। তবে এধরনের ক্লায়েন্ট খুব কমই আছে যারা নিজেদের সাইনবোর্ডের মক আপ নিজেদের বিল্ডিং এর ছবি দিয়েই করতে বলে। বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিজাইনাররা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করেই মক আপ ব্যবহার করে থাকেন। এরকম একটি সাইট graphicburger.com যেখান থেকে ফ্রি মক আপ ডাউনোলোড করা যায়।

 

Untitled-1

মক আপের রকমফেরঃ সাধারণত লোগো, বিজনেস কার্ড, ফ্লায়ার, ব্রাশিউর, ওয়েব ডিজাইন, ট-শার্ট ডিজাইন, UI ইত্যাদির মক আপই বেশি ব্যবহৃত হয় এবং ইন্টারনেটে সহজলভ্য। তবে আরও অনেক ধরনের মক আপ আছে এবং আপনি নিজেও তৈরি করে নিতে পারেন। যদিও মক আপ তৈরি অনেক অ্যাডভান্স লেভেলের কাজ।

ব্যবহারঃ শুরুতে যে বিজনেস কার্ডের মক আপটি দেখেছেন সেটিকেই আমরা উদাহরণ হিসেবে প্রয়োগ করব। এটি ডাউনোলোড করুন এই লিংক থেকে bit.ly/1kJoGYk

১. প্রথমেই আপনার কার্ডের ডিজাইনের একটি জেপিজি ফাইল তৈরি করে নিন। এজন্য PSD ফাইলটি ওপেন করে File>Save as ক্লিক করুন। Save as Type এ জেপিজি সিলেক্ট করে একটি নাম দিয়ে সেভ করুন। কোয়ালিটি Maximum সিলেক্ট করুন। এভাবে কার্ডের ফ্রন্ট ও ব্যাক সাইডের জন্য আলাদা জেপিজি ফাইল তৈরি করুন। তবে ডিজাইনের কাজটি যদি ইলাস্ট্রেটরে করে থাকেন তবে এটি না করলেও চলবে।
২. ডাউনোলোড করা মক আপ ফাইলটি ওপেন করুন।

Business-Card-Mockup-svfwsf

৩. লেয়ার উইন্ডোতে দেখুন তিনটি লেয়ার গ্রুপ আছে। ফ্রন্ট সাইডের মক আপ করতে Front লেয়ার গ্রুপের বাম পাশের ত্রিভুজ চিহ্নে ক্লিক করে এক্সপান্ড করুন।
৪. এখানে দেখবেন Edit this object নামে একটি লেয়ার আছে এবং এই লেয়ারটির আইকন অন্যগুলির থেকে আলাদা। অর্থাৎ এই লেয়ারে একটি স্মার্ট অবজেক্ট রয়েছে। এই স্মার্ট অবজেক্টের আইকনে (নামের উপরে নয়) ডাবল ক্লিক করুন। একটি উইন্ডো আসবে। এতে ওকে ক্লিক করুন।
৫. নতুন একটি ট্যাব ওপেন হবে। এতে একটি কার্ডের ডিজাইন দেখতে পাবেন। আমাদের কাজ এই ডিজাইনকে আমাদের তৈরি ডিজাইন দিয়ে রিপ্লেস করা। তৈরি করে রাখা জেপিজি ফাইলটি এর উপর ড্রাগ করুন কিংবা ইলাস্ট্রেটর থেকে কপি করে পেস্ট করুন।
৬. যদি ইলাস্ট্রেটর থেকে কপি করে থাকেন তাহলে Paste as নামে একটি উইন্ডো আসবে। স্মার্ট অবজেক্টে চেক করে ওকে চাপুন।
৭. এবারে পেস্ট করা ডিজাইনটি স্কেল করে বড় করুন এবং ক্যানভাসের প্রান্ত পর্যন্ত টেনে দিন।

 

hedth

৮. প্রয়োজনে অন্য লেয়ারগুলি চোখের আইকনে ক্লিক করে হাইড করে দিন।
৯. Ctrl+S চাপুন এবং আগের ট্যাবে ফিরে যান। এবারে ম্যাজিক দেখুন।
১০. একইভাবে ব্যাক সাইডের মক আপ করে ফেলুন। এটাই মক আপ ব্যবহারের সাধারণ পদ্ধতি। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সব ধরনের মক আপ ব্যবহারের পদ্ধতি একই।

কিছু কেস স্টাডিঃ মক আপে কোন স্মার্ট অবজেক্ট নেইঃ কিছু কিছু মক আপে বাই ডিফল্ট কোন স্মার্ট অবজেক্ট থাকে না। তবে স্মার্ট অবজেক্ট না থাকলেও Your design here, Paste your logo here ইত্যাদি নামে কোন লেয়ার অবশ্যই আছে। এই ধরনের লেয়ারের নামের উপর রাইট ক্লিক করে Convert to smart object এ ক্লিক করুন। এবারে স্মার্ট অবজেক্ট তৈরি হয়ে গেলে আগের নিয়মে বাকি কাজ করুন।

মক আপে ব্লিড বাদ দেয়া যায় নাঃ প্রিন্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রে ডিজাইনের মূল অংশের সাথে ব্লিড এর বাড়তি অংশটুকুও মক আপে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। যদিও রিসাইজ করার সময় বাড়তি অংশ ক্যানভাসের বাইরে রেখে বাদ দেয়া যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে আন্দাজে বাদ দিতে গিয়ে ভুল হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই মূল ডিজাইনের ট্রিম লাইন (বর্ডার) বরাবর একটি উজ্জ্বল রঙের Rectangle একে দিতে পারেন যা রিসাইজ করে বাদ দেয়ার সময় মূল ডিজাইনের প্রান্ত সনাক্ত করতে সাহায্য করবে। ইলাস্ট্রেটরের মাস্ক ব্যবহার করেও এ সমস্যা এড়াতে পারেন। যদি কোন ডিজাইনের কর্নারগুলো রাউন্ড আকৃতির হয় তাহলে মাস্ক করার আগে Rectangleএর কর্নারগুলিও রাউন্ড করে নিন।

মক আপের কালার পরিবর্তনঃ সাধারণত টি শার্টের মক আপে কালারের জন্য আলাদা একটি লেয়ার থাকে। এর বাম পাশের আইকনে ডাবল ক্লিক করলে কালার পিকার উইন্ডো আসে। এখান থেকে টি শার্টের জন্য একটি কালার সিলেক্ট করে ওকে বাটনে ক্লিক করুন। এবার দেখুন টি শার্টের আগের কালার পাল্টে আপনার পছন্দ করা কালার হয়ে গেছে। আবার UI এর মক আপের ক্ষেত্রে আই-ফোনের পাঁচটি কালার সহ একটি আলাদা লেয়ার গ্রুপ থাকে। এই গ্রুপটি এক্সপান্ড করে আপনার পছন্দের কালার বাদে বাকি চারটি কালারের লেয়ার হাইড করে দিন। তাহলেই হবে।

এবারে উপসংহারে যাওয়া যাক। মক আপ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই জেনে নিন মার্কেট প্লেসে মক আপ ব্যবহার করা যাবে কিনা। আমার জানা মতে ৯৯ ডিজাইন ছাড়া বাকি সব মার্কেটপ্লেসের লোগো কনটেস্টে মক আপ ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাই এব্যাপারে সতর্ক হোন।

গ্রাফিক্স টেমপ্লেট বিক্রির আদ্যোপ্রান্ত : How to sell Graphics Templates

গ্রাফিক্স টেমপ্লেট বিক্রির আদ্যোপ্রান্ত

সিরাজুম মুনীর গালিব

ফ্রিল্যান্সিং এর লক্ষ্য নিয়ে যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখেন তাদের সবারই মূল লক্ষ থাকে ওডেস্ক বা ইল্যান্সের মত সাইটে চুক্তিতে ডিজাইন তৈরী করার। কিন্তু নতূনদের জন্য ৫ থেকে ৬ মাস কোন চুক্তিতে আসাটাই যে বড় চ্যালেন্জ। তাই প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক এই দীর্ঘ সময় তারা কি বসে থাকবে? উত্তরটা হল না। বরং তারা ৯৯ ডিজাইনের মত সাইটগুলোতে ডিজাইন কনটেস্টে অংশগ্রহন করবে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অংশগ্রহন পর্যন্তই করতে হয়। কারন এক্ষেত্রে অনেক ভালো ডিজাইনারদের সাথে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামতে হয়। তাই কনটেস্টে জেতাটাও বেশ কঠিন। কিন্তু নতূনরাও একেবারে খারাপ ডিজাইন করে না। বরং কনটেস্টের বাইরে তাদের ডিজাইন দেখলে হয়ত অনেকেরই পছন্দ হতে পারে। আর এজন্যই কনটেস্ট শেষে যেসব ডিজাইন ছুড়ে ফেলতেন সেগুলো টেমপ্লেট আকারে বিক্রি করে দিতে পারলে মন্দ কি? আজকের পোস্টে সেইসব বিষয়েই আলোচনা হবে। তো চলুন শুরু করা যাক।
*#প্রথমেই জানা দরকার ডিজাইন টেমপ্লেট কি?

একটি বিজনেস কার্ডের কথা চিন্তা করুন। সাধারণত ক্লায়েন্ট আপনাকে তার নাম ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি তথ্য দেবেন আর আপনি সেইসব তথ্য নিয়ে ক্লায়েন্টের রুচির সাথে মিল রেখে এর ডিজাইন করবেন। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন ক্লায়েন্টের তথ্য ছাড়াই কাল্পনিক কোন নাম দিয়ে বিশেষ থিমের উপর একটি ডিজাইন করুন। এবারে এটিকে বাজারে ছেড়ে দিন। কারো পছন্দ হলে তিনি তা কিনে নেবেন এবং এডিট করে কাল্পনিক নামের জায়গায় নিজের নাম ঠিকানা বসিয়ে প্রিন্ট করে নেবেন। কাল্পনিক নামের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা এই বিজনেস কার্ডটিই একটি গ্রাফিক্স টেমপ্লেট।
*#কি কি টেমপ্লেট বিক্রি করা যায়?

সাধারনত সব ধরনের প্রিন্ট ডিজাইন যেমন বিজনেস কার্ড, ফ্লায়ার, ব্রাশিউর, লোগো, পার্সোনাল রিজিউম, টি-শার্ট ইত্যাদি। তবে যেসব মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স টেমপ্লেট বিক্রি হয় সেখানে ওয়ার্ডপ্রেস থিম, ফটোশপ অ্যাকশন এবং ফন্টসহ আরো অনেক কিছুই বিক্রি করা যায়।

*# কোথায় টেমপ্লেট বিক্রি করা যায়?

আমি তিনটি মার্কেটপ্লেসের কথা বলব। এই তিনটি ছাড়াও বেশ কয়েকটি মার্কেটপ্লেস রয়েছে কিন্তু পরিচিতি কম থাকায় এসব জায়গায় বিক্রির পরিমাণ কম হতে পারে। তো মার্কেটপ্লেসের কথায় আসি।

১। গ্রাফিক্স রিভারঃ টেমপ্লেট বিক্রির জন্য গ্রাফিক্স রিভারই সবার সেরা। কারন এতি অনেক পুরোনো মার্কেটপ্লেস। এখানে আপনি বিক্রির জন্য কোন কিছু আপলোড করলে প্রতিটি আইটেম রিভিউ করা হয়। রিভিউ করার পর যদি তারা আপনার প্রোডাক্টটিকে মার্কেটপ্লেসের উপোযোগী মনে করে তাহলে অ্যাপ্রুভ করবে এবং এর জন্য একটি উপযুক্ত মুল্য নির্ধারন করে দিবে নতুবা রিজেক্ট করবে। এদের রিজেক্ট আবার দুই ধরনের। প্রথমত সফট রিজেচ্ট করলে আপনি সর্বোচ্চ চারবার সুযোগ পাবেন ফাইলোটি সংশোধন করে পুনরায় আপলোডের জন্য। কিন্তু হার্ড রিজেক্ট করলে তা আর পূনরায় আপলোড করা যাবে না। তবে অন্য কোন আইটেম আপলোড করতে পারবেন। লিংকঃ www.graphicriver.net

২। ক্রিয়েটিভ মার্কেটঃ গ্রাফিক্স রিভারের মত ক্রিয়েটিভ মার্কেটে আপনার প্রতিটি প্রোডাক্টকেই রিভিউ করা হবে না। তাছাড়া মুল্য নির্ধারনের ব্যাপারটাও আপনি নিজের ইচ্ছামত করতে পারেন। কিন্তু এখানে কোন আইটেম আপলোড করার জন্য ওপেন শপ এ ক্লিক করে আবেদন করতে হবে। আর আবেদনের সময় যদি গ্রাফিক্স রিভার কিংবা অন্য কোন মার্কেটপ্লেসে ভালো অবস্থান দেখাতে পারেন তবেই আপনি অ্যাপ্রুভ হতে পারেন নতুবা অ্যাপ্রুভ হওয়া বেশ কষ্টকর। তবে আপনার যদি কোন মার্কেটপ্লেসে ভালো অবস্থান না থাকে তাহলে অন্তত বিহ্যান্স বা ডেভিয়ান আর্টে একটি সাজানো গোছানো পোর্টফলিও তৈরী করে সেটার লিন্ক দিয়ে আবেদন করুন। এতে করে অ্যাপ্রুভ হওয়া কিছুটা সহজ হতে পারে। লিংক www.creativemarket.com

৩। ডিজাইনিং মার্কেটঃ এটি একেবারেই নতুন একটি মার্কেটপ্লেস এবং এখোনো পরিপূর্ণ নয়। তারপরেও শুধুমাত্র একটি কারনেই এটির কথা বলছি আর তা হল এটি আমাদের বাংলাদেশী মারকেটপ্লেস। গত ২১শে ফেব্রুয়ারীতে এটি য্ত্রা শুরু করে। এর নিয়মাবলী গ্রাফিক্স রিভারের মতই। তবে এতে ডিজাইনারদের কমিশন সবচেয়ে বেশি দেয়া হয়। লিংকঃ www.designingmarket.com

সবশেষে বলি এই লেখাটি পড়ে টেমপ্লেট বিক্রি খুব সহজ মনে হতে পারে। কিন্তু এটি বেশ কঠিনই। কারন গ্রাফিক্স রিভারে কোন আইটেম অ্যাপ্রুভ করা খুবই কঠিন। আবার অ্যাপ্রুভ হলেই কেমন বিক্রি হবে সেটাও নিশ্চিত নয়। কিন্তু একেবারে ফেলে দেয়ার চেয়ে বিক্রির চেষ্টা করেই দেখুন। সব প্রোডাক্ট বিক্রি করতে না পারলেও যা করা যায়। আর তাছাড়া এসব সাইটে বাচাই করে অ্যাপ্রুভ করা হয় বলে শুধুমাত্র ভালো ডিজাইনগুলিই চান্স পায়। সেসব ভালো ডিজাইনসমুহ দেখে নিজের ডিজাইনকে আরো উন্নত করতে পারেন। তবে সাবধান! কারো আইডিয়া নকল করতে যাবেন না।

email: galib1992ict@gmail.com

ওপেন সোর্সের রাজ্যে : Kingdom of Open Source Software

সিরাজুম মুনীর গালিব

আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাস করি তারা সম্ভবত অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামটাই টাকা দিয়ে কিনি। তাও হাতে গোনা কয়েকজন। বাকি সব ক্ষেত্রে পাইরাইটেড সফটওয়ার ব্যবহার করি। হোক সেটা অপারেটিং সিস্টেম কিংবা সামান্য মুভি প্লেয়ার। কিন্তু পাইরাইটেড সফটওয়্যার আর কত। যদিও এখোনো কোন সমস্যা হচ্ছে না কিন্তু হঠাৎ করেই বিভিন্ন সফটওয়্যার কম্পানীগুলো এক্ষেত্রে কঠোর হয়ে যেতে পারে। সেই আভাসও মাঝে মাঝে পাওয়া যাচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার হতে পারে দারুন এক সমাধান। ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের প্রায় সবই বিনামুল্যে ব্যবহার করা যায় বৈধভাবেই। শুধু ব্যবহারই নয় বরং একটি সফ্টওয়্যার সংগ্রহ করে যদি আপনার ১০ জন বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে চান তাতেও কোম্পানীগুলোর কোন আপত্তি নেই। তবে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বাজারজাত করতে গেলেই যত বাধা। কারন এগুলো তৈরি ই হয়েছে ফ্রি ব্যবহার আর বিতরণের জন্য। তো চলুন জেনে নেই দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহার হয় এমন কিছু ওপেন সোর্স সফটওয়্যার সম্পর্কে।

অপারেটিং সিস্টেমঃ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে উইন্ডোজের বিকল্প কোন সফটওয়্যারের কথা যেন আমরা ভাবতেই পারিনা। কিন্তু ষোল হাজার টাকা দিয়ে আমাদের মত মধ্যবিত্তদের কেউ কি উইন্ডোজ কিনবেন? মনে হয় না। তবে উইন্ডোজের প্রায় সকল সুবিধার সাথে যদি ভাইরাসের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি মিলে তাহলে কেমন হয়? হ্যা এরকমই দুটি অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে উবুন্টু আর ফেদোরা। এই অপারেটিং সিস্টেম দুটিতে কখোনোই ভাইরাস আক্রমন করে না। তাই অ্যান্টিভাইরাসের ঝামেলাও নেই। আর বাংলা ভাষার সাপোর্ট বিল্ট ইন থাকার ফলে কোন বাড়তি সফটওয়্যারের সাহায্য ছাড়াই বাংলা লেখা যায়। উবুন্টু আর ফেদোরার ডাউনলোড লিন্ক যথাক্রমে http://www.ubuntu.com/download/desktophttp://fedoraproject.org/get-fedora

অফিস স্যুটঃ এক্ষেত্রেও মাক্রোসফ্টের পাইরাইটেড অফিস স্যুটই আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এর বিপরীতে ফ্রি সফটওয়্যারের মধ্যে আছে লিব্রে অফিস, অ্যাপাচি ওপেন অফিস এবং কিংসফট অফিস। এদের মধ্যে লিব্রের ইন্টারফেস খুব একটা সুন্দর না হলেও বেশি জনপ্রিয় এবং এটি উবুন্টু এবং ফেদোরায় বিল্ট ইন থাকে। ফলে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে যারা বারবার সুইচ করেন তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ অফিস স্যুট। আর অ্যাপাচি দৃশ্যত ও কার্যত হুবুহু লিব্রে। শুধু নাম আর আইকনগুলোর ডিজাইন ভিন্ন। তাই অ্যাপাচির ব্যাপারে কোন কিছু বলার নেই। অপরদিকে যারা একটু অ্যাডভান্স ইউজার তাআরা কিংসফট ব্যবহার করতে পারেন। এটি দেখতেও খুব সুন্দর। ডাউনলোড লিংক লিব্রে https://www.libreoffice.org/download/libreoffice-fresh/

কিংসফট http://www.kingsoftstore.com/software

বাংলা টাইপ টুলঃ বাংলা লিখতে আগে বিজয়ের বহুল ব্যবহার থাকলেও নতুন কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কাছে অভ্রই বেশি জনপ্রিয়। কারন এর ফোনেটিক ইনপুট পদ্ধতি। এটি দিয়ে মুলত ইউনিকোড ফরম্যাটে বাংলা লেখা হয়। তবে ASCII ফরম্যাটেও লেখা যায়। তাই ফটোশপে লিখতেও কোন সমস্যা হয় না। ডাউনোলোড কিন্ক www.omicronlab.com

গ্রাফিক ডিজাইনঃ ফটোশপের উচ্চমুল্যের কারনে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে জিম্প। এতে ফটোশপের প্রায় সব ফিচার থাকলেও কার্টুন লুকের কারনে প্রফেশনালদের কাছে একোনো তেমন কদর পায় নি। তবে ধীরে ধীরে এই অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। Download link: http://www.gimp.org/windows/

ভেক্টর ডিজাইনঃ লোগো ডিজাইনের জন্য অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটরের বিপরীতে ফ্রি সফটওয়্যার হিসেবে ইংকস্কেপের নামটাই উল্লেখ করা যায়। এটি বেশ হাল্কা ধরনের সফটওয়্যার যার কারনে পিসির কনফিগারেশন কম হলেও কোন ল্যাগিংস ছাড়াই চালাতে পারেন। কিন্তু সমস্যা একটাই এটি শুধুমাত্র আরজিবি কালার মুড সাপোর্ট করে। ফলে এর দ্বারা প্রিন্ট ডিজাইন সম্ভব নয়। Download link: www.inkscape.org

সবশেষে কিছু কথা। অভ্র বাদে বাকি সব ফ্রি সফটওয়্যারগুলোকে টাকা দিয়ে কেনা সফটওয়্যারের সাথে তুলনা করলে তা হাস্যকর হবে। কারন এই সফটওয়্যার্গুলোর বেশিরভাগই নতুন। তবে যাদের খুব বেশি অ্যাডভান্স ফিচারের দরকার নেই বরং মোটামুটি মানের কাজগুলোই করে থাকেন তাদের জন্য এই ফ্রি সফটওয়্যার্গুলো যথেষ্ট। তবে এগুলো দিন দিন উন্নত হবে এবং এক সময় টাকা দিয়ে কেনা সফটওয়্যারের সাথে পাল্লা দিতে পারবে সে আশা করাই যায়। গুগল ক্রোম আর মজিলা ফায়ারফক্স এর ভালো উদাহরন। পেইড ওয়েব ব্রাউজারগুলোকে পেছনে ফেলে আজ এই দুটি ব্রাউজারই শীর্ষে।

email: galib1992ict@gmail.com

গ্রাফিক্স ডিজাইন যেভাবে শিখবেন

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন যেভাবে

সিরাজুম মুনীর গালিব

অনেকেই ভাববেন কোন ভালো ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হলেই তো হয়। কিন্তু বাস্তবে কখোনো কি দেখেছেন যে ট্রেনিং শেষ করে কেউ পন্ডিত হয়ে বের হয়? মুলত ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে শুধুমাত্র বেসিক বিষয়গুলি শেখানো হয়। মুল শেখাটা নিজি নিজেই শিখতে হয়। কিন্তু শুধুমাত্র বেসিক বিষয়গুলি শেখার জন্য কেন অযথা ট্রেনিং সেন্টারে যাবেন যদি নিজে নিজেই শিখতে হয়? হ্যা আপনি যদি কম্পিউটার মোটামুটিভাবে চালাতে পারেন তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনি নিজেই নিজেই শিখতে পারেন। এজন্য কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরন করতে হবে। আজকে সেইসব ধাপগুলি নিয়েই আলোচনা করব। অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন নিজে নিজে শিখে কি আর প্রফেশনালদের মত হওয়া যায়? আমি বলব হ্যা। তবে এজন্য আপনাকে যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। আর এতে অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে তা ধরেই নিন। এই ধৈর্য কিন্তু ট্রেনিং সেন্টারে গেলেও লাগবেই। তো শুরু করা যাক।

প্রথম ধাপঃ যেকোন লাইব্রেরীতে খোজ করলেই গ্রাফিক ডিজাইনে শেখার বই পাবেন। এদের মধ্যে মুলত ফটোশপ আর ইলাস্ট্রেটরের বই পাওয়া যায়। যেকোন লেখকের বই কিনতে পারেন। তবে চেষ্টা করুন সর্বশেষ সংস্করন সিসি এর উপর ভিত্তি করে লেখা বইটি কেনার জন্য। তবে সিসি সম্ভবত পাবেন না। তাই সিএস ৬ কিংবা অন্তত সিএস ৫ এর বই কিনুন। কারন এই তিনটি সংসকরনের মদ্যে বেশ মিল রয়েছে। তবে বই দেখে পেন টুলের ব্যবহারটা আমি শিখতে পারিনি। এজন্য ভিডিও টিউটোরিয়ালের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। তাই আমি বই এর চেয়ে ভিডিও টিউটোরিয়ালকেই বেশি ভালো মনে করি। বাংলায় হাসান যোবায়ের ভাইয়ের অ্যাডবি ফটোশপ আর অ্যাডবি ইআলাস্ট্রেটর এর ভিডিও টিউটোরিয়াল রকমারীতেই পাবেন। আমি এগুলো দেখেই শিখেছি। ভিডিও টিউটোরিয়াল একটু একটু দেখুন আর পিসিতে প্র‍্যাকটিস করুন। এভাবে আপনি কোন টুল দিয়ে কি করতে হয়, কিভাবে করতে হয় এইসব বেসিক বিষয়গুলি শিখবেন। ট্রেনিং সেন্টারগুলিতে এগুলিই শেখানো হয়।

২য় ধাপঃ এবারে কিছুটা অ্যাডভান্স জিনিস আপনি নিজে নিজে শিখবেন। আর এজন্য অনলাইনের শরণাপন্ন হতে হবে। যেমন আপনি হয়্ত সিলেকশন টুলগুলির ব্যবহার শিখেছেন। এবারে এই সিলেকশন টুলগুলি ব্যবহার করে কিভাবে মানুষের উড়ন্ত চুল সিলেক্ট করা যায় সেটা শিখবেন। অথবা গ্রাডিয়েন্ট টুল দিয়ে কিভাবে মেটাল বা গোল্ডের কালার তৈরী করবেন সেটা এই ধাপে শিখবেন। আর এগুলোর জন্য ইন্টারনেটই ভরসা। কারন কোন ট্রেনিং সেন্টার এগুলো শেখাবে না। তবে ইন্টারনেটে এধরনের অসংখ্য টিউটোরিয়াল পাবেন। প্রথমে বাংলায় গুগলে সার্চ করুন। পেয়ে গেলে তো ভালোই। আর নাহলে ইংরেজীতে পাবেনই। আর এই লেভেল থেকে অবশ্যই ভালো ডিজাইনারদের ডিজাইন দেখতে থাকুন। এতে করে আপনার আইডিয়া সমৃদ্ধ হবে। পারলে সেগুলো আপনিও নকল করার চেষ্টা করুন। সম্পূর্ন সফল না হলেও অনেক কিছুই শিখবেন। তো ভালো ডিজাইনারদের পাবেন কোথায়? ফেসবুকের মত ডিজাইনারদের জন্য আলাদা সেস্যাল নেটওয়ার্ক আছে যেমন behance.net, dribbble.com ইত্যাদি। এখানে অ্যকাউন্ট খুলে ভালো ডিজাইনারদের ফলো করুন।

৩য় ধাপঃ পুর্বের দুই ধাপ যদি আপনি ভালো করে অনুসরণ করে থাকেন তাহলে এই ধাপে পা বাড়ান। এই ধাপে আপনি ভালো ডিজাইনারদের সাথে নিজেকে তুলনা করুন। বোঝার চেষ্টা করুন আপনার ঘাটতি কোথায় এবং সেই ঘাটতি পূরন করার চেষ্টা করুন। আর এই তুলনা করার কাজটি করার সবচেয়ে ভালো জায়গা হল 99designs.com এখানে কাস্টমারগন তাদের ডিজাইনের জন্য কনটেস্টের আয়জন করেন। বিভিন্ন ডিজাইনারগন তাদের ডিজাইন জমা দিয়ে কনটেস্টে অংশগ্রহন করে থাকেন। আপনিও এতে অংশ নিন। ভালো ডিজাইনারদের সাথে আপনার পার্থক্যটা এখানেই ধরা পড়বে এবং আপনি নিজেকে আরো ভালো করতে কি কি শিখতে হবে তা জানবেন। আর ভাগ্য ভালো থাকলে আচমকা আপনার ডিজাইনটি পুরুস্কারের জন্য মনোনীত হয়ে যেতে পারে।

সবশেষে একটা কথা বলি শেখার কোন শেষ নেই। একজন গ্রাফিক ডিজাইনারকে আজীবন শিখে যেতে হয়। তাই কখোনোই শেখা বাদ দিবেন না। নতুবা আপনি ক্রমেই পিছিয়ে পড়বেন। কারন প্রতিনিয়তই মানুষে রুচি বদলাচ্ছে আর সেইসাথে ডিজাইনের ট্রেন্ডও বদলাচ্ছে। তাই আপনাকে সর্বদাই আপডেট থাকতে হবে। আজ এ পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ
email: galib1992ict@gmail.com

বর্তমান বিশ্বে ডিজাইনিং এর প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে

শামীম অভী।

বর্তমান বিশ্বে ডিজাইনিং এর প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। সর্বাধুনিক স্মার্টফোন গুলোতে ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইনিং ব্যাবহার করার ফলে হঠাৎ’ করে একটি বড় মার্কেট সৃষ্টি হয়েছে ডিজাইনিং এ। কম্পিউটার প্রফেশনাল অনেকেই কোডিং এর চেয়ে ডিজাইনিংকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এর জনপ্রিয়তার জন্য। ডিজাইনিং এর আরেকটি প্রধান সুবিধা হল এর মাধ্যমে গ্রাহকের মনের অনুভুতিকে জাগানো সম্ভব হয় যার মাধ্যমে ডিজাইনার সৃষ্টি র আনন্দ পেতে পারেন। বর্তমানে এডোবি ফটোশপ,ইলাস্ট্রেটর, আরও কিছু সফটওয়্যার দ্বারা ডিজাইনিং শেখা যায়। প্রফেসিওনাল মানের ডিজাইনিং একই সাথে আর্থিক সাফল্য ও মানসিক তৃপ্তি দুটোরই ভাল পদ্ধতি হতে পারে।

ব্যানার এইচটিএমএল ট্যাগ যুক্ত করবেন যেভাবে

Name: মুতাসিম বিল্লাহ (সুমন)

ব্যানার এইচটিএমএল ট্যাগ যুক্ত করবেন যেভাবে:

বর্তমান জগতটি প্রযুক্তির জগত। এখানে আপনি হাত বাড়ালেই পেয়ে যাবেন প্রযুক্তির সকল ধরনের উপাদান। আসলে প্রযুক্তি আমাদের যেভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাতে আগামী পৃথিবীর মানুষেরা কোন ধরনের প্রযুক্ত ব্যবহার করবে সেটা অনুধাবন করা বেশ কষ্টকর। বর্তমান পৃথিবীর কোন জিনিসটা আমাদের সবচেয়ে বেশী কাছে টেনে এনেছে জিজ্ঞাসা করলে ওয়েব সাইটের নাম সবার আগে আসে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট একটি মূল্যবান কাজ। যারা এই বিষয়ে নতুন কাজ করছেন ওয়েব সাইটে ব্যানার ট্যাগ তাদের কাছে একটি প্রয়োজনীয় শিক্ষা। আজকে আমি আপনাদের এই বিষয়ে বিস্তারিত ধারনা দিবো।
আমরা বিভিন্ন ওয়েব সাইটের উপরে, তলায়, ডানে বা বামে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখতে পায়, এই গুলো তৈরিতে আসলে ওয়েব সাইটে Banner HTML Tag ব্যবহার করে করা হয়। আপনিও ইচ্ছা করলে খুব সহজে আপনার ওয়েব সাইট বা ব্লগে HTML Tag ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন বা ইমেজ ব্যবহার করতে পারেন।

 
এটি করতে হলে আপনাকে প্রাথমিক পর্যায়ে ফটোশপের মাধ্যমে আপনাকে একটি ব্যানার তৈরি করতে হবে। আপনি বিভিন্ন সাইজের ব্যানার তৈরি করতে পারেন। তবে ২০০×২০০, ৩০০×১৫০, ৬৮০×২৫০ ইত্যাদি সাইজের হলে ভাল হয়। আপনি ব্যানারটির ফাইল JPEG, PNG বা GIF হিসেবে সেভ করতে পারেন। আপনার ব্যানারটি তৈরি করা শেষ হলে এবার শুরু হবে আপনার আসল কাজ।

 
প্রথমে আপনি যে ব্যানারটি তৈরি করেছেন সেটি কোনও ফটো শেয়ার সাইটে আপলোড করুন, আপনি Picasa online ব্যবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন আপনার ব্যানারটি যেন সঠিক মাপের হয়।

 
দ্বিতীয় স্তরে এসে আপনি লগ ইন করে আপনার ওয়েব প্রোভাইডারের ড্যাসবোর্ডে প্রবেশ করুণ এরপর ব্যানার স্থাপনের জন্য একটি গ্যাজেট ওপেন করুন। মনে রাখবেন গ্যাজেট নির্ধারণের জন্য আপনি অবশ্যই HTML/JAVA গ্যাজেট ব্যবহার করবেন। এবার নতুন ওপেন হওয়া বক্সে টাইপ করুন

<a href=”http://www.********.com”><img src=”http://**********.com/-.png” align=”right”/></a>
এর মাধ্যমে আপনি HTML ট্যাগ তৈরি করলেন এবার প্রথম http থেকে মুছে আপনার ব্যানারটি যে ওয়েবের বিজ্ঞাপনের জন্য সেটির লিংক যুক্ত করুন। এবার দ্বিতীয় http থেকে মুছে আপনার ব্যানার ইমেজটি যেখানে আপলোড করেছিলেন সেই লিংকটি এখানে বসান। তাহলে আপনার ব্যানার বিজ্ঞাপনটি সক্রিয় হবে। এবার align=” এর পরে আপনার ব্যানারটি ওয়েবের কোন স্থান কেন্দ্র করে বসবে সেটি নির্বাচন করে দিতে পারেন, যথা: right, left, top, bottom। মনে রাখবেন আপনার ব্যানার লিংকটি অবশ্যই সঠিক হওয়া লাগবে নতুবা আপনি ইমেজ দেখতে পাবেন না।
আজ এ পর্যন্ত, আশাকরি এই টিউটোরিয়ালটা আপনাদের উপকারে আসবে। তাহলে এখনিই কাজটি করার চেষ্টা করুন।

পিএইচপি৫ : এ এক ফাইল এর মধ্যে অন্য ফাইল এর কোড ব্যবহার করা। (PHP 5 Include Files)

include ও require statement পিএইচপি প্রোগ্রামিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা ব্যবহার করে আপনি একটি ওয়েবসাইটে একাধিক পাতায় একই পিএইচপি, এইচটিএমএল, অথবা টেক্সট অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন যা আপনার পিএইচপি কোডিং কে সহজে ব্যাবহার যোগ্য এবং কোডিং এর আকার সংক্ষিপ্ত করে।

include file ব্যাবহারের মাধ্যমে ওয়েব পেইজ এর প্রতিটি পাতার জন্য একটি আদর্শ header, footer, এবং একটি মেন্যু ব্যাবহার করা যেতে পারে। যদি কখনও header অথবা footer অথবা মেন্যুতে জরুরি পরিবর্তন করতে হয় তাহলে শুধুমাত্র header অথবা footer অথবা মেন্যু অংশে পরিবর্তন আনলেই চলবে। এক্ষেত্রে পুরো পাতাই অন্য কোন পরিবর্তনের ঝামেলা নেই। উক্ত সুবিধার কারনেই পিএইচপি কোডিং এইচটিএমএল কোডিং থেকে নিরাপত্তা ও সহজে ব্যাবহারের দিক থেকে অনেক এগিয়ে।

মনে করি আমরা একটি footer ফাইল তৈরি করব যা আমাদের মূল ফাইলে অন্তরভুক্ত হবে। আমরা এই ফাইলটির নাম দিতে পারি “footer.php”


<?php
 echo "<p>Copyright &copy; 1999-" . date("Y") . 
       "http://bangla.salearningschool.com</p>";
 ?>

 

এখন উপরোক্ত footer.php ফাইলটি মূল পিএইচপি ফাইলে অন্তরভুক্ত করব।


<html>
 <body>
<h1>Welcome to my home page!</h1>
 <p>Lets Learn PHP.</p>
 <p>Some more text.</p>
 php include 'footer.php';?>
</body>
 </html>

 

আবার মনে করি আমরা একটি আদর্শ মেন্যু আমাদের মূল পিএইচপি ফাইলের সকল পেইজে ব্যবহার করব। সেক্ষেত্রে মেন্যু ফাইলটির নাম দেয়া হল “menu.php”


<?php
 echo '<a href="/default.asp">Home</a> -
 <a href="/html/default.asp">HTML Tutorial</a> -
 css/default.asp">CSS Tutorial -
 <a href="/js/default.asp">JavaScript Tutorial</a> -
 <a href="default.asp">PHP Tutorial</a>';
 ?>

 

এখন উপরোক্ত menu.php ফাইলটি মূল পিএইচপি ফাইলে অন্তরভুক্ত করব।


<html>
 <body>
<div class="menu">
 <?php include 'menu.php';?>
 </div>
<h1>Welcome to my home page!</h1>
 <p>Some text.</p>
 <p>Some more text.</p>
</body>
 </html>

 

include ও require এ দুটি statement এ যদি কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে সাধারনত দু ধরনের error বার্তা প্রদর্শন করে থাকে।

include এর ক্ষেত্রে (E_COMPILE_ERROR) দেখাবে এবং স্ক্রিপ্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
require এর ক্ষেত্রে (E_WARNING) দেখাবে কিন্তু স্ক্রিপ্ট বন্ধ না হয়ে চলমান থাকবে।

সুতরাং আপনি যদি include statement সংবলিত পিএইচপি কোডটি পরিচালনা করে এর ফলাফল প্রদর্শন করতে চান সেক্ষেত্রে include file ব্যাবহার অপরিহার্য। এতে যদি কোডিং এ কোন ভুল থাকে তাহলে তা (E_COMPILE_ERROR) দেখাবে। তবে জটিল পিএইচপি অ্যাপ্লিকেশন কোডিং ক্ষেত্রে require statement ই বেশী নিরাপদ এবং এটি উক্ত ফাইলের নিরাপত্তার জন্য নির্ভরযোগ্য।

এইচটিএমএল কমেন্ট (HTML Comment)

রাজু (DU)

 

এইচ টি এম এল এ কমেন্ট করার জন্য কমেন্ট ট্যাগ <!– এবং –> ব্যবহার করা হয়।

HTML Comment Tags এইচটিএমএল কমেন্ট ট্যাগ

HTML source  এ আপনি নিম্নোক্ত syntax ব্যাবহার করে comments করতে পারেনঃ


<!– এখানে  আপনার Comment লিখুন –>


নোটঃ এখানে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে একটি  বিস্ময় সূচক চিহ্ন (!)  শুরুর ট্যাগ এ ব্যাবহার করা হয়েছে। কিন্তু সমাপ্তি ট্যাগ হিসেবে কোন (!) ব্যবহার করা হয়নি।

 

Comments গুলি browser এ প্রদর্শিত হয় না কিন্তু তারা HTML document এ সাহায্য করে থাকে।

Comments দ্বারা আপনি আপনার HTML এ  notifications and reminders ঠিক করে দিতে পারবেন।

উদাহরনঃ


<!– এখানে  আপনার Comment লিখুন –>

<p>এখানে  আপনার paragraph লিখুন .</p>

<!– কোন information মনে রাখার জন্য এখানে যোগ করুন –>


 

 

HTML debugging এর জন্য comment  অসাধারন কাজ করে, কেননা আপনি HTML code line এর বাইরে comment করতে পারেন এবং কমেন্ট দেখে ত্রুটি খুজে বের করতে পারবেন।

উদাহরনঃ


<!– Do not display this at the moment

<img border=”0″ src=”pic_mountain.jpg” alt=”Mountain”>

–>


 

 

Conditional Comments (শর্তাধীন Comment)

HTML এ Conditional Comment ব্যাবহারে আপনি বাধার সম্মুখীন হতে পারেনঃ


<!–[if IE 8]>

…. some HTML here ….

endif]–>


Conditional comment সংবলিত HTML tag কেবলমাত্র Internet Explorer দ্বারা ই কার্যকর হতে পারে।

 

Software Program Tags

HTML comment tag গুলি বিভিন্ন HTML software program দ্বারা তৈরি হতে পারে।

উদাহরণসরূপঃ  <!–webbot bot–>  tag টি  HTML comment এর ভিতরে FrontPage এবং Expression Web দ্বারা মোড়ান থাকে।

নিয়ম হিসেবে এইসব tag কে রেখে দেয়া হয় software টিকে সহায়তা করার জন্য, যা দ্বারা এটি তৈরি করা হয়েছে।

AngularJS Templates এর নিরাপত্তা।

URL of translated tutorial
http://sitestree.com/securing-your-angularjs-applications/
Paste written translation here
AngularJS Templates এর নিরাপত্তা।
Md. Shahinoor Islam
যদি আপনি চান তবে আপনি এটা ($templateCache caches templates) ব্যবহার করতে পারেন। প্রত্যেক user কে login করার সময় cache টা remove করতে হবে।
নিচের উদাহরনটি আপনাকে সাহায্য করবে,
Cache-Control: no-cache, no-store, must-revalidate
Pragma : no-cache
Expires : 0
https ব্যবহার snooping এর জন্য সুবিধাজনক , না করলে মাঝখানে কিছু অসুবিধা হতে পারে।
আপনাকে JSON Injection এর আক্রমন প্রতিরোধ করতে হবে।
প্রতিরোধ করতে আপনি নিচের উধাহরনটি লক্ষ্য করুন।
আপনার JSON এর পুর্বে লিখুন এটি )]}’, যদিও এটা বৈধ নয়।
client side থেকে XSS এর আক্রমন দূর করতে হবে।
AngularJS সব HTML প্রদর্শন করে যা ng-bind directive, or template interpolation এর মাধমে text এর ভিতর দেখা দেখা যায় (that is text in {{curly braces}}).