এইচটিএমএল কুইজ । HTML Quiz

[slickquiz id=2]

মুস্তাফিজুরের দারুণ সাফল্য!! বাকি তরুণরা জ্বলে উঠতে পারছে না। Mustafizur red hot, but other youngsters lukewarm

রিদওয়ান বিন শামীম

মুস্তাফিজুরের রেকর্ড গড়া ওয়ানডে অভিষেক সিরিজে অন্য তরুণ প্রতিভা যারা আছেন তাঁরা সেরকম ঝলসে উঠতে পারেননি। প্রথম ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট নেয়ার পর মুস্তাফিজুরের উপর চলে আসে পাদপ্রদীপের আলো। তাঁর সহজ সারল্য ও বোলিং একশনের ক্ষুরধার বৈচিত্র্য ও নতুনত্ব আরেক অভিষিক্ত প্রতিভা, তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা লিটন দাশের উপর থেকে দর্শকদের মনোযোগ কমিয়ে দিয়েছে অনেকটাই।

সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান তাদের ওডিআই ক্যারিয়ারের শুরুতে যে ফোকাস পেয়েছিলেন তা ধরে রাখতে পারেননি।
মুস্তাফিজুর প্রথম ওয়ানডেতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্পেলে দুটি ও তিনটি করে উইকেট নিয়েছিলেন কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেকেন্ড স্পেলেই নিয়ে নেন পাঁচ উইকেট। দুই ক্ষেত্রেই শুরুতে তাঁকে প্রচুর ব্যবহার করার পর ব্যাটিং পাওয়ারপ্লেতে আবার আক্রমনে ফেরত আনা হয়। বুধবারের খেলায় তাঁকে দ্বিতীয় স্পেলে আনা হয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও আম্বতি রায়ডুর ব্যাটিঙের সময়, পরিকল্পনা সফল ছিল কারণ ধোনি ও রায়ডু কপালজোরে বেঁচে যান দুটি আনপ্লেয়েবল ডেলিভারি থেকে, ৪৩তম ও ৪৭তম ওভারে ফিরে এসে ৪৭তম ওভারে সুরেশ রাইনার উইকেট নিয়ে একসাথে দুটি রেকর্ডের তালিকায় স্থান করে নেন তিনি,প্রথম তিন ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি ও তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি।
তরুণ তুর্কীদের মধ্যে এরপরেই আসে সৌম্য সরকারের নাম। ক্লাসিকাল ব্যাটিঙের সাথে মানসম্মত ৫৪, ৩৪ ও ৪০ রান তিন ম্যাচে খারাপ না, সেই সাথে ছিল প্রতিভার ঝলকানিও। লিটন দাশ তাঁর প্রতিভা অনুযায়ী এই সিরিজে তেমন ভাল করতে পারেন নি, সাব্বিরেরও সুযোগ ছিল তৃতীয় ওয়ানডেতে দীর্ঘ সময় ক্রিজে থাকার। ক্যাপ্টেন মাসরাফিও স্বীকার করলেন, মুস্তাফিজুরের তুলনায়, বাকি তরুণরা প্রত্যাশামত খেলতে পারেননি।

ইউনিক্স : শুরুর কথা (Unix – Getting Started)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ইউনিক্স কি ?

ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম হল প্রোগ্রামের একটি সেট যা কম্পিউটার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে লিঙ্ক হিসেবে কাজ করে। এতে ব্যবহারকারী সেল নামের প্রোগ্রামের মাধ্যমে কার্নেলে যোগাযোগ করে। সেল হল কম্যান্ড লাইন ইন্টারপ্রিটার, এটি ইউজারের কম্যান্ড অনুবাদ করে কার্নেলের পাঠযোগ্য ভাষায় পরিবর্তন করে।

  • ১৯৬৯ সালে এটিএন্ডটি কর্মীদের দ্বারা বেল ল্যাবরেটরিতে প্রথম ইউনিক্স ডেভেলাপ করা হয়,
  • ইউনিক্সের বিভিন্ন ভার্সন পাওয়া যায়, Solaris Unix, AIX, HP Unix এবং BSD সহ লিনাক্সও অনেকটা ইউনিক্সের মত, যেটি ফ্রী ওএস।
  • ইউনিক্স কম্পিউটার একসাথে কয়েকজন ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারেন।
  • ইউনিক্স কম্পিউটারে একজন ব্যবহারকারী একসাথে কয়েকটি প্রোগ্রাম চালু রাখতে পারেন।

 

ইউনিক্সের কাঠামো

ইউনিক্স কাঠামো চারটি মূল অংশ নিয়ে তৈরি হয়,

ইউনিক্সের কাঠামো

  • কার্নেল
  • সেল
  • কম্যান্ড ও ইউটিলিটি
  • ফাইল ও ডিরেক্টরি

 

সিস্টেম বুটআপ ও ইউনিক্সে লগইন

পাওয়ার অন করে বুটআপের পর login কম্যান্ডের মাধ্যমে সিস্টেমে প্রবেশ করতে হবে। লগইনের জন্য ইউজার আইডি, লগইন ডিটেইল অর্থাৎ আইডি নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সিস্টেমে প্রবেশ করতে হয়। এসব সঠিকভাবে দিলে যে ধরণের ফলাফল স্ক্রিনে আমরা পাব তা এরকম,


login : amrood
amrood's password:
Last login: Sun Jun 14 09:32:32 2009 from 62.61.164.73
$

 

 

কম্যান্ড প্রম্পটের মাধ্যমে কম্যান্ড দেয়া যায় ইউনিক্সে, যেমন ক্যালেন্ডার চেক করার জন্য cal কম্যান্ড দিতে পারি,


$ cal
      June 2009
Su  Mo Tu  We  Th  Fr  Sa
 1   2  3   4   5   6
 7   8  9  10  11  12  13
14  15 16  17  18  19  20
21  22 23  24  25  26  27
28  29 30
$

 

 

পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা

এটি আমরা করতে পারি passwd কম্যান্ড ব্যবহার করে,


$ passwd
Changing password for amrood
(current) Unix password:******
New UNIX password:*******
Retype new UNIX password:*******
passwd: all authentication tokens updated successfully
$

 

 

ফাইল ও ডিরেক্টরি তালিকাবদ্ধ করা

ls কমান্ডে -l অপশন ব্যবহার করে এটি করা যায়, নিচের উদাহরণে ব্যপারটি দেখানো হল,


$ ls -l
total 19621
drwxrwxr-x 2 amrood amrood 4096 Dec 25 09:59 uml
-rw-rw-r-- 1 amrood amrood 5341 Dec 25 08:38 uml.jpg
drwxr-xr-x 2 amrood amrood 4096 Feb 15 2006 univ
drwxr-xr-x 2 root root 4096 Dec 9 2007 urlspedia
-rw-r--r-- 1 root root 276480 Dec 9 2007 urlspedia.tar
drwxr-xr-x 8 root root 4096 Nov 25 2007 usr
-rwxr-xr-x 1 root root 3192 Nov 25 2007 webthumb.php
-rw-rw-r-- 1 amrood amrood 20480 Nov 25 2007 webthumb.tar
-rw-rw-r-- 1 amrood amrood 5654 Aug 9 2007 yourfile.mid
-rw-rw-r-- 1 amrood amrood 166255 Aug 9 2007 yourfile.swf
$

 

এখানে d….. দ্বারা শুরু হওয়া এন্ট্রি ডিরেক্টরি বুঝায়।

 

Whoami কম্যান্ড

Who am I? প্রশ্নটির উত্তরের জন্য এই কোড ব্যবহার করতে পারি আমরা,


$ whoami
 amrood
$

 

 

লগইন অবস্থায় কে কে আছে

এধরনের তিনটি কম্যান্ড users, who, এবং w, পাওয়া যায়।


$ users
 amrood bablu qadir
$ who
amrood ttyp0 Oct 8 14:10 (limbo)
bablu ttyp2 Oct 4 09:08 (calliope)
qadir ttyp4 Oct 8 12:09 (dent)
$

 

 

লগআউটের জন্য

কম্যান্ড প্রম্পটে logout কম্যান্ড টাইপ করলে সিস্টেম সবকিছু পরিষ্কার করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

 

সিস্টেম সাটডাউন

নিচের যেকোনো এক পদ্ধতির কমান্ডে সিস্টেম সাটডাউন করা যায়,

কম্যান্ড বিবরণ
halt তৎক্ষণাৎ সিস্টেমকে বন্ধ করে।
init 0 সাটডাউনের আগে সবকিছু ক্লিন করে সিস্টেম অফ হয়ে যাওয়া
init 6 সাটডাউনের মাধ্যমে রিবুট
poweroff পাওয়ার অফের মাধ্যমে সাট ডাউন
reboot সিস্টেম রিবুট হওয়া
shutdown সিস্টেম সাটডাউন হওয়া

সাটডাউনের জন্য সুপার ইউজার বা রুট হতে হয়, তবে কিছু ব্যতিক্রমও আছে।

 

ইউনিক্স টিউটোরিয়াল (Unix Tutorial)

লেখকঃ সৈয়দআহমেদ অনুবাদঃ মতিউর রহমান।

ইউনিক্স টিউটোরিয়াল

UNIX হচ্ছে উইন্ডোজ সেভেন/এইট এর মত একটি কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম যা একই সময়ে একাধিক ব্যবহারকারীর কাছ থেকে কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই অপারেটিং সিস্টেমটি প্রায় ১৯৬৯ সালে (AT&T Bell) এটি&টি বেল ল্যাবস এ কেন থম্পসন এবং ডেনিস রিটছি নামক দুই বাক্তির দ্বারা সুচনা ঘটে। সম্মানিত পাঠক এই টিউটোরিয়ালটি নতুনদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে যেখানে তারা বেসিক থেকে এডভান্স ইউনিক্স কমান্ড,ইউনিক্স শেলস্ক্রিপ্টিং এবং বিভিন্ন ইউটিলিটি ইত্যাদি মৌলিক ধারনা নিতে পারবে। তবে এটা জানার জন্য আপনার কিছু কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম এবং তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান থাকতে হবে আমি ধরে নিচ্ছি আপনার সেটা আছে। আপনার বিভিন্ন কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম এর উপর যে ধারনা আছে সেটা আপনাকে এই টিউটোরিয়াল দেয়া বিভিন্ন এক্সেরসাইজ বুঝতে সাহায্য করবে।

 

ইউনিক্স শেলপ্রোগ্রামসমূহ

আপনি ইউনিক্স/লিনাক্স মৌলিক কমান্ড এবং শেলস্ক্রিপ্ট শিখতে আগ্রহী কিন্তু আপনার পিসিতে সেট আপ দেয়া নেই বা এই প্রোগ্রামটি আপনার কাছে নেই তাহলে চিন্তার কোন বিষয় নেই আপনি চাইলে এখনি compileonline.com এর ডেডিকেটেড সার্ভার থেকে হেল্প নিতে পারেন, যা একেবারেই বিনামূল্যে এবং যে কোন সময় নিতে পারবেন। পরবর্তী টিউটোরিয়াল এর জন্য নেক্সট পেজ ভিসিট করুন। ধন্যবাদ

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : কুইক গাইড (DCN – Quick Guide)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ডাটা কমিউনিকেশনের সারসংক্ষেপ

পরস্পর সংযুক্ত কম্পিউটার ও তদসংশ্লিষ্ট অনুষঙ্গ (যেমন প্রিন্টার ইত্যাদি) নিয়ে যে ব্যবস্থা তাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে।কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ভাগ করা যায় যথা,

  • ভৌগলিক কারণ
  • আন্তর্সম্পর্ক
  • এডমিনিস্ট্রেশন
  • স্থাপত্যগত কারণ

 

আন্তঃসংযোগ

কয়েকপ্রকার ভাবে নেটওয়ার্কের উপাদানগুলো নিজেদের মধ্যে সংযুক্ত থাকতে পারে,

  • প্রত্যেকটি একক ডিভাইস নেটওয়ার্কের অন্য প্রত্যেক ডিভাইসের সাথে যুক্ত থাকতে পারে,
  • প্রত্যেক ডিভাইস একই মাধ্যমে কিন্তু ভৌগলিকভাবে আলাদা থাকতে পারে,
  • প্রত্যেক ডিভাইস তাদের সংলগ্ন ডিভাইসের সাথে লিনিয়ারভাবে সংযুক্ত থাকতে পারে,
  • প্রত্যেক ডিভাইস তাদের সংলগ্ন একটিমাত্র ডিভাইসের সাথে স্টার ফরম্যাটে যুক্ত থাকতে পারে,
  • উপরে আলোচনা করা সব পদ্ধতির সমন্বয়ে হাইব্রিডভাবেও সংযুক্ত থাকতে পারে।

 

এডমিনিস্ট্রেশন

এডমিনিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক স্বায়ত্তশাসিত, ব্যক্তিগত, লজিকাল বা পাবলিক ডোমেইন ইত্যাদি রকমের হতে পারে।

 

নেটওয়ার্কের স্থাপত্য কাঠামো

ক্লায়েন্ট-টু-সার্ভার, সদৃশ, হাইব্রিড বিভিন্ন রকম নেটওয়ার্ক হতে পারে, এর কাঠামোর উপর ভিত্তি করে।

  • এক বা একাধিক সিস্টেম সার্ভার হিসেবে কাজ করতে পারে,
  • দুটি সিস্টেম পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট অথবা ব্যাক-টু-ব্যাক ভাবে সংযুক্ত থাকতে পারে,
  • দুই রকমের ব্যবস্থার সমন্বয়ে হাইব্রিড ব্যবস্থা থাকতে পারে।

 

 

নেটওয়ার্ক অ্যাপ্লিকেশন

কম্পিউটার ও তদসংশ্লিষ্ট অনুষঙ্গ নেটওয়ার্ক থেকে সংযুক্ত থাকতে পারে। এরা যে সুবিধাগুলো দেয় তা হল,

  • রিসোর্স যেমন প্রিন্টার, স্টোরেজ ডিভাইস শেয়ার করা,
  • ইমেইল ও এফটিপির মাধ্যমে ডাটা স্থানান্তর,
  • ওয়েব বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ডাটা শেয়ার,
  • ডাইনামিক ওয়েব পেজ ব্যবহার করে অন্য ব্যবহারকারীর সাথে যোগাযোগ,
  • আইপি ফোন,
  • ভিডিও কনফারেন্স,
  • প্যারালাল কম্পিউটিং,
  • ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং

 

 

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক টাইপ

 

  • পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক,

পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক

  • লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক

  • মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক,

মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক

  • ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক,

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক

  • ইন্টারনেটওয়ার্কিং

 

 

নেটওয়ার্ক লেন টেকনোলোজি

নেটওয়ার্ক লেন টেকনোলোজি কয়েক রকমের হতে পারে,

 

  • ইথারনেট,
  • ফাস্ট ইথারনেট,
  • গিগা ইথারনেট,
  • ভার্চুয়াল লেন

ভার্চুয়াল লেন

 

 

 

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক টপোলজি

একই নেটওয়ার্কে লজিকাল ও ফিজিকাল টপোলজি একই বা ভিন্ন উভয় রকমেরই হতে পারে। এর প্রকরণগুলো হল,

  • পয়েন্ট টু পয়েন্ট,

পয়েন্ট টু পয়েন্ট

  • বাস টপোলজি,

বাস টপোলজি

  • স্টার টপোলজি,

স্টার টপোলজি

  • রিং টপোলজি,

রিং টপোলজি

  • মেস টপোলজি,

মেস টপোলজি

  • ট্রি টপোলজি,

ট্রি টপোলজি

  • ডেইজি চেইন,

ডেইজি চেইন

  • হাইব্রিড টপোলজি।

হাইব্রিড টপোলজি

 

 

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক মডেল

লেয়ারড টাস্ক, ওএসআই ও ইন্টারনেট মডেল, এই তিন রকম হয়ে থাকে।

 

 

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি

এর তিনটি প্রধান রূপ হল সিক্রেট কী এনক্রিপশন, পাবলিক কী এনক্রিপশন ও ম্যাসেজ ডাইজেস্ট।

 

 

এসব ছাড়াও ফিজিকাল লেয়ার, ডিজিটাল ট্রান্সমিশন ইত্যাদিও ডিসিএনের আওতাভুক্ত।

 

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ডিসিএন বিষয়ক আলোচনা (Discuss DCN)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ডাটা কমিউনিকেশন হল দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে ডিজিটাল ডাটার আদান প্রদান করা, এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ডাটা নেটওয়ার্ক হল এক ধরণের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে এর অন্তর্ভুক্ত কম্পিউটারগুলো ডাটা আদান প্রদান করতে পারে। নেটওয়ার্কে যুক্ত কম্পিউটার জাতীয় যন্ত্রগুলো হয় তারজাতীয় নাহয় তারবিহীন- এই দুই প্রকার উপায়েই যুক্ত থাকতে সক্ষম। সেরা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হল ইন্টারনেট।

 

আমাদের টিউটোরিয়ালগুলোতে ডাটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ডিসিএনের মূল বিষয়গুলো দেখানো হবে এবং ডাটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত অনেক এডভান্সড বিষয়ের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়া হবে।

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : নেটওয়ার্ক সার্ভিসসমূহ (DCN – Network Services)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

 

কম্পিউটার এবং এর সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি মানুষের কাজকর্ম সহজ এবং অজানাকে হাতের কাছে এনে দিয়েছে, আর এসব যন্ত্রপাতি যখন কোনও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে তখন তাদের কর্মক্ষমতা অনেক অনেক গুন বেড়ে যায়। কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক যেধরনের মৌলিক সেবা আমাদের দিতে পারে সেগুলো হল,

 

ডিরেক্টরি সার্ভিস

এই ধরণের সফটওয়ার সিস্টেম তথ্য সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও এতে প্রবেশের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কাজ তত্ত্বাবধায়ন করে থাকে। এর কয়েকটি দিক আছে,

  • একাউন্টিংঃ ডিরেক্টরি সার্ভিস ক্রিপটিক বিন্যাসে ব্যবহারকারীদের নাম ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে থাকে ও প্রয়োজনে সরবরাহ করে থাকে, একাউন্টিং পদ্ধতির প্রয়োগে এটি করা হয়।
  • অথেনটিকেশন এবং অথোরাইজেশনঃ শনাক্ত করার জন্য ব্যবহারকারীদের তথ্য লগইন করার সময় ও পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা করে দেখা হয়। ব্যবহারকারীদের তথ্য ক্রমানুসারে সাজানো হয় এবং অথোরাইজেশনের মাধ্যমে সিস্টেমে এর প্রবেশযোগ্যতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
  • ডোমেইন নেম সার্ভিসঃ এটি ব্যপকভাবে পরিচিত এবং এর উপরেই ইন্টারনেট কাজ করে। এটি আইপি এড্রেসকে ডোমেইন নামে নির্ধারণ করে যা মনে রাখা ও স্মরণ করা আইপি এড্রেস মনে রাখা ও স্মরণ করার চেয়ে সহজ। কারণ নেটওয়ার্ক আইপি এড্রেসের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং মানুষ ওয়েবসাইটের নাম মনে রাখার চেষ্টা করে। ডোমেইন নেম সার্ভিস ওয়েবসাইটের আইপি এড্রেস দেয় যা ব্যাকএন্ড থেকে নাম সংশ্লিষ্ট ও ব্যবহারকারীর কাঙ্খিত ওয়েবসাইটের নাম।

 

ফাইল সার্ভিস

ফাইল সার্ভিস দুই প্রকারের হয়, নেটওয়ার্কে ফাইল শেয়ার করা এবং ফাইল স্থানান্তর করা। নিজের কম্পিউটারে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর জন্য ফাইল শেয়ারিঙের জন্য রাখা ও সার্ভারে আপলোড শেয়ারিঙের উদাহরণ, আর ডাটা কপি করে এক বা অনেক কম্পিউটারে সরানোর প্রক্রিয়া হল ফাইল স্থানান্তর।

 

কমুনিকেশন সার্ভিস

নেটওয়ার্ক বিভিন্ন কমুনিকেশনের মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে যেমন,

  • ইমেইল,
  • সামাজিক যোগাযোগ,
  • ইন্টারনেট চ্যাট,
  • ডিসকাশন বোর্ড,
  • রিমোট এক্সেস।

 

এপ্লিকেশন সার্ভিস

নেটওয়ার্ক কিছু এপ্লিকেশন ভিত্তিক সার্ভিস দিয়ে থাকে, এগুলো হল,

  • রিসোর্স শেয়ারিং,
  • ডাটাবেস,
  • ওয়েব সার্ভিস ইত্যাদি ।

 

 

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : এপ্লিকেশন প্রটোকল : (DCN – Application Protocols)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

এমন বেশ কয়েকটি প্রটোকল আছে যারা এপ্লিকেশন লেয়ারে ব্যবহারকারীর জন্য কাজ করে। এদের মোটামুটি দুই ভাগে ভাগ করা যায়,

যেসব প্রটোকল সরাসরি ব্যবহারকারীর জন্য কাজ করে।যেমন ইমেইল।

আর যেসব প্রটোকল ব্যবহারকারীর জন্য সাহায্যকারী প্রটোকলকে সাহায্য করে। যেমন ডিএনএস।

 

কয়েক ধরণের এপ্লিকেশন প্রটোকল সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল।

ডোমেইন নেম সিস্টেম বা ডিএনএস

ক্লায়েন্ট সার্ভার মডেলে কাজ করে। ট্রান্সপোর্ট লেয়ার কমুনিকেশনে UDP প্রটোকল ব্যবহার করে, এটি UDP port 53 ব্যবহার করে, FQDN এর সাথে প্রস্তাবিত হয় এবং সংশ্লিষ্ট আইপি এড্রেসের সাথে প্রকল্পিত হয়।

সিম্পল মেইল ট্রান্সফার প্রটোকল

এক ইউজার থেকে আরেক ইউজারের কাছে মেইল পাঠাতে ব্যবহৃত হয়, এটি সার্ভার সাইডে প্রেরণের জন্য SMTP ব্যবহার করে, SMTP TCP port number 25 এবং 587 ব্যবহার করে থাকে।

ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল বা এফটিপি

এটি বহুল ব্যবহৃত প্রটোকল, TCP port 20 ব্যবহার করে থাকে, এই পদ্ধতিতে ইউজার সার্ভারে ফাইলের জন্য রিকোয়েস্ট করে। সার্ভার টিসিপি কানেকশন ব্যবহার করে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে।

পোস্ট অফিস প্রটোকল

ইউজার এজেন্ট ব্যবহৃত সাধারণ ট্রান্সফার প্রটোকল। TCP port 110 ব্যবহার করে।

হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল

এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ভিত্তি। পেজ ও টেক্সট ডকুমেন্টে হাইপারলিঙ্ক ব্যবহার করে। এইচটিটিপি ১.১ ও১.০, এই দুটি ভার্সন আছে।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ক্লায়েন্ট সার্ভার মডেল : (DCN – Client Server Model)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

দুটি রিমোট এপ্লিকেশন প্রক্রিয়া দুই ধরণের উপায়ে যোগাযোগ রাখতে পারে,

  • সদৃশ থেকে সদৃশ এপ্লিকেশনে যোগাযোগঃ দুটি রিমোট এপ্লিকেশন একই লেভেলে শেয়ারড রিসোর্স ব্যবহার করে এটি করতে পারে,
  • ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভারে যোগাযোগঃ একটি রিমোট প্রক্রিয়া ক্লায়েন্ট হিসেবে সার্ভার রূপে ক্রিয়াশীল অন্য রিমোট প্রক্রিয়ার কাছে রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারে। ক্লায়েন্ট সার্ভার মডেলে যেকোনো প্রক্রিয়া ক্লায়েন্ট অথবা সার্ভার হিসেবে কাজ করতে পারে।

ক্লায়েন্ট সার্ভার মডেল

 

যোগাযোগ

ক্লায়েন্ট সার্ভার মডেলে দুটি প্রক্রিয়া বিভিন্ন উপায়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে পারে,

  • সকেটের মাধ্যমে,
  • রিমোট প্রসেস সেল আরপিসি

 

সকেট

সার্ভাররূপে ক্রিয়াশীল প্রসেস, পোর্ট ব্যবহার করার মাধ্যমে সকেট খোলে, এবং ক্লায়েন্টের রিকোয়েস্টের জন্য অপেক্ষা করে। ক্লায়েন্টরূপে ক্রিয়াশীল প্রক্রিয়া অনুরূপ সকেট খোলে তবে তার কাজ হল রিকোয়েস্ট প্রেরণ করা।

 

রিমোট প্রক্রিয়া সেল

এটি সেই প্রক্রিয়া যেখানে একটি প্রক্রিয়া অন্য আরেকটি প্রক্রিয়ার সাথে সমন্বিত হয়। প্রসেস সেলের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট প্রসেস রিমোট হোষ্টে ন্যস্ত থাকে। এদের উভয় প্রক্রিয়া স্লাবের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যোগাযোগগুলো নিচের প্রক্রিয়াতে হয়ে থাকে,

  • ক্লায়েন্ট প্রসেস ক্লায়েন্ট স্লাবকে কল করে, এটি প্রোগ্রাম সঙ্ক্রান্ত সকল প্যারামিটার প্রেরণ করে।
  • এরপর সকল প্যারামিটার প্যাকড(মার্শালড) হয় এবং সিস্টেম এগুলোকে নেটওয়ার্কের অপর প্রান্তে প্রেরণের উদ্দেশে একটি কল দেয়।
  • কার্নেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডাটা প্রেরণ করে এবং অন্য প্রান্ত সেটিকে গ্রহণ করে।
  • রিমোট হোষ্ট সার্ভার স্লাবে ডাটা প্রেরণ করে যেখানে এটি আনমার্শালড।
  • এরপর প্যারামিটারকে প্রক্রিয়ায় পাঠানো হয় এবং এরপরে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।
  • একই প্রক্রিয়ায় ক্লায়েন্টের কাছে ফলাফল পাঠানো হয়।

 

তথ্যসূত্রঃ http://www.tutorialspoint.com/data_communication_computer_network/client_server_model.htm

 

২৩০ ওয়ার্ড, বোনাস আশা করছি। ধন্যবাদ।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : এপ্লিকেশন লেয়ার : ভূমিকা (DCN – Application Layer Introduction)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

এপ্লিকেশন লেয়ার ওসিআই এবং টিসিপি/আইপি লেয়ারড মডেলের সবচেয়ে উঁচু লেয়ার। এটি এর ইউজার ও ইউজার এপ্লিকেশন উভয়ের সাথে সম্পৃক্ততার স্বাতন্ত্র্যের কারণে দুটি লেয়ারড মডেলেই বিদ্যমান একটি বিষয়। এই লেয়ার কমুনিকেশন সিস্টেমের সাথে জড়িত-এমন এপ্লিকেশনের জন্য প্রযোজ্য।

ব্যবহারকারী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এপ্লিকেশনের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন। এপ্লিকেশন লেয়ার হল সেই জায়গা যেখানে প্রকৃত যোগাযোগ স্থাপন ও প্রতিফলিত হয়। কারণ এই লেয়ার লেয়ারস্টেকের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত, এর অন্য কোনও লেয়ারকে সার্ভ করতে হয় না। এপ্লিকেশন লেয়ার ট্রান্সপোর্টের সাহায্য নেয় এবং এর নিচের সব লেয়ারকে রিমোট হোষ্টে যোগাযোগ বা ডাটা ট্রান্সফার করতে হয়।

যখন এপ্লিকেশন লেয়ার প্রটোকল রিমোট হোষ্টে অবস্থিত এর সদৃশ এপ্লিকেশন লেয়ার প্রটোকল(peer application layer protocol) এর সাথে যোগাযোগ করতে চায় তখন এটি তথ্য বা ডাটা ট্রান্সপোর্ট লেয়ারে অর্পণ করে, ট্রান্সপোর্ট লেয়ার তার নিচের সব লেয়ারের সহযোগিতায় বাকি কাজ সম্পন্ন করে।

এপ্লিকেশন লেয়ার এবং এর প্রটোকল বোঝার ক্ষেত্রে কিছু অস্পষ্টতা থাকতে পারে, সব ইউজার এপ্লিকেশন এপ্লিকেশন লেয়ারে অর্পণ করা যায় না, কমুনিকেশন সিস্টেমের সাথে জড়িত এমন এপ্লিকেশন বাদ দিতে হয়। যেমন ডিজাইনিং সফটওয়ার বা টেক্সট এডিটরকে এপ্লিকেশন লেয়ার প্রোগ্রাম হিসেবে ধরা যায় না।

অন্যদিকে, যখন আমরা ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করি যা আসলে এইচটিটিপি বা হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল, তখন এটি নেটওয়ার্কের সাথে সম্পৃক্ত হয়। এইচটিটিপি কিন্তু এপ্লিকেশন লেয়ার প্রটোকল।

আরেকটি উদাহরণ হল ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল, যা ব্যবহারকারীকে টেক্সটবেজড বা বাইনারি ফাইল নেটওয়ার্কে ট্রান্সফার করতে সাহায্য করে। ব্যবহারকারী হয় গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস(জিইউআই)ভিত্তিক সফটওয়ার যেমন ফাইলজিলা বা কিউটএফটিপি ব্যবহার করে, অথবা কমান্ড লাইন মোডে এফটিপি ব্যবহার করে ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল ব্যবহার করতে পারে।

যে সফটওয়ারই ব্যবহার করা হোক না কেন, এটিই সফটওয়ারে ব্যবহৃত এপ্লিকেশন লেয়ারে প্রতীয়মান প্রটোকল। ডিএনএস এমন একটি প্রটোকল যা ইউজার এপ্লিকেশন প্রটোকল যেমন এইচটিটিপিকে এর কাজ সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।