এসইও – টাইটেল অপটিমাইজেশান । SEO – Title Optimization

নয়ন চন্দ্র দত্ত

 

কি খবর সবার? সবাই ভালতো । আজ আমি অনেক গুরুত্বপুর্ণ একটা বিষয় এসইও – টাইটেল অপ্টিমাইজেশান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো । তাহলে চলুন শুরু করা যাক …। চলুন
প্রথমেই আমরা এসইও কী, এর ব্যবহার এবং পরিচিতি দেখি…।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (ইংরেজি: Search Engine Optimization) বা সংক্ষেপে এসইও (SEO) হলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজকে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের সার্চ বা অনুসন্ধান ফলাফলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখানোর চেষ্টা করা হয়। সাধারণত একটি সার্চ ইঞ্জিনের ওয়েব ক্রাউলার বা সার্চ রোবট বিভিন্ন সময় কিংবা কোনো নির্দিষ্ট সময় ওয়েবে থাকা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে বেড়ায় এবং তখনকিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য খুঁজে বেড়ায়। ওয়েবসাইটের সেই সকল বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করে ওয়েবসাইটকে সার্চ রোবটের কাছে তথ্যসমৃদ্ধ করার কাজটিই মূলত প্রকৃত চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকে এসইও’র। রোবট সাধারণত একটি ওয়েবসাইট ক্রাউল করার বা ঘুরে বেড়ানোর সময় যে বিষয়গুলোতে দৃষ্টিপাত করে, সেগুলো হচ্ছেঃ

  • ওয়েবসাইটের টাইটেল বা নাম
  • ওয়েবসাইটের ডেসক্রিপশন বা বিবরণ
  • ওয়েবসাইটের মেটা ট্যাগ
  • ওয়েবসাইটের সাইট ম্যাপ
  • ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর টাইটেল বা নাম
  • ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর অল্ট বিবরণ
  • ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর ক্যাপশন ইত্যাদি

এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে দৃষ্টিগোচর করার কাজটিই এসইও’র মূল কাজ বলে পরিগণিত হয়। আজ আমরা দেখব এসইও এর টাইটেল অপ্টিমাইজেশান সম্বন্ধে-

এসইও – টাইটেল অপটিমাইজেশান

একটি HTML টাইটেল ট্যাগ হেড ট্যাগ এর ভিতরে থাকে। পেজ টাইটেল (পেজের জন্য হেডিং দিয়ে বিভ্রান্ত করা যাবে না) আপনার ব্রাউজার উইন্ডোর টাইটেল বারের মধ্যে যা প্রদর্শন করা হয় এবং আপনি যখন একটি পেজ বুক্মার্ক করেন তখন যা প্রদর্শন করে অথবা আপনার ব্রাউজারে পছন্দের তালিকায় যা যোগ করা হয়।

এটি ওয়েব পেজ এর একটি জায়গায় আপনার কীওয়ার্ড অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজের টাইটেলের মধ্যে কীওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার গুগল এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ – বিশেষ করে হোমপেজের জন্য। আপনি যদি আপনার সাইট অপটিমাইজের জন্য কিছু না করে থাকেন তাহলে এটি করতে অবশ্যই মনে রাখবেন!

এখানে একটি ওয়েব পেজ -এর টাইটেল ডিজাইন করার সময় কিছু বিবেচ্য বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে:

  1. টাইটেল ৯ ওয়ার্ড বা ৬০ অক্ষর দ্বারা গঠিত উচিত
  2. টাইটেলের খুব প্রারম্ভে কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন
  3. আপনার কোম্পানীর নাম যদি খুব ভালোভাবে পরিচিত না হয় তাহলে টাইটেলে আপনার কোম্পানীর নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন না

টাইটেল তৈরী করার জন্য সর্বোত্তম উপায়

এখানে পেজের টাইটেল তৈরি করার জন্য কিছু পদ্ধতি দেওয়া হয়েছে যা আপনি অনুসরণ করতে পারেনঃ

  1. প্রতিটি পেজের জন্য একটি ইউনিক টাইটেল রাখতে হবে।
  2. সম্বব হলে, প্রতিটি পেজের প্রতিটি টাইটেল এ প্রাথমিক কীওয়ার্ড ফ্রেজ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
  3. আপনার হোম পেজের টাইটেল প্রাথমিক কীওয়ার্ড ফ্রেজ দিয়ে আরম্ব করুন যা সেরা সেকেন্ডারি কীওয়ার্ড ফ্রেজ অনুসরণ করে।
  4. আপনার নির্দিষ্ট পণ্য, সেবা, বা কন্টেন্ট পাতায় আপনার প্রধান কীওয়ার্ড ফ্রেজ আরো সুনির্দিষ্টভাবে ব্যবহার করুন।
  5. যদি আপনার কোম্পানীর নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হয় তাহলে টাইটেল এর শেষে করুন
  6. কীওয়ার্ডের জন্য বহুবচন বা একবচন এর সেরা ফর্ম ব্যবহার করুন যা WordTracker এর অনুসন্ধান এর ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়।
  7. টাইটেলে আপনার কীওয়ার্ড 2 থেকে 3 এর অধিক পুনরাবৃত্তি করবেন না।
  8. এটি নিশ্চিত করুন যে <title> ট্যাগ আপনার পেজের <head> বিভাগের প্রথম উপাদান।  এটি Google এর জন্য পেজটি খুঁজে পাওয়া সহজ করে।

আজকের মত এই পর্যন্ত। আশা করি সবার খুব ভাল লেগেছে । পরবর্তি টিউটোরিয়ালে এসইও নিয়ে আরো অনেক কিছু লিখব। সবাই ভাল থাকবেন আর কোন জায়গায় বুঝতে কোন সমস্যা হলে নিশ্চই কমেন্ট করবেন ।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মেটা ট্যাগ । SEO – Optimized Metatags

রিদওয়ান বিন শামিম।

 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে দুটি মেটা  ট্যাগ থাকে, মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগ ও মেটা কীওয়ার্ড ট্যাগ। কিছু কিছু সার্চ ইঞ্জিনে মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগকে সার্চ রেজাল্টে দেখানো হয় কিন্তু মেটা কীওয়ার্ড ট্যাগকে সার্চ ইঞ্জিনে দেখা যাবে না। অনেক এসইও এক্সপার্ট  মেটাট্যাগের ধারণা ত্যাগ করতে শুরু করছেন যদিও তারা নিজেদের কিছু সাইটে এখনও এটি ব্যবহার করে থাকেন। গুগলের জন্য মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগ সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে (SERPs)  তেমন প্রভাব রাখতে পারে না, তবে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে লিস্টিং এর ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। ইয়াহু বলে তারা কোন পেজকে রেঙ্কিং করতে  মেটা কীওয়ার্ড ট্যাগ ব্যবহার করে অর্থাৎ, ইয়াহু সহ আরও কিছু সার্চ ইঞ্জিন এখনও মেটা কীওয়ার্ড ট্যাগ ব্যবহার করে থাকে। কোন ওয়েব পেজের হেড সেকশনে নিচের কোড মেটা ট্যাগের জন্য আমরা ব্যবহার করতে পারি।


KEYPHRASE1 etc.          about 30 to 40 unique words">
<meta name="description"   content="An accurate, keyword-rich description    about 150 characters">

মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগে কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিৎ। কোন শব্দ বেশি রিপিট করা উচিৎ নয়, কিন্তু multiplesyntaxes কীওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যায়। একক কোন ওয়েবপেজে ডেসক্রিপশন মেটাট্যাগে  ১৫০ এর বেশি ক্যারেকটার ব্যবহার করা উচিৎ নয়। প্রতি পেজের জন্য আলাদা মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগ ব্যবহার করা উচিৎ কারণ ভাল টাইটেল ও বর্ণনা আপনার সাইটটিকে খুঁজে পেতে সহায়ক হতে পারে। মেটা কীওয়ার্ড ট্যাগের জন্য সিনোনেম ও ইউনিক কীওয়ার্ড  ব্যবহার করা উচিৎ, একই ফ্রেজ বারবার ব্যবহার করার দরকার নেই তবে ভিন্ন ফ্রেজের জন্য একই শব্দ একাধিকবার ব্যবহার করা যেতে পারে।  এগুলো ছাড়াও রোবট মেটাট্যাগ নামের আরেকটি ট্যাগ আছে যা এরকম দেখায়ঃএধরনের ট্যাগ দ্বারা আপনি কোন পেজকে ইনডেক্স আকারে না চাইলে  রোবট বা স্পাইডারকে আপনি বলতে পারেন যে আপনি কোন পেজকে ইনডেক্স আকারে চান না। বা লিঙ্ক ফলোইন না চাইলে সেটিও বলতে পারেন।

পিএইচপি ফিল্টারস (PHP Filters)

অনিরাপদ উৎস থেকে ডাটাকে বৈধ করার জন্য আমরা পিএইচপি ফিল্টার ব্যবহার করে থাকি। ওয়েব অ্যাপ্লিকেশান এর জন্য পিএইচপি ফিল্টার একটি গুরুত্ত পূর্ণ বিষয়। পিএইচপি ফিল্টার extension বানানো হয়েছে ডাটাকে খুব সহজে এবং তারাতারি ফিল্টার করার জন্য।

 

কেন ফিল্টার ব্যবহার করা হয়

প্রায় সব ওয়েব অ্যাপ্লিকেশান বাইরের ইনপুট এর উপর নির্ভরশীল। যা একজন ইউজার বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশান এর মাধ্যমে আসতে পারে। ফিল্টার ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা সেই ডাটাগুলোকে বৈধ করতে পারি।

বাইরের ডাটা গুলো কি রকম হতে পারে

ফর্ম ব্যবহার করে কোন ডাটা নেওয়ার জন্য, কুকিস, ওয়েব সার্ভিসেস ডাটা, সারভার variables, ডাটাবেস query করার মাধ্যমে।

ফাংশন এবং ফিল্টার

filter_var() একটি নির্দিষ্ট variable কে ফিল্টার করার জন্য
filter_var_array() অনেকগুলো variable ফিল্টার করার জন্য
filter_input একটা ইনপুট variable কে ফিল্টার করার জন্য
filter_input_array অনেকগুলো ইনপুট variable কে ফিল্টার করার জন্য

আমরা filter_var() ফাংশন ব্যবহার করে একটি integer কে বৈধ করব।


< ?php
 $int = 123;
if(!filter_var($int, FILTER_VALIDATE_INT)) {
 echo("Integer is not valid");
 } else {
 echo("Integer is valid");
 }
 ?>

FILTER_VALIDATE_INT ব্যবহার করা হয়েছে variable কে ফিল্টার করার জন্য যদি integer টি বৈধ হয় তাহলে ফলাফল আসবে “Integer is valid”
যদি আমরা integer এর পরিবর্তে 123abc ব্যবহার করি তাহলে output আসবে Integer is not valid।

Validating এবং Sanitizing

বৈধ ফিল্টার

১। ইউজার এর ইনপুট গুলোকে বৈধ করার জন্য
২। নির্দিষ্ট গঠন অনুজায়ে ডাটা তৈরি করার জন্য (যেমন ইমেইল অথবা URL এর ক্ষেত্রে)

Sanitizing ফিল্টার

১। কোন নির্দিষ্ট characters কে অনুমোদন দেওয়ার জন্য
২। কোন গঠন বৈশিষ্ট্য মেনে চলে না
৩। সবসময় স্ট্রিং রিটার্ন করে

filter_var() ফাংশন ব্যবহার করে আমরা integer কে বৈধ করব।


< ?php
 $var=300;
$int_options = array(
 "options"=>array
 (
 "min_range"=>0,
 "max_range"=>256
 )
 );
if(!filter_var($var, FILTER_VALIDATE_INT, $int_options)) {
 echo("Integer is not valid");
 } else {
 echo("Integer is valid");
 }
 ?>

এই কোড এ options ব্যবহার করতে হবে একটি array এর ভিতর options নাম দিয়ে যদি ফ্লাগ ব্যবহার করা হত তাহলে array লাগত না। আমাদের integer ছিল 300 যা রেঞ্জ এর মধ্যে মিলে না সুতরাং এর ফলাফল আসবে “Integer is not valid”।

 

ইনপুট ডাটা বৈধ করা

filter_input() ফাংশন ব্যবহার করার মাধ্যমে আমার ডাটা বৈধ করব প্রথমে আমরা চেক করব ডাটা আসলে ইনপুট করা হয়েছে কিনা


< ?php
 if(!filter_has_var(INPUT_GET, "email")) {
 echo("Input type does not exist");
 } else {
 if (!filter_input(INPUT_GET, "email", FILTER_VALIDATE_EMAIL)) {
 echo "E-Mail is not valid";
 } else {
 echo "E-Mail is valid";
 }
 }
 ?>

GET মেথড ব্যবহার করে ইনপুট (ইমেইল) চেক করবে যে তা বৈধ কিনা

Sanitize ইনপুট

ফর্ম কে URL এ পাঠানোর মাধ্যমে আমরা একে বুজবো
প্রথমে আমরা চেক করব ইনপুট ডাটা ফাকা আছে কিনা
তারপর আমরা filter_input() ফাংশন ব্যবহার করে ডাটা কে sanitize করব।


< ?php
 if(!filter_has_var(INPUT_POST, "url")) {
 echo("Input type does not exist");
 } else {
 $url = filter_input(INPUT_POST,
 "url", FILTER_SANITIZE_URL);
 }
 ?>

উপড়ের উধাহরন টি যদি POST মেথড ব্যবহার করা হয়

প্রথমে চেক করবে ইনপুট URL post টাইপ এর কিনা, যদি ইনপুট variable exists করে তাহলে character অনুজায়ে sanitize করবে এবং $url এ variable জমা করবে। যদি ইনপুট variable এর স্ট্রিং http://bangla.salearningschøøool.comএর মতন হয় আমরা sanitize করার পর পাব http://bangla.salearningschool.com

একটি ফর্মে একাধিক ইনপুট থাকতে পারে সে ক্ষেত্রে আমরা filter_var or filter_input এর পরিবর্তে filter_var_array or the filter_input_array ব্যবহার করব। এই উধাহরন এ আমরা filter_input_array() ফাংশন ব্যবহার করব তিনটা GET variables এর ক্ষেত্রে এই তিনটি হল নাম, বছর , ইমেইল।


< ?php
 $filters = array
 (
 "name" => array
 (
 "filter"=>FILTER_SANITIZE_STRING
 ),
 "age" => array
 (
 "filter"=>FILTER_VALIDATE_INT,
 "options"=>array
 (
 "min_range"=>1,
 "max_range"=>120
 )
 ),
 "email"=> FILTER_VALIDATE_EMAIL
 );
$result = filter_input_array(INPUT_GET, $filters);
if (!$result["age"]) {
 echo("Age must be a number between 1 and 120.
");
 } elseif(!$result["email"]) {
 echo("E-Mail is not valid.
");
 } else {
 echo("User input is valid");
 }
 ?>

নেম ইনপুট ফিল্ড একটি array এর মধ্যে রাখা হয়েছে এবং ফিল্টার সেট করা হয়েছে । এরপর যে array গুলো সেট করা হয়েছে তাদেরকে filter_input_array() ফাংশন এর মাধ্যমে গেট মেথড ব্যবহার করে ডাকা হবে। এরপর ইনপুটশ গুলো বৈধ কিনা তা চেক করবে।

 

Filter Callback

filter_callback ফিল্টার ব্যবহার করে ইউজার defined করা সম্ভব। সেই ক্ষেত্রে আমাদের ডাটা filtering এ পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। নিচের উধাহরণটিতে আমরা user created ফাংশন ব্যবহার করেছি সকল “_” থেকে whitespace এ পরিবর্তন করার জন্য।


< ?php
 function convertSpace($string) {
 return str_replace("_", " ", $string);
 }
$string = "Peter_is_a_great_guy!";
echo filter_var($string, FILTER_CALLBACK,
 array("options"=>"convertSpace"));
 ?>

 

এর ফলাফল আসবে

Peter is a great guy!

 

উপড়ের উধারণটিতে সকল “_” পরিবর্তন করা হয়েছে whitespace এ এবং filter_var() ফাংশন কে কল করা হয়েছে FILTER_CALLBACK দ্বারা

 

এসইও – প্রাসঙ্গিক ফাইলের নাম । SEO – Relevant Filenames

সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটের অবস্থান প্রাসঙ্গিক ফাইলের নামের উপর অনেকটা নির্ভর করে । অনেক গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে যে, গুগল সাধারণত প্রাসঙ্গিক ফাইলের নামের উপর অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সুতারাং, পেজের নামকরনের পূর্বে আপনাকে মনে রাখতে হবে পেজটা সাধারণত কোন বিষয়ের উপর লেখা।

গুগলে কোন কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দিলে আপনার ওয়েবসাইট এর পেজ যদি সেই একই কিওয়ার্ড থাকে তাহলে টা সার্চ ইঞ্জিন এ প্রদর্শিত হবে।

 

ফাইল এর নামকরন যেভাবে করবেন

  1. ফাইল এর নামে সাধারনত বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করবে সেটা সংক্ষিপ্ত না বর্ণনামূলক হবে।
  2. পেজ টাইটেল এ যে কিওয়ার্ড করবেন, ফাইল নাম এ ঠিক একই কিওয়ার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
  3. জেনারিক ফাইলের নাম যেমন, “job.htm, service.htm”  এগুলো ব্যবহার করা হতে বিরত থাকবেন।
  4. নামের বিভিন্ন অংশগুলোকে যদি পৃথককরনের প্রয়োজন পরে তাহলে আন্ডার স্কর বাদ দিয়ে হাইফেন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
  5. সম্ভব হলে শুধুমাত্র ২ টা কিওয়ার্ডস ব্যবহার করুন।

 

ফাইল নামের উদাহরন

কিছু কিছু আদর্শ নামের উদাহরন নিম্নে উল্লেখ করা হল,

  • slazenger-brand-balls.html
  • wimbledon-brand-balls.html
  • wilson-brand-balls.html

লক্ষ্য করবেন যে, ফাইল নামের এ বিভিন্ন অংশ হাইফেন দ্বারা সংযুক্ত আছে।

 

ফাইল নামের শেষের অংশ

ফাইল নামের শেষের অংশ যেমন, .htm, .php, .html ইত্যাদি আপনার সাইট এর জন্য গুগল রাঙ্ক এ কোন অবস্থান নির্ণয়ে অবদান রাখে না। এটা শুধু ওয়েব সার্ভার কে বলে দেয়, ফাইল টি সাধারনত কিভাবে খুলবে।

 

যে বিষয়গুলি অবশ্যই মনে রাখতে হবে

  1. ফাইলএর নাম ছোট, সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক রাখার চেষ্টা সবসময় করতে হবে।
  2. ফাইলের নামে ৩-৪ টা কিওয়ার্ডস ব্যবহার করার চেষ্টা করুন এবং লক্ষ্য রাখুন সেগুলো যেন সার্চ ইঞ্জিনেও প্রকাশিত হয়।
  3. উপ- ডিরেক্টরি গুলোতে যথাসম্ভব ছোট নাম ব্যবহার করার চেষ্টা করবে।
  4. ফাইলের আকার ১০১ কিলোবাইটে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করুন। গুগল সাধারণত নির্দিষ্ট আকারের বড় ফাইল প্রকাশ করে না।

 

এসইও অনুকূল কীওয়ার্ড । SEO – Optimized Keywords

এসইও- কীওয়ার্ড অপটিমাইজড

একটি কীওয়ার্ড একটি শব্দ। কীওয়ার্ড ব্যবহার করে একজন ব্যক্তি সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে কোন তথ্য বা ওয়েব সাইড খূঁজে পায়। অধিকাংশ মানুষ দুই থেকে পাঁচ শব্দ গঠিত বাক্যাংশ সার্চ ইঞ্জিন এর অনুসন্ধান লিখে থাকে। বাক্যাংশ, শব্দ বাক্যাংশ, প্রশ্নের সাথে বাক্যাংশকে শুধু কীওয়ার্ড বলা যেতে পারে। ভাল শব্দ বাক্যাংশ নির্দিষ্ট এবং বর্ণনামূলক হয়ে থাকে।

কীওয়ার্ড সম্পর্কিত নিম্নলিখিত ধারণা একটি ওয়েবপেজ নিখুঁত ভাবে খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

কীওয়ার্ড ফ্রিকোয়েন্সি

একটি কীওয়ার্ড একটি ওয়েবসাইট শিরোনাম বা বর্ণনার সাথে মিল রেখে প্রদর্শিত করে। আপনি চাইবেন না যে আপনি “স্প্যামিং” বা শব্দ ঠাসাঠাসির জন্য আপনার সাইটটি আগে প্রদর্শিত না হয়, একটি কীওয়ার্ড এর পুনরাবৃত্তি সার্চ ইঞ্জিনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

সাধারণভাবে একটি অনুচ্ছেদ বা আর্টিকেলে আপনার কীওয়ার্ড ৩-৭ বার পর্যন্ত হতে পারে এটা স্বাভাবিক এতে করে এসইও-অপটিমাইজেশন এর উপর খারাপ কোন প্রভাব পরবে না।

কীওয়ার্ড প্রক্সিমিটি

একটি অনুসন্ধান শব্দ কীওয়ার্ড এর সাথে সমন্বয় করা যেতে পারেকিওয়ার্ড প্রক্সিমিটি বলতে অনুসন্ধান শব্দসমষ্টি এর সাথে প্রতিটি পৃথক শব্দের পার্থক্য বোঝায়। কিছু ক্ষেত্রে, এর কীওয়ার্ড হিসাবে অনুরূপ অর্থের সাথে মিল বোঝায়। সার্চ ইঞ্জিন, যে কীওয়ার্ড এর সাথে মিল পায় সেই ওয়েবপেইজ আপনার কাছে উপস্থাপন করে।

কীওয়ার্ড এর বৈশিষ্ট্য

এটি একটি ওয়েবপেইজ তাড়াতাড়ি বা দ্রুততার সাথে খোঁজে পায়। শিরোনামে এবং একটি পৃষ্ঠার প্রথম অনুচ্ছেদের (প্রথম ২০ শব্দ) মধ্যে কীওয়ার্ড ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভাল হয়।

কীওয়ার্ড বসানো

একটি ওয়েবপেজে কিভাবে এবং কোথায় কীওয়ার্ড স্থাপন করা হবে সেই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, পেজ শিরোনামের মধ্যে বা হেডিং ট্যাগ-এ কীওয়ার্ড বসালে অধিকাংশ সার্চ ইঞ্জিনে এটি আরো বেশি ভাল কাজ করে।

কীওয়ার্ড এর ব্যবহার

কীওয়ার্ড কিভাবে ব্যবহার করবেন তার একটি তালিক দেওয়া হলো।

  • Keywords in thetag(s) or other headline tags.
  • Keywords in the keywords link tags.
  • Keywords in the body copy.
  • Keywords in alt tags.
  • Keywords in <!– insert comments here> comments tags.
  • Keywords in the URL or website address.

কীওয়ার্ড খোঁজা

আপনার ওয়েব সাইটের জন্য কীওয়ার্ড খুঁজে বের করার বিভিন্ন উপায় আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভাল হলো Google Keyword Tool ব্যবহার করা।

শব্দ স্টেমিং কি?

গুগল এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি স্টেমিং ব্যবহার করে। যেখানে এক বচন শব্দ এবং বহু বচন শব্দ সকল ধরনের শব্দ ধরতে পারে ।

এসইও কৌশল ও কার্যপদ্ধতি । SEO – Tactics & Methods

নয়ন চন্দ্র সরকার

 

এসইও এর প্রকারভেদ

এস ই ও এর কার্যাবলী সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে। যেমন,

  1. হোয়াইট হ্যাট এস ই ও
  2. ব্ল্যাক হ্যাট এস ই ও

হোয়াইট হ্যাট এসইও

এস ই ও এর কার্যাবলীগুলোর মধ্যে যদি নিম্নোক্ত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাহলে তাকে হোয়াইট হ্যাট এস ই ও বলা যেতে পারে,

  1. যেটা গুগল এর নির্দেশনাসমূহ মেনে চলে ।
  2. যেটাতে কোন প্রতারনার পন্থা অবলম্বন করা হয় না ।
  3. এটা নিশ্চিত করে যে, গুগল সার্চ এ যে বিষয়বস্তু সমূহ প্রদর্শন করবে, ওয়েবসাইট এর বিষয়বস্তুসমূহ ঠিক একই হবে।
  4. এটা নিশ্চিত করবে যে, ওয়েবসাইট এর বিষয়বস্তুসমূহ প্রধানত ব্যবহারকারীদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে, শুধুমাত্র গুগল এর সার্চ ইঞ্জিন এ ভাল অবস্থান পেতে নয়।
  5. যেটা ওয়েবপেজ এর ভাল গুনাগুন নিশ্চিত করে।
  6. যেটা ওয়েব পেজ এ ভাল মানের বিষয়বস্তুর নিশ্চয়তা বিধান করে।

একজন ওয়েব ডেভেলপার এর জন্য হোয়াইট হ্যাট এস ই ও এর পথ অনুসরণ করা উচিত। কারন, এটা তুলনামুলকভাবে কষ্টসাধ্য হলেও ভবিষ্যতে ওয়েবসাইট এর উন্নতি সাধনে সহায়তা করে।

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও

যদি একজন অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপটিমাইজার তাঁর ওয়েবপেজ এর সার্বিক উন্নয়নে নিম্নোক্ত পথসমুহ অবলম্বন করে, সেই পদ্ধতিকে ব্ল্যাক হ্যাট এস ই ও বলে অভিহিত করা যেতে পারে,

  1. গুগল এর নির্দেশনা সমূহ উপেক্ষা করে ওয়েবসাইট এর রাঙ্ক বৃদ্ধিতে কাজ করলে।
  2. যদি ব্যবহারকারিকে অন্যকোন ওয়েবসাইট থেকে নিজের ওয়েবসাইট এ নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয় , যার মান পূর্বোক্ত ওয়েবসাইট এর সমান বা কম মানের অধিকারী।
  3. কি ওয়ার্ড এ মেটা ট্যাগ এর পুনরাবৃত্তি ঘটালে।
  4. ওয়েবসাইট এর ঠিকানার সাথে মিল না রেখে বিষয়বস্তু নির্ধারণ করলে।
  5. এইচ টি এম এল কোড ব্যবহার করে ওয়েব পেজ এর কোন বিষয়বস্তু গোপন করলে।

সর্বোপরি, আপনার ওয়েবসাইট এর উন্নয়েনে হোয়াইট হ্যাট এস ই ও এর কৌশল সমূহ অনুসরন করা উচিত। আপনি ওয়েবপেজ এর উন্নয়নে যেটাই অনুসরণ না কেন, গুগল অবশ্যই সেটা জানতে পারবে এবং সে অনুযায়ী বাবস্থা গ্রহণ করবে।

 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি? What is SEO?

মোঃ কামাল হসেন

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে যে কেউ সার্চ ইঞ্জিন ব্যাবহার করে একটি ওয়েব সাইটকে বিনামূল্যে সকলের কাছে পৌছে দিতে পারে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) – কে সংক্ষেপে SEO এসইও বলে। ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) বা এসইও এর জনপ্রিয়তা তত বাড়ছে। অনেকে একে ফ্রিল্যান্সিং কাজ হিসেবে ব্যবহার করছেন। এছাড়া যারা ব্লগ পরিচালনা করছেন তাদের ব্লগের পরিচিতি বাড়ানোর প্রয়োজন তো আছেই। ইন্টারনেটে ব্যবসা বাণিজ্য করে টিকে থাকার জন্য এসইও (SEO) এর গুরুত্ব অপরিসীম।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য গুলোর মধ্যে রয়েছে-

  • একটি সাইটকে সকলের কাছে সহজে পৌছে দেওয়া।
  • ওয়েব সাইটের জন্য প্রিয়তা বৃদ্ধি করা।
  • সাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধি করা।
  • বিভিন্ন ধরনের অনলাইন থেকে আয় করার পণটাটফরম হিসেবে কাজ করে।
  • তথ্য বিনিময় ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার শক্ত ভিত হিসেবে কাজ করে।

সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে

সার্চ ইঞ্জিনগুলো তৈরি হয়েছে, মানুষের তথ্য খুজে পাওয়ার জন্য। সেজন্য কোন কিছু সার্চ দিলে যাতে সবচাইতে সেরা তথ্য খুজে পাওয়া যায় সেজন্য সার্চইঞ্জিন সাইটগুলো কিছু পোগ্রাম তৈরি করে রাখে। যেটি সকল সাইটগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তুলনা করে সেরা সাইটগুলোকে সার্চের সামনে নিয়ে আসে। সেরা সাইট নির্বাচন করার জন্য তারা দেখে ওয়েবসাইটটির মানসম্মত কিনা, ওয়েবসাইটের তথ্য সকলের জন্য প্রয়োজনীয় কিনা, ওয়েভসাইটটি কেমন জনপ্রিয়। এগুলোসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে ফলাফল প্রদর্শন করে।

ক্রলিং

ওয়েব ক্রলিং এর মাধ্যমে। গুগলবট যখন একটি পেজ সংগ্রহ করে তখন এই পেজে পাওয়া লিংকগুলো তার ক্রলিং তালিকায় যোগ হয়। এই পদ্ধতিতে একটি লিংক অসংখ্যবার আসে। কিন্তু গুগলবট সেগুলো বাদ দিয়ে একটি তালিকা তৈরী করে যাতে সবচেয়ে কম সময়ে পুরো ওয়েবকে কভার করা সম্ভব। এ ব্যবস্থাকে বলে ডিপ ক্রলিং। কোন পেজ কত দ্রুত পরিবর্তন হয় সটা ঠিক করা গুগলবট এর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।

গুগল ডাটাবেজকে আপডেট রাখার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে জরুরী। গুগলবট কোন পেজে পরিবর্তনের একটা ফ্রেকোয়েন্সী বের করে এবং সেই হিসেবে ঠিক করা হয় যে গুগলবট কত সময় পর পর কোন পেজ ক্রলিং করবে। কারণ যেই পেজ মাসে একবার পরিবর্তন হয় সেটা কয়েকঘন্টা পরপর ক্রলিং করা সময় নষ্ট ছাড়া কিছুই না। ডাটাবেজ আপডেট করার এই ক্রলিংকে ফ্রেশ ক্রলিং বলে।

ইন্ডেক্স

গুগল ইন্ডেক্স – এর কাজ তুলনামূলক সহজ। গুগলবট ইনডেক্সারকে ক্রলিং করা পেজগুলোর ফুল টেক্সট দেয়। ইনডেক্সার সার্চ টার্মগুলোকে বর্ণমালা অনুসারে সাজায়। এবং কোন টার্ম কোথায় আছে তা সেভ করে রাখে। কিছু পরিবর্তন ও আনা হয় পেজগুলোতে। কিছু বিরাম চিহ্ন বাদ দেওয়া হয়। একের অধিক স্পেস থাকলে সেগুলোও বাদ দেওয়া হয়। ইংরেজির ক্ষেত্রে বড় হাতের অক্ষরগুলোকে বাদ দিয়ে ছোট হাতের অক্ষরে পরিবর্তন করা হয়।

গুগল কুয়েরী প্রসেসর

এটি সর্বশেষ অংশ। এটাই আমাদের সার্চ রেজাল্ট প্রসেসিং করে। কুয়েরী প্রসেসর কয়েকটি অংশে বিভক্ত। ইউজার ইন্টারফেস, কুয়েরী ইঞ্জিন, রেজাল্ট ফরমেটর ইত্যাদি। গুগলের ওয়েবপেজ র‍্যাংকিং সিস্টেমের নাম পেজর‍্যাংক। যে পেজের পেজর‍্যাংক যত বেশী সেটা সার্চ রেজাল্ট এ তত উপরে থাকে। গুগলবট যেহেতু টেক্সটের সাথে পেজ কোড ও ক্রলিং করে তাই ইউজার চাইলে সার্চ টার্মটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করে দিতে পারে যে সেটা লিংকে থাকবে,টাইটেলে থাকবে না টেক্সটে থাকবে। শুধু টার্মের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে রেজাল্ট না দেওয়ার কারণেই গুগলের সার্চ রেজাল্টের মান এত উন্নত।

বিখ্যাত কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিনের নাম হলো

গুগল (google), ইয়াহু (yahoo),বিং( bing) ইত্যাদি । এই সব সাইটে আপনি একটি শব্দ সার্চ বক্সে লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করলে , কয়েক সেকেন্ড এর মধ্য অনেক ওয়েবসাইটের লিংক চলে আসে, যেসব লিংকে গেলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় ।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ওয়েব ডেভলপারদের জন্য একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোয়ালিটি ট্রাফিক সার্চ ইঞ্জিন থেকে ব্লগে আসে ফলে ব্লগ বিজ্ঞাপন ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠে ফলে পাঠক সন্তুষ্ট হয় এবং ব্লগার বিজ্ঞাপন থেকে উপকৃত হয়। প্রক্রিয়াটি শুধুমাত্র এইটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর থেকে আরো অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মুলত দুই ধাপের মাধ্যমে হয়ে থাকে-

  1. অন পেজ অপটিমাইজেশন
  2. অফ পেজ অপটিমাইজেশন

১) অন পেজ অপটিমাইজেশন

ব্লগ বা ওয়েব পেজের মধ্যে আমরা যে সকল অপটিমাইজেশন করে থাকি তাকেই অন-পেজ অপটিমাইজেশন বলা হয়। অন পেজ অপটিমাইজেশনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল সঠিক কিওয়ার্ড খোঁজা এবং এর ব্যাবহার, মেটা ট্যাগের ব্যবহার, টাইটেলে ট্যাগের ব্যবহার, বর্ণনা ট্যাগের ব্যবহার, কী ওয়ার্ড সমৃদ্ধ কনটেন্ট বনানো এবং এক্সএমএল সাইটম্যাপ যুক্ত করণ ইত্যাদি।

২) অফ পেজ অপটিমাইজেশন

অফ পেইজ অপটিমাইজেন একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং স্থায়ী সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেন যার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামুলক রেঙ্কিং এ একটি সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম সারিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সাধারনত উন্নত ব্যাকলিংক, আর্টিকেল মার্কেটিং, ফোরাম পোস্টিং, ইত্যাদির মাধ্যমে অফ পেইজ অপটিমাইজেশন করা হয়। অফ পেইজ অপটিমাইজেশন শুধুমাত্র একটি পাতায় নয় এর সঠিক ব্যাবহার আপনার পুরো ব্লগের উপরে পরবে অর্থাৎ এর ফলে আপনার ব্যাকলিংক বৃদ্ধি পাবে এবং পেজ রেঙ্ক বেড়ে যাবে।

তাই চেষ্টা করা উচিত সাইট এর কন্টেনটগুলো যেন অন্যান্য সাইট থেকে একটু আলাদা হয়। এর পরে আপনি আপনার কন্টেনট অনুযায়ী কিছু জনপ্রিয় কী- ওর্য়াড আপনার কন্টেনট পেইজ এ যোগ করে দিন।

এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বলতে আমরা সোজা কথায় বুঝি সার্চ ইঞ্জিনের সাথে ওয়েবসাইটের ভাল সম্পর্ক তৈরি করা। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন ছাড়া একটা ওয়েবসাইট কখনোই পূর্ণতা পায় না কারন কোটি কোটি সাইটের অবস্থান প্রথম সারিতে তৈরি করতে হলে এর বিকল্প নেই।

এসএসপিডটনেট এমভিসি – এইচটিএমএল হেল্পার . ASP.NET MVC – HTML Helpers

এসএসপিডটনেট এমভিসি – এইচটিএমএল হেল্পার
Sheikh Mahfuzur Rahman
Bangla Word: 250

এইচটিএমএল আউটপুটকে পরিবর্তন করতে এইচটিএমএল হেল্পারগুলো ব্যবহৃত হয়।

এইচটিএমএল হেল্পার/HTML Helpers

এমভিসি’তে এইচটিএমএল হেল্পারগুলো হলো অনেকটা গতানুগতিক ASP.NET ওয়েব ফর্ম কন্ট্রোলের মতো। ASP.NET তে ঠিক ওয়েব ফর্ম কন্ট্রোলের মতো এইচটিএমএল’কে মডিফাই করতে এইচটিএমএল হেল্পারগুলো ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এইচটিএমএল হেল্পারগুলো আরও হালকা হয়ে থাকে।। ওয়েব ফর্ম কন্ট্রোলের মতো এইচটিএমএল হেল্পারগুলোর ইভেন্ট মডেল এবং ভিউ স্টেট নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এইচটিএমএল হেল্পার হলো একটি মেথড যা স্ট্রিং ( যেমন টেক্সট) ফেরত দেয়। এমভিসি’র মাধ্যমে আপনি আপনার নিজের হেল্পার তৈরি করতে পারবেন অথবা বিল্ট ইন এইচটিএমএল হেল্পার ব্যবহার করতে পারবেন।

স্ট্যান্ডার্ড এইচটিএমএল হেল্পার/Standard HTML Helpers

এমভিসি সবচেয়ে পরিচিত এইচটিএমএল এলিমেন্টগুলোর জন্য স্ট্যান্ডার্ড হেল্পার অন্তর্ভূক্ত করেছে, যেমন এইচটিএমএল লিংক ও এইচটিএমএল ফর্ম এলিমেন্টসমূহ।

এইচটিএমএল লিংক/HTML Links

একটি এইচটিএমএল লিংককে পরিচালনা ( render ) করার সবচেয়ে সহজ পথ হলো HTML.ActionLink() হেল্পার ব্যবহার করা। এমভিসি’র মাধ্যমে Html.ActionLink() কোন ভিউয়ের দিকে লিংক তৈরি করেনা। এটি একটি কন্ট্রোলার অ্যাকশানের দিকে লিংক তৈরি করে।

Razor Syntax:
@Html.ActionLink(“About this Website”, “About”)
ASP Syntax:
<%=Html.ActionLink(“About this Website”, “About”)%>

প্রথম প্যারামিটারটি হলো লিংক টেক্সট এবং দ্বিতীয় প্যারামিটারটি হলো কন্ট্রোলার অ্যাকশানের নাম।
উপরের Html.ActionLink() হেল্পারটি নিচের এইচটিএমএল’টি আউটপুট হিসেবে ফিরিয়ে দেয়ঃ
<a href=”/Home/About”>About this Website</a>

Html.ActionLink() হেল্পার এর কিছু সংখ্যক প্রপার্টি রয়েছেঃ

প্রপার্টি এবং ব্যাখ্যা । Properties and Explanations

.linkText লিংক টেক্সট (লেবেল)
.actionName টার্গেট অ্যাকশান

.routeValues অ্যাকশানে যে ভ্যালুগুলো পরিবাহিত (–) হয়

.controllerName টার্গেট কন্ট্রোলার

.htmlAttributes লিংক এর প্রতি অ্যাট্রিবিউটের সেট

.protocol লিংক প্রটোকল

.hostname লিংক এর হোস্ট নেম

.fragment লিংক এর অ্যাংকর টার্গেট

লক্ষ্যণীয়ঃ আপনি ভ্যালুগুলোকে কন্ট্রোলার অ্যাকশানে পাঠিয়ে দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি ডাটাবেজ রেকর্ডের আইডি একটি ডাটাবেজ এডিট অ্যাকশানে পাঠিয়ে দিতে পারেনঃ

Razor Syntax C#:
@Html.ActionLink(“Edit Record”, “Edit”, new {Id=3})
Razor Syntax VB:
@Html.ActionLink(“Edit Record”, “Edit”, New With{.Id=3})

উপরের Html.ActionLink() হেল্পারটি নিচের এইচটিএমএল’টি আউটপুট দেয়ঃ
<a href=”/Home/Edit/3″>Edit Record</a>

এইচটিএমএল ফর্ম এলিমেন্ট
নিচের এইচটিএমএল হেল্পারগুলো এইচটিএমএল ফর্ম এলিমেন্টগুলোকে রেন্ডার ( মডিফাই এবং আউটপুট ) বা পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হয়ঃ

BeginForm()
EndForm()
TextArea()
TextBox()
CheckBox()
RadioButton()
ListBox()
DropDownList()
Hidden()
Password()

ASP.NET Syntax C#:
<%= Html.ValidationSummary(“Create was unsuccessful. Please correct the errors and try again.”) %>
<% using (Html.BeginForm()){%>
<p>
FirstName”>First Name:
<%= Html.TextBox(“FirstName”) %>
<%= Html.ValidationMessage(“FirstName”, “*”) %>
</p>
<p>
LastName”>Last Name:
<%= Html.TextBox(“LastName”) %>
<%= Html.ValidationMessage(“LastName”, “*”) %>
</p>
<p>
<label for=”Password”>Password:</label>
<%= Html.Password(“Password”) %>
<%= Html.ValidationMessage(“Password”, “*”) %>
</p>
<p>
<label for=”Password”>Confirm Password:</label>
<%= Html.Password(“ConfirmPassword”) %>
<%= Html.ValidationMessage(“ConfirmPassword”, “*”) %>
</p>
<p>
<label for=”Profile”>Profile:</label>
<%= Html.TextArea(“Profile”, new {cols=60, rows=10})%>
</p>
<p>
<%= Html.CheckBox(“ReceiveNewsletter”) %>
<label for=”ReceiveNewsletter” style=”display:inline”>Receive Newsletter?</label>
</p>
<p>
<input type=”submit” value=”Register” />
</p>
<%}%>

এএসপি.নেট এমভিসি সিকিউরিটি . ASP.NET MVC – Models

এএসপি.নেট এমভিসি সিকিউরিটি
Sheikh Mahfuzur Rahman
Bangla word: 75

এএসপি.নেট এমভিসি (ASP.NET MVC) সম্পর্কে শিখতে গিয়ে আমরা একটি ইন্টারনেট অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছি। আজ এটির অষ্টম পর্ব নিয়ে আলোচনা করা হবে। এর আগের সাতটি পর্ব পড়ে না থাকলে সেগুলো প্রথমে পড়ে নিন।

পর্ব আটঃ সিকিউরিটি যোগ করা

এমভিসি অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি

সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা যেকোন অ্যাপ্লিকেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর সেটি যদি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন হয় তাহলে তো কথাই নেই। এমভিসি অ্যাপ্লিকেশনে সিকিউরিটি ফিচার নিয়ে যোগ করার নিয়ম সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

Models Folder অ্যাপ্লিকেশন মডেলকে যেসব ক্লাস প্রতিনিধিত্ব করে সেগুলো ধারণ করে। ভিজ্যুয়াল ওয়েব ডেভলাপার সয়ংক্রিয়ভাবে একটি AccountModels.cs ফাইল তৈরি করে যা অ্যাপ্লিকেশন অথেনটিকেশনের মডেলগুলো ধারণ করে।

AccountModels একটি LogOnModel, একটি ChangePasswordModel, এবং একটি RegisterModel ধারণ করেঃ

 

ছবিতে দেখুনঃ

http://bangla.salearningschool.com/10.jpg

চেঞ্জ পাসওয়ার্ড মডেল/The Change Password Model

public class ChangePasswordModel
{

[Required]
[DataType(DataType.Password)]
[Display(Name = “Current password”)]
public string OldPassword { get; set; }

[Required]
[StringLength(100, ErrorMessage = “The {0} must be at least {2}      characters long.”, MinimumLength = 6)]
[DataType(DataType.Password)]
[Display(Name = “New password”)]
public string NewPassword { get; set; }

[DataType(DataType.Password)]
[Display(Name = “Confirm new password”)]
[Compare(“NewPassword”, ErrorMessage = “The new password and confirmation password do not match.”)]
public string ConfirmPassword { get; set; }

}

লগঅন মডেল/The Logon Model

public class LogOnModel
{

[Required]
[Display(Name = “User name”)]
public string UserName { get; set; }

[Required]
[DataType(DataType.Password)]
[Display(Name = “Password”)]
public string Password { get; set; }

[Display(Name = “Remember me?”)]
public bool RememberMe { get; set; }

}

রেজিস্টার মডেল/The Register Model

public class RegisterModel
{

[Required]
[Display(Name = “User name”)]
public string UserName { get; set; }

[Required]
[DataType(DataType.EmailAddress)]
[Display(Name = “Email address”)]
public string Email { get; set; }

[Required]
[StringLength(100, ErrorMessage = “The {0} must be at least {2} characters long.”, MinimumLength = 6)]
[DataType(DataType.Password)]
[Display(Name = “Password”)]
public string Password { get; set; }

[DataType(DataType.Password)]
[Display(Name = “Confirm password”)]
[Compare(“Password”, ErrorMessage = “The password and confirmation password do not match.”)]
public string ConfirmPassword { get; set; }

}