ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : মাল্টিপ্লেক্সিং (DCN – Multiplexing)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

মাল্টিপ্লেক্সিং একটি প্রক্রিয়া যেটিতে কোনও শেয়ারড লিঙ্কে ট্রান্সমিশনের ডিজিটাল ও এনালগ স্ট্রিম একসাথে প্রক্রিয়াজাত হয়। মাল্টিপ্লেক্সিং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মিডিয়ামকে নিম্ন ক্ষমতাসম্পন্ন লজিকাল মিডিয়ামে বিভাজিত করে যা পরবর্তীতে বিভিন্ন স্ট্রিম দ্বারা শেয়ারড হয়। এ প্রক্রিয়ায় আলো (অপটিক্যাল ফাইবার) ও বাতাসে (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি) যোগাযোগ সম্ভব।

 

ফ্রিকোয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং

ফ্রিকোয়েন্সি যখন বাহক তখন ফ্রিকোয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং প্রযোজ্য হয়। ফ্রিকোয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং একধরনের এনালগ প্রযুক্তি, এটি স্পেকট্রাম বা কেরিয়ার ব্যান্ডউইথকে লজিকাল চ্যানেলে ছড়িয়ে দেয় এবং প্রত্যেক চ্যানেলে একজন ইউজার বরাদ্ধ থাকে। চ্যানেল ফ্রিকোয়েন্সির উপর প্রত্যেক ইউজারের অবাধ ও স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ থাকে। কোনও চ্যানেল একটি আরেকটি উপর ওভারল্যাপ করে যায় না, চ্যানেলগুলো গার্ড ব্যান্ড দ্বারা আলাদা করা আছে। গার্ড ব্যান্ড এক ধরণের ফ্রিকোয়েন্সি কোনও চ্যানেলই যাদের ব্যবহার করছে না।

 

টাইম ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং

টাইম ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং প্রাথমিক অবস্থায় ডিজিটাল সিগন্যালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও এরা এনালগ সিগন্যালের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে। টাইম ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিংএ শেয়ারড চ্যানেল টাইম স্লটের ভিত্তিতে এর ইউজারদের মধ্যে বন্টিত থাকে। প্রত্যেক ইউজার বরাদ্ধকৃত সময়ের মধ্যে ডাটা ট্রান্সমিট করতে পারে। টাইম ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং সমন্বয়মূলক(সিঙ্ক্রোনাইজেশন) মোডে কাজ করে।

 

ওয়েভলেন্থ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং

আলোর বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্য থাকে। ফাইবার অপটিক মোডে মাল্টিপল অপটিক্যাল কেরিয়ার সিগন্যাল বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহার করে অপটিক্যাল ফাইবারে মাল্টিপ্লেক্সড হয়। এটি এনালগ মাল্টিপ্লেক্সিং কৌশল এবং বস্তুত ফ্রিকোয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিংএর মতই কাজ করে কিন্তু আলোকে সিগন্যাল হিসেবে ব্যবহার করে।

 

উপরন্তু, প্রতিটা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য টাইম ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং অধিক ডাটা সিগন্যাল সংরক্ষণ সমন্বয় করে।

 

কোড ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং

মাল্টিপল ডাটা সিগন্যাল কোড ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং ব্যবহার করে একক ফ্রিকোয়েন্সির উপর দিয়ে ট্রান্সমিটেড হতে পারে। ফ্রিকোয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং ফ্রিকোয়েন্সিকে ক্ষুদ্রতর চ্যানেলে ভাগ করে ফেলে কিন্তু কোড ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং ব্যবহারকারীকে ইউনিক কোড ব্যবহার করে পূর্ণ ব্যান্ডউইথ ও সবসময় ট্রান্সমিশনের সুযোগ দেয়। কোড ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং সিগন্যাল ছড়িয়ে দিতে অরথোগোনাল কোড ব্যবহার করে। প্রত্যেক ষ্টেশন ‘চিপ’ নামক ইউনিক কোড দ্বারা নির্ধারিত। সিগন্যাল এসব কোডের সাথে ব্যান্ডউইথের ভেতরে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে, রিসিভার অর্থাৎ সিগন্যাল গ্রহণকারী আগে থেকেই জানে ‘চিপ কোড’ সিগন্যাল গ্রহণ করা হতে পারে।