Category Archives: ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক . Data Communications and Computer Networks

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : কুইক গাইড (DCN – Quick Guide)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ডাটা কমিউনিকেশনের সারসংক্ষেপ

পরস্পর সংযুক্ত কম্পিউটার ও তদসংশ্লিষ্ট অনুষঙ্গ (যেমন প্রিন্টার ইত্যাদি) নিয়ে যে ব্যবস্থা তাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে।কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ভাগ করা যায় যথা,

  • ভৌগলিক কারণ
  • আন্তর্সম্পর্ক
  • এডমিনিস্ট্রেশন
  • স্থাপত্যগত কারণ

 

আন্তঃসংযোগ

কয়েকপ্রকার ভাবে নেটওয়ার্কের উপাদানগুলো নিজেদের মধ্যে সংযুক্ত থাকতে পারে,

  • প্রত্যেকটি একক ডিভাইস নেটওয়ার্কের অন্য প্রত্যেক ডিভাইসের সাথে যুক্ত থাকতে পারে,
  • প্রত্যেক ডিভাইস একই মাধ্যমে কিন্তু ভৌগলিকভাবে আলাদা থাকতে পারে,
  • প্রত্যেক ডিভাইস তাদের সংলগ্ন ডিভাইসের সাথে লিনিয়ারভাবে সংযুক্ত থাকতে পারে,
  • প্রত্যেক ডিভাইস তাদের সংলগ্ন একটিমাত্র ডিভাইসের সাথে স্টার ফরম্যাটে যুক্ত থাকতে পারে,
  • উপরে আলোচনা করা সব পদ্ধতির সমন্বয়ে হাইব্রিডভাবেও সংযুক্ত থাকতে পারে।

 

এডমিনিস্ট্রেশন

এডমিনিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক স্বায়ত্তশাসিত, ব্যক্তিগত, লজিকাল বা পাবলিক ডোমেইন ইত্যাদি রকমের হতে পারে।

 

নেটওয়ার্কের স্থাপত্য কাঠামো

ক্লায়েন্ট-টু-সার্ভার, সদৃশ, হাইব্রিড বিভিন্ন রকম নেটওয়ার্ক হতে পারে, এর কাঠামোর উপর ভিত্তি করে।

  • এক বা একাধিক সিস্টেম সার্ভার হিসেবে কাজ করতে পারে,
  • দুটি সিস্টেম পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট অথবা ব্যাক-টু-ব্যাক ভাবে সংযুক্ত থাকতে পারে,
  • দুই রকমের ব্যবস্থার সমন্বয়ে হাইব্রিড ব্যবস্থা থাকতে পারে।

 

 

নেটওয়ার্ক অ্যাপ্লিকেশন

কম্পিউটার ও তদসংশ্লিষ্ট অনুষঙ্গ নেটওয়ার্ক থেকে সংযুক্ত থাকতে পারে। এরা যে সুবিধাগুলো দেয় তা হল,

  • রিসোর্স যেমন প্রিন্টার, স্টোরেজ ডিভাইস শেয়ার করা,
  • ইমেইল ও এফটিপির মাধ্যমে ডাটা স্থানান্তর,
  • ওয়েব বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ডাটা শেয়ার,
  • ডাইনামিক ওয়েব পেজ ব্যবহার করে অন্য ব্যবহারকারীর সাথে যোগাযোগ,
  • আইপি ফোন,
  • ভিডিও কনফারেন্স,
  • প্যারালাল কম্পিউটিং,
  • ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং

 

 

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক টাইপ

 

  • পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক,

পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক

  • লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক

  • মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক,

মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক

  • ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক,

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক

  • ইন্টারনেটওয়ার্কিং

 

 

নেটওয়ার্ক লেন টেকনোলোজি

নেটওয়ার্ক লেন টেকনোলোজি কয়েক রকমের হতে পারে,

 

  • ইথারনেট,
  • ফাস্ট ইথারনেট,
  • গিগা ইথারনেট,
  • ভার্চুয়াল লেন

ভার্চুয়াল লেন

 

 

 

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক টপোলজি

একই নেটওয়ার্কে লজিকাল ও ফিজিকাল টপোলজি একই বা ভিন্ন উভয় রকমেরই হতে পারে। এর প্রকরণগুলো হল,

  • পয়েন্ট টু পয়েন্ট,

পয়েন্ট টু পয়েন্ট

  • বাস টপোলজি,

বাস টপোলজি

  • স্টার টপোলজি,

স্টার টপোলজি

  • রিং টপোলজি,

রিং টপোলজি

  • মেস টপোলজি,

মেস টপোলজি

  • ট্রি টপোলজি,

ট্রি টপোলজি

  • ডেইজি চেইন,

ডেইজি চেইন

  • হাইব্রিড টপোলজি।

হাইব্রিড টপোলজি

 

 

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক মডেল

লেয়ারড টাস্ক, ওএসআই ও ইন্টারনেট মডেল, এই তিন রকম হয়ে থাকে।

 

 

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি

এর তিনটি প্রধান রূপ হল সিক্রেট কী এনক্রিপশন, পাবলিক কী এনক্রিপশন ও ম্যাসেজ ডাইজেস্ট।

 

 

এসব ছাড়াও ফিজিকাল লেয়ার, ডিজিটাল ট্রান্সমিশন ইত্যাদিও ডিসিএনের আওতাভুক্ত।

 

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ডিসিএন বিষয়ক আলোচনা (Discuss DCN)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ডাটা কমিউনিকেশন হল দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে ডিজিটাল ডাটার আদান প্রদান করা, এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ডাটা নেটওয়ার্ক হল এক ধরণের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে এর অন্তর্ভুক্ত কম্পিউটারগুলো ডাটা আদান প্রদান করতে পারে। নেটওয়ার্কে যুক্ত কম্পিউটার জাতীয় যন্ত্রগুলো হয় তারজাতীয় নাহয় তারবিহীন- এই দুই প্রকার উপায়েই যুক্ত থাকতে সক্ষম। সেরা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হল ইন্টারনেট।

 

আমাদের টিউটোরিয়ালগুলোতে ডাটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ডিসিএনের মূল বিষয়গুলো দেখানো হবে এবং ডাটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত অনেক এডভান্সড বিষয়ের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়া হবে।

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : নেটওয়ার্ক সার্ভিসসমূহ (DCN – Network Services)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

 

কম্পিউটার এবং এর সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি মানুষের কাজকর্ম সহজ এবং অজানাকে হাতের কাছে এনে দিয়েছে, আর এসব যন্ত্রপাতি যখন কোনও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে তখন তাদের কর্মক্ষমতা অনেক অনেক গুন বেড়ে যায়। কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক যেধরনের মৌলিক সেবা আমাদের দিতে পারে সেগুলো হল,

 

ডিরেক্টরি সার্ভিস

এই ধরণের সফটওয়ার সিস্টেম তথ্য সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও এতে প্রবেশের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কাজ তত্ত্বাবধায়ন করে থাকে। এর কয়েকটি দিক আছে,

  • একাউন্টিংঃ ডিরেক্টরি সার্ভিস ক্রিপটিক বিন্যাসে ব্যবহারকারীদের নাম ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে থাকে ও প্রয়োজনে সরবরাহ করে থাকে, একাউন্টিং পদ্ধতির প্রয়োগে এটি করা হয়।
  • অথেনটিকেশন এবং অথোরাইজেশনঃ শনাক্ত করার জন্য ব্যবহারকারীদের তথ্য লগইন করার সময় ও পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা করে দেখা হয়। ব্যবহারকারীদের তথ্য ক্রমানুসারে সাজানো হয় এবং অথোরাইজেশনের মাধ্যমে সিস্টেমে এর প্রবেশযোগ্যতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
  • ডোমেইন নেম সার্ভিসঃ এটি ব্যপকভাবে পরিচিত এবং এর উপরেই ইন্টারনেট কাজ করে। এটি আইপি এড্রেসকে ডোমেইন নামে নির্ধারণ করে যা মনে রাখা ও স্মরণ করা আইপি এড্রেস মনে রাখা ও স্মরণ করার চেয়ে সহজ। কারণ নেটওয়ার্ক আইপি এড্রেসের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং মানুষ ওয়েবসাইটের নাম মনে রাখার চেষ্টা করে। ডোমেইন নেম সার্ভিস ওয়েবসাইটের আইপি এড্রেস দেয় যা ব্যাকএন্ড থেকে নাম সংশ্লিষ্ট ও ব্যবহারকারীর কাঙ্খিত ওয়েবসাইটের নাম।

 

ফাইল সার্ভিস

ফাইল সার্ভিস দুই প্রকারের হয়, নেটওয়ার্কে ফাইল শেয়ার করা এবং ফাইল স্থানান্তর করা। নিজের কম্পিউটারে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর জন্য ফাইল শেয়ারিঙের জন্য রাখা ও সার্ভারে আপলোড শেয়ারিঙের উদাহরণ, আর ডাটা কপি করে এক বা অনেক কম্পিউটারে সরানোর প্রক্রিয়া হল ফাইল স্থানান্তর।

 

কমুনিকেশন সার্ভিস

নেটওয়ার্ক বিভিন্ন কমুনিকেশনের মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে যেমন,

  • ইমেইল,
  • সামাজিক যোগাযোগ,
  • ইন্টারনেট চ্যাট,
  • ডিসকাশন বোর্ড,
  • রিমোট এক্সেস।

 

এপ্লিকেশন সার্ভিস

নেটওয়ার্ক কিছু এপ্লিকেশন ভিত্তিক সার্ভিস দিয়ে থাকে, এগুলো হল,

  • রিসোর্স শেয়ারিং,
  • ডাটাবেস,
  • ওয়েব সার্ভিস ইত্যাদি ।

 

 

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : এপ্লিকেশন প্রটোকল : (DCN – Application Protocols)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

এমন বেশ কয়েকটি প্রটোকল আছে যারা এপ্লিকেশন লেয়ারে ব্যবহারকারীর জন্য কাজ করে। এদের মোটামুটি দুই ভাগে ভাগ করা যায়,

যেসব প্রটোকল সরাসরি ব্যবহারকারীর জন্য কাজ করে।যেমন ইমেইল।

আর যেসব প্রটোকল ব্যবহারকারীর জন্য সাহায্যকারী প্রটোকলকে সাহায্য করে। যেমন ডিএনএস।

 

কয়েক ধরণের এপ্লিকেশন প্রটোকল সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল।

ডোমেইন নেম সিস্টেম বা ডিএনএস

ক্লায়েন্ট সার্ভার মডেলে কাজ করে। ট্রান্সপোর্ট লেয়ার কমুনিকেশনে UDP প্রটোকল ব্যবহার করে, এটি UDP port 53 ব্যবহার করে, FQDN এর সাথে প্রস্তাবিত হয় এবং সংশ্লিষ্ট আইপি এড্রেসের সাথে প্রকল্পিত হয়।

সিম্পল মেইল ট্রান্সফার প্রটোকল

এক ইউজার থেকে আরেক ইউজারের কাছে মেইল পাঠাতে ব্যবহৃত হয়, এটি সার্ভার সাইডে প্রেরণের জন্য SMTP ব্যবহার করে, SMTP TCP port number 25 এবং 587 ব্যবহার করে থাকে।

ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল বা এফটিপি

এটি বহুল ব্যবহৃত প্রটোকল, TCP port 20 ব্যবহার করে থাকে, এই পদ্ধতিতে ইউজার সার্ভারে ফাইলের জন্য রিকোয়েস্ট করে। সার্ভার টিসিপি কানেকশন ব্যবহার করে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে।

পোস্ট অফিস প্রটোকল

ইউজার এজেন্ট ব্যবহৃত সাধারণ ট্রান্সফার প্রটোকল। TCP port 110 ব্যবহার করে।

হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল

এটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ভিত্তি। পেজ ও টেক্সট ডকুমেন্টে হাইপারলিঙ্ক ব্যবহার করে। এইচটিটিপি ১.১ ও১.০, এই দুটি ভার্সন আছে।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ক্লায়েন্ট সার্ভার মডেল : (DCN – Client Server Model)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

দুটি রিমোট এপ্লিকেশন প্রক্রিয়া দুই ধরণের উপায়ে যোগাযোগ রাখতে পারে,

  • সদৃশ থেকে সদৃশ এপ্লিকেশনে যোগাযোগঃ দুটি রিমোট এপ্লিকেশন একই লেভেলে শেয়ারড রিসোর্স ব্যবহার করে এটি করতে পারে,
  • ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভারে যোগাযোগঃ একটি রিমোট প্রক্রিয়া ক্লায়েন্ট হিসেবে সার্ভার রূপে ক্রিয়াশীল অন্য রিমোট প্রক্রিয়ার কাছে রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারে। ক্লায়েন্ট সার্ভার মডেলে যেকোনো প্রক্রিয়া ক্লায়েন্ট অথবা সার্ভার হিসেবে কাজ করতে পারে।

ক্লায়েন্ট সার্ভার মডেল

 

যোগাযোগ

ক্লায়েন্ট সার্ভার মডেলে দুটি প্রক্রিয়া বিভিন্ন উপায়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে পারে,

  • সকেটের মাধ্যমে,
  • রিমোট প্রসেস সেল আরপিসি

 

সকেট

সার্ভাররূপে ক্রিয়াশীল প্রসেস, পোর্ট ব্যবহার করার মাধ্যমে সকেট খোলে, এবং ক্লায়েন্টের রিকোয়েস্টের জন্য অপেক্ষা করে। ক্লায়েন্টরূপে ক্রিয়াশীল প্রক্রিয়া অনুরূপ সকেট খোলে তবে তার কাজ হল রিকোয়েস্ট প্রেরণ করা।

 

রিমোট প্রক্রিয়া সেল

এটি সেই প্রক্রিয়া যেখানে একটি প্রক্রিয়া অন্য আরেকটি প্রক্রিয়ার সাথে সমন্বিত হয়। প্রসেস সেলের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট প্রসেস রিমোট হোষ্টে ন্যস্ত থাকে। এদের উভয় প্রক্রিয়া স্লাবের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যোগাযোগগুলো নিচের প্রক্রিয়াতে হয়ে থাকে,

  • ক্লায়েন্ট প্রসেস ক্লায়েন্ট স্লাবকে কল করে, এটি প্রোগ্রাম সঙ্ক্রান্ত সকল প্যারামিটার প্রেরণ করে।
  • এরপর সকল প্যারামিটার প্যাকড(মার্শালড) হয় এবং সিস্টেম এগুলোকে নেটওয়ার্কের অপর প্রান্তে প্রেরণের উদ্দেশে একটি কল দেয়।
  • কার্নেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডাটা প্রেরণ করে এবং অন্য প্রান্ত সেটিকে গ্রহণ করে।
  • রিমোট হোষ্ট সার্ভার স্লাবে ডাটা প্রেরণ করে যেখানে এটি আনমার্শালড।
  • এরপর প্যারামিটারকে প্রক্রিয়ায় পাঠানো হয় এবং এরপরে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।
  • একই প্রক্রিয়ায় ক্লায়েন্টের কাছে ফলাফল পাঠানো হয়।

 

তথ্যসূত্রঃ http://www.tutorialspoint.com/data_communication_computer_network/client_server_model.htm

 

২৩০ ওয়ার্ড, বোনাস আশা করছি। ধন্যবাদ।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকল (DCN – User Datagram Protocol)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

টিসিপি/আইপি প্রটোকল স্যুইটের সরলতম ট্রান্সপোর্ট লেয়ার কমিউনিকেশন প্রটোকল হল ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকল । এটিতে কম সংখ্যক যোগাযোগ কৌশল প্রয়োগ করা হয়। ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকলকে অনির্ভরযোগ্য যোগাযোগ প্রটোকল বলা হলেও এটি আইপি সার্ভিস ব্যবহার করে যেটিতে সেরা সরবরাহ কৌশল ব্যবহৃত হয়।

ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকলে ডাটা প্যাকেট গ্রহণকারী কোনোরূপ প্রাপ্তি সংবাদ পাঠায় না , ডাটা প্যাকেট প্রেরণকারীও কোনও ধরণের প্রাপ্তি সংবাদ আশা করে না। এই বিষয়টিই এই প্রক্রিয়াকে একই সাথে সহজ কিন্তু অনির্ভরযোগ্য করেছে।

 

ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকলের রিকোয়ারমেন্ট

একটি প্রশ্ন উঠতে পারে, অনির্ভরযোগ্য প্রটোকল ব্যবহার করে ডাটা ট্রান্সফারের দরকার কি? আমরা ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকল তখন ব্যবহার করি যেসব ক্ষেত্রে একনলেজমেন্ট প্যাকেট মূল ডাটার সাথে প্রচুর পরিমান ব্যান্ডউইথ শেয়ার করে। যেমন, ভিডিও স্ট্রিমিংএর সময় এর ব্যবহারকারীর দিকে হাজার হাজার ডাটা প্যাকেটকে ফরোয়ার্ড করা হয়। এসব ডাটা প্যাকেটের সবগুলোর জন্য একনলেজমেন্ট অর্থাৎ প্রাপ্তি সংবাদ ব্যবস্থা করা কঠিন ও তা প্রচুর ব্যান্ডউইথ অপচয় করবে। অন্তর্নিহিত আইপি প্রটোকলের সেরা সরবরাহ কৌশল ডাটা সরবরাহের সর্বোচ্চ সম্ভবনা নিশ্চিত করে। এমনকি ভিডিও স্ট্রিমিংএর সময় অল্প কিছু ডাটা প্যাকেট হারিয়ে গেলেও তা আর তেমন প্রভাব রাখবে না। ভিডিও বা ভয়েজ ট্র্যাফিকের সময় হারানো ডাটা প্যাকেট তেমন প্রভাব রাখে না।

 

ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকলের বৈশিষ্ট্য

  • ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকল তখন ব্যবহৃত হয় যখন একনলেজমেন্ট অর্থাৎ প্রাপ্তি সংবাদের কোনও গুরুত্ব নেই,
  • একমুখী ডাটা প্রবাহের জন্য ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকল বেশি উপযোগী,
  • ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকল সহজ এবং কোয়েরিভিত্তিক যোগাযোগের জন্য উপযোগী,
  • এটি যোগাযোগ ওরিয়েন্টেড নয়,
  • ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকল কনজেশন কন্ট্রোল কৌশল ব্যবহারে সক্ষম নয়,
  • এটি ডাটার নির্দেশিত সরবরাহ নিশ্চিত করে না,
  • ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকল স্টেটবিহীন,
  • স্ট্রিমিং এপ্লিকেশন যেমন ভিওআইপি, মাল্টিমিডিয়া স্ট্রিমিং এর জন্য বেশি উপযোগী।

 

ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকল হেডার

ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকলের হিডার

ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকলের হিডার(header) চারটি মূল প্যারামিটার ব্যবহার করে,

  • সোর্স পোর্ট,
  • ডেসটিনেশন পোর্ট,
  • লেন্থ,
  • চেকসাম

 

ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকল অ্যাপ্লিকেশন

যেসব এপ্লিকেশনে ডাটা ট্রান্সফারের জন্য ইউজার ডায়াগ্রাম প্রটোকল ব্যবহৃত হয়,

  • ডোমেইন নেম সার্ভিস,
  • সিম্পল নেটওয়ার্ক মেনেজমেন্ট প্রটোকল,
  • ট্রিভিয়াল ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল,
  • রাউটিং ইনফরমেশন প্রটোকল,
  • কার্বারোতে।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল (DCN – Transmission Control Protocol)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল বা টিসিপি ইন্টারনেট প্রটোকল স্যুইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রটোকলসমূহের একটি। ইন্টারনেটজাতীয় নেটওয়ার্কের ডাটা ট্রান্সমিশনের জন্য এটি একটি বহুল ব্যবহৃত প্রটোকল।

 

বৈশিষ্ট্য

  • এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রটোকল,
  • টিসিপি নিশ্চিত করে, ডাটা যেভাবে প্রেরণ করা হয়েছিল সেভাবেই গ্রহণ করা হয়েছে,
  • টিসিপি যোগাযোগ নির্ভর,
  • টিসিপি ক্রুটি নির্ণয় ও সংশোধন কৌশল ব্যবহার করে,
  • টিসিপি এন্ড টু এন্ড যোগাযোগ ব্যবহার করে,
  • টিসিপি ফ্লো কন্ট্রোল ও সেবার মান প্রদান করে,
  • টিসিপি ক্লায়েন্ট/সার্ভার পয়েন্ট টু পয়েন্ট মোড ব্যবহার করে,
  • টিসিপি ফুল ডুপ্লেক্স সার্ভার ব্যবহার করার সুযোগ দেয়।

 

হিডার

টিসিপি হিডারের দৈর্ঘ্য ২০ বাইট থেকে ৬০ বাইট পর্যন্ত হতে পারে।

এড্রেসিং

দুটি রিমোট হোষ্টের মাঝে যোগাযোগ পোর্ট নাম্বারের ভিত্তিতে হতে পারে। পোর্ট নাম্বার তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত,

  • সিস্টেম পোর্ট,
  • ইউজার পোর্ট,
  • ব্যক্তিগত বা ডাইনামিক পোর্ট

 

কানেকশন ম্যানেজমেন্ট

টিসিপি সার্ভার/ ক্লায়েন্ট মডেলে কাজ করে। যোগাযোগের জন্য ত্রিমুখী সমন্বয় ব্যবহৃত হয়। এরপর যোগাযোগ এসটাব্লিশমেন্টের পরে কাজ সম্পন্ন হলে যোগাযোগ রিলিজ করে দেয়া হয়।

ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট

টিসিপি ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্টের জন্য উইন্ডো সাইজ কনসেপ্ট ব্যবহার করে।

 

এরর কন্ট্রোল ও ফ্লো কন্ট্রোল

ডাটা সেগমেন্টের জন্য কোন ধরণের এপ্লিকেশন প্রসেস দরকার তা জানতে টিসিপি পোর্ট নাম্বার ব্যবহার করে। রিমোট হোষ্টের সাথে সমন্বয় সাধনের জন্য এটি সিকোয়েন্স নাম্বার ব্যবহার করে।

 

মাল্টিপ্লেক্সিং

দুই বা ততোধিক ডাটা স্ট্রিমকে এক সেশনে সমন্বয় করার পদ্ধতিকে মাল্টিপ্লেক্সিং বলে।

 

কনজেশন

অনেক বেশি পরিমানের ডাটা, সিস্টেমে যাদের স্থান সংকুলান হচ্ছে না তাদের নিয়ন্ত্রণ করার প্রক্রিয়াতে কনজেশনের উদ্ভব। কনজেশন কন্ট্রোল করার জন্য টিসিপির তিন ধরণের এলগরিদম আছে,

  • এডিটিভ ইনক্রিজ, মাল্টিপ্লিকেটিভ ডিক্রিজ ,
  • স্লো স্টার্ট,
  • টাইমআউট রিএক্ট

 

টাইমার ম্যানেজমেন্ট

বিভিন্ন ধরণের কাজ নিয়ন্ত্রণের জন্য টিসিপি বিভিন্ন ধরণের টাইমার ব্যবহার করে,

  • কিপ এলাইভ টাইমার
  • রিট্রান্সমিশন টাইমার,
  • পারসিস্ট টাইমার,
  • টাইমড ওয়েইট

 

ক্রাশ রিকভারি

টিসিপি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য প্রটোকল, এটি সেগমেন্টে প্রেরণকৃত প্রত্যেকটি বাইটের সিকোয়েন্স বজায় রাখে। কোনও টিসিপি সার্ভার যোগাযোগ চলাকালে ক্রাশ করলে এটি এর সকল হোষ্টের কাছে টিপিডিইউ সম্প্রচার বার্তা পাঠায়।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ট্রান্সপোর্ট লেয়ার : ভূমিকা (DCN – Transport Layer Introduction)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ওএসআই মডেলের লেয়ার-৪ ট্রান্সপোর্ট লেয়ার হিসেবে পরিচিত। ডাটা ট্রান্সপোর্ট সঙ্ক্রান্ত সকল মডিউল ও প্রণালী এই লেয়ারে সম্পন্ন হয়। অন্য সকল লেয়ারের মত লেয়ার-৪ ট্রান্সপোর্ট লেয়ারও রিমোট হোষ্টে সদৃশ ট্রান্সপোর্ট লেয়ারে যোগাযোগ বজায় রাখে।

 

ট্রান্সপোর্ট লেয়ার রিমোট হোষ্টের দুটি প্রক্রিয়ার মধ্যে peer-to-peer এবং end-to-end যোগাযোগ বজায় রাখে। ট্রান্সপোর্ট লেয়ার ঊর্ধ্বতন লেয়ার থেকে ডাটা সংগ্রহ করে তাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সেগমেন্টে বিভক্ত করে এবং নেটওয়ার্ক লেয়ারে ডেলিভারির জন্য সরবরাহ করে।

 

কার্যাবলী

  • ট্রান্সপোর্ট লেয়ার প্রথম লেয়ার যা ঊর্ধ্বতন লেয়ার থেকে ডাটা সংগ্রহ করে তাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সেগমেন্টে বিভক্ত করে এবং নেটওয়ার্ক লেয়ারে ডেলিভারির জন্য সরবরাহ করে।এটি সেগমেন্টের প্রতিটি বাইটের হিসাব রাখে।
  • এই লেয়ার নিশ্চিত করে প্রেরণকৃত ডাটা সঠিক জায়গায় পৌঁছেছে।
  • বিভিন্ন হোষ্টের মধ্যে ডাটার এন্ডটু এন্ড ডেলিভারি নিশ্চিত করে যা একই সাবনেটে থাকতে পারে আবার নাও পারে।
  • সার্ভারের সকল প্রক্রিয়া যা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যোগাযোগ করবে তারা TSAPs দ্বারা সজ্জিত হবে, এদের পোর্ট নাম্বারও বলা হয়।

 

ইন্ড টু ইন্ড কমিউনিকেশন

রিমোট নেটওয়ার্কে যে প্রক্রিয়ায় সদৃশ হোষ্ট অনুরূপ সদৃশ হোষ্ট খুঁজে পায় সেটিকে পোর্ট নাম্বার দ্বারা চিহ্নিত করা যায়। TSAPs এক্ষেত্রে খুব উপযোগী।

ইন্ড টু ইন্ড কমিউনিকেশন

দুটি প্রধান ট্রান্সপোর্ট লেয়ার প্রটোকল হল,

  • ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল যা দুটি হোষ্টের মধ্যে নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ নিশ্চিত করে,
  • ইউজার ডাটাগ্রাম প্রটোকল যা দুটি হোষ্টের মধ্যে অনির্ভরযোগ্য যোগাযোগ নিশ্চিত করে।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : নেটওয়ার্ক লেয়ার প্রটোকল (DCN – Network Layer Protocols)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

সব কম্পিউটারেরই একটি আইপি এড্রেস থাকে যার মাধ্যমে স্বতন্ত্রভাবে শনাক্ত করা যায়। আইপি এড্রেস লেয়ার-৩(নেটওয়ার্ক লেয়ার) লজিকাল এড্রেস। প্রতিবার কম্পিউটার রিস্টার্ট করার সময় এই আইপি এড্রেস পরিবর্তিত হতে পারে।

 

এড্রেস রেসোলিউশন প্রটোকল

যোগাযোগের সময় হোষ্টের অভীষ্ট মেশিনের লেয়ার-২(এমএকে ) এড্রেস প্রয়োজন হয়, এমএকে এড্রেসকে বস্তুগতভাবে মেশিনের নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ডে ঢুকিয়ে রাখা হয় যা অপরিবর্তনীয়।

 

অন্যদিকে পাবলিক ডোমেইনের আইপি এড্রেস কদাচিৎ পরিবর্তিত হয়। কোনও ক্রুটির কারণে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড পরিবর্তন করতে হলে এমএকে এড্রেসও পরিবর্তিত হয়। একারনেই লেয়ার-২ যোগাযোগের জন্য দুই প্রান্তের ম্যাপিং প্রয়োজন হয়। ব্রডকাস্ট ডোমেইনের কোনও রিমোট হোষ্টের এমএকে এড্রেস জানার জন্য এআরপি ব্রডকাস্ট ম্যাসেজ পাঠানো হয়, আইপি এড্রেস জানতে চেয়ে। যেহেতু এটি সম্প্রচার, তাই নেটওয়ার্কের ব্রডকাস্ট ডোমেইনে থাকা সব হোষ্ট এই ডাটা প্যাকেট পায় ও প্রক্রিয়া করে।

এড্রেস রেসোলিউশন প্রটোকল

হোষ্ট একবার এমএকে এড্রেস পেয়ে গেলে এটি লেয়ার-২ লিঙ্ক প্রটোকল ব্যবহার করে রিমোট হোষ্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এই এমএকে টু আইপি ম্যাপিংকে প্রেরণকারী ও গ্রহণকারী উভয় হোষ্টের এআরপি ক্যাচি(ARP cache)তে সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে যদি তাদের যোগাযোগ করার প্রয়োজন হয় তবে তারা সরাসরি তাদের এআরপি ক্যাচি রেফার করতে পারবে।

 

রিভার্স এআরপি একধরনের কৌশল যেখানে হোষ্ট, রিমোট হোষ্টের এমএকে এড্রেস জানে কিন্তু যোগাযোগের জন্য তাকে আইপি এড্রেসও জানতে হবে।

 

ইন্টারনেট কন্ট্রোল ম্যাসেজ প্রটোকল বা আইসিএমপি

আইসিএমপি নেটওয়ার্ক নিরীক্ষণ ও এরর কন্ট্রোল প্রটোকল।

 

ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন ৪(Pv4)

টিসিপি/আইপি হোষ্ট এড্রেসিং কৌশলে ব্যবহৃত ৩২ বিট এড্রেসিং স্কিম হল ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন ৪(IPv4)। এটি পর্যায়ক্রমিক এড্রেসিং স্কিম ব্যবহার করে। আইপি এড্রেস বহু রকম হতে পারে,

 

  • ক্লাস এঃ নেটওয়ার্ক এড্রেসের জন্য প্রথম অকটেট ও হোষ্ট এড্রেসের জন্য শেষ তিন অকটেট,
  • ক্লাস বিঃ নেটওয়ার্ক এড্রেসের জন্য প্রথম দুই অকটেট ও হোষ্ট এড্রেসের জন্য শেষ দুই অকটেট,
  • ক্লাস সিঃ নেটওয়ার্ক এড্রেসের জন্য প্রথম তিন অকটেট ও হোষ্ট এড্রেসের জন্য শেষ অকটেট,
  • ক্লাস ডিঃ উপরে উল্লিখিত প্রকরণের পর্যায়ক্রমিক বিন্যাসের পরিবর্তে ফ্ল্যাট আইপি এড্রেসিং স্কিম
  • ব্যবহার করে।
  • ক্লাস ইঃ এটিকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়।

 

যদিও আইপি তেমন নির্ভরযোগ্য নয়, এটি সরবরাহের সেরা প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে।

 

ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন ৬(IPv6)

ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন ৪ এর পরবর্তী প্রজন্মের ভার্সন হল ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন ৬(IPv6), এটি এনিকাস্ট এড্রেসিং উদ্ভাবন করলেও সম্প্রচারের ধারণা দূর করেছে। এতে নতুন সংযোজিত কিছু ট্রানজিশন মেকানিজম আছে,

  • ডুয়েল স্টাক ইমপ্লিমেন্টেশন,
  • টানেলিং,
  • এনএটি-পিটি

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ইন্টারনেটওয়ার্কিং (DCN – Internetworking)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

বাস্তব জগতে এক প্রশাসনের অধীনে থাকা নেটওয়ার্কগুলো ভৌগলিকভাবে ছড়ানো। সেখানে এক রকম বা ভিন্ন এক বা একাধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করার প্রয়োজন হতে পারে। দুটি নেটওয়ার্কের মধ্যে রাউটিং এর প্রক্রিয়াকে ইন্টারনেটওয়ার্কিং বলে। প্রটোকল, টপোলজি, লেয়ার-২ নেটওয়ার্কিং ও এড্রেসিং স্কিমের তারতম্যের জন্য নেটওয়ার্কগুলোকে ভিন্ন ধরা হয়।

ইন্টারনেটওয়ার্কিং

ইন্টারনেটওয়ার্কিংএ রাউটারগুলো পরস্পরের এড্রেস ও অন্যান্য এড্রেস জানে। তারা স্ট্যাটিকভাবে কনফিগারড হতে পারে আবার ইন্টারনেটওয়ার্কিং রাউটিং প্রটোকলের মাধ্যমেও জেনে নিতে পারে। কোনও সংস্থা বা প্রশাসনের অধীনে যেসব রাউটিং প্রটোকল তাদেরকে ইন্টেরিয়র গেটওয়ে প্রটোকল বা আইজিপি বলে। বিভিন্ন সংস্থা বা প্রশাসনের মধ্যে যেসব রাউটিং তারা এক্সটেরিয়র গেটওয়ে প্রটোকল বা ইজিপি ব্যবহার করে।

 

টানেলিং

ভৌগলিকভাবে পৃথক এমন দুটি নেটওয়ার্ক যদি পরস্পরের সাথে যুক্ত হতে চায় তাহলে তাদের ডাটা মধ্যবর্তী কোনও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে স্থানান্তর করতে হবে। টানেলিং হল সেই যন্ত্রকৌশল যার দ্বারা মধ্যবর্তী সেই নেটওয়ার্কের জটিলতা এড়ানো যায়। দুই প্রান্তেই টানেলিং করা হয়, ডাটা টানেলের এক প্রান্তে ঢুকে ট্যাগড হয়, সেই ট্যাগড ডাটা মধ্যবর্তী নেটওয়ার্কের ভেতর দিয়ে অন্য প্রান্তে যায়, এর ট্যাগ সরিয়ে নেটওয়ার্কের অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেয়া হয়।

টানেলিং

 

প্যাকেট ফ্রাগমেন্টেশন

বেশিরভাগ ইথারনেট সেগমেন্টের ম্যাক্সিমাম ট্রান্সমিশন ইউনিট(এমটিইউ) ১৫০০ বাইটে সীমাবদ্ধ রাখা থাকে। এপ্লিকেশনের উপর ভিত্তি করে ডাটা প্যাকেট এরচেয়ে কম বা বেশি প্যাকেট লেন্থ পেতে পারে। ট্রানজিট পাথের যন্ত্রপাতির হার্ডওয়ার ও সফটওয়ারের সক্ষমতার উপরও নির্ভর করে সেই যন্ত্র কতটা ডাটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বা কত বড় প্যাকেট প্রক্রিয়াজাত করতে পারবে।

ট্রানজিট নেটওয়ার্কের ধারণক্ষমতার চেয়ে ছোট প্যাকেট হলে এটিকে স্বাভাবিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা যাবে। ধারণক্ষমতার চেয়ে বড় প্যাকেট হলে এটিকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে প্রেরণ করতে হবে। এই প্রক্রিয়াকে প্যাকেট ফ্রাগমেন্টেশন বলে।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : নেটওয়ার্ক রাউটিং (DCN – Network Layer Routing)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

যখন কোনও ডিভাইসের লক্ষ্যে পৌছার জন্য একাধিক রাস্তা(পাথ) থাকে তখন সেটি যেকোনো একটিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে রাউটিং বলে। রাউটার নামক বিশেষ নেটওয়ার্কিং যন্ত্র অথবা সফটওয়ারগত পন্থায় এটি করা হয়। সফটওয়ার ভিত্তিক রাউটারের ফাংশনালিটি ও সুযোগ সীমাবদ্ধ।

রাউটার সবসময় ডিফল্ট রাউটারের মাধ্যমে কনফিগার করা হয়। নির্দিষ্ট লক্ষ্যের জন্য একাধিক পাথ থাকলে রাউটার নিচের বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়।

  • হপ কাউন্ট
  • ব্যান্ডউইথ
  • মেট্রিক
  • প্রিফিক্স লেন্থ
  • ডিলে

রাউটগুলো স্ট্যাটিকালি কনফিগারড হতে পারে। এক রাউট অন্য রাউটের চেয়ে বেশি কাঙ্খিতরূপে কনফিগারড হতে পারে।

 

ইউনিকাস্ট রাউটিং

ইন্টারনেট ও ইন্ট্রানেটের বেশিরভাগ ট্র্যাফিক ইউনিকাস্ট ডাটা বা ইউনিকাস্ট ট্র্যাফিক নামে পরিচিত। ইউনিকাস্ট ডাটা রাউটিং করা হলে তাকে ইউনিকাস্ট রাউটিং বলে।

ইউনিকাস্ট রাউটিং

 

ব্রডকাস্ট রাউটিং

বাই ডিফল্ট ব্রডকাস্ট প্যাকেটগুলো রাউটেড নয়, যেকোনো নেটওয়ার্কে রাউটার দ্বারা ফরোয়ার্ড করা হয়। রাউটার ব্রডকাস্ট ডোমেইন সৃষ্টি করে।

ব্রডকাস্ট রাউটিং দুই ভাবে হয়ে থাকে,

  • একটি রাউটার ডাটা প্যাকেট তৈরি করে এবং একটি একটি করে হোষ্টে প্রেরণ করে।
  • যখন রাউটার সম্প্রচারের জন্য প্যাকেট গ্রহণ করে তখন এটি ইন্টারফেস থেকে প্যাকেট প্লাবিত করে ফেলে।

ব্রডকাস্ট রাউটিং

 

মাল্টিকাস্ট রাউটিং

মাল্টিকাস্ট রাউটিং ব্রডকাস্ট রাউটিংএর বিশেষায়িত রূপ, মাল্টিকাস্ট রাউটিংএ ডাটা কেবলমাত্র নডে প্রেরণ করা হয় যা প্যাকেট গ্রহণ করতে চায়। রাউটারকে জানতে হয় নড আছে কিনা এবং ফরোয়ার্ড করার জন্য মাল্টিকাস্ট প্যাকেট গ্রহণ করবে কিনা।

মাল্টিকাস্ট রাউটিং

 

এনিকাস্ট রাউটিং

এনিকাস্ট প্যাকেট ফরোয়ার্ডিং একধরণের কৌশল যাতে মাল্টিপল হোষ্টের একই লজিকাল এড্রেস থাকতে পারে। যখন কোনও লজিকাল এড্রেসের দ্বারা গ্রহনের জন্য প্যাকেট প্রস্তুত থাকে তখন এর রাউটিং টপোলজির সবচেয়ে কাছের হোষ্টে এটি প্রেরণ করা হয়।

এনিকাস্ট রাউটিং

 

ইউনিকাস্ট রাউটিং প্রটোকল

ইউনিকাস্ট প্যাকেট রাউটিং করার জন্য দুই ধরণের রাউটিং প্রটোকল পাওয়া যায়,

  • ডিস্টেনস ভেক্টর রাউটিং প্রটোকল এবং
  • লিঙ্ক স্টেট রাউটিং প্রটোকল

 

মাল্টিকাস্ট রাউটিং প্রটোকল

মাল্টিকাস্ট রাউটিং প্রটোকল একধরনের অপটিমাল ট্রি ব্যবহার করে রাউটিং এর জন্য,

  • DVMRP - ডিস্টেনস ভেক্টর মাল্টিকাস্ট রাউটিং প্রটোকল
  • MOSPF - মাল্টিকাস্ট ওপেন সর্টেস্ট পাথ ফার্স্ট
  • CBT - কোর বেসড ট্রি
  • PIM - প্রটোকল ইন্ডিপেন্ডেন্ট মাল্টিকাস্ট

 

প্রটোকল ইন্ডিপেন্ডেন্ট মাল্টিকাস্ট বর্তমানে বেশি ব্যবহৃত হয়, এর দুটি প্রকরণ দেখা যায়,

  • পিআইএম ডেনস মোড
  • পিআইএম স্পারস মোড

 

ফ্লাডিং ও সর্টেস্ট পাথ রাউটিংএর এল্গারিদম,

কমন সর্টেস্ট পাথ এল্গারিদম হল,

  • Dijkstra's algorithm
  • Bellman Ford algorithm
  • Floyd Warshall algorithm

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : নেটওয়ার্ক এড্রেসিং (DCN – Network Addressing)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

নেটওয়ার্ক লেয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি হল লেয়ার-৩ নেটওয়ার্ক এড্রেসিং, এরা সবসময়ই লজিকাল। এরা সফটওয়ার ভিত্তিক এড্রেস যা সঠিক কনফিগারেশনের মাধ্যমে পরিবর্তনীয়। নেটওয়ার্ক এড্রেস সবসময় হোষ্ট, নড বা সার্ভার নির্দেশ করে অথবা এরা সম্পূর্ণ একটি নেটওয়ার্কই তুলে ধরে। বিভিন্ন ধরণের নেটওয়ার্ক এড্রেস আছে তাদের মধ্যে প্রধান প্রধান হল,

  • আইপি,
  • আইপিএক্স,
  • অ্যাপলটক

নেটওয়ার্ক এড্রেসিং

যেহেতু বর্তমান যুগে কেবল আইপি কার্যকর আছে তাই আমরা সেটি নিয়েই আলোচনা করব। আইপি এড্রেসিং হোষ্ট ও নেটওয়ার্কের মধ্যে কৌশল সৃষ্টি করে, যেহেতু আইপি এড্রেসিং ক্রমানুসারে সজ্জিত তাই হোষ্ট সবসময় কোনও নেটওয়ার্কের আওতার মধ্যে থাকে। সাবনেটের আওতার বাইরের হোষ্টদের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে ডেসটিনেশন নেটওয়ার্ক এড্রেস জানা থাকতে হয়। বিভিন্ন সাবনেটের আওতাভুক্ত হোষ্টদের নিজেদের খুঁজে বের করতে কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়, এটি ডিএনএসের মাধ্যমে করা হয়। ডিএনএস একরকমের সার্ভার যা রিমোট হোষ্টের লেয়ার-৩ এড্রেস এর ডোমেইন নামের সাথে উপস্থাপন করে। যখন কোনও হোষ্ট এর লেয়ার-৩ এড্রেস বা আইপি এড্রেস পেয়ে যায় তখন এটি এর রাউটার নামক গেটওয়েতে সব ডাটা প্যাকেট প্রেরণ করে। রাউটার রাউটিং টেবিলের সাহায্য নেয়, যেটিতে নেটওয়ার্কে পৌছার পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য থাকে।

 

নেটওয়ার্ক এড্রেস নিচের যেকোনো একরকমের হতে পারে,

  • ইউনিকাস্ট(এক হোষ্টের জন্য নির্ধারিত)
  • মাল্টিকাস্ট(গ্রুপের জন্য নির্ধারিত)
  • ব্রডকাস্ট(সবার জন্য নির্ধারিত)
  • এনিকাস্ট(নিকটতম হোষ্টের জন্য নির্ধারিত)

 

রাউটার বাই ডিফল্ট কখনো ব্রডকাস্ট ট্রাফিককে ফরোয়ার্ড করে না।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : নেটওয়ার্ক লেয়ার : ভূমিকা (DCN – Network Layer Introduction)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ওএসআই মডেলের লেয়ার-৩ কে নেটওয়ার্ক লেয়ার বলা হয়, নেটওয়ার্ক লেয়ার হোষ্ট ও নেটওয়ার্ক এড্রেসিং সংক্রান্ত বিষয়, সাবনেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা ও ইন্টারনেটওয়ার্কিং নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সাবনেটের আওতায় বা বাইরে সোর্স থেকে লক্ষ্যে প্যাকেট পৌঁছে দেয়া নেটওয়ার্ক লেয়ারের দায়িত্ব। দুটি ভিন্ন সাবনেটের ভিন্ন এড্রেসিং স্কিম বা অসম্পৃক্ত এড্রেসিং টাইপ থেকে থাকতে পারে। প্রটোকলের ক্ষেত্রেও একই রকম, দুটি ভিন্ন সাবনেট ভিন্ন প্রটোকলের ক্ষেত্রে ক্রিয়াশীল থাকতে পারে। এড্রেসিং স্কিম ও প্রটোকল নিয়ন্ত্রণ করে সোর্স থেকে লক্ষ্যে প্যাকেট পৌঁছে দেয়া নেটওয়ার্ক লেয়ারের দায়িত্ব।

 

লেয়ার-৩ ফাংশনালিটি

নেটওয়ার্ক লেয়ারের কাজ করে এমন যন্ত্রপাতির প্রধান কাজ থাকে রাওটিং। রাওটিং একক কোনও লক্ষ্য অর্জনের জন্য একাধিক কাজের সমন্বয় হতে পারে।যেমন,

  • ডিভাইস এবং নেটওয়ার্কিং এড্রেসিং,
  • রাওটিং টেবিল ও স্ট্যাটিক রাওটিং পূর্ণ করা,
  • ইনকামিং ও আউটগোয়িং ডাটা সাজানো ও সার্ভিসের উপযোগিতা বিশ্লেষণ করে প্যাকেটের সেট অনুসারে ফরোয়ার্ড করা,
  • দুটি ভিন্ন সাবনেটের মধ্যে ইন্টারনেটওয়ার্কিং করা,
  • লক্ষ্যে প্যাকেট পৌঁছে দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা,
  • সংযোগসহ ও সংযোগবিহীন যন্ত্রকৌশল গঠনের চেষ্টা করা

 

 

নেটওয়ার্ক লেয়ারের বৈশিষ্ট্য

আদর্শ ফাংশনালিটি অর্জিত হলে লেয়ার-৩ যেধরনের সুবিধা দিতে পারে সেগুলো হল,

  • সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের মান,
  • ভারসাম্য ও লিঙ্ক ব্যবস্থাপনা,
  • নিরাপত্তা,
  • বিভিন্ন স্কিমের সাবনেট ও প্রটোকলের সমন্বয় সাধন,
  • ফিজিকাল নেটওয়ার্ক ডিজাইনকে ভিত্তি করে বিভিন্ন লজিকাল নেটওয়ার্ক ডিজাইন,
  • L3 VPN ও টানেল এন্ডটু এন্ড কানেক্টিভিটির ক্ষেত্র তৈরি করে দিতে পারে।

 

ইন্টারনেট প্রটোকল নেটওয়ার্ক লেয়ার প্রটোকল হিসেবে এন্ডটু এন্ড ডিভাইসের যোগাযোগের জন্য প্রসিদ্ধ। এটি IPv4 ও IPv6 দুটি প্রকরণে পাওয়া যায়। IPv4 বহুদিন রাজত্ব করার পর একে প্রতিস্থাপিত করতে IPv6 আনা হয়েছে IPv4 এর ক্রুটিগুলো সরিয়ে দিতে।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ডাটা লিঙ্ক কন্ট্রোল এবং প্রটোকল (DCN – Data-link Control & Protocols)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

যখন একক মাধ্যমে কোনও ডাটা ফ্রেম(লেয়ার-২ ডাটা) এক হোষ্ট থেকে অন্য হোষ্টে প্রেরণ করা হয় তখন প্রেরণকারী ও গ্রহণকারীর গতি সমান হতে হয়। গতি কোনও কারণে ভিন্ন হলে ডাটা হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই গতিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দুই ধরণের ব্যবস্থা করা যায়,

  • থামা এবং আবার শুরু করাঃ এই নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রয়োজনে প্রেরণকারীকে থামিয়ে রাখে সেই পর্যন্ত যতক্ষণ গ্রহণকারীর কাছ থেকে ডাটা ফ্রেম পৌঁছানো নিশ্চিত না হয়।

থামা এবং আবার শুরু করা

  • স্লাইডিং উইন্ডোঃ এই নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে প্রেরণকারী ও গ্রহণকারীর দ্বারা নির্ধারিত সংখ্যক ডাটা ফ্রেম পৌঁছানো নিশ্চিত হলেই কেবল প্রক্রিয়া নিশ্চিতকরণ সম্পন্ন হয়।

 

 

ভুল নিয়ন্ত্রণ

ডাটা ফ্রেম ট্রান্সমিশনের সময় এটি ট্রানজিটে হারিয়ে যেতে পারে, করাপ্টেড অবস্থায় গৃহীত হতে পারে। এজন্য প্রেরণকারী ও গ্রহণকারী উভয়কে কিছু প্রটোকল দেয়া থাকে যার মাধ্যমে ডাটা ফ্রেমের হারিয়ে যাওয়া বা ‘মিস হওয়া’ জাতীয় ট্রানজিট এরর নির্ণয় করা যায়। সেক্ষেত্রে  প্রেরণকারী আবার ডাটা প্রেরণ করে এবং গ্রহণকারী আবার প্রেরণের জন্য গ্রহণকারীকে অনুরোধ জানায়। এরর কন্ট্রোল ব্যবস্থার রিকোয়ারমেন্টগুলো হল,

  • ভুল নির্ণয় বা খুঁজে বের করা,
  • ইতিবাচক এসিকে,
  • নেতিবাচক এসিকে,
  • রিট্রান্সমিশন

 

অটোম্যাটিক রিপিট রিকোয়েস্ট বা এআরকিউ ব্যবহার করে ডাটা লিঙ্ক লেয়ারের মাধ্যমে ভুল নিয়ন্ত্রণের কৌশল তিনটি,

 

স্টপ এন্ড ওয়েট এআরকিউ

স্টপ এন্ড ওয়েট এআরকিউ

এই পদ্ধতিতে যে বিষয়গুলো হতে পারে তা হল,

  • প্রেরণকারী টাইমআউট কাউন্টার ব্যবহার করে,
  • যখন একটি ফ্রেম প্রেরণ করা হয়ে যায় তখন থেকে প্রেরণকারী টাইমআউট কাউন্টারে গননা শুরু করে,
  • একটি ফ্রেম প্রেরণের খবর আসলে প্রেরণকারী সারিবদ্ধভাবে পরবর্তী ফ্রেম প্রেরণ করে,
  • ফ্রেম প্রেরণের খবর না আসলে প্রেরণকারী ধরে নেয় হয় ফ্রেম অথবা তার খবর ট্রানজিটে হারিয়ে গেছে। তখন প্রেরণকারী আবার ফ্রেম প্রেরণ করে টাইমআউট কাউন্টারে গননা শুরু করে,
  • নেতিবাচক খবর আসলে প্রেরণকারী আবার সেই ফ্রেম প্রেরণ করে

 

গো ব্যাক এন এআরকিউ

স্টপ এন্ড ওয়েট এআরকিউ তাদের রিসোর্সের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে না, গো ব্যাক এন এআরকিউ পদ্ধতিতে প্রেরণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ই একটি উইন্ডো বজায় রাখে। প্রেরক উইন্ডোর আকার প্রেরণকারীকে একাধিক ফ্রেম প্রেরণের সুযোগ করে দেয়, আগে প্রেরণকৃত ফ্রেমের কোনও নিশ্চিতকরণ সংবাদ ছাড়াই। গ্রহণকারী উইন্ডো গ্রহণকারীকে একাধিক ফ্রেম গ্রহণের ও সেই সংবাদ নিশ্চিত করার সুযোগ করে দেয়।

গো ব্যাক এন এআরকিউ

সিলেক্টিভ রিপিট এআরকিউ

সিলেক্টিভ রিপিট এআরকিউ প্রক্রিয়ায় প্রেরণকারী কেবল এনএসিকে সম্পন্ন প্যাকেট প্রেরণ করে।

সিলেক্টিভ রিপিট এআরকিউ

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ক্রুটি নির্ণয় ও সংশোধন (DCN – Error Detection & Correction)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ডাটা ট্রান্সমিশনের সময় নয়েজ, ক্রসটকসহ আরও অনেক কারণে ডাটা ক্রুটিযুক্ত হতে পারে।উঁচুশ্রেণীর লেয়ারগুলো নেটওয়ার্ক স্থাপত্যকাঠামোর সরলীকরণের মাধ্যমে কাজ করে বলে হার্ডওয়ারের ডাটা প্রসেসিং সম্পর্কে খুব বেশি অবগত নয়। তারপরও পারে।উঁচুশ্রেণীর লেয়ারগুলো নির্ভুল ট্রান্সমিশন প্রত্যাশা করে। খুব বেশি হার্ডওয়ার ক্রুটিপূর্ণ ডাটার জন্য সেই প্রত্যাশামত কাজ করতে পারেনা।ভয়েজ বা ভিডিও টাইপের এপ্লিকেশন টুকটাক ক্রুটি নিয়েও চলতে পারে।

 

ডাটা লিঙ্ক লেয়ার ক্রুটি নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু কৌশল ব্যবহার করে,যাতে করে ফ্রেম(ডাটা বিট স্ট্রিম) নির্ভুলতার একটি নির্দিষ্ট মান বজায় রাখতে পারে।

 

ক্রুটির প্রকরণগুলো হল

তিন ধরণের ক্রুটি দেখা যায়,

  • সিঙ্গেল বিট এররঃ

সিঙ্গেল বিট এরর

একটি ফ্রেমে কেবল একটি বিটে ক্রুটি,

  • মাল্টিপল বিট এররঃ

মাল্টিপল বিট এরর

ফ্রেম একের বেশি এমন বিট গ্রহণ করে যা ক্রুটিপূর্ণ,

  • বড় ক্রুটিঃ

বড় ক্রুটি

একের বেশি ক্রমিক বিট ক্রুটিপূর্ণ

 

এরর কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট দুটি পদ্ধতিতে কাজ করে, ক্রুটি নির্ণয় ও ক্রুটি সংশোধন ।

 

ক্রুটি নির্ণয়

রিসিভড ফ্রেমের ক্রুটি নির্ণয় প্যারীটি চেক ও সাইক্লিক রেডানড্যান্সি চেক বা সিআরসি দ্বারা করা হয়। উভয় ক্ষেত্রেই মূল ডাটার সাথে কিছু অতিরিক্ত ডাটা প্রেরণ করা হয়। গ্রহীতা যন্ত্র সেই ডাটা সঠিকভাবে গ্রহণ না করলে বোঝা যায় সিস্টেম ক্রুটিমুক্ত নয়।

 

প্যারীটি চেক

মূল ডাটার সাথে এক বিট অতিরিক্ত ডাটা প্রেরণ করা হয়।তার থেকে অড প্যারীটি বা ইভেন হলে ইভেন প্যারীটি নির্ণয় করে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রুটি নির্ণয় করা হয়।

প্যারীটি চেক

 

সাইক্লিক রেডানড্যান্সি চেক বা সিআরসি

এ প্রক্রিয়ায় ভিন্নভাবে ক্রুটি নির্ণয় করা হয়।প্রেরণকৃত ডাটার বাইনারি ডিভিশনের মাধ্যমে এটি করা হয়।

সাইক্লিক রেডানড্যান্সি চেক বা সিআরসি

 

ক্রুটি সংশোধন

ডিজিটাল জগতে দুইভাবে ক্রুটি সংশোধন করা হয়,

  • ব্যাকওয়ার্ড এরর কারেকশনঃ রিসিভার গৃহীত ডাটায় ক্রুটি পেলে প্রেরককে পুনরায় ডাটা ট্রান্সমিশনের অনুরোধ জানায়,
  • ফরোয়ার্ড এরর কারেকশনঃ রিসিভার গৃহীত ডাটায় ক্রুটি পেলে ভুল সংশোধন কোড ব্যবহার করে ক্রুটি সারায়।

 

প্রথমটি অপেক্ষাকৃত সহজ, যদি পুনরায় ডাটা ট্রান্সমিশনের খরচ কম হয়। ডাটা ফ্রেমে সংশোধনের ক্ষেত্রে রিসিভারকে জানতে হবে ফ্রেমের কোন বিট ক্রুটিপূর্ণ।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ডাটা লিঙ্ক লেয়ার : ভূমিকা (DCN – Data-link Layer Introduction)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ডাটা লিঙ্ক লেয়ার ওসিআই মডেলের দ্বিতীয় লেয়ার। এই লেয়ার জটিল লেয়ারগুলোর মধ্যে একটি, এর কিছু জটিল ফাংশনালিটি ও দায়িত্বও আছে।এটি হার্ডওয়ারগত তথ্য গোপন করে উপরের লেয়ারে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে উপস্থাপন করে।

ডাটা লিঙ্ক লেয়ার এমন দুটি হোষ্টের মাঝে কাজ করে যারা কিছ কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি সম্পৃক্ত, এই সরাসরি সম্পৃক্ততা দুটি পয়েন্টের মধ্যে বা সম্প্রচারগতও হতে পারে। ব্রডকাস্ট নেটওয়ার্কের সিস্টেম একই লিঙ্কে থাকে। ডাটা লিঙ্ক লেয়ারের কাজ আরও জটিল হয়ে যায় যখন একক সংঘর্ষ ডোমেইনে সেটিকে অনেকগুলো হোষ্ট নিয়ে কাজ করতে হয়।

ডাটা স্ট্রিমকে বাইট বাই বাইট সিগন্যালে রূপান্তরিত করা ও তাকে সংশ্লিষ্ট হার্ডওয়ারে প্রেরণের দায়িত্বও ডাটা লিঙ্ক লেয়ারের। রিসিভিং এন্ডে ডাটা লিঙ্ক লেয়ার হার্ডওয়ার থেকে ডাটা নিয়ে ফ্রেম ফরমেটে রূপ দিয়ে ঊর্ধ্বতন লেয়ারে প্রেরণ করে। ডাটা লিঙ্ক লেয়ারের দুটি সাব লেয়ার আছে,

  • লজিকাল লিঙ্ক কন্ট্রোলঃ এটি প্রটোকল, ফ্লো কন্ট্রোল ও এরর কন্ট্রোল নিয়ে কাজ করে।
  • মিডিয়া এক্সেস কন্ট্রোলঃ এটি মাধ্যমের প্রকৃত কন্ট্রোল নিয়ে কাজ করে।

 

ডাটা লিঙ্ক লেয়ারের কিছু ফাংশনালিটি আছে, এগুলো হল,

  • ফ্রেমিংঃ ডাটা লিঙ্ক লেয়ার নেটওয়ার্ক লেয়ার থেকে ডাটা প্যাকেট নিয়ে ফ্রেমে প্রক্রিয়াজাত করে।
  • এড্রেসিংঃ ডাটা লিঙ্ক লেয়ার লেয়ার-২ হার্ডওয়ার এড্রেসিং মেকানিজম প্রবর্তন করে।
  • সিনক্রোনাইজেশনঃ যখন ডাটা ফ্রেমকে লিঙ্কে পাঠানো হয় তখন উভয় যন্ত্রকে সমন্বিত হতে হয়।
  • এরর কন্ট্রোলঃ এটি সিগন্যাল সংক্রান্ত ভুল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
  • ফ্লো কন্ট্রোলঃ দুটি যন্ত্রের ট্রান্সফারের গতি যেন এক হয় তা নিয়ন্ত্রণে ডাটা লিঙ্ক লেয়ার এটি ব্যবহার করে।
  • মাল্টি এক্সেসঃ মাল্টিপল সিস্টেমে সংঘর্ষ ছাড়া শেয়ারড মিডিয়া ব্যবহারের জন্য এই ফাংশনালিটি প্রয়োজন হয়।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : নেটওয়ার্ক সুইচিং (DCN – Network Switching)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

সুইচিং প্রক্রিয়ায় গন্তব্যের দিকে অগ্রসরমান কোনও পোর্টে অন্য পোর্ট থেকে আসা পকেট অগ্রসর করা হয়। যখন ডাটা একটি পোর্টে আসে তখন তাকে ইনগ্রেস বলে, আর যখন একটি পোর্ট ছেড়ে যায় তখন তাকে বলে এগ্রেস। বোর্ড লেভেলে সুইচিং দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত হয়ে থাকে,

 

  • যোগাযোগবিহীনঃ ফরোয়ার্ডিং টেবিলের সূত্রে ডাটা ফরোয়ার্ড হয়ে থাকে। পূর্ববর্তী কোনও সম্পর্কের প্রয়োজন হয়না, তথ্যসূত্রিতা ঐচ্ছিক।
  • যোগাযোগ সমৃদ্ধঃ লক্ষ্যের দিকে ডাটা সুইচিংএর আগে দুটি এন্ডপয়েন্টের মাঝে একটি প্রাকগঠিত সার্কিট প্রয়োজন হয়, ডাটা সেই সার্কিটে প্রবাহিত(ফরোয়ার্ড) হয়। ট্রান্সফার সম্পন্ন হলে সেই সার্কিট পরবর্তী ব্যবহারের জন্য রেখে দেয়া হয় অথবা তখনি সরিয়ে ফেলা হয়।

 

সার্কিট সুইচিং

যখন দুটি নড কোনও সার্থক যোগাযোগ মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করে তখন তাকে সার্কিট সুইচিং বলে। এক্ষেত্রে পূর্বনির্ধারিত রুট প্রয়োজন যা থেকে ডাটা প্রবাহিত হবে, অন্য ডাটা প্রযোজ্য হবে না। সার্কিট সুইচিংএ অবশ্যই সার্কিট গঠিত হতে হবে ।

সার্কিট স্থায়ী ও অস্থায়ী, দুরকমেরই হয়। সার্কিট সুইচিং ব্যবহার করা এপ্লিকেশনগুলো তিনটি ধাপের মধ্য দিয়ে যায়,

 

  • সার্কিট প্রতিষ্ঠা করা,
  • ডাটা ট্রান্সফার,
  • সার্কিটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা

সার্কিট সুইচিং

 

সার্কিট সুইচিং ভয়েস এপ্লিকেশনের জন্য তৈরি হয়েছিল। টেলিফোন সার্কিট সুইচিংএর সবচেয়ে ভাল উদাহরণ। কল করার আগে যে কল করছে আর যাকে কল করা হচ্ছে তাদের মধ্যে নেটওয়ার্কে ভার্চুয়াল পাথ তৈরি হচ্ছে।

 

 

ম্যাসেজ সুইচিং

সার্কিট সুইচিং ও প্যাকেট সুইচিংএর মধ্যবর্তী ধাপ হল ম্যাসেজ সুইচিং, এতে পুরো ম্যাসেজকে একটি ডাটা ইউনিট হিসেবে ধরা হয় এবং সম্পূর্ণ কাঠামোকে সুইচিং বা ট্রান্সফার করানো হয়। ম্যাসেজ সুইচিংএ কাজ করা কোনও সুইচ প্রথমে পুরো ম্যাসেজ রিসিভ করে বাফার করতে থাকে, পরবর্তী হপে ট্রান্সফার করার মত রিসোর্স পাওয়ার আগপর্যন্ত। পরবর্তী হপে বড় ম্যাসেজের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকলে ম্যাসেজ জমা করে রাখা হয়, সুইচ অপেক্ষা করে।

ম্যাসেজ সুইচিং

এই পদ্ধতিকে সার্কিট সুইচিংএর বিকল্প হিসেবে ধরা হয়।

 

ম্যাসেজ সুইচিংএর কিছু ড্রব্যাক আছে,

 

  • ট্রানজিট পাথের সকল সার্কিটে ম্যাসেজ সংরক্ষণের উপযুক্ত পর্যাপ্ত জায়গা প্রয়োজন,
  • স্টোর-এন্ড-ফরোয়ার্ড ব্যবস্থা ও রিসোর্স প্রাপ্যতার জন্য অপেক্ষা করার জন্য ম্যাসেজ সুইচিং অনেক ধীর প্রক্রিয়া,
  • ম্যাসেজ সুইচিং স্ট্রিমিং মিডিয়া ও রিয়েলটাইম এপ্লিকেশনের জন্য উপযোগী সমাধান নয়।

 

 

প্যাকেট সুইচিং

ম্যাসেজ সুইচিংএর সময় কমানো থেকে প্যাকেট সুইচিং ধারনার উদ্ভব, এতে ম্যাসেজকে ছোটছোট প্যাকেটে ভাগ করা হয়।সুইচিং তথ্যকে প্রত্যেক প্যাকেটের হিডারে (header) স্বাধীনভাবে সম্প্রচারের জন্য রাখা হয়।

 

প্যাকেট সুইচিং

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : মাল্টিপ্লেক্সিং (DCN – Multiplexing)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

মাল্টিপ্লেক্সিং একটি প্রক্রিয়া যেটিতে কোনও শেয়ারড লিঙ্কে ট্রান্সমিশনের ডিজিটাল ও এনালগ স্ট্রিম একসাথে প্রক্রিয়াজাত হয়। মাল্টিপ্লেক্সিং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মিডিয়ামকে নিম্ন ক্ষমতাসম্পন্ন লজিকাল মিডিয়ামে বিভাজিত করে যা পরবর্তীতে বিভিন্ন স্ট্রিম দ্বারা শেয়ারড হয়। এ প্রক্রিয়ায় আলো (অপটিক্যাল ফাইবার) ও বাতাসে (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি) যোগাযোগ সম্ভব।

 

ফ্রিকোয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং

ফ্রিকোয়েন্সি যখন বাহক তখন ফ্রিকোয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং প্রযোজ্য হয়। ফ্রিকোয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং একধরনের এনালগ প্রযুক্তি, এটি স্পেকট্রাম বা কেরিয়ার ব্যান্ডউইথকে লজিকাল চ্যানেলে ছড়িয়ে দেয় এবং প্রত্যেক চ্যানেলে একজন ইউজার বরাদ্ধ থাকে। চ্যানেল ফ্রিকোয়েন্সির উপর প্রত্যেক ইউজারের অবাধ ও স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ থাকে। কোনও চ্যানেল একটি আরেকটি উপর ওভারল্যাপ করে যায় না, চ্যানেলগুলো গার্ড ব্যান্ড দ্বারা আলাদা করা আছে। গার্ড ব্যান্ড এক ধরণের ফ্রিকোয়েন্সি কোনও চ্যানেলই যাদের ব্যবহার করছে না।

 

টাইম ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং

টাইম ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং প্রাথমিক অবস্থায় ডিজিটাল সিগন্যালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও এরা এনালগ সিগন্যালের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে। টাইম ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিংএ শেয়ারড চ্যানেল টাইম স্লটের ভিত্তিতে এর ইউজারদের মধ্যে বন্টিত থাকে। প্রত্যেক ইউজার বরাদ্ধকৃত সময়ের মধ্যে ডাটা ট্রান্সমিট করতে পারে। টাইম ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং সমন্বয়মূলক(সিঙ্ক্রোনাইজেশন) মোডে কাজ করে।

 

ওয়েভলেন্থ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং

আলোর বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্য থাকে। ফাইবার অপটিক মোডে মাল্টিপল অপটিক্যাল কেরিয়ার সিগন্যাল বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহার করে অপটিক্যাল ফাইবারে মাল্টিপ্লেক্সড হয়। এটি এনালগ মাল্টিপ্লেক্সিং কৌশল এবং বস্তুত ফ্রিকোয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিংএর মতই কাজ করে কিন্তু আলোকে সিগন্যাল হিসেবে ব্যবহার করে।

 

উপরন্তু, প্রতিটা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য টাইম ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং অধিক ডাটা সিগন্যাল সংরক্ষণ সমন্বয় করে।

 

কোড ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং

মাল্টিপল ডাটা সিগন্যাল কোড ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং ব্যবহার করে একক ফ্রিকোয়েন্সির উপর দিয়ে ট্রান্সমিটেড হতে পারে। ফ্রিকোয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং ফ্রিকোয়েন্সিকে ক্ষুদ্রতর চ্যানেলে ভাগ করে ফেলে কিন্তু কোড ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং ব্যবহারকারীকে ইউনিক কোড ব্যবহার করে পূর্ণ ব্যান্ডউইথ ও সবসময় ট্রান্সমিশনের সুযোগ দেয়। কোড ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং সিগন্যাল ছড়িয়ে দিতে অরথোগোনাল কোড ব্যবহার করে। প্রত্যেক ষ্টেশন ‘চিপ’ নামক ইউনিক কোড দ্বারা নির্ধারিত। সিগন্যাল এসব কোডের সাথে ব্যান্ডউইথের ভেতরে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে, রিসিভার অর্থাৎ সিগন্যাল গ্রহণকারী আগে থেকেই জানে ‘চিপ কোড’ সিগন্যাল গ্রহণ করা হতে পারে।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ওয়ারলেস ট্রান্সমিশন (DCN – Wireless Transmission)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ওয়ারলেস ট্রান্সমিশন আনগাইডেড মিডিয়ার একটি রূপ। ওয়ারলেস যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক যন্ত্রের মধ্যে বস্তুগত কোনও সম্পর্ক স্থাপিত হয় না, বেতার ব্যবস্থায় যোগাযোগ সম্পন্ন হয়। ওয়ারলেস সিগন্যাল বাতাসে ছড়ায় এবং উপযুক্ত এন্টেনা দ্বারা গৃহীত ও এর ব্যাখ্যা বিবৃত হয়। যখন কম্পিউটার বা বেতার যন্ত্রের ইলেকট্রিক সার্কিটে এন্টেনা লাগানো হয় তখন এটি ডিজিটাল ডাটাকে বেতার সিগন্যালে পরিবর্তিত করে এবং এর ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জের মধ্যে সবখানে ছড়িয়ে দেয়। অপর প্রান্তের গ্রহীতা সেই বেতার সিগন্যাল গ্রহণ করে তাকে আবারো ডিজিটাল ডাটায় পরিণত করে।

ওয়ারলেস ট্রান্সমিশন

 

রেডিও ট্রান্সমিশন

রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা সহজ কারণ এগুলোর বড় তরঙ্গদৈর্ঘ্য দেয়াল বা এরকম কাঠামো ভেদ করে যেতে পারে। এক মিলিমিটারের মত ক্ষুদ্র থেকে ১ লক্ষ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃহৎ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বেতার তরঙ্গ হতে পারে। ৩ হার্জ(অত্যন্ত ছোট) থেকে ৩০০ গিগাহার্জ(অত্যন্ত বড়) রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি হতে পারে। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ছয়টি ব্যান্ডে ভাগ করা আছে।

রেডিও ট্রান্সমিশন

 

রেডিও ট্রান্সমিশন আর্থ

 

মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন

১০০ মেগাহার্জের বেশি তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ সোজা লাইনে চলার প্রবণতা দেখায় এবং নির্দিষ্ট ষ্টেশনে বিমিংএর মাধ্যমে এদের দ্বারা সিগন্যাল প্রেরণ করা যায়। যেহেতু মাইক্রোওয়েভ সরল রেখায় চলে, তাই প্রেরক ও গ্রাহক যন্ত্র দৃষ্টিরেখার সমান্তরাল হতে হয়। মাইক্রোওয়েভের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১ মিলিমিটার থেকে ১ মিটার ও ফ্রিকোয়েন্সি ৩০০ গিগাহার্জ থেকে ৪৩০ টেরাহার্জ পর্যন্ত হতে পারে।

 

মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন

 

ইনফ্রারেড ট্রান্সমিশন

ইনফ্রারেড তরঙ্গ দৃশ্যমান আলোক বর্ণালী ও মাইক্রোওয়েভের মাঝামাঝি একটি বিষয়, তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৭০০ ন্যানোমিটার থেকে ১ মিলিমিটার ও ফ্রিকোয়েন্সি ৩০০ মেগাহার্জ থেকে ৩০০ গিগাহার্জ পর্যন্ত হতে পারে।স্বল্পদূরত্বে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেমন টেলিভিশনের রিমোট কন্ট্রোলে এদের ব্যবহার করা হয়।

 

আলোক ট্রান্সমিশন

সর্বোচ্চ তাড়িতচৌম্বক বর্ণালী যা ডাটা ট্রান্সফারের জন্য ব্যবহৃত হয় তা হল আলোক বা অপটিক্যাল সিগনালিং। লেজার পদ্ধতিতে এটি সম্ভব হয়। লেজার দেয়াল, বৃষ্টি বা ঘন কুয়াশা ভেদ করতে পারে না, এর ব্যবহৃত ফ্রিকোয়েন্সির কারণে এটি সরল রেখায় চলে।

আলোক ট্রান্সমিশন

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ট্রান্সমিশন মিডিয়া (DCN – Transmission Media)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ট্রান্সমিশন মিডিয়া হল কম্পিউটার নেটওয়ার্কের যোগাযোগের বস্তুগত মাধ্যম।

 

চৌম্বক মাধ্যম

নেটওয়ার্কের সৃষ্টিরও আগে থেকে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডাটা স্থানান্তর ও সংরক্ষণের জন্য চৌম্বক মাধ্যম ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমান যুগের দ্রুতগতির ইন্টারনেটের তুলনায় একটু পুরনো ফ্যাশনের হলেও, বিশাল আকারের ডাটার ক্ষেত্রে এখনও চৌম্বক মাধ্যম চলছে।

 

টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল

টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল একক মাধ্যম থেকে দুটো প্লাস্টিকে মোড়ানো তামার তার যা পরস্পরের উপর জড়ানো থাকে। একটি তার মূল সিগন্যাল বহন করে, অন্যটি গ্রাউন্ড রেফারেন্সের জন্য ব্যবহৃত হয়। টুইস্টগুলো নয়েজ ও ক্রসটক কমায়(তাড়িতচৌম্বক ইন্টারফেরেন্সের জন্য)। দুই ধরণের টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল হয়,

টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল

  • শিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার(এসটিপি)ক্যাবল।
  • আনশিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার(ইউটিপি) ক্যাবল।

 

কোএক্সিয়াল ক্যাবল

কোএক্সিয়াল ক্যাবলে তামার দুটি তার থাকে, মূল তারটি কেন্দ্রে থাকে, এটি নিরেট কন্ডাক্টর দিয়ে তৈরি। মূল অংশটি ইন্সুলেটর মোড়ানো আবরণ দিয়ে আলাদা করা, এটি একটি প্লাস্টিকের আবরণ দিয়ে আবৃত।সেই আবরনের উপরে দ্বিতীয় তারটি জড়ানো থাকে। এর উপরেও ইন্সুলেটর মোড়ানো আবরণ থাকে। পুরো জিনিসটি প্লাস্টিকের আবরণ দ্বারা জড়ানো থাকে। এর কাঠামোগত কারণে এটি টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের চেয়ে বেশি ফ্রিকোয়েন্সির সিগন্যাল বহন করতে পারে।

কোএক্সিয়াল ক্যাবল

 

পাওয়ার লাইন

পাওয়ার লাইন কমুনিকেশন লেয়ার-১ প্রযুক্তি যা ডাটা সিগন্যাল ট্রান্সমিট করতে পাওয়ার ক্যাবল ব্যবহার করে। পাওয়ার লাইন কমুনিকেশনে তারের মাধ্যমে মডিউলেটেড ডাটা প্রেরণ করা হয়। অপর প্রান্তের গ্রহীতা সেই ডাটাকে ডিমডিউলেটেড করে ইন্টারপ্রেট করে। দুই ধরণের পাওয়ার লাইন পাওয়া যায়,

  • সরু ব্যান্ডের পিএলসি এবং
  • ব্রডব্যান্ড পিএলসি

 

ফাইবার অপটিক্স

ফাইবার অপটিক্স আলোর গুণাবলী অনুসারে কাজ করে। ক্রান্তিকোণে আলো পরলে তা ৯০ ডিগ্রি কোণে প্রতিফলিত হয়। এই মূলনীতি ফাইবার অপটিক্সে কাজে লাগানো হয়। ফাইবার অপটিক্সের মূল(কোর)অংশকে উচ্চ মানের কাঁচ বা প্লাস্টিক দ্বারা তৈরি করা হয়। এর ভিতর দিয়ে আলো প্রবাহিত হয়, অন্য প্রান্তে সেই নিঃসৃত আলোর স্ট্রিমকে বৈদ্যুতিক ডাটায় পরিণত করা হয়। এটি সবচেয়ে বেশি গতির মাধ্যম। একক মোড ফাইবার ও বহু মোড ফাইবার, এই দুই প্রকার ফাইবার একাজে পাওয়া যায়। ফাইবার অপটিক্স একমুখী ও দ্বিমুখী এই দুই প্রকারের সক্ষমতা সম্পন্ন হতে পারে।

ফাইবার অপটিক্স

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : এনালগ ট্রান্সমিশন : (DCN – Analog Transmission)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

এনালগ মাধ্যমে ডাটা প্রেরণ করতে হলে ডাটাকে এনালগ সিগন্যালে রূপান্তরিত করে নিতে হয়। ডাটা রূপান্তরের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় হয়ে থাকে,

  • ব্যান্ডপাসঃ ফিল্টারের মাধ্যমে চাহিদামত ফ্রিকোয়েন্সি ফিল্টারিং ও অতিক্রম করানো হয়।
  • লো পাসঃ লো পাস একধরনের ফিল্টার যার মধ্য দিয়ে কম ফ্রিকোয়েন্সির সিগন্যাল প্রেরিত হয়।

 

ডিজিটাল থেকে এনলগে রূপান্তর

যখন এক কম্পিউটার থেকে অন্য কোনটিতে এনালগ ক্যারিয়ারের মাধ্যমে ডাটা স্থানান্তর করা হ্য় তখন সেটি প্রথমে এনালগ সিগন্যালে রূপান্তরিত হয়, এনালগ সিগন্যালকে সেই ডাটাকে ডিজিটাল ডাটায় রিফ্লেক্ট করার মত করে মডিফাই করে নেয়া হয়। কোনও এনালগ ডাটা এর এমপ্লিচিউড, ফ্রিকোয়েন্সি ও ফেজের মাধ্যমে বিশেষায়িত হয়। ডিজিটাল থেকে এনলগে রূপান্তর তিন ধরণের হতে পারে,

  • এমপ্লিচিউড শিফট কীইংঃ এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় এনালগ ক্যারিয়ার সিগন্যালের এমপ্লিচিউড বাইনারি ডাটা প্রদর্শনের উদ্দেশে রূপান্তরিত হয়।

এমপ্লিচিউড শিফট কীইং

  • ফ্রিকোয়েন্সি শিফট কীইংঃ এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় এনালগ ক্যারিয়ার সিগন্যালের ফ্রিকোয়েন্সি বাইনারি ডাটা প্রদর্শনের উদ্দেশে রূপান্তরিত হয়। এই পদ্ধতি দুটি ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে।

ফ্রিকোয়েন্সি শিফট কীইং

  • ফেজ শিফট কীইংঃ এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় মূল ক্যারিয়ার সিগন্যালের ফেজ বাইনারি ডাটা প্রদর্শনের উদ্দেশে পরিবর্তিত হয়।

ফেজ শিফট কীইং

  • কোয়াড্রেচার ফেজ শিফট কীইংঃ কোয়াড্রেচার ফেজ শিফট কীইং দুটি বাইনারি ডিজিট একসাথে প্রদর্শনের জন্য ফেজকে রূপান্তরিত করে। এটি দুটি ভিন্ন ফেজে হয়ে থাকে।

 

এনালগ থেকে এনলগে রূপান্তর

এনালগ ডাটা প্রদর্শনের জন্যও এনালগ সিগন্যাল রূপান্তরিত হতে পারে। এই প্রক্রিয়াকে এনালগ মডুলেশন বলা হয়। ব্যান্ডপাস যখন হয় তখন এনালগ মডুলেশন প্রয়োজন হয়। এটি তিনভাবে হতে পারে,

এনালগ থেকে এনলগে রূপান্তর

  • এমপ্লিচিউড মডুলেশনঃ এই মডুলেশন প্রক্রিয়ায় ক্যারিয়ার সিগন্যালের এমপ্লিচিউড এনালগ ডাটা প্রদর্শনের উদ্দেশে রূপান্তরিত হয়।

এমপ্লিচিউড মডুলেশন

  • ফ্রিকোয়েন্সি মডুলেশনঃ এই মডুলেশন প্রক্রিয়ায় ক্যারিয়ার সিগন্যালের ফ্রিকোয়েন্সি মডুলেশনের ভোল্টেজ লেভেলের পরিবর্তন(এনালগ ডাটা)প্রদর্শনের উদ্দেশে রূপান্তরিত হয়।

ফ্রিকোয়েন্সি মডুলেশন

  • ফেজ মডুলেশনঃ এই মডুলেশন প্রক্রিয়ায় ক্যারিয়ার সিগন্যালের ফেজ মডুলেশনের ভোল্টেজ লেভেলের পরিবর্তন(এনালগ ডাটা)প্রদর্শনের উদ্দেশে পরিবর্তিত হয়।

ফেজ মডুলেশন

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ডিজিটাল ট্রান্সমিশন : (DCN – Digital Transmission)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ডাটা বা তথ্য দুইভাবে সংরক্ষণ করা যায়, ডিজিটাল ও এনালগ পদ্ধতিতে। কম্পিউটারে ডাটা সংরক্ষণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হয়। ডাটার মত সিগন্যালও ডিজিটাল ও এনালগ এই দুই পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা যায়। ডাটাকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ট্রান্সমিশনের জন্য একে আগে ডিজিটাল ফরম্যাটে পরিবর্তিত করে নিতে হয়।

 

ডিজিটাল থেকে ডিজিটালে রূপান্তর

লাইন কোডিং ও ব্লক কোডিং, এই দুই ভাবে ডিজিটাল থেকে ডিজিটালে রূপান্তর করা যায়। সব ধরণের যোগাযোগের জন্য লাইন কোডিং জরুরী যেখানে ব্লক কোডিং ঐচ্ছিক।

 

লাইন কোডিং

ডিজিটাল ডাটাকে ডিজিটাল সিগন্যালে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে লাইন কোডিং বলে। ডিজিটাল ডাটাকে বাইনারি ফরম্যাটে পাওয়া যায়, একে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত সিরিজের অন্তর্নিহিতভাবে সংরক্ষণ করা যায়।

লাইন কোডিং

লাইন কোডিং

 

ইউনিপোলার এনকোডিং

ইউনিপোলার এনকোডিং স্কিম ডাটা রিপ্রেজেন্ট করার জন্য সিঙ্গেল ভোল্টেজ লেভেল ব্যবহার করে, এক্ষেত্রে বাইনারি ১ প্রকাশ করতে উঁচু ভোল্টেজ ও বাইনারি ০ প্রকাশ করতে কোনও ভোল্টেজ ট্রান্সমিটেড হয় না। এদের ইউনিপোলার নন-রিটার্ন-টু-জিরোও বলা হয়।

ইউনিপোলার এনকোডিং

 

পোলার এনকোডিং

পোলার এনকোডিং স্কিম বাইনারি মান প্রকাশের জন্য মাল্টিপল ভোল্টেজ লেভেল ব্যবহার করে। পোলার এনকোডিং কে চার রূপে পাওয়া যায়,

  • পোলার ননরিটার্ন টু জিরো

পোলার ননরিটার্ন টু জিরো

  • রিটার্ন টু জিরো,

রিটার্ন টু জিরো

  • ম্যানচেস্টার,
  • ডিফারেন্সিয়াল ম্যানচেস্টার

 

বাইপোলার এনকোডিং

বাইপোলার এনকোডিং তিন ধরণের ভোল্টেজ লেভেল ব্যবহার করে, পজেটিভ, নেগেটিভ ও জিরো।

বাইপোলার এনকোডিং

 

ব্লক কোডিং

ব্লক কোডিং তিন ধরণের হয়,

  • ডিভিশন,
  • সাবস্টিটিউশন,
  • কম্বিনেশন

 

ব্লক কোডিং সম্পন্ন হওয়ার পর একে লাইন কোডেড করা হয়।

 

এনালগ থেকে ডিজিটাল রূপান্তর

এনালগ তরঙ্গকে ডিজিটাল ডাটায় পরিণত করতে পালস কোড মডুলেশন ব্যবহার করা হয়। এটি তিন ধাপে হয়,

  • সেম্পলিং

সেম্পলিং

  • কোয়ান্টাইজেশন

কোয়ান্টাইজেশন

  • এনকোডিং

এনকোডিং

 

ট্রান্সমিশন মোড

দুটি কম্পিউটারে কীভাবে ডাটা ট্রান্সমিটেড হবে তা নির্ণয় করে ট্রান্সমিশন মোড,এর দুটি প্রকরণ ঘটে,

  • প্যারালাল ট্রান্সমিশন

প্যারালাল ট্রান্সমিশন

  • সিরিয়াল ট্রান্সমিশন।

সিরিয়াল ট্রান্সমিশন

 

সিরিয়াল ট্রান্সমিশন দুই রকমের হয়,

  • এসিনক্রোনাস সিরিয়াল ট্রান্সমিশন
  • সিনক্রোনাস সিরিয়াল ট্রান্সমিশন

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ফিজিকাল লেয়ার : ভূমিকা (DCN – Physical Layer Introduction)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ওএসআই মডেলে ফিজিকাল লেয়ার মূল হার্ডওয়ার ও সিগনালিং কৌশলের সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, ওএসআই মডেলে ফিজিকাল লেয়ারই একমাত্র লেয়ার যেটি দুটি ভিন্ন ষ্টেশনের বস্তুগত যোগাযোগ নিয়ে কাজ করে। এই লেয়ার হার্ডওয়ার ইকুইপমেন্ট, ক্যাবলিং, ওয়ারিং এবং বাইনারি সিগন্যাল প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পালস ও ফ্রিকোয়েন্সি বিবৃত করে।

ফিজিকাল লেয়ার এর সার্ভিসকে ডাটা লিঙ্ক লেয়ারে অর্পণ করে। ডাটা লিঙ্ক লেয়ার ফিজিকাল লেয়ারে ফ্রেম প্রদান করে। ফিজিকাল লেয়ার সেগুলোকে ইলেক্ট্রিক্যাল পালসে পরিণত করে, যা বাইনারি ডাটারূপে প্রতীয়মান হয়। সেই বাইনারি ডাটা তারবিহীন বা তারযুক্ত মাধ্যমে প্রেরিত হয়।

 

সিগন্যাল

ফিজিকাল মাধ্যমে ডাটা যখন প্রেরিত হয়, সেটিকে প্রথমে তাড়িতচৌম্বক সিগন্যালে রূপান্তরিত করে নেয়া হয়। ডাটা নিজে এনালগ(যেমন মানবকণ্ঠ) বা ডিজিটাল(কোনও ডিস্কে একটি ফাইল)হতে পারে, যেকোনো এনালগ বা ডিজিটাল উভয় প্রকার ডাটাকে এনালগ বা ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তরিত করে নেয়া সম্ভব।

  • ডিজিটাল সিগন্যালঃ ডিজিটাল সিগন্যাল প্রকৃতিগতভাবে পৃথক বা অসংলগ্ন, এরা ভোল্টেজ পালসের ক্রম প্রকাশ করে। কম্পিউটার সিস্টেমের সার্কিটসংক্রান্ত অংশে ডিজিটাল সিগন্যাল ব্যবহৃত হয়।
  • এনালগ সিগন্যালঃ এনালগ সিগন্যাল স্বাভাবিকভাবে পাওয়া ক্রমাগত সিগন্যাল, যা ক্রমাগত আসা তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ দ্বারা প্রকাশিত।

 

ট্রান্সমিশনে বিঘ্ন

সিগন্যালগুলো যখন মাধ্যমগুলোর ভেতর দিয়ে ভ্রমণ করে, অনেক সময় সেখানে বিঘ্ন ঘটতে পারে, এর প্রধান প্রধান কারণগুলো হল,

  • ডাটা অপচয়
  • বিচ্ছুরণ
  • বিলম্ব সংক্রান্ত বিকৃতি
  • নয়েজ

 

নয়েজঃ এনালগ বা ডিজিটাল সিগন্যালে নিয়মিত বিঘ্ন বা অস্থিরতাকে সিগন্যালের নয়েজ বলে। এটি মূল ডাটাকে বিকৃত করে। নয়েজ নিচের যেকোনো রকমের হতে পারে,

  • থারমাল নয়েজ
  • ইন্টারমডুলেশন
  • ক্রসটক
  • ইম্পালস

 

রান্সমিশন মিডিয়া

দুটি কম্পিউটার ব্যবস্থার তথ্য যে মাধ্যমের ভেতর দিয়ে প্রেরিত হয় তাকে ট্রান্সমিশন মিডিয়া বলে, এটি দুই ধরণের হতে পারে,

  • গাইডেড মিডিয়াঃ সকল তারজাতীয় মিডিয়া গাইডেড মিডিয়া, যেমন ইউটিপি, কোএক্সিয়াল ক্যাবল এবং ফাইবার অপটিক্স। এই মিডিয়ায় প্রেরক এবং গ্রহীতা সরাসরি যুক্ত থাকে।
  • আনগাইডেড মিডিয়াঃ তারবিহীন বা বেতার মিডিয়াকে আনগাইডেড মিডিয়া বলে ধরা হয়।

 

চ্যানেল ক্যাপাসিটি

ডাটা ট্রান্সমিশনের গতিকে চ্যানেল ক্যাপাসিটি বলা হয়। এটি বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে,

  • ব্যান্ডউইথ
  • এরর রেট
  • এনকোডিং

 

মাল্টিপ্লেক্সিং

একক মাধ্যমে মাল্টিপল ডাটা স্ট্রিম মেশানো এবং প্রেরণের কৌশলকে মাল্টিপ্লেক্সিং বলে।

 

সুইচিং

এর মাধ্যমে ডাটাকে উৎস থেকে এমন গন্তব্যে প্রেরণ করা হয় যা সরাসরি সংযুক্ত নয়।

 

সুইচিং

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি (DCN – Computer Network Security)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ইন্টারনেটের প্রারম্ভিক সময়গুলোতে এর ব্যবহার কেবল সামরিক ক্ষেত্রে ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উন্নয়ন ও গবেষণাকর্মের মাঝে সীমিত ছিল। পরে যখন সব নেটওয়ার্ক মিলে ইন্টারনেট সৃষ্টি হল, তখন তথ্যব্যবস্থা জনগনের জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেল। অতি স্পর্শকাতর তথ্য ও উপাত্ত, মানুষের ব্যাংক ও বাজারসদাই, নাম-পাসওয়ার্ড, ব্যক্তিগত বিষয়আশয় এগুলি সবকিছু নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পরে গেল। সকল নিরাপত্তা ঝুঁকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, এদেরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়,

  • ইন্টারাপশনঃ কোনও সাইটে ঢুকতে না পারা বা এজাতীয় সমস্যা।
  • গোপনীয়তা লঙ্ঘনঃ কারো ব্যক্তিগত সীমায় প্রবেশ বা তার বিনা অনুমতিতে বা অগোচরে তথ্য গ্রহণ,
  • ইন্টেগ্রিটিঃ ডাটা সংশোধন বা প্রকৃত অধিকার আছে এমন ব্যক্তির সমন্বয়ে সিস্টেমে বিচরণ সংশ্লিষ্ট বিষয়,
  • অথেনটিসিটিঃ যখন আক্রমণকারী ব্যক্তি হিসেবে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এবং অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি

বর্তমান বিশ্বের কোনও ব্যবস্থাই শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না, কিন্তু ডাটা যখন অনিয়ন্ত্রিত নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটে প্রবাহিত হয় তখন তার নিরাপত্তার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়া যায়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা পদ্ধতি হল ক্রিপ্টোগ্রাফি ।

ক্রিপ্টোগ্রাফি হল এক ধরণের কৌশল যাতে সরল টেক্সট ডাটাকে এনক্রিপ্ট করা হয় যাতে ডাটা বোঝা ও ব্যাখ্যা করা কঠিন হয়। ক্রিপ্টোগ্রাফির বেশ কিছু এলগরিদম বর্তমানে পাওয়া যায়,

  • সিক্রেট কী
  • পাবলিক কী
  • ম্যাসেজ ডাইজেস্ট

 

সিক্রেট কী এনক্রিপশন

প্রেরক ও গ্রাহকের কাছে গোপন সূত্র(কী) থাকে।

পাবলিক কী এনক্রিপশনঃ এই এনক্রিপশন ব্যবস্থায় সব ইউজারের কাছে গোপন সূত্র(কী) থাকে। শেয়ারড ডোমেইনে এটি সম্ভব নয়।

 

ম্যাসেজ ডাইজেস্ট

প্রকৃত তথ্য প্রেরণ করা হয় না, সাঙ্কেতিক মান প্রেরণ করা হয়। গ্রহীতার প্রান্ত থেকে সেই সাঙ্কেতিক মান অনুধাবন ও নির্ণয় করে ডাটা নির্ণয় করা হয়। এমডি-৫ হেসিং এরকম ম্যাসেজ ডাইজেস্টের উদাহরণ।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : কম্পিউটার নেটওয়ার্ক মডেল (DCN – Computer Network Models)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ারিং একটি জটিল কাজ, যার মধ্যে আছে সফটওয়ার, ফার্মওয়ার, নিচু শ্রেণীর প্রকৌশল, হার্ডওয়ার, এবং ইলেকট্রিক কর্মকাণ্ড। এই কর্মকাণ্ডকে সহজ করার জন্য এটিকে কয়েকটি লেয়ারে ভাগ করা হয়। এই লেয়ারগুলো স্বতন্ত্র ও তাদের নিজস্ব কাজ থাকে, পুরো নেটওয়ার্কিং এই লেয়ারগুলোর উপর নির্ভর করে। লেয়ারগুলো নিজেদের মধ্যে ডাটা আদানপ্রদান করে, কেবলমাত্র ইনপুট ও আউটপুটের জন্য পরস্পরের উপর নির্ভর করে।

 

লেয়ারের কাজ

নেটওয়ার্ক মডেলের লেয়ার স্থাপত্যে একটি পুরো নেটওয়ার্ক প্রক্রিয়া অনেকগুলো ক্ষুদ্র কাজে বিভক্ত থাকে। লেয়ারের যোগাযোগ ব্যবস্থায় কোনও হোষ্টের অধীনে সমগোত্রীয় লেয়ার রিমোট হোষ্টের মাধ্যমে ক্ষুদ্র কাজগুলো করতে পারে। এই কাজগুলো সর্বনিম্ন বা সর্বোচ্চ পর্যায়ের লেয়ারের মাধ্যমে শুরু হয়। সর্বোচ্চ পর্যায়ের লেয়ারে শুরু হলে প্রক্রিয়াটি নিচের লেয়ারের দিকে ধাবিত হয়, একদম নিচের লেয়ারে কাজ শুরু হলে উলটোভাবে প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্ত হয়। প্রত্যেকটি লেয়ার কাজের খণ্ডাংশ সম্পন্ন করতে প্রক্রিয়া, প্রটোকল ও পদ্ধতির সমন্বয় করে।

লেয়ারের কাজ

 

ওএসআই মডেল

ওপেন সিস্টেম ইন্টারকানেক্ট সব কমুনিকেশন সিস্টেমের জন্য আদর্শ, আইএসও দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই মডেলের সাতটি লেয়ার আছে,

 

  • এপ্লিকেশন লেয়ারঃ এপ্লিকেশন ব্যবহারকারীকে ইন্টারফেস ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়,
  • প্রেজেন্টেশন লেয়ারঃ নেটিভ ফরম্যাটের ডাটা কীভাবে পরিবেশিত হবে তা এই লেয়ার নির্ধারণ করে,
  • সেশন লেয়ারঃ এই লেয়ার রিমোট হোষ্টের মধ্যবর্তী সেশন নিয়ন্ত্রণ করে,
  • ট্রান্সপোর্ট লেয়ারঃ হোষ্টগুলোর মাঝে বিতরণ এই লেয়ারের দায়িত্ব,
  • নেটওয়ার্ক লেয়ারঃ এসাইনমেন্ট ও নেটওয়ার্কে হোষ্টগুলোর স্বাতন্ত্র্য নির্দেশ করে,
  • ডাটা লিঙ্ক লেয়ারঃ ডাটা পড়া ও লেখা এই লেয়ারে হয়, লিঙ্ক এরর থাকলে সেটিও এই লেয়ারে সনাক্ত হয়,
  • ফিজিকাল লেয়ারঃ এই লেয়ার হার্ডওয়ার, ক্যাবল সংযোগ ও পাউয়ার আউটপুট , পালস রেট এসব নির্দেশ করে।

 

ইন্টারনেট মডেল

ইন্টারনেট টিসিপি বা আইপি প্রটোকল স্যুইট ব্যবহার করে যা ইন্টারনেট মডেলকে বিবৃত করে। এটি চারটি লেয়ারে বিভক্ত,

  • এপ্লিকেশন লেয়ারঃ এপ্লিকেশন ব্যবহারকারীকে নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়, যেমন এফটিপি, এইচটিটিপি ইত্যাদি।
  • ট্রান্সপোর্ট লেয়ারঃ হোষ্টগুলোর মাঝে কীভাবে ডাটা প্রবাহিত হবে তা ঠিক করা এই লেয়ারের দায়িত্ব।
  • ইন্টারনেট লেয়ারঃ ইন্টারনেট প্রটোকল বা আইপি এই লেয়ারে কাজ করে।
  • লিঙ্ক লেয়ারঃ প্রকৃত ডাটা প্রেরণ বা গ্রহণ করার কৌশল এই লেয়ার নির্ধারণ করে।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : কম্পিউটার নেটওয়ার্ক টোপোলজি (DCN – Computer Network Toplogies)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

নেটওয়ার্ক টপোলজি হল একধরনের ব্যবস্থা যার মাধ্যমে কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলো পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে। ফিজিকাল ও লজিকাল উভয় দৃষ্টিভঙ্গিতেই টপোলজিকে বিবৃত করা যায়। একই নেটওয়ার্কে ফিজিকাল ও লজিকাল উভয় টপোলজি একই রকম বা ভিন্ন হতে পারে।

 

পয়েন্ট টু পয়েন্ট

পয়েন্ট টু পয়েন্ট নেটওয়ার্কে ঠিক দুটো হোষ্ট যেমন কম্পিউটার, সুইচ, রাউটার বা সার্ভার একটিমাত্র তার ব্যবহার করে সংযুক্ত থাকতে পারে, এক হোষ্টের গ্রহণকারী প্রান্ত অন্য হোষ্টের প্রেরণকারী প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকতে পারে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভাবে দুটো হোষ্ট যুক্ত থাকলে মধ্যবর্তী অনেক ডিভাইস থাকতে পারে।

পয়েন্ট টু পয়েন্ট

 

বাস টপোলজি

বাস টপোলজির ক্ষেত্রে সব যন্ত্রগুলো একটি যোগাযোগ মাধ্যম বা তার শেয়ার করে। একই সময়ে একাধিক হোষ্ট ডাটা প্রেরণ করলে বাস টপোলজির ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এজন্য বাস টপোলজি সিএসএমএ/সিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অথবা একটি হোষ্টকে বাসমাস্টার ধরে সমস্যা সমাধান করে।

বাস টপোলজি

 

স্টার টপোলজি

স্টার টপোলজিতে সকল হোষ্ট একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইসে সংযুক্ত থাকে, যাকে হাব ডিভাইস বলে যা পয়েন্ট টু পয়েন্ট কানেকশনে যুক্ত থাকে। হাব ডিভাইসগুলো নিচের যেকোনো রকমের হতে পারে,

  • লেয়ার-১ ডিভাইস যেমন হাব বা রিপিটার
  • লেয়ার-২ ডিভাইস যেমন সুইচ বা ব্রিজ
  • লেয়ার-৩ ডিভাইস যেমন রাউটার বা গেটওয়ে

স্টার টপোলজি

স্টার টপোলজি সাশ্রয়ী এবং একে কনফিগার করাও সহজ।

 

রিং টপোলজি

রিং টপোলজি নেটওয়ার্কে একটি হোষ্ট মেশিন ঠিক দুটি অন্য মেশিনে সংযুক্ত থেকে একটি সার্কুলার নেটওয়ার্ক কাঠামো গঠন করে। যখন এক হোষ্ট এর সন্নিহিত কোনও হোষ্টে ম্যাসেজ পাঠাতে চায় তখন ডাটা মধ্যবর্তী সকল মাধ্যমিক হোষ্ট আবর্তন করে যায়। কেবলমাত্র একটি বাড়তি তার ব্যবহার করে এডমিনিস্ট্রেটর কাঠামোতে আরেকটি হোষ্ট যোগ করতে পারেন। একটা হোষ্টে ভুল হলে সমস্ত রিং তা ভোগ করে।

রিং টপোলজি

 

মেস টেকনোলজি

এক্ষেত্রে হোষ্টগুলো এক বা একাধিক হোষ্টের সাথে যুক্ত থাকতে পারে, এর হোষ্টগুলো পয়েন্ট টু পয়েন্ট কানেকশনে অন্য সবগুলো বা কিছু কিছু হোষ্টের সাথে যুক্ত থাকতে পারে। মেস টেকনোলজি দুই রকমের হতে পারে,

মেস টেকনোলজি

  • ফুল মেসঃ হোষ্টগুলো পয়েন্ট টু পয়েন্ট কানেকশনে অন্য সবগুলো হোষ্টের সাথে যুক্ত থাকে।
  • পারসিয়ালি মেসঃ হোষ্টগুলো পয়েন্ট টু পয়েন্ট কানেকশনে অন্য কয়েকটি(সবগুলোর সাথে না) হোষ্টের সাথে যুক্ত থাকে।

 

ট্রি টপোলজি

বর্তমান সময়ে ব্যবহৃত সবচেয়ে কমন নেটওয়ার্ক টপোলজি, ক্রমবিন্যাসগত টপোলজি নামেও পরিচিত।

ট্রি টপোলজি

 

ডেইজি চেইন

এই টপোলজি সবগুলো হোষ্টকে লিনিয়ার বিন্যাসে সংযুক্ত রাখে।

ডেইজি চেইন

 

হাইব্রিড টপোলজি

কয়েকটি টপোলজি সমন্বিত হয়ে কাজ করে এই নেটওয়ার্ক কাঠামো গঠন করে।

হাইব্রিড টপোলজি

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : নেটওয়ার্ক লেন টেকনোলজি (DCN – Network LAN Technologies)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

বিভিন্ন নেটওয়ার্ক লেন টেকনোলজি নিয়ে আলোচনা করা যাক,

 

ইথারনেট

লেন টেকনোলজিতে এটি বহুল প্রচলিত, ১৯৭০ সালে Bob Metcalfe এবং D.R. Boggs এটি আবিস্কার করেন। IEEE 802.3 তে ১৯৮০ সালে আদর্শ হিসেবে এটিকে গ্রহণ করা হয়।

 

ইথারনেট মিডিয়া ব্যবহার করে। শেয়ার করা মিডিয়ার ডাটা পরস্পর সংঘর্ষ প্রবণ হতে পারে। ইথারনেট সংঘর্ষ শনাক্ত করার জন্য CSMA/CD প্রযুক্তি ব্যবহার করে। সচরাচর দেখা যাওয়া ইথারনেট 10BASE-T বৈশিষ্ট্যের যার ১০ এমবিপিএস গতি, BASE দ্বারা বেসব্যান্ড, এবং টি দ্বারা Thick Ethernet বোঝায়।

 

দ্রুত ইথারনেট

দ্রুত বর্ধনশীল সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার প্রযুক্তির উপযোগী ইথারনেট ইউটিপি, অপটিক্যাল ফাইবার ও তারবিহীন ভাবেও চলতে পারে। ১০০ এমবিপিএস গতি লাভ এর পক্ষে সম্ভব। IEEE 803.2 তে 100BASE-T নামে এটি শনাক্ত করা যায়, Cat-5 twisted pair cable ব্যবহার করে। ইথারনেট হোষ্টের মাঝে তারের মাধ্যমে মিডিয়া শেয়ার করতে CSMA/CD ব্যবহার করে, তারবিহীন উপায় CSMA/CA ব্যবহার করে। অপটিক্যাল ফাইবারে দ্রুত ইথারনেট 100BASE-FX নামে পরিচিত।

 

গিগা ইথারনেট

১৯৯৫ সালে গিগা ইথারনেটের যাত্রা শুরু, এটি 1000 mbits/second গতিসম্পন্ন EEE802.3ab সমর্থিত এই গিগা ইথারনেট at-5, Cat-5e এবং Cat-6 ক্যাবল ব্যবহার করতে পারে। IEEE802.3ah অপটিক্যাল ফাইবারে গিগা ইথারনেট বোঝায়।

 

ভার্চুয়াল লেন

লেন ইথারনেট ব্যবহার করে তখন যখন এটি শেয়ারকৃত মিডিয়া নিয়ে কাজ করে। এক্ষেত্রে একক সম্প্রচার ডোমেইন ও একক সংঘর্ষ ডোমেইন তৈরি করা হয়, একক সম্প্রচার ডোমেইন একাধিক সম্প্রচার ডোমেইনে বিভক্ত হওয়ার সমাধান হল ভার্চুয়াল লেন। ডিফল্ট হিসেবে সব হোষ্ট একক ভার্চুয়াল লেনে সংযুক্ত থাকে।

ভার্চুয়াল লেন

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : কম্পিউটার নেটওয়ার্ক টাইপ (DCN – Computer Network Types)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

সাধারণত নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি বলতে এর ভৌগলিক বিস্তৃতি বোঝায়, এটি আমাদের ব্যবহৃত সেলফোন থেকে এর ব্লুটুথ হেডফোন পর্যন্ত ক্ষুদ্র দূরত্বের হতে পারে আবার ইন্টারনেটের মত বিশ্বব্যপী বিস্তৃতও হতে পারে।

 

পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক

ক্ষুদ্রতম নেটওয়ার্ক, ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ব্যবহারে সীমাবদ্ধ। ব্লুটুথ বা ইনফ্রারেড সমৃদ্ধ যন্ত্রপাতি এই ধরণের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। ১০ মিটার সীমার এই নেটওয়ার্ক তারবিহীন মাউস, কীবোর্ড, অয়ারলেস প্রিন্টার ও টিভি রিমোটে দেখা যায়। পিকোনেট এরকম একটি পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক যেটিতে ব্লুটুথ ব্যবহার করে আটটি ডিভাইস সমন্বয় করে ব্যবহার করা হয়।

 

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা লেন

কোনও বিল্ডিং বা একক প্রশাসনের আওতাধীন কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে লেন বলে।লেন সাধারণত কোনও সংস্থার অফিস, স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি কভার করে ।দুই বা ততোধিক কম্পিউটার নিয়ে লেন হতে পারে, আবার ১৬ মিলিয়ন একক নিয়েও লেন হওয়ার নজির রয়েছে। লেনের ক্ষেত্রে প্রিন্টার, ফাইল সার্ভার, স্ক্যানার ও ইন্টারনেট সহজে শেয়ার করা সম্ভব হয়। এটি হেভি রাউটিং এড়িয়ে চলে ও ব্যক্তিগত আইপি এড্রেস দ্বারা চালিত। এটি ইথারনেট বা টোকেন রিং টেকনোলজি ব্যবহার করে থাকে, ইথারনেট বেশি ব্যবহৃত হয়, যা স্টার টপোলজি ব্যবহার করে, টোকেন রিং টেকনোলজি অপেক্ষাকৃত কম দেখা যায়। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা লেন তারযুক্ত বা তারবিহীন উভয় রকমই হতে পারে।

 

মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক বা মেন

ক্যাবল টিভির মত শহরাঞ্চলে দেখা যায়। ইথারনেট,টোকেন রিং, এটিএম বা এফডিডিআই যেকোনো ফর্মে এটি হতে পারে। মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক আইএসপির মাধ্যমে সম্পাদিত, এটি পারসোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ককে পরিবর্ধনের সুযোগ করে দেয়। মেন নেটওয়ার্কের মূল শক্তি হল উচ্চক্ষমতা ও গতিসম্পন্ন ফাইবার অপটিক্স। মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক লেন থেকে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কে আপলিঙ্ক প্রবর্তন করে।

 

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক

অনেকখানি জায়গা এমনকি পুরো দেশের নেটওয়ার্কও ধারণ করতে পারে।এটি ব্যয়বহুল ও শক্তিশালী। টেলিযোগাযোগ এক ধরণের ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক। এটি এটিএম, ফ্রেম রিলে, সনেট বা Synchronous Optical Network ইত্যাদি এডভান্সড প্রযুক্তি ব্যবহার করে ।

 

ইন্টারনেটওয়ার্ক

নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ককে ইন্টারনেটওয়ার্ক বা সহজ ভাষায় ইন্টারনেট বলে। এটি টিসিপি/ আইপি প্রটোকল স্যুইট ব্যবহার করে , আইপিকে এড্রেসিং প্রটোকল হিসেবে ব্যবহার করে। বর্তমান সময়ে IPv4 বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। ইন্টারনেট এর ব্যবহারকারীকে বিশ্বব্যপী বিস্তৃত প্রচুর তথ্যের সাথে সংযুক্ত করতে পারে।এর মূল অবদানগুলোর কয়েকটি হল,

  • ওয়েবসাইট,
  • ইমেইল,
  • ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং,
  • ব্লগিং,
  • সোশ্যাল মিডিয়া,
  • মার্কেটিং,
  • নেটওয়ার্কিং,
  • রিসোর্স শেয়ারিং

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : সংক্ষিপ্ত বিবরণ (DCN – Overview)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

পরস্পর সংযুক্ত কম্পিউটার ও তদসংশ্লিষ্ট অনুষঙ্গ (যেমন প্রিন্টার ইত্যাদি) নিয়ে যে ব্যবস্থা তাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে। এই নেটওয়ার্ক তারযুক্ত বা তারবিহীন উভয় ধরনেরই হতে পারে।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ভাগ করা যায় যথা,

 

ভৌগলিক কারণ

আমাদের নিজস্ব টেবিল, বিল্ডিং, শহর এসবের তারতম্যের ভিত্তিতে বিভাজন হতে পারে,

আন্তর্সম্পর্ক

প্রত্যেকটি একক যন্ত্রের অন্য যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত হওয়ার প্রকরণের উপর নির্ভর করে এই বিভাজন হতে পারে,

এডমিনিস্ট্রেশন

প্রশাসন ব্যক্তি মালিকানাধীণ না পাবলিক তার উপর ভিত্তি করে নেটওয়ার্কিং ভিন্ন হতে পারে,

স্থাপত্যগত কারণ

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিভিন্ন ধরণের কারণে বিভাজিত হতে পারে যেমন ক্লায়েন্ট সার্ভার, হাইব্রিড ও অন্যান্য কারনেও স্থাপত্যগত পার্থক্য দেখা যেতে পারে।

 

নেটওয়ার্ক এপ্লিকেশন

কম্পিউটার ও তদসংশ্লিষ্ট অনুষঙ্গ নেটওয়ার্কের আকারে সংযুক্ত থাকে, এরা অনেক ধরণের সেবাদান করতে পারে,

  • প্রিন্টার ও স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহার করার সুবিধা দেয়,
  • ইমেইল ও এফটিপি ব্যবহার করে তথ্য আদান প্রদান করতে দেয়,
  • ওয়েব ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে তথ্য আদান প্রদান করতে দেয়,
  • ডাইনামিক ওয়েব পেজ ব্যবহার করে অন্য ব্যবহারকারীর সাথে তথ্য আদান প্রদান করতে দেয়,
  • আইপি ফোন, ভয়েজ কনফারেন্সের সুবিধা দেয়,
  • প্যারালাল কম্পিউটিং ,
  • ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিংএর সুবিধা দেয়।