Tag Archives: এড্রেসিং

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল (DCN – Transmission Control Protocol)

Huge Sell on Popular Electronics

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল বা টিসিপি ইন্টারনেট প্রটোকল স্যুইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রটোকলসমূহের একটি। ইন্টারনেটজাতীয় নেটওয়ার্কের ডাটা ট্রান্সমিশনের জন্য এটি একটি বহুল ব্যবহৃত প্রটোকল।

 

বৈশিষ্ট্য

  • এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রটোকল,
  • টিসিপি নিশ্চিত করে, ডাটা যেভাবে প্রেরণ করা হয়েছিল সেভাবেই গ্রহণ করা হয়েছে,
  • টিসিপি যোগাযোগ নির্ভর,
  • টিসিপি ক্রুটি নির্ণয় ও সংশোধন কৌশল ব্যবহার করে,
  • টিসিপি এন্ড টু এন্ড যোগাযোগ ব্যবহার করে,
  • টিসিপি ফ্লো কন্ট্রোল ও সেবার মান প্রদান করে,
  • টিসিপি ক্লায়েন্ট/সার্ভার পয়েন্ট টু পয়েন্ট মোড ব্যবহার করে,
  • টিসিপি ফুল ডুপ্লেক্স সার্ভার ব্যবহার করার সুযোগ দেয়।

 

হিডার

টিসিপি হিডারের দৈর্ঘ্য ২০ বাইট থেকে ৬০ বাইট পর্যন্ত হতে পারে।

এড্রেসিং

দুটি রিমোট হোষ্টের মাঝে যোগাযোগ পোর্ট নাম্বারের ভিত্তিতে হতে পারে। পোর্ট নাম্বার তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত,

  • সিস্টেম পোর্ট,
  • ইউজার পোর্ট,
  • ব্যক্তিগত বা ডাইনামিক পোর্ট

 

কানেকশন ম্যানেজমেন্ট

টিসিপি সার্ভার/ ক্লায়েন্ট মডেলে কাজ করে। যোগাযোগের জন্য ত্রিমুখী সমন্বয় ব্যবহৃত হয়। এরপর যোগাযোগ এসটাব্লিশমেন্টের পরে কাজ সম্পন্ন হলে যোগাযোগ রিলিজ করে দেয়া হয়।

ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট

টিসিপি ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্টের জন্য উইন্ডো সাইজ কনসেপ্ট ব্যবহার করে।

 

এরর কন্ট্রোল ও ফ্লো কন্ট্রোল

ডাটা সেগমেন্টের জন্য কোন ধরণের এপ্লিকেশন প্রসেস দরকার তা জানতে টিসিপি পোর্ট নাম্বার ব্যবহার করে। রিমোট হোষ্টের সাথে সমন্বয় সাধনের জন্য এটি সিকোয়েন্স নাম্বার ব্যবহার করে।

 

মাল্টিপ্লেক্সিং

দুই বা ততোধিক ডাটা স্ট্রিমকে এক সেশনে সমন্বয় করার পদ্ধতিকে মাল্টিপ্লেক্সিং বলে।

 

কনজেশন

অনেক বেশি পরিমানের ডাটা, সিস্টেমে যাদের স্থান সংকুলান হচ্ছে না তাদের নিয়ন্ত্রণ করার প্রক্রিয়াতে কনজেশনের উদ্ভব। কনজেশন কন্ট্রোল করার জন্য টিসিপির তিন ধরণের এলগরিদম আছে,

  • এডিটিভ ইনক্রিজ, মাল্টিপ্লিকেটিভ ডিক্রিজ ,
  • স্লো স্টার্ট,
  • টাইমআউট রিএক্ট

 

টাইমার ম্যানেজমেন্ট

বিভিন্ন ধরণের কাজ নিয়ন্ত্রণের জন্য টিসিপি বিভিন্ন ধরণের টাইমার ব্যবহার করে,

  • কিপ এলাইভ টাইমার
  • রিট্রান্সমিশন টাইমার,
  • পারসিস্ট টাইমার,
  • টাইমড ওয়েইট

 

ক্রাশ রিকভারি

টিসিপি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য প্রটোকল, এটি সেগমেন্টে প্রেরণকৃত প্রত্যেকটি বাইটের সিকোয়েন্স বজায় রাখে। কোনও টিসিপি সার্ভার যোগাযোগ চলাকালে ক্রাশ করলে এটি এর সকল হোষ্টের কাছে টিপিডিইউ সম্প্রচার বার্তা পাঠায়।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : নেটওয়ার্ক এড্রেসিং (DCN – Network Addressing)

Huge Sell on Popular Electronics

রিদওয়ান বিন শামীম

 

নেটওয়ার্ক লেয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি হল লেয়ার-৩ নেটওয়ার্ক এড্রেসিং, এরা সবসময়ই লজিকাল। এরা সফটওয়ার ভিত্তিক এড্রেস যা সঠিক কনফিগারেশনের মাধ্যমে পরিবর্তনীয়। নেটওয়ার্ক এড্রেস সবসময় হোষ্ট, নড বা সার্ভার নির্দেশ করে অথবা এরা সম্পূর্ণ একটি নেটওয়ার্কই তুলে ধরে। বিভিন্ন ধরণের নেটওয়ার্ক এড্রেস আছে তাদের মধ্যে প্রধান প্রধান হল,

  • আইপি,
  • আইপিএক্স,
  • অ্যাপলটক

নেটওয়ার্ক এড্রেসিং

যেহেতু বর্তমান যুগে কেবল আইপি কার্যকর আছে তাই আমরা সেটি নিয়েই আলোচনা করব। আইপি এড্রেসিং হোষ্ট ও নেটওয়ার্কের মধ্যে কৌশল সৃষ্টি করে, যেহেতু আইপি এড্রেসিং ক্রমানুসারে সজ্জিত তাই হোষ্ট সবসময় কোনও নেটওয়ার্কের আওতার মধ্যে থাকে। সাবনেটের আওতার বাইরের হোষ্টদের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে ডেসটিনেশন নেটওয়ার্ক এড্রেস জানা থাকতে হয়। বিভিন্ন সাবনেটের আওতাভুক্ত হোষ্টদের নিজেদের খুঁজে বের করতে কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়, এটি ডিএনএসের মাধ্যমে করা হয়। ডিএনএস একরকমের সার্ভার যা রিমোট হোষ্টের লেয়ার-৩ এড্রেস এর ডোমেইন নামের সাথে উপস্থাপন করে। যখন কোনও হোষ্ট এর লেয়ার-৩ এড্রেস বা আইপি এড্রেস পেয়ে যায় তখন এটি এর রাউটার নামক গেটওয়েতে সব ডাটা প্যাকেট প্রেরণ করে। রাউটার রাউটিং টেবিলের সাহায্য নেয়, যেটিতে নেটওয়ার্কে পৌছার পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য থাকে।

 

নেটওয়ার্ক এড্রেস নিচের যেকোনো একরকমের হতে পারে,

  • ইউনিকাস্ট(এক হোষ্টের জন্য নির্ধারিত)
  • মাল্টিকাস্ট(গ্রুপের জন্য নির্ধারিত)
  • ব্রডকাস্ট(সবার জন্য নির্ধারিত)
  • এনিকাস্ট(নিকটতম হোষ্টের জন্য নির্ধারিত)

 

রাউটার বাই ডিফল্ট কখনো ব্রডকাস্ট ট্রাফিককে ফরোয়ার্ড করে না।