Tag Archives: ভূমিকা

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : এপ্লিকেশন লেয়ার : ভূমিকা (DCN – Application Layer Introduction)

Huge Sell on Popular Electronics

রিদওয়ান বিন শামীম

 

এপ্লিকেশন লেয়ার ওসিআই এবং টিসিপি/আইপি লেয়ারড মডেলের সবচেয়ে উঁচু লেয়ার। এটি এর ইউজার ও ইউজার এপ্লিকেশন উভয়ের সাথে সম্পৃক্ততার স্বাতন্ত্র্যের কারণে দুটি লেয়ারড মডেলেই বিদ্যমান একটি বিষয়। এই লেয়ার কমুনিকেশন সিস্টেমের সাথে জড়িত-এমন এপ্লিকেশনের জন্য প্রযোজ্য।

ব্যবহারকারী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এপ্লিকেশনের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন। এপ্লিকেশন লেয়ার হল সেই জায়গা যেখানে প্রকৃত যোগাযোগ স্থাপন ও প্রতিফলিত হয়। কারণ এই লেয়ার লেয়ারস্টেকের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত, এর অন্য কোনও লেয়ারকে সার্ভ করতে হয় না। এপ্লিকেশন লেয়ার ট্রান্সপোর্টের সাহায্য নেয় এবং এর নিচের সব লেয়ারকে রিমোট হোষ্টে যোগাযোগ বা ডাটা ট্রান্সফার করতে হয়।

যখন এপ্লিকেশন লেয়ার প্রটোকল রিমোট হোষ্টে অবস্থিত এর সদৃশ এপ্লিকেশন লেয়ার প্রটোকল(peer application layer protocol) এর সাথে যোগাযোগ করতে চায় তখন এটি তথ্য বা ডাটা ট্রান্সপোর্ট লেয়ারে অর্পণ করে, ট্রান্সপোর্ট লেয়ার তার নিচের সব লেয়ারের সহযোগিতায় বাকি কাজ সম্পন্ন করে।

এপ্লিকেশন লেয়ার এবং এর প্রটোকল বোঝার ক্ষেত্রে কিছু অস্পষ্টতা থাকতে পারে, সব ইউজার এপ্লিকেশন এপ্লিকেশন লেয়ারে অর্পণ করা যায় না, কমুনিকেশন সিস্টেমের সাথে জড়িত এমন এপ্লিকেশন বাদ দিতে হয়। যেমন ডিজাইনিং সফটওয়ার বা টেক্সট এডিটরকে এপ্লিকেশন লেয়ার প্রোগ্রাম হিসেবে ধরা যায় না।

অন্যদিকে, যখন আমরা ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করি যা আসলে এইচটিটিপি বা হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল, তখন এটি নেটওয়ার্কের সাথে সম্পৃক্ত হয়। এইচটিটিপি কিন্তু এপ্লিকেশন লেয়ার প্রটোকল।

আরেকটি উদাহরণ হল ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল, যা ব্যবহারকারীকে টেক্সটবেজড বা বাইনারি ফাইল নেটওয়ার্কে ট্রান্সফার করতে সাহায্য করে। ব্যবহারকারী হয় গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস(জিইউআই)ভিত্তিক সফটওয়ার যেমন ফাইলজিলা বা কিউটএফটিপি ব্যবহার করে, অথবা কমান্ড লাইন মোডে এফটিপি ব্যবহার করে ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকল ব্যবহার করতে পারে।

যে সফটওয়ারই ব্যবহার করা হোক না কেন, এটিই সফটওয়ারে ব্যবহৃত এপ্লিকেশন লেয়ারে প্রতীয়মান প্রটোকল। ডিএনএস এমন একটি প্রটোকল যা ইউজার এপ্লিকেশন প্রটোকল যেমন এইচটিটিপিকে এর কাজ সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : ট্রান্সপোর্ট লেয়ার : ভূমিকা (DCN – Transport Layer Introduction)

Huge Sell on Popular Electronics

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ওএসআই মডেলের লেয়ার-৪ ট্রান্সপোর্ট লেয়ার হিসেবে পরিচিত। ডাটা ট্রান্সপোর্ট সঙ্ক্রান্ত সকল মডিউল ও প্রণালী এই লেয়ারে সম্পন্ন হয়। অন্য সকল লেয়ারের মত লেয়ার-৪ ট্রান্সপোর্ট লেয়ারও রিমোট হোষ্টে সদৃশ ট্রান্সপোর্ট লেয়ারে যোগাযোগ বজায় রাখে।

 

ট্রান্সপোর্ট লেয়ার রিমোট হোষ্টের দুটি প্রক্রিয়ার মধ্যে peer-to-peer এবং end-to-end যোগাযোগ বজায় রাখে। ট্রান্সপোর্ট লেয়ার ঊর্ধ্বতন লেয়ার থেকে ডাটা সংগ্রহ করে তাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সেগমেন্টে বিভক্ত করে এবং নেটওয়ার্ক লেয়ারে ডেলিভারির জন্য সরবরাহ করে।

 

কার্যাবলী

  • ট্রান্সপোর্ট লেয়ার প্রথম লেয়ার যা ঊর্ধ্বতন লেয়ার থেকে ডাটা সংগ্রহ করে তাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সেগমেন্টে বিভক্ত করে এবং নেটওয়ার্ক লেয়ারে ডেলিভারির জন্য সরবরাহ করে।এটি সেগমেন্টের প্রতিটি বাইটের হিসাব রাখে।
  • এই লেয়ার নিশ্চিত করে প্রেরণকৃত ডাটা সঠিক জায়গায় পৌঁছেছে।
  • বিভিন্ন হোষ্টের মধ্যে ডাটার এন্ডটু এন্ড ডেলিভারি নিশ্চিত করে যা একই সাবনেটে থাকতে পারে আবার নাও পারে।
  • সার্ভারের সকল প্রক্রিয়া যা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যোগাযোগ করবে তারা TSAPs দ্বারা সজ্জিত হবে, এদের পোর্ট নাম্বারও বলা হয়।

 

ইন্ড টু ইন্ড কমিউনিকেশন

রিমোট নেটওয়ার্কে যে প্রক্রিয়ায় সদৃশ হোষ্ট অনুরূপ সদৃশ হোষ্ট খুঁজে পায় সেটিকে পোর্ট নাম্বার দ্বারা চিহ্নিত করা যায়। TSAPs এক্ষেত্রে খুব উপযোগী।

ইন্ড টু ইন্ড কমিউনিকেশন

দুটি প্রধান ট্রান্সপোর্ট লেয়ার প্রটোকল হল,

  • ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল যা দুটি হোষ্টের মধ্যে নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ নিশ্চিত করে,
  • ইউজার ডাটাগ্রাম প্রটোকল যা দুটি হোষ্টের মধ্যে অনির্ভরযোগ্য যোগাযোগ নিশ্চিত করে।

 

ডেটা কমিউনিকেশন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্ক : নেটওয়ার্ক লেয়ার : ভূমিকা (DCN – Network Layer Introduction)

Huge Sell on Popular Electronics

রিদওয়ান বিন শামীম

 

ওএসআই মডেলের লেয়ার-৩ কে নেটওয়ার্ক লেয়ার বলা হয়, নেটওয়ার্ক লেয়ার হোষ্ট ও নেটওয়ার্ক এড্রেসিং সংক্রান্ত বিষয়, সাবনেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা ও ইন্টারনেটওয়ার্কিং নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সাবনেটের আওতায় বা বাইরে সোর্স থেকে লক্ষ্যে প্যাকেট পৌঁছে দেয়া নেটওয়ার্ক লেয়ারের দায়িত্ব। দুটি ভিন্ন সাবনেটের ভিন্ন এড্রেসিং স্কিম বা অসম্পৃক্ত এড্রেসিং টাইপ থেকে থাকতে পারে। প্রটোকলের ক্ষেত্রেও একই রকম, দুটি ভিন্ন সাবনেট ভিন্ন প্রটোকলের ক্ষেত্রে ক্রিয়াশীল থাকতে পারে। এড্রেসিং স্কিম ও প্রটোকল নিয়ন্ত্রণ করে সোর্স থেকে লক্ষ্যে প্যাকেট পৌঁছে দেয়া নেটওয়ার্ক লেয়ারের দায়িত্ব।

 

লেয়ার-৩ ফাংশনালিটি

নেটওয়ার্ক লেয়ারের কাজ করে এমন যন্ত্রপাতির প্রধান কাজ থাকে রাওটিং। রাওটিং একক কোনও লক্ষ্য অর্জনের জন্য একাধিক কাজের সমন্বয় হতে পারে।যেমন,

  • ডিভাইস এবং নেটওয়ার্কিং এড্রেসিং,
  • রাওটিং টেবিল ও স্ট্যাটিক রাওটিং পূর্ণ করা,
  • ইনকামিং ও আউটগোয়িং ডাটা সাজানো ও সার্ভিসের উপযোগিতা বিশ্লেষণ করে প্যাকেটের সেট অনুসারে ফরোয়ার্ড করা,
  • দুটি ভিন্ন সাবনেটের মধ্যে ইন্টারনেটওয়ার্কিং করা,
  • লক্ষ্যে প্যাকেট পৌঁছে দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা,
  • সংযোগসহ ও সংযোগবিহীন যন্ত্রকৌশল গঠনের চেষ্টা করা

 

 

নেটওয়ার্ক লেয়ারের বৈশিষ্ট্য

আদর্শ ফাংশনালিটি অর্জিত হলে লেয়ার-৩ যেধরনের সুবিধা দিতে পারে সেগুলো হল,

  • সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের মান,
  • ভারসাম্য ও লিঙ্ক ব্যবস্থাপনা,
  • নিরাপত্তা,
  • বিভিন্ন স্কিমের সাবনেট ও প্রটোকলের সমন্বয় সাধন,
  • ফিজিকাল নেটওয়ার্ক ডিজাইনকে ভিত্তি করে বিভিন্ন লজিকাল নেটওয়ার্ক ডিজাইন,
  • L3 VPN ও টানেল এন্ডটু এন্ড কানেক্টিভিটির ক্ষেত্র তৈরি করে দিতে পারে।

 

ইন্টারনেট প্রটোকল নেটওয়ার্ক লেয়ার প্রটোকল হিসেবে এন্ডটু এন্ড ডিভাইসের যোগাযোগের জন্য প্রসিদ্ধ। এটি IPv4 ও IPv6 দুটি প্রকরণে পাওয়া যায়। IPv4 বহুদিন রাজত্ব করার পর একে প্রতিস্থাপিত করতে IPv6 আনা হয়েছে IPv4 এর ক্রুটিগুলো সরিয়ে দিতে।

 

জাভাস্ক্রিপ্ট অবজেক্ট নটেশন ভূমিকা (JSON – Introduction)

Huge Sell on Popular Electronics

রিদওয়ান বিন শামীম

 

জেএসওএন(JSON) জাভাস্ক্রিপ্ট অবজেক্টের মূল্যায়ন করে

জেএসওএন ফরম্যাট সিনট্যাক্সভাবে জাভাস্ক্রিপ্ট অবজেক্টের কোডের অনুরূপ। সাদৃশ্য থাকায় জেএসওএন ডাটাকে নেটিভ জাভাস্ক্রিপ্ট অবজেক্টে রূপ দিতে জাভাস্ক্রিপ্ট পারসার(এক্সএমএলের মত) ব্যবহার না করে আদর্শ জাভাস্ক্রিপ্ট ফাংশন ব্যবহার করে থাকে।

 

নিচের কোডগুলো ব্যবহার করে এই উদাহরণটি পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে

জেএসওএন উদাহরণ,


 <!DOCTYPE html>
 <html>
 <body>
 
 <h2>JSON Object Creation in JavaScript</h2>
 
 <p id="demo"></p>
 
 <script>
 var text = '{"name":"John Johnson","street":"Oslo West 16","phone":"555 1234567"}';
 
 var obj = JSON.parse(text);
 
 document.getElementById("demo").innerHTML =
 obj.name + "<br>" +
 obj.street + "<br>" +
 obj.phone;
 </script>
 
 </body>
 </html>

 

 

এটি অনেকটাই এক্সএমএলের মত কারণ

  • এক্সএমএল ও জেএসওএন উভয়ই আত্মবিবৃতি মূলক অর্থাৎ মানুষের দ্বারা পঠনযোগ্য।
  • এক্সএমএল ও জেএসওএন উভয়ই স্তরবিন্যাসগত (মানের ভেতর মান)।
  • এক্সএমএল ও জেএসওএন উভয়ের ক্ষেত্রেই পারসার ব্যবহার করা যায় এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষায় ব্যবহৃত হতে পারে।
  • এক্সএমএল ও জেএসওএন উভয়ের ক্ষেত্রেই XMLHttpRequest প্রয়োগযোগ্য হতে পারে।

 

এটি অনেকক্ষেত্রে এক্সএমএলের মত নয় কারণ

 

  • জেএসওএন এন্ড ট্যাগ ব্যবহার করে না।
  • জেএসওএন একটু খাটো।
  • জেএসওএন দ্রুত লিখা ও পড়া যায়।
  • জেএসওএন অ্যারি(arrays) ব্যবহার করতে পারে।

সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল, এক্সএমএলকে এক্সএমএল পারসার দ্বারা খণ্ডিত করতে হয় কিন্তু জেএসওএনকে আদর্শ জাভাস্ক্রিপ্ট ফাংশন ব্যবহার করে খণ্ডিত করতে হয়।

 

 

 

জেএসওএন কেন?

 

এজাক্স এপ্লিকেশনে জেএসওএন ব্যবহার এক্সএমএল এরচেয়ে দ্রুত ও সহজ।

 

এক্সএমএল ব্যবহার করে

 

  • এক্সএমএল ডকুমেন্ট আনতে হয়,
  • পুরো ডকুমেন্টের লুপে এক্সএমএল ডোম (XML DOM) ব্যবহার করতে হয়,
  • মান নির্ণয় ও চলকে সংরক্ষণ করতে হয়,

 

জেএসওএন ব্যবহার করে,

  • একটি জেএসওএন স্ট্রিং বের করতে হয়,
  • জেএসওএন ব্যবহার করে সেই স্ট্রিংকে খণ্ডিত করতে হয়।