ফেসবুক কিংবা ব্লগসহ পিসির যেকোন জায়গায় বাংলা লিখার কৃতিত্ব অভ্রকেই দিতে হয়। কিন্ত এতসব জায়গায় বাংলা লিখতে পারলেও ফটোশপ কিংবা ইলাস্ট্রেটরে অভ্র যেন একেবারেই অক্ষম। তাই এক্ষেত্রে সেই পুরোনো বিজয়ের দ্বারস্থ হন অনেকেই। কারন বিজয় সাধারণত ANSI ফরম্যাটে লেখে। আর অভ্র লেখে ইউনিকোড ফরম্যাটে। এই ইউনিকোডের কল্যাণে যেখানে সেখানে বাংলা লেখা সম্ভব হলেও ফটোশপ কিংবা ইলাস্ট্রেটর ইউনিকোড সাপোর্ট করে না। কিন্ত অভ্র দিয়েও ANSI ফরম্যাটে লেখা যায় এবং তা ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটরেও সাপোর্ট করে। এজন্য Tools and settings এ ক্লিক করে Output as ANSI বাটনে ক্লিক করুন।
একটি উইন্ডো আসবে। এতে Use ANSI anyway বাটনে ক্লিক করুন।
এবারে একটি ANSI ফন্ট সিলেক্ট করে নির্বিঘ্নে বাংলা লিখতে থাকুন। এখন প্রশ্ন থাকতে পারে ANSI ফন্ট চিনবেন কিভাবে? এর উত্তর হলো আপনি যদি আলাদা কোন ANSI ফন্ট ইন্সটল করে না থাকেন তাহলে অভ্রের সাথে ইন্সটল হওয়া Siyam Rupali ANSI ফন্ট ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু ANSI ফন্টগুলির নাম বেশিরভাগ সময় ঝড়ঃহুহুগম বা এই ধরনের নামে শো করে। ফলে নির্দিষ্ট ফন্ট খুজে পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। কিন্তু Siyam Rupali ANSI সব সময় Siyam Rupali ফন্টের পরেই অবস্থান করে। আর তাই Siyam Rupali এর পরের ফন্টটি চোখ বন্ধ করে সিলেক্ট করতে পারেন। এছাড়া পিসিতে যদি বিজয় ইন্সটল করা থাকে তাহলে বিজয়ে ব্যবহৃত ফন্টসমুহ ব্যবহার করেও ফটোশপে লিখতে পারেন। আর ফন্টের ভ্যারিয়েশন চাইলে বাড়তি ফন্ট নিজে ইন্সটল করে নিন। বাজারে ফন্ট কালেকশনের বেশ কিছু ডিভিডি পাওয়া যায়। আপাতত কিছু ANSI ফন্ট এখান থেকে ফ্রি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ফটোশপে লেখা শেষ হলে আবার সেটিংসে ক্লিক করে Output as Unicode বাটনে ক্লিক করুন। নতুবা ফেসবুক সহ অন্যান্য জায়গায় বাংলা লিখতে পারবেন না।
পূর্ববর্তী পোস্টে টাইপোগ্রাফি সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পেয়েছেন এবং একটি হাউজিং কোম্পানির লোগো দেখেছেন। বলাই বাহুল্য সেটি ছিল একটি টাইপোগ্রাফিক লোগো। আজকের পোস্টে এই লোগোটি তৈরি করে দেখাবো। তার আগে লোগোটি এক নজর দেখে নিন আর যারা আগের পোস্ট মিস করেছেন তারা আগের পোস্ট পড়ে আসতে পারেন। না পোড়লেও অবশ্য চলবে। তো লোগো তৈরির জন্য তৈরি তো? তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
১. প্রথমেই টাইপ টুলের সাহায্যে EBL লেখাটি টাইপ করুন। এই লেখাটিকেই আমরা টেনেটুনে ঘরের আকৃতি প্রদান করব। এজন্য লেখাটিকে রিসাইজ করে যথেষ্ট বড় করুন এবং পছন্দের ফন্ট নির্বাচন করুন। টাইপোগ্রাফির ক্ষেত্রে ফন্ট নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি এখানে Myriad ফন্ট দিয়েই কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। কারণ এখানে সিম্পল একটা ফন্ট হলেই চলবে।
২. এখন লেখাটি সিলেক্ট করে মাউস এর রাইট বাটন ক্লিক করে Create outline ক্লিক করুন। লেখাটি একটি পাথে পরিণত হবে এবং একে এখন টেনেটুনে বিভিন্ন আকৃতি দেয়া যাবে।
৩. কিবোর্ডের A বাটন চেপে Direct selection tool চালু করুন। এবার লেখার উপর ক্লিক করলে অনেকগুলো অ্যংকর পয়েন্ট দেখতে পাবেন।
৪. প্রথমে E এর ডানদিকের উপরের অ্যাংকর পয়েন্টকে সরিয়ে উপরের দিকে নিন।
এভাবে লাল অ্যারো চিহ্নিত দিকে বাকি অ্যাংকর পয়েন্টগুলোকে সরিয়ে নিন।
৫. এবার B এর পালা। B এর উপরের পৃষ্ঠের আকৃতি গোলাকার হওয়ায় এখানকার অ্যাংকর পয়েন্টগুলোকে কনভার্ট করে নিতে হবে। এজন্য পেন টুলের উপর ক্লিক করে কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন। Convert anchor point ক্লিক করুন। এবার B উপরের পৃষ্ঠে থাকা বাম দিকের অ্যাংকর পয়েন্ট দুটিতে ক্লিক করুন।
তাহলে অ্যাংকর পয়েন্ট দুটি কনভার্ট হয়ে যাবে। আবার কিবোর্ডের A বাটন চেপে মাঝের অ্যাংকর পয়েন্টটিকে সরিয়ে ডান দিকের প্রান্তের কাছাকাছি আনুন।
৬. বাম পাশের অ্যাংকর পয়েন্টে ক্লিক করে শিফট চেপে এইমাত্র ডানে সরিয়ে নেয়া অ্যাংকর পয়েন্টের উপর ক্লিক করুন। এবার কিবোর্ডের আপ অ্যারো চেপে অ্যাংকর পয়েন্ট দুটিকে উপরের দিকে উঠাতে থাকুন। এভাবে E এর সর্বোচ্চ চুড়ায় উঠা পর্যন্ত উঠাতে থাকুন।
৭. এবার এই দুটি অ্যাংকর পয়েন্টের মাঝে আরেকটি অ্যাংকর পয়েন্ট যোগ করতে হবে। এজন্য পেন টুলে ক্লিক করে ধরে রাখুন। Add anchor point ক্লিক করে অ্যাংকর পয়েন্ট দুটির মাঝখানে ক্লিক করুন। নতুন একটি অ্যাংকর পয়েন্ট যুক্ত হবে।
৮. নতুন অ্যাংকর পয়েন্টটিকে ড্রাগ করে আরও উপরে নিন যাতে তা E এর ঢালের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
৯. খেয়াল করুন B এর ডান পাশের চূড়া কিছুটা আঁকাবাঁকা হয়ে গেছে। একটি Rectangle দিয়ে এই অংশকে এমনভাবে ঢেকে দিন যাতে বোঝা না যায়।
১০. এবার L এর অ্যাংকর পয়েন্টগুলিকেও অ্যারো এর নির্দেশানুযায়ী সরিয়ে নিন।
১১. এবার ঘরের বাড়তি ছাউনী তৈরি করতে হবে। এজন্য P চেপে স্ক্রিনশটের মত করে তিনটি বিন্দুতে ক্লিক করুন। একটি ত্রিভুজ তৈরি হবে। এটিকে E এর প্রান্তের সাথে লাগিয়ে দিন। প্রয়োজনে Direct selection tool (A) এর সাহায্যে কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্ট করে নিন।
একইভাবে L এর সাথেও এরকম বাড়তি ছাউনী তৈরি করুন।
১২. ঘরের পাদদেশে একটি আনুভূমিক রেকটাংগল এমনভাবে আঁকুন যাতে তা ঘরের চেয়ে একটু বড় হয়। এটিকে কিছুটা উপরে তুলে অক্ষর তিনটির নিচের সামান্য অংশকে ঢেকে দিন।
১৩. Ctrl+A চেপে পাথফাইন্ডার প্যালেটের Unite বাটনে ক্লিক করুন। পাথফাইন্ডার খুঁজে না পেলে Window>Pathfinder ক্লিক করুন।
১৪. লোগো তৈরির প্রক্রিয়া শেষ। এবার একে পছন্দমত রং ও ইফেক্টের মাধ্যমে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করুন।
প্রথমবার প্র্যাকটিস করার পর এটি দেখে সরাসরি পেন টুলের সাহায্যে আরেকবার ট্রাই করুন। তাহলে ২য়টি আরও ভালো হবে।
স্মার্টফোনের কল্যাণে আমরাও ক্রমেই স্মার্ট হয়ে যাচ্ছি। একগাদা তথ্যকে ছোট একটি QR এ ভরে বহন করে বেড়াচ্ছি। জন্ম সনদ সহ বেশ কিছু সরকারি কাগজপত্রে QR ব্যবহার বেশ আগেই শুরু হয়েছে। আর বিদেশে তো কথাই নেই। সামান্য বিজনেস কার্ডেও এর ব্যবহার হচ্ছে যাতে পুরো কার্ডের সকল তথ্য ক্যামেরা দিয়ে এক মুহূর্তেই সেভ করে ফেলা যায়। তো এই QR কোড তৈরির জন্য অনেকেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন। যাদের ইন্টারনেট সংযোগ বেশ ধীর গতির তাদের এই সামান্য কাজে বেশ সময় নষ্ট হয়। তারা Free QR Creator ব্যবহার করে সহজেই এ বিড়ম্বনা এড়াতে পারেন। এর মাধ্যমে অফলাইনে QR Code তৈরি করা যায়। এটি Micro QR ও QR Code (ISO 18004) সাপোর্ট করে। Micro QR আকারে ছোট হলেও খুব বেশি তথ্য ধারণ করতে পারে না। তাই QR Code (ISO 18004) ব্যবহার করাটাই ভালো। এর ব্যবহার পদ্ধতিও খুব সরল। প্রথমে এটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন। ওপেন করে যেসব তথ্য এনক্রিপ্ট করতে চান তা নিচের বক্সে টাইপ করুন। আপনার QR Code তৈরি। এবারে এটিকে JPG বা PNG ফরম্যাটে এক্সপোর্ট করে ফটোশপ বা যেকোনো জায়গার ব্যবহার করুন।
গ্রাফিক ডিজাইনারদের কাছে বেশ যন্ত্রণাময় কাজ ফন্ট সিলেকশন। কারণ ডিজাইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ফন্ট খুঁজে বের করা বেশ ঝামেলা। সেই সাথে যদি ফন্টের কালেকশন হাজার দুই ছাড়িয়ে যায় তাহলে সেই যন্ত্রণা হয় আরও দীর্ঘমেয়াদী। তাছাড়া এতগুলো ফন্ট ম্যানেজমেন্টের ঝামেলাও কম নয়। তাই ফন্ট নিয়ে নানা যন্ত্রণার মুক্তি দিতে পারে Xiles এর Nexus Font Manager সফটওয়্যারটি।
এটি খুব দ্রুত আপনার পিসিতে থাকা সকল ফন্টের প্রিভিউ তৈরি করে সেগুলিকে এক স্ক্রিনে নিয়ে আসে। আরে এই প্রিভিউ তৈরি হয় আপনার লিখে দেয়া Sample Text হতে। তাই শুধুমাত্র চোখ বুলিয়ে আর স্ক্রল করেই আপনি খুব সহজে আর দ্রুত ডিজাইনের সাথে মানানসই ফন্ট খুঁজে নিতে পারেন। কোন ফন্ট ইন্সটল করা থাক বা না থাক সেটি কোন ব্যাপারই না। কারণ এটি ফন্টের মুল ফাইলে থেকেও প্রিভিউ তৈরি করতে পারে। আর এসব প্রিভিউ তৈরির প্রক্রিয়াও বেশ দ্রুত ঘটে। যেমন আমার কাছে San's Serif ফন্ট আছে ৭০০ এরও বেশি। এই ৭০০+ ফন্টের প্রিভিউ তৈরি করতে এটি সময় নেয় প্রায় ১০-১২ সেকেন্ড। ধরা যাক আপনি এই মুহূর্তে একটি ম্যাগাজিনের বডির জন্য ফন্ট খুঁজছেন। তাই আপনার প্রয়োজন Serif ফন্ট। এসময় নিশ্চয় চাইবেন না San's Serif ফন্ট এসে আপনাকে বিরক্ত করুক। তাই বিভিন্ন ধরনের ফন্টকে বিভিন্ন ফোল্ডারে রাখার সুবিধাও এতে আছে। এছাড়া সার্চ অপশনের মাধ্যমেও দ্রুত যেকোনো ফন্ট খুঁজে নিতে পারেন। সব মিলিয়ে সকল গ্রাফিক ডিজাইনারদের কাছেই এটি অতি প্রয়োজনীয় একটি টুলে পরিণত হতে পারে। এটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে। সকলের শুভ কামনায় আজ এ পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ
হাতে হাতে স্মার্টফোন আর প্রতিটি স্মার্টফোনই যেন রং বেরং এর অ্যাপসের মেলা। এই অসংখ্য অ্যাপসের ইউজার ইন্টারফেস (UI) ডিজাইন করতে গিয়ে ডিজাইনাররা সম্ভবত গিয়ারের আইকনটিই সবচেয়ে বেশি আঁকেন। কারণ প্রতিটি অ্যাপসেই সেটিংস মেনু থাকে। আর সেটিং মেনুর আইকন হিসেবে গিয়ারের প্রতিকৃতিই অধিকাংশ সময় ব্যবহৃত হয়। তাই আজকের টিউটোরিয়ালে দুটি পদ্ধতিতে দুটি ভিন্ন ধরনের গিয়ার একে দেখাবো। আর একাজে যেহেতু ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করছি তাই আমাদের আকা গিয়ারগুলি হবে ভেক্টর ফরম্যাটের। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
প্রথম পদ্ধতিঃ এ পদ্ধতিতে আকা গিয়ারের দাঁতগুলি হবে সরু ও তীক্ষ্ণ। প্রথমে ইলাস্ট্রেটরে নতুন একটি ডকুমেন্ট ওপেন করুন।
১. Ellipse (M) টুল সিলেক্ট করে আর্টবোর্ডের মাঝখান হতে Shift চেপে ক্লিক করে ড্র্যাগ করে একটি সুষম বৃত্ত আঁকুন।
২. Star টুলের মাধ্যমে একইভাবে বৃত্তের সেন্টার পয়েন্ট থেকে ড্র্যাগ করে একটি স্টার এমনভাবে আঁকুন যাতে স্টারের বাহুগুলো বৃত্তের খানিকটা বাইরে চলে আসে। মাউসের ক্লিক ছেড়ে দেয়ার আগে কিবোর্ডের আপ অ্যারো কি চেপে স্টারের বাহুর সংখ্যা প্রয়োজনমত বাড়িয়ে নিন। উল্লেখ্য এই বাহুগুলো গিয়ারের দাঁত হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
৩. এবারে জিনিষটা অনেকটা গিয়ারের মতই দেখাচ্ছে। Ctrl+A চেপে দুটি অবজেক্টকে একসাথে সিলেক্ট করুন। Pathfinder প্যালেট থেকে Unite বাটনে ক্লিক করুন। দুটি অবজেক্ট মিলে একটি অবজেক্টে পরিণত হবে। প্রাথমিকভাবে Pathfinder প্যালেট খুঁজে না পেলে Window>Pathfinder ক্লিক করুন।
৪. এবার গিয়ারটির উপর ক্লিক করে সিলেক্ট করুন। Effect>Stylize>Round corners ক্লিক করে Preview বক্সটি চেক করুন। এবার বক্সে প্রয়োজনমত মান বসিয়ে দিন। আমি এখানে ১৭ দিয়েছি। এতে গিয়ারের দাঁতগুলি ভোতা হয়ে যাবে।
Object মেনুতে গিয়ে Expand Appearance ক্লিক করুন।
৫. Ellipse (M) টুলের সাহায্যে গিয়ারের সেন্টার পয়েন্ট থেকে আরেকটি সুষম বৃত্ত আঁকুন যাতে এটি গিয়ারের চেয়ে খানিকটা ছোট হয়।
৬. Ctrl+A চেপে Pathfinder মেনু থেকে Minus front ক্লিক করুন। গিয়ারের মাঝখানে ছিদ্র তৈরি হবে।
৭. আরেকটি সুষম বৃত্ত আঁকুন যাতে এটি গিয়ারের চেয়ে সামান্য বড় হয়।
৮. Ctrl+A চেপে Pathfinder প্যালেট থেকে Intersect বাটনে ক্লিক করুন। এতে দাঁতগুলির অতিরিক্ত অংশ কাটা পড়বে।
এবার গিয়ারটি দেখতে অনেকটা বুয়েটের লোগোর মত লাগার কথা।
দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ এ পদ্ধতি বেশ সরল এবং গুরুত্বপূর্ণ। এতে গিয়ারের একটি দাঁত একাধিক বার কপি করে ট্রান্সফর্ম করে গিয়ারের মুল অংশ তৈরি করা হবে।
১. প্রথমে Rectangle টুল সিলেক্ট করে আর্টবোর্ডের ফাকা স্থানে ক্লিক করুন। আগত পপ আপ উইন্ডোতে Widthও Height বক্সে যথাক্রমে ৫০ ও ৪০ বসিয়ে ওকে ক্লিক করুন। একটি ৫০ বাই ৪০ মাপের চতুর্ভুজ তৈরি হবে।
২. খেয়াল করুন এই চতুর্ভুজের চার কোণায় চারটি Anchor point রয়েছে। Direct selection tool (A) টুল নিয়ে চতুর্ভুজটির উপরের ডান পাশের Anchor point তে ক্লিক করুন। এবার Shift চেপে Left arrow key কি চাপুন। এতে Anchor point ১০ পিক্সেল বামে সরে যাবে।
একইভাবে বাম পাশেরটিও ১০ পিক্সেল ডানে সরিয়ে নিন। তাহলে গিয়ারের একটি দাঁত তৈরি হল।
৩. এবার এই দাঁতটিকে ঘড়ির কাটার দিকে ৯০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিতে হবে। এজন্য এর উপর ক্লিক করে Shift চেপে মাউসের কার্সর কোণার কাছে নিয়ে দুবার নিচের দিকে টানুন।
৪. এবার আমরা এই একটি দাঁত থেকে বাকি দাঁতগুলি তৈরি করব। এজন্য এর উপর ক্লিক করে Effect>Distort & Transform>Transform ক্লিক করুন।
আগত উইন্ডোতে প্রথমেই প্রিভিউ চেক বক্সটি চেক করে দিন। Copies এর জায়গায় আমি ৯ দিয়েছি। এর মানে এই একটি দাঁত থেকে আরও ৯টি দাঁত তৈরি হবে। এঙ্গেল এর জায়গায় একটু হিসেব করে নিতে হবে। আপনি যতগুলি কপি করছেন সেই সংখ্যা দিয়ে ৩৬০ কে ভাগ দিলে যা আসে এখানে তাই টাইপ করুন। আমি এখানে ৪০ দিয়েছি কারণ ৩৬০/৯=৪০। এবারে Move এর Horizontal ও Vertical বক্সে -28 ও -78 বসিয়ে দিন। তবে প্রথমেই মান না বসিয়ে আগে স্লাইডার টেনে চেষ্টা করুন। এতে ট্রান্সফর্ম এর ক্রিয়াকৌশল সম্পর্কে আপনার ধারণা ক্লিয়ার হবে।
৫. এবার Object>Expand appearance ক্লিক করুন। গিয়ার তৈরির চ্যালেঞ্জিং অংশ শেষ হল।
৬. এখন Ellipse (L) টুলের সাহায্যে গিয়ারের কেন্দ্র থেকে Shift+Alt চেপে ড্র্যাগ করে দাঁতগুলির ভেতরের প্রান্ত পর্যন্ত এনে ছেড়ে দিন।
৭. Ctrl+A চেপে Pathfinder প্যালেট থেকে Unite ক্লিক করুন। দুটি অবজেক্ট মিলে একটিতে পরিণত হবে।
৮. একইভাবে সেন্টার পয়েন্ট থেকে আরেকটি বৃত্ত আঁকুন যাতে এটি আগেরটির চেয়ে কিছুটা ছোট হয়।
৯. Ctrl+A চেপে Pathfinder প্যালেট থেকে Minus front ক্লিক করুন। গিয়ার তৈরি।
জানেন কি ফুল আর গিয়ারের মাঝে একটি অদ্ভুত মিল রয়েছে? ঠিকই ধরেছেন দুটি জিনিষই ট্রান্সফর্ম টুল ব্যবহার করে আঁকতে হয়। এজন্যই দ্বিতীয় পদ্ধতিটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
চলছে গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহ। একটু বৃষ্টির জন্য চারিদিকে প্রচন্ড হাহাকার। তবে বৃষ্টি বাদ দিয়ে যদি কুয়াশার চাদরে গ্রীষ্মকে ঢেকে দেয়া যায় কেমন হয় তাহলে? বাস্তবে না পারলেও ফটোশপে তা নিশ্চয়ই সম্ভব। আজকের টিউটোরিয়ালে সেটি ই দেখানো হবে। তো চলুন শুরু করা যাক।
১.প্রথমে যে ছবিতে কুয়াশার ইফেক্ট দিতে চান সেটি ফটোশপে ওপেন করুন। আমি যে ছবিটি ব্যবহার করেছি চাইলে সেটি এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
২. Layer panel থেকে New adjustment layer বাটনে ক্লিক করে Solid color সিলেক্ট করুন।
৩. কালার পিকার উইন্ডো হতে সাদা রং সিলেক্ট করে ওকে বাটনে ক্লিক করুন। উল্লেখ্য এই সাদা রং কুয়াশার রং হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আপনি চাইলে অন্য রং এর কুয়াশাও তৈরি করতে পারেন। কালার পিকার উইন্ডো হতে সাদা রং সিলেক্ট করে ওকে বাটনে ক্লিক করুন। উল্লেখ্য এই সাদা রং কুয়াশার রং হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আপনি চাইলে অন্য রং এর কুয়াশাও তৈরি করতে পারেন।
৪. Color fill 1 নামে নতুন একটি লেয়ার তৈরি হবে। এর অপাসিটি 50% করে দিন।
৫. Color fill 1 লেয়ারের মাস্ক থাম্বনেইলে ক্লিক করে মাস্কটি সিলেক্ট করুন।
৬. এবার টুল বক্স থেকে Gradient টুলটি সিলেক্ট করুন। অপশন বার থেকে White to black সিলেক্ট করুন।
স্ক্রিনশটে দেখানো জায়গায় ক্লিক করে উপরের দিকে ড্র্যাগ করুন। এতে নিচের দিক থেকে ক্রমশ উপরের দিকে কুয়াশার পরিমাণ বাড়বে। প্রথমবার ঠিকমত না হলে আবার ড্র্যাগ করে অ্যাডজাস্ট করা যাবে।
৭. কিবোর্ড থেকে Ctrl+J চেপে লেয়ারটি ডুপ্লিকেট করুন
৮. নতুন লেয়ারের মাস্ক সিলেক্ট করে টুল বক্স থেকে Eraser টুল সিলেক্ট করুন অথবা কিবোর্ডের E বাটন চাপুন। এবার একেবারে কাছের গাছগুলির উপর ব্রাশ করতে থাকুন। এতে কাছে থাকা গাছগুলি স্পষ্ট দেখা যাবে।
৯. কিন্তু কাছের এই গাছগুলিতে হঠাৎ কুয়াশার পরিমাণের তারতম্য দেখা দেবে। তাই নতুন লেয়ারের অপাসিটি এমনভাবে কমিয়ে আনুন যাতে এই তারতম্য খুব বেশি বোঝা না যায়। প্রোয়োজনে আগের লেয়ারের অপাসিটি বাড়িয়েও তা করতে পারেন। তবে এই ছবির ক্ষেত্রে প্রথম লেয়ারের অপাসিটি আর বাড়ানো ঠিক হবে না।
১০. এবার আগের মতই Ctrl+J চেপে নতুন লেয়ারটি ডুপ্লিকেট করুন এবং Eraser টুল দিয়ে অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী অংশের কুয়াশা মুছে ফেলুন। এভাবে প্রতিবার লেয়ার ডুপ্লিকেট করে ক্রমান্বয়ে নিকটবর্তী অঞ্চল থেকে শুরু করে দূরবর্তী অঞ্চলের কুয়াশা মুছে ফেলুন এবং অপাসিটি অ্যাডজাস্ট করুন যাতে কুয়াশার হঠাৎ পরিবর্তন বোঝা না যায়।
আমি এখানে মোট ৩ টি লেয়ারে এরকম করেছি। নিছে প্রত্যেকটি লেয়ারের স্ক্রিনশট এবং অপাসিটির মান দেয়া হল। উল্লেখ্য স্ক্রিনশট তোলার সময়ে অপাসিটি বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে যাতে আপনারা স্পষ্ট দেখতে পারেন।
১১. আবার New adjustment layer আইকনে ক্লিক করে Levels সিলেক্ট করুন।
তিনটি স্লাইডারের মাঝেরটি ডানে বামে সরিয়ে দেখুন কুয়াশার ঘনত্বের পরিবর্তন হবে। এভাবে আপনার প্রয়োজনমত ঘনত্ব অ্যাডজাস্ট করুন।
পানিতে নিজের ছায়া দেখে কে না বিস্মিত হয়? ঠিক এরকম প্রতিফলন করে একটি লোগোকে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা যায়। তাই আজ দেখাবো কিভাবে ইলাস্ট্রেটরে ওয়াটার রিফ্লেকশন বা পানির মত প্রতিচ্ছবি তৈরি করা যায়। তার আগে Final preview দেখে নিন।
প্রথমে ইলাস্ট্রেটর ওপেন করে নিন। নতুন একটি ডকুমেন্ট তৈরি করতে Ctrl+N চেপে OK ক্লিক করুন।
Type Tool (T) সিলেক্ট করে আর্টবোর্ডের মাঝখানে কিছু লিখুন। এবারে Move Tool (V) দিয়ে লেখাটিকে সিলেক্ট করে Shif+Alt চেপে ক্লিক করে সোজা নিচের দিকে টেনে আনুন। এতে করে লেখাটির আরেকটি কপি তৈরি হবে এবং শিফট চাপার কারণে এতে আগের অ্যলাইনমেন্ট ঠিক থাকবে।
অরিজিনাল লেখাটিকে লক করতে লেখাটির উপর ক্লিক করুন এবং Object>Lock>Selection ক্লিক করুন। এখন কপি করে তৈরি করা লেখাটিকে উল্টে দিতে হবে। এজন্য Reflect Tool (O) সিলেক্ট করুন। লেখার উপর ক্লিক করে শিফট চেপে সোজা নিচের দিকে টানুন। লেখাটি ১৮০ ডিগ্রি কোণে উল্টে যাবে।
Rectangle Tool (M) দিয়ে একটি Rectangle একে উল্টানো লেখাটিকে ঢেকে দিন।
Rectangle এর কোন স্ট্রোক না রেখে গ্রাডিয়েন্ট দিয়ে ফিল করুন। গ্রাডিয়েন্টের রং অবশ্যই সাদা এবং কালো হতে হবে। গ্রাডিয়েন্টের সাদা অংশ অবজেক্টকে দৃশ্যমান রাখে এবং কালো অংশ ক্রমেই অবজেক্টকে অদৃশ্য করে দেয়। তাই গ্রাডিয়েন্টের স্লাইডার ঠিক মাঝামাঝি রাখুন এবং অ্যাঙ্গেল ৯০ ডিগ্রি অথবা -৯০ ডিগ্রি দিন যাতে কালো অংশ নিচে থাকে।
এবার Ctrl+A চেপে সকল অবজেক্ট সিলেক্ট করে উইন্ডোর উপরের দিকে থাকা Opacity অপশনে ক্লিক করুন।
এবার তীর চিহ্নিত স্থানে ক্লিক করে করে Make new opacity mask এ ক্লিক করুন। এবার উল্টানো লেখাটিকে অনেকটাই আসলটির ছায়ার মত মনে হবে।
কিন্তু পানিতে পড়া ছায়া আসলটার মত স্পষ্ট দেখায় না। তাই ছায়ার অপাসিটি ৪০-৬০% এর মধ্যে রাখুন। এতে করে ছায়া বা প্রতিচ্ছবিকে আরও রিয়েলিস্টিক মনে হবে।
এভাবে ইলাস্ট্রেটরে যে কোন ভেক্টর অবজেক্টের ওয়াটার রিফ্লেকশন তৈরি করতে পারেন। আর কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আল্লাহ হাফেজ।
পদ্মা সেতুর কাজ শুরুই হয়নি। কিন্তু মক আপের কল্যাণে টিভিতে এর বার্ডস আই প্রিভিউ নিশ্চয়ই দেখেছেন। খুঁটিনাটি কোন ডিটেইলসই বাদ যায়নি সেই প্রিভিউতে। উদাহরণের জন্য পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ টানলেও সেতুর মক আপ কিন্তু আমাদের আলোচনার বিষয় নয়। ওটা ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ। আমরা বরং গ্রাফিক ডিজাইনের মক আপ নিয়ে কথা বলি। উপরের চিত্র ১ এ দেখুন মনে হচ্ছে যেন অনেকগুলো বিজনেস কার্ড টেবিলের উপর সাজিয়ে ক্যামেরায় ছবি তোলা হয়েছে। কিন্তু কার্ডগুলো এখনো প্রিন্ট করাই হয়নি। ব্যাপারটা পদ্মা সেতুর মতই হয়ে গেল তাই না? তৈরির আগেই প্রিভিউ। ফটোশপে এ কাজটি বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। একটি কার্ডের মক আপ করার পর নতুন একটি কার্ডের মক আপ যখন করতে যাবেন তখন একই কাজ আবারও দীর্ঘ সময় ধরে করতে হবে। আর এই ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতেই ফটোশপ সিএস ৪ সংস্করণে সর্বপ্রথম স্মার্ট অবজেক্ট ফিচার যুক্ত করা হয়। এই ফিচার কোন বিশেষ লেয়ারের ইমেজের ইফেক্ট, ট্রান্সফর্মেশন ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ঠিক রেখে অন্য ইমেজ দিয়ে প্রতিস্থাপন করার সুযোগ দেয়। এবারে চিত্র ২ দেখুন। কার্ডগুলো হুবহু ১ এর মত করেই সাজানো। এখানে এই কার্ডগুলোই হচ্ছে স্মার্ট অবজেক্ট যা অন্য যেকোনো ইমেজ দিয়ে রিপ্লেস করতে পারেন। এতে রিপ্লেস করা ইমেজকে একইভাবে টেবিলের উপর পড়ে থাকতে দেখবেন। এটাই হচ্ছে স্মার্ট অবজেক্টের মহাত্ন। আর স্মার্ট অবজেক্ট ফিচার ব্যবহার করেই একটি মক আপ একাধিক ডিজাইনের উপর প্রয়োগ করা যায়। নতুনদের ক্ষেত্রে যেটি হয় তারা অনেক কষ্ট করে একটি সুন্দর ডিজাইন দাঁড় করান। কিন্তু সুন্দর একটি প্রেজেন্টেশনের অভাবে তাদের ডিজাইনটি অনেক সাধারণ ডিজাইনের নিচে চাপা পড়ে যায়। আর তাই নতুনদের জন্যই এই পোস্ট। পোস্টের শুরুতে বিশাল এক ভূমিকা পড়েই ফেলেছেন। এছাড়াও থাকছে মক আপের গুরুত্ব নিয়ে সামান্য কিছু প্যাঁচাল, মক আপের রকমফের, ব্যবহার পদ্ধতি এবং কিছু কেস স্টাডি। আর সবশেষে উপসংহার টাইপের কিছু একটাতো থাকছেই। তাই ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত হয়ে যান। মক আপের প্রয়োজনীয়তাঃ একটি সাইনবোর্ডের ডিজাইন পিসিতে দেখেই বলে দেয়া যায়না যে সাইনবোর্ডটি যেখানে লাগানো হবে সেখানে ঠিক কেমন দেখাবে। তবে মক আপ প্রিভিউ দেখে মোটামুটি ধারনা পাওয়া যেতে পারে। এতে ডেমো সাইনবোর্ড তৈরির খরচটাও সাশ্রয় হয়। তবে এধরনের ক্লায়েন্ট খুব কমই আছে যারা নিজেদের সাইনবোর্ডের মক আপ নিজেদের বিল্ডিং এর ছবি দিয়েই করতে বলে। বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিজাইনাররা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করেই মক আপ ব্যবহার করে থাকেন। এরকম একটি সাইট graphicburger.com যেখান থেকে ফ্রি মক আপ ডাউনোলোড করা যায়।
মক আপের রকমফেরঃ সাধারণত লোগো, বিজনেস কার্ড, ফ্লায়ার, ব্রাশিউর, ওয়েব ডিজাইন, ট-শার্ট ডিজাইন, UI ইত্যাদির মক আপই বেশি ব্যবহৃত হয় এবং ইন্টারনেটে সহজলভ্য। তবে আরও অনেক ধরনের মক আপ আছে এবং আপনি নিজেও তৈরি করে নিতে পারেন। যদিও মক আপ তৈরি অনেক অ্যাডভান্স লেভেলের কাজ।
ব্যবহারঃ শুরুতে যে বিজনেস কার্ডের মক আপটি দেখেছেন সেটিকেই আমরা উদাহরণ হিসেবে প্রয়োগ করব। এটি ডাউনোলোড করুন এই লিংক থেকে bit.ly/1kJoGYk
১. প্রথমেই আপনার কার্ডের ডিজাইনের একটি জেপিজি ফাইল তৈরি করে নিন। এজন্য PSD ফাইলটি ওপেন করে File>Save as ক্লিক করুন। Save as Type এ জেপিজি সিলেক্ট করে একটি নাম দিয়ে সেভ করুন। কোয়ালিটি Maximum সিলেক্ট করুন। এভাবে কার্ডের ফ্রন্ট ও ব্যাক সাইডের জন্য আলাদা জেপিজি ফাইল তৈরি করুন। তবে ডিজাইনের কাজটি যদি ইলাস্ট্রেটরে করে থাকেন তবে এটি না করলেও চলবে।
২. ডাউনোলোড করা মক আপ ফাইলটি ওপেন করুন।
৩. লেয়ার উইন্ডোতে দেখুন তিনটি লেয়ার গ্রুপ আছে। ফ্রন্ট সাইডের মক আপ করতে Front লেয়ার গ্রুপের বাম পাশের ত্রিভুজ চিহ্নে ক্লিক করে এক্সপান্ড করুন।
৪. এখানে দেখবেন Edit this object নামে একটি লেয়ার আছে এবং এই লেয়ারটির আইকন অন্যগুলির থেকে আলাদা। অর্থাৎ এই লেয়ারে একটি স্মার্ট অবজেক্ট রয়েছে। এই স্মার্ট অবজেক্টের আইকনে (নামের উপরে নয়) ডাবল ক্লিক করুন। একটি উইন্ডো আসবে। এতে ওকে ক্লিক করুন।
৫. নতুন একটি ট্যাব ওপেন হবে। এতে একটি কার্ডের ডিজাইন দেখতে পাবেন। আমাদের কাজ এই ডিজাইনকে আমাদের তৈরি ডিজাইন দিয়ে রিপ্লেস করা। তৈরি করে রাখা জেপিজি ফাইলটি এর উপর ড্রাগ করুন কিংবা ইলাস্ট্রেটর থেকে কপি করে পেস্ট করুন।
৬. যদি ইলাস্ট্রেটর থেকে কপি করে থাকেন তাহলে Paste as নামে একটি উইন্ডো আসবে। স্মার্ট অবজেক্টে চেক করে ওকে চাপুন।
৭. এবারে পেস্ট করা ডিজাইনটি স্কেল করে বড় করুন এবং ক্যানভাসের প্রান্ত পর্যন্ত টেনে দিন।
৮. প্রয়োজনে অন্য লেয়ারগুলি চোখের আইকনে ক্লিক করে হাইড করে দিন।
৯. Ctrl+S চাপুন এবং আগের ট্যাবে ফিরে যান। এবারে ম্যাজিক দেখুন।
১০. একইভাবে ব্যাক সাইডের মক আপ করে ফেলুন। এটাই মক আপ ব্যবহারের সাধারণ পদ্ধতি। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সব ধরনের মক আপ ব্যবহারের পদ্ধতি একই।
কিছু কেস স্টাডিঃ মক আপে কোন স্মার্ট অবজেক্ট নেইঃ কিছু কিছু মক আপে বাই ডিফল্ট কোন স্মার্ট অবজেক্ট থাকে না। তবে স্মার্ট অবজেক্ট না থাকলেও Your design here, Paste your logo here ইত্যাদি নামে কোন লেয়ার অবশ্যই আছে। এই ধরনের লেয়ারের নামের উপর রাইট ক্লিক করে Convert to smart object এ ক্লিক করুন। এবারে স্মার্ট অবজেক্ট তৈরি হয়ে গেলে আগের নিয়মে বাকি কাজ করুন।
মক আপে ব্লিড বাদ দেয়া যায় নাঃ প্রিন্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রে ডিজাইনের মূল অংশের সাথে ব্লিড এর বাড়তি অংশটুকুও মক আপে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। যদিও রিসাইজ করার সময় বাড়তি অংশ ক্যানভাসের বাইরে রেখে বাদ দেয়া যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে আন্দাজে বাদ দিতে গিয়ে ভুল হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই মূল ডিজাইনের ট্রিম লাইন (বর্ডার) বরাবর একটি উজ্জ্বল রঙের Rectangle একে দিতে পারেন যা রিসাইজ করে বাদ দেয়ার সময় মূল ডিজাইনের প্রান্ত সনাক্ত করতে সাহায্য করবে। ইলাস্ট্রেটরের মাস্ক ব্যবহার করেও এ সমস্যা এড়াতে পারেন। যদি কোন ডিজাইনের কর্নারগুলো রাউন্ড আকৃতির হয় তাহলে মাস্ক করার আগে Rectangleএর কর্নারগুলিও রাউন্ড করে নিন।
মক আপের কালার পরিবর্তনঃ সাধারণত টি শার্টের মক আপে কালারের জন্য আলাদা একটি লেয়ার থাকে। এর বাম পাশের আইকনে ডাবল ক্লিক করলে কালার পিকার উইন্ডো আসে। এখান থেকে টি শার্টের জন্য একটি কালার সিলেক্ট করে ওকে বাটনে ক্লিক করুন। এবার দেখুন টি শার্টের আগের কালার পাল্টে আপনার পছন্দ করা কালার হয়ে গেছে। আবার UI এর মক আপের ক্ষেত্রে আই-ফোনের পাঁচটি কালার সহ একটি আলাদা লেয়ার গ্রুপ থাকে। এই গ্রুপটি এক্সপান্ড করে আপনার পছন্দের কালার বাদে বাকি চারটি কালারের লেয়ার হাইড করে দিন। তাহলেই হবে।
এবারে উপসংহারে যাওয়া যাক। মক আপ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই জেনে নিন মার্কেট প্লেসে মক আপ ব্যবহার করা যাবে কিনা। আমার জানা মতে ৯৯ ডিজাইন ছাড়া বাকি সব মার্কেটপ্লেসের লোগো কনটেস্টে মক আপ ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাই এব্যাপারে সতর্ক হোন।
ফ্রিল্যান্সিং এর লক্ষ্য নিয়ে যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখেন তাদের সবারই মূল লক্ষ থাকে ওডেস্ক বা ইল্যান্সের মত সাইটে চুক্তিতে ডিজাইন তৈরী করার। কিন্তু নতূনদের জন্য ৫ থেকে ৬ মাস কোন চুক্তিতে আসাটাই যে বড় চ্যালেন্জ। তাই প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক এই দীর্ঘ সময় তারা কি বসে থাকবে? উত্তরটা হল না। বরং তারা ৯৯ ডিজাইনের মত সাইটগুলোতে ডিজাইন কনটেস্টে অংশগ্রহন করবে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অংশগ্রহন পর্যন্তই করতে হয়। কারন এক্ষেত্রে অনেক ভালো ডিজাইনারদের সাথে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামতে হয়। তাই কনটেস্টে জেতাটাও বেশ কঠিন। কিন্তু নতূনরাও একেবারে খারাপ ডিজাইন করে না। বরং কনটেস্টের বাইরে তাদের ডিজাইন দেখলে হয়ত অনেকেরই পছন্দ হতে পারে। আর এজন্যই কনটেস্ট শেষে যেসব ডিজাইন ছুড়ে ফেলতেন সেগুলো টেমপ্লেট আকারে বিক্রি করে দিতে পারলে মন্দ কি? আজকের পোস্টে সেইসব বিষয়েই আলোচনা হবে। তো চলুন শুরু করা যাক।
*#প্রথমেই জানা দরকার ডিজাইন টেমপ্লেট কি?
একটি বিজনেস কার্ডের কথা চিন্তা করুন। সাধারণত ক্লায়েন্ট আপনাকে তার নাম ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি তথ্য দেবেন আর আপনি সেইসব তথ্য নিয়ে ক্লায়েন্টের রুচির সাথে মিল রেখে এর ডিজাইন করবেন। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন ক্লায়েন্টের তথ্য ছাড়াই কাল্পনিক কোন নাম দিয়ে বিশেষ থিমের উপর একটি ডিজাইন করুন। এবারে এটিকে বাজারে ছেড়ে দিন। কারো পছন্দ হলে তিনি তা কিনে নেবেন এবং এডিট করে কাল্পনিক নামের জায়গায় নিজের নাম ঠিকানা বসিয়ে প্রিন্ট করে নেবেন। কাল্পনিক নামের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা এই বিজনেস কার্ডটিই একটি গ্রাফিক্স টেমপ্লেট।
*#কি কি টেমপ্লেট বিক্রি করা যায়?
সাধারনত সব ধরনের প্রিন্ট ডিজাইন যেমন বিজনেস কার্ড, ফ্লায়ার, ব্রাশিউর, লোগো, পার্সোনাল রিজিউম, টি-শার্ট ইত্যাদি। তবে যেসব মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স টেমপ্লেট বিক্রি হয় সেখানে ওয়ার্ডপ্রেস থিম, ফটোশপ অ্যাকশন এবং ফন্টসহ আরো অনেক কিছুই বিক্রি করা যায়।
*# কোথায় টেমপ্লেট বিক্রি করা যায়?
আমি তিনটি মার্কেটপ্লেসের কথা বলব। এই তিনটি ছাড়াও বেশ কয়েকটি মার্কেটপ্লেস রয়েছে কিন্তু পরিচিতি কম থাকায় এসব জায়গায় বিক্রির পরিমাণ কম হতে পারে। তো মার্কেটপ্লেসের কথায় আসি।
১। গ্রাফিক্স রিভারঃ টেমপ্লেট বিক্রির জন্য গ্রাফিক্স রিভারই সবার সেরা। কারন এতি অনেক পুরোনো মার্কেটপ্লেস। এখানে আপনি বিক্রির জন্য কোন কিছু আপলোড করলে প্রতিটি আইটেম রিভিউ করা হয়। রিভিউ করার পর যদি তারা আপনার প্রোডাক্টটিকে মার্কেটপ্লেসের উপোযোগী মনে করে তাহলে অ্যাপ্রুভ করবে এবং এর জন্য একটি উপযুক্ত মুল্য নির্ধারন করে দিবে নতুবা রিজেক্ট করবে। এদের রিজেক্ট আবার দুই ধরনের। প্রথমত সফট রিজেচ্ট করলে আপনি সর্বোচ্চ চারবার সুযোগ পাবেন ফাইলোটি সংশোধন করে পুনরায় আপলোডের জন্য। কিন্তু হার্ড রিজেক্ট করলে তা আর পূনরায় আপলোড করা যাবে না। তবে অন্য কোন আইটেম আপলোড করতে পারবেন। লিংকঃ www.graphicriver.net
২। ক্রিয়েটিভ মার্কেটঃ গ্রাফিক্স রিভারের মত ক্রিয়েটিভ মার্কেটে আপনার প্রতিটি প্রোডাক্টকেই রিভিউ করা হবে না। তাছাড়া মুল্য নির্ধারনের ব্যাপারটাও আপনি নিজের ইচ্ছামত করতে পারেন। কিন্তু এখানে কোন আইটেম আপলোড করার জন্য ওপেন শপ এ ক্লিক করে আবেদন করতে হবে। আর আবেদনের সময় যদি গ্রাফিক্স রিভার কিংবা অন্য কোন মার্কেটপ্লেসে ভালো অবস্থান দেখাতে পারেন তবেই আপনি অ্যাপ্রুভ হতে পারেন নতুবা অ্যাপ্রুভ হওয়া বেশ কষ্টকর। তবে আপনার যদি কোন মার্কেটপ্লেসে ভালো অবস্থান না থাকে তাহলে অন্তত বিহ্যান্স বা ডেভিয়ান আর্টে একটি সাজানো গোছানো পোর্টফলিও তৈরী করে সেটার লিন্ক দিয়ে আবেদন করুন। এতে করে অ্যাপ্রুভ হওয়া কিছুটা সহজ হতে পারে। লিংক www.creativemarket.com
৩। ডিজাইনিং মার্কেটঃ এটি একেবারেই নতুন একটি মার্কেটপ্লেস এবং এখোনো পরিপূর্ণ নয়। তারপরেও শুধুমাত্র একটি কারনেই এটির কথা বলছি আর তা হল এটি আমাদের বাংলাদেশী মারকেটপ্লেস। গত ২১শে ফেব্রুয়ারীতে এটি য্ত্রা শুরু করে। এর নিয়মাবলী গ্রাফিক্স রিভারের মতই। তবে এতে ডিজাইনারদের কমিশন সবচেয়ে বেশি দেয়া হয়। লিংকঃ www.designingmarket.com
সবশেষে বলি এই লেখাটি পড়ে টেমপ্লেট বিক্রি খুব সহজ মনে হতে পারে। কিন্তু এটি বেশ কঠিনই। কারন গ্রাফিক্স রিভারে কোন আইটেম অ্যাপ্রুভ করা খুবই কঠিন। আবার অ্যাপ্রুভ হলেই কেমন বিক্রি হবে সেটাও নিশ্চিত নয়। কিন্তু একেবারে ফেলে দেয়ার চেয়ে বিক্রির চেষ্টা করেই দেখুন। সব প্রোডাক্ট বিক্রি করতে না পারলেও যা করা যায়। আর তাছাড়া এসব সাইটে বাচাই করে অ্যাপ্রুভ করা হয় বলে শুধুমাত্র ভালো ডিজাইনগুলিই চান্স পায়। সেসব ভালো ডিজাইনসমুহ দেখে নিজের ডিজাইনকে আরো উন্নত করতে পারেন। তবে সাবধান! কারো আইডিয়া নকল করতে যাবেন না।
আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাস করি তারা সম্ভবত অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামটাই টাকা দিয়ে কিনি। তাও হাতে গোনা কয়েকজন। বাকি সব ক্ষেত্রে পাইরাইটেড সফটওয়ার ব্যবহার করি। হোক সেটা অপারেটিং সিস্টেম কিংবা সামান্য মুভি প্লেয়ার। কিন্তু পাইরাইটেড সফটওয়্যার আর কত। যদিও এখোনো কোন সমস্যা হচ্ছে না কিন্তু হঠাৎ করেই বিভিন্ন সফটওয়্যার কম্পানীগুলো এক্ষেত্রে কঠোর হয়ে যেতে পারে। সেই আভাসও মাঝে মাঝে পাওয়া যাচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার হতে পারে দারুন এক সমাধান। ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের প্রায় সবই বিনামুল্যে ব্যবহার করা যায় বৈধভাবেই। শুধু ব্যবহারই নয় বরং একটি সফ্টওয়্যার সংগ্রহ করে যদি আপনার ১০ জন বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে চান তাতেও কোম্পানীগুলোর কোন আপত্তি নেই। তবে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বাজারজাত করতে গেলেই যত বাধা। কারন এগুলো তৈরি ই হয়েছে ফ্রি ব্যবহার আর বিতরণের জন্য। তো চলুন জেনে নেই দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহার হয় এমন কিছু ওপেন সোর্স সফটওয়্যার সম্পর্কে।
অপারেটিং সিস্টেমঃ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে উইন্ডোজের বিকল্প কোন সফটওয়্যারের কথা যেন আমরা ভাবতেই পারিনা। কিন্তু ষোল হাজার টাকা দিয়ে আমাদের মত মধ্যবিত্তদের কেউ কি উইন্ডোজ কিনবেন? মনে হয় না। তবে উইন্ডোজের প্রায় সকল সুবিধার সাথে যদি ভাইরাসের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি মিলে তাহলে কেমন হয়? হ্যা এরকমই দুটি অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে উবুন্টু আর ফেদোরা। এই অপারেটিং সিস্টেম দুটিতে কখোনোই ভাইরাস আক্রমন করে না। তাই অ্যান্টিভাইরাসের ঝামেলাও নেই। আর বাংলা ভাষার সাপোর্ট বিল্ট ইন থাকার ফলে কোন বাড়তি সফটওয়্যারের সাহায্য ছাড়াই বাংলা লেখা যায়। উবুন্টু আর ফেদোরার ডাউনলোড লিন্ক যথাক্রমে http://www.ubuntu.com/download/desktop ও http://fedoraproject.org/get-fedora
অফিস স্যুটঃ এক্ষেত্রেও মাক্রোসফ্টের পাইরাইটেড অফিস স্যুটই আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এর বিপরীতে ফ্রি সফটওয়্যারের মধ্যে আছে লিব্রে অফিস, অ্যাপাচি ওপেন অফিস এবং কিংসফট অফিস। এদের মধ্যে লিব্রের ইন্টারফেস খুব একটা সুন্দর না হলেও বেশি জনপ্রিয় এবং এটি উবুন্টু এবং ফেদোরায় বিল্ট ইন থাকে। ফলে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে যারা বারবার সুইচ করেন তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ অফিস স্যুট। আর অ্যাপাচি দৃশ্যত ও কার্যত হুবুহু লিব্রে। শুধু নাম আর আইকনগুলোর ডিজাইন ভিন্ন। তাই অ্যাপাচির ব্যাপারে কোন কিছু বলার নেই। অপরদিকে যারা একটু অ্যাডভান্স ইউজার তাআরা কিংসফট ব্যবহার করতে পারেন। এটি দেখতেও খুব সুন্দর। ডাউনলোড লিংক লিব্রে https://www.libreoffice.org/download/libreoffice-fresh/
বাংলা টাইপ টুলঃ বাংলা লিখতে আগে বিজয়ের বহুল ব্যবহার থাকলেও নতুন কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কাছে অভ্রই বেশি জনপ্রিয়। কারন এর ফোনেটিক ইনপুট পদ্ধতি। এটি দিয়ে মুলত ইউনিকোড ফরম্যাটে বাংলা লেখা হয়। তবে ASCII ফরম্যাটেও লেখা যায়। তাই ফটোশপে লিখতেও কোন সমস্যা হয় না। ডাউনোলোড কিন্ক www.omicronlab.com
গ্রাফিক ডিজাইনঃ ফটোশপের উচ্চমুল্যের কারনে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে জিম্প। এতে ফটোশপের প্রায় সব ফিচার থাকলেও কার্টুন লুকের কারনে প্রফেশনালদের কাছে একোনো তেমন কদর পায় নি। তবে ধীরে ধীরে এই অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। Download link: http://www.gimp.org/windows/
ভেক্টর ডিজাইনঃ লোগো ডিজাইনের জন্য অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটরের বিপরীতে ফ্রি সফটওয়্যার হিসেবে ইংকস্কেপের নামটাই উল্লেখ করা যায়। এটি বেশ হাল্কা ধরনের সফটওয়্যার যার কারনে পিসির কনফিগারেশন কম হলেও কোন ল্যাগিংস ছাড়াই চালাতে পারেন। কিন্তু সমস্যা একটাই এটি শুধুমাত্র আরজিবি কালার মুড সাপোর্ট করে। ফলে এর দ্বারা প্রিন্ট ডিজাইন সম্ভব নয়। Download link: www.inkscape.org
সবশেষে কিছু কথা। অভ্র বাদে বাকি সব ফ্রি সফটওয়্যারগুলোকে টাকা দিয়ে কেনা সফটওয়্যারের সাথে তুলনা করলে তা হাস্যকর হবে। কারন এই সফটওয়্যার্গুলোর বেশিরভাগই নতুন। তবে যাদের খুব বেশি অ্যাডভান্স ফিচারের দরকার নেই বরং মোটামুটি মানের কাজগুলোই করে থাকেন তাদের জন্য এই ফ্রি সফটওয়্যার্গুলো যথেষ্ট। তবে এগুলো দিন দিন উন্নত হবে এবং এক সময় টাকা দিয়ে কেনা সফটওয়্যারের সাথে পাল্লা দিতে পারবে সে আশা করাই যায়। গুগল ক্রোম আর মজিলা ফায়ারফক্স এর ভালো উদাহরন। পেইড ওয়েব ব্রাউজারগুলোকে পেছনে ফেলে আজ এই দুটি ব্রাউজারই শীর্ষে।
অনেকেই ভাববেন কোন ভালো ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হলেই তো হয়। কিন্তু বাস্তবে কখোনো কি দেখেছেন যে ট্রেনিং শেষ করে কেউ পন্ডিত হয়ে বের হয়? মুলত ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে শুধুমাত্র বেসিক বিষয়গুলি শেখানো হয়। মুল শেখাটা নিজি নিজেই শিখতে হয়। কিন্তু শুধুমাত্র বেসিক বিষয়গুলি শেখার জন্য কেন অযথা ট্রেনিং সেন্টারে যাবেন যদি নিজে নিজেই শিখতে হয়? হ্যা আপনি যদি কম্পিউটার মোটামুটিভাবে চালাতে পারেন তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনি নিজেই নিজেই শিখতে পারেন। এজন্য কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরন করতে হবে। আজকে সেইসব ধাপগুলি নিয়েই আলোচনা করব। অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন নিজে নিজে শিখে কি আর প্রফেশনালদের মত হওয়া যায়? আমি বলব হ্যা। তবে এজন্য আপনাকে যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। আর এতে অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে তা ধরেই নিন। এই ধৈর্য কিন্তু ট্রেনিং সেন্টারে গেলেও লাগবেই। তো শুরু করা যাক।
প্রথম ধাপঃ যেকোন লাইব্রেরীতে খোজ করলেই গ্রাফিক ডিজাইনে শেখার বই পাবেন। এদের মধ্যে মুলত ফটোশপ আর ইলাস্ট্রেটরের বই পাওয়া যায়। যেকোন লেখকের বই কিনতে পারেন। তবে চেষ্টা করুন সর্বশেষ সংস্করন সিসি এর উপর ভিত্তি করে লেখা বইটি কেনার জন্য। তবে সিসি সম্ভবত পাবেন না। তাই সিএস ৬ কিংবা অন্তত সিএস ৫ এর বই কিনুন। কারন এই তিনটি সংসকরনের মদ্যে বেশ মিল রয়েছে। তবে বই দেখে পেন টুলের ব্যবহারটা আমি শিখতে পারিনি। এজন্য ভিডিও টিউটোরিয়ালের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। তাই আমি বই এর চেয়ে ভিডিও টিউটোরিয়ালকেই বেশি ভালো মনে করি। বাংলায় হাসান যোবায়ের ভাইয়ের অ্যাডবি ফটোশপ আর অ্যাডবি ইআলাস্ট্রেটর এর ভিডিও টিউটোরিয়াল রকমারীতেই পাবেন। আমি এগুলো দেখেই শিখেছি। ভিডিও টিউটোরিয়াল একটু একটু দেখুন আর পিসিতে প্র্যাকটিস করুন। এভাবে আপনি কোন টুল দিয়ে কি করতে হয়, কিভাবে করতে হয় এইসব বেসিক বিষয়গুলি শিখবেন। ট্রেনিং সেন্টারগুলিতে এগুলিই শেখানো হয়।
২য় ধাপঃ এবারে কিছুটা অ্যাডভান্স জিনিস আপনি নিজে নিজে শিখবেন। আর এজন্য অনলাইনের শরণাপন্ন হতে হবে। যেমন আপনি হয়্ত সিলেকশন টুলগুলির ব্যবহার শিখেছেন। এবারে এই সিলেকশন টুলগুলি ব্যবহার করে কিভাবে মানুষের উড়ন্ত চুল সিলেক্ট করা যায় সেটা শিখবেন। অথবা গ্রাডিয়েন্ট টুল দিয়ে কিভাবে মেটাল বা গোল্ডের কালার তৈরী করবেন সেটা এই ধাপে শিখবেন। আর এগুলোর জন্য ইন্টারনেটই ভরসা। কারন কোন ট্রেনিং সেন্টার এগুলো শেখাবে না। তবে ইন্টারনেটে এধরনের অসংখ্য টিউটোরিয়াল পাবেন। প্রথমে বাংলায় গুগলে সার্চ করুন। পেয়ে গেলে তো ভালোই। আর নাহলে ইংরেজীতে পাবেনই। আর এই লেভেল থেকে অবশ্যই ভালো ডিজাইনারদের ডিজাইন দেখতে থাকুন। এতে করে আপনার আইডিয়া সমৃদ্ধ হবে। পারলে সেগুলো আপনিও নকল করার চেষ্টা করুন। সম্পূর্ন সফল না হলেও অনেক কিছুই শিখবেন। তো ভালো ডিজাইনারদের পাবেন কোথায়? ফেসবুকের মত ডিজাইনারদের জন্য আলাদা সেস্যাল নেটওয়ার্ক আছে যেমন behance.net, dribbble.com ইত্যাদি। এখানে অ্যকাউন্ট খুলে ভালো ডিজাইনারদের ফলো করুন।
৩য় ধাপঃ পুর্বের দুই ধাপ যদি আপনি ভালো করে অনুসরণ করে থাকেন তাহলে এই ধাপে পা বাড়ান। এই ধাপে আপনি ভালো ডিজাইনারদের সাথে নিজেকে তুলনা করুন। বোঝার চেষ্টা করুন আপনার ঘাটতি কোথায় এবং সেই ঘাটতি পূরন করার চেষ্টা করুন। আর এই তুলনা করার কাজটি করার সবচেয়ে ভালো জায়গা হল 99designs.com এখানে কাস্টমারগন তাদের ডিজাইনের জন্য কনটেস্টের আয়জন করেন। বিভিন্ন ডিজাইনারগন তাদের ডিজাইন জমা দিয়ে কনটেস্টে অংশগ্রহন করে থাকেন। আপনিও এতে অংশ নিন। ভালো ডিজাইনারদের সাথে আপনার পার্থক্যটা এখানেই ধরা পড়বে এবং আপনি নিজেকে আরো ভালো করতে কি কি শিখতে হবে তা জানবেন। আর ভাগ্য ভালো থাকলে আচমকা আপনার ডিজাইনটি পুরুস্কারের জন্য মনোনীত হয়ে যেতে পারে।
সবশেষে একটা কথা বলি শেখার কোন শেষ নেই। একজন গ্রাফিক ডিজাইনারকে আজীবন শিখে যেতে হয়। তাই কখোনোই শেখা বাদ দিবেন না। নতুবা আপনি ক্রমেই পিছিয়ে পড়বেন। কারন প্রতিনিয়তই মানুষে রুচি বদলাচ্ছে আর সেইসাথে ডিজাইনের ট্রেন্ডও বদলাচ্ছে। তাই আপনাকে সর্বদাই আপডেট থাকতে হবে। আজ এ পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ
email: galib1992ict@gmail.com
বর্তমান বিশ্বে ডিজাইনিং এর প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। সর্বাধুনিক স্মার্টফোন গুলোতে ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইনিং ব্যাবহার করার ফলে হঠাৎ’ করে একটি বড় মার্কেট সৃষ্টি হয়েছে ডিজাইনিং এ। কম্পিউটার প্রফেশনাল অনেকেই কোডিং এর চেয়ে ডিজাইনিংকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এর জনপ্রিয়তার জন্য। ডিজাইনিং এর আরেকটি প্রধান সুবিধা হল এর মাধ্যমে গ্রাহকের মনের অনুভুতিকে জাগানো সম্ভব হয় যার মাধ্যমে ডিজাইনার সৃষ্টি র আনন্দ পেতে পারেন। বর্তমানে এডোবি ফটোশপ,ইলাস্ট্রেটর, আরও কিছু সফটওয়্যার দ্বারা ডিজাইনিং শেখা যায়। প্রফেসিওনাল মানের ডিজাইনিং একই সাথে আর্থিক সাফল্য ও মানসিক তৃপ্তি দুটোরই ভাল পদ্ধতি হতে পারে।
বর্তমান জগতটি প্রযুক্তির জগত। এখানে আপনি হাত বাড়ালেই পেয়ে যাবেন প্রযুক্তির সকল ধরনের উপাদান। আসলে প্রযুক্তি আমাদের যেভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাতে আগামী পৃথিবীর মানুষেরা কোন ধরনের প্রযুক্ত ব্যবহার করবে সেটা অনুধাবন করা বেশ কষ্টকর। বর্তমান পৃথিবীর কোন জিনিসটা আমাদের সবচেয়ে বেশী কাছে টেনে এনেছে জিজ্ঞাসা করলে ওয়েব সাইটের নাম সবার আগে আসে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট একটি মূল্যবান কাজ। যারা এই বিষয়ে নতুন কাজ করছেন ওয়েব সাইটে ব্যানার ট্যাগ তাদের কাছে একটি প্রয়োজনীয় শিক্ষা। আজকে আমি আপনাদের এই বিষয়ে বিস্তারিত ধারনা দিবো।
আমরা বিভিন্ন ওয়েব সাইটের উপরে, তলায়, ডানে বা বামে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখতে পায়, এই গুলো তৈরিতে আসলে ওয়েব সাইটে Banner HTML Tag ব্যবহার করে করা হয়। আপনিও ইচ্ছা করলে খুব সহজে আপনার ওয়েব সাইট বা ব্লগে HTML Tag ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন বা ইমেজ ব্যবহার করতে পারেন।
এটি করতে হলে আপনাকে প্রাথমিক পর্যায়ে ফটোশপের মাধ্যমে আপনাকে একটি ব্যানার তৈরি করতে হবে। আপনি বিভিন্ন সাইজের ব্যানার তৈরি করতে পারেন। তবে ২০০×২০০, ৩০০×১৫০, ৬৮০×২৫০ ইত্যাদি সাইজের হলে ভাল হয়। আপনি ব্যানারটির ফাইল JPEG, PNG বা GIF হিসেবে সেভ করতে পারেন। আপনার ব্যানারটি তৈরি করা শেষ হলে এবার শুরু হবে আপনার আসল কাজ।
প্রথমে আপনি যে ব্যানারটি তৈরি করেছেন সেটি কোনও ফটো শেয়ার সাইটে আপলোড করুন, আপনি Picasa online ব্যবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন আপনার ব্যানারটি যেন সঠিক মাপের হয়।
দ্বিতীয় স্তরে এসে আপনি লগ ইন করে আপনার ওয়েব প্রোভাইডারের ড্যাসবোর্ডে প্রবেশ করুণ এরপর ব্যানার স্থাপনের জন্য একটি গ্যাজেট ওপেন করুন। মনে রাখবেন গ্যাজেট নির্ধারণের জন্য আপনি অবশ্যই HTML/JAVA গ্যাজেট ব্যবহার করবেন। এবার নতুন ওপেন হওয়া বক্সে টাইপ করুন
<a href="http://www.********.com"><img src="http://**********.com/-.png" align="right"/></a>
এর মাধ্যমে আপনি HTML ট্যাগ তৈরি করলেন এবার প্রথম http থেকে মুছে আপনার ব্যানারটি যে ওয়েবের বিজ্ঞাপনের জন্য সেটির লিংক যুক্ত করুন। এবার দ্বিতীয় http থেকে মুছে আপনার ব্যানার ইমেজটি যেখানে আপলোড করেছিলেন সেই লিংকটি এখানে বসান। তাহলে আপনার ব্যানার বিজ্ঞাপনটি সক্রিয় হবে। এবার align=" এর পরে আপনার ব্যানারটি ওয়েবের কোন স্থান কেন্দ্র করে বসবে সেটি নির্বাচন করে দিতে পারেন, যথা: right, left, top, bottom। মনে রাখবেন আপনার ব্যানার লিংকটি অবশ্যই সঠিক হওয়া লাগবে নতুবা আপনি ইমেজ দেখতে পাবেন না।
আজ এ পর্যন্ত, আশাকরি এই টিউটোরিয়ালটা আপনাদের উপকারে আসবে। তাহলে এখনিই কাজটি করার চেষ্টা করুন।
Machine Learning, Big Data, Data Science, Analytics, Cloud, Security, AI, Robotics, Database, BI, Development: Software, Web, Mobile