Category Archives: ফটোশপ

ফটোশপ

ফটোশপে বাংলা লিখুন অভ্র দিয়ে

ফেসবুক কিংবা ব্লগসহ পিসির যেকোন জায়গায় বাংলা লিখার কৃতিত্ব অভ্রকেই দিতে হয়। কিন্ত এতসব জায়গায় বাংলা লিখতে পারলেও ফটোশপ কিংবা ইলাস্ট্রেটরে অভ্র যেন একেবারেই অক্ষম। তাই এক্ষেত্রে সেই পুরোনো বিজয়ের দ্বারস্থ হন অনেকেই। কারন বিজয় সাধারণত ANSI ফরম্যাটে লেখে। আর অভ্র লেখে ইউনিকোড ফরম্যাটে। এই ইউনিকোডের কল্যাণে যেখানে সেখানে বাংলা লেখা সম্ভব হলেও ফটোশপ কিংবা ইলাস্ট্রেটর ইউনিকোড সাপোর্ট করে না। কিন্ত অভ্র দিয়েও ANSI ফরম্যাটে লেখা যায় এবং তা ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটরেও সাপোর্ট করে। এজন্য Tools and settings এ ক্লিক করে Output as ANSI বাটনে ক্লিক করুন।

ুাীৈ
wg মুড সুইচ

একটি উইন্ডো আসবে। এতে Use ANSI anyway বাটনে ক্লিক করুন।

এবারে একটি ANSI ফন্ট সিলেক্ট করে নির্বিঘ্নে বাংলা লিখতে থাকুন। এখন প্রশ্ন থাকতে পারে ANSI ফন্ট চিনবেন কিভাবে? এর উত্তর হলো আপনি যদি আলাদা কোন ANSI ফন্ট ইন্সটল করে না থাকেন তাহলে অভ্রের সাথে ইন্সটল হওয়া Siyam Rupali ANSI ফন্ট ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু ANSI ফন্টগুলির নাম বেশিরভাগ সময় ঝড়ঃহুহুগম বা এই ধরনের নামে শো করে। ফলে নির্দিষ্ট ফন্ট খুজে পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। কিন্তু Siyam Rupali ANSI সব সময় Siyam Rupali ফন্টের পরেই অবস্থান করে। আর তাই Siyam Rupali এর পরের ফন্টটি চোখ বন্ধ করে সিলেক্ট করতে পারেন। এছাড়া পিসিতে যদি বিজয় ইন্সটল করা থাকে তাহলে বিজয়ে ব্যবহৃত ফন্টসমুহ ব্যবহার করেও ফটোশপে লিখতে পারেন। আর ফন্টের ভ্যারিয়েশন চাইলে বাড়তি ফন্ট নিজে ইন্সটল করে নিন। বাজারে ফন্ট কালেকশনের বেশ কিছু ডিভিডি পাওয়া যায়। আপাতত কিছু ANSI ফন্ট এখান থেকে ফ্রি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। ফটোশপে লেখা শেষ হলে আবার সেটিংসে ক্লিক করে Output as Unicode বাটনে ক্লিক করুন। নতুবা ফেসবুক সহ অন্যান্য জায়গায় বাংলা লিখতে পারবেন না।

QR Code তৈরি করুন অফলাইনে

Free QR Creator
Free QR Creator

স্মার্টফোনের কল্যাণে আমরাও ক্রমেই স্মার্ট হয়ে যাচ্ছি। একগাদা তথ্যকে ছোট একটি QR এ ভরে বহন করে বেড়াচ্ছি। জন্ম সনদ সহ বেশ কিছু সরকারি কাগজপত্রে QR ব্যবহার বেশ আগেই শুরু হয়েছে। আর বিদেশে তো কথাই নেই। সামান্য বিজনেস কার্ডেও এর ব্যবহার হচ্ছে যাতে পুরো কার্ডের সকল তথ্য ক্যামেরা দিয়ে এক মুহূর্তেই সেভ করে ফেলা যায়। তো এই QR কোড তৈরির জন্য অনেকেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন। যাদের ইন্টারনেট সংযোগ বেশ ধীর গতির তাদের এই সামান্য কাজে বেশ সময় নষ্ট হয়। তারা Free QR Creator ব্যবহার করে সহজেই এ বিড়ম্বনা এড়াতে পারেন। এর মাধ্যমে অফলাইনে QR Code তৈরি করা যায়। এটি Micro QR ও QR Code (ISO 18004) সাপোর্ট করে। Micro QR আকারে ছোট হলেও খুব বেশি তথ্য ধারণ করতে পারে না। তাই QR Code (ISO 18004) ব্যবহার করাটাই ভালো। এর ব্যবহার পদ্ধতিও খুব সরল। প্রথমে এটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন। ওপেন করে যেসব তথ্য এনক্রিপ্ট করতে চান তা নিচের বক্সে টাইপ করুন। আপনার QR Code তৈরি। এবারে এটিকে JPG বা PNG ফরম্যাটে এক্সপোর্ট করে ফটোশপ বা যেকোনো জায়গার ব্যবহার করুন।

ফন্ট সিলেকশন আরও সহজে আরও দ্রুত : Select Fonts Easily

গ্রাফিক ডিজাইনারদের কাছে বেশ যন্ত্রণাময় কাজ ফন্ট সিলেকশন। কারণ ডিজাইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ফন্ট খুঁজে বের করা বেশ ঝামেলা। সেই সাথে যদি ফন্টের কালেকশন হাজার দুই ছাড়িয়ে যায় তাহলে সেই যন্ত্রণা হয় আরও দীর্ঘমেয়াদী। তাছাড়া এতগুলো ফন্ট ম্যানেজমেন্টের ঝামেলাও কম নয়। তাই ফন্ট নিয়ে নানা যন্ত্রণার মুক্তি দিতে পারে Xiles এর Nexus Font Manager সফটওয়্যারটি।

Nexus Font Manager
Nexus Font Manager

এটি খুব দ্রুত আপনার পিসিতে থাকা সকল ফন্টের প্রিভিউ তৈরি করে সেগুলিকে এক স্ক্রিনে নিয়ে আসে। আরে এই প্রিভিউ তৈরি হয় আপনার লিখে দেয়া Sample Text হতে। তাই শুধুমাত্র চোখ বুলিয়ে আর স্ক্রল করেই আপনি খুব সহজে আর দ্রুত ডিজাইনের সাথে মানানসই ফন্ট খুঁজে নিতে পারেন। কোন ফন্ট ইন্সটল করা থাক বা না থাক সেটি কোন ব্যাপারই না। কারণ এটি ফন্টের মুল ফাইলে থেকেও প্রিভিউ তৈরি করতে পারে। আর এসব প্রিভিউ তৈরির প্রক্রিয়াও বেশ দ্রুত ঘটে। যেমন আমার কাছে San's Serif ফন্ট আছে ৭০০ এরও বেশি। এই ৭০০+ ফন্টের প্রিভিউ তৈরি করতে এটি সময় নেয় প্রায় ১০-১২ সেকেন্ড। ধরা যাক আপনি এই মুহূর্তে একটি ম্যাগাজিনের বডির জন্য ফন্ট খুঁজছেন। তাই আপনার প্রয়োজন Serif ফন্ট। এসময় নিশ্চয় চাইবেন না San's Serif ফন্ট এসে আপনাকে বিরক্ত করুক। তাই বিভিন্ন ধরনের ফন্টকে বিভিন্ন ফোল্ডারে রাখার সুবিধাও এতে আছে। এছাড়া সার্চ অপশনের মাধ্যমেও দ্রুত যেকোনো ফন্ট খুঁজে নিতে পারেন। সব মিলিয়ে সকল গ্রাফিক ডিজাইনারদের কাছেই এটি অতি প্রয়োজনীয় একটি টুলে পরিণত হতে পারে। এটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে। সকলের শুভ কামনায় আজ এ পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ

গ্রীষ্মের ছবিতে কুয়াশার ইফেক্ট

কুয়াশা
কুয়াশা

চলছে গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহ। একটু বৃষ্টির জন্য চারিদিকে প্রচন্ড হাহাকার। তবে বৃষ্টি বাদ দিয়ে যদি কুয়াশার চাদরে গ্রীষ্মকে ঢেকে দেয়া যায় কেমন হয় তাহলে? বাস্তবে না পারলেও ফটোশপে তা নিশ্চয়ই সম্ভব। আজকের টিউটোরিয়ালে সেটি ই দেখানো হবে। তো চলুন শুরু করা যাক।

১.প্রথমে যে ছবিতে কুয়াশার ইফেক্ট দিতে চান সেটি ফটোশপে ওপেন করুন। আমি যে ছবিটি ব্যবহার করেছি চাইলে সেটি এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

Original
Original

২. Layer panel থেকে New adjustment layer বাটনে ক্লিক করে Solid color সিলেক্ট করুন।

Click new adjustment layer
Click new adjustment layer

 

৩. কালার পিকার উইন্ডো হতে সাদা রং সিলেক্ট করে ওকে বাটনে ক্লিক করুন। উল্লেখ্য এই সাদা রং কুয়াশার রং হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আপনি চাইলে অন্য রং এর কুয়াশাও তৈরি করতে পারেন। কালার পিকার উইন্ডো হতে সাদা রং সিলেক্ট করে ওকে বাটনে ক্লিক করুন। উল্লেখ্য এই সাদা রং কুয়াশার রং হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আপনি চাইলে অন্য রং এর কুয়াশাও তৈরি করতে পারেন।

৪. Color fill 1 নামে নতুন একটি লেয়ার তৈরি হবে। এর অপাসিটি 50% করে দিন।

Change Opacity
Change Opacity

 

৫. Color fill 1 লেয়ারের মাস্ক থাম্বনেইলে ক্লিক করে মাস্কটি সিলেক্ট করুন।

Select Layer Mask
Select Layer Mask

 

৬. এবার টুল বক্স থেকে Gradient টুলটি সিলেক্ট করুন। অপশন বার থেকে White to black সিলেক্ট করুন।

 

Select gradient
Select gradient type

 

স্ক্রিনশটে দেখানো জায়গায় ক্লিক করে উপরের দিকে ড্র‍্যাগ করুন। এতে নিচের দিক থেকে ক্রমশ উপরের দিকে কুয়াশার পরিমাণ বাড়বে। প্রথমবার ঠিকমত না হলে আবার ড্র‍্যাগ করে অ্যাডজাস্ট করা যাবে।

 

dff

৭. কিবোর্ড থেকে Ctrl+J চেপে লেয়ারটি ডুপ্লিকেট করুন

৮. নতুন লেয়ারের মাস্ক সিলেক্ট করে টুল বক্স থেকে Eraser টুল সিলেক্ট করুন অথবা কিবোর্ডের E বাটন চাপুন। এবার একেবারে কাছের গাছগুলির উপর ব্রাশ করতে থাকুন। এতে কাছে থাকা গাছগুলি স্পষ্ট দেখা যাবে।

৯. কিন্তু কাছের এই গাছগুলিতে হঠাৎ কুয়াশার পরিমাণের তারতম্য দেখা দেবে। তাই নতুন লেয়ারের অপাসিটি এমনভাবে কমিয়ে আনুন যাতে এই তারতম্য খুব বেশি বোঝা না যায়। প্রোয়োজনে আগের লেয়ারের অপাসিটি বাড়িয়েও তা করতে পারেন। তবে এই ছবির ক্ষেত্রে প্রথম লেয়ারের অপাসিটি আর বাড়ানো ঠিক হবে না।

১০. এবার আগের মতই Ctrl+J চেপে নতুন লেয়ারটি ডুপ্লিকেট করুন এবং Eraser টুল দিয়ে অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী অংশের কুয়াশা মুছে ফেলুন। এভাবে প্রতিবার লেয়ার ডুপ্লিকেট করে ক্রমান্বয়ে নিকটবর্তী অঞ্চল থেকে শুরু করে দূরবর্তী অঞ্চলের কুয়াশা মুছে ফেলুন এবং অপাসিটি অ্যাডজাস্ট করুন যাতে কুয়াশার হঠাৎ পরিবর্তন বোঝা না যায়।

আমি এখানে মোট ৩ টি লেয়ারে এরকম করেছি। নিছে প্রত্যেকটি লেয়ারের স্ক্রিনশট এবং অপাসিটির মান দেয়া হল। উল্লেখ্য স্ক্রিনশট তোলার সময়ে অপাসিটি বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে যাতে আপনারা স্পষ্ট দেখতে পারেন।

অপাসিটি-26%
অপাসিটি-26%
অপাসিটি-23%
অপাসিটি-23%

 

অপাসিটি-19%
অপাসিটি-19%

১১. আবার New adjustment layer আইকনে ক্লিক করে Levels সিলেক্ট করুন।

5

তিনটি স্লাইডারের মাঝেরটি ডানে বামে সরিয়ে দেখুন কুয়াশার ঘনত্বের পরিবর্তন হবে। এভাবে আপনার প্রয়োজনমত ঘনত্ব অ্যাডজাস্ট করুন।

নকল কুয়াশা দেখতে কেমন লাগছে?

PHOTOSHOP: ডিজাইন মক আপের A-Z : A to Z of Design Mock-up in Photoshop

ডিজাইন মক আপের A-Z

(Sirajum Galib Munir)

edjh

পদ্মা সেতুর কাজ শুরুই হয়নি। কিন্তু মক আপের কল্যাণে টিভিতে এর বার্ডস আই প্রিভিউ নিশ্চয়ই দেখেছেন। খুঁটিনাটি কোন ডিটেইলসই বাদ যায়নি সেই প্রিভিউতে। উদাহরণের জন্য পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ টানলেও সেতুর মক আপ কিন্তু আমাদের আলোচনার বিষয় নয়। ওটা ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ। আমরা বরং গ্রাফিক ডিজাইনের মক আপ নিয়ে কথা বলি। উপরের চিত্র ১ এ দেখুন মনে হচ্ছে যেন অনেকগুলো বিজনেস কার্ড টেবিলের উপর সাজিয়ে ক্যামেরায় ছবি তোলা হয়েছে। কিন্তু কার্ডগুলো এখনো প্রিন্ট করাই হয়নি। ব্যাপারটা পদ্মা সেতুর মতই হয়ে গেল তাই না? তৈরির আগেই প্রিভিউ। ফটোশপে এ কাজটি বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। একটি কার্ডের মক আপ করার পর নতুন একটি কার্ডের মক আপ যখন করতে যাবেন তখন একই কাজ আবারও দীর্ঘ সময় ধরে করতে হবে। আর এই ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতেই ফটোশপ সিএস ৪ সংস্করণে সর্বপ্রথম স্মার্ট অবজেক্ট ফিচার যুক্ত করা হয়। এই ফিচার কোন বিশেষ লেয়ারের ইমেজের ইফেক্ট, ট্রান্সফর্মেশন ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ঠিক রেখে অন্য ইমেজ দিয়ে প্রতিস্থাপন করার সুযোগ দেয়। এবারে চিত্র ২ দেখুন। কার্ডগুলো হুবহু ১ এর মত করেই সাজানো। এখানে এই কার্ডগুলোই হচ্ছে স্মার্ট অবজেক্ট যা অন্য যেকোনো ইমেজ দিয়ে রিপ্লেস করতে পারেন। এতে রিপ্লেস করা ইমেজকে একইভাবে টেবিলের উপর পড়ে থাকতে দেখবেন। এটাই হচ্ছে স্মার্ট অবজেক্টের মহাত্ন। আর স্মার্ট অবজেক্ট ফিচার ব্যবহার করেই একটি মক আপ একাধিক ডিজাইনের উপর প্রয়োগ করা যায়। নতুনদের ক্ষেত্রে যেটি হয় তারা অনেক কষ্ট করে একটি সুন্দর ডিজাইন দাঁড় করান। কিন্তু সুন্দর একটি প্রেজেন্টেশনের অভাবে তাদের ডিজাইনটি অনেক সাধারণ ডিজাইনের নিচে চাপা পড়ে যায়। আর তাই নতুনদের জন্যই এই পোস্ট। পোস্টের শুরুতে বিশাল এক ভূমিকা পড়েই ফেলেছেন। এছাড়াও থাকছে মক আপের গুরুত্ব নিয়ে সামান্য কিছু প্যাঁচাল, মক আপের রকমফের, ব্যবহার পদ্ধতি এবং কিছু কেস স্টাডি। আর সবশেষে উপসংহার টাইপের কিছু একটাতো থাকছেই। তাই ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত হয়ে যান। মক আপের প্রয়োজনীয়তাঃ একটি সাইনবোর্ডের ডিজাইন পিসিতে দেখেই বলে দেয়া যায়না যে সাইনবোর্ডটি যেখানে লাগানো হবে সেখানে ঠিক কেমন দেখাবে। তবে মক আপ প্রিভিউ দেখে মোটামুটি ধারনা পাওয়া যেতে পারে। এতে ডেমো সাইনবোর্ড তৈরির খরচটাও সাশ্রয় হয়। তবে এধরনের ক্লায়েন্ট খুব কমই আছে যারা নিজেদের সাইনবোর্ডের মক আপ নিজেদের বিল্ডিং এর ছবি দিয়েই করতে বলে। বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিজাইনাররা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করেই মক আপ ব্যবহার করে থাকেন। এরকম একটি সাইট graphicburger.com যেখান থেকে ফ্রি মক আপ ডাউনোলোড করা যায়।

 

Untitled-1

মক আপের রকমফেরঃ সাধারণত লোগো, বিজনেস কার্ড, ফ্লায়ার, ব্রাশিউর, ওয়েব ডিজাইন, ট-শার্ট ডিজাইন, UI ইত্যাদির মক আপই বেশি ব্যবহৃত হয় এবং ইন্টারনেটে সহজলভ্য। তবে আরও অনেক ধরনের মক আপ আছে এবং আপনি নিজেও তৈরি করে নিতে পারেন। যদিও মক আপ তৈরি অনেক অ্যাডভান্স লেভেলের কাজ।

ব্যবহারঃ শুরুতে যে বিজনেস কার্ডের মক আপটি দেখেছেন সেটিকেই আমরা উদাহরণ হিসেবে প্রয়োগ করব। এটি ডাউনোলোড করুন এই লিংক থেকে bit.ly/1kJoGYk

১. প্রথমেই আপনার কার্ডের ডিজাইনের একটি জেপিজি ফাইল তৈরি করে নিন। এজন্য PSD ফাইলটি ওপেন করে File>Save as ক্লিক করুন। Save as Type এ জেপিজি সিলেক্ট করে একটি নাম দিয়ে সেভ করুন। কোয়ালিটি Maximum সিলেক্ট করুন। এভাবে কার্ডের ফ্রন্ট ও ব্যাক সাইডের জন্য আলাদা জেপিজি ফাইল তৈরি করুন। তবে ডিজাইনের কাজটি যদি ইলাস্ট্রেটরে করে থাকেন তবে এটি না করলেও চলবে।
২. ডাউনোলোড করা মক আপ ফাইলটি ওপেন করুন।

Business-Card-Mockup-svfwsf

৩. লেয়ার উইন্ডোতে দেখুন তিনটি লেয়ার গ্রুপ আছে। ফ্রন্ট সাইডের মক আপ করতে Front লেয়ার গ্রুপের বাম পাশের ত্রিভুজ চিহ্নে ক্লিক করে এক্সপান্ড করুন।
৪. এখানে দেখবেন Edit this object নামে একটি লেয়ার আছে এবং এই লেয়ারটির আইকন অন্যগুলির থেকে আলাদা। অর্থাৎ এই লেয়ারে একটি স্মার্ট অবজেক্ট রয়েছে। এই স্মার্ট অবজেক্টের আইকনে (নামের উপরে নয়) ডাবল ক্লিক করুন। একটি উইন্ডো আসবে। এতে ওকে ক্লিক করুন।
৫. নতুন একটি ট্যাব ওপেন হবে। এতে একটি কার্ডের ডিজাইন দেখতে পাবেন। আমাদের কাজ এই ডিজাইনকে আমাদের তৈরি ডিজাইন দিয়ে রিপ্লেস করা। তৈরি করে রাখা জেপিজি ফাইলটি এর উপর ড্রাগ করুন কিংবা ইলাস্ট্রেটর থেকে কপি করে পেস্ট করুন।
৬. যদি ইলাস্ট্রেটর থেকে কপি করে থাকেন তাহলে Paste as নামে একটি উইন্ডো আসবে। স্মার্ট অবজেক্টে চেক করে ওকে চাপুন।
৭. এবারে পেস্ট করা ডিজাইনটি স্কেল করে বড় করুন এবং ক্যানভাসের প্রান্ত পর্যন্ত টেনে দিন।

 

hedth

৮. প্রয়োজনে অন্য লেয়ারগুলি চোখের আইকনে ক্লিক করে হাইড করে দিন।
৯. Ctrl+S চাপুন এবং আগের ট্যাবে ফিরে যান। এবারে ম্যাজিক দেখুন।
১০. একইভাবে ব্যাক সাইডের মক আপ করে ফেলুন। এটাই মক আপ ব্যবহারের সাধারণ পদ্ধতি। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সব ধরনের মক আপ ব্যবহারের পদ্ধতি একই।

কিছু কেস স্টাডিঃ মক আপে কোন স্মার্ট অবজেক্ট নেইঃ কিছু কিছু মক আপে বাই ডিফল্ট কোন স্মার্ট অবজেক্ট থাকে না। তবে স্মার্ট অবজেক্ট না থাকলেও Your design here, Paste your logo here ইত্যাদি নামে কোন লেয়ার অবশ্যই আছে। এই ধরনের লেয়ারের নামের উপর রাইট ক্লিক করে Convert to smart object এ ক্লিক করুন। এবারে স্মার্ট অবজেক্ট তৈরি হয়ে গেলে আগের নিয়মে বাকি কাজ করুন।

মক আপে ব্লিড বাদ দেয়া যায় নাঃ প্রিন্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রে ডিজাইনের মূল অংশের সাথে ব্লিড এর বাড়তি অংশটুকুও মক আপে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। যদিও রিসাইজ করার সময় বাড়তি অংশ ক্যানভাসের বাইরে রেখে বাদ দেয়া যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে আন্দাজে বাদ দিতে গিয়ে ভুল হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই মূল ডিজাইনের ট্রিম লাইন (বর্ডার) বরাবর একটি উজ্জ্বল রঙের Rectangle একে দিতে পারেন যা রিসাইজ করে বাদ দেয়ার সময় মূল ডিজাইনের প্রান্ত সনাক্ত করতে সাহায্য করবে। ইলাস্ট্রেটরের মাস্ক ব্যবহার করেও এ সমস্যা এড়াতে পারেন। যদি কোন ডিজাইনের কর্নারগুলো রাউন্ড আকৃতির হয় তাহলে মাস্ক করার আগে Rectangleএর কর্নারগুলিও রাউন্ড করে নিন।

মক আপের কালার পরিবর্তনঃ সাধারণত টি শার্টের মক আপে কালারের জন্য আলাদা একটি লেয়ার থাকে। এর বাম পাশের আইকনে ডাবল ক্লিক করলে কালার পিকার উইন্ডো আসে। এখান থেকে টি শার্টের জন্য একটি কালার সিলেক্ট করে ওকে বাটনে ক্লিক করুন। এবার দেখুন টি শার্টের আগের কালার পাল্টে আপনার পছন্দ করা কালার হয়ে গেছে। আবার UI এর মক আপের ক্ষেত্রে আই-ফোনের পাঁচটি কালার সহ একটি আলাদা লেয়ার গ্রুপ থাকে। এই গ্রুপটি এক্সপান্ড করে আপনার পছন্দের কালার বাদে বাকি চারটি কালারের লেয়ার হাইড করে দিন। তাহলেই হবে।

এবারে উপসংহারে যাওয়া যাক। মক আপ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই জেনে নিন মার্কেট প্লেসে মক আপ ব্যবহার করা যাবে কিনা। আমার জানা মতে ৯৯ ডিজাইন ছাড়া বাকি সব মার্কেটপ্লেসের লোগো কনটেস্টে মক আপ ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাই এব্যাপারে সতর্ক হোন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন যেভাবে শিখবেন

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন যেভাবে

সিরাজুম মুনীর গালিব

অনেকেই ভাববেন কোন ভালো ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হলেই তো হয়। কিন্তু বাস্তবে কখোনো কি দেখেছেন যে ট্রেনিং শেষ করে কেউ পন্ডিত হয়ে বের হয়? মুলত ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে শুধুমাত্র বেসিক বিষয়গুলি শেখানো হয়। মুল শেখাটা নিজি নিজেই শিখতে হয়। কিন্তু শুধুমাত্র বেসিক বিষয়গুলি শেখার জন্য কেন অযথা ট্রেনিং সেন্টারে যাবেন যদি নিজে নিজেই শিখতে হয়? হ্যা আপনি যদি কম্পিউটার মোটামুটিভাবে চালাতে পারেন তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনি নিজেই নিজেই শিখতে পারেন। এজন্য কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরন করতে হবে। আজকে সেইসব ধাপগুলি নিয়েই আলোচনা করব। অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন নিজে নিজে শিখে কি আর প্রফেশনালদের মত হওয়া যায়? আমি বলব হ্যা। তবে এজন্য আপনাকে যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। আর এতে অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে তা ধরেই নিন। এই ধৈর্য কিন্তু ট্রেনিং সেন্টারে গেলেও লাগবেই। তো শুরু করা যাক।

প্রথম ধাপঃ যেকোন লাইব্রেরীতে খোজ করলেই গ্রাফিক ডিজাইনে শেখার বই পাবেন। এদের মধ্যে মুলত ফটোশপ আর ইলাস্ট্রেটরের বই পাওয়া যায়। যেকোন লেখকের বই কিনতে পারেন। তবে চেষ্টা করুন সর্বশেষ সংস্করন সিসি এর উপর ভিত্তি করে লেখা বইটি কেনার জন্য। তবে সিসি সম্ভবত পাবেন না। তাই সিএস ৬ কিংবা অন্তত সিএস ৫ এর বই কিনুন। কারন এই তিনটি সংসকরনের মদ্যে বেশ মিল রয়েছে। তবে বই দেখে পেন টুলের ব্যবহারটা আমি শিখতে পারিনি। এজন্য ভিডিও টিউটোরিয়ালের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। তাই আমি বই এর চেয়ে ভিডিও টিউটোরিয়ালকেই বেশি ভালো মনে করি। বাংলায় হাসান যোবায়ের ভাইয়ের অ্যাডবি ফটোশপ আর অ্যাডবি ইআলাস্ট্রেটর এর ভিডিও টিউটোরিয়াল রকমারীতেই পাবেন। আমি এগুলো দেখেই শিখেছি। ভিডিও টিউটোরিয়াল একটু একটু দেখুন আর পিসিতে প্র‍্যাকটিস করুন। এভাবে আপনি কোন টুল দিয়ে কি করতে হয়, কিভাবে করতে হয় এইসব বেসিক বিষয়গুলি শিখবেন। ট্রেনিং সেন্টারগুলিতে এগুলিই শেখানো হয়।

২য় ধাপঃ এবারে কিছুটা অ্যাডভান্স জিনিস আপনি নিজে নিজে শিখবেন। আর এজন্য অনলাইনের শরণাপন্ন হতে হবে। যেমন আপনি হয়্ত সিলেকশন টুলগুলির ব্যবহার শিখেছেন। এবারে এই সিলেকশন টুলগুলি ব্যবহার করে কিভাবে মানুষের উড়ন্ত চুল সিলেক্ট করা যায় সেটা শিখবেন। অথবা গ্রাডিয়েন্ট টুল দিয়ে কিভাবে মেটাল বা গোল্ডের কালার তৈরী করবেন সেটা এই ধাপে শিখবেন। আর এগুলোর জন্য ইন্টারনেটই ভরসা। কারন কোন ট্রেনিং সেন্টার এগুলো শেখাবে না। তবে ইন্টারনেটে এধরনের অসংখ্য টিউটোরিয়াল পাবেন। প্রথমে বাংলায় গুগলে সার্চ করুন। পেয়ে গেলে তো ভালোই। আর নাহলে ইংরেজীতে পাবেনই। আর এই লেভেল থেকে অবশ্যই ভালো ডিজাইনারদের ডিজাইন দেখতে থাকুন। এতে করে আপনার আইডিয়া সমৃদ্ধ হবে। পারলে সেগুলো আপনিও নকল করার চেষ্টা করুন। সম্পূর্ন সফল না হলেও অনেক কিছুই শিখবেন। তো ভালো ডিজাইনারদের পাবেন কোথায়? ফেসবুকের মত ডিজাইনারদের জন্য আলাদা সেস্যাল নেটওয়ার্ক আছে যেমন behance.net, dribbble.com ইত্যাদি। এখানে অ্যকাউন্ট খুলে ভালো ডিজাইনারদের ফলো করুন।

৩য় ধাপঃ পুর্বের দুই ধাপ যদি আপনি ভালো করে অনুসরণ করে থাকেন তাহলে এই ধাপে পা বাড়ান। এই ধাপে আপনি ভালো ডিজাইনারদের সাথে নিজেকে তুলনা করুন। বোঝার চেষ্টা করুন আপনার ঘাটতি কোথায় এবং সেই ঘাটতি পূরন করার চেষ্টা করুন। আর এই তুলনা করার কাজটি করার সবচেয়ে ভালো জায়গা হল 99designs.com এখানে কাস্টমারগন তাদের ডিজাইনের জন্য কনটেস্টের আয়জন করেন। বিভিন্ন ডিজাইনারগন তাদের ডিজাইন জমা দিয়ে কনটেস্টে অংশগ্রহন করে থাকেন। আপনিও এতে অংশ নিন। ভালো ডিজাইনারদের সাথে আপনার পার্থক্যটা এখানেই ধরা পড়বে এবং আপনি নিজেকে আরো ভালো করতে কি কি শিখতে হবে তা জানবেন। আর ভাগ্য ভালো থাকলে আচমকা আপনার ডিজাইনটি পুরুস্কারের জন্য মনোনীত হয়ে যেতে পারে।

সবশেষে একটা কথা বলি শেখার কোন শেষ নেই। একজন গ্রাফিক ডিজাইনারকে আজীবন শিখে যেতে হয়। তাই কখোনোই শেখা বাদ দিবেন না। নতুবা আপনি ক্রমেই পিছিয়ে পড়বেন। কারন প্রতিনিয়তই মানুষে রুচি বদলাচ্ছে আর সেইসাথে ডিজাইনের ট্রেন্ডও বদলাচ্ছে। তাই আপনাকে সর্বদাই আপডেট থাকতে হবে। আজ এ পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ
email: galib1992ict@gmail.com

বর্তমান বিশ্বে ডিজাইনিং এর প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে

শামীম অভী।

বর্তমান বিশ্বে ডিজাইনিং এর প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। সর্বাধুনিক স্মার্টফোন গুলোতে ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইনিং ব্যাবহার করার ফলে হঠাৎ’ করে একটি বড় মার্কেট সৃষ্টি হয়েছে ডিজাইনিং এ। কম্পিউটার প্রফেশনাল অনেকেই কোডিং এর চেয়ে ডিজাইনিংকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এর জনপ্রিয়তার জন্য। ডিজাইনিং এর আরেকটি প্রধান সুবিধা হল এর মাধ্যমে গ্রাহকের মনের অনুভুতিকে জাগানো সম্ভব হয় যার মাধ্যমে ডিজাইনার সৃষ্টি র আনন্দ পেতে পারেন। বর্তমানে এডোবি ফটোশপ,ইলাস্ট্রেটর, আরও কিছু সফটওয়্যার দ্বারা ডিজাইনিং শেখা যায়। প্রফেসিওনাল মানের ডিজাইনিং একই সাথে আর্থিক সাফল্য ও মানসিক তৃপ্তি দুটোরই ভাল পদ্ধতি হতে পারে।