Category Archives: সংবাদ । News

অ্যানড্রয়েড ম্যালওয়ারের এক-কালীন পাস কোড চুরি (Android malware steals one-time passcodes)

অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশনে এক কালীন পাস কোড (One-time passcode) নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু এসব এক কালীন পাস কোডও ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে জানা গেছে। Symantec পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। অ্যানড্রয়েড এর এই অ্যাপ্লিকেশনটি ম্যালওয়্যার প্রোগ্রামের (malware program) শিকার হচ্ছে।

Android.Bankosy নামের এই ম্যালওয়ারটি  পাস কোড intercept করার জন্য আপডেট করা করা হয়েছে। এটা করা হয়েছে তথাকথিত (so-called) দ্বৈত নিরাপত্তার নামে।

অনেক ব্যাংকেরই অপারেশন এক্সেস করার ক্ষেত্রে তাদের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে নিরাপত্তার জন্য লগিন, পাসওয়ার্ড এবং টাইম সেন্সেটিভ কোড ব্যবহার করা হয়। এই এক কালীন পাস কোডটি এস এম এস-এর মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু তা স্বয়ংক্রিয় ফোন কলের মাধ্যমেও পাঠানো যায়।

কিছু ব্যাংক এই স্বয়ংক্রিয় ফোন কল ভিত্তিক সিস্টেমে ইতোমধ্যেই কাজ করছে। অভিমত দেয়া হয় যে, এই সিস্টেম অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, যেহেতু এস এম এস কোনো ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে ঝুঁকিতে পড়তে পারে। Symantec এর Dinesh Venkatesan তাঁর ব্লগ পোস্টে এই মত দেন।

কিন্তু Android.Bankosy আপডেট করা হয়েছে এই সকল কল এটাকারদের (Atackers) কাছে ফরওয়ার্ড করার জন্য। Venkatesan এ তথ্য জানান। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে অনেক অপারেটরগণ কল ফরওয়ার্ডের জন্য সার্ভিস কোড ফর্মেট *21*[destination number]# ব্যবহার করে থাকেন এবং Bankosy এই সুযোগটি নিয়েছে।

Venkatesan একথাও জানান যে, ম্যালওয়্যারটি সাইলেন্ট মোড (silent mode) একটিভ ও ডিএকটিভ করার ক্ষমতা রাখে। তাই ভিক্টিম ইনকামিং কলের মাধ্যমে সতর্ক হবার সুযোগ পায় না।

এক কালীন পাস কোড যা লগিন ক্রেডেনশ্যাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়- অনুমান করা হচ্ছে যে, তা ইতোমধ্যে এটাকারদের হাতে চলে গেছে।

Symantec এই Bankosy উদঘাটন করেছে ২০১৪ সালে। সেই সময়ের এক টেকনিক্যাল রিপোর্টে দেখা যায় ম্যালওয়্যারটি ভিক্টিমের পেমেন্ট কার্ড তথ্য নিতে তৎপর ছিলো।

http://www.cio.com/article/3021926/android-malware-steals-one-time-passcodes.html

ম্যালওয়্যার Rovnix এখন জাপানকে টার্গেট করে এগোচ্ছে (Rovnix malware shifts focus to Japan, says IBM)

IBM X-Force এর মতে নেদারল্যান্ডসে তেমন সুবিধা করতে না পেরে একটি গ্রুপ Rovnix Trojan কে আপডেট ও রি-প্যাক করেছে জাপানের ব্যাংকগুলোকে লক্ষ্য করে।

ম্যালওয়্যারটি বিভিন্ন ফর্মেটে গত পাঁচ বছর ধরে কাজ করছে এবং ব্যাংক নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলার সময় নিজেদের ডিটেকশন এড়ানোর জন্য নানা ধরনের কাজ করছে। এ কথা জানান, আই বি এম-এর সিনিয়র সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক Etay Maor.

IBM X-Force এর নমূনা পরীক্ষণ (samples exam) থেকে এটা খুব পরিষ্কার যে, Rovnix group জাপানী ব্যাংক এবং ব্যাংকগুলোর ইউজার ইন্টারফেস (user interface) বেশ নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করে নকল (mimics) ওয়েব সাইট করে চেক করেছে।

ম্যালওয়্যারটি জানে কোন কোন ব্যাংক টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে এক কালীন লগিন পাসওয়ার্ড (one-time login passwords) ব্যবহার করে এবং সাম্প্রতিক অ্যানড্রয়েড ফোনে মাধ্যমে পাস কোড ব্যবহারের বিষয় সমগ্রও।

যদি ম্যালওয়্যারটি এমন কোনো কম্পিউটারকে infect করে যেটি অনলাইন লেনদেনের সাথে সম্পৃক্ত নয়, তাহলে সেক্ষেত্রে এটি ransomware ব্যবহার করে থাকে যা কম্পিউটার কে লক করে দেয় এবং পেমেন্ট দাবী করে তা আনলক করে দেয়ার শর্তে।

Rovnix এর পেছনের কারিগররা দেখে কোনো দেশের সাধারণত ব্যবহৃত নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো কী কী এবং তা টার্গেট করে এটাকের মাধ্যমে একাউন্টকে কমপ্রোমাইজ করতে বাধ্য করে।

এই ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজটি উচ্চ মানের ওয়েব ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে নকল (mimics) ওয়েব সাইট তৈরি করে ব্যাংক লেনদেনের ফর্মেটে স্ক্রিন সেট আপ করে নেয়। এদের একটি অংশ একাউন্টের ক্যাশ কালেক্ট করার কাজে ব্যাপ্ত থাকে।

জাপানের এটাকে খুব জটিল ফিচার সমন্বয়ে তা করা হয়, যাতে ভিক্টিমের মেশিনকে তারা স্ক্যান করে নিতে পারে। মেশিনের নিরাপত্তা সরিয়ে নিতে পারে এবং এটাককে পরিবর্তনও করতে পারে। এনক্রাইপশন ও ডিজিটাল সিগন্যাচার ব্যবহার করে ক্লায়েন্ট এবং কমান্ড ও কন্ট্রোল সার্ভারের সাথে তারা যোগাযোগ করে।

http://www.cio.com/article/3021783/security/rovnix-malware-shifts-focus-to-japan-says-ibm.html

Hyatt Hotels এর পেমেন্ট কার্ড সিস্টেম ২৫০ লোকেশনে হ্যাকিং-এর শিকার (Hyatt hackers hit payment processing systems, scooped cards used at 250 locations)

Hyatt Hotels এর পেমেন্ট কার্ড এবার হ্যাকিং-এর শিকার হলো। হ্যাকাররা পঞ্চাশ দেশের Hyatt Hotels এর ২৫০ হোটেল লোকেশনে এ আক্রমণ চালায় মূলত তাদের পেমেন্ট কার্ড ডিটেইলের ওপর। এতে কোম্পানির পেমেন্ট প্রসিডিউর ম্যালওয়্যারের খপ্পরে পরে ইনফেক্টেড হয়।

Hyatt Hotels কতৃপক্ষ এই ডাটা breach এর কথা ঘোষণা করে ডিসেম্বরে এবং তারা ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। সম্প্রতি, তারা হ্যাকিং-এর শিকার সব হোটেল শাখার তালিকা প্রকাশ করছে। এতে দেখা যায় গত ১৩ আগস্ট থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব লোকেশনে আক্রমণের ঘটনা ঘটে।

হ্যাকিং-এর শিকার বেশির ভাগ কার্ডই কমপ্রোমাইজড হয়েছে রেস্ট্যুরেন্টে। কিছু অংশ আক্রান্ত হয়েছে স্পা, গলফ শপ, কার পার্ক, ফ্রন্ট ডেস্ক এবং সেলস অফিসে।

ম্যালওয়্যারটি ইনস্টল করা হয়েছিলো- কোম্পনির সেসব কম্পিউটারে যেখানে পেমেন্ট ক্যাপচার করা হতো। পেমেন্ট কার্ড এর বিস্তারিত; যেমন- কার্ড হোল্ডারের নাম, কার্ড নম্বর, মেয়াদ শেষের তারিখ এবং ভেরিফিকেশন কোড – এসবই শিকার হয়েছে হ্যাকিং-এর।

কোম্পানিটি এখন কাস্টমারদের কে ইমেইল ও মেইলিং ঠিকানায় নোটিফিকেশন পাঠানোর প্রক্রিয়ায় আছে। আক্রান্ত কাস্টমারগণকে এক বছরের জন্য সাবস্ক্রিপশন অফার করা হচ্ছে আইডেন্টিটি ও ফ্রড প্রটেকশনের বিষয়ে। এই সার্ভিস ব্যবস্থাপনায় থাকবে – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক CSID. আর কাস্টমারগণ পাবেন এটা বিনা মূল্যে।

Hyatt Hotels কতৃপক্ষ থার্ড পার্টি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের সাথে কাজ করছে এই নিরাপত্তা ভঙ্গের বিষয়ে জানার জন্য এবং ভবিষ্যতে আর যেনো তা ঘটতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।

Hyatt Hotels হলো সর্বশেষ হ্যাকিং-এর শিকার এ ধরনের কোম্পানি যারা ম্যালওয়্যার এর মাধ্যমে পেমেন্ট সিস্টেমে এটাকের ফাঁদে পড়ে। এ সেক্টরের অন্যান্য কোম্পানি যারা আগে এ ধরনের ঘটনার শিকার হয় তাদের মধ্যে রয়েছে- Hilton Worldwide, Mandarin Oriental and Starwood Hotels & Resorts Worldwide.

http://www.cio.com/article/3023201/hyatt-hackers-hit-payment-processing-systems-scooped-cards-used-at-250-locations.html

হ্যাকারদের টার্গেটে মার্কিন গোয়েন্দা পরিচালকের একাউন্ট (US intelligence director’s accounts next on the hacking block)

সিআইএ পরিচালকের ইমেইল একাউন্ট হ্যাক হবার কয়েক মাস পরেই, হ্যকাররা এবার তাদের দৃষ্টি দিয়েছে মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এর পরিচালক James Clapper এর ব্যক্তিগত অনলাইন একাউন্টের দিকে।

যে হ্যকাররা গতবছর সিআইএ পরিচালক John Brennan এর একাউন্ট breach করেছিলো, তারাই এখন দাবি করেছে যে, তারা এবার James Clapper এর একাউন্টের বেশ কিছু অংশে ঢুকে পড়তে পেরেছে। এর মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত ইমেইল, ইন্টারনেট ও ফোনের বিষয়ও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, হ্যাকাররা সেটিংস পরিবর্তন করে James Clapper এর বাড়িতে করা ফোনকলগুলো Free Palestine Movement এ ফরওয়ার্ড করে রেখেছে।

ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এর পরিচালক James Clapper এর দফতরের মুখপাত্র Brian Hale সম্প্রতি জানান যে, বিষয়টি সম্পর্কে তারা সতর্ক আছেন এবং তা যথাযথ কতৃপক্ষকে জানানোও হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।

হ্যাকিং-এর এই অভিযোগ আর যাই হোক এটা প্রমাণ করছে যে, হ্যাকারদের টার্গেট এখন মার্কিন উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তাগণ। গত অক্টোবরে John Brennan এর ব্যক্তিগত AOL account হ্যাকিং-এর বিষয়টি জানাজানি হবার আগে Department of Defense রাশিয়ান হ্যাকারদেরকে দায়ী করে বলেছিলো যে, এটা malicious code কোড সম্বলিত ইমেইল ক্লিকের মাধ্যমে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কমপ্রোমাইজের মাধ্যমে এটা হয়েছে।

John Brennan সেই হ্যাককে উল্লেখ করেন "outrage" হিসেবে, যা গোয়েন্দা বিভাগ এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার চ্যালেঞ্জগুলোকেই হাইলাইট করেছে। তিনি এক গোয়েন্দা সম্মেলনে বলেন, এই ঘটনা আমাদের জানান দিয়ে যায় যে, যারা ক্ষতি করতে চায় তাদের কাছে মানুষ কতো অরক্ষিত ও অসহায়। আমাদের সত্যিকার অর্থেই এ সকল ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে হবে।

নিরাপত্তা বিষেষজ্ঞগণ এ ধরনের এটাককে এক ধরনের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে উল্লেখ করেন যেখানে অনধিকার প্রবেশকারীগণ নানান ছুতোয় ঢুকে যাবার প্রয়াস চালায়। কিন্তু নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টগণ এ সকল হ্যাকারদের পথে বাধার সৃষ্টি করতে পারেন।

 

http://www.cnet.com/news/us-intelligence-directors-accounts-next-on-the-hacking-block/

সাইবার আক্রমণের আশঙ্কাঃ হ্যাকারদের টার্গেট আগামি বছরের মার্কিন নির্বাচন (Cyberattack prediction: Hackers will target a U.S. election next year )

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ Bruce Schneier আগামি বছর মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরে বড় ধরনের সাইবার আক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এই আক্রমণ ভোটিং সিস্টেমকে আঘাত করবে না, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও হয়তো নাক গলাবে না। এর লক্ষ্য হবে আরো গভীর। ষ্টেট বা স্থানীয় জাতিভেদকে ঘিরে।

Schneier বলেন, “এটি এমন হ্যাকিং হবে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে। আক্রমণকারীরা প্রার্থীদের ওয়েবসাইট এটাক করতে পারে, তাঁদের ইমেইল আর সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট হ্যাক করতে পারে।“

তাঁর মতে, তথ্য উপাত্ত নিরাপত্তা ও প্রাইভেসির বিষয়গুলো এখন বেশি করে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ঢুকে পড়ছে এবং ক্রমশ হ্যাকারদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এসব আক্রমণের মধ্যে আভ্যন্তরীণ সনি ইমেইল ফাঁস (যা মার্কিন সরকার দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে লিঙ্ক করেছে) এবং সৌদি আরব ও ইরান বিষয়ক পররাষ্ট্র দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে।

ইতোমধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ তথ্য উপাত্ত নিরাপত্তা ইস্যুতে বিপরীতমুখী নীতি অবলম্বন করেছে। গত অক্টোবরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অফশোর ডাটা নিরাপত্তা বিষয়ে সেফ হারবার এগ্রীমেন্ট (Safe Harbor agreement) নাকচ করে দিয়েছে। বলেছে যে, এটা যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব শীঘ্রই Cybersecurity Information Sharing Act পাশ করতে যাচ্ছে।

আইনী ও পাবলিক –রিলেশনের বিষয়ে ঝুঁকি কিছু এন্টারপ্রাইজকে তাঁদের ডাটা নিয়ে (তথ্য উপাত্ত) আবার ভাবতে বাধ্য করছে। কমপ্লায়েন্সের মতো এটিও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এখন। কিছু কোম্পানি প্রথম দিকে কিছু ডাটা না রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। তাঁর মতে, ছোট খাটো বা অল্প তথ্য কাস্টমারের জন্য উপকারী। অনেক ডাটা বা তথ্য-আধিক্য প্রয়োজন নেই।

এখন পর্যন্ত, অন্তত একটি বিষয়ে উন্নতি হচ্ছে- অধিক হারে ডাটা এনক্রাইপ্ট হচ্ছে এখন যা ব্যবহারকারীর কাছে দৃষ্টিগোচর হয় না। উদাহরণ স্বরূপ, জিমেইল ট্রাফিককে ইউজার ডিভাইস থেকে এনক্রাইপ্ট করে গুগুল সার্ভারে পাঠায় – আলাদা করে গুগল আর অন্যান্য কোম্পানির ডাটা সেন্টারে।

এটা অনেক শক্তিশালী। যদিও এনক্রাইপশন ভাঙ্গার পথ আছে। তবু সব আক্রমণকারী এটা পারে না বা করতে প্রয়াসী হয় না। তাই এ থেকে ভালো নিরাপত্তা পাওয়া যাচ্ছে।

http://www.cio.com/article/3016835/security/cyberattack-prediction-hackers-will-target-a-us-election-next-year.html

বিদেশে মেডিকেলে পড়তে গেলেন আড়াই শয়ের বেশি শিক্ষার্থী

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রচুর শিক্ষার্থী বিদেশে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করতে যান। বিশেষ করে মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমান ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে। এবারো বেশ কিছু শিক্ষার্থী সেই ধারাবাহিকতায় মেডিকেলে পড়ার উদ্দেশ্যে বিদেশ যাওয়ার জন্য সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২৫৬ জন শিক্ষার্থী বিদেশে যাওয়ার জন্য সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছেন।

বর্তমানে বিশ্বের যে কোন দেশে মেডিকেল বিষয়ে পড়াশোনা করতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) থেকে প্রি-অ্যালিজিবিলিটি (যোগ্যতা) সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে।আগে শিক্ষার্থীরা একসময় যে কোন প্রকারের পাসের শিক্ষাগত যোগ্যতাটুকু থাকলেই বিদেশের মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারতো। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে তারা দেশে ফিরে প্র্যাকটিসের জন্য আবেদন করে নিবন্ধন নিতেন। এ পদ্ধতিতে মান নিয়ন্ত্রণ কষ্টসাধ্য ছিল। তাই বিএমডিসি থেকে প্রি-অ্যালিজিবিলিটি নেয়ার এই পদ্ধতি চালু হয় বলে জানান বিএমডিসির রেজিষ্ট্রার ডা. জাহেদুল হক বসুনিয়া। কোন শিক্ষার্থী প্রাক সার্টিফিকেট ছাড়া বিদেশের মেডিকেলে পড়াশোনা করে পাস করলেও বিএমডিসি তাকে নিবন্ধন প্রদান করবে না বলে তিনি জানান।২০১১ সালে বিএমডিসি নতুন নিয়ম চালু করেছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী দেশীয় মেডিকেলে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের যে ধরনের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা (জিপিএ ৮) কিংবা সমমানের যোগ্যতা থাকতে হয়, বিদেশের মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদেরকেও ন্যূনতম জিপিএ সে রকম থাকতে হবে।

campuslive24.com ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল বায়োমেডিকেল রিসার্চ সম্মেলন Biomedical research conference in JU

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় গবেষণা ও প্রশিক্ষণের সুযোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেকারনেই ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বায়োমেডিকেল রিসার্চ সম্মেলন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের Higher Education Quailty Enhencement Project (HEQEP) এর আয়োজনে ‘বাংলাদেশের সমসাময়িক বায়োমেডিকেল রিসার্চ (contemporary biomedical research in bangladesh) শীর্ষক এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে ।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে সভাপতি ছিলেন প্রফেসর ড. সাবির হোসেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম।উদ্বোধনী ভাষণে তিনি স্বাস্থ্য-ব্যবস্থাপনায় biomedical research এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. এম আনোয়ার হোসেন সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. আবুল হোসেন, প্রকল্প পরিচালক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহান্ত এনডিসি, জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. আবদুল জব্বার হাওলাদার ও প্রকল্পের ম্যানেজার প্রফেসর ড. সোহেল আহমেদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানের সায়েন্টিফিক সেশনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রফেসর ড. শরীফ আক্তারুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এস. এম বদিয়ার রহমান, প্রফেসর ড. মো. শাহাদাত হোসেন, প্রফেসর ড. মো. নজিবুর রহমান, ড. নুরুল করিম, ড. ফারহা মতিন জুলিয়ানা, ও ড. মো. মেসবাহ উদ্দিন আনসারী প্রমুখ।

উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা সংশ্লিষ্ট এমন সম্মেলন দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে- এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম ও জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সাইবার গেমিং কন্টেস্ট Cyber gaming contest held in sylhet leading university

গেমিং তরুণ প্রজন্মের অনেকেরই দৈনন্দিন জীবনের সাথে নিবিড়ভাবে মিশে আছে, আর আমাদের দেশের তরুণদের উদ্ভাবনী দক্ষতায় গেমিংএর ক্ষেত্রটি বিকশিতও হচ্ছে দিন দিন। সেই ধারাবাহিকতায়ই গত ৩০ এবং ৩১ ডিসেম্বর দু'দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ‘সাইবার গেমিং কনটেস্ট ২০১৫ । আয়োজনে ছিল সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ইলেক্ট্রনিক্স ক্লাব অব লিডিং ইউনিভার্সিটি।

দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এই উৎসবের সমাপনী দিনে পুরস্কার বিতরনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন গেমিং কনটেস্ট এর আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এস. এম সাইফুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসাবে এখানে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড.মোঃ কবির হোসেইন। প্রফেসর ড.মোঃ কবির তাঁর বক্তব্যে বলেন, এ ধরনের বৃহৎ আয়োজন শিক্ষার্থীদের মেধার উৎকর্ষ সাধনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, ইউনিভার্সিটির রেজিষ্ট্রার লেঃ কর্নেল (অবঃ) মুনির আহমেদ কাদেরী ও ইইই বিভাগের প্রভাষক মিনহাজ জামান লস্কর প্রমুখ।

উৎসবমুখর এই গেমিং কনটেস্টে লিডিং ইউনিভার্সিটি ছাড়াও অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট) , শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটি, এমসি কলেজ, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি, বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ কলেজ,মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার ছিল সমাপনী দিন, এদিনে সিলেটের মিরাবাজারস্থ হোটেল সুপ্রিমে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী উৎসবে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।

কালের কণ্ঠ ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।

অর্থ-বছর ২০১৫- ভালো কাটে নি টুইটারের । Twitter’s Fiscal 2015: Up, Flat, And Down

 অর্থ-বছর ২০১৫- ভালো কাটে নি টুইটারের

(Twitter’s Fiscal 2015: Up, Flat, And Down)

 

২০১৫ সালটি খুব ভালো কাটাতে পারেনি টুইটার। এবছর বিশ্বের বিখ্যাত সামাজিক কোম্পানিটি প্রথমে অর্থনৈতিক উন্নতি, পরে নিম্নগামিতা এবং বছরের শেষের দিকে শেয়ার মূল্যমানের পতনের মুখোমুখি হয়।

কোম্পানিটি তাদের শক্ত আর্থিক সক্ষমতা ধরে রাখতে পারে নি। ব্যবহারকারী বাড়ানোর প্রয়াসও তেমন সফল হয় নি। নতুন সি ই ও নিয়োগ দেয়া হলেও প্রত্যাশা মাফিক উন্নতি সম্ভব হয় নি; বিশেষ করে অডিয়েন্স বাড়ানোর ক্ষেত্রে।

কোম্পানির শেয়ার মূল্যমানের অবনতি, টুইটারকে সকল সময়ের চেয়ে খারাপ অবস্থানে নিয়ে এসেছে।

টুইটারের আর্থিক অবস্থাঃ

২০১৫ সালের আর্থিক সক্ষমতা এক নজরেঃ

  • প্রথম কোয়ার্টার ২০১৫- ৪৩৬ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছর একই সময়ের ৭৮ শতাংশ।
  • দ্বিতীয় কোয়ার্টার ২০১৫- ৫০২ মিলিয়ন ডলার, যা আগের  বছর একই সময়ের ৬১ শতাংশ।
  • তৃতীয় কোয়ার্টার ২০১৫- ৫৬৯ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছর একই সময়ের ৫৮ শতাংশ।

টুইটারের ব্যবহারকারীতে নিম্নগামিতাঃ

২০১৫ এর দ্বিতীয় কোয়ার্টারে, টুইটারের নতুন সি ই ও জ্যাক ডোরসে একটি ছোট বিবৃতিতে তাদের চ্যালেঞ্জের কথা বলেন, “ আমাদের কিউ২ রেজাল্ট আর্থিক দিক দিয়ে ভালো প্রগ্রেস দেখাচ্ছে। কিন্তু  অডিয়েন্স গ্রোথ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই।“

সি ই ও’র এক বক্তব্যে, টুইটারের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক  উঠে এসেছে। তা হলো – অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো দেখা গেলেও টুইটারে লগিন করা ব্যবহারকারীর সংখ্যা আশানুরূপ বাড়েনি। কোম্পানিটির মাসিক রিপোর্টে ববং দেখা গেছে আরো নিম্নগতি। কোম্পানির সক্ষমতা আর্থিক পারফর্মেন্স যেহেতু এর অডিয়েন্সের উপর নির্ভর করে, তাই এ অবস্থা ইনভেস্টরদের মধ্যে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে দেখা যায়।

টুইটার নতুন নতুন প্রডাক্ট নিয়ে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে- কীভাবে ব্যবহারকারীর এঙ্গেইজমেন্ট বাড়ানো যায়। আরো কিছু পদক্ষেপ নেয়া যায় এর বটম লাইনের উন্নতির জন্য। কোম্পানিটি তাদের এডভারটাইজিং প্রোডাক্টের উন্নতি করতে পারে, অথবা নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে আসতে পারে কিংবা এডভারটাইজিং এর জন্য নতুন ভেন্যু বেছে নিতে পারে। এসবই শেষটায়, ব্যবহারকারী বাড়াবে এটাই প্রত্যাশা।

http://techcrunch.com/2015/12/24/twitters-fiscal-2015-up-flat-and-down/

 

 

চীন ছাড়ছে লিঙ্কডইন (LinkedIn) এর প্রতিদ্বন্দ্বী Viadeo. (LinkedIn Rival Viadeo Exits China)

চীন ছাড়ছে লিঙ্কডইন (LinkedIn) এর প্রতিদ্বন্দ্বী Viadeo

(LinkedIn Rival Viadeo Exits China)

LinkedIn  এর প্রতিদ্বন্দ্বী Viadeo চীন থেকে তাদের গুটিয়ে নিচ্ছে। ফ্রান্স- ভিত্তিক এই প্ল্যাটফর্মটি চীন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটি লাভজনক না হওয়ায়। শুধু তাই নয়, খরচ কমানোর অংশ হিসেবে তারা ক্যালিফোর্নিয়াতে তাদের ডাটা সেন্টার  বন্ধ করে দিচ্ছে। ক্লাউড-বেইজড করছে তারা সেই ডাটা সেন্টার।

কোম্পানিটি চীনে এসেছিলো আট বছর আগে যখন তারা স্থানীয় পেশাদার সামাজিক নেটওয়ার্ক () Tianji.com এর মালিকানা দখলে নেওয়ার সময়। Viadeo দাবি করে যে, Tianji.com এর প্রায় ২৫ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে। কিন্তু এটি উন্নয়ন রিসোর্স আকর্ষণ করতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। Viadeo পরিকল্পনা করেছিলো ২০১৪ সালের আই পি ও থেকে এক তৃতীয়াংশ তারা Tianji.com এর উন্নয়নে ব্যয় করবে। কিন্তু তারা পর্যাপ্ত মূলধন সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় ইনভেস্টরদের কাছ থেকে।

এক বিবৃতিতে Viadeo জানায়, “ ২০১৫ এর প্রথমার্ধে কোম্পানিটি ইনভেস্টর, ক্রেতা বা পার্টনার খোঁজে বের করার চেষ্টা করে যারা প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দিতে সক্ষম। কিন্তু চীনের পরিবর্তিত অর্থনৈতিক অবস্থা ও সংকটের জন্য সে আশা পূরণ হয় নি।“

Viadeo কতৃপক্ষ জানিয়েছে, চীন থেকে সরে যাবার পর তারা তাদের স্বদেশ ফান্সে ফোকাস করে ব্যবসা করবে। এছাড়া, ফ্রেঞ্চ ভাষাভাষী দেশসমূহে তারা তৎপরতা চালাবে এবং এতে তাদের প্রধান টার্গেট থাকবে বি২বি সেলস মডেল (B2B sales model)।

Viadeo’s foray into China খুব চমৎকার ছিল। অনেকের কাছে প্রিয় ছিলো এটি। কোম্পানিটির দ্বৈত কার্যক্রম- আন্তর্জাতিক সাইট (Viadeo.com) এবং স্থানীয় অপারেশন সাইট (Tianji.com) একটি মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়েছিলো। একই সঙ্গে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সামাজিক নেটওয়ার্কে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো।

চীনে লিঙ্কডইনের (LinkedIn) অবস্থা আবার অন্যরকম। Viadeo এর যেখানে অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থা, সেখানে লিঙ্কডইন (LinkedIn) দেখছে নতুন সফলতা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গতবছর চীনে জয়েন্ট ভেঞ্চারে নতুন সামাজিক নেটওয়ার্ক চালু করে । এর নাম Sequoia.

http://techcrunch.com/2015/12/27/linkedin-rival-viadeo-exits-china/

 

পাসওয়ার্ড ছাড়া লগিন বিষয়ে গুগলের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু । Google Begins Testing Password-Free Logins

পাসওয়ার্ড ছাড়া লগিন বিষয়ে গুগলের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু

(Google Begins Testing Password-Free Logins)

 

সম্প্রতি গুগল (Google) জানিয়েছে, তারা পাসওয়ার্ড ছাড়া গুগল একাউন্টে () লগিন করার ব্যাপারে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করছে। নতুন এই আপডেট অনুযায়ী ব্যবহারকারীগণ পাসওয়ার্ড ছাড়াই তাঁদের একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন। পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে স্মার্টফোনে এক ধরনের নোটিফিকেশন পাঠানো হবে। এটা অনেকটা ইয়াহু’র সাম্প্রতিক “একাউন্ট কী” (Yahoo’s recently launched Account Key) এর মতো।

পাসওয়ার্ড ব্যবহারের সবচেয়ে দুর্বল দিক হলো এর নিরাপত্তার বিষয়টি। কারণ অনেকেই জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন না কিংবা একই পাসওয়ার্ড বিভিন্ন একাউন্টে ব্যবহার করে থাকেন। এতে নিরাপত্তার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায় বৈকি।

Two-factor authentication সিস্টেম, যেখানে একটি গোপনীয় টোকেন টেক্সট আকারে মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে যাচাই করা হয়- তা নিরাপত্তার বিষয়টি অনেকটা শক্ত করে। কিন্তু অনেকেই এটাকে এক ধরনের অতিরিক্ত বিড়ম্বনা মনে করেন।

গুগল জানায় তাদের নতুন এই লগিন সিস্টেম সহজ ও দ্রুত কাজে সহায়ক হবে। ব্যবহারকারীকে শুধু ইমেইল এড্রেস লিখতে হবে এবং সাথেসাথেই সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর ফোনে  একটি নোটিফিকেশন চলে আসবে –“আপনি কি একাউন্টে লগিন করতে চাচ্ছেন?” শুধু “ইয়েস” বাটন চেপেই ইমেইলে লগিন করা যাবে।

যারা তাদের ফোন সব সময় কাছে রাখেন  এবং যাদের যাদের খুব জটিল ও লম্বা পাসওয়ার্ড তাদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী হবে। এই সিস্টেম একাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করবে, ফিশিং প্রতরোধ করবে।

গুগল জানায়, এই সিস্টেম এখন পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে।

ফোন চুরি হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে ফোনের স্ক্রীন লক সিস্টেম একাউন্ট লগিন থেকে বিরত রাখবে। অথবা, অন্য কোনো ডিভাইস থেকে একাউন্ট লগিন করে একাউন্ট রিমোভ করে দিতে হবে।

নতুন এই সিস্টেম চালু হলেও পাশাপাশি পাসওয়ার্ডের ব্যবহারও সচল থাকবে। কেউ ইচ্ছে করলে সেটিও ব্যবহার করতে পারবেন।

 

গুগল ইনবক্স নিয়ে এলো ছবি এটাচমেন্টের উন্নত সুবিধাসহ ভ্রমণ বান্ধব ফিচার। Google Inbox Gets Sharable Trip Bundles, Improved Photo Attachments

গুগল ইনবক্স নিয়ে এলো ছবি এটাচমেন্টের উন্নত সুবিধাসহ ভ্রমণ বান্ধব ফিচার

(Google Inbox Gets Sharable Trip Bundles, Improved Photo Attachments)

 

গুগলের জিমেইল (Gmail from Google) খুব জনপ্রিয় বিশ্বব্যাপী। জিমেইলের ইনবক্সকে (Inbox by Gmail)আরো উন্নত ও ব্যবহার বান্ধব করতে গুগল পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে, ভ্রমণ প্রিয় মানুষের চাহিদাকে সামনে রেখে গুগল তার জিমেইল ইনবক্সকে সাজিয়েছে নতুন রূপে। ওয়েব  ও মোবাইল – উভয় প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে এই সুবিধা। ট্রিপ বান্ডলের (Trip Bundle.)আওতায় ব্যবহারকারীগণ তাঁদের আসন্ন ট্রিপের ব্যাপারে বান্ডল  ইমেল পাঠাতে পারবেন এখন।

জিমেইল ইনবক্সের নতুন এই ফিচার থেকে সহজেই একাধিক (multiple) ছবি এটাচ করার সুবিধা পাওয়া যাবে। জিমেইল ব্যবহারকারীর সব ট্রিপের ইমেল একসাথে এই সুবিধার আওতায় আনতে পারবেন।

এর আগ পর্যন্ত, জিমেইলের ইনবক্সে ট্রিপ বান্ডল (Trip Bundle) থাকলেও- তা দিয়ে তেমন  কিছু করা যেতো না। এখন থেকে, আপনি এই বান্ডল নিতে পারেন এবং যে কাউকে ইমেইলে শেয়ার করতে পারেন। তাই এখন পাঁচটি ইমেইল পাঠানোর পরিবর্তে এখন একটি মাত্র ইমেইলের মাধ্যমেই কাজ করে ফেলতে পারছেন। তা হোক আপনার ফ্লাইট ডিটেল সম্পর্কে, হোটেল বা কার রিজার্ভেশন সম্পর্কে অথবা অন্যকিছু নিয়ে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার বিজনেস ট্রিপ সম্পর্কে সহজেই আপনার বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারকে আপডেটেড রাখতে পারেন।

এখন আপনি খুব সহজেই আপনার ট্রিপে ইমেইল যোগ করতে পারছেন।

মোবাইলে এই ইম্প্রোভড এটাচমেন্ট ফিচারের জন্য জিমেইল ইনবক্স এখন আপনাকে আপনার ফোন থেকে এক বা একাধিক ছবি দ্রুত এটাচ করার সুবিধা দিচ্ছে। ব্যবহারকারীগণের মধ্যে জিমেইল ইনবক্সের এই ফিচারটি nice little addition হিসেবেই দেখছেন অনেকে।

 

নতুন ড্রোন উড্ডয়নের আগে জেনে নিন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (5 things you need to know before flying your new drone)

নতুন ড্রোন উড্ডয়নের আগে জেনে নিন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

(5 things you need to know before flying your new drone)

 

আপনার স্বপ্নের ড্রোনটি ফ্লাই করার আগে জেনে নিন কিছু জরুরি বিষয় যাতে শখ পূরণ করতে গিয়ে আবার আইন ভঙ্গ করার অপরাধে জেলের ঘানী টানতে না হয়।

(১) ড্রোনটির রেজিস্ট্রেশন করে নিন (Register your drone)

আপনি জানেন কি সকল ড্রোনের রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। ২১ ডিসেম্বর ২০১৫ এর পরে ক্রয় করা ০৫৫ পাউন্ড থেকে ৫৫ পাউন্ড ওজনের সব সব ড্রোনের রেজিস্টেশন করতে হবে এটি প্রথম উড্ডয়নের আগেই। আর যেসব ড্রোন কেনা হয়েছে ২১ ডিসেম্বর ২০১৫ এর পূর্বে, সেগুলোর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে আগামি  ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।

(২) পড়ে নিন নির্দেশনা ম্যানুয়েল (Read the instruction manual)

ড্রোন উড্ডয়নের আগে  নির্দেশনা ম্যানুয়েল ভালো করে পড়ে নিন। জেনে নিন কীভাবে ড্রোন ফ্লাই করতে হয়। কী করা যাবে আর কী করা যাবে না ড্রোন চালনার সময়। এতে আপনি একজন দক্ষ ড্রোন চালক হতে পারবেন এবং আপনার ড্রোনটি সহজে নষ্ট হবে না বা ক্রাশ করবে না।

(৩) অস্বাভাবিক কিছু করবেন না (Don't be creepy with it)

ক্যামেরা সহ ড্রোন আকাশে  ছবি তোলার জন্য সত্যি দারুণ। কিন্তু এসব ড্রোন দিয়ে উপর থেকে অন্য লোকজনের উপর স্পাইং করাও খুব সহজ। প্রতবেশীদের সম্মান করুন- তাঁদের উঠান বা সুইমিংপুলের উপর উড্ডয়ন থেকে বিরত থাকুন।

(৪) আপনার ড্রোনকে কুরিয়ার বানাবেন না (Don't make your drone a courier)

আপনার ড্রোন দিয়ে কুরিয়ারের কাজ করানো থেকে বিরত থাকুন। এতে দুর্ঘটনা এবং আইন ভঙ্গ সহ অনেক জটিলতায় পড়বেন আপনি। আপনার সাধের ড্রোন নিশ্চয়ই ডেলিভারি ভ্যান নয়।

(৫) উড্ডয়ন আইন জানুন (Know the rules)

আপনি যদি বড় সড়কের উপর ড্রোন চালান, তাহলে হয়তো উদ্বিগ্ন হবার তেমন কিছু নেই। কিন্ত সীমা অতিক্রম করতে গেলেই যতো সমস্যা! আপনাকে জানতে হবে আইন সম্পকে।  Know Before You Fly  ড্রোন অপারেটরদের জন্য একটি ভালো রিসোর্স । পড়ে নিন আজই। আপনি কি জানেন, ৪০০ ফুটের বেশি উচ্চতায় ড্রোন উড্ডয়ন করা নিষেধ? কিংবা ড্রোনকে সব সময় দৃষ্টি গোচর রাখতে হবে? এ রকম আরো অনেক বিষয় আছে আপনার জানার।

নিয়ম জানুন, আইন জানুন  এবং নিরাপদ ও স্মার্ট ড্রোন চালান।

 

মেডিকেলের ইন্টার্নশিপ ২ বছর করার পরিকল্পনাঃ Govt plans internship of MBBS for two years

চিকিৎসাবিদ্যার স্নাতক পর্যায়ের পড়ালেখা সমাপ্তির জন্য ১ বছর ইন্টার্নশিপ করতে হত শিক্ষার্থীদের। হাতেকলমে প্রয়োগের জন্য অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগের জন্য বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই ইন্টার্নশিপকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। আর সেই ইন্টার্নশিপকে বাড়িয়ে দুই বছর করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার।

১৯ ডিসেম্বর শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলন হলে এ্যাসোসিয়েশন অফ পেডিয়াট্রিক সার্জন অফ বাংলাদেশের চতুর্থ বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুই বছরের ইন্টার্নশিপের বিষয়ে সম্ভবনার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'বর্তমান সরকার সর্বস্তরে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, আর সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।' অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ডাঃমোঃ আব্দুল আজিজ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডাঃ কামরুল হাসান খান, জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ শাহলা খাতুন প্রমুখ।

নতুন নিয়মে শিক্ষার্থীদের একবছর নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর একবছর নিজ গ্রামে ইন্টার্নশিপ করতে হবে।

 

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

নবকুমার ইন্সটিটিউটের শতবর্ষ উদযাপন Celebrating 100 years of Nobokumar institute Dhaka

বিশ্বের প্রাচীন শহরগুলোর অন্যতম হল ঢাকা, আর ঢাকার ঐতিহ্যবাহী অনেক প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও ঐতিহাসিক স্থান সমৃদ্ধ করেছে এর ইতিহাসকে। ঢাকার সেই ঐতিহ্যকে ধারণ করে ১০০ বছর ধরে জ্ঞানের আলোয় নাগরিক জীবনকে উদ্ভাসিত করেছে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেটি হল নবকুমার ইন্সটিটিউট। আর এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠের ১০০ বছর পূর্তি উদযাপন হয়ে গেল গত ১৯ ডিসেম্বর শনিবার।

শনিবার সকাল ৯টায় বর্ণীল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়। সকাল ১১ টায় ছিল উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। এসময় স্কুলের পতাকা উত্তোলন করেন খাদ্যমন্ত্রী ও স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ কামরুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা ৭ আসনের সংসদ সদস্য ও স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী হাজি সেলিম এমপি, বুয়েট উপাচার্য খালেদা একরাম, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, সাবেক মন্ত্রী ও স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নবকুমার ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম প্রমুখ।

জমিদার নবকুমার বাবু যে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে গিয়েছিলেন ১৯১৬ সালে, সেই প্রতিষ্ঠানে ১৯৭৩ সালে যুক্ত হয় ডঃ মোঃ শহিদুল্লাহ কলেজ। সেই নবকুমার ইন্সটিটিউট থেকে পাশ করা দেশবরেণ্য বিখ্যাত ব্যাক্তি অনেক। তাঁদের আলোচনা ও স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে বর্ণীল ও উচ্ছল এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।

 

কালের কণ্ঠ ২০ ডিসেম্বর ২০১৫
'শতবর্ষের গৌরব' নিবন্ধ ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

চুয়েটের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ঃ CUET, USA university signed deal.

বিশ্বায়নের সাথে সাথে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা অর্জন করছে বৈশ্বিক মান, আর এদেশের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের নানা দেশে তাঁদের দক্ষতা ও সৃষ্টিশীলতার স্বাক্ষর রাখছেন। সেই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(চুয়েট) ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই ইউনিভার্সিটির মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়ে গেল সমঝোতা স্মারক চুক্তির।

১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। এই সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের ভিসি প্রফেসর ডঃ জাহাঙ্গীর আলম, পুরকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ মোঃ হযরত আলী, এবং অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ।অনুষ্ঠানে চুয়েটের ভিসি প্রফেসর ডঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সমঝোতা স্মারকের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা হাওয়াই ইউনিভার্সিটির সাথে চুয়েটের শিক্ষা ও গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচিত হল। এটি চুয়েটের শিক্ষা গবেষণার চলমান অগ্রযাত্রার নতুন মাইলফলক হিসেবে থাকবে। সমঝোতা স্মারক অনুসরণে শিক্ষা গবেষণার বিনিময়ের অংশ হিসেবে আজ থেকেই হাওয়াই ইউনিভার্সিটির দুইজন খ্যাতনামা প্রফেসর চুয়েটের শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করেছেন। আগামী দিনে চুয়েট থেকেও শিক্ষক-গবেষক-শিক্ষার্থী হাওয়াই ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে গবেষণা ও শিক্ষা বিনিময়ে অংশ নিতে পারবেন।

বিশ্বায়নের এই যুগে সারা পৃথিবীর উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা পারস্পরিক সহযোগিতার উপর নির্ভরশীল, আর তথ্য ও পদ্ধতির আদানপ্রদান এই উন্নয়নমুখী স্রোতকে করেছে আরও বেগবান। আর সেই সহযোগিতা ও বিনিময়ের মহান উদ্দেশেই এই চুক্তি অনুষ্ঠিত হল, যা দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করবে বলেই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।

Campuslive24 ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির ব্যবস্থা চালু করল ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকঃ First security bank issued scholarship for DU students

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ও অসচ্ছল আবাসিক ছাত্রীদের জন্য বৃত্তি প্রদান করেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সম্মেলন কক্ষে এই বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে তিনি এই বৃত্তি প্রদানের জন্য বৃত্তিদাতা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে ১২ লক্ষ টাকার অনুদান চেক হস্তান্তর করা হয় মেধাবী ও অসচ্ছল আবাসিক ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে।

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল উইকিপিডিয়ানদের আড্ডা Get together of Wikipedians from RU

তথ্যউপাত্ত ও মৌলিক বিশ্লেষণের জন্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া, আর বিশ্বের সব দেশের মত বাংলাদেশেও উইকিপিডিয়ার তথ্য সংযোজন ও বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করছে এমন উইকিপিডিয়ান আছেন অনেকেই। সেরকমই সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

১১ ডিসেম্বর বিকেল ৫ টা থেকে ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এই আড্ডার আয়োজন করে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ, আর এ আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল রাজশাহী উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়। এই আড্ডার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল এর ১৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপনের বিভিন্ন দিক, আর এর পাশাপাশি স্কুল ও কলেজগুলোতে নিয়মিত অনুষ্ঠান আয়োজন আর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা নিয়েও আলোচনা করা হয় এই আড্ডায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এই আড্ডায় বিভিন্ন নিবন্ধ বিশ্লেষণ করে ভাল নিবন্ধ নির্বাচন করা হয়। এছাড়াও আলোচকরা বিষয়ভিত্তিক নিবন্ধের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, জেলাভিত্তিক উৎসাহমূলক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি নিয়মিত আয়োজনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

উইকিপিডিয়া নির্ভরযোগ্য তথ্য ও বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে বিশ্বসেরা মুক্ত বিশ্বকোষ, এই বিশ্বকোষের তথ্য সমৃদ্ধিতে যদি আমাদের তরুণ প্রজন্ম এমন স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবদান রাখতে পারে, আর নিজেদের যোগাযোগ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এমনভাবে নিজেদের ভাষাকে সমৃদ্ধ ও বিশ্বজুড়ে প্রচলিত রাখতে পারে, তা হবে আমাদের সবার প্রাপ্তি। তাই এধরণের অনুষ্ঠান নিয়মিত আয়োজিত হোক, এটিই সংশ্লিষ্ট সবার প্রত্যাশা।

 

Campuslive24 ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হল বিজয় দিবস Victory day celebrated at Sylhet agricultural university

মহান বিজয় দিবস আমাদের অস্তিত্বের নিদর্শন, আর জাতীয় জীবনেও এই দিবস রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। আর তাই ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে বিজয় দিবস বাঙালি জাতির সত্ত্বাকে আলোড়িত করে বিজয় আনন্দের আবর্তে। সেই অনুভূতি নিয়েই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হয়ে গেল মহান বিজয় দিবস ২০১৫।

১৬ ডিসেম্বর সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদযাপনের সূচনা হয়। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডঃ মোঃ গোলাম শাহি আলম , বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে সকাল সাড়ে ৮ টায় শুরু হয় বিজয় শোভাযাত্রা। এই বিজয় শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে নির্মাণাধীন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষ হওয়ার পর শহীদদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডঃ মোঃ গোলাম শাহি আলম, রেজিস্টার মোঃ বদরুল ইসলাম, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি, ডিন কাউন্সিল, প্রভোস্ট কাউন্সিল, প্রোক্টর কার্যালয়,বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ, শিক্ষক সমিতি,গনতান্ত্রিক শিক্ষক সমিতি,ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও হল শাখা, সকল অনুষদীয় ছাত্র সমিতি, কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সঙ্ঘ, বিনোদন সঙ্ঘ, সাংবাদিক সমিতি, সাদা দল, প্রাধিকার, একুশ, আঞ্চলিক সমিতি, অফিসার্স পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ, বিভিন্ন আবাসিক হল ও অন্যান্য সংস্থার পক্ষ থেকে এই শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিজয় শোভাযাত্রা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডঃমৃত্যুঞ্জয় কুণ্ডু। মহান বিজয় দিবস ও এর তাৎপর্য, স্মৃতিচারণ ও অন্যান্য দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন বক্তারা।

আয়োজনের পরবর্তী অংশে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিনোদন সঙ্ঘ ও কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সঙ্ঘের পরিবেশনা,প্রীতি ভলিবল, শিশুকিশোরদের দৌড় প্রতিযোগিতা, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে পিলো পাসিং প্রতিযোগিতা ইত্যাদিও অনুষ্ঠিত হয়।

বিজয় দিবস আমাদের অহংকার। আমাদের অস্তিত্ব ও সত্ত্বার সাথে মিশে আছে এই বিজয় গাঁথা। আর সেই বিজয় দিবসে নতুন প্রজন্মের উদ্যম ও আনন্দমুখর উৎযাপন আরও প্রাঞ্জল হয়ে রবে, এই প্রত্যাশা সকলের।

Campuslive24 ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

ঢাকায় তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিপিও কনফারেন্স। BPO conference held in Dhaka

তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের সাথেসাথে মুক্ত পেশাজীবী বা ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যাও বাড়ছে। দেশের শিক্ষিত বেকার যুবক শ্রেণী এমনকি পড়াশোনার পাশাপাশিও অনেক শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে যুক্ত থেকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনের পথ সুগম করে কাজ করছেন। সেই প্রবণতাকে আরও এগিয়ে নিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিজনেস প্রসেসিং আউটসোর্সিং বা বিপিও সম্মেলন ২০১৫। গত ৯ ও ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এই সম্মেলনের আয়োজনে ছিল সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ(আইসিটি) ও ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং’ এর উদ্যোগে আয়োজিত হয়ে যাওয়া এই সম্মেলনের শেষ দিনে মোট সাতটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১০ তারিখে) অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ টু ড্রাইভ বিপিও ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক সেমিনার। সেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং’এর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ বর্তমানে দেশের বিপিও খাতে ২৫ হাজার লোক কাজ করছে। তরুণরা এগিয়ে এলে ২০২১ সালের মধ্যে এই খাতে দুই লক্ষ লোক কাজ করতে পারবে’।

এছাড়াও বৃহস্পতিবার ছিল ‘গ্লোবাল বিপিও ইন্ডাস্ট্রি বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক সেমিনার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি সহ সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে’। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির, অগমেডিক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্রী দয়া সিং, এক্সচেঞ্জার জাপানের সাবেক চেয়ারম্যান ক্লাইডি উনোসহ আরও অনেকে। মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সারা বিশ্বে বিপিও একটি বড় খাত। এখানে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে’।

উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে তার জনগনের কর্মদক্ষতা ও সচেতনতার উপর। ফ্রিল্যান্সিং তরুণ প্রজন্মের সামনে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ, সেইসাথে অর্থনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। আর তাই এই ধরনের সম্মেলন তরুণ প্রজন্মের আগ্রহের শীর্ষে থাকে, হয়ে উঠে অনুপ্রেরণার উৎস। ভবিষ্যতেও এই ধরণের সম্মেলন দেশের তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের অনুপ্রাণিত করবে, এটিই প্রত্যাশা সবার।

 

তথ্যসূত্র : (প্রথম আলো, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাতা পৃষ্ঠা ১৪, বিপিও খাত) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।

দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী। Anti corruption cartoon and photography contest held in Dhaka.

উন্নয়নশীল দেশের অনেক সমস্যার অন্যতম হল দুর্নীতি, আর এই দুর্নীতিকে রুখতে বিশ্বজুড়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০১৫। ৯ ডিসেম্বর উদযাপিত হয়ে যাওয়া এই দিবস উপলক্ষে ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতা ২০১৫’ ও ‘দুর্নীতি বিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী ২০১৫’। এছাড়াও ‘জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন’ নিয়ে বিশেষ কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শিল্পের সাথে সত্যের সম্পর্ক নিবিড়’, শিল্পকে একই সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠও হতে হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হ্যান ফুগল এসকেয়ার ও সুইডিশ ডেভলাপমেন্ট কো অপারেশন এজেন্সির কারিন ম্যাকডোনাল্ট, শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য, কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব, আলোকচিত্রী আবীর আব্দুল্লাহ সহ আরও অনেকে।

কার্টুন বিভাগ থেকে ১৯ জনকে বিশেষ মনোনয়ন দেয়া হয়। এর মধ্যে ‘জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন’ বিষয়ক কার্টুন প্রতিযোগিতাটি প্রথমবারের মত আয়োজিত হল। এতে ৬ জনকে বিশেষ মনোনয়ন দেয়া হয়। এ প্রতিযোগিতায় জমা পড়েছিল ৭৯টি কার্টুন।

আলোকচিত্র বিভাগ থেকে ১৬ জন আলোকচিত্রীকে বিশেষ মনোনয়ন দেয়া হয়। এ প্রতিযোগিতায় মোট ১০৯টি আলোকচিত্র জমা পড়েছিল।

 

তথ্যসূত্র : (প্রথম আলোর ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্টুন আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

ফ্রিল্যান্সারস মিট ২০১৫। freelancer’s meet 2015

গত ৮ ডিসেম্বর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ফ্রিল্যান্সার’স মিট ২০১৫।

কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য স্বল্পমূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা দিতে বিশেষ কার্ড দেয়া হবে। এতে অল্প খরচে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা পাবে ফ্রিল্যান্সাররা। এবিষয়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারদের সাথে চুক্তি করা হচ্ছে। এছাড়াও নারী ফ্রিল্যান্সারদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণের উপর জোর দেন তিনি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকারের ‘আর্ন এন্ড পে’ নামের নতুন কর্মসূচীর মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেস এলায়েন্স(উইটসা) প্রেসিডেন্ট সান্তিয়াগো গোতিয়ারেজ, ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান সবুর খান প্রমুখ। ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্যে ফ্রিল্যান্সারদের বিপুল সংখ্যক ভেঞ্জার ক্যাপিটাল গড়ে তুলার ক্ষেত্রে আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানটিতে প্রচুর সংখ্যক তরুণ ও উদীয়মান ফ্রিল্যান্সার অংশগ্রহণ করেন। এই অনুষ্ঠানে ৭৭ জন ফ্রিল্যান্সারকে বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার দেয়া হয়।

ফ্রিল্যান্সিং নতুন প্রজন্মের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আর সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সেই অগ্রযাত্রায় যোগ হবে নতুন মাত্রা। বেকারত্ব দূরীকরণ আর পরনির্ভরতাকে দূরে ঠেলে আমাদের নতুন প্রজন্ম ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে এগিয়ে যাবে, এই প্রত্যাশা সকলের।

 

তথ্যসূত্র : (স্বল্পমূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট পাবেন ফ্রিল্যান্সাররাঃ পলক, প্রযুক্তি প্রতিদিন, সমকাল, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কুইজ ফেস্ট ২০১৫ । Quiz fest 2015 held in dhaka university.

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইজ সোসাইটির উদ্যোগে ২৬ থেকে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কুইজ ফেস্ট ২০১৫।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ডঃ শহীদ আখতার হোসেন এবং জিয়া হলের প্রভোস্ট ও ক্রিমিনলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ জিয়া রহমান অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন। ৩৮টি দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার শেষ দিনে টিএসসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয় পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ। রানারআপ হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃ আআ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডঃ তপন দে রোজারিও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইজ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা সুমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স সহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুইজ সোসাইটির সভাপতি মোঃরেজাউল। অনুষ্ঠানটির টাইটেল স্পন্সর ছিল প্রাণ মিঃম্যাঙ্গো, প্লাটিনাম স্পন্সর ছিল তমা গ্রুপ, আর আদর্শ প্রকাশনী ছিল এর বুক পার্টনার।

সৃজনশীলতা ও মেধা বিকাশের জন্য কুইজ ফেস্ট রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আর সৃজনশীল ও বিশ্লেষণী দক্ষতা বৃদ্ধির এমন অসাধারণ আয়োজন নিয়মিতভাবেই আয়োজিত হবে,এই প্রত্যাশা সকলের।

 

তথ্যসূত্র : (daily star ‘shout’,DUQS organises Quiz fest, 3december 2015) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল যৌন নিপীড়নবিরোধী উদযাপন (Rally at jahangirnagar university)

সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশে সবার আগে ভুমিকা রাখে ছাত্রসমাজ। আর অন্যায় ও নির্যাতন, অশোভন প্রতিক্রিয়া ও নিপীড়নের প্রতিবাদও সবার আগে করে তারাই। সেই ধারাবাহিকতায়ই গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল যৌন নিপীড়নবিরোধী সচেতনতামূলক মিছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের আয়োজনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হওয়া এই মিছিলের উদ্বোধন করেন ভিসি প্রফেসর ডঃ ফারজানা ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, নারীকে নারী নয় বরং মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। নিজের কারণে যেন অন্য কারো দুর্ভোগ বা ভোগান্তি সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। একে অপরের সম্মান ও আত্মমর্যাদার প্রতি আমাদের অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হয়ে যাওয়া এই মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি প্রফেসর ডঃ আবুল হোসেন, ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ডঃ রাশেদা আখতার ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগন।

বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সচেতন ও সোচ্চার হতে হবে সবাইকে, আর সহমর্মিতার ভিত্তিতে সুন্দর সমাজ গড়তে এই সহনশীলতার বিকল্প নেই। তারই আলোকে যৌন নিপীড়নবিরোধী এই সচেতনতামূলক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রীতির এমন দৃষ্টান্ত ভবিষ্যতেও সমুজ্জ্বল থাকবে, এমনটিই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।

রুয়েটে হতে যাচ্ছে গ্রিন ব্রেইন প্রতিযোগিতা (Green brain contest to be held at RUET)

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েটে) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “গ্রিন ব্রেইন প্রতিযোগিতা”। আমেরিকান সেন্টার(ঢাকা) এর আয়োজন সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হবে দুইদিন ব্যাপী এই প্রতিযোগিতা। ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। আইইই রুয়েট স্টুডেন্ট শাখার আয়োজনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ৪টি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগীরা এতে অংশ নিতে পারবেন, প্রকল্প প্রদর্শনী, আইডিয়া কনটেস্ট, পোস্টার ডিজাইন, আর প্রবন্ধ রচনা। প্রতি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের জন্য থাকবে এক লাখ টাকা প্রাইজমানি, সনদপত্র ও ক্রেস্ট। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ও সমাপনি পর্বে রুয়েটের ভিসি প্রফেসর ডঃ মোঃ রফিকুল আলম বেগ, আমেরিকান সেন্টারের সংস্কৃতিবিষয়ক কর্মকর্তা জর্জ মেসথস সহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উইকিপিডিয়ার উপর কর্মশালা (Wikipedia workshop at begum rokeya university)

তথ্যউপাত্তের নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে সারা বিশ্বে সমাদৃত মুক্ত বিশ্বকোষ হল উইকিপিডিয়া। আর এই বিশ্বকোষে বাংলা ভাষার তথ্যভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার উদ্দেশে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল উইকিপিডিয়া কর্মশালা। গত ২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৪এ উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ এর পরিচালনায় এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। এর আয়োজনে ছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উইকিপিডিয়া কমিউনিটি। কর্মশালায় সভাপতি ছিলেন এনামুল হক বিপ্লব। তিনি তাঁর বক্তব্যে উইকিপিডিয়ার সঠিক বক্তব্য তুলে ধরার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গাজী মাজহারুল আনোয়ার।বিশেষ অতিথি ছিলেন আ ফ ম নাজমুল আহসান সজীব। তিনি তরুণ সমাজের অবদানের মাধ্যমে উইকিপিডিয়ায় বাংলা ভাষা আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বকুল কুমার চক্রবর্তী, ইসমিতা তাসনিম, এবং উইকিপিডিয়া কমিউনিটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যবৃন্দ।কর্মশালায় ঢাকা থেকে আগত প্রশিক্ষকগণ ৬০ জন শিক্ষার্থীকে উইকিপিডিয়ায় নতুন শব্দ(বাংলা শব্দ) সংযোজন ও ভুল সংশোধন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।

আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির মূলে আছে বাংলা ভাষা, আর বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মুক্ত বিশ্বকোষে আমাদের প্রিয় এই ভাষার অবস্থান সুসংহত করার জন্যই ছিল এই কর্মশালার আয়োজন। এতে অংশ নিতে পেরে তাই আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। ভবিষ্যতেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য এমন মহৎ উদ্যোগ নেয়া হবে, এটিই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল গনিত অলিম্পিয়াড (Math Olympiad at khulna university)

মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রা ও বিকাশে যে কয়েকটি বিষয়ের জ্ঞান অবদান রেখেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হল গনিত, আর এই গনিতের অনুশীলন ও প্রয়োগ সৃষ্টি করে যুক্তিশীল প্রবণতার।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৪ ডিসেম্বর হয়ে গেল ৭ম জাতীয় স্নাতক গনিত অলিম্পিয়াড ২০১৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের উদ্যোগে একাডেমিক ভবন ১ ইউআরপি ডিসিপ্লিনের লেকচার থিয়েটারে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার মধ্য দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গনিত বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডঃ মোঃ হায়দার আলী বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ডঃ মোঃ ইসমত কাদির, অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৭ম জাতীয় সম্মেলন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও বুয়েটের প্রফেসর ডঃ মনিরুল আলম সরকার এবং প্রফেসর ডঃ মোঃ আব্দুল হাকিম খান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন, মানব জীবনই একটা হিসাব, আর তাই গনিত এমন একটি বিষয় যে পরিবার থেকে শুরু করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে গণিতের প্রভাব আছে।

অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্বে ছিল গণিতের বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা, বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ, মতবিনিময় ইত্যাদি।

গণিত আমাদের জীবনে যুক্তিশীলতা ও যুক্তিবাদিতার শিক্ষা দেয়, শিক্ষা দেয় সহনশীলতার। যুক্তিশীল ও পরিমিত আচরণের আবর্তে বাঁধা নিয়মতান্ত্রিক জীবন পেতে গণিত আমাদের সহায়তা করে। আর তাই এধরণের গণিত অলিম্পিয়াড আমাদের শিক্ষাক্ষেত্র ও প্রায়োগিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এটিই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হল স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস (Universal health coverage day at BRAC university)

গত ১২ ডিসেম্বর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়ে গেল স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস।‘সবার জন্য স্বাস্থ্য, সঠিক,প্রয়োগোপযোগী, বিলম্বিত’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এই উৎযাপন সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ।দিবসটি উপলক্ষে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর থেকে জাতীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।এরপর রাজধানীর মহাখালীস্থ জেপিজিএসপিএইচ(জেমস পি গ্র্যান্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ)এর মূল চত্বরে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

ব্র্যান্ড উইটজ ২০১৫ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ চ্যাম্পিয়ন (Brand witz 2015:DU IBA champion)

নভেম্বরের ৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ব্র্যান্ড উইটজ ২০১৫ প্রতিযোগিতার মূলপর্ব। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ব্যবসায় শিক্ষা শিক্ষার্থীদের ব্যবসা বিষয়ে পরিকল্পনা ও ধ্যানধারণা প্রকাশের উৎসব হল এই প্রতিযোগিতা। এবছর প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল নাগরিক সেবা প্রদানে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তি।ব্যবসায় শিক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য এই বিশাল ইভেন্ট আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর কমুনিকেশন ক্লাব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘এক্সেস টু ইনফরমেশন’ অর্থাৎ এটুআই প্রকল্প, যৌথভাবে। প্রথম আলো পত্রিকা ও আইবিএ এলমনাই এসোসিয়েশন প্রতিযোগিতার সহযোগী ছিল, রেডিও সঙ্গী ছিল এবিসি রেডিও।

প্রতিযোগিতার মূলপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয় আইবিএর টিম ‘ প্রোজেক্ট ২২’ আর রানার আপ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ‘ আভান্ট গার্ড’ নামের আরেকটি দল। প্রথম রানারআপ হয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেসনালস(বিইউপি)এর টিম, ৩৬০ ডিগ্রী। বিজয়ী দলগুলো পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননা।

অনলাইন আবেদনের ভিত্তিতে সারা দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ৪৮টি দলকে প্রথম রাউন্ডে ইস্যুভিত্তিক সমস্যার সমাধান খুঁজতে বলা হয়। সেগুলোর সমাধানের ভিত্তিতে বিচারক প্যানেল ২৪টি দলকে সুযোগ দেয় দ্বিতীয় রাউন্ডে ছয়টি বিষয়ের উপর অভিনব বিপণন কার্যক্রমের ধারণা বিশ্লেষণের । সেখান থেকে ৬টি দলকে চূড়ান্ত পর্বে আনা হয়- জানালেন এটুআই প্রোগ্রামের ইনফরমেশন এসোসিয়েট তানজিনা শারমিন।

বিশ্ব মানের পরিকল্পনা ও ধ্যানধারণা বিকাশের উৎসব হল এই প্রতিযোগিতা।আর এখানে মেধার স্বাক্ষর রেখে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করতে পেরেছেন যে দেশের মানুষের নাগরিক সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ও সৃষ্টিশীল প্রকল্পের সাথে সেই সেবার সমন্নয় ঘটাতে তাঁরা তাঁদের মেধাকে কাজে লাগাতে পারেন। এধরনের প্রতিযোগিতা আরও বেশি করে অনুষ্ঠিত হবে-এটিই সবার প্রত্যাশা।

 

সরাসরি ওয়েবক্যাম দিয়ে ইউটিউবে রেকর্ডিং বন্ধ করে দিচ্ছে গুগল (Google will stop you recording straight to YouTube from your webcam in Bangla)

সরাসরি ওয়েবক্যাম দিয়ে ইউটিউবে রেকর্ডিং বন্ধ করে দিচ্ছে গুগল  

(Google will stop you recording straight to YouTube from your webcam)

 

গুগল (Google) ঘোষণা দিয়েছে, আগামি ১৬ জানুয়ারি থেকে ওয়েবক্যামের সাহায্যে সরাসরি ইউটিউবে (YouTube) রেকর্ডিং এর সুবিধা আর থাকছে না।

সরাসরি আপনার কম্পিউটার থেকে ইউটিউবে (YouTube) ভিডিও রেকর্ড করার অপশন চালু হয়েছিলো ২০০৬ সালে। গুগল (Google) সে বছরেই ইউটিউবের (YouTube) মালিকানা কিনে নিয়ে ছিলো। কিন্তু কোম্পানিটি জানায়, এতো দিন চালু থাকলেও রেকর্ডিং এর এই ফিচারটি খুব জনপ্রিয় ছিলো না। খুব কম ব্যবহৃত হয়েছে এই অপশনটি।

গুগল (Google) আরো জানায় যে, এই প্রোগ্রাম টি যে ফ্ল্যাশ (Flash ) দিয়ে চালানো হতো, তা আর এখন একে সাপোর্ট করছে না। অপশন টি বন্ধ করে দেওয়ার পেছনে এটিও একটি অন্যতম প্রধান কারণ।

সরাসরি ইউটিউবে (YouTube) রেকর্ডিং এর একটি বড় সুবিধা ছিলো। তা হলো- এভাবে রেকর্ডিং করার পর আপলোড নিয়ে আর কোনো ভাবনা থাকতো না। রেকর্ডিং এর পর ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড হয়ে যেতো।

তাহলে প্রশ্ন হলো- যদি আপনার এক্সটারনাল ক্যামেরা না থাকে, তবে ১৬ জানুয়ারিতে অপশনটি সরিয়ে নেওয়ার পর কী হবে? কীভাবে আপলোড করবেন আপনার শখের প্রিয় ভিডিওটি? উপায় অবশ্যই আছে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অন্য সফটওয়্যারের সাহায্য নিতে হবে। এ রকম সফটওয়ারের মধ্যে রয়েছে- ফটো বুথ (Photo Booth) আপনার ম্যাক(Mac) এর জন্য। আর উইন্ডোজ (Windows) এ ওয়েব ক্যাম দিয়ে ভিডিও করে, তা আপলোড করতে হবে।

http://thenextweb.com/google/2015/12/14/google-will-stop-you-recording-straight-to-youtube-from-your-webcam-next-month/

 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিতঃ International Day of People with Disability celebrated in rajsahi university

গত ৩ ডিসেম্বর ছিল আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস। প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায় ও সমান জীবনমান নিশ্চিত করার প্রয়াস নিয়ে সারা বিশ্বের মত আমাদের দেশেও উৎযাপন করা হয়েছে এই দিবসটি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফিজিকালি চ্যালেঞ্জড ডেভলাপমেন্ট ফাউন্ডেশন’ অর্থাৎ পিডিএফএর আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎযাপন করা হয় এই দিবসটির।

আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যাশলি বের হয় সকাল সাড়ে ১১টায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বের হওয়া র্যা লিতে অংশ নেন ছাত্র শিক্ষক সহ সকলে। র্যাকলিটি উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ডঃসায়েন উদ্দিন আহমেদ। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে এটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও সচেতনতা নিয়ে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিডিএফের সভাপতি আলমগীর হোসেন, সুইড বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সচিব কল্পনা রায় ভৌমিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদ্রেস্টা সাদেকুল আরেফিন মতিন, সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ডঃ গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস সহ আরও অনেকে।

প্রতিবন্ধীদের উন্নত জীবন লাভের নিশ্চয়তা ও অধিকার আদায়ের প্রত্যাশায় সারা বিশ্বে যে দিবস উৎযাপন, তারই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উৎযাপনের মহৎ উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। আর এই মহান উদযাপনের সাথে একাত্ম হতে পেরে আনন্দিত ছাত্র শিক্ষক সহ সকলে। এধরণের সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ ভবিষ্যতেও চালু থাকবে, এটিই প্রত্যাশা সকলের।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল অটোমোশন পদ্ধতিঃ Automotion system to be started in sylhet agricultural university

তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ লাভের ফলে সাবলীল হয়ে উঠছে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল অটোমোশন পদ্ধতির কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণ, ফলাফল তৈরি সহ শিক্ষকদের পাঠদান কার্যক্রম সহজ করার উদ্দেশেই মূলত এটি চালুর দাবি ছিল। এছাড়াও এতে সহজ হবে অর্থসংক্রান্ত বিষয়াদি, আবাসন বরাদ্দ সহ নানা কাজও। total automotion and IT facilities enhancement in university প্রকল্পের অধীনে সাইনটেক সফটওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায় এটি বাস্তবে রূপ নেবে।

মঙ্গলবার ১লা ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃ মোঃ গোলাম শাহি আলম এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এই প্রকল্পের এসপিএম ডঃ মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মোঃ বদরুল ইসলাম, প্রোক্টর প্রফেসর ডঃ মোঃ আব্দুল বাসেত, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ মোঃ মোহন মিয়া, মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর মোঃ শাহাব উদ্দিন, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ মোঃ এএফএম সাইফুল ইসলাম, কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের ডিন পীযূষ কান্তি সরকার, কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ মিঠু চৌধুরী, ছাত্র পরামর্শ নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ডঃ মোঃ মতিয়ার রহমান, গ্রন্থগারিক সুবীর কুমার পাল, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস শাখার পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সরফুদ্দিন, প্রকৌশল শাখার প্রধান প্রকৌশলী মোঃ ফয়জুর রহমান, চিফ মেডিকেল অফিসার ডাঃ অসীম রঞ্জন রায়, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের পরিচালক মোঃ আনিসুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ সাজিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দও। স্লাইড শোর মাধ্যমে অটোমোশনের কার্যপদ্ধতি ও উপযোগিতা ব্যাখ্যা করেন সাইটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার তীর্থভূমি। আর উচ্চশিক্ষার এই সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি ও আধুনিক বিজ্ঞানের সব প্রায়োগিক সুবিধা থাকবে, শিক্ষা হবে আরও জীবনমুখী ও স্বতঃস্ফূর্ত, এটিই সবার প্রত্যাশা। আর তাই এধরনের প্রযুক্তির ছোঁয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরও যুগোপযোগী করবে, এটিই সংশ্লিষ্ট সবার আকাঙ্ক্ষা।

জলবায়ু সম্মেলন বিষয়ক পদযাত্রা:rally on climate change

বৈশ্বিক উন্নয়ন ও সভ্যতার অগ্রযাত্রা ক্রমশ বাড়ছে, বাড়ছে মানুষের জীবনযাত্রার মানও। কিন্তু সেই সাথে বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং। উন্নয়নশীল দেশগুলো ছাড়াও উন্নত বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই গ্লোবাল ওয়ার্মিং। সমুদ্রের পানির স্তর বেড়ে যাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও হাজারো সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে মানুষ, সারা বিশ্বেই। সেই ধারাবাহিকতায় ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জলবায়ু সম্মেলন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সম্মেলন। আর সেই উপলক্ষকে সামনে রেখে ঢাকায় হয়ে গেল পদযাত্রা।

আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধ ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন যখন বিশ্ব নেতারা, তখন সেই উদ্যোগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে ২৮ নভেম্বর শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে বের হয় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন পদযাত্রা বাংলাদেশ ২০১৫। এই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদ্রেষ্টা ডঃ সুলতানা কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃআ আ মস আরেফিন সিদ্দিক, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবৃন্দ। এছাড়া অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও। বিভিন্ন বেসরকারি ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। পদযাত্রা শুরু হওয়ার প্রাক্কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃআ আ মস আরেফিন সিদ্দিক তাঁর বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের যে চলমান প্রক্রিয়া তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ, দেশের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে প্রতি বছর বার বার বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলোচ্ছ্বাস, খরা ও নদীভাঙন হচ্ছে। উষ্ণতা বাড়ায় সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে। দেশের অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর সে তুলনায় তেমন কোন ক্ষতিপূরণ আমরা পাচ্ছি না বলে মন্তব্য করেন তিনি। এজন্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশসহ দক্ষিন এশিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান তিনি।

জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সব মানুষের জীবন ধারনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আর বৈশ্বিক উষ্ণতা সেই পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যকে, সেই সাথে মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন ও আমাদের দেশে হয়ে যাওয়া এই পদযাত্রা জলবায়ু ও আবহাওয়ার ভারসাম্য রক্ষায় রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা-এটিই আমাদের প্রত্যাশা।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল ‘পেশাজীবী দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনার:skill development seminar in SUST

গত ২৭ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল তিনটায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পেশাজীবী দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট ডেভলাপমেন্ট নেটওয়ার্কের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিসি প্রফেসর ডঃ মোঃ আমিনুল হক ভূঁইয়া। ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং(আইপিই) বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করা হলেও সেমিনারটি সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। আলোচনা করেন এই বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হওয়া সফল প্রাক্তন ছাত্রগণ। বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করতে চান এমন ছাত্রদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী এই সেমিনার পেশাগত দক্ষতা অর্জন ও ব্যাক্তিগত নৈপুণ্য সৃষ্টিতে শিক্ষার্থীদের উপযোগী মানসিকতা তৈরি করবে- এটিই বিশ্বাস আয়োজকদের। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোন ধরণের রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই এই সেমিনারে অংশ নিতে পেরেছেন।

শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও উপযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এধরনের সেমিনার, তাই ভবিষ্যতেও যেন এরকম উদ্যোগ গ্রহণের ধারা অব্যাহত থাকে এটিই প্রত্যাশা সবার।

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার।International archaeology seminar held in Jahangirnagar university

প্রত্নতত্ত্ব কোন জাতির অতীত ঐতিহ্য ও গৌরবের ধারক ও বাহকরূপে কাজ করে। একটি দেশের সমৃদ্ধির অন্যতম নিদর্শন এর বিবর্তনের সাক্ষী এই প্রত্নতত্ত্ব। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রত্নতত্ত্ব গবেষণায় শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, আর এখানেই গত ২৮ নভেম্বর শনিবার হয়ে গেল প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্মশালা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এর আলোচ্য বিষয় ছিল ‘pottery from Bangladesh and eastern India: constructing a holistic methodology for analysis and interpretetion’

শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়া এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃ ফারজানা ইসলাম। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ডঃ মোকাম্মেল হোসেন ভূঁইয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রফেসর ডঃ সীমা হক। উদ্বোধনী অনুস্থানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রোভিসি প্রফেসর ডঃ আবুল হোসেন, বিশ্বব্যাংকের উচ্চশিক্ষা মানউন্নয়ন বিষয়ক প্রকল্প পরিচালক গৌরাঙ্গ চন্দ্র, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহসান। বিশেষ অতিথি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন গবেষণা প্রকল্পের সাব ম্যানেজার প্রফেসর ডঃ স্বাধীন সেন। এই কর্মশালায় বিভাগের উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত গবেষণার বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ কর্মশালায় দেশবিদেশের প্রত্নতত্ত্ববিদ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

প্রত্নতত্ত্ব আমাদের সভ্যতার বিকাশ ও সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক উচ্চশিক্ষার পরিক্রমায় এধরণের কর্মশালা অনেক বেশি উৎসাহব্যঞ্জক ও কার্যকরী হতে পারে, রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা- এটিই সংশ্লিষ্ট সকলের বিশ্বাস।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গণিত উৎসব:Math olympiad in Jahangirnagar university

গত ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ গণিত সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৭ম জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড ২০১৫। সহ আয়োজক ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল নয়টায় গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃ ফারজানা ইসলাম।বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি প্রফেসর ডঃ আবুল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন গণিত বিভাগের সভাপতি ও ঢাকা উত্তর আঞ্চলিক অলিম্পিয়াড ২০১৫ আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ডঃ মোঃ আব্দুর রব, গাণিতিক ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ক অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ মোঃ নুরুল আলম, গণিত বিভাগের প্রফেসর ডঃ লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, এসোসিয়েট প্রফেসর মোঃ উসমান গনি প্রমুখ।

সকাল ১০টা থেকে দেড় ঘণ্টার মূলপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১২টি সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণীর ১১৬জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন। অলিম্পিয়াডে মৌলিক গণিতের উপর ১০০ নাম্বারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় ১০ জন পুরস্কৃত হন। দুপুর ২.৩০ মিনিট থেকে গণিত বিষয়ের উপর প্রশ্ন উত্তর পর্ব ছিল। এতে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত গণিত বিশেষজ্ঞ ও প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। এই পর্বটি পরিচালনা করেন গণিত বিভাগের প্রফেসর ডঃ লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ। বিকেল চারটার দিকে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

গণিত ও যুক্তিনির্ভরতা আমাদের সভ্যতার অগ্রযাত্রায় রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গণিতের অনুশীলন ও প্রয়োগ জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে যুক্তিশীল প্রবণতার সৃষ্টি করে। তাই গণিতের চর্চা আর সেই সাথে গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্যোগ বৃদ্ধি পাবে ভবিষ্যতে, এটিই সকলের কামনা।

ঢাকায় ফ্রিল্যান্সার সম্মেলনঃ Freelancing conference in Dhaka.

উন্নয়নশীল দেশের যুবসমাজের একটি বিশাল অংশ সাধারণত বেকার থাকে, যেমন আছে আমাদের এই বাংলাদেশেও। আর তথ্যপ্রযুক্তির সম্প্রসারনের সাথে সাথে সেই বিরাট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ যুক্ত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর সঙ্গে। এর ফলে যেমন বেকারত্ব দূর হচ্ছে তেমনি দেশ নিয়মিত পাচ্ছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও। ফ্রিল্যান্সিং এর এই প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে, প্রায় ব্যাক্তি উদ্যোগেই বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার উঠে আসছেন পাদপ্রদীপের আলোয়। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আয়োজন করা হচ্ছে নানা সেমিনার ও সম্মেলনেরও। তেমনি এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৮ ডিসেম্বর, ঢাকায়। ফ্রিল্যান্সারস মিট ২০১৫ নামের এই সম্মেলনে সারা দেশ থেকে প্রযুক্তিনির্ভর তরুণ প্রজন্ম ও ফ্রিল্যান্সাররা অংশগ্রহণ করবে- এরকম আশা করছেন আয়োজকরা।

দেশের ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন আইসিটি ডিভিশনের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক(এমপি), আর এই অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেস এলায়েন্সের প্রেসিডেন্ট সান্টিয়াগো গোতিয়ারেজ। এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান। গত ২৩ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানালেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

৮ ডিসেম্বরের এই সম্মেলনের দ্বিতীয় অংশে আছে টেকনিক্যাল সেশন। এখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা নবীন ফ্রিল্যান্সারদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন শীর্ষস্থানীয় ও সফল ফ্রিল্যান্সাররা। এখানে তাঁরা নবীনদের দক্ষতা বৃদ্ধি, কাজের সমন্বয়, যোগাযোগ দক্ষতা ও অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবেন ও পরামর্শ দেবেন।

দেশের তরুণ প্রজন্মকে বেকারত্ব ও মাদকের মত ভয়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে আর স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে এধরণের সম্মেলন গুরুত্ব বহন করে বলে সংশ্লিষ্টদের মতামত, সেই সাথে প্রতিযোগিতামূলক বাজারের সাথে খাপ খাইয়ে চলার সক্ষমতা অর্জন করতে এধরণের সম্মেলন অবদান রাখবে বলে বিশ্বাস তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের।

ডিসেম্বরে হচ্ছে সিএসই উৎসবঃ CSE festival to be held on December

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উদ্যোগে আগামী ৪ ও ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চতুর্থ সিএসই উৎসব।দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই উৎসবে সারা দেশের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেবে।

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের সিএসই বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই উৎসবে থাকছে রোবটিক্স প্রতিযোগিতা, আইটি অলিম্পিয়াড, গেমিং প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন ওয়ার্কশপ ও সেমিনার। এছাড়া কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও আইটি অলিম্পিয়াড। বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য বিপণনকারী ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও এই মেলায় অংশ নিচ্ছে। এই উৎসবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সেমিনার ও ওয়ার্কশপে অংশ নেবেন ও আলোচনা করবেন দেশের খ্যাতনামা প্রযুক্তিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা।উদীয়মান প্রজন্মকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তির নবীনতম সংযোজনগুলোর সাথে পরিচিত করতেই এই আয়োজনঃ জানালেন উদ্যোক্তারা।

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন হতে যাওয়া এই উৎসবের আয়োজনে সহযোগিতায় রয়েছে জাতীয় বিতর্ক ফেডারেশন(এনডিএফ), বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক(বিডিওএসএন), ও গুগল ডেভলপার গ্রুপ(জিডিজি) বাংলা।

প্রাথমিক পর্যায়ের বই ডিজিটাল হচ্ছেঃ Primary students will get digital book.

প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে প্রথম প্রয়াস হল শিক্ষাক্ষেত্রকে তথ্যপ্রযুক্তির আলোয় আনা, আর তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগে শিক্ষাকে সমাজের ও দেশের সকল স্তরে পৌঁছে দেয়া। সবার হাতে শিক্ষা উপকরণ পৌঁছে দিতে প্রয়োজন তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ সাধন । এই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক স্তরের বেশ কিছু পাঠ্যপুস্তকের ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে এবং ন্যাশনাল কারিকুলাম এন্ড টেক্সটবুক বোর্ড, বাংলাদেশের(এনসিটিবি) সিলেবাস অনুযায়ী এই কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রাথমিকের মোট ৩৭টি বইয়ের মধ্যে ১৭টির ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ এপর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছে।

২৩নভেম্বর সোমবার রাজধানী ঢাকায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি(আইসিটি) বিভাগের সভাকক্ষে ‘ডেভলপিং ইন্টারএকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল ভার্সন অফ প্রাইমারী কন্টেন্ট’ কর্মসূচীর আওতায় ‘ ডিজিটাল কন্টেন্ট উপস্থাপনা’ অনুস্থানে প্রাথমিকের বই ডিজিটাল হওয়ার কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ।

‘প্রযুক্তির সহায়তায় এ ধরনের কর্মসূচী আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে দেবে, শিক্ষার সাথে আনন্দ যোগে বর্তমান সরকার অগ্রণী ভূমিকা রাখবে-অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান একথা বলেন।

মোট ৪ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ কর্মসূচী বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০১৪ সালের মার্চ মাস থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত। কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তা করছে ব্র্যাক ও সেভ দ্যা চিলড্রেন। প্রাথমিকের মোট ৩৭টি বইয়ের মধ্যে ১৭টির ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করা হবে, যার মধ্যে ১২টির ডিজিটাল সংস্করণ তৈরি করবে ব্র্যাক আর ৫টির ডিজিটাল সংস্করণ করবে সেভ দ্যা চিলড্রেন।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডঃ

গত ১৩ থেকে ২২ নভেম্বর ১০ দিন হয়ে গেলো আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ জ্যোতির্বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছিল ৪টি দেশের প্রতিযোগীরা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, রাশিয়া ও কাজাকস্থান। ঢাকার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গনে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

 

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা সবগুলো দল একজন করে টিম লিডারের দায়িত্বে ছিল। বাংলাদেশ দলে পাঁচজন সদস্য আর ২ জন লিডার, রাশিয়ার দলে একজন সদস্য আর একজন লিডার, শ্রীলঙ্কার দলে ছয়জন সদস্য আর ২ জন লিডার, কাজাকস্থানের দলে ৮ জন সদস্য আর ২ জন লিডার ছিল। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে তিনজন, বাংলাদেশের রাজশাহী কলেজের মোঃ মাহমুদুন্নবী, কাজাকস্থানের এগিসেভ দামির আর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ফাইরুজ ইশরাক। চারজন দ্বিতীয় পুরস্কার ও তিনজন তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে।

 

১৩ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হওয়া এই উৎসবের অবজারভেশন রাউন্ড ছিল ১৭ নভেম্বর। ১৮ তারিখ ছিল আড্ডা আর গল্প। ১৯ নভেম্বর ছিল ব্যবহারিক পর্ব। ২০ তারিখের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর প্রতিযোগীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিজ্ঞান জাদুঘরে। চূড়ান্ত বিজয়ী নির্ধারণ করা হয় ২১ নভেম্বর।

 

প্রতিযোগীদের মতে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি সাধারণ মানুষের উৎসাহ বৃদ্ধির জন্য ও আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মকে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিভিন্ন অলিগলির সাথে পরিচয় ঘটাতে এরকম জ্যোতির্বিজ্ঞান উৎসব খুবই সহায়ক, আর ভবিষ্যতেও এরকম আরও উৎসব হবে- এমনটিই আশা সংশ্লিষ্টদের।

ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৫ Dhaka Lit Fest 2015

প্রযুক্তি ও যান্ত্রিকতায় ভরা নাগরিক জীবনে সাহিত্যের কোমল ছোঁয়া এনে দিতে গত ১৯ থেকে ২১ নভেম্বর তারিখে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে হয়ে গেল ‘ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৫’। বিশ্ব সাহিত্যে বাংলার অবস্থান সুপ্রতিষ্ঠিত করা ও সমুজ্জল রাখার উদ্দেশ্য নিয়ে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আর এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘ সাহিত্য সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ্ব আমাদের চিনুক’

 

বাংলা একাডেমীর আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হওয়া এই উৎসবে উদ্বোধনী পর্বের শুরুতে ঘাসফড়িঙ কয়ারের শিল্পীরা তাদের নান্দনিক পরিবেশনা দিয়ে বর্ণিল করেন উৎসব অঙ্গন। এরপর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন উৎসবের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ভারতের নারীবাদী প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক নয়নতারা সেহগাল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হ্যারল্ড ভারমাস। উৎসবে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে কবিতাপাঠ, বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, শিশুতোষ গল্প বলা, নাচগানসহ আরও অনেক আয়োজন ছিল। সাহিত্যিক, কবি, শিল্পানুরাগী বিদগ্ধজন, সমালোচকসহ ১৪টি দেশের ২৫০ জন অতিথি এ উৎসবে যোগ দেন। ২০১১ সালে ‘হে ফেস্টিভ্যাল ঢাকা’ নামে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন হয়েছিল যার পরিবর্তিত রূপ আজকের এই ‘ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৫’।

 

উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাদের সাহিত্যকে বৈশ্বিক সৃজনশীলতার প্রাঙ্গনে তুলে ধরা। এছাড়াও প্রথমবারের মত বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল ওয়াসাফিরিতে বাংলাদেশ সংখ্যার প্রকাশনা উৎসব হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের লেখকদের লেখা স্থান পেয়েছে। এধরনের সাহিত্য উৎসব দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে শুভবোধের জাগরণ ঘটাবে ও আমাদের সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছুতে সাহায্য করবে-এমনটাই আশা সংশ্লিষ্ট সকলের।

বিশ্বে বাংলাদেশের ক্রিকেট তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে

বিশ্বে বাংলাদেশের ক্রিকেট তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে

সৈয়দ আলী শাফিন

যখন ক্রিকেট বিশ্ব বাংলাদেশকে আমলে নিত না, তখনও এদেশের ক্রিকেট প্রেমী মানুষ ক্রিকেট নিয়ে আশা করত আর তাদের সমর্থন দিয়ে যেত সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তাই যখন একদিনের ক্রিকেটে, বাংলাদেশ বিশ্বকে চমকে দিল তাদের অসাধারন খেলা উপহার দিয়ে, তখন এদেশের মানুষ এতদিন পর সফলতায় আত্নহারা হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন চ্যাম্পিনস ট্রফিতে নিজের জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে। তারা পাকিস্তানকে বাংলা ওয়াশ আর ভারত ও সাইথ আফ্রিকাকে সিরিজে হারিয়ে নিজেদের আসন পোক্ত করে নিয়েছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট কিন্তু এই সাফল্যের অনেক আগে থেকেই এদেশের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। তাই বিশ্ব অবাক হয়ে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে, এদেশের মানুষ কেন এতো ক্রিকেট পাগল...

একজন ভারতীয় গবেষক মনে করেন, এদেশের মানুষের আসলে খুশি হবার খুব বেশি কিছু নেই। একমাত্র ক্রিকেট এদেশের মানুষকে সত্যিকারের আনন্দ দিতে পারে।

মোহাম্মদ ইসাম (একজন ক্রিকেট ফ্যান, ক্রিকেটার, দি ডেইলি ষ্টার এবং ই এস পি এন ক্রিক ইনফো এর খেলার সাংবাদিক) এখানে সুধরে দিয়েছ্ন। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট কে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। ৮০ দশকের জেনারশনের মতো তিনিও বড় হয়েছেন ক্রিকেটকে ঘিরে। তিনি বলেছেন, "ক্রিকেট হলো এদেশের মানুষের সাথে খুব সহজে মানিয়ে যাওয়া একটি খেলা। যখন তাদের দল জিতে যায় মানুষ খুবই খুশি হয়ে ওঠেন" এমন না যে এদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ। বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। এবং চেষ্টা করছে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবার। ভারতের মতো এখানেও আছে গরিব, ধনী সব ধরনের মানুষ। একমাত্র ক্রিকেট এই সব মানুষকে এক কাতারে নিয়ে আসে।

বাংলাদেশে যখন ধনীর বাহিনী এসেছিল, তখনো চলছিল রমজান মাস। তারপরও ক্রিকেট পাগল মানুষ সেহেরি খেয়ে রাত জেগে দিনে না ঘুমিয়ে লাল সবুজ পোশাকে চলে এসেছিল স্টেডিয়ামে। শুধু মাত্র তাদের সমর্থন জানানোর জন্য।

ইউন্ডোজ ১০ রিলিজ ও কিছু অজানা তথ্য

Mr_An

প্রিয় পাঠক, সবাই ভালো আছেন আশা করি।

ইতিমধ্যে হয়তো সবাই জেনে গেছেন ইউন্ডোজ ডেভেলপার মাইক্রোসফট তাদের আইকনিক অপারেটিং সিস্টেমের ফাইনাল ইউন্ডোজ ১০ রিলিজ করছে জুলাই এর ২৯ তারিখ। আর সবথেকে খুশির খবর হল ইউন্ডোজ ১০ পাওয়া যাবে বিনামূল্যে

হ্যা আপনি ঠিক পড়ছেন আর আমিও ঠিকই লিখছি, ইউন্ডোজ ১০ পাওয়া যাবে বিনামূল্যে।

এক বছরের জন্য ইউন্ডোজ ১০ বিনামূল্যে আপডেট করা যাবে। কিন্তু এই সুবিধা শুধু তারাই পাবে যারা ইউন্ডোজ ৭,৮ ও ৮.১ এর যেকোনো ভার্সন ক্রয় করে ব্যবহার করছেন।

শুধু তাই নয়, গ্রাহক যাতে সহজে ইউন্ডোজের আপডেট পায়, সেজন্য মাইক্রোসফট কিছু নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করবে ।

মাইক্রোসফটের এই নতুন পদ্ধতিতে বিভিন্ন সোর্সে উইন্ডোজ ১০ এর আপডেট দেবে, তাতে করে ইউজাররা অতিদ্রুত আপডেট গুলো পাবে। মাইক্রোসফট সার্ভার এবং লোকাল সার্ভার থেকে রিলিজকৃত আপডেট গুলো পাওয়া যাবে।

এই বছরে উইন্ডোজ ১০ রিলিজের পর, শোনা যাচ্ছে মাইক্রোসফট রেডস্টোন নামক নতুন আপডেটের জন্য কাজ শুরু করবে যা ২০১৬ নাগাদ রিলিজ করা হবে। নতুন ওই আপডেট রিলিজের মাধ্যমে ধারনা করা হচ্ছে উইন্ডোজ ১০ আরও অধিক ডিভাইস সাপোর্ট করতে সক্ষম হবে।

তো আপনারা সবাই তৈরি তো ইউন্ডোজ ১০ এর স্বাদ নেওয়ার জন্য।

মুস্তাফিজুরের দারুণ সাফল্য!! বাকি তরুণরা জ্বলে উঠতে পারছে না। Mustafizur red hot, but other youngsters lukewarm

রিদওয়ান বিন শামীম

মুস্তাফিজুরের রেকর্ড গড়া ওয়ানডে অভিষেক সিরিজে অন্য তরুণ প্রতিভা যারা আছেন তাঁরা সেরকম ঝলসে উঠতে পারেননি। প্রথম ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট নেয়ার পর মুস্তাফিজুরের উপর চলে আসে পাদপ্রদীপের আলো। তাঁর সহজ সারল্য ও বোলিং একশনের ক্ষুরধার বৈচিত্র্য ও নতুনত্ব আরেক অভিষিক্ত প্রতিভা, তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা লিটন দাশের উপর থেকে দর্শকদের মনোযোগ কমিয়ে দিয়েছে অনেকটাই।

সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান তাদের ওডিআই ক্যারিয়ারের শুরুতে যে ফোকাস পেয়েছিলেন তা ধরে রাখতে পারেননি।
মুস্তাফিজুর প্রথম ওয়ানডেতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্পেলে দুটি ও তিনটি করে উইকেট নিয়েছিলেন কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেকেন্ড স্পেলেই নিয়ে নেন পাঁচ উইকেট। দুই ক্ষেত্রেই শুরুতে তাঁকে প্রচুর ব্যবহার করার পর ব্যাটিং পাওয়ারপ্লেতে আবার আক্রমনে ফেরত আনা হয়। বুধবারের খেলায় তাঁকে দ্বিতীয় স্পেলে আনা হয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও আম্বতি রায়ডুর ব্যাটিঙের সময়, পরিকল্পনা সফল ছিল কারণ ধোনি ও রায়ডু কপালজোরে বেঁচে যান দুটি আনপ্লেয়েবল ডেলিভারি থেকে, ৪৩তম ও ৪৭তম ওভারে ফিরে এসে ৪৭তম ওভারে সুরেশ রাইনার উইকেট নিয়ে একসাথে দুটি রেকর্ডের তালিকায় স্থান করে নেন তিনি,প্রথম তিন ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি ও তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি।
তরুণ তুর্কীদের মধ্যে এরপরেই আসে সৌম্য সরকারের নাম। ক্লাসিকাল ব্যাটিঙের সাথে মানসম্মত ৫৪, ৩৪ ও ৪০ রান তিন ম্যাচে খারাপ না, সেই সাথে ছিল প্রতিভার ঝলকানিও। লিটন দাশ তাঁর প্রতিভা অনুযায়ী এই সিরিজে তেমন ভাল করতে পারেন নি, সাব্বিরেরও সুযোগ ছিল তৃতীয় ওয়ানডেতে দীর্ঘ সময় ক্রিজে থাকার। ক্যাপ্টেন মাসরাফিও স্বীকার করলেন, মুস্তাফিজুরের তুলনায়, বাকি তরুণরা প্রত্যাশামত খেলতে পারেননি।