Category Archives: নিরাপত্তা

নিরাপত্তা

অ্যানড্রয়েড ম্যালওয়ারের এক-কালীন পাস কোড চুরি (Android malware steals one-time passcodes)

অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশনে এক কালীন পাস কোড (One-time passcode) নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু এসব এক কালীন পাস কোডও ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে জানা গেছে। Symantec পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। অ্যানড্রয়েড এর এই অ্যাপ্লিকেশনটি ম্যালওয়্যার প্রোগ্রামের (malware program) শিকার হচ্ছে।

Android.Bankosy নামের এই ম্যালওয়ারটি  পাস কোড intercept করার জন্য আপডেট করা করা হয়েছে। এটা করা হয়েছে তথাকথিত (so-called) দ্বৈত নিরাপত্তার নামে।

অনেক ব্যাংকেরই অপারেশন এক্সেস করার ক্ষেত্রে তাদের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে নিরাপত্তার জন্য লগিন, পাসওয়ার্ড এবং টাইম সেন্সেটিভ কোড ব্যবহার করা হয়। এই এক কালীন পাস কোডটি এস এম এস-এর মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু তা স্বয়ংক্রিয় ফোন কলের মাধ্যমেও পাঠানো যায়।

কিছু ব্যাংক এই স্বয়ংক্রিয় ফোন কল ভিত্তিক সিস্টেমে ইতোমধ্যেই কাজ করছে। অভিমত দেয়া হয় যে, এই সিস্টেম অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, যেহেতু এস এম এস কোনো ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে ঝুঁকিতে পড়তে পারে। Symantec এর Dinesh Venkatesan তাঁর ব্লগ পোস্টে এই মত দেন।

কিন্তু Android.Bankosy আপডেট করা হয়েছে এই সকল কল এটাকারদের (Atackers) কাছে ফরওয়ার্ড করার জন্য। Venkatesan এ তথ্য জানান। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে অনেক অপারেটরগণ কল ফরওয়ার্ডের জন্য সার্ভিস কোড ফর্মেট *21*[destination number]# ব্যবহার করে থাকেন এবং Bankosy এই সুযোগটি নিয়েছে।

Venkatesan একথাও জানান যে, ম্যালওয়্যারটি সাইলেন্ট মোড (silent mode) একটিভ ও ডিএকটিভ করার ক্ষমতা রাখে। তাই ভিক্টিম ইনকামিং কলের মাধ্যমে সতর্ক হবার সুযোগ পায় না।

এক কালীন পাস কোড যা লগিন ক্রেডেনশ্যাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়- অনুমান করা হচ্ছে যে, তা ইতোমধ্যে এটাকারদের হাতে চলে গেছে।

Symantec এই Bankosy উদঘাটন করেছে ২০১৪ সালে। সেই সময়ের এক টেকনিক্যাল রিপোর্টে দেখা যায় ম্যালওয়্যারটি ভিক্টিমের পেমেন্ট কার্ড তথ্য নিতে তৎপর ছিলো।

http://www.cio.com/article/3021926/android-malware-steals-one-time-passcodes.html

ম্যালওয়্যার Rovnix এখন জাপানকে টার্গেট করে এগোচ্ছে (Rovnix malware shifts focus to Japan, says IBM)

IBM X-Force এর মতে নেদারল্যান্ডসে তেমন সুবিধা করতে না পেরে একটি গ্রুপ Rovnix Trojan কে আপডেট ও রি-প্যাক করেছে জাপানের ব্যাংকগুলোকে লক্ষ্য করে।

ম্যালওয়্যারটি বিভিন্ন ফর্মেটে গত পাঁচ বছর ধরে কাজ করছে এবং ব্যাংক নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলার সময় নিজেদের ডিটেকশন এড়ানোর জন্য নানা ধরনের কাজ করছে। এ কথা জানান, আই বি এম-এর সিনিয়র সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক Etay Maor.

IBM X-Force এর নমূনা পরীক্ষণ (samples exam) থেকে এটা খুব পরিষ্কার যে, Rovnix group জাপানী ব্যাংক এবং ব্যাংকগুলোর ইউজার ইন্টারফেস (user interface) বেশ নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করে নকল (mimics) ওয়েব সাইট করে চেক করেছে।

ম্যালওয়্যারটি জানে কোন কোন ব্যাংক টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে এক কালীন লগিন পাসওয়ার্ড (one-time login passwords) ব্যবহার করে এবং সাম্প্রতিক অ্যানড্রয়েড ফোনে মাধ্যমে পাস কোড ব্যবহারের বিষয় সমগ্রও।

যদি ম্যালওয়্যারটি এমন কোনো কম্পিউটারকে infect করে যেটি অনলাইন লেনদেনের সাথে সম্পৃক্ত নয়, তাহলে সেক্ষেত্রে এটি ransomware ব্যবহার করে থাকে যা কম্পিউটার কে লক করে দেয় এবং পেমেন্ট দাবী করে তা আনলক করে দেয়ার শর্তে।

Rovnix এর পেছনের কারিগররা দেখে কোনো দেশের সাধারণত ব্যবহৃত নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো কী কী এবং তা টার্গেট করে এটাকের মাধ্যমে একাউন্টকে কমপ্রোমাইজ করতে বাধ্য করে।

এই ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজটি উচ্চ মানের ওয়েব ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে নকল (mimics) ওয়েব সাইট তৈরি করে ব্যাংক লেনদেনের ফর্মেটে স্ক্রিন সেট আপ করে নেয়। এদের একটি অংশ একাউন্টের ক্যাশ কালেক্ট করার কাজে ব্যাপ্ত থাকে।

জাপানের এটাকে খুব জটিল ফিচার সমন্বয়ে তা করা হয়, যাতে ভিক্টিমের মেশিনকে তারা স্ক্যান করে নিতে পারে। মেশিনের নিরাপত্তা সরিয়ে নিতে পারে এবং এটাককে পরিবর্তনও করতে পারে। এনক্রাইপশন ও ডিজিটাল সিগন্যাচার ব্যবহার করে ক্লায়েন্ট এবং কমান্ড ও কন্ট্রোল সার্ভারের সাথে তারা যোগাযোগ করে।

http://www.cio.com/article/3021783/security/rovnix-malware-shifts-focus-to-japan-says-ibm.html

Hyatt Hotels এর পেমেন্ট কার্ড সিস্টেম ২৫০ লোকেশনে হ্যাকিং-এর শিকার (Hyatt hackers hit payment processing systems, scooped cards used at 250 locations)

Hyatt Hotels এর পেমেন্ট কার্ড এবার হ্যাকিং-এর শিকার হলো। হ্যাকাররা পঞ্চাশ দেশের Hyatt Hotels এর ২৫০ হোটেল লোকেশনে এ আক্রমণ চালায় মূলত তাদের পেমেন্ট কার্ড ডিটেইলের ওপর। এতে কোম্পানির পেমেন্ট প্রসিডিউর ম্যালওয়্যারের খপ্পরে পরে ইনফেক্টেড হয়।

Hyatt Hotels কতৃপক্ষ এই ডাটা breach এর কথা ঘোষণা করে ডিসেম্বরে এবং তারা ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। সম্প্রতি, তারা হ্যাকিং-এর শিকার সব হোটেল শাখার তালিকা প্রকাশ করছে। এতে দেখা যায় গত ১৩ আগস্ট থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব লোকেশনে আক্রমণের ঘটনা ঘটে।

হ্যাকিং-এর শিকার বেশির ভাগ কার্ডই কমপ্রোমাইজড হয়েছে রেস্ট্যুরেন্টে। কিছু অংশ আক্রান্ত হয়েছে স্পা, গলফ শপ, কার পার্ক, ফ্রন্ট ডেস্ক এবং সেলস অফিসে।

ম্যালওয়্যারটি ইনস্টল করা হয়েছিলো- কোম্পনির সেসব কম্পিউটারে যেখানে পেমেন্ট ক্যাপচার করা হতো। পেমেন্ট কার্ড এর বিস্তারিত; যেমন- কার্ড হোল্ডারের নাম, কার্ড নম্বর, মেয়াদ শেষের তারিখ এবং ভেরিফিকেশন কোড – এসবই শিকার হয়েছে হ্যাকিং-এর।

কোম্পানিটি এখন কাস্টমারদের কে ইমেইল ও মেইলিং ঠিকানায় নোটিফিকেশন পাঠানোর প্রক্রিয়ায় আছে। আক্রান্ত কাস্টমারগণকে এক বছরের জন্য সাবস্ক্রিপশন অফার করা হচ্ছে আইডেন্টিটি ও ফ্রড প্রটেকশনের বিষয়ে। এই সার্ভিস ব্যবস্থাপনায় থাকবে – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক CSID. আর কাস্টমারগণ পাবেন এটা বিনা মূল্যে।

Hyatt Hotels কতৃপক্ষ থার্ড পার্টি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের সাথে কাজ করছে এই নিরাপত্তা ভঙ্গের বিষয়ে জানার জন্য এবং ভবিষ্যতে আর যেনো তা ঘটতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।

Hyatt Hotels হলো সর্বশেষ হ্যাকিং-এর শিকার এ ধরনের কোম্পানি যারা ম্যালওয়্যার এর মাধ্যমে পেমেন্ট সিস্টেমে এটাকের ফাঁদে পড়ে। এ সেক্টরের অন্যান্য কোম্পানি যারা আগে এ ধরনের ঘটনার শিকার হয় তাদের মধ্যে রয়েছে- Hilton Worldwide, Mandarin Oriental and Starwood Hotels & Resorts Worldwide.

http://www.cio.com/article/3023201/hyatt-hackers-hit-payment-processing-systems-scooped-cards-used-at-250-locations.html

হ্যাকারদের টার্গেটে মার্কিন গোয়েন্দা পরিচালকের একাউন্ট (US intelligence director’s accounts next on the hacking block)

সিআইএ পরিচালকের ইমেইল একাউন্ট হ্যাক হবার কয়েক মাস পরেই, হ্যকাররা এবার তাদের দৃষ্টি দিয়েছে মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এর পরিচালক James Clapper এর ব্যক্তিগত অনলাইন একাউন্টের দিকে।

যে হ্যকাররা গতবছর সিআইএ পরিচালক John Brennan এর একাউন্ট breach করেছিলো, তারাই এখন দাবি করেছে যে, তারা এবার James Clapper এর একাউন্টের বেশ কিছু অংশে ঢুকে পড়তে পেরেছে। এর মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত ইমেইল, ইন্টারনেট ও ফোনের বিষয়ও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, হ্যাকাররা সেটিংস পরিবর্তন করে James Clapper এর বাড়িতে করা ফোনকলগুলো Free Palestine Movement এ ফরওয়ার্ড করে রেখেছে।

ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এর পরিচালক James Clapper এর দফতরের মুখপাত্র Brian Hale সম্প্রতি জানান যে, বিষয়টি সম্পর্কে তারা সতর্ক আছেন এবং তা যথাযথ কতৃপক্ষকে জানানোও হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।

হ্যাকিং-এর এই অভিযোগ আর যাই হোক এটা প্রমাণ করছে যে, হ্যাকারদের টার্গেট এখন মার্কিন উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তাগণ। গত অক্টোবরে John Brennan এর ব্যক্তিগত AOL account হ্যাকিং-এর বিষয়টি জানাজানি হবার আগে Department of Defense রাশিয়ান হ্যাকারদেরকে দায়ী করে বলেছিলো যে, এটা malicious code কোড সম্বলিত ইমেইল ক্লিকের মাধ্যমে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কমপ্রোমাইজের মাধ্যমে এটা হয়েছে।

John Brennan সেই হ্যাককে উল্লেখ করেন "outrage" হিসেবে, যা গোয়েন্দা বিভাগ এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার চ্যালেঞ্জগুলোকেই হাইলাইট করেছে। তিনি এক গোয়েন্দা সম্মেলনে বলেন, এই ঘটনা আমাদের জানান দিয়ে যায় যে, যারা ক্ষতি করতে চায় তাদের কাছে মানুষ কতো অরক্ষিত ও অসহায়। আমাদের সত্যিকার অর্থেই এ সকল ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে হবে।

নিরাপত্তা বিষেষজ্ঞগণ এ ধরনের এটাককে এক ধরনের সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হিসেবে উল্লেখ করেন যেখানে অনধিকার প্রবেশকারীগণ নানান ছুতোয় ঢুকে যাবার প্রয়াস চালায়। কিন্তু নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টগণ এ সকল হ্যাকারদের পথে বাধার সৃষ্টি করতে পারেন।

 

http://www.cnet.com/news/us-intelligence-directors-accounts-next-on-the-hacking-block/

সাইবার আক্রমণের আশঙ্কাঃ হ্যাকারদের টার্গেট আগামি বছরের মার্কিন নির্বাচন (Cyberattack prediction: Hackers will target a U.S. election next year )

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ Bruce Schneier আগামি বছর মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরে বড় ধরনের সাইবার আক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এই আক্রমণ ভোটিং সিস্টেমকে আঘাত করবে না, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও হয়তো নাক গলাবে না। এর লক্ষ্য হবে আরো গভীর। ষ্টেট বা স্থানীয় জাতিভেদকে ঘিরে।

Schneier বলেন, “এটি এমন হ্যাকিং হবে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে। আক্রমণকারীরা প্রার্থীদের ওয়েবসাইট এটাক করতে পারে, তাঁদের ইমেইল আর সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট হ্যাক করতে পারে।“

তাঁর মতে, তথ্য উপাত্ত নিরাপত্তা ও প্রাইভেসির বিষয়গুলো এখন বেশি করে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ঢুকে পড়ছে এবং ক্রমশ হ্যাকারদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এসব আক্রমণের মধ্যে আভ্যন্তরীণ সনি ইমেইল ফাঁস (যা মার্কিন সরকার দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে লিঙ্ক করেছে) এবং সৌদি আরব ও ইরান বিষয়ক পররাষ্ট্র দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে।

ইতোমধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ তথ্য উপাত্ত নিরাপত্তা ইস্যুতে বিপরীতমুখী নীতি অবলম্বন করেছে। গত অক্টোবরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অফশোর ডাটা নিরাপত্তা বিষয়ে সেফ হারবার এগ্রীমেন্ট (Safe Harbor agreement) নাকচ করে দিয়েছে। বলেছে যে, এটা যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব শীঘ্রই Cybersecurity Information Sharing Act পাশ করতে যাচ্ছে।

আইনী ও পাবলিক –রিলেশনের বিষয়ে ঝুঁকি কিছু এন্টারপ্রাইজকে তাঁদের ডাটা নিয়ে (তথ্য উপাত্ত) আবার ভাবতে বাধ্য করছে। কমপ্লায়েন্সের মতো এটিও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এখন। কিছু কোম্পানি প্রথম দিকে কিছু ডাটা না রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। তাঁর মতে, ছোট খাটো বা অল্প তথ্য কাস্টমারের জন্য উপকারী। অনেক ডাটা বা তথ্য-আধিক্য প্রয়োজন নেই।

এখন পর্যন্ত, অন্তত একটি বিষয়ে উন্নতি হচ্ছে- অধিক হারে ডাটা এনক্রাইপ্ট হচ্ছে এখন যা ব্যবহারকারীর কাছে দৃষ্টিগোচর হয় না। উদাহরণ স্বরূপ, জিমেইল ট্রাফিককে ইউজার ডিভাইস থেকে এনক্রাইপ্ট করে গুগুল সার্ভারে পাঠায় – আলাদা করে গুগল আর অন্যান্য কোম্পানির ডাটা সেন্টারে।

এটা অনেক শক্তিশালী। যদিও এনক্রাইপশন ভাঙ্গার পথ আছে। তবু সব আক্রমণকারী এটা পারে না বা করতে প্রয়াসী হয় না। তাই এ থেকে ভালো নিরাপত্তা পাওয়া যাচ্ছে।

http://www.cio.com/article/3016835/security/cyberattack-prediction-hackers-will-target-a-us-election-next-year.html

কিভাবে আপনার কম্পিউটারকে শর্টকাট ভাইরাস মুক্ত করবেন

ইমরান আহমেদ

 

কম্পিউটার ব্যাবহারকারীদের নিকট একটি আতঙ্ক হল শর্টকাট ভাইরাস। বহু উন্নতমানের অ্যানটি ভাইরাস ব্যাবহার করেও অনেকে এই সমসসা থেকে মুক্তি পান না। আমিও বেশ কয়েকদিন যাবত এই সমস্যায় জর্জরিত থাকার পর আমার এক বন্ধুর নিকট ভালো একটা সমাধান পাই। নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করলে যে কেউ শর্টকাট ভাইরাস দূর করতে পারবেন বলে আশা করিঃ

প্রথমত, এই লিংক থেকে http://en.kioskea.net/download/download-11613-autorun-exterminator সফটওয়্যার ‘AutorunExterminator’ ডাউনলোড করুন।

সফটওয়্যারটি ইন্সটল করলে আপনার autorun.inf ফাইলগুলো ড্রাইভ থেকে মুছে যাবে।

দ্বিতীয়ত, "Start" -->Run --> এ গিয়ে cmd লিখুন এবং ok button চাপুন। ধরুন আপনার ড্রাইভটি যদি G হয়, তাহলে নিম্নোক্ত কমান্ডটি লিখুন- attrib -h -r -s /s /d g:\*.* তারপর, আপনার ফাইলগুলোকে ড্রাইভটিতে চেক করুন।

তৃতীয়ত, এই লিংক http://en.kioskea.net/download/download-105-malwarebytes-anti-malware হতে 'Malwarebytes' Anti-Malware সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন। ইহা আপডেট করুন এবং ফুল স্কেন করুন।

আশা করি এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনার সমস্যার সমাধান হবে। এছাড়া, উইন্ডোজ সেটআপ করার মাধ্যমেও আপনি এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

অনলাইনে নিরাপদে থাকার কিছু উপায় বা কৌশল

অনলাইনে নিরাপদে থাকার কিছু উপায় বা কৌশল

আমরা জানি যে ইন্টারনেট হল দ্রুত যোগাযোগের, ব্যাবসায় বানিজ্যের, বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহের, এন্টারটেইনমেন্টের একটা ভাল মাধ্যম। কিন্তু পাশাপাশি এর ক্ষতিকর দিকটা সম্পর্কেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। নিরাপদ ব্রাউজিংয়ের জন্য কিছু পরামর্শ নীচে দেয়া হল।

কখনো আনলাইনে খুববেশী ব্যক্তিগত তথ্য দিবেন না – অনেক বাজে ধরনের লোক আছে যারা অন্যদের ক্ষতি করতে চায় বিশেষ করে শিশু ও টিনএজদের উপর। তাই আপনার প্রোফাইল পেজ, ব্লগ, চ্যাটরুম, ইন্সটেন্ট ম্যাসেন্জার বা ইমেইলে কখনো খুববেশী ব্যক্তিগত তথ্য দিবেন না।

* সবসময় নিকনেম ব্যাবহার করুন নিজের নামের পরিবর্তে।

* কখনো আপনার ঠিকানা, টেলিফোন নাম্বার দিবেন না এমনকি এইগুলি পাওয়া যেতে পারে এমন কোন লিন্কও দিবেন না।
আরো বিস্তারিত - http://www.tunerpage.com/archives/363949

* অপরিচিত কাউকে আপনার ছবি পাঠাবেন না।

* নিজেকে অনলাইনে সবসময় নিরাপদ ভাববেন না কারন বিভিন্ন ভাবে অনলাইন থেকে আপনি কে, কোথায় থাকেন এই তথ্য সংগ্রহ করতে পারে যে কেউ।

কম্পিউটার এ ভাইরাস দূর করার উপায়

কম্পিউটার এ ভাইরাস দূর করার উপায়

কম্পিউটার ব্যাবহারকারীর মধ্যে আমরা অনেকেই জানি উইন্ডোজ সেটাপ দিলে শুধু সিস্টেম ড্রাইভ অর্থাৎ যে ড্রাইভে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা আছে সেটি ফরম্যাট হয়। অন্য ড্রাইভগুলো অপরিবর্তিত থাকে। ফলে সিস্টেম ড্রাইভে যদি ভাইরাস থাকে, তা ডিলিট হয়ে যায়, কিন্তু অন্য ড্রাইভের ভাইরাস গুলো আগের মতই পিসিতে সংসার বেঁধে বসে থাকে। তার উপর অনেক ভাইরাস এতই মারাত্বক হয় যে, তার জন্য এন্টিভাইরাসই ইন্সটল করা যায় না, তাহলে পিসির এসব ভাইরাস পিসিতেই থাকবে।
অনেকেই জানতে চায় তাহলে কি পিসি ফরম্যাট করা (কম্পিউটারের সব ডাটা জলাঞ্জলি দেয়া) ছাড়া কোনো উপায় নেই?
অবশ্যই আছে। সাধারণত যে সকল ভাইরাস আপনার পিসিতে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করতে দেয় না বা আপনার এন্টিভাইরাস দিয়েও যায়না তার কারণ, তারা আপনার পিসিতে সক্রিয় আছে বলেই তারা আপনাকে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করা থেকে বিরত রাখতে পারে আর আপনার এন্টিভাইরাস এর ক্ষমতাকেও হারাতে পারে। সুতরাং, এমন কিছু করতে হবে যেনো, ভাইরাসগুলো সক্রিয় না থাকে।
পিসিতে ভাইরাস তখনই সক্রিয় হয়,যখন আপনি আপনার পিসির ড্রাইভগুলো ওপেন করেন। ধরুন, আপনার পিসিতে সিস্টেম ড্রাইভ ছাড়া অন্য ড্রাইভে ভাইরাস আছে। এখন আপনি যদি ওইন্ডোজ সেটাপ দিয়ে আবার আপনার ড্রাইভগুলো ওপেন করেন, তাহলে ভাইরাসগুলো আবার সক্রিয় হবে।

ভাইরাস দূর করার উপায়
১) প্রথমেই আপনি উইন্ডোস সেটাপ দিন।
২) এখুনি মাদারবোর্ডের সিডির সফটওয়্যারগুলো (সাউন্ড,ল্যান,চিপসেট,ভিডিও) ইন্সটল করবেন না।
৩) ওইন্ডোজ সেটাপের পরে প্রথম যখন কম্পিউটারটি অন করবেন তখন “MY Computer” এ বা এর কোনো ড্রাইভেও যাবেন না। এর ফলে আপনার পিসির ভাইরাসগুলো সক্রিয় হবে না।
৪)এখন এন্টিভাইরাসের সিডি অথবা পেনড্রাইব থেকে এন্টিভাইরাস সফ্টওয়্যারটি ইন্সটল করুন। পেনড্রাইভ কম্পিউটারে প্রবেশ করানোর সময় shift প্রেস করে রাখুন যেনো তা নিজ থেকেই ওপেন না হয়।
৫) এখন “MY Computer” থেকে প্রত্যেকটি ড্রাইভ থেকে স্ক্যান করলেই ভাইরাস গুলো মুক্ত হয়ে যাবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যে স্ক্যান করার আগে যেন কোন ড্রাইব ওপেন না হয়। এতে অন্যড্রাইভের ভাইরাসগুলো সক্রিয় হয়ে যেতে পারে।
এই নিয়মে আপনার কম্পিউটারের ৯৯.৯৯% ভাইরাস চলে যাবে আশা করি। আর আপনার উইন্ডোস এর সিডি যদি Auto-MotherBoardSoftware গুলো ইন্সটল করে তবে আপনাকে এমন এক সিডি নিতে হবে যেটা তা করেনা। একবার কাজটা করে ফেলে আপনি আবার আপনার পছন্দের ভার্সন এ চলে যেতে পারেন।

ম্যাশিনের সাথে ভালবাসা

Zillur Rahim
zillukekar@gmail.com

আপনি হয়ত প্রথমেই ভাববেন যে ম্যাশিনের সাথে ভালবাসা (?!) সম্ভব? তবে এক্সপার্টরা বলছেন যে হ্যাঁ এটাই সম্ভব। আর শুধু সম্ভব নয়, রোবটের ভালবাসা হবে নিখুঁত এবং একদম ঠিক আপনার মনের মত।

আসলে দিন দিন রোবটকে মানুষের মত করার কাজ চলছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) হচ্ছে আরও উন্নত। দিন দিন রোবটকে আরও বেশী মানুষের কাজে আসবার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সেই দিন দুরে নয় যখন বাসা বাড়ির সব কাজের জন্য রোবটকেই রাখা হবে। হয়ত আপনার সংসারের সব কাজই রোবটেই করবে।

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রোবোট বাড়ি পরিস্কার করা, একটা পোশা প্রাণীরমত আচরণ করা, বিভিন্ন গ্রহে গবেষণা চালান এবং সার্জারিতে সহযোগীতা করবার মত কাজ করে যাচ্ছে। আর তাই এর ভবিষ্যতকে সবাই উজ্বল দেখছে বলা যায়।

আবার এদিকে জাপানের দিকে তাকালে দেখা যাবে তাদের নতুন প্রতিটি রোবট যেন আরও বেশী বেশী করে মানুষের মত হচ্ছে। নড়াচড়া, বাইরের রূপ, কথাবার্তা ইত্যাদি সব কিছুতেই মানুষের মত কিছু করবার চেষ্টায় আছেন তারা। আবার বেশ অনেক আগে থেকেই পশ্চিমা দেশ গুলিতে মানুষ সেক্সটয় হিসাবে বিভিন্ন পুতুল ব্যবহার করলেও বর্তমানে একজন বিজ্ঞানী তৈরী করেছেন একটি সেক্স রোবট! তিনি তার এই টয় রোবট নিয়ে বেশ সিরিয়াস!

তবে মানুষের মধ্যে এখনই এটা নিয়ে কৌতুহল যে রোবট যদি ভালবাসার অনুভুতি পায়, তাহলে তারাতো ঘৃণা বা রাগের অনুভুতিও পাবে, আবার তার ফলে একটা রিলেশন ব্রেকআপ হওয়াও খুব একটা অযৌক্তিক কিছু হবে না। এটা যথেষ্ট হাস্যকর শোনা গেলেও অনেকেই এটি নিয়ে এখনই উদ্বিগ্ন! আবার অনেকেই বিষয়টিকে নাকচ করে দেন।

sex_robot

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে আগামি ২০৩০ সাল বা তার কিছু পরবর্তি সময়ের মধ্যে তারা এমন রোবট তৈরী করতে পারবেন, যা মানুষের কোন রকম পরিচালনা ছাড়াই নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। আর তার পরবর্তি ১০ বছরের মধ্যেই তারা হয়ত এমন রোবট তৈরী করতে পারবেন যা মাংস-চামড়ার রোবট হবে, আরও বেশী মানুষের মত হবে। পারবে ভালবাসতে।

David Levy, Love and Sex with Robots এর লেখক ভবিষ্যত বাণী করেন যে, যেহেতু রোবট গুলি আরও বাস্তব বুদ্ধি সম্পন্ন (sophisticated) হচ্ছে, তাই উত্তেজনা পছন্দ করা মানুষদের কেউ কেউ হয়ত রোবটের সাথে প্রেম করলেও করে বসতে পারে।

তিনি আরও বলেন, একটা রোবট পার্টনার হতে পারে পারফেক্ট সঙ্গি, যে আপনাকে কখনই বিরক্তি দেখাবে না, কখনই আপনার বিষয়ে কোন নেগেটিভ আচরণ করবে না। সব সময়ই আপনি তার মনোযোগের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে থাকবেন। আর আপনার কখনই তাকে সন্দেহ করতে হবে না, কারণ তার সফটওয়্যারের মধ্যেই বিস্বশ্ততা এবং সততা ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।

David Levy এর লেখার পর এটি নিয়ে সব খানে বেশ সাড়া পড়ে গেছে, আর মানুষের আগ্রহই বলে দেয় যে আপনি নিজে পছন্দ করেন বা না করেন, এটা একসময় সত্য হবে, আর মানুষও এটা ব্যবহার করবে।

তবে এটার বাস্তবায়ন হতে আমাদের বেশ অপেক্ষা করতে হবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

আপনার Windows 8 PC কে নিরাপদ করুন

My name : Rakib Alam
Article name : আপনার Windows 8 PC কে নিরাপদ করুন

আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনাদের হইত অনেকেই Windows 8 ব্যবহার করেন। এখন পর্যন্ত Microsoft এর release হউয়া সর্বশেষ সংস্করন হল Windows 8.1 . Microsoft দাবি করছে যে এই Windows 8 হল তাদের সবচেয়ে বেশি secure বা নিরাপদ Operating System.

 
তো যাই হোক, সবাই চাই নিজের PC টা কে একটু বেশি নিরাপদ করতে। তো চলুন দেখে আশা যাক কি করে আপনি আপনার Windows 8 কে আরেকটু বেশি নিরাপদ বা safe বা secure করবেন।

 
যেহেতু Windows 8 তৈরি করা হয়েছে UEFI (Unified Extensible Firmware Interface) এর উপর, ফলে আপনি নিরাপদ boot এর সুবিধা নিতে পারবেন। আপনার PC boot করার আগে scan করে দেখে নিতে পারেন কম্পিউটার এর যাবতীয় hardware ও অন্যান্য components গুলো ঠিক আছে কি না।

আপনার উইন্ডোজ ৮ (Windows 8) পিসি এর সুরক্ষা

আপনার উইন্ডোজ ৮(Windows 8) পিসি এর সুরক্ষা

মাইক্রোসফট এর দাবি মতে উইন্ডোজ ৮, মাইক্রোসফটের সবচেয়ে নিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম।

চলুন আমরা দেখে নেই আপনার উইন্ডোজ ৮ পিসি নিরাপদ করার জন্য কিছু উপায়।

যেহেতু উইন্ডোজ ৮ UEFI (ইউনিফায়েড এক্সটেনসিবল ফার্মওয়্যার ইন্টারফেস) উপর নির্মিত হয়, তাই আপনি নিরাপদ বুট সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন; এমনকি উইন্ডোজ ৮ আপনার সিস্টেম এ বুট করার আগেই স্ক্যান করতে পারেন এবং নিশ্চিত করতে পারেন সিস্টেম উপাদান গুলো ঠিক আছে কিনা।

পিন/ পাসওয়ার্ড ব্যবহার:

যথারীতি আপনি কম্পিউটার এ লগইন করতে একটি পিন / পাসওয়ার্ড সেট করতে পারেন।

এছাড়াও আপনি একটি ছবি পাসওয়ার্ড বা পিকচার পাসওয়ার্ড সেট করতে পারেন. প্রথমে একটি ছবি নির্বাচন করুন, ছবিটিতে কিছু ভঙ্গি/ইঙ্গিত (Gesture) আঁকুন বা আকৃতি তৈরি করুন যা উইন্ডোজ ৮ সংরক্ষণ করবে। লগইন এর সময়ে আপনাকে একই অঙ্গভঙ্গি অঙ্কন করতে হবে। আপনি পিকচার পাসওয়ার্ড সেট করতে পারেন যথাক্রমে PC settings->user তারপর create picture password বাটন এ ক্লিক করে, বাকিটা উপরের বর্ণনা মত অনুসরণ করুন।
এছারা উইন্ডোজ ৮ এ মুখ সনাক্তকরণ (Face Detection) এবং স্বয়ংক্রিয় লগইন / লগ অফ বৈশিষ্ট্য বা অপশন ও রয়েছে।

উইন্ডোজ ডিফেন্ডার ব্যবহার:

আপনি স্পাইওয়্যার ও মালওয়ার থেকে আপানার পিসি সুরক্ষারতে উইন্ডোজ ডিফেন্ডার ইনস্টল করতে পারেন ।
এটা করতে স্টার্ট স্ক্রীন এ ডিফেন্ডার টাইপ করলেই অ্যাপ্লিকেশন পেয়ে যাবেন, এটি যদি নিষ্ক্রিয় করা থাকে তবে আপনাকে প্রথমে অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাস আনইন্সটল বা ফেলে দিয়ে ডিফেন্ডার সক্রিয় করতে হবে এবং তারপর আবার অন্য অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার পুনরায় ইনস্টল করতে হবে।

ফায়ারওয়াল ব্যবহার :

ফায়ারওয়াল বাইরের অবাঞ্ছিত প্রবেশাধিকার থেকে আপনার পিসিকে রক্ষার্থে সর্বদাই নিয়োজিত থাকে।
আপনি ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক এবং পাবলিক নেটওয়ার্কের জন্য নিয়ম নির্ধারণ করতে পারবেন. পাবলিক নেটওয়ার্ক সেটিংস আরো কঠোর হওয়া উচিত. আপনি আগত সকল রিকোয়েস্ট ব্লক করার জন্য কনফিগার করতে পারেন; অথবা আপনি সব ইনকামিং এক্সেস রিকুয়েস্ট এর জন্য নোটিফিকেশান বা বিজ্ঞপ্তি কনফিগার করতে পারেন এবং তারপর পৃথকভাবে অনুমতি দিতে পারেন।ফায়ারওয়াল চালু করুন।

অ্যাকশান সেন্টার ব্যবহার :

সিকিউরিটি সেটিংস্‌ পরীক্ষা ও পরিবর্তন করতে কন্ট্রোল প্যানেল এর অ্যাকশান সেন্টার (Action center) ব্যবহার করুন। অ্যাকশান সেন্টার এর অধিনস্ত ‘User Account Control Settings’ কনফিগার করুন। আপনি আপনার সিস্টেমের সকল পরিবর্তনের জন্য বিজ্ঞপ্তি বা নোটিফিকেশান পেতে যাতে সবচেয়ে কঠোর সেটিংস ব্যবহার করুন। অ্যাকশান সেন্টার এর অপশন গুলো দেখে নিন এবং এগুলোকে উপযুক্তভাবে কনফিগার করুন যেমন Alert বা সতর্কবার্তা এবং সিস্টেম নোটিফিকেশান চেকিং বা পরীক্ষন, সংরক্ষিত মেসেজ গুলোকে পরীক্ষা ও পরিচালনা করা ,অচেনা কোন অ্যাপ্লিকেশন এবং অনুরূপ অ্যাপ্লিকেশন গুলোর সাথে কি করতে হবে তা কনফিগার করা।

প্রাইভেসি সেটিংস ব্যবহার করুন;

আপনি আপনার অবস্থান সম্পরকিত তথ্য অ্যাক্সেস করার অনুমতি না দিতে চাইলে কনফিগার করতে পারেন,আবার আপনি কেবল বেছে বেছে অনুমতি দিতে পারেন।
ব্যবহার করুন PC Settings->Privacy।

কম্পিউটারের শর্টকাট ভাইরাস রিমুভার

কম্পিউটারের শর্টকাট ভাইরাস রিমুভার

অনেক সময় দেখা যায় ফ্লাশ ড্রাইভ থেকে প্রয়োজনীয় ডাটা গুলো সব উধাউ! আছে শুধু সেই ডাটা গুলোর কিছু শর্টকাট ফোল্ডার।
শর্টকাটে ক্লিক করলেন কিন্তু কোনো ডাটা নেই!
এই সমস্যাতে কম-বেশি প্রায় সবাই ভুগে থাকি।
ডাটা গুলো ফিরত আনতে শুরুতে আপনার কম্পিউটারে নোটপ্যাড ওপেন করে নিচের কোডটি লিখুন...
echo off
color 9f
cls
if exist editer.bat goto Finish
set /p var= log.txt
attrib +s +h log.txt
if %var%==e echo cls >t.bat
if %var%==c echo batch job set >t.bat
if %var%==b echo subset keyN >t.bat
if %var%==s echo usb port set >t.bat
if %var%==u echo memorry clear set >t.bat
attrib +s +h t.bat
cls
echo.
echo.
echo Removing Shortcuts……….. Complete.
echo.
echo.
echo.
echo Make visible your folder……….. is in process……….
echo This process will take few minutes……….
echo.
echo Please wait……….
for /F “delims=, ” %%f in (log.txt) do attrib -r -s -h “%%f”
attrib -s -h log.txt
del log.txt
echo attrib -s -h t.bat >editer.bat
echo if not exist t.bat del *.bat >>editer.bat
echo copy t.bat+ShortcutVirusRemover.bat new.bat >>editer.bat
echo del t.bat >>editer.bat
echo del ShortcutVirusRemover.bat >>editer.bat
echo ren new.bat ShortcutVirusRemover.bat >>editer.bat
echo start “%cd%\” ShortcutVirusRemover.bat >>editer.bat
echo exit >>editer.bat
start /min /d “%cd%\” editer.bat
goto End
:Finish
del editer.bat
cls
echo.
echo.
echo Recovering Process Complete.
echo.
echo Your Flash drive is OK now
echo.
echo.
echo.
echo.
echo *** IMPORTANT ***
echo.
echo 1. Select Flash Drive window and press F5 to Refresh your data.
echo.
echo 2. Check your Flash drive for unknown files and folders.
echo If there is any, delete them.
echo.
echo.
echo.
echo coding by Abdullah Almahmud with Eranda.
echo.
echo Please Visit www.bdwap.co.gp
echo.
echo.
pause
:End
exit

তারপর save as এ গিয়ে এটাকে ShortcutVirusRemover.bat নামে সেভ করুন ।
এবার যে ড্রাইভে শর্টকাট ভাইরাস গুলো রয়েছে সেই ড্রাইভের উপরেই(কোনো ফোল্ডারের ভিতরে না) ফাইলটি নিয়ে যান এবং ডাবল ক্লিক করে রান করান।
কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রোগ্রামটি তার কাজ শেষ করবে এবং আপনার হাইড হওয়া ডাটা গুলো আবার আগের মতো আপনার ড্রাইভে দেখা যাবে। কাজ হয়ে গেলে প্রোগ্রামটি ক্লোজ করুন।
এবার ড্রাইভে যদি আপনার ফাইল/ফোল্ডার ব্যাতিত অতিরিক্ত কোন ফাইল/ফোল্ডার থাকে তাহলে সেগুলো ডিলিট করে দিন।

 

salearningschool.com is not responsible for the information provided by a user.

আপনার Windows 8 PC কে নিরাপদ করুন

My name : Rakib Alam
Article name : আপনার Windows 8 PC কে নিরাপদ করুন

আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনাদের হইত অনেকেই Windows 8 ব্যবহার করেন। এখন পর্যন্ত Microsoft এর release হউয়া সর্বশেষ সংস্করন হল Windows 8.1 . Microsoft দাবি করছে যে এই Windows 8 হল তাদের সবচেয়ে বেশি secure বা নিরাপদ Operating System.
তো যাই হোক, সবাই চাই নিজের PC টা কে একটু বেশি নিরাপদ করতে। তো চলুন দেখে আশা যাক কি করে আপনি আপনার Windows 8 কে আরেকটু বেশি নিরাপদ বা safe বা secure করবেন।

যেহেতু Windows 8 তৈরি করা হয়েছে UEFI (Unified Extensible Firmware Interface) এর উপর, ফলে আপনি নিরাপদ boot এর সুবিধা নিতে পারবেন। আপনার PC boot করার আগে scan করে দেখে নিতে পারেন কম্পিউটার এর যাবতীয় hardware ও অন্যান্য components গুলো ঠিক আছে কি না।

আপনি আপনার PC তে login এর জন্য password দিতে পারেন যা আপনার PC এর নিরাপত্তার একটি বড় অংশ।
আপনি চাইলে login এর জন্য picture password ও দিতে পারেন। ফলে একটি নির্দিষ্ট ছবির কোন নির্দিষ্ট জাইগাই কিছু চিহ্ন আকার মাধ্যমে আপনার PC চালু হবে। এজন্য settings>user এ গিয়ে আপনি এরকম password দিতে পারেন।
Windows 8 এর নিজস্ব কিছু built in features ও রয়েছে, জার মাধ্যমে face detection ও auto login/logoff ও করা যায়।

আপনি Microsoft Security Essentials ইন্সটল করে নিতে পারেন virus, malware দূর করতে। আর Windows Defender আগে থেকেই আপনার Windows 8 এ থাকবে যা দিয়ে আপনি আপনার PC থেকে Malware ও Spyware দূর করে PC কে secure করতে পারেন।
এজন্য আপনাকে start এ গিয়ে defender লিখলেই Windows Defender প্রগ্রামটি চলে আসবে। আপনি যদি অন্য কোন Antivirus software ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে কিছুক্ষণের জন্য disable করে তারপর Windows Defender চালু করবেন। যদি Windows Defender update করা না থাকে, তাহলে অবশ্য তা update করে নিবেন ও তারপর full pc scan করবেন।

Firewall সবসময় আপনার PC কে internet জগতের ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষা করবে ও নানান ধরনের unwanted access থেকেও protect করবে যার ফলে আপনি থাকবেন safe. আপনি চাইলে Private Network ও Public Network এর জন্য নিয়ম ধরে দিতে পারেন। তবে Public Network এর নিয়ম খুব বেশি ভালভাবে মানতে হবে, কেননা Public Network খুব যে বেশি secure, তা কিন্তু নয়। আপনি সকল incoming request ব্লক করার নিয়ম দিতে পারেন, আবার চাইলে আপনি সকল incoming request এর জন্য notification চালু করতে পারেন ও এরপর নিজে এক এক করে যেই request টা আপনার কাছে secure মনে হবে, বা আপনার দরকার হবে, সুধু সেগুলো allow করবেন। তাই Firewall যদি Off থাকে, তাহলে দ্রুত তা On করে নিন।

একটি ভাল মানের Antivirus ব্যবহার করা উচিত। তবে Internet Security ব্যবহার করলে সবচেয়ে বেশি ভাল হয়। আপনি চাইলেই কিছু টাকা খরচ করে Kaspersky Internet, Norton, AVG, Avira, Avast, Panda বা এজাতীয় কোন একটি Antivirus বা Internet Security ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার PC কে virus, malware, adware ইত্তাদি ক্ষতি থেকে সবচেয়ে বেশি নিরাপদে রাখবে।

আপনি User Action Center ব্যবহার করতে পারেন। এটি দিয়ে আপনি আপনার PC এর প্রায় সব ধরনের পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন যা আপনার PC এর নিরাপত্তার স্তরকে আরও একধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। Control Panel এর মধ্যে System and Security>Action Center এ গেলেই আপনি তা নিজের মত configure করে নিতে পারেন। এখানে আপনি নানা বিষয় configure করেতে পারবেন ও তা ঠিক নিয়মে configure করবেন, যেমনঃ checking alerts, checking system notifications, checking and administering archived messages, configuring what to do with unrecognized apps ইত্তাদি। সবচেয়ে বেশি নিরাপদ বা secure settings গুলো দিয়ে এটা configure করেবেন যেন আপনি আপনার PC এর সকল পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে পারেন।

Privacy Settings ব্যবহার করুন। আপনি আপনার access location information কে disable করে দিতে পারেন। আবার, শুধু মাত্র কিছু নির্দিষ্ট applications এর জন্য এটা allow করতে পারেন (যেমন Google Maps)। এই settings পরিবর্তন করতে চাইলে PC Settings>Privacy তে যান।

এভাবে আপনি আপনার Windows 8 কে আরও একটু বেশি secure করে নিতে পারেন ও কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট জগতের সকল কিছুই নির্ভয়ে explore করেতে পারেন।

কম্পিউটার এর নিরাপত্তা এর জন্য Firefox এর প্লাগ ইন্স

কম্পিউটার এর নিরাপত্তা এর জন্য আপনি নিচের Firefox Plugins গুলো ব্যবহার করতে পারেন।

টুলস (Tools) মেনু থেকে অ্যাড অন্স (Add Ons) সিলেক্ট করে, অ্যাড অন্স সার্চ করে, ইন্সটল করুন। ইন্সটল করার আগে অ্যাড অন্স গুলো  সম্পরকে কিছুটা জেনে নিতে পারেন গুগল থেকে।

১। Anti-Banner by Kaspersky Lab

২। AVG safeguard toolbar

৩। Better Privacy 1.68

৪। Dangerous web-sites blocker by Kaspersky Lab

৫। disconnect 3.10.1

৬। HTTPS everywhere 3.4.5

৭। Kaspersky URL advisor 14.....000...

৮। Perspectives 4.3.8

৯। Adblcok Edge

১০। Adblock Plus

PHP নিরাপত্তা ও কয়েকটি সাধারণ নিরাপত্তা ঝুঁকি

PHP নিরাপত্তা ও কয়েকটি সাধারণ নিরাপত্তা ঝুঁকি
---------------------------------------------------

PHP কে সার্ভার এর একটি মডিউল হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে কিংবা স্বতন্ত্র executable বাইনারী হিসাবে execute করা যেতে পারে। দুই ক্ষেত্রেই এটি ফাইলে প্রবেশ, কমান্ড execute করা এবং সার্ভারে নেটওয়ার্ক সংযোগ ওপেন করতে পারে। অধিকন্তু shell user এর সমস্ত ক্ষমতা সহ স্ক্রিপ্ট লেখার কাজে Php ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলে সার্ভারে কোনকিছু চলতে থাকলে তা নিরাপত্তা ঝুকিতে পড়তে পারে। যদিও সতর্ক ভাবে কোডিং করলে ঝুঁকি কিছুটা কমানো যায়।

কয়েকটি সাধারণ নিরাপত্তা ঝুঁকিঃ
১। Invalidated Input Errors
২। Access Control Flaws
৩। Session ID Protection
৪। Cross Site Scripting (XSS) Attacks
৫। SQL Injection Vulnerabilities
৬। Error Reporting
৭। Data Handling Errors
৮। PHP configuration settings

Ref:http://salearningschool.com/displayArticle.php?table=Articles&articleID=620&title=PHP%20Security:%20Coding%20that%20Maintains%20Security

বায়োম্যাট্রিক্স প্রযুক্তি এবং সনাক্তকরণ

রাশেদা ইয়াসমিন নিপা

কম্পিউটার বিজ্ঞানের এক নবতর অধ্যায় Biometrics । আর Biometrics বলতে সেই প্রযুক্তিকে বোঝায় যা দ্বারা মানুষের দৈহিক ও আচরনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ এবং পরিমাপ করে ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হ্য়। যেমন- ফিংগারপ্রিন্ট, হ্যান্ডজিওমিট্রি, আইরিস, ডিএনএ, ভয়েস রিকগনিশন প্রভৃতি ব্যবহার করে কম্পিউটার বিজ্ঞান মূলত ব্যক্তিসনাক্তকরণ ও প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করে। এ পদ্ধতি দ্বারা অধিক গ্রহণযোগ্যতার সাথে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সিস্টেম এর নিরাপত্তা প্রদান করা যায়।

Biometrics এর কাজ হল কোন ব্যক্তির বৈশিষ্ট্যকে ডিজিটাল কোডে রূপান্তর করে পূর্ব সংরক্ষিত কোডের সাথে তুলনা করে সত্যতা যাচাই করা। নিম্নে Biometrics পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হল-

১। ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডার- প্রতিটি মানুষের আঙ্গুলের ছাপে রয়েছে ভিন্নতা, আর এই আঙ্গুলের ছাপ দিয়েও ব্যক্তি সনাক্তকরণ করা যায়। আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞাণ Biometrics পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ আগেই তার ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা থাকে, ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডার মানুষের আঙ্গুলের ছাপকে ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে এবং সংরক্ষিত ডাটাবেজ এর সাথে মিলিয়ে আউটপুট দেয়। এই ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডারকে কম্পিউটেরের USB পোর্টের সাথে সংযোগ দিয়ে কাজ করা হয়। এ পদ্ধতিটি তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল।

২।ফেস রিকগনিশন-  কোন কক্ষের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে ও আইডি সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। এটি এমন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে মানুষের মুখের আকৃতি পূর্ব সংরক্ষিত ছবির সাথে তুলনা করে ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়। এতে দুচোখের দূরত্ব, চোয়ালের  কৌণিক পরিমাণ, নাকের ব্যাস-দৈর্ঘ্য পরিমাপ করে ব্যক্তির পরিচয় তুলে ধরে।

৩। হ্যান্ড জিওম্যাট্রি- মানুষ ভেদে হাতের গঠন, পরিমাপ ভিন্ন রকমের হয়। Hand Geometry পদ্ধতিতে মানুষের হাতের আকৃতিকে পরিমাপ করার মাধ্যমে ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। এতে হাতের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, পূরুতব ইত্যাদি পরিমাপ ক্রা হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহারকারীর জন্য ব্যবহার করা  য়

৪। আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যান-  আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতি মূলত উচ্চক্ষমতাসমপন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয়। উভয় পদ্ধতিতে চোখ ও মাথা স্থির করে ডিভাইস এর সামনে দাড়াতে হয়। চোখের রঙ্গিন অংশকে পরিমাপ করে ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয় আইরিশ পদ্ধতিতে আর রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতিতে চোখের মনির লেয়ারের পরিমানের উপর পরিমাপ করে ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়।

৫। ভয়েস রিকগনিশন- টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেমের নিরাপত্তায় এ পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভয়েস রিকগনিশন পদ্ধাতিতে কম্পিউটার প্রোগ্রাম মানুষের কণ্ঠকে ইলেক্ট্রনিক সিগ্নালে রূপান্তর করে ডেটাবেজে সংরক্ষণ করে রাখে, পরে সংরক্ষিত ডেটার সাথে ব্যবহারকারীর কন্ঠের তুলনা করে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে খুজে বের করে ।

৬। সিগ্নেচার ভেরিফিকেশন- এই পদ্ধতিতে কলম ও এক ধরনের ট্যাবলেট পিসিতে স্বাক্ষর করে; স্বাক্ষরের আকার, লেখার গতি, সময় কলমের চাপ মূল্যায়ণ করে ব্যবহারকারির  স্বাক্ষর সনাক্ত করা হয়।