Category Archives: লেখাপড়া । Education

লেখাপড়া । Education

বিদেশে মেডিকেলে পড়তে গেলেন আড়াই শয়ের বেশি শিক্ষার্থী

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রচুর শিক্ষার্থী বিদেশে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করতে যান। বিশেষ করে মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমান ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে। এবারো বেশ কিছু শিক্ষার্থী সেই ধারাবাহিকতায় মেডিকেলে পড়ার উদ্দেশ্যে বিদেশ যাওয়ার জন্য সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২৫৬ জন শিক্ষার্থী বিদেশে যাওয়ার জন্য সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছেন।

বর্তমানে বিশ্বের যে কোন দেশে মেডিকেল বিষয়ে পড়াশোনা করতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) থেকে প্রি-অ্যালিজিবিলিটি (যোগ্যতা) সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে।আগে শিক্ষার্থীরা একসময় যে কোন প্রকারের পাসের শিক্ষাগত যোগ্যতাটুকু থাকলেই বিদেশের মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারতো। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে তারা দেশে ফিরে প্র্যাকটিসের জন্য আবেদন করে নিবন্ধন নিতেন। এ পদ্ধতিতে মান নিয়ন্ত্রণ কষ্টসাধ্য ছিল। তাই বিএমডিসি থেকে প্রি-অ্যালিজিবিলিটি নেয়ার এই পদ্ধতি চালু হয় বলে জানান বিএমডিসির রেজিষ্ট্রার ডা. জাহেদুল হক বসুনিয়া। কোন শিক্ষার্থী প্রাক সার্টিফিকেট ছাড়া বিদেশের মেডিকেলে পড়াশোনা করে পাস করলেও বিএমডিসি তাকে নিবন্ধন প্রদান করবে না বলে তিনি জানান।২০১১ সালে বিএমডিসি নতুন নিয়ম চালু করেছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী দেশীয় মেডিকেলে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের যে ধরনের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা (জিপিএ ৮) কিংবা সমমানের যোগ্যতা থাকতে হয়, বিদেশের মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদেরকেও ন্যূনতম জিপিএ সে রকম থাকতে হবে।

campuslive24.com ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল বায়োমেডিকেল রিসার্চ সম্মেলন Biomedical research conference in JU

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় গবেষণা ও প্রশিক্ষণের সুযোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেকারনেই ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বায়োমেডিকেল রিসার্চ সম্মেলন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের Higher Education Quailty Enhencement Project (HEQEP) এর আয়োজনে ‘বাংলাদেশের সমসাময়িক বায়োমেডিকেল রিসার্চ (contemporary biomedical research in bangladesh) শীর্ষক এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে ।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে সভাপতি ছিলেন প্রফেসর ড. সাবির হোসেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম।উদ্বোধনী ভাষণে তিনি স্বাস্থ্য-ব্যবস্থাপনায় biomedical research এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. এম আনোয়ার হোসেন সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. আবুল হোসেন, প্রকল্প পরিচালক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহান্ত এনডিসি, জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. আবদুল জব্বার হাওলাদার ও প্রকল্পের ম্যানেজার প্রফেসর ড. সোহেল আহমেদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানের সায়েন্টিফিক সেশনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রফেসর ড. শরীফ আক্তারুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এস. এম বদিয়ার রহমান, প্রফেসর ড. মো. শাহাদাত হোসেন, প্রফেসর ড. মো. নজিবুর রহমান, ড. নুরুল করিম, ড. ফারহা মতিন জুলিয়ানা, ও ড. মো. মেসবাহ উদ্দিন আনসারী প্রমুখ।

উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা সংশ্লিষ্ট এমন সম্মেলন দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে- এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম ও জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে

সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সাইবার গেমিং কন্টেস্ট Cyber gaming contest held in sylhet leading university

গেমিং তরুণ প্রজন্মের অনেকেরই দৈনন্দিন জীবনের সাথে নিবিড়ভাবে মিশে আছে, আর আমাদের দেশের তরুণদের উদ্ভাবনী দক্ষতায় গেমিংএর ক্ষেত্রটি বিকশিতও হচ্ছে দিন দিন। সেই ধারাবাহিকতায়ই গত ৩০ এবং ৩১ ডিসেম্বর দু'দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ‘সাইবার গেমিং কনটেস্ট ২০১৫ । আয়োজনে ছিল সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ইলেক্ট্রনিক্স ক্লাব অব লিডিং ইউনিভার্সিটি।

দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এই উৎসবের সমাপনী দিনে পুরস্কার বিতরনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন গেমিং কনটেস্ট এর আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এস. এম সাইফুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসাবে এখানে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড.মোঃ কবির হোসেইন। প্রফেসর ড.মোঃ কবির তাঁর বক্তব্যে বলেন, এ ধরনের বৃহৎ আয়োজন শিক্ষার্থীদের মেধার উৎকর্ষ সাধনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, ইউনিভার্সিটির রেজিষ্ট্রার লেঃ কর্নেল (অবঃ) মুনির আহমেদ কাদেরী ও ইইই বিভাগের প্রভাষক মিনহাজ জামান লস্কর প্রমুখ।

উৎসবমুখর এই গেমিং কনটেস্টে লিডিং ইউনিভার্সিটি ছাড়াও অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট) , শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটি, এমসি কলেজ, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি, বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ কলেজ,মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার ছিল সমাপনী দিন, এদিনে সিলেটের মিরাবাজারস্থ হোটেল সুপ্রিমে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী উৎসবে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।

কালের কণ্ঠ ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।

রুয়েটে হতে যাচ্ছে গ্রিন ব্রেইন প্রতিযোগিতা (Green brain contest to be held at RUET)

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েটে) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “গ্রিন ব্রেইন প্রতিযোগিতা”। আমেরিকান সেন্টার(ঢাকা) এর আয়োজন সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হবে দুইদিন ব্যাপী এই প্রতিযোগিতা। ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। আইইই রুয়েট স্টুডেন্ট শাখার আয়োজনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ৪টি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগীরা এতে অংশ নিতে পারবেন, প্রকল্প প্রদর্শনী, আইডিয়া কনটেস্ট, পোস্টার ডিজাইন, আর প্রবন্ধ রচনা। প্রতি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের জন্য থাকবে এক লাখ টাকা প্রাইজমানি, সনদপত্র ও ক্রেস্ট। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ও সমাপনি পর্বে রুয়েটের ভিসি প্রফেসর ডঃ মোঃ রফিকুল আলম বেগ, আমেরিকান সেন্টারের সংস্কৃতিবিষয়ক কর্মকর্তা জর্জ মেসথস সহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উইকিপিডিয়ার উপর কর্মশালা (Wikipedia workshop at begum rokeya university)

তথ্যউপাত্তের নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে সারা বিশ্বে সমাদৃত মুক্ত বিশ্বকোষ হল উইকিপিডিয়া। আর এই বিশ্বকোষে বাংলা ভাষার তথ্যভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার উদ্দেশে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল উইকিপিডিয়া কর্মশালা। গত ২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৪এ উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ এর পরিচালনায় এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। এর আয়োজনে ছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উইকিপিডিয়া কমিউনিটি। কর্মশালায় সভাপতি ছিলেন এনামুল হক বিপ্লব। তিনি তাঁর বক্তব্যে উইকিপিডিয়ার সঠিক বক্তব্য তুলে ধরার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গাজী মাজহারুল আনোয়ার।বিশেষ অতিথি ছিলেন আ ফ ম নাজমুল আহসান সজীব। তিনি তরুণ সমাজের অবদানের মাধ্যমে উইকিপিডিয়ায় বাংলা ভাষা আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বকুল কুমার চক্রবর্তী, ইসমিতা তাসনিম, এবং উইকিপিডিয়া কমিউনিটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যবৃন্দ।কর্মশালায় ঢাকা থেকে আগত প্রশিক্ষকগণ ৬০ জন শিক্ষার্থীকে উইকিপিডিয়ায় নতুন শব্দ(বাংলা শব্দ) সংযোজন ও ভুল সংশোধন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।

আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির মূলে আছে বাংলা ভাষা, আর বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মুক্ত বিশ্বকোষে আমাদের প্রিয় এই ভাষার অবস্থান সুসংহত করার জন্যই ছিল এই কর্মশালার আয়োজন। এতে অংশ নিতে পেরে তাই আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। ভবিষ্যতেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য এমন মহৎ উদ্যোগ নেয়া হবে, এটিই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল গনিত অলিম্পিয়াড (Math Olympiad at khulna university)

মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রা ও বিকাশে যে কয়েকটি বিষয়ের জ্ঞান অবদান রেখেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হল গনিত, আর এই গনিতের অনুশীলন ও প্রয়োগ সৃষ্টি করে যুক্তিশীল প্রবণতার।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৪ ডিসেম্বর হয়ে গেল ৭ম জাতীয় স্নাতক গনিত অলিম্পিয়াড ২০১৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের উদ্যোগে একাডেমিক ভবন ১ ইউআরপি ডিসিপ্লিনের লেকচার থিয়েটারে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার মধ্য দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গনিত বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডঃ মোঃ হায়দার আলী বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ডঃ মোঃ ইসমত কাদির, অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৭ম জাতীয় সম্মেলন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও বুয়েটের প্রফেসর ডঃ মনিরুল আলম সরকার এবং প্রফেসর ডঃ মোঃ আব্দুল হাকিম খান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন, মানব জীবনই একটা হিসাব, আর তাই গনিত এমন একটি বিষয় যে পরিবার থেকে শুরু করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে গণিতের প্রভাব আছে।

অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্বে ছিল গণিতের বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা, বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ, মতবিনিময় ইত্যাদি।

গণিত আমাদের জীবনে যুক্তিশীলতা ও যুক্তিবাদিতার শিক্ষা দেয়, শিক্ষা দেয় সহনশীলতার। যুক্তিশীল ও পরিমিত আচরণের আবর্তে বাঁধা নিয়মতান্ত্রিক জীবন পেতে গণিত আমাদের সহায়তা করে। আর তাই এধরণের গণিত অলিম্পিয়াড আমাদের শিক্ষাক্ষেত্র ও প্রায়োগিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এটিই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হল স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস (Universal health coverage day at BRAC university)

গত ১২ ডিসেম্বর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়ে গেল স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস।‘সবার জন্য স্বাস্থ্য, সঠিক,প্রয়োগোপযোগী, বিলম্বিত’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এই উৎযাপন সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ।দিবসটি উপলক্ষে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর থেকে জাতীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।এরপর রাজধানীর মহাখালীস্থ জেপিজিএসপিএইচ(জেমস পি গ্র্যান্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ)এর মূল চত্বরে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

ব্র্যান্ড উইটজ ২০১৫ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ চ্যাম্পিয়ন (Brand witz 2015:DU IBA champion)

নভেম্বরের ৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ব্র্যান্ড উইটজ ২০১৫ প্রতিযোগিতার মূলপর্ব। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ব্যবসায় শিক্ষা শিক্ষার্থীদের ব্যবসা বিষয়ে পরিকল্পনা ও ধ্যানধারণা প্রকাশের উৎসব হল এই প্রতিযোগিতা। এবছর প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল নাগরিক সেবা প্রদানে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তি।ব্যবসায় শিক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য এই বিশাল ইভেন্ট আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর কমুনিকেশন ক্লাব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘এক্সেস টু ইনফরমেশন’ অর্থাৎ এটুআই প্রকল্প, যৌথভাবে। প্রথম আলো পত্রিকা ও আইবিএ এলমনাই এসোসিয়েশন প্রতিযোগিতার সহযোগী ছিল, রেডিও সঙ্গী ছিল এবিসি রেডিও।

প্রতিযোগিতার মূলপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয় আইবিএর টিম ‘ প্রোজেক্ট ২২’ আর রানার আপ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ‘ আভান্ট গার্ড’ নামের আরেকটি দল। প্রথম রানারআপ হয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেসনালস(বিইউপি)এর টিম, ৩৬০ ডিগ্রী। বিজয়ী দলগুলো পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননা।

অনলাইন আবেদনের ভিত্তিতে সারা দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ৪৮টি দলকে প্রথম রাউন্ডে ইস্যুভিত্তিক সমস্যার সমাধান খুঁজতে বলা হয়। সেগুলোর সমাধানের ভিত্তিতে বিচারক প্যানেল ২৪টি দলকে সুযোগ দেয় দ্বিতীয় রাউন্ডে ছয়টি বিষয়ের উপর অভিনব বিপণন কার্যক্রমের ধারণা বিশ্লেষণের । সেখান থেকে ৬টি দলকে চূড়ান্ত পর্বে আনা হয়- জানালেন এটুআই প্রোগ্রামের ইনফরমেশন এসোসিয়েট তানজিনা শারমিন।

বিশ্ব মানের পরিকল্পনা ও ধ্যানধারণা বিকাশের উৎসব হল এই প্রতিযোগিতা।আর এখানে মেধার স্বাক্ষর রেখে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করতে পেরেছেন যে দেশের মানুষের নাগরিক সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ও সৃষ্টিশীল প্রকল্পের সাথে সেই সেবার সমন্নয় ঘটাতে তাঁরা তাঁদের মেধাকে কাজে লাগাতে পারেন। এধরনের প্রতিযোগিতা আরও বেশি করে অনুষ্ঠিত হবে-এটিই সবার প্রত্যাশা।

 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিতঃ International Day of People with Disability celebrated in rajsahi university

গত ৩ ডিসেম্বর ছিল আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস। প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায় ও সমান জীবনমান নিশ্চিত করার প্রয়াস নিয়ে সারা বিশ্বের মত আমাদের দেশেও উৎযাপন করা হয়েছে এই দিবসটি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফিজিকালি চ্যালেঞ্জড ডেভলাপমেন্ট ফাউন্ডেশন’ অর্থাৎ পিডিএফএর আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎযাপন করা হয় এই দিবসটির।

আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যাশলি বের হয় সকাল সাড়ে ১১টায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বের হওয়া র্যা লিতে অংশ নেন ছাত্র শিক্ষক সহ সকলে। র্যাকলিটি উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ডঃসায়েন উদ্দিন আহমেদ। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে এটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও সচেতনতা নিয়ে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিডিএফের সভাপতি আলমগীর হোসেন, সুইড বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সচিব কল্পনা রায় ভৌমিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদ্রেস্টা সাদেকুল আরেফিন মতিন, সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ডঃ গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস সহ আরও অনেকে।

প্রতিবন্ধীদের উন্নত জীবন লাভের নিশ্চয়তা ও অধিকার আদায়ের প্রত্যাশায় সারা বিশ্বে যে দিবস উৎযাপন, তারই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উৎযাপনের মহৎ উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। আর এই মহান উদযাপনের সাথে একাত্ম হতে পেরে আনন্দিত ছাত্র শিক্ষক সহ সকলে। এধরণের সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ ভবিষ্যতেও চালু থাকবে, এটিই প্রত্যাশা সকলের।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল অটোমোশন পদ্ধতিঃ Automotion system to be started in sylhet agricultural university

তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ লাভের ফলে সাবলীল হয়ে উঠছে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল অটোমোশন পদ্ধতির কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণ, ফলাফল তৈরি সহ শিক্ষকদের পাঠদান কার্যক্রম সহজ করার উদ্দেশেই মূলত এটি চালুর দাবি ছিল। এছাড়াও এতে সহজ হবে অর্থসংক্রান্ত বিষয়াদি, আবাসন বরাদ্দ সহ নানা কাজও। total automotion and IT facilities enhancement in university প্রকল্পের অধীনে সাইনটেক সফটওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায় এটি বাস্তবে রূপ নেবে।

মঙ্গলবার ১লা ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃ মোঃ গোলাম শাহি আলম এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এই প্রকল্পের এসপিএম ডঃ মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মোঃ বদরুল ইসলাম, প্রোক্টর প্রফেসর ডঃ মোঃ আব্দুল বাসেত, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ মোঃ মোহন মিয়া, মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর মোঃ শাহাব উদ্দিন, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ মোঃ এএফএম সাইফুল ইসলাম, কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের ডিন পীযূষ কান্তি সরকার, কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ মিঠু চৌধুরী, ছাত্র পরামর্শ নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ডঃ মোঃ মতিয়ার রহমান, গ্রন্থগারিক সুবীর কুমার পাল, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস শাখার পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সরফুদ্দিন, প্রকৌশল শাখার প্রধান প্রকৌশলী মোঃ ফয়জুর রহমান, চিফ মেডিকেল অফিসার ডাঃ অসীম রঞ্জন রায়, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের পরিচালক মোঃ আনিসুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ সাজিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দও। স্লাইড শোর মাধ্যমে অটোমোশনের কার্যপদ্ধতি ও উপযোগিতা ব্যাখ্যা করেন সাইটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার তীর্থভূমি। আর উচ্চশিক্ষার এই সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি ও আধুনিক বিজ্ঞানের সব প্রায়োগিক সুবিধা থাকবে, শিক্ষা হবে আরও জীবনমুখী ও স্বতঃস্ফূর্ত, এটিই সবার প্রত্যাশা। আর তাই এধরনের প্রযুক্তির ছোঁয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরও যুগোপযোগী করবে, এটিই সংশ্লিষ্ট সবার আকাঙ্ক্ষা।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল ‘পেশাজীবী দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনার:skill development seminar in SUST

গত ২৭ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল তিনটায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পেশাজীবী দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট ডেভলাপমেন্ট নেটওয়ার্কের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিসি প্রফেসর ডঃ মোঃ আমিনুল হক ভূঁইয়া। ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং(আইপিই) বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করা হলেও সেমিনারটি সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। আলোচনা করেন এই বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হওয়া সফল প্রাক্তন ছাত্রগণ। বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করতে চান এমন ছাত্রদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী এই সেমিনার পেশাগত দক্ষতা অর্জন ও ব্যাক্তিগত নৈপুণ্য সৃষ্টিতে শিক্ষার্থীদের উপযোগী মানসিকতা তৈরি করবে- এটিই বিশ্বাস আয়োজকদের। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোন ধরণের রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই এই সেমিনারে অংশ নিতে পেরেছেন।

শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও উপযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এধরনের সেমিনার, তাই ভবিষ্যতেও যেন এরকম উদ্যোগ গ্রহণের ধারা অব্যাহত থাকে এটিই প্রত্যাশা সবার।

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার।International archaeology seminar held in Jahangirnagar university

প্রত্নতত্ত্ব কোন জাতির অতীত ঐতিহ্য ও গৌরবের ধারক ও বাহকরূপে কাজ করে। একটি দেশের সমৃদ্ধির অন্যতম নিদর্শন এর বিবর্তনের সাক্ষী এই প্রত্নতত্ত্ব। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রত্নতত্ত্ব গবেষণায় শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, আর এখানেই গত ২৮ নভেম্বর শনিবার হয়ে গেল প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্মশালা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এর আলোচ্য বিষয় ছিল ‘pottery from Bangladesh and eastern India: constructing a holistic methodology for analysis and interpretetion’

শনিবার অনুষ্ঠিত হওয়া এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃ ফারজানা ইসলাম। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ডঃ মোকাম্মেল হোসেন ভূঁইয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রফেসর ডঃ সীমা হক। উদ্বোধনী অনুস্থানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রোভিসি প্রফেসর ডঃ আবুল হোসেন, বিশ্বব্যাংকের উচ্চশিক্ষা মানউন্নয়ন বিষয়ক প্রকল্প পরিচালক গৌরাঙ্গ চন্দ্র, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহসান। বিশেষ অতিথি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন গবেষণা প্রকল্পের সাব ম্যানেজার প্রফেসর ডঃ স্বাধীন সেন। এই কর্মশালায় বিভাগের উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত গবেষণার বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ কর্মশালায় দেশবিদেশের প্রত্নতত্ত্ববিদ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

প্রত্নতত্ত্ব আমাদের সভ্যতার বিকাশ ও সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক উচ্চশিক্ষার পরিক্রমায় এধরণের কর্মশালা অনেক বেশি উৎসাহব্যঞ্জক ও কার্যকরী হতে পারে, রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা- এটিই সংশ্লিষ্ট সকলের বিশ্বাস।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গণিত উৎসব:Math olympiad in Jahangirnagar university

গত ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ গণিত সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৭ম জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড ২০১৫। সহ আয়োজক ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল নয়টায় গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডঃ ফারজানা ইসলাম।বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি প্রফেসর ডঃ আবুল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন গণিত বিভাগের সভাপতি ও ঢাকা উত্তর আঞ্চলিক অলিম্পিয়াড ২০১৫ আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ডঃ মোঃ আব্দুর রব, গাণিতিক ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ক অনুষদের ডিন প্রফেসর ডঃ মোঃ নুরুল আলম, গণিত বিভাগের প্রফেসর ডঃ লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, এসোসিয়েট প্রফেসর মোঃ উসমান গনি প্রমুখ।

সকাল ১০টা থেকে দেড় ঘণ্টার মূলপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১২টি সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণীর ১১৬জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন। অলিম্পিয়াডে মৌলিক গণিতের উপর ১০০ নাম্বারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় ১০ জন পুরস্কৃত হন। দুপুর ২.৩০ মিনিট থেকে গণিত বিষয়ের উপর প্রশ্ন উত্তর পর্ব ছিল। এতে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত গণিত বিশেষজ্ঞ ও প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। এই পর্বটি পরিচালনা করেন গণিত বিভাগের প্রফেসর ডঃ লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ। বিকেল চারটার দিকে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

গণিত ও যুক্তিনির্ভরতা আমাদের সভ্যতার অগ্রযাত্রায় রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গণিতের অনুশীলন ও প্রয়োগ জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে যুক্তিশীল প্রবণতার সৃষ্টি করে। তাই গণিতের চর্চা আর সেই সাথে গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্যোগ বৃদ্ধি পাবে ভবিষ্যতে, এটিই সকলের কামনা।

ডিসেম্বরে হচ্ছে সিএসই উৎসবঃ CSE festival to be held on December

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উদ্যোগে আগামী ৪ ও ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চতুর্থ সিএসই উৎসব।দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই উৎসবে সারা দেশের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেবে।

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের সিএসই বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই উৎসবে থাকছে রোবটিক্স প্রতিযোগিতা, আইটি অলিম্পিয়াড, গেমিং প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন ওয়ার্কশপ ও সেমিনার। এছাড়া কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও আইটি অলিম্পিয়াড। বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য বিপণনকারী ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও এই মেলায় অংশ নিচ্ছে। এই উৎসবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সেমিনার ও ওয়ার্কশপে অংশ নেবেন ও আলোচনা করবেন দেশের খ্যাতনামা প্রযুক্তিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা।উদীয়মান প্রজন্মকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তির নবীনতম সংযোজনগুলোর সাথে পরিচিত করতেই এই আয়োজনঃ জানালেন উদ্যোক্তারা।

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন হতে যাওয়া এই উৎসবের আয়োজনে সহযোগিতায় রয়েছে জাতীয় বিতর্ক ফেডারেশন(এনডিএফ), বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক(বিডিওএসএন), ও গুগল ডেভলপার গ্রুপ(জিডিজি) বাংলা।

প্রাথমিক পর্যায়ের বই ডিজিটাল হচ্ছেঃ Primary students will get digital book.

প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে প্রথম প্রয়াস হল শিক্ষাক্ষেত্রকে তথ্যপ্রযুক্তির আলোয় আনা, আর তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগে শিক্ষাকে সমাজের ও দেশের সকল স্তরে পৌঁছে দেয়া। সবার হাতে শিক্ষা উপকরণ পৌঁছে দিতে প্রয়োজন তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ সাধন । এই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক স্তরের বেশ কিছু পাঠ্যপুস্তকের ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে এবং ন্যাশনাল কারিকুলাম এন্ড টেক্সটবুক বোর্ড, বাংলাদেশের(এনসিটিবি) সিলেবাস অনুযায়ী এই কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রাথমিকের মোট ৩৭টি বইয়ের মধ্যে ১৭টির ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ এপর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছে।

২৩নভেম্বর সোমবার রাজধানী ঢাকায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি(আইসিটি) বিভাগের সভাকক্ষে ‘ডেভলপিং ইন্টারএকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল ভার্সন অফ প্রাইমারী কন্টেন্ট’ কর্মসূচীর আওতায় ‘ ডিজিটাল কন্টেন্ট উপস্থাপনা’ অনুস্থানে প্রাথমিকের বই ডিজিটাল হওয়ার কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ।

‘প্রযুক্তির সহায়তায় এ ধরনের কর্মসূচী আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে দেবে, শিক্ষার সাথে আনন্দ যোগে বর্তমান সরকার অগ্রণী ভূমিকা রাখবে-অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান একথা বলেন।

মোট ৪ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ কর্মসূচী বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে ২০১৪ সালের মার্চ মাস থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত। কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তা করছে ব্র্যাক ও সেভ দ্যা চিলড্রেন। প্রাথমিকের মোট ৩৭টি বইয়ের মধ্যে ১৭টির ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করা হবে, যার মধ্যে ১২টির ডিজিটাল সংস্করণ তৈরি করবে ব্র্যাক আর ৫টির ডিজিটাল সংস্করণ করবে সেভ দ্যা চিলড্রেন।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডঃ

গত ১৩ থেকে ২২ নভেম্বর ১০ দিন হয়ে গেলো আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ জ্যোতির্বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছিল ৪টি দেশের প্রতিযোগীরা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, রাশিয়া ও কাজাকস্থান। ঢাকার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গনে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

 

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা সবগুলো দল একজন করে টিম লিডারের দায়িত্বে ছিল। বাংলাদেশ দলে পাঁচজন সদস্য আর ২ জন লিডার, রাশিয়ার দলে একজন সদস্য আর একজন লিডার, শ্রীলঙ্কার দলে ছয়জন সদস্য আর ২ জন লিডার, কাজাকস্থানের দলে ৮ জন সদস্য আর ২ জন লিডার ছিল। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে তিনজন, বাংলাদেশের রাজশাহী কলেজের মোঃ মাহমুদুন্নবী, কাজাকস্থানের এগিসেভ দামির আর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ফাইরুজ ইশরাক। চারজন দ্বিতীয় পুরস্কার ও তিনজন তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে।

 

১৩ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হওয়া এই উৎসবের অবজারভেশন রাউন্ড ছিল ১৭ নভেম্বর। ১৮ তারিখ ছিল আড্ডা আর গল্প। ১৯ নভেম্বর ছিল ব্যবহারিক পর্ব। ২০ তারিখের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর প্রতিযোগীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিজ্ঞান জাদুঘরে। চূড়ান্ত বিজয়ী নির্ধারণ করা হয় ২১ নভেম্বর।

 

প্রতিযোগীদের মতে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি সাধারণ মানুষের উৎসাহ বৃদ্ধির জন্য ও আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মকে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিভিন্ন অলিগলির সাথে পরিচয় ঘটাতে এরকম জ্যোতির্বিজ্ঞান উৎসব খুবই সহায়ক, আর ভবিষ্যতেও এরকম আরও উৎসব হবে- এমনটিই আশা সংশ্লিষ্টদের।

ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৫ Dhaka Lit Fest 2015

প্রযুক্তি ও যান্ত্রিকতায় ভরা নাগরিক জীবনে সাহিত্যের কোমল ছোঁয়া এনে দিতে গত ১৯ থেকে ২১ নভেম্বর তারিখে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে হয়ে গেল ‘ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৫’। বিশ্ব সাহিত্যে বাংলার অবস্থান সুপ্রতিষ্ঠিত করা ও সমুজ্জল রাখার উদ্দেশ্য নিয়ে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আর এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘ সাহিত্য সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ্ব আমাদের চিনুক’

 

বাংলা একাডেমীর আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হওয়া এই উৎসবে উদ্বোধনী পর্বের শুরুতে ঘাসফড়িঙ কয়ারের শিল্পীরা তাদের নান্দনিক পরিবেশনা দিয়ে বর্ণিল করেন উৎসব অঙ্গন। এরপর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন উৎসবের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ভারতের নারীবাদী প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক নয়নতারা সেহগাল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হ্যারল্ড ভারমাস। উৎসবে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে কবিতাপাঠ, বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, শিশুতোষ গল্প বলা, নাচগানসহ আরও অনেক আয়োজন ছিল। সাহিত্যিক, কবি, শিল্পানুরাগী বিদগ্ধজন, সমালোচকসহ ১৪টি দেশের ২৫০ জন অতিথি এ উৎসবে যোগ দেন। ২০১১ সালে ‘হে ফেস্টিভ্যাল ঢাকা’ নামে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন হয়েছিল যার পরিবর্তিত রূপ আজকের এই ‘ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৫’।

 

উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাদের সাহিত্যকে বৈশ্বিক সৃজনশীলতার প্রাঙ্গনে তুলে ধরা। এছাড়াও প্রথমবারের মত বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল ওয়াসাফিরিতে বাংলাদেশ সংখ্যার প্রকাশনা উৎসব হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের লেখকদের লেখা স্থান পেয়েছে। এধরনের সাহিত্য উৎসব দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে শুভবোধের জাগরণ ঘটাবে ও আমাদের সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছুতে সাহায্য করবে-এমনটাই আশা সংশ্লিষ্ট সকলের।