Category Archives: প্রকল্প নিয়ন্ত্রণ । Project Management (PMP) Basics

প্রকল্প নিয়ন্ত্রণ । Project Management Basics

Random Short Notes on Project Management (PMI)

ব্যবস্থাপনার উপর কিছু সংক্ষিপ্ত নোটঃ
রিদওয়ান বিন শামীম

প্রকল্পের সুযোগ ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনাঃ

সুযোগ ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা হল মূলত নির্দিষ্ট করে কীভাবে প্রকল্পের সম্ভাব্য সুযোগের বিভিন্ন উত্থান পতনগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায় ও কীভাবে সুযোগের ক্ষেত্র গুলো নির্ধারণ করা যায়।এজন্যপ্রথমেই যা করতে হবে তা হল প্রকল্প শুরু করা।

একটি প্রকল্প শুরু করাঃ

একটি প্রকল্প শুরু করার সাথে মূলত দুই ধরণের উপাত্ত জড়িত থাকে, প্রথমটি হল প্রকল্পের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য গড়ে তোলা এবং দ্বিতীয়টি হল সম্ভাব্য প্রাথমিক সুযোগগুলোর একটি খসড়া গঠন করা।প্রকল্প ব্যবস্থাপকদের এক্ষেত্রে সরাসরি ও সততার সাথে আচরণ করতে হয়। যেকোনো পরিস্থিতিতে কোন সমস্যা এলে তাকে সোজাসুজি সেই সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য, যা অফিসিয়ালি একটি প্রকল্পের ভিত্তি, সেগুলো ব্যবসায়িক চাহিদা মেনে গঠন করতে হয়, সবসময় মাথায় রাখতে হয়, কেন প্রকল্পটি করা হচ্ছে অর্থাৎ প্রকল্পটির উদ্দেশ্য কি। সুযোগের খসড়া হয়ে যাওয়ার পর ও টিমের কর্মীদের কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার পর সাধারণত প্রকল্পের যে ধারাটি শুরু করতে হয় তা হল ডবলুবিএস প্রসেস (WBS process) যা মূলত কাজের খণ্ডিত অংশগুলোর আউটপুট বা ফলাফল নির্ধারণ করে। এই আউটপুট গুলো কয়েকটি বিষয়ের সমন্বয়ে হয়ে থাকেঃ মূল্যবান সাংগঠনিক প্রক্রিয়া, প্রকল্পবিধি ও প্রাথমিক সুযোগগুলোর খসড়া ইত্যাদি।

প্রকল্পের কর্ম প্রণালীর নিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রকল্প ব্যবস্থাপককে সব সময় খেয়াল রাখতে হয় সমস্যা সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহনের দিকে। সমস্যা সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহনের এই বিষয়গুলো ব্যবস্থাপককে একা দেখতে হয়, এগুলো টিম ওয়ার্ক নয়। এবিষয়ে কাজের ধারার বিবরণী পাওয়া যাবে ডবলুবিএস ডিকশনারিতে(in WBS dictionary)। সুযোগের গুরুত্ব নিশ্চিতকরণ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে ক্রেতা ও অর্থ বিনিয়োগকারী যাচাই করতে চায় চূড়ান্তভাবে প্রাপ্ত পণ্য পূর্বের ধারণা করা পণ্যের মানের মতন হয়েছে কিনা।স্টেটমেন্ট অফ ওয়ার্ক বা কাজের বিবৃতিঃ স্টেটমেন্ট অফ ওয়ার্ক বা কাজের বিবৃতি প্রকল্পের খণ্ডিত অংশের বিবরণ দেয় যাতে অনেক সময় বাইরের বিক্রেতাদের অনেক বিষয়ও জড়িত থাকে।কোড অফ কন্ডাক্টের শর্তে প্রকল্প ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরও বলা থাকে প্রকল্পের লাভ বা লভ্যাংশ নিয়ে যেকোনো ধরণের কোন্দল এড়িয়ে চলতে।

ডবলুবিএস সার্ভের উদ্দেশ্যঃ

ডবলুবিএস সার্ভে পুরো বিষয়টি চূড়ান্ত ভাবে খতিয়ে দেখে, এই ডবলুবিএস সার্ভের কয়েকটি উদ্দেশ্য আছে। সেগুলো হলঃ পূর্বে নিরুপিত সম্ভাব্যতা কতটুকু নির্ভুল তা জানা, নিয়ম নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধ মেনে চলাকে সহজ করা, প্রকল্পের সফলতার একটি মানদণ্ড তৈরি করা ইত্যাদি। এভাবেই প্রকল্প ব্যবস্থাপনার কাজ এগিয়ে চলে।
তথ্যসুত্রঃ (Andy Crowe, the PMP Exam.)

Random Short Notes on Project Management

প্রকল্প ব্যবস্থাপনার উপর কিছু কথাঃ
রিদওয়ান বিন শামীম

সঙ্ঘবদ্ধতার বিন্যাস একটি বড় গুন যা একটি দলকে কর্মক্ষেত্রে একসাথে করে রাখে। মানসম্মত উৎপাদন নীতিমালা একটি সংগঠনকে তার মান ঠিক রাখতে সহায়তা করে,লক্ষ্য ঠিক করতে সাহায্য করে। মানসম্মত সেবা বা পন্যের যে নীতিমালা এক একটি সংগঠনে তা এক এক রকম হতে পারে। এই ব্যপারটির সাথে জড়িয়ে আছে শিডিউল পারফরমান্স, কস্ট বাজেটিং, ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি নানা বিষয়ও ।

 

এরপর আসে প্রকল্পের প্রাথমিক নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রামের কথা, যা কাজের ধারা ও তার নির্ভরতাগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করে। প্রকল্প পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ সার্বিক কর্মকাণ্ডের উপর নির্ভর করে। প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সব সময় দেখতে হবে কতটুকু কাজ হয়েছে আর এর পর কি কাজ করতে হবে। যেমন পরিকল্পনা গ্রহনের পর কর্মপ্রণালী ঠিক করতে হয়, এর পর যথোপযুক্ত লোক নিয়ে কাজে হাত দিতে হয়।

 

প্রকল্প বাজেট ঃ সম্ভাব্য বাজেট, শিডিউল ও রিসোর্স ক্যালেন্ডার এগুলো প্রকল্প বাজেটের অন্তর্গত বিষয়। বাধ্যতামূলক নির্ভরতাঃ প্রকল্প নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম তৈরিতে দরকারি, যেমন কোন সফটওয়ার রান করানোর আগে তা লিখতে হয়।

 

মাইলস্টোন চার্ট ঃ মাইলস্টোন চার্ট প্রকল্প নেটওয়ার্কের আরেকটি পদ্ধতি যেটি একটি প্রকল্পের কেবল প্রধান বিষয় গুলো দেখায়, যেখানে গান্ট চার্ট (Gantt chart) নামের আরেকটি পদ্ধতি আছে যা প্রকল্পের সবকিছু খুঁটিয়ে দেখায়। প্রকল্পের স্কোপ স্টেটমেন্ট নামের ডায়াগ্রাম সদৃশ ডকুমেন্ট তৈরির পর কাজের ব্রেকডাউন স্ট্রাকচার তৈরি হয়, এরপর তৈরি হয় একটিভিটি লিস্ট। এরপর প্রকল্পের নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম তৈরি করতে হয় যা প্রকল্পের কাজের ধারার সাথে মিলিয়ে করতে হয়।প্রকল্পে এবার ঠিক করতে হয় ক্রিটিকাল পাথ, তারপর প্রোজেক্ট শিডিউল করতে হয়।

 

রান চার্টঃ প্রথাগত কর্মপ্রণালী দেখায় ও মান নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। মান নিয়ন্ত্রণ ও সুযোগ যাচাই উতপ্রতভাবে জড়িত। কোয়ালিটি কন্ট্রোল নির্ভুলতা, সম্ভাব্যতা ও উপযোগিতা নিশ্চিত করে, দেখতে সাহায্য করে এই ধরণের আর কোন প্রকল্প হচ্ছে কিনা।

 

 

বেনিফিট কস্ট রেসিওঃ বেনিফিট কস্ট রেসিও ১.৫ মানে হল প্রকল্পটি ১.৫ গুন আয় করবে। একটিভিটি লিস্ট হল প্রধান ইনপুট যা একটিভিটি পরিমাপ করবে। লাইফ সাইকেল কস্টিংঃ লাইফ সাইকেল কস্টিং হল মালিকের প্রারম্ভিক খরচ, উৎপাদন খরচ ও অন্যান্য খরচের যোগফল। এটির সাথে আছে কন্ট্রোল একাউন্ট প্ল্যান। এক্সপেক্টেনসি থিওরি হল এবিষয়ে আরেকটি থিওরি যার মূল হল লক্ষ্য অর্জনে অনুপ্রেরণার ভূমিকা। যদি কর্মীরা বিশ্বাস করে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব, তাহলেই কেবল রিওয়ার্ড মোটিভেশন পদ্ধতি কাজে লাগবে, এটাই এক্সপেক্টেনসি থিওরির মূল কথা। এগুলোই মূলত প্রকল্প ব্যবস্থাপনার মূল বিষয়।

Random Information on Project Management (PMI)

প্রকল্প ব্যবস্থাপনার উপর কিছু তথ্যঃ
রিদওয়ান বিন শামীম

প্রকল্প ব্যবস্থাপকরা কাজের ক্ষেত্রে সংঘটিত ক্রুটির একটি তালিকা করেন তাদের সংঘটিত হওয়ার সংখ্যার উপর ভিত্তি করে। তারা সাধারণত এটি করেন পারেটো চার্ট নামক একটি পদ্ধতির মাধ্যমে। এ পদ্ধতিতে সবচেয়ে কমন ভুলগুলো তালিকার উপরের দিকে থাকে, এর পর ধীরে ধীরে ক্রমশ অপেক্ষাকৃত কম ভুলগুলো দিয়ে সাজিয়ে তালিকা সম্পন্ন করা হয়।

 

প্রকল্প ব্যবস্থাপকরা কোন প্রক্রিয়া বা পদক্ষেপ গ্রহন করবেন কিনা তা একটি কন্ট্রোল চার্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হন,

 

তারা পূর্বপরিকল্পনা ও বর্তমান অগ্রগতির মধ্যে তুলনা করতে ভ্যরিএন্স এনালাইসিস(Variance Analysis) নামক একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেন।

 

এক্ষেত্রে অর্ডার অফ মেগনিচিউড এস্টিমেট নামক আরেকটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় প্রকল্পের খরচের নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ কস্ট ম্যনেজমেন্টের জন্য।

 

বিভিন্ন আলাদা সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য আনুষ্ঠানিক, লিখিত যোগাযোগ বেশি সফল হয়ে থাকে।

 

প্রকল্প কর্ম তালিকা হল অফিসিয়ালি প্রকল্পের মূল ভিত্তি, যার মাধ্যমে ক্রমিক ভাবে কাজ সম্পন্ন করা হয়।

 

ডেলফি পদ্ধতি হল সুদক্ষ কর্মীদের থেকে উপদেশ ও কাজের ধারা সম্পর্কে ধারণা লাভ করার একটি বিখ্যাত পদ্ধতি, যেটা কর্মীরা নিজেদের মধ্যে সাধারণত তথ্য শেয়ার না করে অর্থাৎ গোপন করেও করে থাকে।

 

কর্ম অনুমোদন পদ্ধতি সঠিক সময়ে ও সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন হওয়া নিশ্চিত করে। যারা অর্থাৎ যে ব্যক্তি বা দল প্রকল্পটি করছে তাদের পূর্বেই কাজের সময় ঠিক করে নিতে হয়।

 

প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সব স্টেকহোল্ডারদের সকল প্রকল্প পরিকল্পনা জানানোর দরকার নাই কারণ কিছু স্টেকহোল্ডার সরাসরি প্রকল্পের বিরুদ্ধাচরণ করতে পারে।

 

যদি কাউকে প্রকল্প ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হয় কিন্তু তার তেমন কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই প্রকল্প চালানোর, তাহলে সে প্রকল্প পরিচালনার উপর পূর্ববর্তী ঘটনা ইত্যাদির ইতিহাস জেনেও অনেক কিছু শিখতে পারে।

 

প্রকল্পের ব্যয়ের সিংহভাগ খরচ করা হয় প্রকল্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে। প্রকল্পটি নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন হওয়া প্রাথমিক ভাবে প্রকল্প ব্যবস্থাপকের উপর নির্ভর করে। এভাবেই প্রকল্প ব্যবস্থাপনার কাজ এগিয়ে যায়।

Microsoft Project and Project Management

Microsoft Project ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনাঃ
রিদওয়ান বিন শামীম

Microsoft Project এর আওতায় প্রকল্প তৈরি করা যায়। সেই প্রকল্পের আওতায় আবার বিভিন্ন কাজ বা টাস্ক করা যায়। এরকম প্রতিটা টাস্কের জন্য সাধারণত নাম, সময়, শুরুর সময়, শেষ হওয়ার সম্ভাব্য সময় , ধারা ইত্যাদি নির্দিষ্ট করে দেয়া যায়। এ ধরণের কাজে পূর্বের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকদের কাজে লাগানো যেতে পারে।

 

 

টাস্ক গুলোর মধ্যে রিলেশন বুঝাতে SF (Start-Finish), FS(Finish-Start), SS, FF ইত্যাদি অনেক টার্ম ব্যবহার করা হয়। টাস্ক সম্পন্ন করার পর সেগুলোকে অনেক ধরণের ফরমেটে আমরা পেতে পারিঃ গান্ট চার্ট, ট্র্যাকিং গান্ট চার্ট, নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম ইত্যাদি। এদের মধ্য থেকে অনেক সময় অনেক জটিল পদ্ধতিও বেছে নিতে হয়।প্রতিটি টাস্কের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে খরচ ও রিসোর্স বেছে নেয়াও যায়। এছাড়াও প্রকল্পের অর্থনৈতিক লাভ ও উন্নতিও পর্যবেক্ষণ করা যায়। প্রকল্পের অগ্রগতির উপর রিপোর্টও লিখা যায়। এভাবে অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিশ্লেষণ করা যায়। মাইলস্টোন বা জিরো ডিওরেশনের টাস্কও থাকে যা শুরু থেকে সময় গননা করা হয়, কোন প্রকল্পের বিচ্ছিন্ন অংশ হিসেবে ধরা হয়।

 

Microsoft Project এর আওতায় ওয়ার্ক ব্রেকডাউন কাঠামো (Work Breakdown Structure :WBS), এড অন প্রোডাক্ট Add-on product (WBS Chart Pro) ইত্যাদি ফরম্যাট তৈরি করা যায় ও দেখা যায় মাইক্রোসফট প্রোজেক্ট ফাইলের আন্ডারে। অথবা WBS code ব্যবহার করেও এসমস্ত সুবিধা পাওয়া যায়। অনেক গুলো প্রজেক্টের কাজ গুছিয়ে রাখার জন্য Microsoft Project Server এর সাহায্য নেয়া যায়। কাজের সুবিধার জন্য আমরা ম্যাক্রোর সহায়তাও নিতে পারি। আমরা কাষ্টোমাইজ করার জন্য VBA এবং Active Scripting এর সাহায্য নিতে পারি। মাইক্রোসফটের প্রকল্পের জন্য প্রকল্পের প্ল্যানকে Microsoft power point বা Microsoft word ইত্যাদিতে রূপান্তরিত করে প্রেজেন্টেশন তৈরি করা সম্ভব। প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শিডিউল, বাজেট, উপাত্ত ব্যবস্থাপনা ,অগ্রগতি লক্ষ্য রাখা ও প্রতিবেদন তৈরি করা ইত্যাদিও জরুরী।

 

Microsoft Project এর জন্য টাস্ক তৈরি করতে যেসব তথ্য দিতে হবে তা হল আলাদা ভাবে প্রতিটি টাস্কের নাম, টাস্কের সময় ও টাস্কের সীমাবদ্ধতা। এরপর টাস্কের খরচের বাজেট করতে হবে, কর্মী নিয়োগ দিয়ে তাদের নরমাল ও ওভারটাইম দুই ধরণের বেতন ধরে। লক্ষ্য রাখার জন্য কাজের অগ্রগতি, সীমাবদ্ধতা ও পরিবর্তন ইত্যাদি ধরে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। এরপর দেখতে হবে কোন সফটওয়ার কাজে লাগানো যায় কিনা। পরবর্তী সময়ে জনগনের মতামতের ভিত্তিতে প্রকল্পে পরিবর্তন আনতে হতে পারে, টাস্ক গুলোকে খণ্ড খণ্ড করে ভাগও করতে হতে পারে। ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে কাজের শিডিউলকে আরও সময়ানুবর্তী করা যেতে পারে। ডেটলাইন, শর্ত ইত্যাদি দেয়া যেতে পারে।

 

প্রোজেক্ট ২০০৭ নতুন প্রকল্প, যাতে অনেক নতুন চার্ট, ক্যালেন্ডার, টাস্ক ড্রাইভার, শেয়ারপয়েন্ট সার্ভিস ও আরও অনেক সুবিধা যোগ করা হয়েছে।

How to Manage Projects with Dot Project

যেভাবে ডটপ্রজেক্টের মাধ্যমে কোন প্রকল্প চালাতে হয়ঃ
রিদওয়ান বিন শামীম

ডটপ্রজেক্ট একটি সফটওয়ার যার মাধ্যমে কোন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনাগত দিকগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আপাতত আমরা এর পরিচিতিমূলক দিক গুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি এর সাথে টেকনিক্যাল কিছু বিষয় নিয়েও আলোচনা করব। এর পর আমাদের ওয়েব সাইটে আপনারা এবিষয়ে ভিডিও টিউটোরিয়ালও পাবেন।

 

যেভাবে ডটপ্রজেক্ট ইন্সটল করতে হয়ঃ

প্রথমে আনজিপ করে সার্ভারে ডটপ্রজেক্টের জন্য নতুন ফোল্ডার খুলতে হয়।

এরপর সার্ভারে ডটপ্রজেক্ট ফাইল কপি করতে হয়।

এবার ডাটাবেস সার্ভারে নতুন ডাটাবেস খুলতে হবে, নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে।

যে কোন একটি ব্রাউজার থেকে ডটপ্রজেক্ট এর ইন্সটল ফোল্ডার নির্দেশ করিয়ে দিতে হবে।যেমন,http://justetc.net/dotproject/install ইত্যাদি।

এরপর ডাটাবেসে প্রবেশের তথ্য দিতে হবে।

 

ডটপ্রজেক্ট ফিচারগুলোর সারসংক্ষেপঃ

ডটপ্রজেক্টে মূলত বিভিন্ন কোম্পানি, প্রোজেক্ট, টাস্ক, ক্যালেন্ডার, ফাইল, কন্টাক্ট, ফোরাম, টিকেট, ইউজার এডমিন, সিস্টেম এডমিন ইত্যাদি থাকে।

 

যেভাবে ডটপ্রজেক্ট দ্বারা প্রকল্প নিয়ন্ত্রণ করা হয়ঃ প্রজেক্টের আন্ডারে থাকে প্রপোজাল ট্যাব, যার থেকে প্রজেক্ট শুরু করা হয়। প্রপোজাল স্ট্যাটাস দিয়ে নতুন প্রপোজাল শুরু করা যায়। প্রয়োজনে প্রাসঙ্গিক টাস্ক তৈরি করা যায় দরকার হলে। প্রয়োজনে টাস্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে অন্য লোকের নিয়োগ দিতে হতে পারে। অভিজ্ঞ লোকের সাথে যোগাযোগ রেখে কাজ করতে হয়। প্রপোজাল, প্রপোজাল ডকুমেন্ট, প্রপোজাল আউটলাইন তৈরি হয়ে গেছে তাই এখন প্রকল্পের বিস্তারিত পরিকল্পনা জরুরী।

 

প্রকল্পের বিস্তারিত পরিকল্পনাঃ প্রজেক্টস এর ভেতরের ‘ইন প্ল্যানিং’ ট্যাব ব্যাবহার করতে হবে। এরপর প্রপোজাল প্রোজেক্টকে প্ল্যানিং প্রোজেক্ট এর ভেতর আনতে হবে। এডিট প্রোজেক্ট অপশন দিয়ে স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে দিতে হবে। নতুন প্রজেক্ট করে ইন প্ল্যানিং ট্যাবে রাখা যেতে পারে। প্ল্যানিং নিজেই একটা প্রকল্প, এর সাথে অনেক টাস্ক, যোগাযোগ ইত্যাদির সমন্বয় করতে হতে পারে। প্ল্যানিং এর সময় আমরা পুরো প্রকল্পর ধাপে ধাপে কাজ গুলো ভাগ করে ফেলব। উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য আলাদা করে মানব সম্পদ, মান, ক্রেতা ইত্যাদি সব ঠিক করে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ও অন্যান্য কাজ শুরু করে দিতে হবে।

 

প্রকল্প এগিয়ে নেয়াঃ প্রকল্পের প্ল্যানিং ও শুরুর অন্যান্য কাজ হয়ে যাওয়ার পর সময় ,খরচ ও মানবসম্পদ বিষয়ক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। CPM model for Time Management এর মাধ্যমে এই ধাপ গুলো করা যায়। এরপর কাজের ধারা, প্রকল্পের মান বজায় থাকছে কিনা ইত্যাদিও দেখতে হয়। ওয়াটার ফল, এগাইল বেসড মডেল এসবের দ্বারা মান নিশ্চিত করা হয়। প্রয়োজনে প্যারেন্ট প্রোজেক্ট ইত্যাদি ব্যাবহার করতে হয় এ ধাপগুলো সম্পন্ন করার জন্য। ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ ইত্যাদির একটি লিস্ট করে তাও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এরপর একে একে দেখতে হয় সব পূর্বশর্ত পুরন হয়েছে কিনা, সব টাস্ক ১০০% হয়েছে কিনা, কোয়ালিটি, রিসোর্স ও শর্ত পুরন হয়েছে কিনা। এরপর ক্রেতা ও ভোক্তার চাহিদা মিলিয়ে দেখে চূড়ান্ত ভাবে প্রকল্প সমাপন ঘোষণা করা হয়।
http://Bangla.SaLearningSchool.com

Some Topics on Project Communication Management

প্রকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কিছু কথাঃ
রিদওয়ান বিন শামীম

বড় প্রকল্পের জন্য পূর্ব পরিকল্পিত ও নিখুঁত যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজন আছে। যদিও পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে যে কোন পরিকল্পনা পরিবর্তিত হতে পারে।

 

প্রকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার মূল সারসংক্ষেপঃ

প্রকল্প যোগাযোগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, এটি অনেক চাতুর্যপূর্ণ ও রাজনৈতিক হতে পারে, প্রোজেক্ট রেকর্ড গ্রহন, প্রেরণ, সংরক্ষণ ও বণ্টন বিষয়ক হতে পারে, এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে সাধারণত চারটি নিয়ম মেনে চলেঃ

কি যোগাযোগ,

কার সাথে,

কখন ও

কীভাবে।

 

মাশরুম প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্টঃ তথ্য গোপন রেখে কাজ শেষ করার প্রবনতা এই ধরণের কাজের ধারায় পরে।

 

যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার উপধারাগুলোঃ

যোগাযোগ পরিকল্পনা,

সম্পাদন,

পর্যবেক্ষণ ও

নিয়ন্ত্রণ

মূলত এই ক্ষেত্র গুলো যোগাযোগ পরিকল্পনার উপধারা সমুহ।

 

যোগাযোগের এই ধারা গুলো পারস্পরিক শেয়ার ও প্রকাশের মাধ্যমে শরিকদের মধ্যে গোলযোগের সম্ভবনাকে কমিয়ে আনা সম্ভব। একই সাথে দলগত অনুপ্রেরণা বাড়িয়ে তোলা সম্ভব।

 

প্রকল্প ব্যবস্থাপক বা প্রোজেক্ট ম্যনেজারের ভুমিকাঃ বেশিরভাগ সময় যোগাযোগ রক্ষা করা, মূলত সিদ্ধান্ত নেয়ার চেয়েও যোগাযোগ রক্ষা করা বেশি দরকার হতে পারে। যোগাযোগ পরিকল্পনা, ফলাফল, সময়, মিডিয়া, ওয়েব, ই মেইল, কোন তথ্য কাকে ইত্যাদি কাজ প্রোজেক্ট ম্যানেজারকেই করতে হয়। যাদের সাথে কাজ করতে হবে এমন সংস্থার পরিবেশগত দিক, প্লানিং, সম্ভবনা ইত্যাদি বিষয়েও তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।

 

প্রোজেক্ট ম্যনেজারের প্রধান মাধ্যম বা টুলসঃ যোগাযোগ চ্যানেল, যা মূলত যোগাযোগ প্রকরণগুলোকে ঠিক রাখে। N সঙ্খক লোক n(n-1)/2 সঙ্খক উপায়ে যোগাযোগ করতে পারে এরকম একটি হিসাব আছে এই বিষয়ে। এক্ষেত্রে একটি সাবসেট নির্ধারণ করা হয়, মাঝে মাঝে অফিশিয়াল যোগাযোগ চ্যানেল ঠিক করা লাগতে পারে। আর যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনলাইন যোগাযোগ, ভিডিও কনফারেন্স ইত্যাদিও মাধ্যম হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

 

যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনাঃ এর মধ্যে আছে কাকে জানাতে হবে, কি জানাব, কাকে পাঠানো যায়, তথ্য প্রেরণের মাধ্যম, আপডেট রাখার জন্য কি করতে হবে ইত্যাদি।

 

তথ্য বণ্টনঃ তথ্য বণ্টনের জন্য প্রকল্প ব্যবস্থাপক সাধারণত যোগাযোগের মডেল ব্যবহার করেন, যে মডেলে কয়েকটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হয়, মনোযোগ দিয়ে তথ্য শোনা, তথ্য সংরক্ষণ, ভাষাগত দিক ইত্যাদি।

 

যোগাযোগের মাধ্যমগুলো হলঃ

প্রথাগত লেখা বা ফরমাল রাইটিং,

সাধারণ লেখা,

প্রথাগত মৌখিক যোগাযোগ ও সাধারণ মৌখিক যোগাযোগ।

 

পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করাঃ

মূলত প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে স্টেক হোল্ডারদের জানানো ও নিয়মিত অবহিত রাখার জন্য রিপোর্ট দেয়ার পদ্ধতি।

 

এখানে মূলত প্রকল্প ব্যবস্থাপনার যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা PMI and PMBOK(Project Management Body of Knowledge) থেকে নেয়া হয়েছে।

http://Bangla.SaLearningSchool.com

Project Risk Management

রিস্ক কি?
PMI এর মতে, Risk বলতে প্রকল্পের একটি অনিশ্চিত ঘটনা - প্রকল্পের  উপর ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে এমন বুঝায় ।

 

Risk Management Plan includes:

Risk Management Plan এর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং পন্থাঃ

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা
সনাক্তকরণ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য সম্পদ নিয়োগ
ঝুঁকি বিভাগ
ঝুঁকি সম্ভাব্যতা এবং প্রভাব
ঝুঁকি প্রতিবেদন এবং ট্র্যাকিং বিন্যাস

 

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রসেস:

ঝুঁকি সনাক্তকারী
ঝুঁকি বিশ্লেষণ
ঝুঁকি প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা
ঝুঁকি Monitoring ও কন্ট্রোল

 

ঝুঁকি সনাক্তকারী প্রক্রিয়া:
ঝুঁকি সনাক্তকারী প্রক্রিয়া আউটপুট:
ঝুঁকি নিবন্ধন - চিহ্নিত ঝুঁকি তালিকা
ঝুঁকির মূল কারণ সংক্রান্ত একটি তালিকা
সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া একটি প্রাথমিক তালিকা

ঝুঁকি বিশ্লেষণ
ঝুঁকি সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া আউটপুট ইনপুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়.
গুণগত ঝুঁকি বিশ্লেষণ: ঝুঁকি অগ্রাধিকার প্রতিটি উদ্দেশ্য জন্য একটি সম্ভাবনা ও প্রভাব ম্যাট্রিক্স উপর ভিত্তি করে

পরিমাণজ্ঞাপক ঝুঁকি বিশ্লেষণ:
প্রতিটি প্রকল্পের উদ্দেশ্য পূরণের সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন
সামগ্রিক প্রকল্পের উদ্দেশ্য উপর তাদের মোট প্রভাব উপর ভিত্তি করে ঝুঁকি অগ্রাধিকার.

ঝুঁকি রেসপন্স প্ল্যান
প্রতিটি ঝুঁকি জন্য অগ্রাধিকার উপর নির্ভর করে:
কোনো পদক্ষেপ নিন
কিছু ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা
ব্যবস্থা গ্রহন করা

ধন্যবাদ , আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন 🙂

Project Cost Management – Part 2

প্রকল্প মূল্য ব্যবস্থাপনাঃ ২য় পর্ব।
রিদওয়ান বিন শামীম।

 

প্রকল্প মূল্য ব্যবস্থাপনার উপর কিছু সংজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করছি,

অর্জিত মূল্যঃ এটি হল প্রকল্পের জন্য খরচ করা অর্থ, ডবল এন্ট্রি একাউন্টিঙের মত প্রতিটি খরচের জন্য পুঞ্জিত অর্থ সঞ্চিত থাকে।

বাজেটেড এট কমপ্লেসন (BAC)ঃ প্রকল্প সম্পাদনের জন্য মূলত কত অর্থ বরাদ্দ ছিল তার হিসাব।

প্ল্যানড ভ্যলুঃ কোন নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রকল্পের কতটুকু কাজ সম্পন্ন হয়েছে তা হিসেব করে প্ল্যানড ভ্যলু।

(Planned Value = Planned% complete*BAC)।

অর্জিত মূল্য (EV): কোন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কতটুকু কাজ হয়েছে তা অর্জিত মূল্য দ্বারা বোঝানো হয়।

প্রকৃত খরচঃ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যয়কৃত অর্থ।

কস্ট ভেরিএন্স বা CV ঃ অনুমিত খরচ ও প্রকৃত খরচের পার্থক্য, CV = EV – AC।

শিডিউল ভেরিএন্স বা SV: অনুমিত শিডিউল ও প্রকৃত শিডিউলের মধ্যে পার্থক্য, অর্থাৎ SV=EV-PV।

কস্ট পারফরমেন্স ইনডেক্স CPI: এটি খরচের একটি হার যেখানে প্রকৃত ব্যয় অনুমিত ব্যয়কে সমর্থন করে। CPI কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হয়ে থাকে, CPI = EV/AC।

কুমুলেটিভ সিপিআইঃ প্রকল্প শুরু থেকে কোন নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সিপিআইকে কুমুলেটিভ সিপিআই বলে।

CCPI = CEV/CAC।

শিডিউল পারফরমেন্স ইনডেক্স SPIঃ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যদি প্রকল্প অনুমিত হারে সম্পন্ন হয় তবে তাকে শিডিউল পারফরমেন্স ইনডেক্স বলে।

কাজ সম্পন্ন হওয়ার সার্বিক অনুমান,EAC: কোন নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সম্পন্ন কাজের হার দেখে পুরো প্রকল্পের সম্ভাব্যতা আন্দাজ করাকে সার্বিক অনুমান হিসেবে ধরা হয়। EAC = BAC/CCPI।

কাজ সম্পন্ন হতে সার্বিক অনুমান,ETC: এ ক্ষেত্রে পূর্বের পরিসংখ্যান দেখে আন্দাজ করা হয় আর কত অর্থ পুরো প্রকল্পে খরচ হতে পারে।

ভারিএন্স অফ কমপ্লেসন VAC: অনুমিত ব্যয় ও প্রকৃত ব্যয়ের পার্থক্য, VAC = BAC – EAC।

 

প্রকল্প ব্যয়ের উপর ভাল ধারণা পেতে প্রকল্প ব্যবস্থাপককে এই বিষয় গুলোতে জ্ঞান থাকতে হবে। কিসে কত খরচ হল, কীভাবে কি করব ইত্যাদি জানতে এগুলো জানা থাকতে হবে।

Project Cost Management – Part 1

প্রকল্প মূল্য ব্যবস্থাপনাঃ (১ম পর্ব)
রিদওয়ান বিন শামীম

প্রকল্প মূল্য ব্যবস্থাপনার কিছু ধারণা এখানে দেয়া হল।

প্রথমেই আলোচনা করতে হয় মূল্য বিষয়ক কয়েকটি ধাপ নিয়ে,ক্রয়মূল্য, প্রক্রিয়ার খরচ, কাজ শেষ হওয়ার পর্যন্ত খরচ ইত্যাদি।

 

মূল্য প্রকৌশলঃ

কোন প্রকল্প থেকে আমরা যে বিষয় গুলো আশা করে থাকি সে গুলো হল,

খরচ কমানো,

মূল্য বৃদ্ধি করা,

মান বৃদ্ধি করা,

শিডিউল সংক্ষিপ্ত করা ও

প্রকল্পের সম্ভাব্যতা কমতে না দেয়া ইত্যাদি।

 

মূল্য নির্ধারণ করাঃ প্রকল্প সম্ভবনা নির্ণয়ের পর কাজের খণ্ডাংশের কাঠামো যখন নিরুপিত হয় তখন মূল্য নির্ধারণ করা যায়। এ প্রক্রিয়াটি কিন্তু বারবার পুনরাবৃত্তি করা যায়।

 

মূল্য নির্ধারণের টুলসঃ

পূর্বের বিভিন্ন কাজ পর্যবেক্ষণ করে একই রকমের বিভিন্ন মূল্য অনুমান করা হয়।

 

প্রতিটা কাজের (atomic task) জন্য খরচের আলাদা হিসাব করা হয়, সময়ও নির্ধারণ করা হয়। একে বোটম আপ এস্টিমেট বলা হয়।

 

স্থিতি মাপক হিসাব বলে আরেকটি পদ্ধতি আছে, এক মাইল রাস্তা বানাতে যদি ৪০০,০০০ টাকা লাগে তাহলে ১০ মাইল রাস্তা বানাতে ১০x৪০০,০০০ টাকা লাগবে- এটি স্থিতি মাপক হিসাব।

 

রিজার্ভ এনালাইসিস হল প্রকল্পের স্লিপেজের সাপেক্ষে এক প্রকার বাফার কস্ট, মানের জন্য হিসাবঃ অভীষ্ট মান লাভের জন্য যে অনুমিত হিসাব তাকে আউটপুট হিসেবে ধরা হয়, এটি হল কাজের জন্য অনুমিত হিসাবের ফলাফল।

 

কস্ট বাজেটিংঃ এটি হল খরচ ও তারিখের পরিকল্পনা, কখন কিসের উপর কত খরচ করা হবে তা এর উপর নির্ভর করে, এটিকে কস্ট বেস লাইনও বলা হয়ে থাকে। কর্মসূচি নির্বাচন ও শিডিউল নির্ধারণের পর বাজেটিং সম্পন্ন হয়। কর্মকাণ্ডের সময় ও রিসোর্স বাছাইও এর মধ্যে পড়ে। কাজ সম্পাদনের সময় কাজের খরচ একসাথে হিসাব করে খরচের হিসাবের পরিমাপ, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ সম্পন্ন করতে হয়। এরপর রিসার্ভ এনালিসিসে খেয়াল রাখতে হয় যাতে খরচ বেশি হলেও তা যেন সমস্যা না করে। সরাসরি ও সহজ সুত্র গুলো কাজে লাগাতে প্যারামেট্রিক হিসাব ব্যবহার করতে হয়। প্রকল্প অর্থায়নের জন্য লিমিট রিকনসিলিয়েসন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়।

 

মূল্য নিয়ন্ত্রণঃ পর্যবেক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় সাধন মূল্য নিয়ন্ত্রণের প্রধান ক্ষেত্র, যেটি স্থায়ী চক্রাকারে হতে পারে আবার মাসিক বা ২ সপ্তাহের চক্র হিসেবেও হতে পারে। মূল্য পরিবর্তনের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, বেস লাইনের পরিবর্তন , পারফরমেন্সের বিশ্লেষণ, কস্ট পারফরমেন্সের ইনডেক্স, প্রাপ্ত চূড়ান্ত মূল্য, বর্তমান ও অতীত মূল্য থেকে ভবিষ্যতের মূল্য আন্দাজ করা , সেই তথ্য প্রকাশ করা, প্রকরণ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি মূল্য নিয়ন্ত্রণের অন্তর্ভুক্ত, যার ফলাফল হল মূল্য হিসাব আপডেট ও কস্ট বেস লাইন আপডেট ।

Random Short Notes on Project Management (PMI)

ব্যবস্থাপনার উপর কিছু সংক্ষিপ্ত নোটঃ
রিদওয়ান বিন শামীম

প্রকল্পের সুযোগ ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনাঃ সুযোগ ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা হল মূলত নির্দিষ্ট করে কীভাবে প্রকল্পের সম্ভাব্য সুযোগের বিভিন্ন উত্থান পতনগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায় ও কীভাবে সুযোগের ক্ষেত্র গুলো নির্ধারণ করা যায়।এজন্যপ্রথমেই যা করতে হবে তা হল প্রকল্প শুরু করা। একটি প্রকল্প শুরু করাঃ একটি প্রকল্প শুরু করার সাথে মূলত দুই ধরণের উপাত্ত জড়িত থাকে, প্রথমটি হল প্রকল্পের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য গড়ে তোলা এবং দ্বিতীয়টি হল সম্ভাব্য প্রাথমিক সুযোগগুলোর একটি খসড়া গঠন করা।প্রকল্প ব্যবস্থাপকদের এক্ষেত্রে সরাসরি ও সততার সাথে আচরণ করতে হয়। যেকোনো পরিস্থিতিতে কোন সমস্যা এলে তাকে সোজাসুজি সেই সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য, যা অফিসিয়ালি একটি প্রকল্পের ভিত্তি, সেগুলো ব্যবসায়িক চাহিদা মেনে গঠন করতে হয়, সবসময় মাথায় রাখতে হয়, কেন প্রকল্পটি করা হচ্ছে অর্থাৎ প্রকল্পটির উদ্দেশ্য কি। সুযোগের খসড়া হয়ে যাওয়ার পর ও টিমের কর্মীদের কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার পর সাধারণত প্রকল্পের যে ধারাটি শুরু করতে হয় তা হল ডবলুবিএস প্রসেস (WBS process) যা মূলত কাজের খণ্ডিত অংশগুলোর আউটপুট বা ফলাফল নির্ধারণ করে। এই আউটপুট গুলো কয়েকটি বিষয়ের সমন্বয়ে হয়ে থাকেঃ মূল্যবান সাংগঠনিক প্রক্রিয়া, প্রকল্পবিধি ও প্রাথমিক সুযোগগুলোর খসড়া ইত্যাদি। প্রকল্পের কর্ম প্রণালীর নিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রকল্প ব্যবস্থাপককে সব সময় খেয়াল রাখতে হয় সমস্যা সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহনের দিকে। সমস্যা সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহনের এই বিষয়গুলো ব্যবস্থাপককে একা দেখতে হয়, এগুলো টিম ওয়ার্ক নয়। এবিষয়ে কাজের ধারার বিবরণী পাওয়া যাবে ডবলুবিএস ডিকশনারিতে(in WBS dictionary)। সুযোগের গুরুত্ব নিশ্চিতকরণ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে ক্রেতা ও অর্থ বিনিয়োগকারী যাচাই করতে চায় চূড়ান্তভাবে প্রাপ্ত পণ্য পূর্বের ধারণা করা পণ্যের মানের মতন হয়েছে কিনা।স্টেটমেন্ট অফ ওয়ার্ক বা কাজের বিবৃতিঃ স্টেটমেন্ট অফ ওয়ার্ক বা কাজের বিবৃতি প্রকল্পের খণ্ডিত অংশের বিবরণ দেয় যাতে অনেক সময় বাইরের বিক্রেতাদের অনেক বিষয়ও জড়িত থাকে।কোড অফ কন্ডাক্টের শর্তে প্রকল্প ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরও বলা থাকে প্রকল্পের লাভ বা লভ্যাংশ নিয়ে যেকোনো ধরণের কোন্দল এড়িয়ে চলতে। ডবলুবিএস সার্ভের উদ্দেশ্যঃ ডবলুবিএস সার্ভে পুরো বিষয়টি চূড়ান্ত ভাবে খতিয়ে দেখে, এই ডবলুবিএস সার্ভের কয়েকটি উদ্দেশ্য আছে। সেগুলো হলঃ পূর্বে নিরুপিত সম্ভাব্যতা কতটুকু নির্ভুল তা জানা, নিয়ম নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধ মেনে চলাকে সহজ করা, প্রকল্পের সফলতার একটি মানদণ্ড তৈরি করা ইত্যাদি। এভাবেই প্রকল্প ব্যবস্থাপনার কাজ এগিয়ে চলে।
তথ্যসুত্রঃ (Andy Crowe, the PMP Exam.)

Project Time Management: Part-1

প্রকল্পের সময় ব্যবস্থাপনাঃ
রিদওয়ান বিন শামীম

কোন প্রকল্পের সময় ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া কয়েকটি বিষয় নিয়ে হতে পারে,

প্রয়োজনীয় কার্যক্রম,

কাজের ধারা,

কাজের জন্য অনুমিত রিসোর্স,

কাজের সম্ভাব্য সময়,

শিডিউল তৈরি করা,

শিডিউল মেনে চলা ইত্যাদি।

 

প্রক্রিয়াঃ

প্রথমে প্রয়োজনীয় কাজ নির্দিষ্ট করতে হবে।

দরকারি কাজের ধরণ, প্রকার, সময় , প্রভাব ইত্যাদির তালিকা করতে হয়।

প্রকল্প পরিকল্পনা হয়ে গেলে তাকে কাজের ধারার সাথে সংযুক্ত করে কাজ শুরু করতে হবে।

এই ধাপে কাজের খণ্ডাংশ গুলো আলাদা করতে হয়।

লিস্ট করতে হয় প্রকল্পটি কোন কোন খণ্ডাংশ ও মডিউল নিয়ে কাজ করবে।

সকল খণ্ডাংশ ও মডিউল সম্পন্ন করতে যে সব প্রক্রিয়া লাগবে তাদের লিস্ট করতে হবে।

সব প্রক্রিয়ার জন্য বৈশিষ্ট্য, সম্ভাব্যতা, মান ও ফলাফল ইত্যাদি নির্দেশ করতে হবে।

 

এক্ষেত্রে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা বিবরণী, কাজের খণ্ডাংশ গুলোর গঠন, এগুলো হল ইনপুট,

আর প্রকল্প কার্যক্রম, কাজের তালিকা, কাজের উপাদান, মাইলস্টোন লিস্ট, প্রস্তাবিত পরিবর্তন ইত্যাদি হল আউটপুট।

 

প্রকল্পের সময় ব্যবস্থাপনার টুলসঃ

ডিকমপোজ করে অন্য সদৃশ কাজের মত করা,

পূর্ববর্তী কাজের টেম্পলেট ব্যবহার ইত্যাদি হল প্রকল্পের সময় ব্যবস্থাপনার টুলস।

 

এখানে আরেকটি পদ্ধতি আছে তা হল রোলিং ওয়েভ প্ল্যানিং যা কিনা কোন কাজের ফলাফল কি হবে তা বলা যাচ্ছে না এরকম ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কাজের ক্ষেত্রে অনেক সময় সুদক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ নিতে হয়।

 

পর্যায়ক্রমিক কার্যপ্রণালীঃ পর্যায়ক্রমিক কার্যপ্রণালীর ক্ষেত্রে অনেক সময় একটি কাজ আরেকটি কাজের শেষ হওয়ার উপর নির্ভর করে আবার অনেক কাজের খণ্ডাংশ অন্য আরেক কাজের খণ্ডাংশের সমাপনের উপর নির্ভর করে। কিছু কিছু কাজ স্বতন্ত্র যা অন্য কোন কাজের উপর নির্ভর করে না। এ বিষয় গুলো পর্যায়ক্রমিক কার্যপ্রণালীর উপর নির্ভর করে। অনেক সময় প্রথম অংশের কাজ ইনপুট হিসেবে কাজ করে ।

 

প্রেসিডেন্স ডায়াগ্রাম মেথড বা PDM ও অ্যারো ডায়াগ্রামিন মেথড কর্ম প্রণালীর উপযুক্ততা নিরূপণ করে, অপরদিকে Graphical Evaluative Review Technique (GERT) কাজগুলোর পরস্পরের উপর নির্ভরতার মান প্রকাশ করে। এই কাজগুলোর ফলাফলে প্রকল্প কর্ম প্রণালীর নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম পাওয়া যায় । এরপর প্রতিটা কাজের উৎসের গ্রহণযোগ্যতা নিরূপণ করতে হয়। এরপর নির্ধারণ করতে হয় প্রতিটা কাজের সম্পন্ন হওয়ার সময়, যা পূর্ব অভিজ্ঞতা, কাজের ধরণ, গাণিতিক বিশ্লেষণ বা বাস্তব উদাহরণ ইত্যাদির মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে।

 

শিডিউল নিশ্চিত করাঃ এটি প্রকল্পের পর্যায়ক্রমতা সম্ভাব্য সময়ের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে, অনেক সময় একই উৎস দ্বারা অনেক প্রকল্প চলতে পারে, সেক্ষেত্রে শিডিউল প্রয়োজন হয় প্রকল্প সঠিকভাবে শেষ করতে।

শিডিউল পর্যবেক্ষণ করাঃ এটির প্রয়োজন হয় প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য।

http://Bangla.SaLearningSchool.com