অ্যাপ এম এল এর ইতিহাস (AppML History)

রিদওয়ান বিন শামীম

 

১৯৯৯ সালে রেফসনেস ডাটা (Refsnes Data) অ্যাপ এম এল এর প্রথম সংস্করণ ডেভলাপ করে।এমনকি তখনও অ্যাপ এম এল মূলত ওয়েব ক্লায়েন্ট ও ওয়েব সার্ভারের মধ্যে এইচটিটিপি কমিউনিকেশনের উপর নির্ভরশীল ছিল। পরবর্তীতে এই পদ্ধতিই এজ্যাক্স নামে পরিচিতি লাভ করে। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে নরওয়ের একজন গ্রাহকের আগ্রহে প্রায় ৩০টি এপ্লিকেশনের ডাটা উইন্ডোজ ডেক্সটপ থেকে ইন্টারনেটে সরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়, কেবল অ্যাপ এম এল ব্যবহার করে।

 

২০০১ সালে অ্যাপ এম এল নির্ভর সিস্টেম প্রথম বাণিজ্যিক এজ্যাক্স এপ্লিকেশন বাজারে আসে। প্রচণ্ড সফল হয়, প্রচলিত ব্যবস্থার ৭৫ শতাংশে নেমে আসে ওয়েব ডেভলাপমেন্টের সময়। তখন থেকে এর উন্নয়ন চলছে, প্রায় ১০০০ চলায়মান এপ্লিকেশন সিস্টেমের আওতায় আছে।

 

ফেব্রুয়ারী ২০১৫তে W3Schools নতুন আঙ্গিকে অ্যাপ এম এল কে বাজারে ছেড়েছে, যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। বর্তমান সময়ের অ্যাপ এম এল এর ডিজাইন লক্ষ্যগুলো হল, ইন্টারনেটে চলবে, প্লাটফর্ম নিরপেক্ষ, প্রয়োজনীয় অনেক এপ্লিকেশন ব্যবহার করবে, ডেভলাপ প্রক্রিয়া সহজ ও নিরাপদ ইত্যাদি।

 

১৯৯৯ সালেই উপলব্ধি করা হয়েছিল, ভবিষ্যতের এপ্লিকেশন যেকোনো প্লাটফর্মেই চালানো যাবে এমন হবে। পরবর্তী সময়ে ওয়েব ডেভলাপাররা বুঝতে পারেন, ওয়েব এপ্লিকেশনগুলো আসলে ইন্টারনেট সার্ভিসে রূপ নিতে যাচ্ছে, কারণ মানুষ ইন্টারনেট সার্ভিসের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরছে। এজন্যই ভবিষ্যতের এপ্লিকেশনগুলো SOA (Service Oriented Architecture) পরিকাঠামোতে লেখা নিরাপদ, এগুলোকে হতে হবে সাধারণ ও স্থিতিস্থাপক যাতে বিভিন্ন ধরণের চাহিদা পূরনে তা সক্ষম হয়।

 

সামনের দিনগুলোতে ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি সহজ হবে, হবে সহজে সম্পাদনযোগ্যও। গ্রাহক ও সার্ভার পরস্পরের মধ্যে সহজবোধ্য উপায়ে তথ্য আদানপ্রদান করতে পারবে। এপ্লিকেশনগুলোর পরিবর্তন মডেল নির্ভর হবে, কোড পরিবর্তনের উপর নির্ভর করবে না। সবচেয়ে ভাল হয় এপ্লিকেশন বিবৃতি বা পরিবর্তনের জন্য টেক্সট ফাইল(যেমন জেএসওএন) এবং সম্পাদনার জন্য এইচটিএমএল, সিএসএস ও জাভাস্ক্রিপ্টের মত মাধ্যম ব্যবহার করলে।