প্রকল্প ব্যবস্থাপকদের পেশাগত দায়িত্বঃ
রিদওয়ান বিন শামীম
প্রকল্প ব্যবস্থাপকদের সাধারণ দায়িত্ব হল যেকোনো পরিস্থিতিতে সরাসরি এবং নৈতিকভাবে আইনানুগ পন্থায় সমস্যার সমাধান করা। পরিষ্কারভাবে সরাসরি কথা বলা ও কাজ করা। দ্রুত,সরাসরি ও নিয়মনিষ্ঠ ভাবে কাজ করতে পারা। কোন বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার চেয়ে সরাসরি তার মোকাবেলা করাই প্রকল্প ব্যবস্থাপকদের কাজ।
পেশাগত দায়িত্ব কয়েকটি বিষয় নিয়ে সমন্বিতঃ
পেশার প্রতি দায়িত্ব,
জনগন ও সেবাগ্রহীতার প্রতি দায়িত্ব ।
পেশার প্রতি দায়িত্ব মূলত সংগঠনের সকল নিয়ম ও নীতিমালা মেনে চলা, পেশাগত দক্ষতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ।
অন্যদিকে জনগন ও সেবাগ্রহীতার প্রতি দায়িত্ব হল সঠিক ও সম্পূর্ণ, প্রয়োজনীয় ও নিয়মতান্ত্রিক তথ্য তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া। পেশাগত সেবার দায়িত্ব পালন করা। প্রয়োজনে তথ্যের সংবেদনশীলতা ও গোপনীয়তা রক্ষা করা। সেইসাথে মুনাফার প্রত্যাশা যেন জনস্বার্থ বিঘ্নিত না করে তা দেখতে হবে, উৎকোচ বা এজাতীয় কিছু নেয়া চলবে না।
পেশাগত দায়িত্বকে মূলত পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব,
জ্ঞানের অন্বেষণে অনুপ্রেরণা,
ব্যক্তিগত উপযোগিতা বৃদ্ধি,
স্টেকহোল্ডারদের মুনাফার বিষয়ে সতর্ক থাকা,
স্টেকহোল্ডার ও টিমের ভেতরে যোগাযোগ ঠিক রাখা।
নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বঃ
সবসময় সঠিক কাজটি করা,নিজ দেশের আইন ও নিয়ম মেনে। যদি অন্য কোন দেশের কোন বিষয়ের সাথে প্রকল্পটির কোন সম্পর্ক থাকে তাহলে তা ভাল করে জেনে নিয়মমাফিক সম্পন্ন করতে হবে । সংগঠনের নীতিমালার মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে। কাজের ক্ষেত্রে নিষ্ঠাবান হতে হবে। প্রকল্পের কর্মপ্রণালী অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে। পিএমআই (PMI) ৪৪টি কর্মপ্রণালী এজন্য উপযোগী বলে মত প্রকাশ করেছে যেগুলো ঝুঁকি কমায় , সময় ও খরচের দিক থেকেও লাভবান করে। সেই সাথে অন্যদের প্রতি সম্মান ও সৌহার্দ্য বজায় রাখাও জরুরী।
জ্ঞানের অন্বেষণে অনুপ্রেরণাঃতথ্য আদানপ্রদান করা ও পরস্পর বিনিময় করার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া ঠিক রাখা হয়। তথ্য শেখানো, পাবলিশ করা ও প্রচার করার জন্য এগুলো দরকার হয়।
ব্যক্তিগত উপযোগিতা বৃদ্ধিঃব্যক্তিগত উন্নতির সাথে সাথে নিজের ভুলগুলো সংশোধন করাও প্রয়োজন।
স্টেকহোল্ডারদের মুনাফার বিষয়ে সতর্ক থাকাঃ মুনাফা কমবেশি বা ভিন্নমুখী হতে পারে। এ ধরণের সঙ্কট নিষ্ঠার সাথে মোকাবেলা করতে হবে,এক্ষেত্রে সৎও থাকতে হবে। অবশ্যই ক্রেতার স্বার্থ আগে দেখতে হবে। স্টেকহোল্ডার ও টিমের ভেতরে যোগাযোগ ঠিক রাখাঃ যোগাযোগ সচ্ছ হতে হবে, সাংস্কৃতিক ব্যবধান সম্মানের সাথে দেখতে হবে, অলসতা ও অসাবধানতা কোন ভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে, এই মানদণ্ডগুলো বিঘ্নিত করে কোন প্রকল্প সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়া সম্ভব না। এগুলো অবশ্যই প্রকল্প ব্যবস্থাপককে লক্ষ্য রাখতে হবে।
http://Bangla.SaLearningSchool.com