Project Schedule Development: Part of Project Time Management

প্রকল্পের সময়সূচী গঠনঃ সময় ব্যবস্থাপনার একটি অংশ
রিদওয়ান বিন শামীম

প্রকল্পের স্থিতিকাল, শেষ হওয়ার তারিখ, কাজের সময়সূচী ঠিক করা ইত্যাদি এই অংশে আলোচিত হয়।

 

সময়সূচী গঠনে ইনপুটঃ

কাজের তালিকা,

কাজের সংগঠন প্রণালী,

প্রকল্পের শিডিউল নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম অর্থাৎ সবগুলো কাজের সময়ের মধ্যে স্থিতি, কাজের স্থিতিকাল, কাজের রিসোর্সের দরকারি বিষয়, রিসোর্সের ক্যালেন্ডার ইত্যাদি সময়সূচী গঠনে ইনপুট হিসেবে কাজ করে।

 

সময়সূচী গঠনে টুলসঃ

ক্রিটিকাল পাথ মডেল (CPM) নামক একটি পদ্ধতি ব্যপক ভাবে ব্যবহার করা হয় প্রকল্পের স্থিতিকাল নির্ধারণের ক্ষেত্রে। এছাড়াও সার্বিক শিডিউলের কোন পরিবর্তন না করেও ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের সূচির কোন পরিবর্তন আনতে হলে এই সিপিএম মডেল দ্বারাই তা করা হয়।

 

ক্রাশিং ও ফাস্ট ট্র্যাকিংঃ প্রকল্পে আরও রিসোর্স যোগ করলেও সার্বিক ভাবে যেন সময় বেশি না লাগে সেটা ঠিক করতে ক্রাশিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। [Note: Fred's theory: Adding resources to an already delayed project will/may increase the delay] ফাস্ট ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে অনেকগুলো কাজ এক সাথে সমান্তরাল ভাবে করা সম্ভব হয়। যদি কোন প্রয়োজনীয় রিসোর্স না পাওয়া যায় তখন পরিস্থিতি অনুকুলে রাখতে রিসোর্স লেভেলিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এটি অনেকটা ক্রিটিকাল পাথ মডেল এর মতই, ক্রিটিকাল পাথ মডেলে ফ্লোট নামের একটি কনসেপ্ট ব্যবহার করা হয়। সিপিএম মডেল প্রথমে কাজের মোট সময় হিসাব করে তারপর হিসাব করে ফ্লোট, অর্থাৎ প্রকল্পের ক্ষতি না করে প্রতিটা কাজের ক্ষেত্রে কতটা কাজ কমানো যায় সেটা। সিপিএম মডেল নিশ্চিত করে, কোন কাজের পরিমাপ যেন তাদের ফ্লোটের পরিমান না ছাড়িয়ে যায়।

 

ক্রিটিকাল চেইন মেথডঃ ক্রিটিকাল চেইন মেথডে প্রতিটি কাজের শুরু ও শেষ হওয়ার জন্য সর্বশেষ অনুমিত সময় আলাদা ভাবে ঠিক করা হয়, এরপর কাজগুলোর মধ্যে বাফার অনুমিত হয়, কাজের লক্ষ্যমাত্রা কখনো এই বাফারকে ছাড়িয়ে যায় না।

 

কোম্পানি ক্যালেন্ডারঃ কোম্পানি ক্যালেন্ডার ছুটির তালিকা ও অন্যান্য দিন যেগুলোতে প্রকল্পের কাজ হবে না তা ঠিক করে। এছাড়াও লিড ও লেগ নামক পদ্ধতিও প্রকল্প সময়সূচী গঠনের অন্যতম টুলস।

 

সিপিএম মডেল ব্যবহারঃ

কাজের ধারাঃ সিপিএম মডেল প্রকল্পের কাজ ও সময় বোঝাতে অ্যারো, নড ও কানেক্টর ব্যবহার করে অ্যারো ডায়াগ্রাম পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। এরপর ক্রিটিকাল পাথ তৈরি করে ও ফ্লোট হিসাব করে। এরপর দ্রুত কাজ শুরু ও শেষ করার জন্য সময় হিসাব করতে হয়, Early start date + duration - 1 । হিসাব করতে হয় বিলম্বে শুরু ও শেষ হওয়ার সম্ভবনাও, Late start date + duration - 1 । এরপর ফ্রি ফ্লোট ও নেভিগেট ফ্লোট হিসাব করতে হয়। এই সবগুলো ভ্যালু হিসাব করলে তা শিডিউল নিয়ন্ত্রণকে অনেক এগিয়ে নেয়।

 

Permanent link to this article: http://bangla.sitestree.com/project-schedule-development-part-of-project-time-management/