Tag Archives: পাইওনিয়ার

নিয়ে নিন একটি পাইওনিয়ার মাষ্টার কার্ড

Huge Sell on Popular Electronics

নিয়ে নিন একটি পাইওনিয়ার মাষ্টার কার্ড

সিরাজুম মুনীর গালিব

বেশকিছু ফ্রীল্যান্স মার্কেটপ্লেসে পেমেনেটের জন্য প্রধান উপায় পেপাল। কিন্তু পেপাল যে আমাদের দেশে নেই তা প্রায় সবাই জানেন। তরপরও ভুয়া তথ্য দিয়ে পেপাল অ্যাকাউন্ট খুলে অনেকেই লেনদেন করেন। কিন্তু এটা বেশ ঝুকিপূর্ন। তবে যেসব সাইটে পেপাল থাকে সেগুলোতে সাধারণত মাষ্টার কার্ডেরও সাপোর্ট থাকে। মাষ্টার কার্ড ব্যবহার করে পেপাল এর ঝুকিপূর্ন ব্যবহার এড়াতে পারেন। আর এজন্য পাইওনিয়ার ফ্রিল্যান্সারদের জন্যই আলাদা কার্ডের ব্যবস্থা করে দেয়। আজকের পোষ্টে কিভাবে এই মাষ্টার কার্ডের জন্য আবেদন করবেন সেটা আলোচনা করা হবে। তার আগে জেনে নিন এই কার্ডে কি কি সুবিধা রয়েছে।

* যেকোন মাষ্টার কার্ড থেকে পেমেন্ট গ্রহন।

* অনলাইন এবং মাষ্টার কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট নেয় এমন দোকান থেকে কেনাকাটা।

* একটি ইউএস ভারচুয়াল ব্যাংক যুক্ত থাকায় যেকোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেও সরাসরি কার্ডে পেমেন্ট গ্রহন।

* মাষ্টার কার্ড সাপোর্ট করে এমন এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলোন।

সুবিধা দেখে নিশ্চই একটি মাষ্টার কার্ড নেয়ার কথা ভাবছেন। কিন্তু এতোসব সুবিধার পেছনে কি পরিমাণ খরচ হতে পারে সেটাও জেনে নিন। প্রথমত কার্ড নিতে কোন টাকার প্রয়োজন নেই। কিন্তু অ্যক্টিভেশন ফি ২৯.৩৫ ডলার। এই পরিমাণ টাকা প্রতি বছর কেটে নেয়া হবে। আবার প্রতিবার এটিএম বুথ থেকে যেকোন আমাউন্টের টাকা তুলতে ৩ ডলার খরচ হবে। তবে আপনি যদি কারো রেফারেল লিংক এর মাধ্যমে আবেদন করেন তাহলে প্রথম ১০০ ডলার লোড করার পর ২৫ ডলার বোনাস আপনি এবং যার রেফারেলের মাধ্যমে আবেদন করবেন তিনিও ২৫ ডলার বোনাস পাবেন। তবে বোনাসের টাকা ক্যাশ তুলতে পারবেন না বরং শুধুমাত্র কেনাকাটার জন্যই এই বোনাস। আবেদন করার জন্য আমার রেফারেল লিংক দিচ্ছি।

প্রথমে http://share.payoneer-affiliates.com/a/clk/2CFPpk এ গিয়ে প্রাথমিক আবেদন করুন। আবেদন করার সময় ভোটার আইডি কার্ড দেখে করুন। ভোটার আইডি কার্ডে যে নাম এবং জন্ম তারিখ আছে ঠিক সেটাই দিন। প্রাথমিক আবেদনের ২-৩ দিনের মধ্যে আপনার আবেদন গৃহীত হলে ইমেইলের মাধ্যমে একটি লিংক দেয়া হবে। এই লিংকে গিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড স্ক্যান করে আপলোড করুন। অবশ্যই উভয় পৃষ্ঠা স্ক্যান করে একটি ছবিতে পরিণত করে নেবেন। তারপর আপনার পরিচয় ভেরিফাই করে একটি ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ঐ ইমেইলেই কার্ডের ডেলিভারির তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। এজন্য সাধারণত এক মাসে সময় নেয়। কিন্তু আমারটা আসতে ২ মাস সময় লেগেছে। আমার ধারনা কার্ডটি সময়মতই পোস্ট অফিসে এসেছে। কিন্তু পোস্ট অফিসে এসে একমাস পড়ে থাকলেও কিছু করার নেই। তাই ডেলিভারীর তারিখ পার হওয়ার পর পোস্ট অফিসে নিয়মিত খোজ রাখুন। যাই হোক কার্ড হাতে পাওয়ার পর পাইওনিয়ার অ্যাকাউন্টে লগিন করে কার্ড অ্যাক্টিভ করুন। এজন্য ৪ড্দিজিটের একটি পিন নির্বাচন করুন। আর কার্ডের নাম্বার চাইলে নাম্বার কোথায় পাবেন? কার্ডের উপর দেখূন বড় বড় করে সোনালী কালারে একটি নাম্বার আছে। এটাই আপনার কার্ডের নাম্বার। তো অ্যক্টিভ করার পর অনেকেই যেটা করেন সোজা এটিএম বুথে গিয়ে কার্ড টেস্ট করেন। সাবধান কিছু কিছু এটিএম মেশিন টাকা লোড না করে কার্ড ঢুকালে সাথে সাথে কার্ড সিজ করে দিতে পারে। আবার অনেকেই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে কার্ডের তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলেন। এক্ষেত্রে দেখে নিন ওয়েবসাইট কোন চার্জ করবে কিনা বা কত করবে। আজ এ পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ।

email: galib1992ict@gmail.com