Project Quality Management

প্রোজেক্ট কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বা প্রকল্পের মান নিয়ন্ত্রন
প্রোজেক্ট কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বা প্রকল্পের মান নিয়ন্ত্রন তিনটি বিষয়ের সমন্বয়ে হয়ে থাকেঃ পরিকল্পনা বা কোয়ালিটি প্লানিং , মান নিশ্চিত করা এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মান নিয়ন্ত্রণ করা।কোয়ালিটি প্লানিং ঃ প্রথমে কোয়ালিটির মানদণ্ড নির্ধারণ ও প্রকল্পের সাথে এর উপযোগিতা নিরূপণ করা হয়।আর পরিকল্পনা করা হয় কি হবে সেই নির্দিষ্ট মাপকাঠি।এই প্লানিং এর ফলাফল হল কয়েকটি বিষয়ঃ কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান, কোয়ালিটি মেট্রিক্স যা এক ধরনের গাণিতিক সম্ভাব্যতা প্রকরণ, কোয়ালিটি চেকলিস্ট, প্রসেস ইম্প্রভমেন্ট প্ল্যান যা চলমান কাজের একপ্রকার বিবরণ, কোয়ালিটি বেসলাইন যা মান নিয়ন্ত্রনের একটি অপরিহার্য অংশ।মান নিশ্চিতকরনঃ এটি মান নিয়ন্ত্রণ নয়, মান নিশ্চিতকরণ। অর্থাৎ এটি অভীষ্ট মান অর্জন নিশ্চিত করবে। এর ফলে নির্ধারিত পরিবর্তন ,সংস্কার ও প্রকল্পের চলমান উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। এজন্য নিশ্চিত করতে হবে প্রকল্প মান পরিকল্পনা, কোয়ালিটি মেট্রিক্স ও কোয়ালিটির মানদণ্ড মেনে চলা।মান নিয়ন্ত্রনঃ মানদণ্ড অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা,মান নিয়মিতভাবে ভাল হচ্ছে কিনা তা দেখা মান নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য। পরিসংখ্যানের ‘সেম্পলিং’ নিয়ম প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। মান নিয়ন্ত্রনে কাজ ও প্রতিক্রিয়া নামক পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয়।যেটা দেখায় কীভাবে বিভিন্ন বিষয় মানের উপর প্রভাব ফেলতে পারে ইত্যাদি।‘সেম্পলিং’ প্রয়োগ করার জন্য স্যাম্পলের কোয়ালিটি চার্ট, কোয়ালিটি লিমিট(আপার ও লোয়ার) ইত্যাদি খেয়াল রাখতে হয়। সাধারণত সাতবার চার্টে একই ধরণের মান আসলে সেটা আমলে নেয়া হয়। ফ্লোচার্টের মাধ্যমে দেখানো হয় কীভাবে বিভিন্ন উপাদান কাজ করে এবং মানের তারতম্য ঘটাতে পারে। হিস্টোগ্রামের মাধ্যমে পারেটো ল নামক পরীক্ষার দ্বারা ২০% থেকে শুরু করে ৮০% পর্যন্ত পরিবর্তন নির্ণয় করা হয়। রান চার্ট দ্বারা সময়ের সাথে মানের পরিবর্তন দেখানো যায়। স্কেটার ডায়াগ্রাম দ্বারা সব তথ্য ব্যাবহার করে পরিসংখ্যানের ‘সেম্পলিং’ নিয়ম প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।এরপর সবকিছু পরীক্ষা করা হয় চূড়ান্ত সংশোধনের জন্য। কিছু সংজ্ঞা ও বিশ্লেষণঃ টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টঃ টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বা সার্বিক মান নিয়ন্ত্রণ সকলের সম্পৃক্ততায় নিশ্চিত হতে হয়। আইএসও৯০০(ISO9000)ঃ মান নিশ্চিত করতে এই সার্টিফিকেট বা মানদণ্ডের নিয়ম রয়েছে। পরিসংখ্যানগত স্বনির্ভরতাঃ দুটি উপাদান যেন পরস্পরের উপর নির্ভর না করে সেজন্য এই পদ্ধতি। শর্ত সাপেক্ষে নির্ভরতা ঃ এক উপাদান অন্যটিকে প্রভাবিত করে। মান থেকে সরে আসা ও মান নির্ণয়। বর্গ ও বর্গমূল পদ্ধতিতে মানের গাণিতিক নির্ণয় করার উপায়। সিক্স সিগমা (99.99966% সঠিক) ক্রেতার চাহিদা মত মান নিশ্চিত করে। পরিদর্শন নাকি প্রতিরোধ? মানের ক্ষেত্রে এ প্রশ্ন আসে, এট্রিবিউট সেম্পলিং, ভেরিএবল সেম্পলিং নিশ্চিত করবে মান বাইনারি হিসাবের সাথে খাপ খাইয়ে নেবে কিনা। কিছু বিশেষ পরিস্থিতি হতে পারে যা নিয়ন্ত্রণযোগ্য।সর্বনিম্ন মানের মানদণ্ডঃ সর্বনিম্ন মানের মাপকাঠি ।

Permanent link to this article: http://bangla.sitestree.com/project-quality-management/

Leave a Reply