স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট শিশুদের জন্য সবসময় মন্দ নয়! Tablets and Smart Phones are not always bad for kids

স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট শিশুদের জন্য সবসময় মন্দ নয়!

স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট নিয়ে বেশি সময় কাটালে তা কি শিশুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে? এর উত্তর নির্ভর করে আপনি কোন বিশেষজ্ঞকে প্রশ্নটি করেছেন, তার ওপর।

এতোকাল পর্যন্ত, প্রভাবশালী অ্যামেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াটডিয়াট্রিকস (এএপি) শিশুদের ডিজিটাল স্ক্রীনে সময় কাটানোর বিষয়ে কঠিন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো। তবে, গ্রুপটি তাঁদের এই মতামতে অনেকটা নমনীয় হয়েছে। একাডেমির সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে- “ডিজিটাল মিডিয়া নির্বাহী কার্যক্রমকে (বিচারবোধ ও সমস্যা সমাধানের মতো) ত্বরান্বিত করে, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সমস্যা সমাধান দক্ষতা যোগায় এবং শিশুর নির্দেশনা অনুসরণ করার ক্ষমতা বাড়ায়।“

শিশু এবং ডিজিটাল ডিসপ্লেঃ পরিবর্তনের নতুন সুর

গবেষণাপত্রটি যদিও শিশুদের ডিজিটাল গ্যাজেট ব্যবহারের ব্যাপারে কোনো উচ্ছ্বসিত মত দেয় নি; কিন্তু স্পষ্টতই এটি এ বিষয়ে পূর্বে প্রকাশিত এএপি’র বহুল প্রচারিত মত ও প্রকাশনা থেকে সরে এসেছে। ২০১৩ সালে প্রকাশিত অ্যামেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াটডিয়াট্রিকস (এএপি)-এর গবেষণা পত্রে বলা উল্লেখ করা হয়, “এটা পরিষ্কার যে, তারা (মিডিয়া) স্পষ্টতই বিভিন্ন ঝুঁকি ও স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে এবং মিডিয়া থেকে শিশু ও টিন-এজাররা যা শেখে তা তাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।“ এরপর পত্রটি পিতামাতাকে নিম্নরূপ পরামর্শ দেয়ঃ

  • সারাদিনে শিশুদের বিনোদন স্ক্রীন বেশি হলে দুই ঘণ্টার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে;
  • দুই বছরের কম শিশুদের জন্য স্ক্রীন মিডিয়া নিরুৎসাহিত করা;
  • টেলিভিশন ও ইন্টারনেট সংযুক্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস শিশুদের শোবার ঘরে না রাখা।

তাহলে গবেষণায় নতুন মত কীভাবে এলো? কেনো? ২০১৩ সালের গবেষণাপত্রের মাত্র দু’বছর পর, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০১৫ সালের মে মাসে পরিচালিত গবেষণায় বলা হয়, “পিতামাতার উচিত শিশুদেরকে মিডিয়া সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া এবং শিশুদের কাছে জিজ্ঞেস করে তাদেরও মতামত নেয়া। মিডিয়াকে হাতিয়ার (Tool) বা শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে নেয়া; বেবিসিটার, পুরস্কার বা শাস্তি হিসেবে নয় কোনোমতে।

শিশুদের ওপর স্মার্টফোন, ট্যাবলেটের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এখনো পরিস্কার নয়ঃ

অন্য অনেক বিশেষজ্ঞ এখনো এই মত পোষণ করেন যে, ডিজিটাল স্ক্রীন ছোট বাচ্চাদের জন্য সমস্যার হতে পারে। এক গবেষণা পত্রে বলা হয়- প্রচলিত খেলনা- যেমন, “ব্লক বিল্ডার” যেকোনো ইলেকট্রনিক খেলনার চেয়ে ভালো।

পরিশেষে, গবেষকগণ একমত হয়েছেন যে, এ বিষয়ে আরো বিশদ গবেষণা প্রয়োজন।

Permanent link to this article: http://bangla.sitestree.com/%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%ab%e0%a7%8b%e0%a6%a8-%e0%a6%93-%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%9f-%e0%a6%b6%e0%a6%bf/

Leave a Reply