সম্ভবনাময় সেরা দশ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট খাত এবং তাদের সম্ভবনাঃ Top 10 Web Technology Trends

সম্ভবনাময় সেরা দশ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট খাত এবং তাদের সম্ভবনাঃ
বর্তমান সময়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও সার্চ ইঞ্জিন প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন হচ্ছে এবং তা হচ্ছে খুব দ্রুত। এই উন্নয়নের ধারাটি ডেভেলপারদেরকে দ্রুত ও সব মাধ্যমে ব্যাবহার উপযোগী অ্যাপ তৈরি করতে সাহায্য করবে।সেই সাথে বাড়বে সাধারন ব্যাবহারে অ্যাপের প্রয়োগও।
বর্তমানে খুব বেশি টেকনিক্যাল জ্ঞান ছাড়াই সাধারন প্রযুক্তি ব্যাবহারকারীরাও অ্যাপগুলো ব্যাবহার করতে পারছে।
বর্তমান সময়ের সেরা দশটি প্রযুক্তি যা সামনের সময়েও রাজত্ব করবে সেগুলো হলঃ
১।থ্রিডি ওয়েব এপ্লিকেসন্স
ওয়েব ব্রাউজার নিয়ে জারা কাজ করে আসছে তারা অনেক আগে থেকেই থ্রিডি ওয়েব এপ্লিকেসন্স নিয়েও চিন্তা ভাবনা করছে, অনেক নতুন আপডেটও হয়েছে এ বিষয়ে।আমরা সম্ভবত সিএসএসথ্রি থ্রিডি ট্রান্সফরমস ইত্যাদির সাহায্যে থ্রিডি ডিজাইনের উত্থান দেখতে যাচ্ছি নতুন বছরে।থ্রিডি ওয়েব এপ্লিকেসন্স ডেভেলপমেন্ট আরও বেশি এগিয়ে যাবে এইচটিএমএল৫ ও অন্যান্য কোডিং ব্যাবহারের মাধ্যমে।
এই প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে গেম,বিনোদন ও নিত্ত প্রয়োজনীয় অনেক অ্যাপও হয়ে যাবে থ্রিডি নির্ভর।এছাড়াও থ্রিডি ক্যানভাস ডেভেলপমেন্টও এগিয়ে যাচ্ছে সমানভাবে তাল মিলিয়ে,যা অচিরেই জনপ্রিয় ফ্রেমওয়ার্ক হয়ে উঠতে পারে।
.
২।এইচটিএমএল জাভাস্ক্রিপ্ট এপিআইঃওয়েব ডিজাইন তা সে যে ধরনের ডিভাইসের জন্যই হোক না কেন,প্রযুক্তি কর্মীদের প্রধান অস্ত্র হল এইচটিএমএল ও জাভাস্ক্রিপ্ট এপিআই, যা বর্তমানের বিভিন্ন প্লাটফরমের সাথে মানিয়ে ওয়েব এপ্লিকেশন বানাতে অপরিহার্য। এইচটিএমএল৫এর সাথে সহজে কাজ করা যায় যে ধরনের এপিআই সেগুলো মোটামোটি এরকমঃওয়েব স্টোরেজ, ওয়েব ওয়ার্কার্স, ওয়েবসকেট, এপ্লিকেশন ক্যাচি ইত্যাদি।

৩। জাভাস্ক্রিপ্ট এবং ক্লায়েন্ট সাইড ওয়েব এপ্লিকেশনঃ
এ ধরনের প্রযুক্তির বড় সুবিধা হল ব্যাবহারের জন্য ক্লায়েন্টকে খুব বেশি দক্ষ হতে হয়না বা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানতেও হয়না ,কেবল বেসিক কিছু টেকনোলজিকাল জ্ঞান থাকতে হয়। সামনের সময়টাতে আমরা তাই জাভাস্ক্রিপ্ট এবং ক্লায়েন্ট সাইড ওয়েব এপ্লিকেশনের ব্যাবহার আরও বৃদ্ধি পেতে দেখব।এ ধরনের আরও কিছু প্রযুক্তি হল কফিস্ক্রিপ্ট ও ডার্ট যা হয়ত সামনে জনপ্রিয় হতেও পারে।
৪।ফ্রন্টএন্ড ফ্রেমওয়ার্ক ঃ
বিগত সময়ের মত বর্তমানেও ফ্রন্টএন্ড ফ্রেমওয়ার্ক ব্যাবহার করা হচ্ছে ব্যাপকভাবে।যার ব্যাবহার সামনে আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।বিশেষ করে টেস্টিং সার্ভার, টাস্ক রানার ও এরকম আরও কিছু কাজের জন্য এর ব্যাবহার আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।
৫। ভিডিওতে এইচটিএমএল৫ ও এইচটিএমএলএর ব্যাবহার ঃ শুধু বিনোদন নয় তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ভিডিও সব ধরনের তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যম আর এ জন্যই এইচটিএমএল ও এইচটিএমএল৫ ব্যাবহার করে ভিডিও এডিটিং ও ওয়েবে আপলোডের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
৬।স্ক্রিনের বাইরেও ডেভেলপমেন্টঃ সব ধরনের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে বর্তমান সময়ে তাই তথ্য আদান প্রদান ও গবেষণা ইত্যাদিও এখন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের মধ্যেই পরে।
৭।কুকিজ ব্যাবহারঃ আপডেট থাকতে ও নতুন কোন পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে প্রযুক্তিকর্মীরা কুকিজ ব্যাবহার করেন।
৮। ড্রাগ এন্ড ড্রপ প্রযুক্তিঃ এইচটিএমএল৫ ব্যাবহার করে দ্রেগ এন্ড ড্রপ ব্যাবহার করে প্রযুক্তিজগতকে আরও সহজ ও সমৃদ্ধ করছে ডেভেলপাররা।
৯।রেস্পন্সিভ ডিজাইন অপরিহার্যঃ সব ধরনের যন্ত্রে ওয়েব ব্যাবহারের জন্য রেস্পন্সিভ ডিজাইন ব্যাবহার বেড়ে গেছে।
১০।মোবাইল অ্যাপ ও নেটিভ অ্যাপ ডেভেলপারদের প্রাধান্যঃপ্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের সাথে সাথে মোবাইল অ্যাপ ও নেটিভ অ্যাপ ডেভেলপারদের প্রাধান্যও বেড়ে যাচ্ছে।