বায়োম্যাট্রিক্স প্রযুক্তি এবং সনাক্তকরণ

রাশেদা ইয়াসমিন নিপা

কম্পিউটার বিজ্ঞানের এক নবতর অধ্যায় Biometrics । আর Biometrics বলতে সেই প্রযুক্তিকে বোঝায় যা দ্বারা মানুষের দৈহিক ও আচরনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ এবং পরিমাপ করে ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হ্য়। যেমন- ফিংগারপ্রিন্ট, হ্যান্ডজিওমিট্রি, আইরিস, ডিএনএ, ভয়েস রিকগনিশন প্রভৃতি ব্যবহার করে কম্পিউটার বিজ্ঞান মূলত ব্যক্তিসনাক্তকরণ ও প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করে। এ পদ্ধতি দ্বারা অধিক গ্রহণযোগ্যতার সাথে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সিস্টেম এর নিরাপত্তা প্রদান করা যায়।

Biometrics এর কাজ হল কোন ব্যক্তির বৈশিষ্ট্যকে ডিজিটাল কোডে রূপান্তর করে পূর্ব সংরক্ষিত কোডের সাথে তুলনা করে সত্যতা যাচাই করা। নিম্নে Biometrics পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হল-

১। ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডার- প্রতিটি মানুষের আঙ্গুলের ছাপে রয়েছে ভিন্নতা, আর এই আঙ্গুলের ছাপ দিয়েও ব্যক্তি সনাক্তকরণ করা যায়। আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞাণ Biometrics পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ আগেই তার ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা থাকে, ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডার মানুষের আঙ্গুলের ছাপকে ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে এবং সংরক্ষিত ডাটাবেজ এর সাথে মিলিয়ে আউটপুট দেয়। এই ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডারকে কম্পিউটেরের USB পোর্টের সাথে সংযোগ দিয়ে কাজ করা হয়। এ পদ্ধতিটি তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল।

২।ফেস রিকগনিশন-  কোন কক্ষের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে ও আইডি সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। এটি এমন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে মানুষের মুখের আকৃতি পূর্ব সংরক্ষিত ছবির সাথে তুলনা করে ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়। এতে দুচোখের দূরত্ব, চোয়ালের  কৌণিক পরিমাণ, নাকের ব্যাস-দৈর্ঘ্য পরিমাপ করে ব্যক্তির পরিচয় তুলে ধরে।

৩। হ্যান্ড জিওম্যাট্রি- মানুষ ভেদে হাতের গঠন, পরিমাপ ভিন্ন রকমের হয়। Hand Geometry পদ্ধতিতে মানুষের হাতের আকৃতিকে পরিমাপ করার মাধ্যমে ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। এতে হাতের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, পূরুতব ইত্যাদি পরিমাপ ক্রা হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহারকারীর জন্য ব্যবহার করা  য়

৪। আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যান-  আইরিশ ও রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতি মূলত উচ্চক্ষমতাসমপন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয়। উভয় পদ্ধতিতে চোখ ও মাথা স্থির করে ডিভাইস এর সামনে দাড়াতে হয়। চোখের রঙ্গিন অংশকে পরিমাপ করে ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয় আইরিশ পদ্ধতিতে আর রেটিনা স্ক্যান পদ্ধতিতে চোখের মনির লেয়ারের পরিমানের উপর পরিমাপ করে ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়।

৫। ভয়েস রিকগনিশন- টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেমের নিরাপত্তায় এ পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভয়েস রিকগনিশন পদ্ধাতিতে কম্পিউটার প্রোগ্রাম মানুষের কণ্ঠকে ইলেক্ট্রনিক সিগ্নালে রূপান্তর করে ডেটাবেজে সংরক্ষণ করে রাখে, পরে সংরক্ষিত ডেটার সাথে ব্যবহারকারীর কন্ঠের তুলনা করে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে খুজে বের করে ।

৬। সিগ্নেচার ভেরিফিকেশন- এই পদ্ধতিতে কলম ও এক ধরনের ট্যাবলেট পিসিতে স্বাক্ষর করে; স্বাক্ষরের আকার, লেখার গতি, সময় কলমের চাপ মূল্যায়ণ করে ব্যবহারকারির  স্বাক্ষর সনাক্ত করা হয়।

Permanent link to this article: http://bangla.sitestree.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b8-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%95/