তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের সাথেসাথে মুক্ত পেশাজীবী বা ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যাও বাড়ছে। দেশের শিক্ষিত বেকার যুবক শ্রেণী এমনকি পড়াশোনার পাশাপাশিও অনেক শিক্ষার্থী ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে যুক্ত থেকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনের পথ সুগম করে কাজ করছেন। সেই প্রবণতাকে আরও এগিয়ে নিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিজনেস প্রসেসিং আউটসোর্সিং বা বিপিও সম্মেলন ২০১৫। গত ৯ ও ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এই সম্মেলনের আয়োজনে ছিল সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ(আইসিটি) ও ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং’ এর উদ্যোগে আয়োজিত হয়ে যাওয়া এই সম্মেলনের শেষ দিনে মোট সাতটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ তারিখে) অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ টু ড্রাইভ বিপিও ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক সেমিনার। সেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং’এর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ বর্তমানে দেশের বিপিও খাতে ২৫ হাজার লোক কাজ করছে। তরুণরা এগিয়ে এলে ২০২১ সালের মধ্যে এই খাতে দুই লক্ষ লোক কাজ করতে পারবে’।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার ছিল ‘গ্লোবাল বিপিও ইন্ডাস্ট্রি বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক সেমিনার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি সহ সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে’। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির, অগমেডিক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্রী দয়া সিং, এক্সচেঞ্জার জাপানের সাবেক চেয়ারম্যান ক্লাইডি উনোসহ আরও অনেকে। মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সারা বিশ্বে বিপিও একটি বড় খাত। এখানে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে’।
উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে তার জনগনের কর্মদক্ষতা ও সচেতনতার উপর। ফ্রিল্যান্সিং তরুণ প্রজন্মের সামনে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ, সেইসাথে অর্থনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। আর তাই এই ধরনের সম্মেলন তরুণ প্রজন্মের আগ্রহের শীর্ষে থাকে, হয়ে উঠে অনুপ্রেরণার উৎস। ভবিষ্যতেও এই ধরণের সম্মেলন দেশের তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের অনুপ্রাণিত করবে, এটিই প্রত্যাশা সবার।
তথ্যসূত্র : (প্রথম আলো, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাতা পৃষ্ঠা ১৪, বিপিও খাত) ও অন্যান্য জাতীয় দৈনিক অবলম্বনে।