রিদওয়ান বিন শামীম
ডাটা বা তথ্য দুইভাবে সংরক্ষণ করা যায়, ডিজিটাল ও এনালগ পদ্ধতিতে। কম্পিউটারে ডাটা সংরক্ষণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হয়। ডাটার মত সিগন্যালও ডিজিটাল ও এনালগ এই দুই পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা যায়। ডাটাকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ট্রান্সমিশনের জন্য একে আগে ডিজিটাল ফরম্যাটে পরিবর্তিত করে নিতে হয়।
ডিজিটাল থেকে ডিজিটালে রূপান্তর
লাইন কোডিং ও ব্লক কোডিং, এই দুই ভাবে ডিজিটাল থেকে ডিজিটালে রূপান্তর করা যায়। সব ধরণের যোগাযোগের জন্য লাইন কোডিং জরুরী যেখানে ব্লক কোডিং ঐচ্ছিক।
লাইন কোডিং
ডিজিটাল ডাটাকে ডিজিটাল সিগন্যালে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে লাইন কোডিং বলে। ডিজিটাল ডাটাকে বাইনারি ফরম্যাটে পাওয়া যায়, একে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত সিরিজের অন্তর্নিহিতভাবে সংরক্ষণ করা যায়।
ইউনিপোলার এনকোডিং
ইউনিপোলার এনকোডিং স্কিম ডাটা রিপ্রেজেন্ট করার জন্য সিঙ্গেল ভোল্টেজ লেভেল ব্যবহার করে, এক্ষেত্রে বাইনারি ১ প্রকাশ করতে উঁচু ভোল্টেজ ও বাইনারি ০ প্রকাশ করতে কোনও ভোল্টেজ ট্রান্সমিটেড হয় না। এদের ইউনিপোলার নন-রিটার্ন-টু-জিরোও বলা হয়।
পোলার এনকোডিং
পোলার এনকোডিং স্কিম বাইনারি মান প্রকাশের জন্য মাল্টিপল ভোল্টেজ লেভেল ব্যবহার করে। পোলার এনকোডিং কে চার রূপে পাওয়া যায়,
- পোলার ননরিটার্ন টু জিরো
- রিটার্ন টু জিরো,
- ম্যানচেস্টার,
- ডিফারেন্সিয়াল ম্যানচেস্টার
বাইপোলার এনকোডিং
বাইপোলার এনকোডিং তিন ধরণের ভোল্টেজ লেভেল ব্যবহার করে, পজেটিভ, নেগেটিভ ও জিরো।
ব্লক কোডিং
ব্লক কোডিং তিন ধরণের হয়,
- ডিভিশন,
- সাবস্টিটিউশন,
- কম্বিনেশন
ব্লক কোডিং সম্পন্ন হওয়ার পর একে লাইন কোডেড করা হয়।
এনালগ থেকে ডিজিটাল রূপান্তর
এনালগ তরঙ্গকে ডিজিটাল ডাটায় পরিণত করতে পালস কোড মডুলেশন ব্যবহার করা হয়। এটি তিন ধাপে হয়,
- সেম্পলিং
- কোয়ান্টাইজেশন
- এনকোডিং
ট্রান্সমিশন মোড
দুটি কম্পিউটারে কীভাবে ডাটা ট্রান্সমিটেড হবে তা নির্ণয় করে ট্রান্সমিশন মোড,এর দুটি প্রকরণ ঘটে,
- প্যারালাল ট্রান্সমিশন
- সিরিয়াল ট্রান্সমিশন।
সিরিয়াল ট্রান্সমিশন দুই রকমের হয়,
- এসিনক্রোনাস সিরিয়াল ট্রান্সমিশন
- সিনক্রোনাস সিরিয়াল ট্রান্সমিশন