Category Archives: এস ই ও – ০০৩ । SEO Details – 003

এস ই ও – ০০৩ । SEO Details – 003

এসইও – ডিজাইন ও লেআউট বা বিন্যাস । SEO – Design & Layout

নয়ন চন্দ্র দত্ত

 

ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং বিন্যাস আপনার সাইট সম্পর্কে প্রথম ছাপ ফেলে। অনেক সাইট আছে যা খুব অভিনব এবং নিয়মিত নেট surfers ঐ সাইটে পৌঁছায় এবং তৈরি করা ছাড়াই একটি ক্লিকেই এসে পড়ে।

সার্চ ইঞ্জিন, খুব স্মার্ট কিন্তু তারপরও তারা সফ্টওয়্যার এবং মানুষের মত না এবং যারা তাদের আগ্রহের বিষয়বস্তু পড়তে পারেন। যদি আপনি আপনার সাইটকে খুব জটিল করেন তাহলে সার্চ ইঞ্জিন সঠিকভাবে আপনার সাইটের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হবে না এবং পরিশেষে ইন্ডেক্স উন্নত হবে না যার ফলাফল হবে নিম্ন মানের।

প্রকৃত পেজে কন্টেন্ট প্রায় 10% এর একটি শব্দ ঘনত্ব থাকতে হবে এবং প্রায় 200 শব্দ এ তৈরী করা উচিত কিন্তু এসইও বিশেষজ্ঞদের এই সম্পর্কে অনেক মতামত আছে। অনেকে বলে, শব্দ ঘনত্ব 5% হতে হবে আবার অনেকে বলে এটা 20% হতে হবে। আপনি 10% সঙ্গে যেতে পারেন যা যথেষ্ট ভাল।

এখানে কয়েকটি নির্দেশিকা আছে যা একটি ওয়েব পেজ নকশা করার সময় আপনি মনে রাখতে পারেনঃ

  1. আপনার HTML element এর চেয়ে বেশি টেক্সট কন্টেন্ট থাকতে হবে
  2. কোন ফ্রেম নয় তারা সার্চ ইঞ্জি্নের শত্রু এবং সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেমের শত্রু
  3. যদি সম্ভব হয় তাহলে কোন বিজ্ঞাপন দিবেন না কারণ বিজ্ঞাপনগুলো বেশীরভাগ জাভা - স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে যা পরামর্শ দেওয়া হয় না
  4. কোন জাভাস্ক্রিপ্ট না। যদি জাভাস্ক্রিপ্ট প্রয়োজন হয় তাহলে HTML ফাইল এ কোড ডাম্পিং চেয়ে একটি বহিরাগত ফাইল থেকে নিন
  5. টপিক পেজে কিছু নিবেন না যা পুরোপুরি মিশবে না
  6. কোন অপ্রয়োজনীয় ডিরেক্টরি দিবেন না। যথাসম্ভব রুটের কাছাকাছি আপনার ফাইল রাখুন।
  7. যদি না অত্যাবশ্যক হয় তাহলে কোন অভিনব জিনিস নয়। যেমন- ফ্ল্যাশ , স্প্ল্যাশ, প্রাণবন্ত gifs , rollovers , ইত্যাদি ।

SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান এর সহজ কৌশল

আজকে আমি SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে চাই. একটি ওয়েবসাইট প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনের ভিতরে একটি উচ্চাসন লাভ করতে চায়. আর এটা কি ভাবে করা যায় সেটাই হচ্ছে SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান। SEO এর সবচেয়ে সহজ কৌশল হচ্ছে আপনার ওয়েব সাইটের লিঙ্কটি বিভিন্ন ওয়েব সাইটে শেয়ার করা, যেমন= সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট (Facebook, Twitter, Google+, LinkedIn), বুকমার্কিং সাইট (Stumble, Pinterest , Digg, Reddit, Delicious), ব্লগ কমেন্টস্‌ এবং ফোরাম পোস্টিং ইত্যাদি কাজ গুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই একটি ওয়েব সাইট কে গুগল পেজ-রেঙ্ক ১-৪ নিয়ে আসা যায়।

এস.ই.ও এর পূর্ণ রুপ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন : SEO

এস.ই.ও এর পূর্ণ রুপ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এটি মূলত কিছু কৌশলের সমন্বয়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার একটি ওয়েব সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা হয়। এটি ওয়েব মাস্টারদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা তারা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্ট এর প্রথম পেজে নিয়ে আসতে পারে। তাই বলা যায় য়ে এস.ই.ও হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া যার ওয়েব সাইটকে একটি নিদির্ষ্ট শব্দ এর উপর ভিত্তি করে সার্চ ইঞ্জিনে গুরুত্বপূর্ণ পজিশন দখল করা। যাতে একটি নিদিষ্ট বিষয়ের সার্চ রেজাল্টে অন্য ওয়েব সাইটকে পেছনে ফেলে নিজের ওয়েব সাইটকে সবার আগে সার্চ ইঞ্জিনে প্রকাশিত করা।

সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে নিজের ওয়েব সাইটকে সবার আগে প্রকাশিত করা। সাইটের ভিজিটর বাড়ানোর যায় এবং নিজের ওয়েব সাটকে সকলের কাছে পরিচিত করানো যায়।

SEO বা Search Engine Optimization। SEO সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

SEO হল Search Engine Optimization এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজকে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের সার্চ বা অনুসন্ধান ফলাফলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখানোর চেষ্টা করা হয়। ইহা কোন একক কাজ নয়। ইহা অনেক গুলো কাজের সম্মিলিত ফল। সাধারণত একটি সার্চ ইঞ্জিনের ওয়েব ক্রাউলার বিভিন্ন সময় কিংবা কোনো নির্দিষ্ট সময় ওয়েবে থাকা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে বেড়ায়। তখন ওয়েব ক্রাউলার কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য খুঁজে বেড়ায়। সাধারণত রবোট একটি ওয়েবসাইট ক্রাউল করার সময় যে বিষয়গুলোতে দৃষ্টিপাত করে, সেগুলো হলো:

ওয়েবসাইটের টাইটেল বা নাম, ওয়েবসাইটের ডেসক্রিপশন বা বিবরণ, ওয়েবসাইটের মেটা ট্যাগ, ওয়েবসাইটের সাইট ম্যাপ, ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর টাইটেল বা নাম, ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর অল্ট বিবরণ, ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর ক্যাপশন ইত্যাদিseo এর মাধ্যমে যে কোন ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন এর প্রথমে পাতায় আনতে পারলে, ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকাংশে বেড়ে যায়।

Internet থেকে যদি আমরা একটি বই ডাউনলোড করতে চাই, তাহলে আমরা সাধারণত যে কাজটি করি তা হল google এ আমরা ঐ বই এর নামটি লিখে search করি। এখন লক্ষ্য করুন আমরা search button press করার পর google কিছু website এর নাম দেখায় যেখানে আমরা ঐ বইটি পেতে পারি। এভাবে google প্রতি page এ ১০টি ওয়েরসাইটএর নাম দেখায়। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কেন কিছু সাইট প্রথম পেজে আসলো, আর কেনইবা বাকি ওয়েবসাইটগুলো পেছনের পেজে গেলো – google কি ইচ্ছা মত করছে নাকি এর পেছনে অন্য কোন কারণ আছে? নিশ্চয় প্রথমপেজের সাইটগুলোর মধ্যে বিশেষ কিছু আছে, যা অন্য সাইটগুলাতে নাই। এই বিশেষ কিছুই হল seo এর কৌশল, যার মাধ্যমে আপনিও আপনার ওয়েবসাইটটিকে প্রথম পেজে নিতে পারেন। আর প্রথম পেজ মানেই বেশি বেশি ভিজিটর।

seo কে সাধারণত ২ভাগে ভাগ করা হয়:

  • On Page Seo এবং
  • Off page seo.

একটি ক্রিকেট বিষয়ক সাইট আছে যা বর্তমানে #১০ এ অবস্থান করছে। আপনি চাচ্ছেন কেউ যদি search engine এ ” Cricket” লিখে search করে তাহলে এটি #১ অবস্থানে দেখাবে – এটা করতে হলে ঐ সাইট এর seo করতে হবে। seo সাধারণত কোন popular search term বা keyword ব্যবহার করে করা হয়। যদি seo করে আপনার Brand name কে উপরের দিকে নিতে চান এবং সফলও হন, তাহলেও এটিকে ঠিক seo বলা যায় না। কারণ search engine যথেষ্ট smart এবং seo আপনার company name ও keyword কে খুব সহজেই আলাদা করতে পারে। আর প্রধান ব্যাপার হল, যে keyword এর জন্য যত প্রতিযোগীতা, সেই keyword এ rank করা তত কঠিন।

এসইও বা “সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান” কী ? What is SEO?

এসইও বা “সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান” কী ?

এসইও বা “সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান” হচ্ছে, বিনামূল্যে” , “সম্পাদকীয়” বা সার্চ ইঞ্জিন এ “প্রাকৃতিক” তালিকা থেকে ট্রাফিক বা ভিসিটর পাবার প্রক্রিয়া। যেমন – গুগল, ইয়াহু এবং বিং প্রধান সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে কোন নির্দিষ্ট অনুসন্ধানের জন্যে লক্ষ লক্ষ ফলাফল প্রকাশ করে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ ফলাফলের মধ্যে যাদের ওয়েবসাইট গুলোকে প্রথম পাতায় প্রদরশন করা হয়, তারা যে প্রক্রিয়াই প্রথম পাতাই আসে তাকেই এসইও বলে।

তবে প্রথম পাতাই আসার আরেক্তি উপাই হচ্ছে, বিজ্ঞাপন। তবে এতি এসইও এর পরজাএ পড়ে না, কারন এতে শুধু মাত্র গুগল কে বিজ্ঞাপনের জন্যে খরছ প্রদান করেই প্রথম পাতাই আসা যায়। ভিসিতর আনার জন্যে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেসেন এর গুরুত্ব অবর্ণনীয়।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর উপর প্রাথমিক ধারণা

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল এস ই ও। এসইও এর কিছু মূলনীতি রয়েছে- যার প্রথমেই আসে, ওয়েবপেজটি কি ধরনের হবে? ওয়েবসাইটের প্রতি পেজের অবশ্যই একটি টাইটেল দিতে হবে এবং প্রতিটি টাইটেল এর মধ্যে ভিন্নতা থাকতে হবে। তবে এর মূল শব্দগুলো (keyword) সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে, শব্দগুলো যেন ভিজিটরদের কাছে অর্থবহ হয়। দ্বিতীয়ত, পেজ এর কন্টেন্ট সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে, নিম্ন মান সম্পন্ন কন্টেন্ট যেমন ব্যবহার করা যাবে না তেমনি নকল কোন কন্টেন্টও ব্যবহার করা উচিত হবে না। এমন ধরনের কন্টেন্ট ব্যবহার করতে হবে যার মাঝে বৈচিত্র্যতা আছে, তবে তা যেন ভিজিটরদের বিরক্তির কারন না হয়ে আকৃষ্ট করতে পারে। তৃতীয়ত,অ্যাংকর (a tag) টেক্সট ব্যবহারে হতে হবে সচেতন। অর্থবহ এবং বর্ণনামূলক অ্যাংকর টেক্সট ব্যবহার করতে হবে। একই অ্যাংকর টেক্সট বার বার ব্যবহার করা যাবে না। চতুর্থত, h1থেকে h6 ট্যাগ এর ব্যবহার এমন হতে হবে যা ওয়েবপেজের কন্টেন্ট স্ট্রাকচার তুলে ধরতে পারে। এছাড়া robots.txt ফাইল ব্যবহার করতে হবে যাতে করে ক্রলার ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট কোন অংশকে ইন্ডেক্সিং করা থেকে বিরত থাকে।

এসইও – লিঙ্ক বিল্ডিং । SEO – Link Building

স্বর্ণা আখতার

 

লিঙ্ক বিল্ডিং এস ই ওর গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম যার মাধ্যমে ওয়েব সাইট এর ভিজিটর বৃদ্ধির পাশাপাশি গুগল এ এর রাঙ্ক বৃদ্ধিতেও কাজ করা যায়। সর্বোপরি ভাবে বলা যায়, লিঙ্ক বিল্ডিং শুধুমাত্র ওয়েবসাইট এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতেই সহায়তা করে।

কিভাবে লিঙ্ক বিল্ডিং করবেন

লিঙ্ক বিল্ডিং এর বিভিন্ন নিয়ম-কানুন বা পদ্ধতি প্রচলিত আছে। নিচে কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল,

  1. ওয়েবসাইট কে বিভিন্ন ডিরেক্টরিতে সাবমিট করুন। তবে কোন অটোম্যাটিক উপায় অবলম্বন করবেন না এতে গুগল আপনার রাঙ্ক কমিয়ে দিতে পারে।
  2. অনেক মুক্ত ডিরেক্টরি আছে যেমন, “dmog.org, yahoo.com” এগুলোতে আপনার সাইটটিকে অন্তর্ভুক্ত করুন। যার ফলে অন্যান্য যেসব সার্চ ইঞ্জিন আছে সেগুলোতে আপনার সাইট এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে।
  3. আপনার ওয়েবপেজ এর জন্য উন্নত মানের আর্টিকেল লিখুন যা ভিজিটর ধরে রাখতে সহায়তা করবে। এবং যার ফলে, আপনার ওয়েবসাইট এর বাউন্স রেট কম হবে।
  4. লিঙ্ক বিনিময় কাজে অংশগ্রহণ করুন। যার মাধ্যমে আপনার সাইট এ ভিজিটর বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে একপাক্ষিক হলেই বেশি ভাল হয়।
  5. আপনার সাইট এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে ফোরামগুলোতে সিগনেচার হিসাবে আপনার লিঙ্ক রেখে আসতে পারেন ।
  6. বুকমারকিং সাইটগুলোতে আপনার সাইট এর লিঙ্ক সাবমিট করতে পারেন।
  7. ব্লগিং সাইটগুলোতে ভাল মানের আর্টিকেল লিখতে পারেন এবং সেখানে আপনার সাইটএর লিঙ্ক বিজ্ঞাপন হিসাবে দিতে পারেন।
  8. সবসময় আপনার সাইট এর ভিজিটরদের ভাল মানের সেবা সরবরাহ করুন এবং তাদেরকে ব্যাস্ত রাখার চেষ্টা করুন।

 

লিঙ্ক বিল্ডিং এ আরও কিছু উপায় আছে কিন্তু সেগুলোতে আপনাকে অর্থ খরচ করতে হতে পারে। এমন কিছু পদ্ধতি হল,

  1. কিছু উচ্চ মানে ওয়েব সাইট কিনুন যেগুলোতে আপনি আপনার লিঙ্কগুলোকে রেখে আসতে পারবেন।
  2. গুগল এডওয়ার্ড এ যোগ দিতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনার সাইট এর ভিজিটর নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।

পরিশেষে বলা যায় যে, ওয়েব সাইটএর ভিজিটর বৃদ্ধিতে লিঙ্ক বিল্ডিং অনেক অবদান রাখে। এস ই ওর অনেক পদ্ধতি প্রচলিত থাকলেও লিঙ্ক বিল্ডিং এ একমাত্র উপায় যেটা দীর্ঘমেয়াদি জনপ্রিয়তা বয়ে আনতে কাজ করে থাকে।

 

এসইও – ওয়েব সাইট ডোমেন । SEO – Web Site Domain

নয়ন চন্দ্র দত্ত

 

আমরা যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে ১০০% ধরি এবং একে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করি তাহলে দেখা যাবে যে এর মধ্যে প্রায় ২০% ই হলো ডোমেন নেইম এর তথ্য। তাহলে চিন্তা করুন ডোমেনের নামকরণ বা এর সঠিক তথ্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই এসইও করার সময় প্রথমেই আপনাকে নজর দিতে হবে আপনার ডোমেইনের নামের দিকে। লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি যে বিষয় নিয়ে এসইও করতে যাচ্ছেন সে বিষয় এর সাথে আপনার ডোমেইন নামের মিল থাকে।

 

যখনই আপনি ইন্টারনেট এর মাধ্যমে একটি ব্যবসা শুরু করার চিন্তা করছেন, আমার মনে হয় যে আপনি প্রথমে আপনার ওয়েবসাইট ডোমেইন নাম নিয়ে ভাববেন। একটি ডোমেন নাম চয়েজ করার আগে আপনার নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিতঃ

  1. আপনার লক্ষ্য পাঠকবর্গ কারা হবে?
  2. আপনি তাদের কাছে কি বিক্রি করতে মনস্থ করেছেন। এটা কি একটা বাস্তব আইটেমট বা শুধু টেক্সট কন্টেন্ট ?
  3. কি আপনার ব্যবসায়িক ধারণাকে ইউনিক করে তুলবে অথবা বাজারে ইতিমধ্যে available যা অন্য সব কিছুর থেকে আলাদা হবে ?

অনেকে ডোমেইন এর মধ্যে কীওয়ার্ড থাকাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। ডোমেইন নামে কীওয়ার্ড বা মূলশব্দ সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এটা সাধারণত ডোমেইন নাম, সংক্ষিপ্ত স্মরণীয় (সহজে মনে থাকে) এবং হাইফেনবিহীন হলে সম্ভব হতে পারে।

আপনার ডোমেইন নাম এর মধ্যে কীওয়ার্ড ব্যবহার আপনার প্রতিযোগীদের থেকে আপনাকে একটি শক্তিশালী প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেয়। আপনার ডোমেইন নাম এর মধ্যে কীওয়ার্ড থাকলে সার্চ ইঞ্জিন লিস্টে ক্লিক-মাধ্যম- হার বৃদ্ধি করতে পারে এবং শব্দ সমৃদ্ধ বর্ণনামূলক আগমনকারী লিঙ্ক পেতে কীওয়ার্ডের ব্যবহার যা বিজ্ঞাপন দেওয়াকে সহজ করে তুলে।

 

দীর্ঘ এবং বিভ্রান্তিকর ডোমেইন নাম কেনা থেকে এড়িয়ে চলুন। অনেক মানুষ ড্যাশ বা হাইফেন ব্যবহার করে তাদের ডোমেইন নামের মধ্যে শব্দ আলাদা করে থাকে। আগে ডোমেইন নাম নিজেই একটি গুরুত্বপূর্ণ র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর ছিল কিন্তু এখন সার্চ ইঞ্জিনের উন্নত বৈশিষ্ট্য আছে এবং এটি আর এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর নেই। আপনার ডোমেন নাম এর মধ্যে দুই থেকে তিন শব্দ রাখুন মনে রাখা সহজ হবে। কিছু সর্বাদিক লক্ষণীয় (notable) ওয়েবসাইট তাদের নিজস্ব শব্দ তৈরি করে ব্র্যান্ডিং এর কাজ করে। যেমন কয়েকটি উদাহরণ ইবে, ইয়াহু!, এক্সপিডিয়া, স্ল্যাশডট, Fark , উইকিপিডিয়া, গুগল ইত্যাদি।

 

আপনাকে একবার টেলিফোনে এটা বলতে সক্ষম হওয়া উচিত এবং অন্যান্য ব্যক্তি এটির বানান কিভাবে জানতে পারে এবং আপনি কি বিক্রি করছেন তারা যেন সেটা অনুমান করতে পারে।

গুরু মন্ত্র

অবশেষে, আপনাকে নিম্নলিখিত প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হতে হবেঃ

  1. কেন আপনি আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান?
  2. কেন মানুষ আপনার সাইটে থেকে কিনবে এবং অন্যান্য সাইট থেকে কেন নয়?
  3. কি অন্যদের থেকে আপনার সাইটকে আলাদা করে তোলবে ?
  4. কে আপনার লক্ষ্য পাঠক এবং আপনি কি বিক্রি করতে মনস্থ করেছেন?
  5. আপনি কি মনে করেন যে তালিকা 5 থেকে 10 ওয়েবসাইটগুলো আশ্চর্যজনক এখন চিন্তা করুন কেন তারা আশ্চর্যজনক?
  6. 5টি বিভিন্ন ডোমেইন নাম তৈরি করুন। তাদের মধ্যে অন্তত 1টা মজার করুন। অর্ধ ডজন মানুষকে বলুন এবং কোনটি সবচেয়ে বেশী স্মরণ থাকে। সেই মানুষগুলো যদি আপনাকে ভাল না জানে তাহলে আপনি আরো সৎ প্রতিক্রিয়া পাবেন।
  7. আপনার ডোমেন কিনুন যা catchy, স্মরণীয় এবং আপনার ব্যবসা প্রাসঙ্গিক ।

 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ ওয়েবসাইট ভেরিফাই করা । SEO – Verifying Web Site

রিদওয়ান বিন শামিম

কোন একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভলাপ করার পর কীভাবে বোঝা যাবে সব HTML syntax ঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা? কারণ সার্চ ইঞ্জিন গুলো সাধারণত ভুল HTML syntax এর জন্য কোন অভিযোগ করে না। অনেক এসইও এক্সপার্ট বলেন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন HTML/XHTML ভেরিফিকেসনের উপর নির্ভর করে না। কিন্তু আমরা আলোচনা করব কী কী কারণে W3C Compliance হতে পারে । কয়েকটি কারণে HTML/XHTML ভেরিফিকেসনের প্রয়োজন হয়।একটি সাইটের মান নির্ভর করে সেটি কীভাবে লেখা হয়েছে তার উপর। সেটিকে syntactically নির্ভুল হতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন কোন সাইটের কন্টেন্ট ইনডেক্সে সাজাতে গিয়ে HTML tags সঠিক ভাবে না পেলে কনফিউজড হয়ে যায়, একারনেই অনেক সাইটের ইনডেক্সই ঠিকভাবে সাজানো নয়। অনেক HTML tags থাকলে অনেক সময় তা depreciated হয়ে যায় ও অনেক সার্চ ইঞ্জিন তা পড়তে পারে না।

মূলত HTML Code এর সৌন্দর্য, প্রক্রিয়া করার ধরণই দক্ষ ওয়েব ব্যবহারকারীকে আকৃষ্ট করে। আলোচনা করা যাক W3C Compliance নিয়ে, W3C হল World Wide Web Consortium যা ১৯৯৪ সাল থেকে ওয়েবপেজ ও ওয়েবসাইট গঠন ও সৃষ্টি নিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। HTML/XHTML Validator ও CSS Validator এর মাধ্যমে W3C থেকে HTML/XHTML ও CSS ফাইল যা ওয়েবে প্রকাশ করা হবে তা ভ্যালিডেটেড করা হয়। ভ্যালিডেটেড করার সময় সঙ্গত কারণে অনেকসময় ভুলও হতে পারে। সব ভ্যালিডেশন XHTML DTD নামক মানদণ্ড প্রকরণ HTML দ্বারা করা হয়। W3C Compliance এর নিয়ম গুলো হল, XHTML declaration statements এর মাধ্যমে প্রতিটি XHTML পেজ শুরু করতে হয়,


<DOCTYPE html PUBLIC 
"-//W3C//DTD XHTML 1.0 Strict//EN" "DTD/xhtml1-strict.dtd">

  • প্রতিটা ট্যাগ বন্ধ হতে হয়। হেড ও বডি ট্যাগ বাধ্যতামূলক, এম্পটি ট্যাগে terminating slash ব্যবহার করতে হয়, এম্পটি ট্যাগে ইন্ড ট্যাগ ব্যবহার করতে হয় না, যেমন

<BR> is now <br />.
<HR> is now <hr />.
<IMG SRC="--"> is now <img src="--" />

  • এখন সব ট্যাগ লোয়ার কেস হবে, তবে attributes এর ক্ষেত্রে নয় কেবল ট্যাগের ক্ষেত্রে। যেমন, XHTML DTD তে নিচের উদাহরণ গুলোঃ

<FONT color="#ffffcc"> is invalid
<font color="#ffffcc"> is valid
<font color="#FFFFCC"> is also valid

  • attribute values কে double quotes এর মধ্যে রাখতে হয়।
  • ট্যাগ নেস্টেড হওয়ার দরকার নেই,

<b><i>Text</b></i> This is invalid
<b><i>Text</i></b> This is valid

  • <pre> ট্যাগ img, object, big, small, sub, বা sup.ইত্যাদি ধারন করে না,
  • একটি <form> ট্যাগ অন্য একটি <form> ট্যাগের মধ্যে থাকতে পারে না।
  • কোডের  মধ্যে & থাকলে &amp; কোড ব্যবহার করতে হয়,
  • যে কোন সিএসএস কোড থাকলে তা লোয়ার কেস হবে।

এসইও এর জন্য কনটেন্টই সেরা । SEO – Content is the King

কনটেন্টই মূলত এই সাইটে আপনি কি কি দেখাতে চান। যেমন টেক্সট, গ্রাফিক্স, এমনকি অন্যান্য ওয়েবসাইটের লিঙ্ক। আপনার সাইডে অত্যধিক গ্রাফিক্স ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ এতে করে আপনার ওয়েব সাইড লোড হতে সময় নিবে।

আপনার ওয়েবসাইডকে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি কিভাবে করবেন তার জন্য হাজার হাজার লেখা, বই এবং ফোরাম সাইড পাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনাকে একটি নিয়ম অব্যশই মানতে হবে যে, স্বতন্ত্র, উচ্চ মানের কনটেন্ট।

স্বতন্ত্র, উচ্চ মানের কনটেন্ট

যখন মানুষ কোন তথ্যের জন্য কোন ওয়েবসাইডে যায়, তখন সে উক্ত ওয়েবসাইড হতে অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র কিছু পেতে চায়। বর্তমান সময়ে, সার্চ ইঞ্জিন খুব স্মার্ট হয়েছে এবং তারা ব্যাকরণ এবং শব্দগুচ্ছ সম্পূর্ণ বুঝতে সক্ষম হয়েছে।

এসইও কনটেন্ট লিখন (কপি লেখা)

এসইও কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে নিম্নলিখিত বিষয় গুলো অব্যশই মেনে চলতে হবে।

  1. কনটেন্ট সুনির্দিষ্ট লোকদের জন্য লিখতে হবে।
  2. কীওয়ার্ড ডেনসিটির জন্য সার্চ ইঞ্জিন নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
  3. শিরোনাম অব্যশই আকর্ষণীয় এবং ভিজিটরদের কাছে আকর্ষক হতে হবে।
  4. বিভ্রান্তিকর, দ্ব্যর্থক, এবং জটিল ভাষা ব্যবহার করা যাবে না।
  5. আপনার ওয়েব পেজকে সংক্ষিপ্ত করতে হবে।

ভাল কনটেন্ট এর অন্যান্য উপকারিতা

এটা শুধু এসইও নয় এর মাধ্যমে আপনি আপনার মনের চিন্তা শক্তি অন্যের কাছে উপস্থাপন করতে পারবেন। অনেক কারণেই আপনার সাইট জনপ্রিয় হতে পারে।

  • আপনার সাইডে যদি স্বতন্ত্র কিছু থাকে তবে লোকজন আপনার সাইডে ভিজিট করার জন্য অন্যকে উপদেশ দিবে।
  • অন্যান্য ওয়েবমাষ্টার আপনার সাইডের লিংক অন্য সাইডে দিবে।

উপসংহার

সৃজনশীল স্বতন্ত্র কনটেন্ট খুব কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, এসইও এর নিয়ম আপনার কনটেন্টকে একটি ভাল অবস্থানে নিয়ে যাবে। এটা শুধু সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য নয় বরং এটা আপনার মূল্যবান ভিজিটরের জন্য। ভিজিটর হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইডের একটি সম্পদ। তাই কনটেন্ট এর জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম ও সময় দিতে হবে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ অপটিমাইজড এঙ্কর । SEO – Optimized Anchor

রিদওয়ান বিন শামিম

 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে সমস্ত টেক্সট লিঙ্কে বর্ণনামূলক এঙ্কর টেক্সট ব্যবহার করা উচিৎ। বেশিরভাগ সার্চ ইঞ্জিন এঙ্কর টেক্সটকে সম্ভাব্য লিঙ্ক হিসাবে দেখে। এঙ্করের একটি উদাহরণ হলঃ


<a href="otherpage.htm" title="Anchor Title">Anchor Text</a>

এঙ্করের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল

  • এঙ্কর খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই ভাল কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিৎ।
  • এঙ্কর টাইটেল দর্শকের কাছে balloon ব্যবহার করার সুযোগ দেয় ও লিখিত টেক্সট দৃশ্যমান করে তুলে।
  • এঙ্কর টেক্সট সাবধানে নির্বাচন করা উচিৎ এটি শুধু সার্চ ইঞ্জিন নয় ন্যাভিগেশনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
  • otherpage.htm অন্য কোন পেজে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি অন্য কোন সাইটে যাওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়, আর এজন্যই মনে রাখতে হবে, সেই সাইটটি যেন ঠিক থাকে, নাহলে ব্রোকেন লিঙ্ক হয়ে যাবে, যা সার্চ ইঞ্জিনের রেঙ্কিং এর জন্য খারাপ হতে পারে। এই কোডটি

<a href="otherpage.htm" title="Anchor Title">
<img src="image.gif" alt="keywords" />
</a>

এক ধরণের কোড যেখানে এঙ্কর টেক্সটের বদলে ইমেজ ব্যবহার করা হয়, এক্ষেত্রে অল্ট ট্যাগ (alt tag) খুব সাবধানে ব্যবহার করা হয়। এই অল্ট ট্যাগে কী ওয়ার্ডও খুব সাবধানে ব্যবহার করা উচিৎ।

এসইও – টাইটেল অপটিমাইজেশান । SEO – Title Optimization

নয়ন চন্দ্র দত্ত

 

কি খবর সবার? সবাই ভালতো । আজ আমি অনেক গুরুত্বপুর্ণ একটা বিষয় এসইও - টাইটেল অপ্টিমাইজেশান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো । তাহলে চলুন শুরু করা যাক ...। চলুন
প্রথমেই আমরা এসইও কী, এর ব্যবহার এবং পরিচিতি দেখি...।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (ইংরেজি: Search Engine Optimization) বা সংক্ষেপে এসইও (SEO) হলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজকে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের সার্চ বা অনুসন্ধান ফলাফলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখানোর চেষ্টা করা হয়। সাধারণত একটি সার্চ ইঞ্জিনের ওয়েব ক্রাউলার বা সার্চ রোবট বিভিন্ন সময় কিংবা কোনো নির্দিষ্ট সময় ওয়েবে থাকা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে বেড়ায় এবং তখনকিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য খুঁজে বেড়ায়। ওয়েবসাইটের সেই সকল বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করে ওয়েবসাইটকে সার্চ রোবটের কাছে তথ্যসমৃদ্ধ করার কাজটিই মূলত প্রকৃত চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকে এসইও'র। রোবট সাধারণত একটি ওয়েবসাইট ক্রাউল করার বা ঘুরে বেড়ানোর সময় যে বিষয়গুলোতে দৃষ্টিপাত করে, সেগুলো হচ্ছেঃ

  • ওয়েবসাইটের টাইটেল বা নাম
  • ওয়েবসাইটের ডেসক্রিপশন বা বিবরণ
  • ওয়েবসাইটের মেটা ট্যাগ
  • ওয়েবসাইটের সাইট ম্যাপ
  • ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর টাইটেল বা নাম
  • ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর অল্ট বিবরণ
  • ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর ক্যাপশন ইত্যাদি

এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে দৃষ্টিগোচর করার কাজটিই এসইও'র মূল কাজ বলে পরিগণিত হয়। আজ আমরা দেখব এসইও এর টাইটেল অপ্টিমাইজেশান সম্বন্ধে-

এসইও - টাইটেল অপটিমাইজেশান

একটি HTML টাইটেল ট্যাগ হেড ট্যাগ এর ভিতরে থাকে। পেজ টাইটেল (পেজের জন্য হেডিং দিয়ে বিভ্রান্ত করা যাবে না) আপনার ব্রাউজার উইন্ডোর টাইটেল বারের মধ্যে যা প্রদর্শন করা হয় এবং আপনি যখন একটি পেজ বুক্মার্ক করেন তখন যা প্রদর্শন করে অথবা আপনার ব্রাউজারে পছন্দের তালিকায় যা যোগ করা হয়।

এটি ওয়েব পেজ এর একটি জায়গায় আপনার কীওয়ার্ড অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজের টাইটেলের মধ্যে কীওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার গুগল এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ - বিশেষ করে হোমপেজের জন্য। আপনি যদি আপনার সাইট অপটিমাইজের জন্য কিছু না করে থাকেন তাহলে এটি করতে অবশ্যই মনে রাখবেন!

এখানে একটি ওয়েব পেজ -এর টাইটেল ডিজাইন করার সময় কিছু বিবেচ্য বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে:

  1. টাইটেল ৯ ওয়ার্ড বা ৬০ অক্ষর দ্বারা গঠিত উচিত
  2. টাইটেলের খুব প্রারম্ভে কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন
  3. আপনার কোম্পানীর নাম যদি খুব ভালোভাবে পরিচিত না হয় তাহলে টাইটেলে আপনার কোম্পানীর নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন না

টাইটেল তৈরী করার জন্য সর্বোত্তম উপায়

এখানে পেজের টাইটেল তৈরি করার জন্য কিছু পদ্ধতি দেওয়া হয়েছে যা আপনি অনুসরণ করতে পারেনঃ

  1. প্রতিটি পেজের জন্য একটি ইউনিক টাইটেল রাখতে হবে।
  2. সম্বব হলে, প্রতিটি পেজের প্রতিটি টাইটেল এ প্রাথমিক কীওয়ার্ড ফ্রেজ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
  3. আপনার হোম পেজের টাইটেল প্রাথমিক কীওয়ার্ড ফ্রেজ দিয়ে আরম্ব করুন যা সেরা সেকেন্ডারি কীওয়ার্ড ফ্রেজ অনুসরণ করে।
  4. আপনার নির্দিষ্ট পণ্য, সেবা, বা কন্টেন্ট পাতায় আপনার প্রধান কীওয়ার্ড ফ্রেজ আরো সুনির্দিষ্টভাবে ব্যবহার করুন।
  5. যদি আপনার কোম্পানীর নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হয় তাহলে টাইটেল এর শেষে করুন
  6. কীওয়ার্ডের জন্য বহুবচন বা একবচন এর সেরা ফর্ম ব্যবহার করুন যা WordTracker এর অনুসন্ধান এর ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়।
  7. টাইটেলে আপনার কীওয়ার্ড 2 থেকে 3 এর অধিক পুনরাবৃত্তি করবেন না।
  8. এটি নিশ্চিত করুন যে <title> ট্যাগ আপনার পেজের <head> বিভাগের প্রথম উপাদান।  এটি Google এর জন্য পেজটি খুঁজে পাওয়া সহজ করে।

আজকের মত এই পর্যন্ত। আশা করি সবার খুব ভাল লেগেছে । পরবর্তি টিউটোরিয়ালে এসইও নিয়ে আরো অনেক কিছু লিখব। সবাই ভাল থাকবেন আর কোন জায়গায় বুঝতে কোন সমস্যা হলে নিশ্চই কমেন্ট করবেন ।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মেটা ট্যাগ । SEO – Optimized Metatags

রিদওয়ান বিন শামিম।

 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে দুটি মেটা  ট্যাগ থাকে, মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগ ও মেটা কীওয়ার্ড ট্যাগ। কিছু কিছু সার্চ ইঞ্জিনে মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগকে সার্চ রেজাল্টে দেখানো হয় কিন্তু মেটা কীওয়ার্ড ট্যাগকে সার্চ ইঞ্জিনে দেখা যাবে না। অনেক এসইও এক্সপার্ট  মেটাট্যাগের ধারণা ত্যাগ করতে শুরু করছেন যদিও তারা নিজেদের কিছু সাইটে এখনও এটি ব্যবহার করে থাকেন। গুগলের জন্য মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগ সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে (SERPs)  তেমন প্রভাব রাখতে পারে না, তবে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে লিস্টিং এর ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। ইয়াহু বলে তারা কোন পেজকে রেঙ্কিং করতে  মেটা কীওয়ার্ড ট্যাগ ব্যবহার করে অর্থাৎ, ইয়াহু সহ আরও কিছু সার্চ ইঞ্জিন এখনও মেটা কীওয়ার্ড ট্যাগ ব্যবহার করে থাকে। কোন ওয়েব পেজের হেড সেকশনে নিচের কোড মেটা ট্যাগের জন্য আমরা ব্যবহার করতে পারি।


KEYPHRASE1 etc.          about 30 to 40 unique words">
<meta name="description"   content="An accurate, keyword-rich description    about 150 characters">

মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগে কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিৎ। কোন শব্দ বেশি রিপিট করা উচিৎ নয়, কিন্তু multiplesyntaxes কীওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যায়। একক কোন ওয়েবপেজে ডেসক্রিপশন মেটাট্যাগে  ১৫০ এর বেশি ক্যারেকটার ব্যবহার করা উচিৎ নয়। প্রতি পেজের জন্য আলাদা মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগ ব্যবহার করা উচিৎ কারণ ভাল টাইটেল ও বর্ণনা আপনার সাইটটিকে খুঁজে পেতে সহায়ক হতে পারে। মেটা কীওয়ার্ড ট্যাগের জন্য সিনোনেম ও ইউনিক কীওয়ার্ড  ব্যবহার করা উচিৎ, একই ফ্রেজ বারবার ব্যবহার করার দরকার নেই তবে ভিন্ন ফ্রেজের জন্য একই শব্দ একাধিকবার ব্যবহার করা যেতে পারে।  এগুলো ছাড়াও রোবট মেটাট্যাগ নামের আরেকটি ট্যাগ আছে যা এরকম দেখায়ঃএধরনের ট্যাগ দ্বারা আপনি কোন পেজকে ইনডেক্স আকারে না চাইলে  রোবট বা স্পাইডারকে আপনি বলতে পারেন যে আপনি কোন পেজকে ইনডেক্স আকারে চান না। বা লিঙ্ক ফলোইন না চাইলে সেটিও বলতে পারেন।

এসইও – প্রাসঙ্গিক ফাইলের নাম । SEO – Relevant Filenames

সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটের অবস্থান প্রাসঙ্গিক ফাইলের নামের উপর অনেকটা নির্ভর করে । অনেক গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে যে, গুগল সাধারণত প্রাসঙ্গিক ফাইলের নামের উপর অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সুতারাং, পেজের নামকরনের পূর্বে আপনাকে মনে রাখতে হবে পেজটা সাধারণত কোন বিষয়ের উপর লেখা।

গুগলে কোন কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দিলে আপনার ওয়েবসাইট এর পেজ যদি সেই একই কিওয়ার্ড থাকে তাহলে টা সার্চ ইঞ্জিন এ প্রদর্শিত হবে।

 

ফাইল এর নামকরন যেভাবে করবেন

  1. ফাইল এর নামে সাধারনত বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করবে সেটা সংক্ষিপ্ত না বর্ণনামূলক হবে।
  2. পেজ টাইটেল এ যে কিওয়ার্ড করবেন, ফাইল নাম এ ঠিক একই কিওয়ার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
  3. জেনারিক ফাইলের নাম যেমন, “job.htm, service.htm”  এগুলো ব্যবহার করা হতে বিরত থাকবেন।
  4. নামের বিভিন্ন অংশগুলোকে যদি পৃথককরনের প্রয়োজন পরে তাহলে আন্ডার স্কর বাদ দিয়ে হাইফেন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
  5. সম্ভব হলে শুধুমাত্র ২ টা কিওয়ার্ডস ব্যবহার করুন।

 

ফাইল নামের উদাহরন

কিছু কিছু আদর্শ নামের উদাহরন নিম্নে উল্লেখ করা হল,

  • slazenger-brand-balls.html
  • wimbledon-brand-balls.html
  • wilson-brand-balls.html

লক্ষ্য করবেন যে, ফাইল নামের এ বিভিন্ন অংশ হাইফেন দ্বারা সংযুক্ত আছে।

 

ফাইল নামের শেষের অংশ

ফাইল নামের শেষের অংশ যেমন, .htm, .php, .html ইত্যাদি আপনার সাইট এর জন্য গুগল রাঙ্ক এ কোন অবস্থান নির্ণয়ে অবদান রাখে না। এটা শুধু ওয়েব সার্ভার কে বলে দেয়, ফাইল টি সাধারনত কিভাবে খুলবে।

 

যে বিষয়গুলি অবশ্যই মনে রাখতে হবে

  1. ফাইলএর নাম ছোট, সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক রাখার চেষ্টা সবসময় করতে হবে।
  2. ফাইলের নামে ৩-৪ টা কিওয়ার্ডস ব্যবহার করার চেষ্টা করুন এবং লক্ষ্য রাখুন সেগুলো যেন সার্চ ইঞ্জিনেও প্রকাশিত হয়।
  3. উপ- ডিরেক্টরি গুলোতে যথাসম্ভব ছোট নাম ব্যবহার করার চেষ্টা করবে।
  4. ফাইলের আকার ১০১ কিলোবাইটে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করুন। গুগল সাধারণত নির্দিষ্ট আকারের বড় ফাইল প্রকাশ করে না।

 

এসইও অনুকূল কীওয়ার্ড । SEO – Optimized Keywords

এসইও- কীওয়ার্ড অপটিমাইজড

একটি কীওয়ার্ড একটি শব্দ। কীওয়ার্ড ব্যবহার করে একজন ব্যক্তি সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে কোন তথ্য বা ওয়েব সাইড খূঁজে পায়। অধিকাংশ মানুষ দুই থেকে পাঁচ শব্দ গঠিত বাক্যাংশ সার্চ ইঞ্জিন এর অনুসন্ধান লিখে থাকে। বাক্যাংশ, শব্দ বাক্যাংশ, প্রশ্নের সাথে বাক্যাংশকে শুধু কীওয়ার্ড বলা যেতে পারে। ভাল শব্দ বাক্যাংশ নির্দিষ্ট এবং বর্ণনামূলক হয়ে থাকে।

কীওয়ার্ড সম্পর্কিত নিম্নলিখিত ধারণা একটি ওয়েবপেজ নিখুঁত ভাবে খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

কীওয়ার্ড ফ্রিকোয়েন্সি

একটি কীওয়ার্ড একটি ওয়েবসাইট শিরোনাম বা বর্ণনার সাথে মিল রেখে প্রদর্শিত করে। আপনি চাইবেন না যে আপনি "স্প্যামিং" বা শব্দ ঠাসাঠাসির জন্য আপনার সাইটটি আগে প্রদর্শিত না হয়, একটি কীওয়ার্ড এর পুনরাবৃত্তি সার্চ ইঞ্জিনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

সাধারণভাবে একটি অনুচ্ছেদ বা আর্টিকেলে আপনার কীওয়ার্ড ৩-৭ বার পর্যন্ত হতে পারে এটা স্বাভাবিক এতে করে এসইও-অপটিমাইজেশন এর উপর খারাপ কোন প্রভাব পরবে না।

কীওয়ার্ড প্রক্সিমিটি

একটি অনুসন্ধান শব্দ কীওয়ার্ড এর সাথে সমন্বয় করা যেতে পারেকিওয়ার্ড প্রক্সিমিটি বলতে অনুসন্ধান শব্দসমষ্টি এর সাথে প্রতিটি পৃথক শব্দের পার্থক্য বোঝায়। কিছু ক্ষেত্রে, এর কীওয়ার্ড হিসাবে অনুরূপ অর্থের সাথে মিল বোঝায়। সার্চ ইঞ্জিন, যে কীওয়ার্ড এর সাথে মিল পায় সেই ওয়েবপেইজ আপনার কাছে উপস্থাপন করে।

কীওয়ার্ড এর বৈশিষ্ট্য

এটি একটি ওয়েবপেইজ তাড়াতাড়ি বা দ্রুততার সাথে খোঁজে পায়। শিরোনামে এবং একটি পৃষ্ঠার প্রথম অনুচ্ছেদের (প্রথম ২০ শব্দ) মধ্যে কীওয়ার্ড ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভাল হয়।

কীওয়ার্ড বসানো

একটি ওয়েবপেজে কিভাবে এবং কোথায় কীওয়ার্ড স্থাপন করা হবে সেই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, পেজ শিরোনামের মধ্যে বা হেডিং ট্যাগ-এ কীওয়ার্ড বসালে অধিকাংশ সার্চ ইঞ্জিনে এটি আরো বেশি ভাল কাজ করে।

কীওয়ার্ড এর ব্যবহার

কীওয়ার্ড কিভাবে ব্যবহার করবেন তার একটি তালিক দেওয়া হলো।

  • Keywords in thetag(s) or other headline tags.
  • Keywords in the keywords link tags.
  • Keywords in the body copy.
  • Keywords in alt tags.
  • Keywords in <!-- insert comments here> comments tags.
  • Keywords in the URL or website address.

কীওয়ার্ড খোঁজা

আপনার ওয়েব সাইটের জন্য কীওয়ার্ড খুঁজে বের করার বিভিন্ন উপায় আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভাল হলো Google Keyword Tool ব্যবহার করা।

শব্দ স্টেমিং কি?

গুগল এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি স্টেমিং ব্যবহার করে। যেখানে এক বচন শব্দ এবং বহু বচন শব্দ সকল ধরনের শব্দ ধরতে পারে ।

এসইও কৌশল ও কার্যপদ্ধতি । SEO – Tactics & Methods

নয়ন চন্দ্র সরকার

 

এসইও এর প্রকারভেদ

এস ই ও এর কার্যাবলী সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে। যেমন,

  1. হোয়াইট হ্যাট এস ই ও
  2. ব্ল্যাক হ্যাট এস ই ও

হোয়াইট হ্যাট এসইও

এস ই ও এর কার্যাবলীগুলোর মধ্যে যদি নিম্নোক্ত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাহলে তাকে হোয়াইট হ্যাট এস ই ও বলা যেতে পারে,

  1. যেটা গুগল এর নির্দেশনাসমূহ মেনে চলে ।
  2. যেটাতে কোন প্রতারনার পন্থা অবলম্বন করা হয় না ।
  3. এটা নিশ্চিত করে যে, গুগল সার্চ এ যে বিষয়বস্তু সমূহ প্রদর্শন করবে, ওয়েবসাইট এর বিষয়বস্তুসমূহ ঠিক একই হবে।
  4. এটা নিশ্চিত করবে যে, ওয়েবসাইট এর বিষয়বস্তুসমূহ প্রধানত ব্যবহারকারীদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে, শুধুমাত্র গুগল এর সার্চ ইঞ্জিন এ ভাল অবস্থান পেতে নয়।
  5. যেটা ওয়েবপেজ এর ভাল গুনাগুন নিশ্চিত করে।
  6. যেটা ওয়েব পেজ এ ভাল মানের বিষয়বস্তুর নিশ্চয়তা বিধান করে।

একজন ওয়েব ডেভেলপার এর জন্য হোয়াইট হ্যাট এস ই ও এর পথ অনুসরণ করা উচিত। কারন, এটা তুলনামুলকভাবে কষ্টসাধ্য হলেও ভবিষ্যতে ওয়েবসাইট এর উন্নতি সাধনে সহায়তা করে।

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও

যদি একজন অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপটিমাইজার তাঁর ওয়েবপেজ এর সার্বিক উন্নয়নে নিম্নোক্ত পথসমুহ অবলম্বন করে, সেই পদ্ধতিকে ব্ল্যাক হ্যাট এস ই ও বলে অভিহিত করা যেতে পারে,

  1. গুগল এর নির্দেশনা সমূহ উপেক্ষা করে ওয়েবসাইট এর রাঙ্ক বৃদ্ধিতে কাজ করলে।
  2. যদি ব্যবহারকারিকে অন্যকোন ওয়েবসাইট থেকে নিজের ওয়েবসাইট এ নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয় , যার মান পূর্বোক্ত ওয়েবসাইট এর সমান বা কম মানের অধিকারী।
  3. কি ওয়ার্ড এ মেটা ট্যাগ এর পুনরাবৃত্তি ঘটালে।
  4. ওয়েবসাইট এর ঠিকানার সাথে মিল না রেখে বিষয়বস্তু নির্ধারণ করলে।
  5. এইচ টি এম এল কোড ব্যবহার করে ওয়েব পেজ এর কোন বিষয়বস্তু গোপন করলে।

সর্বোপরি, আপনার ওয়েবসাইট এর উন্নয়েনে হোয়াইট হ্যাট এস ই ও এর কৌশল সমূহ অনুসরন করা উচিত। আপনি ওয়েবপেজ এর উন্নয়নে যেটাই অনুসরণ না কেন, গুগল অবশ্যই সেটা জানতে পারবে এবং সে অনুযায়ী বাবস্থা গ্রহণ করবে।

 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি? What is SEO?

মোঃ কামাল হসেন

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে যে কেউ সার্চ ইঞ্জিন ব্যাবহার করে একটি ওয়েব সাইটকে বিনামূল্যে সকলের কাছে পৌছে দিতে পারে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) - কে সংক্ষেপে SEO এসইও বলে। ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) বা এসইও এর জনপ্রিয়তা তত বাড়ছে। অনেকে একে ফ্রিল্যান্সিং কাজ হিসেবে ব্যবহার করছেন। এছাড়া যারা ব্লগ পরিচালনা করছেন তাদের ব্লগের পরিচিতি বাড়ানোর প্রয়োজন তো আছেই। ইন্টারনেটে ব্যবসা বাণিজ্য করে টিকে থাকার জন্য এসইও (SEO) এর গুরুত্ব অপরিসীম।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য গুলোর মধ্যে রয়েছে-

  • একটি সাইটকে সকলের কাছে সহজে পৌছে দেওয়া।
  • ওয়েব সাইটের জন্য প্রিয়তা বৃদ্ধি করা।
  • সাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধি করা।
  • বিভিন্ন ধরনের অনলাইন থেকে আয় করার পণটাটফরম হিসেবে কাজ করে।
  • তথ্য বিনিময় ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার শক্ত ভিত হিসেবে কাজ করে।

সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে

সার্চ ইঞ্জিনগুলো তৈরি হয়েছে, মানুষের তথ্য খুজে পাওয়ার জন্য। সেজন্য কোন কিছু সার্চ দিলে যাতে সবচাইতে সেরা তথ্য খুজে পাওয়া যায় সেজন্য সার্চইঞ্জিন সাইটগুলো কিছু পোগ্রাম তৈরি করে রাখে। যেটি সকল সাইটগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তুলনা করে সেরা সাইটগুলোকে সার্চের সামনে নিয়ে আসে। সেরা সাইট নির্বাচন করার জন্য তারা দেখে ওয়েবসাইটটির মানসম্মত কিনা, ওয়েবসাইটের তথ্য সকলের জন্য প্রয়োজনীয় কিনা, ওয়েভসাইটটি কেমন জনপ্রিয়। এগুলোসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে ফলাফল প্রদর্শন করে।

ক্রলিং

ওয়েব ক্রলিং এর মাধ্যমে। গুগলবট যখন একটি পেজ সংগ্রহ করে তখন এই পেজে পাওয়া লিংকগুলো তার ক্রলিং তালিকায় যোগ হয়। এই পদ্ধতিতে একটি লিংক অসংখ্যবার আসে। কিন্তু গুগলবট সেগুলো বাদ দিয়ে একটি তালিকা তৈরী করে যাতে সবচেয়ে কম সময়ে পুরো ওয়েবকে কভার করা সম্ভব। এ ব্যবস্থাকে বলে ডিপ ক্রলিং। কোন পেজ কত দ্রুত পরিবর্তন হয় সটা ঠিক করা গুগলবট এর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।

গুগল ডাটাবেজকে আপডেট রাখার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে জরুরী। গুগলবট কোন পেজে পরিবর্তনের একটা ফ্রেকোয়েন্সী বের করে এবং সেই হিসেবে ঠিক করা হয় যে গুগলবট কত সময় পর পর কোন পেজ ক্রলিং করবে। কারণ যেই পেজ মাসে একবার পরিবর্তন হয় সেটা কয়েকঘন্টা পরপর ক্রলিং করা সময় নষ্ট ছাড়া কিছুই না। ডাটাবেজ আপডেট করার এই ক্রলিংকে ফ্রেশ ক্রলিং বলে।

ইন্ডেক্স

গুগল ইন্ডেক্স - এর কাজ তুলনামূলক সহজ। গুগলবট ইনডেক্সারকে ক্রলিং করা পেজগুলোর ফুল টেক্সট দেয়। ইনডেক্সার সার্চ টার্মগুলোকে বর্ণমালা অনুসারে সাজায়। এবং কোন টার্ম কোথায় আছে তা সেভ করে রাখে। কিছু পরিবর্তন ও আনা হয় পেজগুলোতে। কিছু বিরাম চিহ্ন বাদ দেওয়া হয়। একের অধিক স্পেস থাকলে সেগুলোও বাদ দেওয়া হয়। ইংরেজির ক্ষেত্রে বড় হাতের অক্ষরগুলোকে বাদ দিয়ে ছোট হাতের অক্ষরে পরিবর্তন করা হয়।

গুগল কুয়েরী প্রসেসর

এটি সর্বশেষ অংশ। এটাই আমাদের সার্চ রেজাল্ট প্রসেসিং করে। কুয়েরী প্রসেসর কয়েকটি অংশে বিভক্ত। ইউজার ইন্টারফেস, কুয়েরী ইঞ্জিন, রেজাল্ট ফরমেটর ইত্যাদি। গুগলের ওয়েবপেজ র‍্যাংকিং সিস্টেমের নাম পেজর‍্যাংক। যে পেজের পেজর‍্যাংক যত বেশী সেটা সার্চ রেজাল্ট এ তত উপরে থাকে। গুগলবট যেহেতু টেক্সটের সাথে পেজ কোড ও ক্রলিং করে তাই ইউজার চাইলে সার্চ টার্মটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করে দিতে পারে যে সেটা লিংকে থাকবে,টাইটেলে থাকবে না টেক্সটে থাকবে। শুধু টার্মের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে রেজাল্ট না দেওয়ার কারণেই গুগলের সার্চ রেজাল্টের মান এত উন্নত।

বিখ্যাত কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিনের নাম হলো

গুগল (google), ইয়াহু (yahoo),বিং( bing) ইত্যাদি । এই সব সাইটে আপনি একটি শব্দ সার্চ বক্সে লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করলে , কয়েক সেকেন্ড এর মধ্য অনেক ওয়েবসাইটের লিংক চলে আসে, যেসব লিংকে গেলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় ।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ওয়েব ডেভলপারদের জন্য একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোয়ালিটি ট্রাফিক সার্চ ইঞ্জিন থেকে ব্লগে আসে ফলে ব্লগ বিজ্ঞাপন ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠে ফলে পাঠক সন্তুষ্ট হয় এবং ব্লগার বিজ্ঞাপন থেকে উপকৃত হয়। প্রক্রিয়াটি শুধুমাত্র এইটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর থেকে আরো অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মুলত দুই ধাপের মাধ্যমে হয়ে থাকে-

  1. অন পেজ অপটিমাইজেশন
  2. অফ পেজ অপটিমাইজেশন

১) অন পেজ অপটিমাইজেশন

ব্লগ বা ওয়েব পেজের মধ্যে আমরা যে সকল অপটিমাইজেশন করে থাকি তাকেই অন-পেজ অপটিমাইজেশন বলা হয়। অন পেজ অপটিমাইজেশনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল সঠিক কিওয়ার্ড খোঁজা এবং এর ব্যাবহার, মেটা ট্যাগের ব্যবহার, টাইটেলে ট্যাগের ব্যবহার, বর্ণনা ট্যাগের ব্যবহার, কী ওয়ার্ড সমৃদ্ধ কনটেন্ট বনানো এবং এক্সএমএল সাইটম্যাপ যুক্ত করণ ইত্যাদি।

২) অফ পেজ অপটিমাইজেশন

অফ পেইজ অপটিমাইজেন একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং স্থায়ী সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেন যার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামুলক রেঙ্কিং এ একটি সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম সারিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সাধারনত উন্নত ব্যাকলিংক, আর্টিকেল মার্কেটিং, ফোরাম পোস্টিং, ইত্যাদির মাধ্যমে অফ পেইজ অপটিমাইজেশন করা হয়। অফ পেইজ অপটিমাইজেশন শুধুমাত্র একটি পাতায় নয় এর সঠিক ব্যাবহার আপনার পুরো ব্লগের উপরে পরবে অর্থাৎ এর ফলে আপনার ব্যাকলিংক বৃদ্ধি পাবে এবং পেজ রেঙ্ক বেড়ে যাবে।

তাই চেষ্টা করা উচিত সাইট এর কন্টেনটগুলো যেন অন্যান্য সাইট থেকে একটু আলাদা হয়। এর পরে আপনি আপনার কন্টেনট অনুযায়ী কিছু জনপ্রিয় কী- ওর্য়াড আপনার কন্টেনট পেইজ এ যোগ করে দিন।

এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বলতে আমরা সোজা কথায় বুঝি সার্চ ইঞ্জিনের সাথে ওয়েবসাইটের ভাল সম্পর্ক তৈরি করা। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন ছাড়া একটা ওয়েবসাইট কখনোই পূর্ণতা পায় না কারন কোটি কোটি সাইটের অবস্থান প্রথম সারিতে তৈরি করতে হলে এর বিকল্প নেই।

এস ই ও এর জন্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগ । SEO – Hiring an Expert

নয়ন চন্দ্র সরকার

 

এস ই ও এর বিভিন্ন অংশের কাজ এবং ওয়েব সাইট এর গুনাগুন নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হয় একজন সুদক্ষ বা অভিজ্ঞ লোকের। যে কাজগুলো আমরা করবে পারি না বা সর্বোত্তম ভাবে সম্পাদান করতে পারি না, সেগুলোর জন্যই একজন অভিজ্ঞ লোক নিয়োগের প্রয়োজন পরে। কারন, এস ই ও এর উপরই আপনার ওয়েব সাইট এর ভবিষ্যৎ অনেকটা নির্ভর করে।

যে কাজগুলোর জন্য এস ই ও বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা যেতে পারে

  1. কোড এর বৈধতা নিশ্চিতকরণ এবং এর সার্বিক গুনাগুন অটুট রাখতে, এবং কোড যেন সার্চ ইঞ্জিন-সুলভ ইত্যাদি বিষয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগের প্রয়োজন হয়।
  2. এস ই ওর অন পেজ অপটিমাইজেসন যেমন, পেজ টাইটেল, কল টু অ্যাকশান কপি রাইটিং ইত্যাদি কাজের জন্য।
  3. প্রাসঙ্গিক সাইটগুলোর সাথে ভাল মানের লিঙ্ক বিল্ডিং নিশ্চিতকরণ।
  4. ওয়েব সাইট এর বিষয়বস্তুর উপর ভিজিটরের আগমন নির্ভর করে। আর একজন এস ই ও বিশেষজ্ঞ এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
  5. অফ পেজ অপটিমাইজেসন এর বিভিন্ন কাজ যেমন, আর্টিকেল সাবমিশন, ব্লগের ব্যবহার, লিঙ্ক বিল্ডিং, ডিরেক্টরি সাবমিশন ইত্যাদি কাজের জন্য একজন এস ই ও বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন।

পরিশেষে বলা যায় যে, আপনি যদি নিজেই এর কাজগুলো করতে পারেন তাহলে বিশেষজ্ঞ নিয়োগের কোন প্রয়োজন নেই।

কিভাবে এস ই ও বিশেষজ্ঞ বাছাই করবেন

একটি ওয়েব সাইট এর জন্য ভাল মানের এস ই ও বিশেষজ্ঞ নিয়োগ বা বাছাই করা সত্যিই কঠিন কাজ। তবে নিম্নোক্ত পন্থাগুলো অবলম্বন করলে টা অনেকাংশে সহজ হয়। এমন কিছু পদ্ধতি হল,

  1. আপনি আপনার বন্ধু বা পরিচিত কারোর মাধ্যমে খোঁজ করতে পারেন।
  2. এস ই ও সম্পর্কিত অনেক ফোরাম আছে যেগুলোতে আপনি এ সম্পর্কে ফিডব্যাক পেতে পারেন।
  3. উনি সাম্প্রতিকালে যেসব ওয়েব সাইট এ কাজ করেছেন সেগুলোর খোঁজ-খবর রাখতে পারে।
  4. এস ই ও কোম্পানি গুলোকে অটোমেটিক কাজ করা হতে বিরত রাখবেন।
  5. সস্তা এস ই ও বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করবেন না। তবে ভাল দক্ষতা থাকলে ভেবে দেখতে পারেন।
  6. আর্টিকেল বা ওয়েবসাইট এর বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে কোন এস ই ও কোম্পানি কে নিয়োগ দেবেন না।
  7. ওদের ওয়েব সাইট এ প্রসংশা পত্রের প্রাচুর্যটা দেখে কখনই মুগ্ধ হবেন না।

এই বিষয় গুলো মাথাই রাখলেই আপনি একজন ভাল মানের এস ই ও অভিজ্ঞ লোক বা প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেতে পারেন।

চিফ মার্কেটিং কর্মকর্তা হিসেবে যে আটটি এসইও ট্রেন্ড সম্পর্কে আপনাকে জানতেই হবে . 8 SEO Trends Your CMO Needs to Know for 2015

শেখ মাহ্ফুজুর রহমান

 

২০১৫ সালের বাজেট ও স্ট্র্যাটেজি তৈরির সময় বিবেচনায় রাখার মতো সেরা আটটি এসইও ট্রেন্ড

বছরের এই সময়টিই, যখন বাৎষরিক মার্কেটিং বাজেট এবং সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়, আগামী বছরের লাভ-লোকসানের ভিত্তি তৈরি করে। এখন শুধু প্ল্যানিং, অ্যাকাউন্টিং এবং প্রশাসন ব্যবস্থাপনাই যথেষ্ট নয়, ব্র্যান্ড মার্কেটারদের বজায় রাখতে হয় সর্বশেষ স্ট্র্যাটেজি এবং কৌশলকে যা অর্গ্যানিক সার্চের (যেখানে পরিবর্তনই হলো স্থীতিশীলতা) ক্রমোন্নতিকে গতিশীল করবে।

অবশ্য, চিফ মার্কেটিং অফিসাররা সার্চ এলগরিদমের ছোটখাটো পরিবর্তন নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে ইন্ডাস্ট্রির বড় ধরণের ট্রেন্ডগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করেই সার্চের নতু নতুন পরিবর্তনের কৌশল নির্ধারণ করতে পারেন। "2015 Enterprise Buyer's Guide to SEO" থেকে নেয়া সেরা আটটি অর্গ্যানিক সার্চ ট্রেন্ড নিয়ে আজকের আলোচনাটি সাজানো হয়েছে যা সিএমও (চিফ মার্কেটিং অফিসার) এবং মার্কেটিং অর্গ্যানাইজেশনগুলো ২০১৫ সালের পরিকল্পনা তৈরির সময় বিবেচনায় রাখতে পারে।

১) ট্রুলি আর্নড লিংকের সংখ্যার ক্রমবৃদ্ধি

দীর্ঘকাল ধরেই ইনবাউন্ড বা ব্যাক লিংকগুলো সার্চ ইঞ্জিনগুলোর কাছে মূল্য, বিশ্বাস ও আস্থার প্রাথমিক অফ-সাইট ইন্ডিকেটর হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল এবং তা এখনো রয়েছে।

ব্র্যান্ডেড কন্টেন্ট সাইটেশন অর্জনের লক্ষ্যে অর্গ্যানিক সার্চ চ্যানেল নিয়ে চিন্তিত সিএমও'দের উচিত মূল্যবান কন্টেন্ট তৈরি করা এবং তা নির্দিষ্ট শ্রোতাদের কাছে প্রমোট করা। এগুলো শুধু মাত্র প্রোডাক্ট পেজের প্রতি কতগুলো টেক্সট লিংক না হয়ে হাই কোয়ালিটি ব্র্যান্ডেড কন্টেন্টের প্রতি উদৃতি ও লিংক হওয়া বাঞ্চনীয়।

যা হলো কর্তৃত্বস্থানীয় পাবলিশার অথবা ইনফ্লুয়েন্সারের কাছ থেকে প্রাসঙ্গিক সাইটেশন বা উল্লেখ এসইও, ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস, অনলাইন সেইল, লিড জেনারেশন, শ্রোতার বৃদ্ধি এবং অন্যান্য সব দূর্লভ ও অত্যন্ত মূলবান মার্কেটিং বা বিপণন সূচককে প্রভাবিত করে-- তাই এসইও'র জন্য এই স্ট্র্যাটেজিটিকে কেন ব্যবহার করবেননা?

২) মোবাইলের অব্যাহত গুরুত্ব বৃদ্ধি

২০১৪ সালটি ছিল মার্কেটিং এর জন্য একটি স্মারক বর্ষ যখন মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহার ডেস্কটপ ইন্টারনেটের ব্যবহারকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনাটি কনজ্যুমার বা ভোক্তার আচরণের একটি মৌলিক পরিবর্তনকে চিহ্নিত করে যা সার্চ এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের একটি বড় নিহিতার্থকে প্রকাশ করে।

মোবাইল সার্চ এলগরিদম ডেস্কটপের থেকে ভিন্নতর উৎকৃষ্ট পথকে নির্দেশ করে, তাই মার্কেটিং ব্যয়কে সঠিকভাবে পরিচালিত করার জন্য সিএমও'দের মোবাইল সার্চের দিকগুলো বুঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ব্র্যান্ডের দ্রুততার সাথে কার্যকরভাবে উচ্চমানের মোবাইল এক্সপেরিয়েন্স সরবারহ করার সক্ষমতাই নিশ্চিতভাবে একটি প্রতিযোগিতামূলক সুযোগ তৈরি করে দেবে।

৩) প্লাটফর্ম, ডিভাইস, চ্যানেল অনুসারে সার্চকে বিভক্ত করা

সার্চ কোয়ারিগুলো শুধু লং টেইল কিওয়ার্ডেই বিভক্ত হচ্ছেনা সেগুলো প্লাটফর্ম ও চ্যানেল অনুযায়ীও বিভক্ত করে। অনলাইন সার্ভিস প্রোভাইডার, মোবাইল ডিভাইস এবং সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলো তাদের শ্রোতাদের ভালো সেবা দেয়ার জন্য ইন্টারনাল সার্চ ফাংশন গড়ে তুলছে-- এবং এর মানে হলো ওয়েব ব্রাওজার সার্চ ইঞ্জিনের থেকে সার্চ ভল্যুম সেখানে চলে যাচ্ছে।

২০১৫ সালে, সিএমও'দের উচিত গুগল ছাড়াও আমাজন, উইকিপিডিয়া, ইয়েল্প এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মতো প্লাটফর্মগুলোর সার্চে ব্র্যান্ড এর উপস্থিতিকে অপটিমাইজ করার দিকে নজর দেয়া।

৪) সোশ্যাল এঙ্গেজম্যান্টের সাথে থট লিডারশিপের সমন্বয়

থট লিডারশিপ (বা চিন্তার নেতৃত্ব) সামসময়িক বছরগুলোতে একটি হট টার্ম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যখন অনেক ব্র্যান্ড নিজেদেরকে তাদের নিজস্ব অনলাইন কমিউনিটিগুলোতে দক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আগ্রাসী কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্যাটেজি গ্রহন করেছে। যেহেতু কিছু থট লিডারশীপ কেম্পেইন মিইয়ে গেছে, এখন দৃষ্টি পড়েছে অফ-সাইট সিগন্যাল (সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার) এর উপর যা অর্গ্যানিক স্ট্র্যাটেজি'র একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

প্রাসঙ্গিক শ্রোতাদের কাছ থেকে সোশ্যাল এঙ্গেজমেন্ট ছাড়া শুধু থট লিডারশিপের পক্ষে সার্চে দীর্ঘস্থায়ী সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। দুটোকেই একসাথে চলতে হবে।

৫) লং-টেইল সার্চ ট্রাফিকের ক্রমবর্ধনশীল গুরুত্ব

এক-দুই শব্দের কি ফ্রেজ (key phrase) দিয়ে সার্চে র‍্যাংক পাওয়া কষ্টসাধ্য এবং তা পুরোপুরি কভার করেনা। সেই তুলনায়, লং-টেইল কিওয়ার্ড কোয়ারিগুলো অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকে এবং উচ্চমাত্রায় কনভার্ট হয়ে থাকে এর নির্দিষ্টতার জন্য, পরিণামে উদ্দেশ্যের সফলতা অর্জিত হয়। যেসব ব্র্যান্ড লং-টেইল কোয়ারিগুলোর শক্তি ও প্রভাবকে যুথবদ্ধ করতে পারবে সেগুলোই ২০১৫ সালে সূচাগ্র পার্থক্য দেখতে পাবে।

২০১২ সালের একটি গবেষণা এটি নির্দেশ করে যে দৈনন্দিন কোয়ারির ১৬ থেকে ২০ ভাগ পূর্বে দেখাই যায়নি। এই পরিস্থিতির আরও বেশি উন্নতি ঘটছে যখন মোবাইল ডিভাইসগুলোতে ভোকাল সার্চের অ্যাপ্লিকেশনগুলো প্রকাশিত হচ্ছে এবং সার্চ ইঞ্জিনগুলো লং-টেইল কিওয়ার্ড বুঝার ক্ষেত্রে আরও দক্ষ হয়ে উঠছে। যদিও লং-টেইল সার্চ ট্রাফিক পেতে ব্যাপক সময় লাগবে, তবে এটি দীর্ঘপথযাত্রায় যথার্থ ভালো ফল দেবে।

৬) সার্চ রেজাল্ট দৃশ্যপটের পরিবর্তন

যখন গুগল একটি লক্ষ্যস্থানে পরিণত হতে চাইছে তখন আমরা আরও বেশি খেলাধুলার স্কোর, আবহাওয়ার খবর এবং খুচরা বিক্রেতাদের সম্পর্কিত ইন-স্ট্রিম আন্সার বা উত্তর প্রত্যাশা করতে পারি। কাস্টমাররা যেভাবে সার্চ রেজাল্টকে দেখে ও ইন্টারেক্ট করে সে অনুযায়ী গুগলের নলেজ গ্রাফ এবং কারোজাল ফিচারগুলোর মৌলিক পরিবর্তন ঘটছে। সিএমও'দের সার্চ স্পেসে তাদের ব্র্যান্ড কেমনভাবে উপস্থাপিত হয় সে সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন হতে হবে যেহেতু গুগল একটি ইনফর্মেশন ইঞ্জিনকে নলেজ ইঞ্জিনে রূপান্তরিত করছে।

৭) কিওয়ার্ড ও র‍্যাঙ্কিং এর গুরুত্ব হ্রাস

গুগলের কিওয়ার্ড সার্চ ডাটার এনক্রিপশন নিকট ভবিষ্যতে কি অপেক্ষা করছে তাই নির্দেশ করেছিল। যতই প্লাটফর্ম, চ্যানেল, ডিভাইস এবং অ্যাপ্লিকেশনে তথ্যের ব্যবহার বিভক্ত হয়ে যাবে ততই কিওয়ার্ড ও র‍্যাংকিং এর সাথে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজশনের সম্পর্ক হ্রাস পাবে। সিএমও'দের উচিত বহুবিধ প্রপার্টিতে ব্রান্ডের দৃশ্যমানতা এবং ডিজিটাল স্পেসের প্রতিটি কোনায়, যেখানে ভাগ্য ও ক্রেতা আছে, এর উপস্থিকেই সার্চ অপটিমাইজেশন হিসেবে দেখতে শেখা।

৮) পারসোনালাইজেশনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি

যতই সার্চ প্রক্রিয়াগুলো জটিল হচ্ছে কাস্টমাররা ততই উচ্চতর পর্যায়ের পারসোনালাইজেশনের অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে। একই কোয়ারির জন্য অঞ্চল, সাওইকোগ্রাফিক এবং ডেমোগ্রাফিক ডাটা অনুসারে, যেগুলো পূর্ববর্তী ব্যবহারের উপর সংগ্রহ করা হয়েছে, প্রত্যেক ব্যক্তি আলাদা আলাদা রেজাল্ট পেতে পারে। কনভার্সান ঐ ব্র্যান্ডগুলোর দিকেই যাবে যারা সবগুলো সার্চ প্লাটফর্মের কাস্টমারদের উচ্চতর পারসোনালাইজেশন সরবরাহ করতে প্রস্তুত রয়েছে। প্রমিনেন্ট কন্টেন্ট মার্কেটারদের ব্র্যান্ডের দৃশ্যমান হওয়ার সম্ভবনা তাই অনেক বেশি।

অর্গ্যানিক সার্চ এখনো সবকিছুর উপরে

যে চ্যানেলটি এখনো বিটুবি (B2B) এবং বিটুসি (B2C) কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ভিজিটর, কনভার্সান এবং কাস্টমারদের চালিত করে থাকে, অর্গ্যানিক সার্চ তেমন চ্যানেল নয় যা মার্কেটিং একজিকিউটিভরা অগ্রাহ্য করতে পারে। যেসব কোম্পানি এই চ্যানেলটিকে ম্যাক্সিমাইজ করতে পারবে তারাই অবশেষে ডিজিটাল স্পেসে অধিকার পাবে এবং সেই সাথে দেখা পাবে লাভের।

২০১৫ সালে যে পাঁচটি এসএইও ট্রেন্ডকে বিবেচনায় রাখা উচিত . 5 SEO Trends You Need to Consider for 2015

আশা করি আপনারা "সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের যুগ শেষ" এবং "সোশ্যাল মিডিয়াই হলো নতুন সার্চ" এই দু'টি সর্বশেষ অত্যুক্তিতে বিশ্বাস করেননা। বাস্তবতা হলো, এসইও কতগুলো বহুল পরীক্ষিত এসইও কৌশল, কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশনের মধ্যকার সংযুক্তিতে বিবর্তিত হচ্ছে। এটি আরও বেশী জটিল হয়েছে কিন্তু এর মূল্য সামান্য পরিমাণেও কমেনি। এই ধারণাটি মাথায় রেখে ২০১৫ সালের পাঁচটি এসইও ট্রেন্ড সম্পর্কে আলোচনা করা হলো, যেগুলো আপনি এবছর পরিকল্পনা করবেন।

১) সিম্যান্টিক সার্চ

গুগল সম্প্রতি সার্চ এলগরিদমের "Hummingbird" আপডেট প্রকাশ করেছে। পূর্বের পান্ডা ও পেঙ্গুইন আপডেটের মতো না হয়ে হামিংবার্ড আপডেটটি ছিল সম্পূর্নরূপে সিম্যান্টিক সার্চ নির্ভর। যেখানে সিম্যান্টিক হলো ভাষাতত্ত্বের একটি বিভাগ যা শব্দের অর্থঘটিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। সিম্যান্টিক সার্চ সার্চ কোয়ারির (আপনি সার্চ বারে যা লিখে সার্চ করেন) অর্থ এবং যে ব্যক্তি সার্চ করছেন তার মনোভাব বুঝার চেষ্টা করে। সার্চ ইঞ্জিন ল্যান্ডের ডেনি সুলিভান বিষয়টিকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছেনঃ

"হামিংবার্ড কোয়ারির প্রত্যকটি শব্দের দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেয় যাতে পুরো কোয়ারিটিকে নিশ্চিত করা যায়-- নির্দিষ্ট কতগুলো শব্দ নয় বরং পুরো বাক্য বা আলোচনা বা অর্থকে বিবেচনায় নেয়া হয়। লক্ষ্য হলো, পেজের অর্থের সাথে সার্চের অর্থ মেলানো; এখানে অল্প কিছু কিওয়ার্ড কে আর ধর্তব্যে নেয়া হয়না।"

তাই এক্ষেত্রে সংলাপমূলক কোয়ারি, লং টেইল কিওয়ার্ড এবং লেটেন্ট সিম্যান্টিক মার্কআপ যেমন কিওয়ার্ড বা শব্দের বহুবচন এবং সমার্থক শব্দগুলোর দিকে মনযোগ দিতে হবে। এইচটিএমএল মার্কআপের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে তা যেন যতটা সম্ভব সিম্যান্টিক হয়। নতুন যে সিম্যান্টিক ট্যাগগুলো স্কিমা ডট অর্গ থেকে এসেছে তা ওয়েবপেজ তৈরির সময় ব্যবহার করতে হবে। এবং কিওয়ার্ড রিসার্চ এর ক্রমাগত গুরুত্ব বৃদ্ধিকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

২) মোবাইল সার্চ অপটিমাইজেশন

গুগলের তথ্য অনুযায়ী মোবাইল সার্চের ৫০ভাগ কোয়ারিই হয়েছে অঞ্চলগত দিক লক্ষ্য করে। এর মানে হল সার্চকারি ব্যক্তিরা স্থানীয় ব্যবসাগুলোকে খুঁজেছেন যেন তারা ইন-স্টোর কেনাকাটা করতে পারেন। তারপরও সব মোবাইল সার্চ অঞ্চলবিশেষ লক্ষ্য করে করা হয়নি।

তাই এক্ষেত্রে মোবাইল সার্চের ব্যবহার বৃদ্ধি, মোবাইল-ওনলি ইউজারদের উত্থান এবং গুগলের নতুন ''মোবাইল ফ্রেন্ডলি" লেবেলগুলো কিভাবে সার্চ রেজাল্টকে প্রভাবিত করছে সে সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। বলাবাহুল্য, সাম্প্রতিক সময়ে স্মার্টফোনের ব্যবহারের বৃদ্ধিকে ভোক্তা সংগ্রহের একটি প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে ধরে নিতে হবে।

৩) সোশ্যাল সিগনেলগুলোর অকার্যকারিতা

সোশ্যাল সিগনেল যেমন টুইট, শেয়ার ও গুগলপ্লাস সার্চ রেঙ্কিংকে প্রভাবিত করে? তা করে, কিন্তু আপনি যেভাবে ভাবেন তেমন নয়।

সব সময়ই বলা হয়েছে যে টপ সার্চ রেঙ্কিংয়ে উপরের যাওয়ার উপায় হলো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার। এটি সেই ২০১০ সালের কথা যখন গুগলের ওয়েব-স্পাম বিষয়ক প্রধান বলেছিলেন, আমরা আমাদের সার্চ রেঙ্কিং এ টুইটার ও ফেসবুকের লিংক ও রেঙ্কিংকে ব্যবহার করি। কিন্তু ২০১৪ সালে যখন তাকে একই প্রশ্ন করা হয় তখন বলেছিলেন, বর্তমানে আমাদের সার্চ এলগরিদমে তেমন কোন সিগন্যাল নেই।"

তারপরও কিছু সার্চ অপটিমাইজাররা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে সোশ্যাল শেয়ার সার্চে সত্যিকার অর্থেই প্রভাব রাখে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যাল একেবারেই অপ্রয়োজনীয় তেমন বলা যাবেনা তবে তা আরও বৃহৎ পরিসরে মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে অপটিমাইজ করতে হবে। আপনার এবং অন্যদের শেয়ার করা কন্টেন্ট ব্যাকলিংক তৈরি করে, আরও ট্রাফিককে আপনার সাইটের দিকে ধাবিত করে যা আপনার ব্র্যান্ড সংশ্লিষ্ট কোয়ারিকে বাড়িয়ে দেয়।

৪) আর্নড লিংকের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বৃদ্ধি

একটি সফল এসইও স্ট্র্যাটেজি নির্ভর করে গুণগত ও পরিমাণগত ব্যাকলিংকের উপর। এক্ষেত্রে আপনার নিজের তৈরি লিংক যেমন আপনার ওয়েব পেজ ও সোশ্যাল মিডিয়া পেজ, পেইড লিংক যেমন গুগল অ্যাডওয়ার্ড বিজ্ঞাপন, টুইটার প্রমোট অথবা অন্যান্য সংস্থার বিজ্ঞাপনী সেবার লিংকের চেয়ে অর্জিত লিংক যেগুলো অন্যান্যরা স্বেচ্ছায় আপনার পণ্য সম্পর্কে আলোচনা ও শেয়ারের মাধ্যমে তৈরি করেছে সেগুলোর গুরুত্ব সার্চ রেঙ্কিংএ অনেক অনেক বেশি। সবসময় লো-কোয়ালিটি লিংক তৈরি থেকে বিরত থাকা উচিত যা আপনার সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে পেনালাইজড করতে পারে।

সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে উচ্চমানসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরিই এসইওর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ! তাছাড়া সামজিক কার্যকলাপের মাধ্যমে অফলাইন সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং ব্রোকেন লিংক বিল্ডিংকেও মাথায় রাখতে হবে।

৫) ব্র্যান্ড সম্পর্কে উল্লেখ এবং সাইটেশন

একটি সাইটেশন হলো আপনার ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোন ওয়েব সাইটে আপনার ব্র্যান্ডের নাম, ঠিকান, ফোন নাম্বার সম্পর্কে যেকোন উদ্দৃতি। একটি কো-সাইটেশন হলো আপনার ব্যবসায়ের মতো একই রকম অন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাইটে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কিত উল্যেখ। এক্ষেত্রে লোকাল সাইটেশন, ইন্ডাস্ট্রি সাইটেশন ও নিচ্‌(Niche) সাইটেশন সম্পর্কে জানতে হবে।

সাইট স্ট্রাকচার সম্পর্কে বোনাস টিপ

আপনার সাইটটি ভিজিটরদের কাছে যত বেশী আকর্শনীয় হবে ততো বেশি তা সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে। তাই সাইটকে যতটা সম্ভব সহজবোধ্য করুন। বাউন্স রেটকে কমানো এবং সাইটে ভিজিটরদের অতিবাহিত সময় বাড়ানোকে গুরুত্ব দিয়ে সাইট ডিজাইন করুন। একটি ত্রুটিমুক্ত এক্সএমএল সাইট ম্যাপ সাবমিট করুন। সাইটের ইউজেবিলিটি বৃদ্ধি করুন।

পরিশেষে, সন্দেহ নেই এসইও বিবর্তিত হয়েছে মানুষ ও সার্চ ইঞ্জিন উভয়ের রুচির দিকে লক্ষ্য রেখে। সিম্যান্টিক সার্চ, মোবাইল ওয়েব এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রাসঙ্গিকতার উত্থান আপনার কন্টেন্টকে মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছে; কিন্তু তা আগের চেয়ে আরও বেশি জটিলতা ও নতুন নতুন সমস্যাকে অন্তর্ভূক্ত করেছে। তবে অনেক পরিবর্তনের মধ্যেও কিছু জিনিস একই রকম রয়ে গেছেঃ প্রাসঙ্গিক উচ্চমানের কন্টেন্ট এবং এর ভালো উপসস্থাপন আপনার জন্য কাজে লাগবে। এবং লিংক অ্যাসিস্ট্যান্ট এর এসইও পাওয়ার স্যুইট এসইও টুল আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহনে ও আপনার সাইটকে প্রমোট করতে ভূমিকা রাখবে। তাই আজই এসইও পাওয়ার স্যুইটকে ট্রাই করে দেখুন।